2025-02-23@05:22:27 GMT
إجمالي نتائج البحث: 36
«ফলন দ য়»:
দেশের চাহিদার ৮০ ভাগ ভোজ্যতেল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এতে ব্যয় হয় প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। উচ্চ ফলনশীল সরিষা আবাদ করে ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমানোর সম্ভাবনা জাগিয়েছে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)। পরমাণু শক্তির ব্যবহার করে বিনা উদ্ভাবন করেছে উচ্চ ফলনশীল সরিষার নতুন জাত ‘বিনা সরিষা-১১’। বিনা গোপালগঞ্জ উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিনা সরিষা-১১ জাতটির পডের (ফল দণ্ড) আকার দেশের অন্যান্য সরিষার জাতের তুলনায় অনেক বড়। স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন এ জাতের সরিষা অধিক ফলন দেয়। মাত্র ৮০ দিনে কৃষক ক্ষেত থেকে ফসল সংগ্রহ করতে পারেন। বিনা’র গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণ প্রকল্পের অর্থায়নে ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কাজীপাড়া গ্রামে বিনা সরিষা-১১-এর সঙ্গে বারি সরিষা-১৪ এবং স্থানীয় একটি জাতের সরিষার...
মাদারীপুর সদর উপজেলায় এক কৃষকের ৭০০ ফলন্ত পেঁপে গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষকের দাবি। গত শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম মাঠ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মাদারীপুর সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী কৃষক সবজাল খালাসী। ভুক্তভোগী কৃষক জানান, আব্দুল মজিদ মাতুব্বরের ছেলে সান মাতুব্বরের কাছ থেকে ২০২১ সালে এক বিঘা জমি সাত বছরের জন্য বর্গা নেন তিনি। জমির মালিক সেই জমি বিক্রি করে দেন। পরে জমির অন্য ওয়ারিশরা জমিটি ক্রেতাকে হস্তান্তর করতে তাঁর (সবজাল) ফলন্ত পেঁপে বাগানের ৭০০ গাছ শুক্রবার সকালে কেটে ফেলে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এতে তাঁর প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান। এ ঘটনায় তিনি একই গ্রামের জাহাঙ্গীর...
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান খাদ্য ও অর্থকরী ফসল মিষ্টি আলু। পুষ্টিগুণে ভরপুর মিষ্টি আলু ভাতের বিকল্প হিসেবে শর্করার চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে প্রায় ২৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে এ আলুর চাষ হয়। মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ ও ‘কে’ এবং বিভিন্ন খনিজ পদার্থ আছে। স্থানীয় জাতের মিষ্টি আলু উৎপাদনে ব্যয় বেশি হওয়া এবং বাজারে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় এ ফসল চাষে কৃষকদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। তবে, আশার কথা হলো, মিষ্টি আলুর উৎপাদন বাড়িয়ে কৃষকদের লাভবান করতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা উদ্ভাবন করেছেন ‘বাউ মিষ্টি আলু-৫’। এটি স্থানীয় জাতের তুলনায় অধিক ফলনশীল ও লাভজনক। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম আরিফ হাসান খানের নেতৃত্বে...
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, গণতন্ত্রের পথে নিতে ‘ভোট দেওয়ার’ জন আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন মানুষ অবিলম্বে দেখতে চায়। তিনি বলেন, মহান ভাষা আন্দোলনের যে ধারাবাহিকতা, ভাষা আন্দোলনের আগে বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতার যে ইচ্ছা সেই ইচ্ছার যে ধারাবাহিকতা এবং আজকে ২০২৫ সালে এসে মানুষের নতুন প্রজন্মের ভোট দেওয়ার যে আকাঙ্ক্ষা, মানুষের যে প্রত্যাশা সেই প্রত্যাশার প্রতিফলন কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ দেখতে চায়। বৃহস্পতিবার বিকালে মহান শহীদ দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মূল আকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরে আবদুল মঈন খান বলেন, আজকে বাংলাদেশের মানুষ একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছে, দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। এই...
ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে শীত বিদায় নিয়েছে। প্রকৃতি বদলের সঙ্গে সঙ্গে সবুজ পাতার ফাঁকে এখন আমের সোনালি মুকুলের ছড়াছড়ি। দিনাজপুর জেলার চারপাশ জুড়েই মুকুলের ম ম গন্ধ। আর বাগান চাষিরা ব্যস্ত হয়ে উঠেছে গাছের পরিচর্যায়। জেলার ১৩টি উপজেলার বিভিন্ন আম বাগান ঘুরে দেখা যায়, ফাল্গুনের শুরুতেই পরিবর্তন শুরু হয়েছে প্রকৃতির। গাছের পুরনো পাতা ঝরে বের হচ্ছে নতুন পাতা। আর সেই পাতার ফাঁকে বেরিয়ে আসছে আম, লিচু, কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফলের মুকুল। হাকিমপুর উপজেলার মংলা গ্রামের জাহিদুল ইসলাম বলেন, “আমার বাড়িতে একটা ফজলি ও একটি ন্যাংড়া জাতের আম গাছ আছে। গাছ দুটির বয়স প্রায় ১২-১৩ বছর হবে। প্রতি বছর পর্যাপ্ত পরিমাণ আম ধরে। এবারও গাছ দুটিতে প্রচুর মুকুল এসেছে। আল্লাহ দিলে যদি ঝড়-বৃষ্টি না হয়, তাহলে অনেক আম পাবো।” ...
হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটে ৬০ শতক পরিমাণ ক্ষেতে ব্রোকলি চাষ করে লাভবান ফারুক আহমেদ। এ ক্ষেতের আইলে রোপণ করা হয়েছে টমেটো গাছ। দেখতে চমৎকার। তেমনি ফলনও হয়েছে ভালো। চুনারুঘাট উপজেলার গোপালপুর গ্রামে ফারুক আহমেদের এক সাথে ব্রোকলি ও টমেটো চাষ মুগ্ধতা কুড়াচ্ছে মানুষের। তিনি নভেম্বর মাসের শেষে ব্রোকলি ও টমেটোর চারা রোপণ করেন। প্রায় ৬০ দিনের মধ্যে এতে পূর্ণ ব্রোকলি হয়। গাছে গাছে ধরেছে টমেটোও। প্রতি কেজি ব্রোকলি ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটো প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়। এসব চাষে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। এখানে বিক্রি থেকে তিনি দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা পাওয়ার আশা করছেন। ক্রেতারা ক্ষেতে এসে ব্রোকলি ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে বাজারে নিয়েও বিক্রি করেন। ব্রোকলির...
লিচুর রাজ্য দিনাজপুর। এ জেলার লিচু সুমিষ্ট, সুস্বাদু ও রসালো। লিচু বাগানগুলোতে ফুল আসতে শুরু করেছে। ফুলে ফুলে ছেয়ে যাচ্ছে বাগানের প্রতিটি গাছ। ফুলের ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। বাগান মালিকরা আশা করছেন, চলতি মৌসুমে লিচুর বাম্পার ফলন হবে। কৃষি অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবার জেলায় ৫ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন লিচু বাগান, রাস্তা ও বসত বাড়ি ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি লিচু গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। লিচু গাছের গোড়ায় পানি সেচ দিচ্ছে বাগান মালিকরা। পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য স্প্রে করছেন তারা। বাগান মালিকরা স্বপ্ন দেখছেন, এবার লিচুর বাম্পার ফলন হবে। বিরামপুর পৌর এলাকার ইসলাম পাড়া গ্রামের মহির উদ্দিন বলেন, “আমার বাড়িতে একটি চায়না থ্রি জাতের লিচু গাছ আছে, বয়স প্রায় ২০ বছর...
একসময় কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার ফসলি জমিতে কেবল আবাদ হতো ধানের। বোরো ও আমন মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে ফেলে রাখা হতো ফসলি জমি। এখন দুই ফসলি এসব জমিকে চার ফসলি করে গড়ে তুলতে কৃষকেরা রবিশস্যের আবাদের দিকে ঝুঁকছেন কৃষকেরা। বিশেষ করে শর্ষের চাষ জনপ্রিয় হচ্ছে কৃষকদের মধ্যে। গত বছরই প্রথম টেকনাফ উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে শর্ষের চাষ শুরু হয়। প্রথমবারে আবাদ হয় ৭০ হেক্টর জমিতে। অল্প পরিশ্রমে বেশি লাভ হওয়ায় এ বছর প্রায় দ্বিগুণ জমিতে কৃষকেরা শর্ষের আবাদ করেছেন। চলতি রবি মৌসুমে শর্ষের চাষ হয়েছে ১২০ হেক্টর জমিতে।কৃষকেরা জানিয়েছেন, এবার শর্ষের ফলন যেমন ভালো হয়েছে, দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। ভবিষ্যতে শর্ষের চাষাবাদ আরও বাড়াবেন বলে জানান তাঁরা। উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমাপাড়ার কৃষক লাকিংউ চাকমা বলেন, গত বছরের মতো এবারও তিন বিঘা জমিতে শর্ষের চাষ...
আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাগানগুলোয় গাছে গাছে এখন মুকুলের সমারোহ। এরমধ্যে আগে বের হওয়া কিছু-কিছু গাছে মুকুল ফুটে আমের গুটিও বের হয়েছে। গত বছর আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় আমের ফলনে বিপর্যয় হয়। বাগানিরা বলছেন, এবারের মৌসুমে বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন তারা। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত ফুটবে আমের মুকুল। গত বছর মৌসুমের শুরুতে তাপমাত্রা কম থাকা এবং প্রাকৃতিকগতভাবে কম ফলনের বছর হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মুকুল এসেছিল মাত্র ৭০ থেকে ৭৩ ভাগ গাছে। যা তার আগে বছর ছিল প্রায় শত ভাগ। তবে চলতি বছরের আমগাছগুলো মুকুলে ভরে উঠবে আশা করছেন এখানকার আম চাষি ও বাগান মালিকরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পরিসংখ্যান অনুযায়ী- গত বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমবাগান ছিল ৩৭ হাজার ৬০৪ হেক্টর। এবার ১০০ হেক্টর কমে হয়েছে ৩৭ হাজার...
দুইশ কেজি বেগুন ক্ষেত থেকে বাজারে নেওয়া পর্যন্ত পরিবহন খরচ ৯৬০ টাকা। পাঁচ টাকা কেজি দরে বিক্রি মাত্র এক হাজার টাকা। দুপুরে খাবার খরচ এক থেকে দেড়শ টাকা যোগ করলে কত টাকা ক্ষতি হচ্ছে তা ভেবে দেখুন। এভাবেই হতাশার সুরে নিজের অভিব্যক্তি ব্যক্ত করছিলেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের চর মৌকুড়ি গ্রামের কৃষক সেন্টু মণ্ডল। রাজবাড়ীতে সবজি আর পেঁয়াজের ফলন ভালো হলেও হাসি নেই কৃষকের মুখে। বরং রয়েছে প্রচণ্ড বিরক্তি, হতাশা আর দীর্ঘশ্বাস। পরিবহন খরচ না ওঠায় অনেকের ক্ষেতের সবজি ক্ষেতেই পচে নষ্ট হচ্ছে। কেউ গরু দিয়ে খাওয়াচ্ছে বহু কষ্ট করে উৎপাদন করা সবজি। রাজবাড়ীতে পদ্মা নদীর ওই পার থেকে ভ্যানে করে বেগুন এনে খেয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন সেন্টু মণ্ডল। এ সময় কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি জানালেন, এক বিঘা...
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার হাওরের পরিত্যক্ত জমিতে আগাম জাতের চালকুমড়া চাষ করা হয়েছে। উপজেলার হলদির হাওরের ২২০ কাঠা ওই পরিত্যক্ত জমিতে কুমড়া চাষ করে ১২ জন চাষি সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। মৌসুম শুরুর আগেই চালকুমড়া বাজারজাত করতে পারায় দামও মিলছে বেশি।চাষিরা জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আগাম চালকুমড়া চাষে তাঁদের দ্বিগুণ লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় হাওরের প্রধান ফসল ধান। এ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ৩১ হাজার ৫৪২ হেক্টর চাষাবাদযোগ্য জমি রয়েছে। এর মধ্যে ৫০০ হেক্টর জমি চার থেকে পাঁচ বছর আগেও পরিত্যক্ত ছিল। উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে পরিত্যক্ত জমিতে সবজি, শর্ষে ও ভুট্টার আবাদ শুরু করেন চাষিরা। ৫০০ হেক্টর পরিত্যক্ত জমির মধ্যে ৩৫০ হেক্টর জমিতে সবজি, শর্ষে ও ভুট্টা চাষের আওতায় আনা হয়েছে।...
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেতিলা মিতরা ইউনিয়নের তালিফাবাদ গ্রামের কৃষক মানিক মিয়া দক্ষিণ চক এলাকায় মুলার চাষ করেছেন। উন্নত জাতের বীজ বপন, সার প্রয়োগ ও আধুনিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও তিনি গত তিন বছর কাঙ্ক্ষিত ফলন পাচ্ছেন না। মানিক মিয়ার কৃষিজমির দক্ষিণ পাশে একই এলাকার খোরশদ মিয়ার একখণ্ড জমি রয়েছে। ওই জমিতে তিন বছর আগে খোরশেদ মিয়া চাষাবাদ করলেও এখন তিনি করেন না। ফলে কৃষিজমি জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। কৃষকেরা অনেক অনুরোধ করেও খোরশেদ মিয়াকে ওই জমিতে চাষাবাদে ফেরাতে পারেননি, জঙ্গলও পরিষ্কার করাতে পারেননি। খোরশেদ মিয়ার জমিতে জঙ্গল হওয়ায় শুধু মানিক মিয়া নন, আশেপাশের কৃষকও বিগত তিন বছর হলো সঠিক ফলন পাচ্ছেন না। অনেক কৃষক এ কারণে ওই জঙ্গলের আশেপাশের জমিতে আর চাষ করছেন না। তালিফাবাদ গ্রামের দক্ষিণ চক এলাকার...
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে হয়েছেন কৃষক। বাবা কৃষি কাজ করতেন, বাবার পেশাতাই তিনি খুঁজে পেয়েছেন জীবনের স্বাদ। বাবার রেখে যাওয়া দশ বিঘা কৃষি জমির আয় দিয়ে পঁয়ত্রিশ বিঘায় পরিণত করেছেন। শুধু নিজেই কৃষি কাজ করে সফল হননি, এলাকার শতাধিক কৃষকের নানা আধুনিক প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান নির্ভর চাষাবাদে উদ্বুদ্ধকরণ এবং পরামর্শ দিয়ে চাষিদের কাছ ‘বাবু ভাই’ নামে পরিচিতি পেয়েছেন। মানিকগঞ্জের বেতিলা মিতরা ইউনিয়নের তালিফাবাদ গ্রামের আব্দুল খালেক বাবু। গত একযুগে এ অঞ্চলের চাষাবাদের আধুনিকায়নে চাষিদের এক অনুপ্রেরণার নাম। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, তালিফাবাদ দক্ষিণ চকে চলতি মৌসুমে বিঘার পর বিঘা জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন আব্দুল খালেক বাবু। চাষাবাদ করেছেন বেগুন, টমেটো, মূলা, ফুলকপিসহ নানা ধরনের সবজি। নিজের জমি দেখভালের সাথে গ্রামের...
আকারটা সফেদার মতো। পাকলে ঘন হলুদ বর্ণ ধারণ করে। ভেতরের শাঁসটা পরিচিত কোনো ফলের মতো নয়। একেবারেই আলাদা এর স্বাদ। গাঢ় হলুদ শাঁস মুখে দিলে মনে হবে ডিমের কুসুমের সঙ্গে কেউ ক্রিম আর মধু মিশিয়ে দিয়েছে। মুখে লেগে থাকবে অনেকক্ষণ। পার্বত্য চট্টগ্রামের বৈচিত্র্যময় ফলের ভান্ডারে যোগ হওয়া নতুন এই ফলের নাম বারি টিসা-১। টিসা ফল নামেই আপাতত একে ডাকা হচ্ছে। পাঁচ বছর গবেষণা করে রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের গবেষকেরা ফলিয়েছেন আমেরিকা মহাদেশের মেক্সিকোর এই ফল। আগামী এক বছরের মধ্যে কৃষকদের কাছে ফলটি পৌঁছে দেওয়া সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা। দক্ষিণ মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকার স্থানীয় এ ফল বাংলাদেশের বাজারে সাড়া জাগাবে বলে মনে করেন গবেষকেরা।রাইখালী পাহাড়ি কৃষি...
আলু লইয়া কৃষক এইবারও দুর্দশায় নিপতিত হইল। রবিবার প্রকাশিত সমকালের প্রতিবেদন বলিতেছে, এক কেজি আলুর উৎপাদন ব্যয় ১৪ হইতে ১৬ টাকা হইলেও কৃষককে উহা বিক্রয় করিতে হইতেছে মাত্র ১০-১২ টাকায়। ফলে প্রতি কেজি আলুতে কৃষককে লোকসান গুনিতে হইতেছে ৫ টাকা অবধি। শুধু উহাই নহে, লোকসান হইতে বাঁচিতে বর্তমানে বিভিন্ন এলাকার কৃষকের হিমাগারে আলু সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও নূতন সংকট সৃষ্টি হইয়াছে। প্রথমত, দেশে চলতি বৎসর আলু উৎপাদন ১ কোটি ২০ লক্ষ টন হইবে বলিয়া ধারণা করা হইতেছে। কিন্তু বিদ্যমান হিমাগারসমূহের মোট ধারণক্ষমতা মাত্র ৪৫ লক্ষ টন। সেই হিসাবে বিপুল পরিমাণ আলু হিমাগারের বাহিরে থাকিবে। দ্বিতীয়ত, গত বৎসর অপেক্ষা এইবার কেজিতে ১ টাকা বৃদ্ধি করিয়া হিমাগার ভাড়া ৮ টাকা করা হইয়াছে, যাহা বহন করা বিশেষত ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকের পক্ষে কঠিন। উপরন্তু, পূর্বে...
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের একটি প্রস্তাব বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় স্পষ্টত হস্তক্ষেপ বলে মনে করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। এই প্রস্তাব জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনে বাধা সৃষ্টি করবে বলে মনে করছে তারা। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ওই প্রস্তাবের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে এমন কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অন্তরায় বলে মনে করে অ্যাসোসিয়েশন। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘জেলা কমিশনারকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সিআর মামলা [নালিশি মামলা] প্রকৃতির অভিযোগগুলো গ্রহণের ক্ষমতা দেওয়ার সুপারিশ করা হলো। তিনি অভিযোগগুলো তদন্তের জন্য উপজেলার কোনো কর্মকর্তাকে বা সমাজের স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মাধ্যমে সালিশি বা তদন্ত করার নির্দেশ দিতে পারবেন। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হলে থানাকে মামলা গ্রহণের নির্দেশ দিতে পারবেন। পরবর্তীতে মামলাটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় আদালতে চলে...
মুন্সীগঞ্জের আড়িয়ল বিলে প্রতি বছরের মতো এবারও মিষ্টিকুমড়ার ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু প্রত্যাশিত দাম না পেয়ে কৃষকের আশাভঙ্গ হয়েছে বলে জানা গেছে। কৃষকের ভাষ্য, গত বছরও প্রতি কেজি কুমড়া বিক্রি করেছেন ৩০ থেকে ৩২ টাকায়। এ বছর ১০ থেকে ১২ টাকায় নেমে এসেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শীত শেষে বসন্তের আগমনের এই সময়ে আড়িয়ল বিলে শাক-সবজির চাষাবাদ এবং কোথাও কোথাও ধান রোপণ করেছেন কৃষক। ধানের জমির আইলে উৎপাদন করা হয়েছে মিষ্টিকুমড়া ও লাউ। ঢাকা জেলার দোহার, নবাবগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদীখান ও শ্রীনগর উপজেলায় আড়িয়ল বিলের অবস্থান। বিলের বেশির ভাগ অংশ পড়েছে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর ও সিরাজদীখানে। আড়িয়ল বিলে ৭ হাজার ৯৭০ হেক্টর আবাদযোগ্য ভূমি রয়েছে। বছরের সব ঋতুতেই এখানে ফসল হয়। শ্রীনগর ও সিরাজদীখানে আড়িয়ল বিল থেকে মিষ্টিকুমড়া সংগ্রহের ধুম...
ফিওদর দস্তয়েভস্কির [১১ নভেম্বর ১৮২১–৯ ফেব্রুয়ারি ১৮৮১] ডেমনস, দ্য ডেভিলস বা দ্য পসেসড নামেও পরিচিত একটি জনপ্রিয় উপন্যাস। এই উপন্যাসটি রাজনৈতিক চরমপন্থা, নৈতিক বিশৃঙ্খলা এবং উনিশ শতকের রাশিয়ায় নিহিলিজমের উত্থান নিয়ে একটি শক্তিশালী অনুসন্ধান হিসেবে আলোড়িত। রাশিয়ান ভাষায় Бесы (Bésy) নামে প্রকাশিত এই উপন্যাসটি কেবল সাহিত্যের একটি মাইলফলক নয়; বরং তা ঐতিহাসিক, দার্শনিক এবং রাজনৈতিক অন্তর্দর্শনের এক অসাধারণ নিদর্শন। দস্তয়েভস্কি এমন একটি সময়ে এই মাস্টারপিসটি রচনা করেন, যখন রাশিয়া নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছিল সামাজিক অবক্ষয়, চরমপন্থি বিপ্লবী আন্দোলন এবং নিহিলিজমের উত্থানে। এই উপন্যাসে দস্তয়েভস্কি চরমপন্থার মানসিক ও নৈতিক পরিণতি তুলে ধরে দেখিয়েছেন, কীভাবে এ ধরনের মতাদর্শ ব্যক্তি ও সমাজকে নৈতিক শূন্যতায় নিমজ্জিত করে। উপন্যাসটির প্রতিটি পৃষ্ঠা যেন একদিকে নিহিলিজমের বিপজ্জনক শূন্যতাকে উন্মোচিত করে এবং অন্যদিকে মানবিক মূল্যবোধ, আধ্যাত্মিক বিশ্বাস ও নৈতিকতার...
প্রমত্তা পদ্মা নদী শুকিয়ে তার জৌলুস হারিয়েছে। পানি কমায় সেখানে বাড়ছে চরের বিস্তৃতি। এক সময়ের ভরা যৌবনা পদ্মা শুকিয়ে ধু-ধু বালুচরে পরিণত হয়েছে। পর্যাপ্ত পানি না থাকায় কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিচে এখন বিভিন্ন কৃষিজাত ফসলের চাষ হচ্ছে। পদ্মার শাখা, উপশাখা নদীগুলো মূলত পদ্মাকে ঘিরেই এর সৌন্দর্য বিরাজ করে। কিন্তু শুষ্ক মওসুমের আগেই পদ্মার পানিশূন্য হয়ে পড়ায়, এর প্রভাব পড়েছে এসব নদী ও খাল বিলে। চির যৌবনা পদ্মা এখন পানিশূন্য নদী। দূর-দিগন্তে যতদূর চোখ যায়, শুধু ধু-ধু বালুচর। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার বৈশাখ মাস আসার আগেই যতটুকু পানি পদ্মায় রয়েছে, হয়তো সেটা আর দেখা যাবে না। মূলত নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে বালুচরের উচ্চতা বেড়ে গেছে। বর্ষা মওসুমে মাস তিনেকের জন্য নদীতে পানি থাকলেও বছরজুড়েই তলানিতে থাকে পানি। পদ্মায়...
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাঁদপুরে অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে, পাইকারি ক্রেতা না পাওয়ায় পাকা কুমড়োর পচন ঠেকাতে গোখাদ্য হিসেবেই বিক্রি করছেন চাষিরা। প্রচুর ফলন হলেও হতাশায় উৎপাদন খরচ তোলার দুশ্চিন্তায় এখন তারা। চাষিরা বলছেন, যদি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সরাসরি মাঠ থেকে কুমড়ো কেনার ব্যবস্থা করে, তাহলে হয়তো কিছুটা ‘আলোর মুখ’ দেখা যেতো। গত ৩ ফেব্রুয়ারি সরেজমিন গেলে সদরের দেবপুর, হাজীগঞ্জের বাকিলাসহ আশপাশের এলাকার চাষিরা তাদের হতাশা তুলে ধরেন। দেবপুরের চাষি আবুল কাশেম বলেন, ‘‘এবার আমরা মাঠের পর মাঠে মিষ্টি কুমড়ো চাষাবাদ করেছি। যেখানে গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণ জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে বীজ কেনা, জমি প্রস্তুত, ইজারাকৃত জমির মূল্য, পরিবহন খরচ মিলিয়ে ভালো দামে বিক্রি না থাকায় পোষাতে...
দেশের অন্যতম আম উৎপাদকারী জেলা নওগাঁয় গত কয়েক বছরের মধ্যে এবার আমের মুকুল বেশি এসেছে। বাতাসে মুকুলের ম-ম ঘ্রাণ। কয়েক দিনের কুয়াশা ছাড়া আবহাওয়া আমের অনুকূলে। মুকুলের আধিক্য দেখে বাম্পার ফলনের আশা করছেন আমচাষি।বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষিবিদরাও। তাঁরা বলছেন, এখন পর্যন্ত আবহাওয়া আম চাষের অনুকূলে রয়েছে। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে। এবার গত বছরের চেয়ে ২০০ হেক্টর জমিতে আমের বাগান বেড়েছে। আশা করা হচ্ছে, গত বছরের চেয়ে এবার ২৫ হাজার টন ফলন বাড়তে পারে।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সাধারণত ধরা হয় দীর্ঘস্থায়ীভাবে তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকলে আমের মুকুল ধরতে চায় না। তবে এবার জানুয়ারি মাসে দুয়েক দিন করে শৈত্যপ্রবাহ থাকলেও দীর্ঘস্থায়ী শৈত্যপ্রবাহ ছিল না। গড়...
আলু উৎপাদনকারী শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। উন্নত চাষপদ্ধতির ফলে দিন দিন আলুর উৎপাদন বাড়লেও দেশ এখনও পুরোপুরি স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারেনি। আবার আলু উৎপাদনে প্রচলিত চাষ পদ্ধতি এবং প্রয়োজনের অধিক রাসায়নিক সার ব্যবহারের কারণে মাটির স্বাস্থ্য দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। তবে এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষিতত্ত্ব বিভাগের একদল গবেষক। সম্প্রতি তারা ফলন বৃদ্ধিতে সংরক্ষণশীল চাষ পদ্ধতি (কনজারভেশন এগ্রিকালচার) বা বিনা চাষে (জিরো টিলেজ) আলু উৎপাদন প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটিয়ে সাফল্য পেয়েছেন। দুই মৌসুম ধরে আলুর বিনা চাষ পদ্ধতি ও সমন্বিত পুষ্টি ব্যবস্থাপনা বা ইন্টিগ্রেটেড নিউট্রিয়েন্ট ম্যানেজমেন্টের (আইএনএম) ওপর গবেষণা করে প্রাথমিকভাবে সাফল্য পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে গবেষণা প্রকল্পটি চলমান রয়েছে। ...
খুলনার ডুমুরিয়ায় গত বছরের মতো এবারও শজিনার ভালো ফলন হয়েছে। পতিত এবং লবণাক্ত এলাকায় বিনা খরচে শজিনা আবাদ করে ভালো মুনাফা করছেন কৃষক। এতে শজিনা চাষে আগ্রহ বেড়েছে চাষিদের। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ব্যাপক আকারে শজিনা আবাদ হচ্ছে। এতে ‘শজনের উপজেলা’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে ডুমুরিয়া। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর শজিনা বিক্রি করে চাষিরা ১১ কোটি টাকা আয় করেছে। ভালো দাম পাওয়ায় খুশি কৃষক-কৃষানিরা। এ কারণে এবার আরও বেশি জমিতে শজিনা আবাদ করেছেন তারা। চলতি মৌসুমে প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে শজিনা চাষ হয়েছে। ব্যাপক ফলনও হয়েছে। এতে এবার শজনে উৎপাদন এক হাজার টন ছাড়িয়ে যাবে, যার বাজারমূল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা। বর্তমানে উপজেলার ১২৬টি গ্রামে ব্যাপক আকারে শজিনা আবাদ করা হচ্ছে। শজিনা চাষিদের ভাষ্য, শজিনা আবাদে সার, কীটনাশক ও সেচ খরচ নেই।...
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলায় কয়েক বছর ধরে মিষ্টিকুমড়া ফলিয়ে লাভবান হচ্ছিলেন কৃষক। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হয়েছে ভালো। বাজারে শীতকালীন সবজির প্রাচুর্য থাকায় লোকসানের মুখে পড়েছেন মিষ্টিকুমড়া চাষিরা। বিক্রি করতে না পারায় অনেকে খেতেই ফেলে রাখছেন ফসল। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে ১ হাজার ৬শ হেক্টর জমিতে। গত বছরের থেকে এবার ৭শ হেক্টর বেশি জমিতে মিষ্টিকুমড়ার আবাদ করেছেন কৃষকরা। সরেজমিন দেখা যায়, ভোলাহাটের তালপল্লি থেকে ফলিমারি রাস্তার দুই পাশে মিষ্টিকুমড়া স্তূপ করে রেখেছেন চাষিরা। আগে জমি থেকে বিক্রি হয়ে গেলেও এখন আর বিক্রি হচ্ছে না। অনেককে রাস্তার পাশে অস্থায়ী বাজার করে মিষ্টিকুমড়া বিক্রি করতে দেখা গেছে। কয়েকজন কৃষক জানালেন, মৌসুমের শুরুতে মিষ্টিকুমড়া ১২-১৪শ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে ৪-৫শ টাকা মণ দরেও বিক্রি করতে...
বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে ধান চাষের ঐতিহ্য বহু পুরোনো। এক সময় বাঙালির প্রধান খাবার ছিল মাছ ও ভাত। তবে কালের পরিক্রমায় খাদ্যাভ্যাসে বিভিন্ন পরিবর্তন আসলেও ভাত খাওয়ার মধ্যে বাঙালিরা তৃপ্তি খুঁজে পান। ধান ও চালের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং পুষ্টিমান বৃদ্ধিতে নানা ধরনের গবেষণা চলমান রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে রঙিন চাল নিয়ে গবেষণা নতুন আলো ছড়াচ্ছে। এই চালের খাদ্যগুণ, ঔষধি গুণাবলী ও অর্থনৈতিক মূল্য আমাদের খাদ্যশৃঙ্খলকে সমৃদ্ধ করতে পারে। রঙিন চালের অন্যতম বিশেষত্ব এর পুষ্টিগুণ। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, আঁশ, আয়রন ও ভিটামিন বি পাওয়া যায়। বিশেষ করে এতে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন নামক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান, যা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এমনকি এটি ক্যান্সার প্রতিরোধেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে বলে দাবি গবেষক দলের। রঙিন চালের...
কালো, লালচে, বেগুনি ও বাদামি রঙের চাল! শুনতে অবাক লাগলেও রঙিন এই চালে রয়েছে পুষ্টি ও ঔষধি গুণ। বাহারি রঙের পাশাপাশি স্বাস্থ্য উপকারিতার কারণে এ চাল দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সাধারণ সাদা চালের তুলনায় রঙিন চালে বেশি পরিমাণে প্রোটিন, আঁশ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। বিশেষ করে, এতে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন নামক শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এটি ক্যান্সার প্রতিরোধেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম। প্রায় তিন বছর ধরে চালানো গবেষণার বরাতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছোলায়মান আলী ফকির ও তাঁর গবেষক দল এসব তথ্য জানান। রঙিন চালের চাষ পদ্ধতি, ফলন ও পুষ্টিগুণের ওপর গবেষণা করে তারা সাফল্য পেয়েছেন। লালচে ও কালো রঙের চালে থাকা পুষ্টিগুলোর মাত্রা বের করতে সক্ষম হয়েছেন বলে দাবি ওই গবেষক...
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের ড. আব্দুল্লাহ ফারক সম্মেলন কক্ষে শুক্রবার ‘২০২৫ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইয়ে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান পর্যালোচনা’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে শিক্ষা অধিকার সংসদ। সেমিনারে বক্তারা অভিযোগ করেন, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইয়ে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান যথাযথভাবে উপস্থাপন করা হয়নি এবং এনসিটিবিতে বই পরিমার্জনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা অধিকার সংসদের আহ্বায়ক ও নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির প্রফেসরিয়াল ফেলো অধ্যাপক ড. নিয়াজ আসাদুল্লাহ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিক্ষা অধিকার সংসদের সদস্য সচিব ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মো. শাহনেওয়াজ খান চন্দন। বক্তারা পাঠ্যবইয়ের বিভিন্ন অসঙ্গতির বিষয়ে আলোচনা করেন। তারা বলেন, ২০২৫ সালের পাঠ্যবইয়ে জুলাই অভ্যুত্থান নগণ্যভাবে উল্লেখ করা হলেও বিষয়টি সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয়নি। বক্তাদের অভিযোগ, পাঠ্যবইয়ে ইতিহাস বিকৃতি, ছবির মানহীনতা, এবং বিষয়বস্তুর অসঙ্গতি লক্ষ্য করা গেছে। শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের মা সানজিদা...
‘হামার তিস্তার চরে এবার আলু নয়, সোনা ফলছে। সেই সোনা দেখে খুশি হইছুনু। কিন্তু এখন আলু হামাগোর গলার কাঁটা হইছে। লোনের চাপে পানির দামে বিক্রি করবার নাগছি। তাতে অর্ধেক লোকসান হইবে। এখন কী করমো, কী খামো সে চিন্তায় আইতোত (রাতে) নিন্দ (ঘুম) আইসে না।’ আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিলেন উলিপুরের অর্জুনেরচরের কৃষক নজরুল ইসলাম। তিন একর জমিতে আলু আবাদ করতে ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ৮০ হাজার টাকা ঋণ নিতে হয়েছে তাঁকে। প্রতি একরে খরচ হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলেও দাম পাচ্ছেন না। উৎপাদন খরচ নিয়ে প্রতি কেজি আলুর দাম ২০ টাকা পড়লেও, বিক্রি করতে হচ্ছে ১২-১৩ টাকায়। ক্ষোভ প্রকাশ করে গোড়াই পিয়ার চরের আলুচাষি চাঁদ মিয়া বলেন, ‘আড়তদারের কাছে অগ্রিম টাকা নিয়া চড়া দামে সার-বীজ ও জমি ভাড়া...
শীতকালীন বিভিন্ন সবজির দাম কৃষক পর্যায়ে প্রান্তদেশ স্পর্শ করিয়াছে বলিয়া মঙ্গলবার সমকাল যেই সংবাদ দিয়াছে, উহা প্রধানত দুইটি কারণে উদ্বেগজনক বলিয়া আমরা মনে করি। ইহাতে শুধু উৎপাদকগণই চরম ক্ষতির শিকার হইতেছেন না; জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তাও হুমকির মুখোমুখি। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে নাটোরে উৎপাদক পর্যায়ে প্রতি কেজি মুলার দর ২ বা ৩ টাকা, প্রতিটি লাউ ৫-৭ টাকা, শসার কেজি ৮-১০ টাকা, লালশাকের আঁটি ১ টাকা, ধনিয়া পাতার কেজি ৫-১০ টাকা, যেইগুলির অধিকাংশের উৎপাদন ব্যয় উক্ত বিক্রয় দর অপেক্ষা অধিক। উদাহরণস্বরূপ, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, প্রতিটি লাউ উৎপাদনে ব্যয় হয় অন্তত ১৩ টাকা ২০ পয়সা। ফলে অধিক মুনাফার আশায় শীতের সবজি চাষ করিয়া উৎপাদকদের এখন পুঁজিই বিপন্ন হইবার পরিস্থিতি মোকাবিলা করিতে হইতেছে। উৎপাদকগণের এহেন দুর্দশা শুধু নাটোরেই নহে; বগুড়া, ঠাকুরগাঁওসহ সবজি উৎপাদনের...
গত বছর আগস্টে আকস্মিক অতিবৃষ্টি ও ভারতের পাহাড়ি ঢলে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়। নষ্ট হয়ে যায় লাখ লাখ হেক্টর আবাদি জমির ফসল, গবাদিপশু ও মাছের ঘের। সহায় সম্বল হারিয়ে পথে বসেন হাজার হাজার কৃষক ও খামারি। নিজেদের উদ্ভাবিত ধানের জাত নিয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দিশাহারা ও বাস্তুহারা এসব কৃষকদের সহায়তায় এগিয়ে আসে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)। বিনাধান-২০ চাষে বাম্পার ফলন পেয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা। বিনার উদ্ভাবিত ধানের এ জাতটির ব্যাপক ফলন বানভাসি কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। দেরিতে রোপণের পরও হেক্টর প্রতি ফলন গড়ে ৫ টন করে পাওয়া গেছে। যা কৃষকদের মধ্যে সঞ্চার করেছে আশার আলো । বিনা উদ্ভাবিত আমন ধানের অন্য জাতগুলোর মধ্যে রয়েছে, বিনাধান-৭, বিনাধান-১১, বিনাধান-১৬, বিনাধান-১৭ ও...
ফসলের ভরপুর ফলনে চাষির ঘরে থাকার কথা আনন্দের দোল। সাদাচোখে এটাই সত্য! তবে এখন হিসাব বদলে গেছে। বাম্পার উৎপাদনেও কখনও-সখনও কৃষকের হৃদয় পোড়ে। এই যেমন বগুড়ার শিবগঞ্জের মোকামতলার কৃষক মাসুদুর রহমানের দুই চোখে বেদনার জল। তাঁর দুই একর জমিতে জম্পেশ ফলেছে ফুলকপি। শরীরের লবণপানি ঝরিয়ে উৎপাদিত ফুলকপি স্থানীয় মহাস্থান হাটে তোলার পর দাম শুনে মনে যে চোট পেলেন, তা সারার কোনো দাওয়াই নেই! শুধু ভেজা চোখে বললেন, ‘বাড়িত গরু-ছাগল থাকলে তাদেরই খাওয়াতাম। উৎপাদন খরচ বাদ দিলাম, মাঠ থেকে হাট পর্যন্ত ফুলকপি আনতে কেজিতে যে খরচ হচ্চে, সেই ট্যাকাও পানো না।’ ঠাকুরগাঁওয়ের বর্গাচাষি আসাদুল হক ধারদেনা করে এ বছর ছয় একর জমিতে আগাম আলুর আবাদ করেছিলেন। নিজের পরিশ্রম বাদেও খরচ হয়েছিল ছয় লাখ টাকা। আলু বেচতে গিয়ে রীতিমতো ভ্যাবাচ্যাকা! উৎপাদন খরচের...
কথায় আছে না, মানি টকস! দুর্বার রাজশাহীর খেলোয়াড়রা সেটারই যেন প্রমাণ দিলেন চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। পারিশ্রমিক পাননি বলে অনুশীলন বয়কট করেছিলেন। ম্যাচ না খেলার হুমকি দিয়েছিলেন। পরিস্থিতি সামলে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা নগদ অর্থ পরিশোধ করে তাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। মাঠে এবার খেলোয়াড়রা ফ্র্যাঞ্চাইজির মুখে হাসি ফোটালেন। টাকা পেয়েই ‘দুর্বার’ দুর্বার রাজশাহী। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি, ২০২৫) সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৬৫ রানে হারিয়ে জয়ে ফিরেছে রাজশাহী। ব্যাটিং-বোলি-ফিল্ডিং তিন বিভাগে সমানতালে জ্বলে উঠে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে সিলেটকে। আগের দিন দলের ম্যানেজার মেহরাহ হোসেন অপি বলেছিলেন, ‘‘বিপিএলই তাদের (খেলোয়াড়দের) আয়ের বড় উৎস। ক্রিকেটারদের আয়ের উৎস যদি ভালো থাকে সেটার প্রতিফলন মাঠেও ঘটবে আমার বিশ্বাস।’’ বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেটের প্রথম সেঞ্চুরিয়ানের কথার প্রতিফলন ২২ গজে দেখা মিলল। রাতে পারিশ্রমিক পেয়ে আজ দুপুরেই জ্বলে উঠেছেন...
দিনাজপুরে এবার পূরণ হয়নি সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ জেলায় ভালো ফলন হয়েছে বলে আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। চলতি রবি মৌসুমে আলুর আবাদ বৃদ্ধি পাওয়ায় লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারেনি সরিষা চাষ। জেলায় ২৭ হাজার হেক্টর জমি লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও সরিষা চাষ হয়েছে ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে। গত বছর আলুর দাম বেশি পাওয়ায় এমনটা হয়েছে বলে ধারণা করছেন অনেকে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর দিনাজপুরে লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২৭ হাজার হেক্টর জমি। চাষ হয়েছে ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে। গত বছর ২৭ হাজার ৩৬৯ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছিলো। জেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে এখন হলুদের ঢেউ খাচ্ছ। আলু আবাদের পরেও সরিষার এই ফলনে খুশি কৃষক। বর্তমানে কৃষকেরা সরিষার...
মুন্সীগঞ্জে এবার ব্যাপক পরিমাণে শীতকালীন সবজির চাষ হয়েছে। ফলন হয়েছে ভালো। বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় এর দামও চড়া। ফলে এসব সবজি চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন কৃষক। এতে তাদের মুখে ফুটেছে স্বস্তির হাসি। জানা গেছে, শীতকালীন সবজির মধ্যে এ অঞ্চলে লাউ, মিষ্টি কুমড়া, বাঁধাকপি, ফুলকপি, বেগুন, টমেটো, শিম, মুলা, করলা, লালশাক ও বেগুন বেশি চাষ হয়েছে। পাশাপাশি কিছু জমিতে ধনেপাতা, গাজরসহ অন্যান্য সবজি আবাদ হয়েছে। এসব সবজি বেশি উৎপাদন হচ্ছে মুন্সীগঞ্জ সদর, টঙ্গিবাড়ী ও সিরাজদীখান উপজেলায়। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রামপাল, বজ্রযোগিনী, দক্ষিণ চরমসুরাসহ টঙ্গিবাড়ী উপজেলার ধামারণ ও সিরাজদীখান উপজেলার কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, এসব এলাকায় মিষ্টি কুমড়া, টমেটো, লালশাক, শিম, লাউ, মুলাসহ প্রায় ২০ ধরনের সবজির আবাদ হয়েছে। আবাদ ও পরিচর্যা ছাড়াও কোনো কোনো জমিতে সবজি তোলা শুরু করছেন...
ব্যাংকবহির্ভূত সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের স্বতন্ত্র পরিচালকেরা স্বাধীন ও নিরপেক্ষ মতামত দিচ্ছেন না। অনিয়মের সময়ও তাঁরা চুপ থাকেন। এ জন্য সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বচ্ছভাবে পরিচালনায় ‘প্রকৃত’ বা ‘আসল স্বতন্ত্র পরিচালক’ নিয়োগ দিতে চলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সাবেক ব্যাংকার, অর্থনীতিবিদ, হিসাববিদ ও অর্থনীতিবিষয়ক শিক্ষকদের নিয়ে প্যানেল গঠন করা হচ্ছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও অবশ্য প্যানেলের জন্য নাম প্রস্তাব করতে পারবে। কোনো প্রতিষ্ঠানের স্বতন্ত্র পরিচালকের মেয়াদ শেষ হলে এই প্যানেল থেকে নিয়োগ দিতে হবে।সভার কোনো সিদ্ধান্তে দ্বিমত হলে আমানতকারীদের স্বার্থে এই পরিচালকেরা সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবেন। তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান কোনো ঋণ নিলে এই পরিচালকেরা গ্যারান্টিপত্রে সই করবেন না।এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এর মাধ্যমে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও কঠোর তদারকির মধ্যে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন,...
মৌসুমের অন্তত দুই মাস আগে জয়পুরহাটের মাঠে মাঠে আলু তুলছেন কৃষকরা। অনুকূল আবহাওয়ায় এবার ফলন বেশি হলেও দাম কম হওয়ায় চিন্তিত চাষি। অনেকে আলু তোলা বন্ধ রেখেছেন। কারণ, লাভ দূরের কথা, খরচের টাকাই উঠছে না। লোকসানে পড়ে কৃষকের চোখেমুখে কষ্ট। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে আগাম জাতের আলুর চাষ কমে যাবে বলে মনে করছেন তারা। চাষিরা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার আলু চাষে অনেক বেশি খরচ পড়েছে। চাষাবাদ, সার, বীজ, কীটনাশক, সেচ, শ্রমসহ সব খরচ বাদ দিয়ে লোকসান গুনতে হচ্ছে। গত সপ্তাহে বিভিন্ন জাতের আলু প্রতি মণ (৪০ কেজি) ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। সেই আলু গত শনিবার বিক্রি হয়েছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়। আগামী সপ্তাহে যেসব কৃষক আলু তোলার পরিকল্পনা করছেন, তারাও লোকসানে পড়ার ভয়ে আছেন। সরেজমিন...