কুমড়ার প্রচুর ফলনেও চাষির আশাভঙ্গ, গোখাদ্য হিসেবে বিক্রি
Published: 6th, February 2025 GMT
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাঁদপুরে অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে, পাইকারি ক্রেতা না পাওয়ায় পাকা কুমড়োর পচন ঠেকাতে গোখাদ্য হিসেবেই বিক্রি করছেন চাষিরা। প্রচুর ফলন হলেও হতাশায় উৎপাদন খরচ তোলার দুশ্চিন্তায় এখন তারা।
চাষিরা বলছেন, যদি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সরাসরি মাঠ থেকে কুমড়ো কেনার ব্যবস্থা করে, তাহলে হয়তো কিছুটা ‘আলোর মুখ’ দেখা যেতো।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি সরেজমিন গেলে সদরের দেবপুর, হাজীগঞ্জের বাকিলাসহ আশপাশের এলাকার চাষিরা তাদের হতাশা তুলে ধরেন।
দেবপুরের চাষি আবুল কাশেম বলেন, ‘‘এবার আমরা মাঠের পর মাঠে মিষ্টি কুমড়ো চাষাবাদ করেছি। যেখানে গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণ জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে বীজ কেনা, জমি প্রস্তুত, ইজারাকৃত জমির মূল্য, পরিবহন খরচ মিলিয়ে ভালো দামে বিক্রি না থাকায় পোষাতে পারছি না। পাইকাররা এতো কুমড়ো না কেনায়, মাঠের মধ্যেই পচে যাচ্ছে। তাই বাধ্য হয়েই খরচ পোষাতে এখন নামমাত্র দামে গোখাদ্য হিসেবে বিক্রির চেষ্টা করছি।’’
চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এবার চাঁদপুর সদরে ৯০ হেক্টর, মতলব উত্তরে ১৭৫ হেক্টর, দক্ষিণে ৪০ হেক্টর, শাহরাস্তিতে ৩০ হেক্টর, কচুয়ায় ৪৮ হেক্টর, ফরিদগঞ্জে ৯৫ হেক্টর ও হাইমচরে ৩৯ হেক্টরসহ জেলায় মোট ১ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়েছে। সবখানেই বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে জেলায় এবার মোট কুমড়ার উৎপাদন হয়েছে ২৪ হাজার ৯৭১ টন।
স্তূপাকারে রাখা কুমড়ো দেখতে গেলে দেবপুরের স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক লিটন সরকার বলেন, ‘‘এবার মাঠ থেকে কুমড়ো উঠিয়ে তা বিক্রির জন্য দেবপুর, কৌয়ারপুল, বাকিলাসহ বেশ কিছু স্থানে স্তূপ করে সাজিয়ে রেখেছেন চাষিরা। হাটবাজারে ৩০-৪০ এবং পাইকাররা ১০-১৫ টাকা দামে কুমড়ো কিনছেন। যদিও অন্যান্য বছর দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মিষ্টি কুমড়া কিনতে পাইকাররা সরাসরি ক্ষেতে আসতেন। পরে ট্রাক ও পিকআপ ভর্তি করে তারা ভালো দাম দিয়ে যেতেন। এবার স্তূপাকারে রেখে দেওয়া কুমড়ো পচে গেলেও পাইকারদের দেখা নেই। তাই কৃষকের এমন নাজেহাল অবস্থা এড়াতে সরাসরি কুমড়ো কিনতে বা পাইকার নিশ্চিত করাসহ আরো সহায়তা নিয়ে প্রশাসন যেন চাষিদের পাশে দাঁড়ায়, এমনটি দাবি করছি।’’
এদিকে, কুমড়ো চাষিদের পাইকার না পাওয়ার এমন হতাশার মাঝে গরুর খামারিরা সুযোগের ‘সৎ ব্যবহার’ করছেন। তারা কম দামে মিষ্টি কুমড়ো কিনে তা গোখাদ্য হিসেবে কাজে লাগাচ্ছেন। এতে করে পুষ্টিসমৃদ্ধ এই কুমড়ো খেয়ে গরু দ্রুত মোটাতাজা হচ্ছে এবং অন্যান্য খরচ কমে গেছে, দাবি খামারির।
হাজীগঞ্জ পৌরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ডের আলীগঞ্জের গরুখামারি মোহন মিয়া বলেন, ‘‘এখন পর্যন্ত ২০০ মণ কুমড়া কিনে গরুকে খাইয়েছি। আরো ১০০-২০০ মণ নেব। দিনে ২০ কেজি করে ৪টি গরুকে ৮০ কেজি করে প্রথমবারের মতো কুমড়ো খাওয়াচ্ছি। এতে করে কিছুদিনের ব্যবধানে গরুর ওজন বেড়ে যাওয়ায় ভালো দামে বিক্রি করছি। আরো ৪টি বিক্রির উপযুক্ত হচ্ছে।’’
অন্যদিকে, পুরো জেলার অধিকাংশ কুমড়োই স্তূপ করে বেচা-বিক্রি হয় হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়নে। তাই দূর-দূরান্ত থেকে বড় বড় ট্রাক এসে এখান থেকেই কুমড়ো ভর্তি করে নেয়। যেহেতু এবার পাইকার কম, তাই পরিবহন খাতে যাতে খরচ কম লাগে, সেদিকে নজর রেখে চাষিদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন বাকিলার ইউপি চেয়ারম্যান মো.
তিনি বলেন, ‘‘যেহেতু সব কুমড়ো বাকিলা বাজার ও এর আশপাশে এনে স্তূপ করে রাখা হচ্ছে; তাই আমি চেষ্টা করব, কুমড়ো পরিবহনে যাতে চাষিদের খরচ কম লাগে।’’
ঢাকা/অমরেশ/এনএইচ/এসবি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশকে ‘ব্যর্থ রাষ্ট্র’ প্রমাণের চেষ্টা করছে কারা?
'আমরা কি তাহলে সুযোগ হাতছাড়া করা জাতি?' প্রশ্নটি এসেছে এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের কাছ থেকে। গত কিছুদিনের ঘটনাপ্রবাহ ও বিগত ৫০-৫৫ বছরের জাতীয় অভিজ্ঞতার আলোকেই হয়তো তাঁর এ হতাশা মেশানো জিজ্ঞাসা।
এই লেখকের সঙ্গে ঘরোয়া আলোচনায় সদ্য অবসরে যাওয়া দেশের জন্য নিবেদিতপ্রাণ এক ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার প্রশ্নবোধক পর্যবেক্ষণ: বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর ‘ষড়যন্ত্রমূলক প্রকল্পটি’ও কি চালু নেই?
শহরে ছোট ছোট অসংখ্য প্রতিবাদ ও দাবিনামার সমাবেশ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড়, ‘আফসোস লীগের’ মাতম, কর্তৃপক্ষের প্রতি নানা হুমকি এবং জনজীবনে হতাশার ফিসফিস আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে।
এই বাস্তবতায় বসবাস করে অনেক প্রশ্নই অসংখ্য মানুষের দৈনন্দিন কথাবার্তায় উঠে আসছে।
এগুলোর সংক্ষিপ্ততম উত্তর হচ্ছে—ইতিহাস পুনরাবৃত্তি করে না। আরও সাদামাটাভাবে বললে, আমাদের জাতীয় জীবনে আশা করি নতুন ঘটনাই ঘটবে।
সে কারণে ২০২৪ সালের বিপ্লবী রাজনৈতিক পরিবর্তন-পরবর্তী রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাও নতুন নতুন ভাবনা, বয়ান, পরিকল্পনা ও কাজের দাবি রাখে।
অন্যথায় এবারের সম্ভাবনা আসলেই মাঠে মারা যেতে পারে।
আরও পড়ুনদ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন চায় ছাত্রদল১৮ ঘণ্টা আগেতবে সুস্থ-সংসারাভিজ্ঞ চিন্তার আলোকে এটাও বলা যায়, অতি সম্প্রতি বাংলাদেশে যা ঘটেছে এবং ঘটছে, তা ঘটারই কথা।
আমরা হয়তো আরেকটু ভিন্ন কিছু করতে এবং ভিন্ন ফলাফল পেতে পারতাম ইতিমধ্যেই।
আচ্ছা বলুন তো, রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের বারোটা বাজলে খুশি হওয়ার অথবা আহাম্মকের মতো কাজ করে জাতীয় ক্ষতিতে অবদান রাখার লোকের কি অভাব আছে?
অতএব নিশ্চিত থাকুন, যে যা করার, তারা তো তা করবেই। যিনি বা যাঁরা কীভাবে দেশের পক্ষে অবদান রাখছেন বা বিপক্ষে চক্রান্ত করছেন এবং কেন করছেন, সেটা বুঝলে তাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার দরকার না–ও হতে পারে।
ফ্যাসিবাদী শাসক হাসিনার পতনের ছয় মাসের মধ্যেই নব্য বোদ্ধাদের ধারণা হয়েছে, বিপ্লবের পর রক্তক্ষয় এবং নৈরাজ্যের দৃষ্টান্তে মানব ইতিহাস ভরে আছে।
সাম্প্রতিক দশকে আরব বসন্তের পরিণতি হিসেবে দেশে দেশে গৃহযুদ্ধ দেখা গেছে।
আমাদের দেশেও সে রকম কিছু ঘটতে পারে বলে তাদের একটা অংশের মধ্যে ধারণা জন্মেছে বলে মনে হচ্ছে।
আর এই সরকারের সাফল্যের দৃষ্টান্ত থাকলেও সেগুলো আমাদের চোখে তা কমই পড়ছে।
আরও পড়ুনতিন জোটের রূপরেখা: ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা১৯ ঘণ্টা আগেআধুনিক বিশ্বে চীন বিপ্লব, ইরানের ইসলামি বিপ্লব, দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ শাসনের অবসান এবং যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক বিপ্লব মোটামুটিভাবে ঘোষিত লক্ষ্যের দিকে গেছে। ফরাসি বিপ্লব সফল হতে সময় লেগেছে অনেক।
২০২৪-এর রাজনৈতিক পরিবর্তন যে একটি স্বতঃস্ফূর্ত কিন্তু অগোছালো বিপ্লব, তা স্বীকার করতে অনেকেই ভয় পান। সেই ভয়টা অনিশ্চয়তা থেকে এসেছে। সেই ভয়টা নৈরাজ্যকে শান্তিতে রূপান্তরের চ্যালেঞ্জকে আকাশছোঁয়া স্তরে নিয়ে যাচ্ছে।
এখন হাসিনার পতন ঘটানোর কৃতিত্ব অথবা বিপ্লব বর্গা দেওয়া নিয়ে বাহাস দেখা যায় রাজনীতির বাজারে। ‘ডিম আগে নাকি মুরগি আগে’র মতো সংস্কার আগে নাকি নির্বাচন আগে—সে তর্কে জড়িয়ে জাতির বন্ধুরা পর্যন্ত বড়ই অস্থির হয়ে উঠেছেন।
সংস্কার ও নির্বাচন—উভয়ই যে হতে হবে এবং রাষ্ট্রের দায়িত্ব যার যার জায়গা থেকে প্রত্যেকের—এই তর্কাতীত বিষয় কে কাকে বোঝাবে?
অর্থনীতি ঠিকঠাক করা, জনগণের ক্ষমতা ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা সুসংহতকরণ, পরবর্তী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও সংস্কৃতি নির্ধারণ, সংস্কারের রাজনৈতিক রূপরেখা ও প্রতিশ্রুতি এবং জনকল্যাণের এজেন্ডার চেয়ে বরং সংঘাতময় শাসনকালে প্রচলিত বাগ্বিতণ্ডাই যেন জাতীয় জীবনের মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে ‘রিসেট’ করার চেষ্টাকে কঠিন পাপের কাজ মনে করতেই পারে ফ্যাসিবাদের দোসরেরা। কারণ, ২০২৪-এর ঐতিহাসিক সুযোগে একটি গণতান্ত্রিক ও উন্নত বাংলাদেশের সূচনা হলে তাঁদের কি মুখ থাকে? আশার কথা, তাঁদের গায়ে জ্বালা ধরাটাই বলে দেয়, এবারের বিপ্লবের সুযোগ মোটেই হাতছাড়া হয়নি। তবে শুভশক্তির দায়িত্ব জন–আকাঙ্ক্ষা এবং করণীয় গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাজে জারি রাখা।কোথায় আজ জাতির সম্ভাবনা আর ভবিষ্যৎ–মুখী আলোচনা? দূরদর্শী নেতৃত্ব, রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সুষ্ঠু দিকনির্দেশনা থাকলে সংস্কারসহ সর্বজনীন ভোটের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক উত্তরণ খুব কঠিন কাজ নয়।
বাস্তবে তো ১৯৭১-এর স্বাধীনতা এবং ১৯৯০-এর গণ-অভ্যুত্থানের পরও একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ চূড়ান্ত বিশ্লেষণে হাতছাড়াই করেছিলাম আমরা।
বাংলাদেশকে উন্নয়নের ‘টেস্ট কেস’ গণ্য করা কিংবা ‘ওয়ান ইলেভেন’ নামক বিজাতীয় প্রকল্পও আমরা দেখেছি। কিন্তু তাতেও তো অতি উৎসাহী ‘জাতি ভাইরা’ সক্রিয় ছিলেন।
বিভেদের রাজনীতিকে দায়ী করে বা ওই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বিদেশি প্রভুত্ব মেনে নেওয়া অগণতান্ত্রিক শাসনের পক্ষে সাফাইয়ের কমতি দেখিনি।
২০০১-এর সুষ্ঠু এবং তুলনামূলকভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরও দেখেছি ব্যর্থ রাষ্ট্রের আলোচনায় কিছু লোকের খুব উৎসাহ।
তাত্ত্বিকভাবে বললে ব্যর্থ রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে বিদ্রোহ প্রবণতা, রাজনৈতিক দুর্নীতি, অকার্যকর আমলাতন্ত্র ও বিচারব্যবস্থা, সামর্থ্যহীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইত্যাদি।
এই লক্ষণগুলো কি তখনই বাড়েনি যখন শাসকগোষ্ঠী দেশের মানুষের অধিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে?
এখন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে মরিয়া লোকেরা বলতে চান ‘আগেই তো ভালো ছিলাম’। অন্য সবাই না হোক, এই ‘আগেই তো ভালো ছিলাম’ গোষ্ঠী হাসিনার আমলে যে অনেক সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল, তা বুঝতে আমাদের কষ্ট হয় না।
তাঁদের কথাবার্তা শুনে মনে হয়, আহ! কত ভালো ছিল ভোট ডাকাতি, জাতীয় সম্পদ লুণ্ঠন আর দেশ বিক্রির যুগ! না হলে পুরো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে আসত কী করে?
তাই রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে ‘রিসেট’ করার চেষ্টাকে কঠিন পাপের কাজ মনে করতেই পারে ফ্যাসিবাদের দোসরেরা।
কারণ, ২০২৪-এর ঐতিহাসিক সুযোগে একটি গণতান্ত্রিক ও উন্নত বাংলাদেশের সূচনা হলে তাঁদের কি মুখ থাকে?
আশার কথা, তাঁদের গায়ে জ্বালা ধরাটাই বলে দেয়, এবারের বিপ্লবের সুযোগ মোটেই হাতছাড়া হয়নি। তবে শুভশক্তির দায়িত্ব জন–আকাঙ্ক্ষা এবং করণীয় গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাজে জারি রাখা।
যেমন আমরা প্রশ্ন করি, অফিস-আদালতের ঘুষের রাজত্বেই কি আমাদের বসবাস করতে হবে? দূষিত ও ন্যায়বিচারহীন পরিবেশেই কি আমাদের থাকতে হবে?
নিম্নমানের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিয়েই কি আমাদের সন্তুষ্ট থাকতে হবে এই হিংসা-বিদ্বেষের সমাজে? প্রবল অর্থনৈতিক ও শ্রেণিবৈষম্যের সমাজই কি আমাদের চিরন্তন নিয়তি হয়ে থাকবে?
এসবের সমাধান চাওয়া ও পাওয়া তরুণ ও অনাগত ভবিষ্যৎ প্রজন্মেরও অধিকার। দেশের সব অংশীজন যদি আগামী দিনে সত্যিকারের পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তাদের কে ঠেকাতে পারবে?
খাজা মাঈন উদ্দিন সাংবাদিক।