ব্যয় বেশি, তুলার দাম বাড়ানো দাবি চাষিদের
Published: 22nd, March 2025 GMT
দেশের অন্যতম চাহিদা নির্ভর অর্থকরী ফসল তুলা। কুষ্টিয়া জেলায় উৎপাদিত তুলার আঁশের গুণগত মান ভালো হওয়ায় এখানকার তুলার চাহিদাও থাকে বেশি। এবছর তুলার ফলন সন্তোষজনক হলেও উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় দাম বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে চাষিরা।
চলতি মৌসুমে কুষ্টিয়া জেলায় ২ হাজার ৩৭৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের তুলার চাষ হয়েছে। যার সিংহভাগই দৌলতপুর উপজেলায় চাষ হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে অতিবর্ষণে ক্ষতির সম্মুক্ষীন হন চাষিরা। তারা জানান, প্রতিবিঘা জমিতে তুলা চাষে তাদের খরচ হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। ফলন হয়েছে বিঘাপ্রতি ৮ থেকে ১০ মণ। চার হাজার টাকা তুলার মণ হওয়ায় লাভের পরিমাণ কম হচ্চে।
দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের ধর্মদহ গ্রামের তুলাচাষি রুস্তম আলী বলেন, “এ বছর তুলা চাষে চাষিদের খরচ বেশি হওয়ায় বর্তমান বাজার দরে লাভের অংক কম হবে।” একই কথা জানিয়েছেন প্রাগপুর ইউনিয়নের বিলগাতুয়া গ্রামের চাষি ইসমাইল হোসেন।
আরো পড়ুন:
মিষ্টি ভুট্টায় সফলতার স্বপ্ন দেখছেন স্কুল শিক্ষক মনি
তামাকের রাজ্যে পরিণত হচ্ছে দীঘিনালা
কুষ্টিয়া অঞ্চলের তুলার আঁশ ভালো হওয়ায় এর চাহিদাও বেশি। আন্তর্জাতিক বাজারদর সমন্বয় করে মিল মালিক ও ব্যবসায়ীরা তুলার দাম নির্ধারণ করে এ অঞ্চলের তুলা ক্রয় করা হয় বলে জানিয়েছেন আল মদিনা ইন্ড্রাষ্ট্রিজ লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী গোলাম ফরহাদ।
কুষ্টিয়া অঞ্চলের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ আল মামুন বলেন, “তুলা চাষিদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বীজ নির্ধারন, বীজতলা রোগমুক্ত রাখতে চাষিদের কারিগরি পরামর্শসহ সার্বিক সহায়তা দিয়ে থাকে তুলা উন্নয়ন বিভাগ।”
তুলার ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত হলে চাষিরা তুলাচাষে আগ্রহী হবে এবং চাহিদা নির্ভর তুলা চাষ বৃদ্ধি পাবে এমনটি মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফসল হওয় য়
এছাড়াও পড়ুন:
জি কে শামীমের দুর্নীতি মামলার রায় ২৭ মার্চ
অবৈধ ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় আলোচিত ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের রায়ের তারিখ আগামী ২৭ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলমের আদালত গত ২০ মার্চ দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের এ তারিখ ঠিক করেন।
রবিবার (২৩ মার্চ) সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী বেলাল হোসেন এ তথ্য জানান।
এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য ছিলো। মামলায় জি কে শামীমের মা পলাতক ছিলেন। পরে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। জামিন নেন। এরপর জি কে শামীমের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে পুনরায় জেরা করার আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন। মামলাটি রায় থেকে উত্তোলন করে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য করা হয়। এরপর তদন্ত কর্মকর্তাকে, আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি, সাফাই সাক্ষ্য এবং যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আবার রায়ের তারিখ ধার্য করা হলো।
২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় -১ এর উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলার সময় ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিকেতনের বাসা থেকে শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই ভবন থেকে নগদ এক কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার ১০টি এফডিআর, ৩২টি ব্যাংক হিসাবের চেক বই, আটটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানানো হয় অভিযান শেষে।
গ্রেপ্তারের সময় র্যাব সদরদপ্তর, সচিবালয়ে ও কয়েকটি হাসপাতালের নতুন ভবনসহ অন্তত ২২টি নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদারি কাজ শামীমের প্রতিষ্ঠান জিকে বিল্ডার্সের হাতে ছিল। এসব প্রকল্পের ব্যয় বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৬ হাজার কোটি টাকা। পরে সেগুলোর কার্যাদেশ বাতিল হয়। জব্দ করা হয় তার ১৯৪টি ব্যাংক হিসাব।
অভিযনের পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে জি কে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করেন র্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান।
২০২৩ সালের ১৭ জুলাই মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় জি কে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। বাকি সাত আসামিকে (জিকে শামীমের দেহরক্ষী) ৪ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জি কে শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম।
ঢাকা/মামুন/ইভা