বানভাসি কৃষকদের আশার আলো বিনাধান-২০
Published: 21st, January 2025 GMT
গত বছর আগস্টে আকস্মিক অতিবৃষ্টি ও ভারতের পাহাড়ি ঢলে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়। নষ্ট হয়ে যায় লাখ লাখ হেক্টর আবাদি জমির ফসল, গবাদিপশু ও মাছের ঘের। সহায় সম্বল হারিয়ে পথে বসেন হাজার হাজার কৃষক ও খামারি।
নিজেদের উদ্ভাবিত ধানের জাত নিয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দিশাহারা ও বাস্তুহারা এসব কৃষকদের সহায়তায় এগিয়ে আসে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)। বিনাধান-২০ চাষে বাম্পার ফলন পেয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।
বিনার উদ্ভাবিত ধানের এ জাতটির ব্যাপক ফলন বানভাসি কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। দেরিতে রোপণের পরও হেক্টর প্রতি ফলন গড়ে ৫ টন করে পাওয়া গেছে। যা কৃষকদের মধ্যে সঞ্চার করেছে আশার আলো ।
বিনা উদ্ভাবিত আমন ধানের অন্য জাতগুলোর মধ্যে রয়েছে, বিনাধান-৭, বিনাধান-১১, বিনাধান-১৬, বিনাধান-১৭ ও বিনাধান-২২। বন্যার পর এসব জাতের ধানবীজ কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয় ।
বানভাসি কৃষকদের মাঝে বিনার উদ্ভাবিত এসব ধানের জাত বিতরণ ও প্রাপ্ত ফলন নিয়ে কথা বলেন বিনার বিজ্ঞানীরা।
বিনার মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড.
তিনি বলেন, “বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বিনাধান-২০ এর উচ্চ ফলন ও বাজারমূল্য পেয়ে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছেন। এ ধান তাদের জন্য শুধু একটি ফসল নয়, বরং দুর্যোগের পরে একটি নতুন আশার আলো হয়ে ফিরে এসেছে।”
বিনাধান-২০ নিয়ে বিনার কুমিল্লা উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হাসানুজ্জামান রনি বলেন, “কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় দেখা গেছে, বিনাধান-২০ রোপণ করার ১২০-১৩০ দিনের মধ্যে ধান কর্তন করা সম্ভব হয়েছে। বিঘাপ্রতি ১৮-২০ মণ ধান উৎপাদন হয়েছে, যা অন্যান্য আমন ধানের তুলনায় ২০-৫০ শতাংশ বেশি। দেরিতে রোপণ করায় অনেক উফশী জাতের ধানে ফুল আসা সম্পন্ন হয়নি এবং চিটা বেশি হয়েছে। তবে বিনাধান-২০ এর ছড়ায় শতকরা ৮০ ভাগ দানা পুষ্ট হওয়ায় কৃষকেরা আশানুরূপ ফলন পেয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “বিনাধান-২০ একটি জিংক ও আয়রন সমৃদ্ধ ধান। এর চালের রং লালচে, যা পুষ্টিগুণে ভরপুর। চালের অনন্য রং ও পুষ্টিমান থাকার কারণে বাজারে এর চাহিদা অনেক বেশি।”
ঢাকা/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ন ধ ন ২০ ক ষকদ র ম
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’