Samakal:
2025-01-31@12:10:29 GMT

মিষ্টিকুমড়ার ভালো ফলনেও হতাশা

Published: 28th, January 2025 GMT

মিষ্টিকুমড়ার ভালো ফলনেও হতাশা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলায় কয়েক বছর ধরে মিষ্টিকুমড়া ফলিয়ে লাভবান হচ্ছিলেন কৃষক। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হয়েছে ভালো। বাজারে শীতকালীন সবজির প্রাচুর্য থাকায় লোকসানের মুখে পড়েছেন মিষ্টিকুমড়া চাষিরা। বিক্রি করতে না পারায় অনেকে খেতেই ফেলে রাখছেন ফসল। 
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে ১ হাজার ৬শ হেক্টর জমিতে। গত বছরের থেকে এবার ৭শ হেক্টর বেশি জমিতে মিষ্টিকুমড়ার আবাদ করেছেন কৃষকরা। 
সরেজমিন দেখা যায়, ভোলাহাটের তালপল্লি থেকে ফলিমারি রাস্তার দুই পাশে মিষ্টিকুমড়া স্তূপ করে রেখেছেন চাষিরা। আগে জমি থেকে বিক্রি হয়ে গেলেও এখন আর বিক্রি হচ্ছে না। অনেককে রাস্তার পাশে অস্থায়ী বাজার করে মিষ্টিকুমড়া বিক্রি করতে দেখা গেছে। কয়েকজন কৃষক জানালেন, মৌসুমের শুরুতে মিষ্টিকুমড়া ১২-১৪শ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে ৪-৫শ টাকা মণ দরেও বিক্রি করতে বেগ পেতে হচ্ছে চাষিকে। 
মিষ্টিকুমড়া চাষি মো.

শরিফুল ইসলামের ভাষ্য, তিনি গত বছর এক বিঘা জমির মিষ্টিকুমড়া বিক্রি করে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা লাভ 
করেছিলেন। এবার এক বিঘা জমিতে প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ করে মিষ্টিকুমড়া চাষ করেছেন। সময়মতো বীজ না পাওয়ার কারণে আবাদ 
করতে দেরি হয়েছে। দেরিতে ফলন পাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন তিনি। বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজি বাজারে আসার কারণে মিষ্টিকুমড়ার দাম পড়ে গেছে। 
৪৫ বিঘা জমিতে মিষ্টিকুমড়া চাষ করেছিলেন জানিয়ে আব্দুস সামাদ নামে এক চাষি বলেন, মৌসুমের শুরুতে ১৪শ টাকা মণ দরে মিষ্টিকুমড়া বিক্রি করেছেন। এখন ৫শ টাকা মণ দরেও বিক্রি করতে পারছেন না। 
আরেক কৃষক মো. হুসেন আলী বলেন, তিনি এবার ৫৫ বিঘা জমিতে মিষ্টিকুমড়া চাষ করেছেন। প্রথম দিকে জমিতেই পাইকাররা ১ হাজার টাকা মণ দরে কিনে নিয়েছেন। এখন কেউ কিনতে আসছেন না। জমিতে বোরো ধান আবাদ করতে শ্রমিক দিয়ে খেত পরিষ্কার করেছেন। এখন রাস্তার পাশে মিষ্টিকুমড়া পড়ে আছে, পাইকার নেই। 
কয়েকজন সবজি পাইকারের ভাষ্য, এলাকা থেকে মিষ্টিকুমড়া কিনে তারা ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করেন। টাকা খরচ করে ঢাকায় নিয়েও বিক্রি করতে পারছেন না। শীতের সবজির দাম কমে যাওয়ায় বর্তমানে তারা কুমড়া আর কিনছেন না। 
সবজির পাইকার মো. মাসুদ বলেন, তিনি আগে ১৫শ টাকা মণ দরে মিষ্টিকুমড়া কিনেছেন। এখন কৃষকের কাছ থেকে ৪০০ টাকা মণ কিনতে পারলেও বাজারে চাহিদা না থাকায় কেনা বন্ধ রেখেছেন। বাম্পার ফলনের কারণে ফুলকপি চাষিদের মতোই লোকসানে মিষ্টিকুমড়া চাষিরা। 
ভোলাহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সুলতান আলী বলেন, বাজারে জোগান বেশি হওয়াতে স্বাভাবিকভাবে সব ধরনের শীতকালীন সবজির দাম কমে গেছে। ভোলাহাটে মিষ্টিকুমড়ার উৎপাদন ভালো হওয়ায় দাম কমেছে। পরিপক্ব মিষ্টিকুমড়া আগামী ছয় মাস পর্যন্ত ভালো থাকবে। এটি সংরক্ষণ করে রেখে কয়েক মাস পরে বিক্রি করলে কৃষক ভালো দাম পাবেন। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সবজ কর ছ ন সবজ র ন সবজ

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই

দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’

এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ