Samakal:
2025-04-02@19:21:28 GMT

মিষ্টিকুমড়ার ভালো ফলনেও হতাশা

Published: 28th, January 2025 GMT

মিষ্টিকুমড়ার ভালো ফলনেও হতাশা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলায় কয়েক বছর ধরে মিষ্টিকুমড়া ফলিয়ে লাভবান হচ্ছিলেন কৃষক। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হয়েছে ভালো। বাজারে শীতকালীন সবজির প্রাচুর্য থাকায় লোকসানের মুখে পড়েছেন মিষ্টিকুমড়া চাষিরা। বিক্রি করতে না পারায় অনেকে খেতেই ফেলে রাখছেন ফসল। 
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে ১ হাজার ৬শ হেক্টর জমিতে। গত বছরের থেকে এবার ৭শ হেক্টর বেশি জমিতে মিষ্টিকুমড়ার আবাদ করেছেন কৃষকরা। 
সরেজমিন দেখা যায়, ভোলাহাটের তালপল্লি থেকে ফলিমারি রাস্তার দুই পাশে মিষ্টিকুমড়া স্তূপ করে রেখেছেন চাষিরা। আগে জমি থেকে বিক্রি হয়ে গেলেও এখন আর বিক্রি হচ্ছে না। অনেককে রাস্তার পাশে অস্থায়ী বাজার করে মিষ্টিকুমড়া বিক্রি করতে দেখা গেছে। কয়েকজন কৃষক জানালেন, মৌসুমের শুরুতে মিষ্টিকুমড়া ১২-১৪শ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে ৪-৫শ টাকা মণ দরেও বিক্রি করতে বেগ পেতে হচ্ছে চাষিকে। 
মিষ্টিকুমড়া চাষি মো.

শরিফুল ইসলামের ভাষ্য, তিনি গত বছর এক বিঘা জমির মিষ্টিকুমড়া বিক্রি করে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা লাভ 
করেছিলেন। এবার এক বিঘা জমিতে প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ করে মিষ্টিকুমড়া চাষ করেছেন। সময়মতো বীজ না পাওয়ার কারণে আবাদ 
করতে দেরি হয়েছে। দেরিতে ফলন পাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন তিনি। বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজি বাজারে আসার কারণে মিষ্টিকুমড়ার দাম পড়ে গেছে। 
৪৫ বিঘা জমিতে মিষ্টিকুমড়া চাষ করেছিলেন জানিয়ে আব্দুস সামাদ নামে এক চাষি বলেন, মৌসুমের শুরুতে ১৪শ টাকা মণ দরে মিষ্টিকুমড়া বিক্রি করেছেন। এখন ৫শ টাকা মণ দরেও বিক্রি করতে পারছেন না। 
আরেক কৃষক মো. হুসেন আলী বলেন, তিনি এবার ৫৫ বিঘা জমিতে মিষ্টিকুমড়া চাষ করেছেন। প্রথম দিকে জমিতেই পাইকাররা ১ হাজার টাকা মণ দরে কিনে নিয়েছেন। এখন কেউ কিনতে আসছেন না। জমিতে বোরো ধান আবাদ করতে শ্রমিক দিয়ে খেত পরিষ্কার করেছেন। এখন রাস্তার পাশে মিষ্টিকুমড়া পড়ে আছে, পাইকার নেই। 
কয়েকজন সবজি পাইকারের ভাষ্য, এলাকা থেকে মিষ্টিকুমড়া কিনে তারা ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করেন। টাকা খরচ করে ঢাকায় নিয়েও বিক্রি করতে পারছেন না। শীতের সবজির দাম কমে যাওয়ায় বর্তমানে তারা কুমড়া আর কিনছেন না। 
সবজির পাইকার মো. মাসুদ বলেন, তিনি আগে ১৫শ টাকা মণ দরে মিষ্টিকুমড়া কিনেছেন। এখন কৃষকের কাছ থেকে ৪০০ টাকা মণ কিনতে পারলেও বাজারে চাহিদা না থাকায় কেনা বন্ধ রেখেছেন। বাম্পার ফলনের কারণে ফুলকপি চাষিদের মতোই লোকসানে মিষ্টিকুমড়া চাষিরা। 
ভোলাহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সুলতান আলী বলেন, বাজারে জোগান বেশি হওয়াতে স্বাভাবিকভাবে সব ধরনের শীতকালীন সবজির দাম কমে গেছে। ভোলাহাটে মিষ্টিকুমড়ার উৎপাদন ভালো হওয়ায় দাম কমেছে। পরিপক্ব মিষ্টিকুমড়া আগামী ছয় মাস পর্যন্ত ভালো থাকবে। এটি সংরক্ষণ করে রেখে কয়েক মাস পরে বিক্রি করলে কৃষক ভালো দাম পাবেন। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সবজ কর ছ ন সবজ র ন সবজ

এছাড়াও পড়ুন:

ইলন মাস্ক শিগগির দায়িত্ব ছাড়ছেন, বলেছেন ট্রাম্প

ইলন মাস্ক আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের দায়িত্ব থেকে সরে যাচ্ছেন বলে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের জানিয়েছেন।

টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ককে নবগঠিত সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) দায়িত্ব দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটা সরকারের সরাসরি কোনো অংশ নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় ও কর্মীবহর কমানো ছিল এই বিভাগের কাজ।

ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর পর মাস্কের পরামর্শে অনেকগুলো বড় বড় সিদ্ধান্ত নেন। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএইডি বন্ধ করা এবং লাখ লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে অবসরে পাঠানোর মতো সিদ্ধান্ত দেশটিতে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিল।

ইলন মাস্কের সরে যাওয়া নিয়ে প্রেসিডেন্টের ওই বক্তব্য সম্পর্কে অবগত তিনটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইলন মাস্ক এখন তাঁর ব্যবসায়িক কাজে ফিরে যাবেন। পাশাপাশি তিনি সরকারকে সহায়তার একটি ভূমিকা পালন করবেন।

মাস্ক ও তাঁর বিভাগের কার্যক্রম নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন ট্রাম্প। তবে সম্প্রতি দুজনেই এই বিষয়ে একমত হন যে, মাস্কের সরে দাঁড়ানোর সময় হয়েছে।

ডিওজিইর দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে মাস্ক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। কিন্তু চঞ্চল মনোভাবের কারণে ট্রাম্প প্রশাসনের ভেতরের লোকজন এবং প্রশাসনের বাইরের অনেক মিত্র মাস্ককে অপছন্দ করা শুরু করেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের পাল্লা ভারী হতে থাকে। অন্যদিকে বিশ্বের শীর্ষ এই ধনীকে সম্পদের পরিবর্তে রাজনৈতিক দায় হিসেবে দেখতে শুরু করেন ট্রাম্পের দলের রাজনীতিবিদরা।

ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় একজন কর্মকর্তা বলেছেন, দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেও মাস্ক সম্ভবত প্রেসিডেন্টের অনানুষ্ঠানিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন। মাঝে–মধ্যে তাঁকে হয়তো হোয়াইট হাউসে দেখা যাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ