Samakal:
2025-03-03@14:20:36 GMT

মিষ্টিকুমড়ার ভালো ফলনেও হতাশা

Published: 28th, January 2025 GMT

মিষ্টিকুমড়ার ভালো ফলনেও হতাশা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলায় কয়েক বছর ধরে মিষ্টিকুমড়া ফলিয়ে লাভবান হচ্ছিলেন কৃষক। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হয়েছে ভালো। বাজারে শীতকালীন সবজির প্রাচুর্য থাকায় লোকসানের মুখে পড়েছেন মিষ্টিকুমড়া চাষিরা। বিক্রি করতে না পারায় অনেকে খেতেই ফেলে রাখছেন ফসল। 
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে ১ হাজার ৬শ হেক্টর জমিতে। গত বছরের থেকে এবার ৭শ হেক্টর বেশি জমিতে মিষ্টিকুমড়ার আবাদ করেছেন কৃষকরা। 
সরেজমিন দেখা যায়, ভোলাহাটের তালপল্লি থেকে ফলিমারি রাস্তার দুই পাশে মিষ্টিকুমড়া স্তূপ করে রেখেছেন চাষিরা। আগে জমি থেকে বিক্রি হয়ে গেলেও এখন আর বিক্রি হচ্ছে না। অনেককে রাস্তার পাশে অস্থায়ী বাজার করে মিষ্টিকুমড়া বিক্রি করতে দেখা গেছে। কয়েকজন কৃষক জানালেন, মৌসুমের শুরুতে মিষ্টিকুমড়া ১২-১৪শ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে ৪-৫শ টাকা মণ দরেও বিক্রি করতে বেগ পেতে হচ্ছে চাষিকে। 
মিষ্টিকুমড়া চাষি মো.

শরিফুল ইসলামের ভাষ্য, তিনি গত বছর এক বিঘা জমির মিষ্টিকুমড়া বিক্রি করে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা লাভ 
করেছিলেন। এবার এক বিঘা জমিতে প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ করে মিষ্টিকুমড়া চাষ করেছেন। সময়মতো বীজ না পাওয়ার কারণে আবাদ 
করতে দেরি হয়েছে। দেরিতে ফলন পাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন তিনি। বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজি বাজারে আসার কারণে মিষ্টিকুমড়ার দাম পড়ে গেছে। 
৪৫ বিঘা জমিতে মিষ্টিকুমড়া চাষ করেছিলেন জানিয়ে আব্দুস সামাদ নামে এক চাষি বলেন, মৌসুমের শুরুতে ১৪শ টাকা মণ দরে মিষ্টিকুমড়া বিক্রি করেছেন। এখন ৫শ টাকা মণ দরেও বিক্রি করতে পারছেন না। 
আরেক কৃষক মো. হুসেন আলী বলেন, তিনি এবার ৫৫ বিঘা জমিতে মিষ্টিকুমড়া চাষ করেছেন। প্রথম দিকে জমিতেই পাইকাররা ১ হাজার টাকা মণ দরে কিনে নিয়েছেন। এখন কেউ কিনতে আসছেন না। জমিতে বোরো ধান আবাদ করতে শ্রমিক দিয়ে খেত পরিষ্কার করেছেন। এখন রাস্তার পাশে মিষ্টিকুমড়া পড়ে আছে, পাইকার নেই। 
কয়েকজন সবজি পাইকারের ভাষ্য, এলাকা থেকে মিষ্টিকুমড়া কিনে তারা ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করেন। টাকা খরচ করে ঢাকায় নিয়েও বিক্রি করতে পারছেন না। শীতের সবজির দাম কমে যাওয়ায় বর্তমানে তারা কুমড়া আর কিনছেন না। 
সবজির পাইকার মো. মাসুদ বলেন, তিনি আগে ১৫শ টাকা মণ দরে মিষ্টিকুমড়া কিনেছেন। এখন কৃষকের কাছ থেকে ৪০০ টাকা মণ কিনতে পারলেও বাজারে চাহিদা না থাকায় কেনা বন্ধ রেখেছেন। বাম্পার ফলনের কারণে ফুলকপি চাষিদের মতোই লোকসানে মিষ্টিকুমড়া চাষিরা। 
ভোলাহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সুলতান আলী বলেন, বাজারে জোগান বেশি হওয়াতে স্বাভাবিকভাবে সব ধরনের শীতকালীন সবজির দাম কমে গেছে। ভোলাহাটে মিষ্টিকুমড়ার উৎপাদন ভালো হওয়ায় দাম কমেছে। পরিপক্ব মিষ্টিকুমড়া আগামী ছয় মাস পর্যন্ত ভালো থাকবে। এটি সংরক্ষণ করে রেখে কয়েক মাস পরে বিক্রি করলে কৃষক ভালো দাম পাবেন। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সবজ কর ছ ন সবজ র ন সবজ

এছাড়াও পড়ুন:

দেড় ঘণ্টায় শেষ সুলভ মূল্যের ডিম-দুধ, পাননি অনেকেই

নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গাড়ি পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর শুরু হয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি। দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল গাড়িতে ডিম ও দুধ নেই। কেবল ১৬ কেজি গরুর মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য আনা দুধ ও ডিম।

আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়্যারলেস এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন নগরের ওয়্যারলেস ও টেক্সটাইল এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিটি গাড়িতে ২০০ লিটার দুধ, ১ হাজার ৫০০ পিস ডিম ও ৭৫ কেজি করে মাংস ছিল। সে হিসেবে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ২০০ লিটার দুধ ও ১২৫ ডজন ডিম বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুর ১২টার দিকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁরা অনেকে আগে এসেও পণ্য পাননি।

এদিন অন্তত ১০ ক্রেতা দুধ-ডিম না পেয়ে ফেরত গেছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টার দিকে এসে ডিম পাই নাই। বাসা থেকে আসতে আসতেই দেখি সব শেষ। তাঁরা নাকি দেড় হাজার ডিম আনছে। তাহলে আমরা পাই নাই কেন?’

গাড়ি থেকে এসব পণ্য কেনার জন্য প্রথমে টাকা দিয়ে স্লিপ নিতে হয়। কর্মকর্তারা জানান, একজন সর্বোচ্চ এক ডজন ডিম, এক বা দুই লিটার দুধ ও এক কেজি মাংস কিনতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ডিম, দুধ অথবা মাংস কিনতে পারবেন। তবে মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।

দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় ফ্রিজার ট্রাক রয়েছে। ফলে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পণ্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রামে সে সুযোগ নেই। তাই পরিমাণ কম। আবার দ্রুত ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। মাংসের চাহিদা কম থাকায় কিছু মাংস থেকে গেছে। ডিমের চাহিদা বেশি ছিল। দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ