Prothomalo:
2025-03-16@11:08:03 GMT

সিলেটের গোয়ালগাদ্দা শিম 

Published: 16th, March 2025 GMT

ফাগুনের হাওয়া বইছে। তারিখটা ১৭ ফেব্রুয়ারি। হাওয়ার সঙ্গে উড়ছে ধুলো। সেসব ধূলিকণার আবরণে ঢাকা পড়েছে গাছপালার সবুজ পাতা, পথপ্রান্তর। সিলেট শহর থেকে চলেছি গোলাপগঞ্জের দিকে। পথের দুপাশে মাঠের শর্ষেগুলো সব কাটা হয়ে গেছে। বেশির ভাগ মাঠই ফাঁকা—ধূলি, কুয়াশা, ঘোলাটে রোদ, মেঘের ছায়া সব মিলিয়ে শূন্য মাঠগুলো যেন খাঁ খাঁ করছে। এর মধ্যে কিছু মাঠে, পথের কোলে মাচায় চলছে সবুজের ফালি ফালি ছোঁয়া। কোনো কোনো মাঠে সূর্যমুখী ফুল ফুটেছে। তবে সবুজের বেশির ভাগই শিমখেত। দেখতে দেখতে গোলাপগঞ্জের লক্ষ্মণাবাদ ইউনিয়নের চৌধুরী বাজারে গিয়ে হাজির হলাম। রাস্তার পাশে গাছের ছায়ায় বসে গাদা করে রাখা শিমগুলোকে বাছাই করছে কয়েকজন লোক, ঝুড়ি বোঝাই করে কেউ কেউ শিম ও শিমের বিচি বেচছে। গাড়ি থেকে নেমে তাঁদের কাছে এগিয়ে গেলাম। 

পঞ্চাশোর্ধ্ব সিরাজউদ্দিন, তিনি খেতের শিম তুলে নিয়ে এসেছেন বাজারে বিক্রি করতে। বললেন, ‘এ শিমের খুব চাহিদা। বিশেষ করে বিদেশে। বাছাই করে আমরা ভালো ভালো শিমগুলো বিদেশে পাঠিয়ে দিই। আমাদের লন্ডনি ভাইয়েরা এসব শিম খেতে খুব পছন্দ করেন। শিমের নাম গোয়ালগাদ্দা।’ তিনি জানালেন, ১৯৮০ সাল থেকে তিনি এ শিমের চাষ করে আসছেন। তবে তিনি তাঁর বাপ-দাদাদেরও এ শিম চাষ করতে দেখেছেন। তখন খুব অল্প আকারে বাড়ির আশপাশে এ শিমের চাষ হতো। এখন অনেক মাঠেই এ শিমের চাষ ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে তিনি তিন বিঘা জমিতে এ শিমের চাষ করেছেন। অগ্রহায়ণের প্রথম থেকে শিম তুলছেন, তুলবেন এপ্রিল পর্যন্ত। বৃষ্টি নামলেই বন্ধ হবে শিম তোলা। প্রায় ছয় মাস ধরে ফলন দেয়, এমন আর কোনো শিমের জাত এ দেশে নেই। প্রতি সপ্তাহে তিনি ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ কেজি শিম তোলেন। নিজেরাই বীজ রাখেন এবং সে বীজ দিয়ে আবার পরের মৌসুমে চাষ করেন। 

গোলাপগঞ্জের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.

মাশরেফুল আলম বললেন, সব জাতের শিমের মধ্যে সিলেটের গোয়ালগাদ্দা শিম সবচেয়ে জনপ্রিয়। এ বছর গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ৮৮৯ হেক্টর জমিতে গোয়ালগাদ্দা শিমের চাষ হয়েছে। দিন দিনই এর চাহিদা, বাজার ও চাষ বাড়ছে। কেননা, এ শিম অতীতে বোয়াল মাছের সঙ্গে সিলেটের লোকেরা রেঁধে খেত, স্বাদ হতো চমৎকার। এ শিমের ফলন যেকোনো শিমের চেয়ে বেশি। হেক্টরে এ শিমের ফলন ৩০ থেকে ৩৫ টন, সেখানে অন্য শিমের ফলন ২০ থেকে ২২ টন। বেশি হওয়ার প্রধান কারণ, প্রায় ছয় মাস ধরে এ শিম তোলা যায়। সেখানে অন্য শিম তোলা যায় প্রায় তিন মাস। গোয়ালগাদ্দা শিমে মোজাইক ভাইরাস রোগ হয় না। কিন্তু আর এমন কোনো জাতের শিম নেই, যাতে এ রোগ হয় না। সাধারণত কচি শিম ছোট বিচি অবস্থায় খাওয়া হয়। বিচি বড় হয়ে গেলে সেসব শিম আর সবজি হিসেবে খাওয়া যায় না। তখন বীজ রাখা হয়। পরিপক্ব সেসব বীজ ডাল হিসেবে রান্না করে খাওয়া হয় এবং চাষের জন্য রেখে দেওয়া হয়।

এ দেশে যেসব সবজি চাষ হয়, তার প্রায় সবই হাইব্রিড জাতের। কিন্তু শিমের কোনো হাইব্রিড জাত নেই। এ দেশে কত জাতের শিম আছে, তার কোনো সঠিক গবেষণা বা সমীক্ষা নেই। নলডক, নলি, হাতিকান, চিটাগং, রূপবান, আউশা, রঙ্গিমা, পুঁটি, খিরনলী, তক্তা, ঘিকাঞ্চন, ছেই, কাইকা, মটর, সিরা, বাইমা, বাইন, নরসিংদী, চটকা, সিন্দুর, কার্তিকা, আশ্বিনা, বৌকানী, সূর্যমুখী ইত্যাদি নানা জাতের দেশি শিম এ দেশে রয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) ও ইপসা ১০টি আধুনিক উচ্চফলা জাতের শিম উদ্ভাবন করেছে। কিন্তু সিলেটের গোয়ালগাদ্দা শিমটা যেন সব জাতের মধ্যে সেরা। এ জাতের শিম ১২ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার লম্বা হয়, চওড়া হয় ৪-৫ সেন্টিমিটার, চ্যাপটা ও পাতলা, কিছুটা ঢেউখেলানো, সবুজ ত্বক ও কালচে বেগুনি শিরবিশিষ্ট, কচি শিম নরম ও সুস্বাদু, বীজের রং কালো। গাদা করে শিম ধরে বলে মনে হয় তা থেকে নামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গাদ্দা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘গোয়ালগাদ্দা শিমের স্বাদ ও অধিক ফলনে আকৃষ্ট হয়ে অনেকেই সিলেটের বাইরে নিয়ে এর বীজ দিয়ে চাষের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কোন রহস্য জানি না, সিলেটের মতো সেখানে এ শিমের স্বাদ হয় না। এ শিমকে তাই সিলেটের জিআই কৃষিপণ্য হিসেবে ব্র্যান্ডিং করা যেতে পারে। দেশের অন্য স্থানে চাষ সম্প্রসারণেও পরীক্ষা করা যায়। যেহেতু বিদেশেও এ শিমের চাহিদা রয়েছে, তাই উত্তম কৃষিচর্চা বা জিএপি প্রটোকল ঠিক করে শতভাগ নিরাপদ সবজি হিসেবে এ জাতের শিম উৎপাদন ও রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া দরকার।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ ল পগঞ জ চ ষ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ধর্ষণকে ধর্ষণই বলতে হবে

দেশে ধারাবাহিকভাবে ঘটে যাওয়া যৌন সহিংসতা, নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা দেশের মানুষকে উদ্বিগ্ন করে তুলছে। এই সংকট শুধু ভুক্তভোগীর জীবন নয়, সমাজের মূল ভিত্তিকেও দুর্বল করে দিচ্ছে। নারী ও শিশু নির্যাতন বলতে নিপীড়ন, যৌন নির্যাতন, ধর্ষণসহ সব ধরনের নির্যাতনই রয়েছে। তাই আইনি দিক ও অপরাধের ভয়াবহতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ধর্ষণকে ধর্ষণই বলতে হবে। ধর্ষণকে শুধু নারী নির্যাতন ও নারী নিপীড়ন বললে এর ভয়াবহতা হালকা হয়ে যায়।

‘শিশু ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার ঘটনায় শিশু অধিকারবিষয়ক এনজিওদের (বেসরকারি সংস্থা) প্রতিবাদ ও উদ্বেগ প্রকাশ’ শিরোনামে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বক্তারা। শিশু ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সেভ দ্য চিলড্রেন, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। আজ রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাগুরার শিশুটিসহ ৬ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত শিশু ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ২৫টি ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে মেয়েশিশুদের বিরুদ্ধে বাড়তে থাকা এই সহিংসতা জাতিকে হতবাক করেছে এবং সারা দেশে প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছে। দেশব্যাপী প্রতিবাদে একাত্মতা ঘোষণা করে আজ আমরাও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

এ সময় প্রশ্নোত্তর পর্বে ধর্ষণের ভয়াবহতার কথা বিবেচনায় নিয়ে ধর্ষণকে ধর্ষণ বলার আহ্বান জানান বক্তারা।

প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার (১৫ মার্চ) গণপরিবহনে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ‘হেল্প’ অ্যাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএম‌পি) ক‌মিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী গণমাধ্যমে ‘ধর্ষণ’ শব্দটি ব্যবহার না করার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ‘আমি দুটো শব্দ খুব অপছন্দ করি, এর মধ্যে একটি হলো ধর্ষণ। আপনাদের কাছে অনুরোধ, এটা ব্যবহার করবেন না। আপনারা “নারী নির্যাতন” বা “নিপীড়ন” বলবেন। আমাদের আইনেও নারী ও শিশু নির্যাতন বলা হয়েছে। যে শব্দগুলো শুনতে খারাপ লাগে, সেগুলো আমরা না বলি।’

ডিএমপি কমিশনার এমন মন্তব্য করলেও আইনে ধর্ষণের আলাদা সংজ্ঞা রয়েছে। ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০’ ভুক্তভোগীর বয়স ও বৈবাহিক ধর্ষণ ছাড়া ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধিতে দেওয়া ধর্ষণের সংজ্ঞা অনুসরণ করে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আওতায় ধর্ষণ, যৌতুকের কারণে নির্যাতন ও হত্যা, অপহরণ, যৌন পীড়ন, আত্মহত্যায় প্ররোচনা, দহনকারী পদার্থ দিয়ে ক্ষতি করা, ভিক্ষাবৃত্তির উদ্দেশ্যে শিশুর অঙ্গহানি–সংক্রান্ত আলাদা আলাদা ধারা রয়েছে, সে অনুযায়ী মামলা পরিচালনা করা হয়।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুসারে, গত বছর সারা দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ১৭ হাজার ৫৭১টি মামলা হয়েছে। এ বছরের জানুয়ারি মাসে মামলা হয়েছে ১ হাজার ৪৪০টি। ফেব্রুয়ারি মাসে শুধু ধর্ষণের অভিযোগে দিনে গড়ে ১২টি মামলা হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্য অনুসারে, গত বছর নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের ২ হাজার ৫২৫টি খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। এর মধ্যে ৩৪৫ জন ধর্ষণ, ১৪২ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ২৩ জনকে। ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেন ৬ জন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্য প্রসঙ্গে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন,‘ডিএমপি কমিশনার ধর্ষণ শব্দটি সংবাদমাধ্যমে ব্যবহার না করতে বলেছেন। কারণ, তাঁর কাছে শব্দটি ভালো লাগে না। এতে খুবই অবাক হয়েছি। কারণ, এ ঘটনাটাই ভালো না লাগার। যৌন নিপীড়ন বা যৌন নির্যাতন বললে অন্যান্য নিপীড়নের কথাও চলে আসে। ধর্ষণের ভয়াবহতা এতে হালকা হয়ে যায়। এটা মানতে পারছি না।’

এ প্রসঙ্গে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের পরিচালক (প্রভাব, প্রচারাভিযান ও যোগাযোগ) নিশাত সুলতানা বলেন, ধর্ষণের ঘটনাকে ধর্ষণই বলতে হবে। এটাকে নমনীয় করে বলার কোনো সুযোগ নেই।

সেভ দ্য চিলড্রেনের পরিচালক (শিশু সুরক্ষা ও শিশু অধিকারবিষয়ক সুশাসন বিভাগ) আবদুল্লা আল মামুন বলেন, ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত। এর মধ্যে যেটা ধর্ষণ, সেটাকে ধর্ষণই বলতে হবে। ধর্ষণ জঘন্য একটি অপরাধ। ধর্ষণসহ সব ধরনের নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় বিচার দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগামকে রাজস্ব বাজেটে নিয়ে এর কার্যক্রমকে শক্তিশালী করতে হবে। শিশুদের অধিকার, সুরক্ষা ও কল্যাণের জন্য পৃথক শিশু অধিদপ্তর স্থাপনের দাবি জানান তিনি।

ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের পরিচালক (কর্মসূচি ও পরিকল্পনা) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ধর্ষণের মামলার বিচার ও তদন্তের সময় কমিয়েছে সরকার। দিনক্ষণ নিয়ে আমাদের বিরোধ নেই। নির্যাতন ও ধর্ষণের মামলাগুলোর দ্রুত ও কার্যকর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ধর্ষণের মামলায় ডিএনএ প্রতিবেদন বাধ্যতামূলক রাখা উচিত। তা না হলে হয়রানিমূলক মামলা হওয়ার ঝুঁকি থাকে। ডিএনএ প্রতিবেদন যেন যথাসময়ে দেওয়া যায়, সে উদ্যোগ বাড়ানো উচিত।’ তিনি বলেন, শিশুরা কোনো অভিযোগ করলে, পরিবারকে তা গুরুত্ব দিয়ে শুনতে হবে, শিশুর কথা বিশ্বাস করতে হবে। মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেশিশুরাও যৌন সহিংসতা, ধর্ষণের শিকার হচ্ছে, সেদিকেও নজর দেওয়া জরুরি।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) সমন্বয়ক তামান্না হক (রীতি) সংগঠনের সংকলিত তথ্য তুলে ধরে বলেন, ২০২৪ সালে ৩৬ জন এবং এ বছরের প্রথম দুই মাসে ৪ জন ছেলেশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তিনি বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় নৃশংসতার মাত্রা বেড়েই চলেছে। এর মানে হচ্ছে ধর্ষণ-নির্যাতন প্রতিরোধে যা ব্যবস্থা আছে, তাতে ঘাটতি রয়েছে। অভিযোগের তদন্ত, বিচারপ্রক্রিয়া, সাক্ষী ও ভুক্তভোগীর সুরক্ষা ইত্যাদি যেসব বিষয়ে ঘাটতি রয়েছে, তা মোকাবিলায় নিয়মিত কাজ করতে হবে।

প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিতা বোস বলেন, সমাজে ধর্ষণ-নির্যাতনের যত ঘটনা ঘটছে, তত প্রকাশ পাচ্ছে না। লোকলজ্জার ভয়ে অনেকে প্রকাশ করতে চান না। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, ভুক্তভোগী নারী ও শিশু পরিবার থেকেই সুরক্ষা পাচ্ছে না। ধর্ষককে ঘৃণা করতে হবে, ভুক্তভোগীকে নয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ