পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ব্যাপকহারে আবাদ হয়েছে সূর্যমূখী ফুলের। ফলনও হয়েছে বাম্পার। তাই হাসি ফুটেছে প্রান্তিক কৃষকের মুখে। এ বছর সূর্যমূখীর বীজ থেকে ২৬ কোটি টাকার তেল উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।
পটুয়াখালীর টিয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম টিয়াখালী গ্রামের বাসিন্দা রাবেয়া বেগম (৩৫) এ বছর প্রথমবারের মতো ব্র্যাকের সহযোগিতায় শুরু করেছেন সূর্যমূখীর আবাদ। হাইচান ৩৩ জাতের বীজ সংগ্রহ করে ৬৬ শতাংশ জমিতে সূর্যমূখী ফুল চাষ করেছেন। সঠিক পরিচর্যায় তার ক্ষেতে এখন হলুদের সমারোহ। বাম্পার ফলনে হাসি ফুটেছে তার মুখে।
শুধু রাবেয়া বেগমই নয়, সরকারী সহযোগিতা এবং এনজিওর সহায়তায় উপজেলার ৭ হাজার ১৫০ জন কৃষক ১৭৬৩ হেক্টর পতিত জমিতে চাষ করেছেন সূর্যমূখীর। অধিকাংশ কৃষকই পেয়েছেন বাম্পার ফলন। এসব সূর্যমূখীর বীজ থেকে সাড়ে ১১ লক্ষ লিটার তেল উৎপাদন এবং ২৬ কোটি টাকা বিক্রির আসা করছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তাই নতুন নতুন অনেক কৃষক উদ্ধুদ্ধ হচ্ছেন সূর্যমূখী চাষে।
বিগত বছরগুলো এসব জমি আমন চাষাবাদের পর অনাবাদী থাকত বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
রাবেয়া বেগম বলেন, “আমি প্রথমবারের মতো সূর্যমূখীর আবাদ করেছি। ব্র্যাক থেকে সার বীজ পেয়েছি। আমার জমিতে ফলন বেশ ভালো হয়েছে।”
একই এলাকার অপর কৃষক মোসেলম উদ্দিন বলেন, “দুই বিঘা জমিতে সূর্যমূখীর আবাদ করেছি। ১০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। আশা করছি ৫০ হাজার টাকার বীজ বিক্রি করতে পারব। ব্র্যাক থেকে বীজ, সার এবং পরামর্শ পেয়ে সূর্যমূখী চাষে উদ্ধুদ্ধ হয়েছি।”
ব্র্যাকের জলবায়ু পরিবর্তর কর্মসূচির পরিচালক লিয়াকত আলী বলেন, “পতিত লবণাক্ত জমিতে ফসল উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে আমরা এ উপজেলার ১২০০ কৃষককে প্রশিক্ষণ, বীজ ও সার প্রদান করেছি। এছাড়া মাঠে আমাদের কর্মকর্তারা তদারকী করেছে। সে কারণে ফলন বেশ ভালো হয়েছে। আমাদের কৃষকরা পাঁচ হাজার বিঘা জমিতে সূর্যমূখীর আবাদ করেছে। আশা করছি ১৬ কোটি টাকার তেল বিক্রি করতে পারবেন কৃষকরা।”
ঢাকা/ইমরান/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দ. আফ্রিকা ও ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ৮ টি-টোয়েন্টি, ৬ ওয়ানডে
আগামী মৌসুমে ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য থাকবে দারুণ উত্তেজনা! ২০২৫ সালের আগস্ট থেকে ২০২৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার ১১টি শহর ও ১৪টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোর জমজমাট আসর।
অস্ট্রেলিয়াজুড়ে দর্শকরা উপভোগ করতে পারবেন বহু প্রতীক্ষিত পুরুষদের অ্যাশেজ সিরিজ, যেখানে পাঁচটি টেস্ট ম্যাচ হবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ভারতকে নিয়ে হবে আট ম্যাচের হাইভোল্টেজ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ছয়টি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে পুরুষদের সাদা বলের মৌসুম। পাশাপাশি, অস্ট্রেলিয়ার নারী দলও মুখোমুখি হবে ভারতের বিপক্ষে সিরিজে।
চলতি বছরের শুরুতে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি সিরিজে রেকর্ডসংখ্যক দর্শক উপস্থিতি দেখা গিয়েছিল। এবার অ্যাশেজের লড়াইয়ে সেই রেকর্ড ভাঙতে পারেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া ২০১৭-১৮ সাল থেকে ধরে রাখা অ্যাশেজ ট্রফি রক্ষায় নামবে।
আরো পড়ুন:
স্টার্ক-ডু প্লেসিস-ম্যাকগার্কে হায়দরাবাদকে হারালো দিল্লি
নিউ জিল্যান্ডের ঘোরোয়া ক্রিকেট থেকে অবসরে ওয়াগনার
এই টেস্ট সিরিজ শুরু হবে পার্থ স্টেডিয়ামে ‘ওয়েস্ট টেস্ট’ দিয়ে। এরপর গ্যাবায় প্রথমবারের মতো দিবারাত্রির অ্যাশেজ টেস্ট, অ্যাডিলেড ওভালে প্রথমবারের মতো ক্রিসমাস টেস্ট এবং ঐতিহ্যবাহী বক্সিং ডে ও নিউ ইয়ার টেস্টের রোমাঞ্চও থাকছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ:
ম্যাচ | তারিখ | ভেন্যু |
প্রথম টি-টোয়েন্টি | ১০ আগস্ট | ডারউইন |
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি | ১২ আগস্ট | ডারউইন |
তৃতীয় টি-টোয়েন্টি | ১৬ আগস্ট | কেয়ার্নস |
প্রথম ওয়ানডে ১৯ আগস্ট কেয়ার্নস
দ্বিতীয় ওয়ানডে ২২ আগস্ট ম্যাকেই
তৃতীয় ওয়ানডে ২৪ আগস্ট ম্যাকেই।
ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ:
প্রথম ওয়ানডে ১৯ অক্টোবর পার্থ
দ্বিতীয় ওয়ানডে ২৩ অক্টোবর অ্যাডিলেড
তৃতীয় ওয়ানডে ২৫ অক্টোবর সিডনি
প্রথম টি-টোয়েন্টি ২৯ অক্টোবর ক্যানবেরা
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ৩১ অক্টোবর মেলবোর্ন
তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ২ নভেম্বর হোবার্ট
চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ৬ নভেম্বর গোল্ড কোস্ট
পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ৮ নভেম্বর ব্রিসবেন
অ্যাশেজ সিরিজ:
প্রথম টেস্ট ২১-২৫ নভেম্বর পার্থ
দ্বিতীয় টেস্ট ৪-৮ ডিসেম্বর ব্রিসবেন
তৃতীয় টেস্ট ১৭-২১ ডিসেম্বর অ্যাডিলেড
চতুর্থ টেস্ট ২৬-৩০ ডিসেম্বর মেলবোর্ন
পঞ্চম টেস্ট ৪-৮ জানুয়ারি সিডনি।
ঢাকা/আমিনুল