চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে, আলুর কাঙ্ক্ষি দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ কৃষক। এদিকে, আলু সংরক্ষণের জন্য হিমাগারে জায়গা নেই বলে বেপারীদের জানিয়েছে হিমাগার কর্তৃপক্ষ। 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) মতলব দক্ষিণ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর মতলব দক্ষিণ উপজেলার ১৯টি ব্লকে ২ হাজার ১৭৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষ হয়েছে ২ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে। আলু উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৬৮ হাজার মেট্রিক টন। 

উপজেলার আশ্বিনপুর, খরগপুর, পাঠন, পিতামবর্দ্দি, আধারা, খিদিরপুর, কাজিয়ারা, নায়েরগাঁও এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা জমি থেকে আলু তুলে বাড়িতে নিচ্ছেন। তার পর সেগুলো ট্রাক, মিনি ট্রাক, পিকআপ ভ্যান ও অটোরিকশায় করে নেওয়া হচ্ছে হিমাগারে। 

কৃষকরা জানিয়েছেন, তারা কাঙ্ক্ষিত দাম পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। এ উপজেলার তিনটি হিমাগারের মধ্যে বর্তমানে দুটি চালু আছে। ফলে, আলু সংরক্ষণে পর্যাপ্ত জায়গা নেই। তাই, বিপাকে পড়ছেন কৃষকরা।

মার্শাল কোল্ড স্টোরেজের ম্যানেজার জিয়াউর রহমান এ প্রতিবেদককে বলেছেন, “আমাদের এই হিমাগারের ধারণক্ষমতা ১০ হাজার মেট্রিক টন এবং নায়েরগাঁয়ের হিমাগারের ধারণক্ষমতা আমাদের মতোই। ইতোমধ্যে হিমাগার দুটি আলুতে ভরপুর হয়েছে। আর আলু রাখার জায়গা নেই।” 

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা চৈতন্য পাল বলেছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং পোকা-মাকড়ের আক্রমণ না হওয়ায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আলু উৎপাদন হয়েছে।

ঢাকা/জয়/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে প্রাণ গেল একজনের, আহত ২

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে সরকারি খালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ও খালপাড় দখল নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছেন। বুধবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার উপাদী উত্তর ইউনিয়নের বহরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত ওই ব্যক্তির নাম বশির প্রধানীয়া। তার বাড়ি বহরী গ্রামে।

পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বহরী গ্রামের কৃষক বশির প্রধানীয়া ও রমিজ উদ্দিন বয়াতীর মধ্যে খালপাড়ের দখল ও খালের মাছ ধরা নিয়ে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে ইতিপূর্বে ওই দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার তর্ক-বিতর্ক ও মারামারির ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার বিকেলে ওই খালের পাড়ে এ নিয়ে বশির ও রমিজ উদ্দিনের পক্ষের লোকজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বুধবার বেলা ১২টার দিকে সরকারি খালে মাছ ধরতে যান বশির প্রধানীয়া ও তার দুই ছেলে। এতে বাধা দেন রমিজ উদ্দিন ও তার লোকেরা। এ নিয়ে দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়। এসময় রমিজ উদ্দিনের লাঠির আঘাতে অজ্ঞান হয়ে পড়েন বশির। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত হন বিল্লাল হোসেন ও মো. জয়নাল। 

বশির প্রধানীয়ার মেয়ে তাহমিনা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, খালপাড় দখল ও সেখানে মাছ ধরা নিয়ে বিরোধের জেরে তার বাবা ও ভাইদের বেধড়ক পিটিয়েছেন রমিজ উদ্দিন ও তার লোকজন। তাদের লাঠির আঘাতে আমার বাবা মারা গেছেন। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

এ বিষয়ে রমিজ উদ্দিন বয়াতীর মোবাইলে ফোন দিলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। 

মতলব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেহ আহাম্মেদ বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চাঁদপুরে ১০ দোকানে আগুন
  • মতলবের মুন্সীরহাটে ফের আগুন, পুড়ে ছাই ১৮ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান
  • বাবার লাশ বাড়িতে রেখে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে গেল রিমা
  • মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে প্রাণ গেল একজনের, আহত ২
  • চাঁদপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় কৃষক নিহত, প্রতিবেশী গ্রেপ্তার