Risingbd:
2025-04-18@19:46:58 GMT

‘টমেটো এখন পাখিদের খাদ্য’

Published: 26th, February 2025 GMT

‘টমেটো এখন পাখিদের খাদ্য’

নড়াইলে এ বছর টমেটোর ফলন ভালো হলেও বিপাকে পড়েছে চাষিরা। পাইকাররা না আসায় এবং বাজারে প্রত্যাশিত দাম না পাওয়ায় চাষিদের উৎপাদিত পাকা টমেটো ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে।

কৃষকদের ভাষ্য, তারা এই সবজিটি চাষ করে উৎপাদন খরচ তুলতে পারেননি। পাঁচ টাকা কেজি বললেও ক্রেতারা টমেটো কিনতে রাজি হচ্ছেন না। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে জেলায় ১৮৫ হেক্টর জমিতে টমেটোর চাষ হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫ হাজার ১০০ টন। টমেটো উৎপাদন হয়েছে তার থেকে বেশি।

আরো পড়ুন:

পুঁজিবাজারে সূচকের বড় উত্থান, বেড়েছে লেনদেন

সিএসইতে যোগ দিলেন জামাল ইউসুফ

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সদর উপজেলার রুখালী গ্রামের টমেটো চাষি আমিন মোল্যা বলেন, “পাঁচ বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করেছি। এক একটা চারার পেছনে ২০ থেকে ২৫ টাকা খরচ হয়েছে। টমেটোর ফলন ভালো হয়েছে। তবে, পাইকারদের কেউ টমেটো কিনতে আসছেন না ক্ষেতে।”

তিনি আরো বলেন, “প্রথম দিকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি করে ছিলাম টমেটো। এখন সেই টমেটো বাজারে নিয়ে গেলে আড়তদাররা বলেন, এগুলো ফিরিয়ে নিয়ে যাও। এবার এই সবজি চাষ করে খুবই লস হলো। টমেটো এখন হয়েছে পাখিদের খাদ্য।”

সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়নের টমেটো চাষি খায়রুল আলম বলেন, “এক বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করেছি। প্রায় ৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৫ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি করতে পারিনি। ৫ টাকা কেজি তাও কেউ নিচ্ছে না।”

লোহাগড়া বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা হাসান মোল্যা বলেন, “আড়ত থেকে আমরা ২৪০ টাকায় ৪০ কেজি (এক মণ) টেমেটো কিনে ১০টাকা দরে বিক্রি করছি।”

লোহাগড়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ও কাঁচামাল আড়তদার ইবাদত সিকদার বলেন, “আমরা চাষিদের কাছ থেকে কিনে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে টমেটো ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা মণ হিসেবে বিক্রি করি। চাষিরা কেজি প্রতি টমেটোর দাম পাচ্ছেন ৩-৭ টাকা। এবার টেমেটোর ব্যাপক ফলন হওয়ায় বাজারে এই সবজিটির দাম পড়ে গেছে।”

নড়াইল সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান বলেন, “এ বছর নড়াইলে টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে বিভিন্ন জেলায় টমেটোর চাহিদা কম থাকায় নড়াইলের বাজারে এই সবজির দর কমে গেছে।”

ঢাকা/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফসল চ ষ কর উৎপ দ

এছাড়াও পড়ুন:

এবারের সেরা ‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ’ চট্টগ্রামের অভিষেক দাশ

এবছরের সেরা ‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ’ হয়েছেন চট্টগ্রামের অভিষেক দাশ। শুক্রবার সন্ধ্যার পর রাজধানীর আগারগাঁওয়ের চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাঁকজমকপূর্ণ এক আয়োজনে ষষ্ঠ পর্বের সেরা বাংলাবিদ নির্বাচন করা হয়। ছয়জনের উপস্থিতিতে ইতিহাস, বানান, সাহিত্য, শব্দার্থ, কবিতা, সংস্কৃতি বিভাগে জমজমাট প্রশ্নোত্তর, শব্দসৃষ্টি, শব্দরহস্যসহ বেশকয়েকটি পর্বের প্রতিযোগিতায় সেরাদের বাছাই করা হয়। দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেরা বাংলাবিদ হয় যথাক্রমে রিফা তাসনিয়া ও রশ্মি তুলতুল চৌধুরী। চূড়ান্ত পর্বের উপস্থাপনা করেন জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম।

দেশজুড়ে দীর্ঘ ১০ মাস ধরে বাছাইপর্ব এবং স্টুডিও পর্ব শেষে সেরা ছয়জন বাংলাবিদকে নিয়ে আয়োজিত হয় এ প্রতিযোগিতা। চূড়ান্ত পর্যায়ের সেরা ৬ বাংলাবিদ ছিলেন বরিশালের আদিবা মহসিন, সিলেটের প্রিয়ন্তি দাশ প্রান্তি, চট্টগ্রামের রশ্মি তুলতুল চৌধুরী, খুলনার সানিয়ান শুভ্র বিশ্বাস, ঢাকার রিফা তাসনিয়া, চট্টগ্রামের অভিষেক দাশ। দেশজুড়ে ৯টি অঞ্চলের বাছাই পরীক্ষা এবং ১৯টি স্টুডিও পর্বের জমজমাট প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশব্যাপী লক্ষাধিক শিক্ষার্থী থেকে বাছাই করে নেওয়া হয় শীর্ষ ছয় প্রতিযোগিকে। এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রতিযোগিদের কণ্ঠে গাওয়া গানের সুরে নৃত্য পরিবেশন করা হয়। এছাড়াও আগুন, মাশা এবং ফেরদৌস গান পরিবেশন করেন।

মহোৎসবের সেরা ৬ বাংলাবিদের মধ্যে শীর্ষস্থান অধিকারী জিতে নেবেন ১০ লাখ টাকার মেধাবৃত্তি এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী পাবেন যথাক্রমে ৩ লাখ ও ২ লাখ টাকার মেধাবৃত্তি। এ ছাড়া প্রথম ১০ জন প্রতিযোগী পাচ্ছেন একটি ল্যাপটপসহ ব্যক্তিগত গ্রন্থাগার করার জন্য ৫০ হাজার টাকার বাংলা বই ও বইয়ের আলমারি।

নতুন প্রজন্মের কাছে শুদ্ধ বাংলা, বানান ও ব্যবহার ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধা ও মননকে শাণিত করা এবং বাংলাকে হৃদয়ে ধারণ করানোর উদ্দেশ্যে ইস্পাহানি মির্জাপুরের উদ্যোগে ও পৃষ্ঠপোষকতায় চ্যানেল আইয়ে প্রচার হয় প্রতিযোগিতাটি।

শুক্রবারের উৎসবে উপস্থিত ছিলেন ইস্পাহানি টি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর হান্নান এবং চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাইখ সিরাজ। 

ওমর হান্নান তার বক্তৃতায় জানান, এবার প্রথম বাংলাবিদ প্রতিযোগিতায় মাদ্রাসা এবং ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছিলেন। শীর্ষ ছয়জনের মধ্যেও একজন ইংরেজি মাধ্যমের একজন রয়েছেন।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন অতিথি বিচারক বাংলা একাডেমির চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ফজলুল হক, প্রতিযোগিতার প্রধান বিচারক লেখক আনিসুল হক, বিচারক অভিনয়শিল্পী ত্রপা মজুমদার ও বিচারক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তারিক মনজুর। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক, শাইখ সিরাজ, ইস্পাহানি গ্রুপের পরিচালক জাহিদা ইস্পাহানী, মির্জা আহমেদ ইস্পাহানি, ইমাদ ইস্পাহানি, ড. তারিক মনজুর প্রমুখ।

রাজশাহীর ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থী বাংলাবিদ তৌফিক আলম এবং মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মুহাম্মাদ ইবরাহিমকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ