Samakal:
2025-03-23@17:16:10 GMT

কিষানির ‘সূর্যমুখী স্বপ্ন’

Published: 22nd, March 2025 GMT

কিষানির ‘সূর্যমুখী স্বপ্ন’

রাউজান উপজেলায় সূর্যমুখী চাষে বিপ্লব ঘটতে চলেছে। কৃষকের আগ্রহ আর কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় বছর বছর বাড়ছে সূর্যমুখীর চাষ। এবার বাম্পার ফলন পাওয়ার আশা করছেন চাষিরা। উপজেলার অনেক মাঠ যেন হলুদগালিচা, সেখানে মৌমাছির গুঞ্জরণে মোহিত মানুষ। সূর্যমুখী ক্ষেত দেখতে প্রতিদিন অনেক মানুষ আসেন, তারা ছবি তুলে ফেসবুকে দেন। 
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে রাউজানে প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে প্রায় ৩০ টন তেল উৎপাদন হবে এবার। বাজারে প্রতি লিটার সূর্যমুখী তেল বিক্রি হয় ৪৫০ টাকায়। সে হিসাবে এবার উপজেলায় এক কোটি ৩৫ লাখ টাকার তেল উৎপাদিত হবে। এতে কয়েক হাজার পরিবারে সচ্ছলতার সুবাস ছড়িয়ে পড়েছে।
‘সূর্যমুখী গ্রাম’ হিসেবে পরিচিত পৌরসভার কাঁশখালী কূলে কথা হয় কৃষক মো.

হোসেনের সঙ্গে। তিনি সমকালকে বলেন, ‘অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর সূর্যমুখীর ফলন ভালো হয়েছে। কৃষি অফিসের পরামর্শে সঠিকভাবে সার, ওষুধ ও কীটনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে ভালো ফলন পাওয়ার আশা করছি। বাজারে সূর্যমুখী তেলের চাহিদা থাকায় লাভ নিয়ে আমি চিন্তিত নই।’
চিকদাইর ইউনিয়নের দুই কিষানি ‘পার্টনার প্রকল্পের’ আওতায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। কিষানি মরিয়ম বেগম ও রশেদা বেগম বলেন, ‘৫০০ কেজি তেল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে যৌথভাবে সূর্যমুখী চাষ করেছি। সূর্যমুখী ক্ষেতের অপরূপ দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন দর্শনার্থী। তারা ফুলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করছেন। দর্শনার্থীদের ফসল নষ্ট না করার অনুরোধ জানাতে মাঠে থাকতে হয় আমাদের।’ হলদিয়া ইউনিয়নের কৃষক আলী মজুমদার বলেন, ‘দিনদিন বাজারে সূর্যমুখী তেলের চাহিদা বাড়ছে। এই চাষাবাদে খরচ কম, লাভ বেশি।  কৃষি অফিস সহযোগিতা ও প্রণোদনা দিয়ে উৎসাহিত করছে।’
উপজেলার চিকদাইর, ডাবুয়া, সদর, বাগোয়ান ইউনিয়নের সূর্যমুখী ক্ষেতে কৃষকরা এখন পরিচর্যায় ব্যস্ত। ভালো ফলন ঘরে তোলার আশায় ক্ষেতের সর্বোচ্চ পরিচর্যা করছেন তারা।  হলুদ রঙের ফুলের ঘ্রাণে ম-ম করছে সূর্যমুখী ক্ষেত। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুম কবির বলেন, ‘উপজেলায় এবার প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে। প্রায় ৩০ টন তেল পাওয়া আশা করছি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রায় ৬৪০ জন কৃষকের মধ্যে সরকারি প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে সূর্যমুখীর বীজ, সার ও নগদ অর্থ দেওয়া হয়।’ তিনি বলেন, ‘উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় কমবেশি সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে। বাজারে সূর্যমুখী তেলের দামও ভালো। প্রতি লিটার ৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়।  তেল উৎপাদনের পাশাপাশি খৈল ও জ্বালানি পাওয়া যায়, যা বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় হয় কৃষকের।’ 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত ল উৎপ দ করছ ন উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

কীর্তনখোলার তীরে পড়ে ছিল তোয়ালে মোড়ানো শিশু, পাশে ঝুড়ি ও ফিডার

বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর তীরসংলগ্ন রাস্তার পাশ থেকে এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার রাত ১১টার দিকে তোয়ালে মোড়ানো শিশুকে পেয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে নেন স্থানীয় বাসিন্দা রুহুল আমিন। বর্তমানে সে শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুর মাথার পেছনের অংশে একটি টিউমার রয়েছে। পিঠ ও পায়ের গঠন দেখে তাদের ধারণা, বড় হলে সে শারীরিক প্রতিবন্ধী হতে পারে। এ কারণেই হয়তো শিশুকে রাস্তায় ফেলে গেছে তার স্বজন!

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ পারভেজ জানান, উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে শিশুটিকে সুস্থ করা সম্ভব বলে হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এ জন্য এক মাসের মধ্যে টিউমারটি অপসারণ করা জরুরি।

আপাতত শিশুর দায়িত্ব সমাজসেবা অধিদপ্তর নিয়েছে। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর অস্ত্রোপচারের জন্য রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে পাঠানো হবে। পূর্ণ সুস্থতা পেলে শিশু সদনে হস্তান্তর করা যাবে।

সাজ্জাদ পারভেজ আরও জানান, সমাজসেবার তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা সহায়তার বিধান রয়েছে। কিন্তু শিশুটির অস্ত্রোপচারে আরও অর্থ লাগবে। সে অর্থের জোগান কোথা থেকে আসবে, তা নিয়ে চিন্তিত।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, শিশুটি উদ্ধারের সময় সেখানে একটি ঝুড়ি ও দুধ খাওয়ানোর একটি ফিডার পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, স্বজনই তাকে সেখানে ফেলে রেখে গেছে। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিভাবককে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

শেবাচিম হাসপাতালের উপপরিচালক মনিরুজ্জামান শাহীন জানান, শিশু ওয়ার্ডে পরিচয়হীন শিশুর বিষয়ে তাঁর কাছে কোনো তথ্য নেই।

সম্পর্কিত নিবন্ধ