Samakal:
2025-04-09@15:19:42 GMT

মিষ্টিকুমড়ার কম দামে হতাশ কৃষক

Published: 7th, February 2025 GMT

মিষ্টিকুমড়ার কম দামে হতাশ কৃষক

মুন্সীগঞ্জের আড়িয়ল বিলে প্রতি বছরের মতো এবারও মিষ্টিকুমড়ার ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু প্রত্যাশিত দাম না পেয়ে কৃষকের আশাভঙ্গ হয়েছে বলে জানা গেছে। 
কৃষকের ভাষ্য, গত বছরও প্রতি কেজি কুমড়া বিক্রি করেছেন ৩০ থেকে ৩২ টাকায়। এ বছর ১০ থেকে ১২ টাকায় নেমে এসেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শীত শেষে বসন্তের আগমনের এই সময়ে আড়িয়ল বিলে শাক-সবজির চাষাবাদ এবং কোথাও কোথাও ধান রোপণ করেছেন কৃষক। ধানের জমির আইলে উৎপাদন করা হয়েছে মিষ্টিকুমড়া ও লাউ। ঢাকা জেলার দোহার, নবাবগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদীখান ও শ্রীনগর উপজেলায় আড়িয়ল বিলের অবস্থান। বিলের বেশির ভাগ অংশ পড়েছে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর ও সিরাজদীখানে। আড়িয়ল বিলে ৭ হাজার ৯৭০ হেক্টর আবাদযোগ্য ভূমি রয়েছে। বছরের সব ঋতুতেই এখানে ফসল হয়।

শ্রীনগর ও সিরাজদীখানে আড়িয়ল বিল থেকে মিষ্টিকুমড়া সংগ্রহের ধুম পড়েছে। একই সঙ্গে ট্রলার ও নৌকায় বাজারজাত করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা। জমি থেকে কুমড়া তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে স্থানীয় গাদিঘাট বাজারে। পরে ট্রাকে করে বাজারজাত করা হচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে। এবারও একেকটি কুমড়ার ওজন হয়েছে ২০ কেজি থেকে ৯০ কেজি পর্যন্ত। উর্বরতার কারণে আড়িয়ল বিলে মিষ্টিকুমড়া বড় হয়ে থাকে। 

কৃষকরা জানিয়েছেন, আড়িয়ল বিলে সাধারণত দুই রকমের মিষ্টি কুমড়া চাষ করা হয়। একটি দেশি, অন্যটি হাইব্রিড। দেশি কুমড়া আকারে বেশ বড় হয়। রঙও হয় সুন্দর। এ জাতের কুমড়া ইঁদুর ও পোকার কারণে বেশি নষ্ট হয়। এ কারণে অনেক কৃষক হাইব্রিড জাতের কুমড়া চাষের দিকে ঝুঁকেছেন।

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের গাদিঘাট এলাকার কৃষক আবুল কাশেম এবারও মিষ্টিকুমড়া ফলিয়েছেন। হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, প্রতি কেজি কুমড়া এবার ১০-১২ টাকার বেশি বিক্রি করা যাচ্ছে না। গত বছরই এই কুমড়া বিক্রি করেছেন ৩০-৩২ টাকায়। বাজারে অন্য সবজিরও দাম কম।

আড়িয়ল বিলের গাদিঘাট গ্রামের কৃষক সাহাবুদ্দিন হাওলাদার বলেন, এ এলাকায় তাঁর মতো চার হাজার কৃষক আছেন। তারা অন্য ফসলের পাশাপাশি কুমড়াও ফলান। তাদের সবার অবস্থা প্রায় একই। তিনি বলেন, গত কয়েক বছরের মধ্যে এবার কুমড়ার ফলন অনেক বেশি। কিন্তু প্রত্যাশিত দামের চেয়ে অনেক কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

কৃষক নুরুল হক বলেন, বীজ লাগানোর পর থেকে নিয়মিত পানি-সার দেওয়ার পাশাপাশি অনেক পরিচর্যার কাজ করতে হয়। পরে পাকা কুমড়া বিলের ডাঙার পাড় থেকে শ্রমিক দিয়ে সংগ্রহ করে ঘাট পর্যন্ত আনতে হয়। এরপর পিকআপ বা ছোট ট্রাকে করে পাঠানো ঢাকার কারওয়ান বাজার ও মিরপুরে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই কাজে প্রতি ট্রাক কুমড়ায় খরচ হয় প্রায় ১৫ হাজার টাকার মতো। কিন্তু এবার কুমড়ার দাম এতটাই কমেছে যে, উৎপাদন খরচই উঠছে না।

নুরুল হক আরও বলেন, এবার কুমড়া চাষের মৌসুমে সারের দাম বেশি থাকায় উৎপাদন খরচও বেশি পড়েছে। প্রতি বস্তা সার ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, এবার মুন্সীগঞ্জে ২২৫ হেক্টর জমিতে মিষ্টিকুমড়ার চাষ হয়েছে। তাঁর দাবি, প্রতি কেজি কুমড়া কৃষকরা বিক্রি করছেন ১৫-২০ টাকায়।

মুন্সীগঞ্জ কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সামির হোসাইন সিয়াম বলেন, কৃষকরা যেন ভালো দাম পান, সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে। দেশের যেসব জেলায় কুমড়ার চাহিদা বেশি, সেসব জেলায় সরাসরি কুমড়া বাজারজাত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ র নগর ক ষকর

এছাড়াও পড়ুন:

অফফর্মে থাকা ম্যাক্সওয়েল এবার শাস্তির মুখে

আইপিএলের এবারের আসরে একেবারেই ছন্দহীন সময় কাটাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ব্যাট হাতে এখনো নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত চারটি ম্যাচে অংশ নিলেও ব্যাট থেকে এসেছে শুধুই হতাশা। তার সর্বোচ্চ ইনিংস মাত্র ৩০ রান, আর চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে গত ম্যাচে ফিরেছেন মাত্র ১ রানে।

খারাপ পারফরম্যান্সের মাঝেও এবার নতুন করে আলোচনায় এসেছেন ম্যাক্সওয়েল। তবে তা মাঠের বাইরের কারণে। আইপিএলের আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে তার ম্যাচ ফি’র ২৫ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়েছে এবং সঙ্গে যোগ হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও।

আইপিএল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার এই ক্রিকেটার আচরণবিধির ২.২ ধারায় লেভেল-১ মাত্রার অপরাধ করেছেন। যদিও ঠিক কোন ঘটনার জন্য এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ম্যাচ চলাকালে মাঠের সরঞ্জামাদি বা ‘ফিক্সচার ও ফিটিংস’ অপব্যবহারের কারণেই তাকে এই শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে।

আরো পড়ুন:

অদ্ভুতুড়ে আউট ঢাকা লিগে বিতর্ক

পারিশ্রমিক না পেলে ম্যাচ বয়কটের হুমকি পারটেক্সের

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “গ্লেন ম্যাক্সওয়েল তার কৃতকর্মের দায় স্বীকার করেছেন এবং ম্যাচ রেফারির সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। আইপিএলের আচরণবিধির লেভেল-১ ধারা অনুযায়ী, ম্যাচ রেফারির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বিবেচিত হয়।”

আইপিএলের আচরণবিধির ২.২ ধারা অনুযায়ী, যেকোনো ধরনের অখেলোয়াড়সুলভ কাজ—যেমন স্টাম্পে লাথি মারা, বিজ্ঞাপন বোর্ড বা ড্রেসিংরুমের জিনিসপত্র ভাঙচুর করা, ইচ্ছাকৃতভাবে মাঠের সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত করা ইত্যাদি অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।

ফর্মে না থাকা এবং মাঠের বাইরেও বিতর্কের মধ্যে পড়ে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের আইপিএল মৌসুম যে আরও কঠিন হয়ে উঠেছে, তা বলাই যায়।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ