Samakal:
2025-04-10@09:57:06 GMT

সরিষা পুষিয়ে দিল আমনের ক্ষতি

Published: 8th, March 2025 GMT

সরিষা পুষিয়ে দিল আমনের ক্ষতি

ফেনীতে আগস্টের ভয়াবহ বন্যায় অধিকাংশ আমন ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায়। ফসল নষ্ট হওয়ার পর জমি খালি পড়েছিল। এ সময় অন্য কোনো ফসল চাষাবাদ করার মতো সময়ও ছিল না। কৃষি বিভাগ চাষিদের পতিত জমিতে সরিষা চাষ করতে বলে। তারা সার ও বীজ দেয়। অনাবাদি সেই জমিতে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। সরিষা চাষে আমনের ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছেন ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের তেরবাড়িয়া গ্রামের কৃষক জাফর আহমদ। তিনি বলেন, ‘বন্যার পর চাষিরা ছিলেন দিশাহারা। কারণ আমন ফসলের ক্ষেত সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সরিষা চাষে আমনের ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে নিতে পেরেছি আমরা।’ লেমুয়া ইউনিয়নের তেরবাড়িয়া গ্রামের ফজলুল হক জানান, তিনি ৪২ শতক জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। ভালো ফলনের আশা করছেন তিনি। পরিবারের জন্য ভোজ্যতেল, জ্বালানি এবং গবাদি পশুর জন্য খৈলও মিলছে সরিষা থেকে। পরিবারের চাহিদার অতিরিক্ত তেল বিক্রি করে ভালো আয়ের আশায় আছেন ফজলুল হক।
কৃষকরা জানান, ধানের চেয়ে সরিষা চাষে খরচ কম। তাই বোরো চাষের আগে খরচ পোষাতে সরিষা চাষে আগ্রহী হয়েছেন কৃষকরা। যেসব জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে, সেখানে বোরো আবাদে ভালো ফলন পাওয়া যায়। কৃষি বিভাগ সরিষার বীজ, সার দিয়েছে। সরিষা পাকার আগে পাতা ও ফুল ঝরে পড়ে জমিতে জৈব সার তৈরি করে। 
কৃষাণী বিবি খোদেজা ও হাছিনা বেগম বলেন, ‘বন্যায় আমন ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেলে সরিষা চাষ করেছি। কৃষি বিভাগ থেকে সহযোগিতা করেছে। সংসারে তেলের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করতে পারছি।’ কৃষি উদ্যোক্তা নেছার উদ্দিন ও মোহাম্মদ রিমন বলেন, ‘বন্যা-পরবর্তী সময়ে ধানের ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় সরিষা চাষ করেছি। ভালো ফলনও হয়েছে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গত বছর জেলায় ৬ হাজার ৬৬ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছিল। চলতি বছর প্রায় ৭ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় ৫০০ হেক্টর বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে গড়ে দেড় মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদন হয়। চলতি বছর ৭ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে ১১ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শিপন চৌধুরী বলেন, ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা অল্প খরচে বেশি লাভবান হওয়া যায় এমন কিছু ফসল আবাদ করতে চেয়েছিলেন। আমরা তাদের সরিষা আবাদ করতে পরামর্শ দিই। কৃষকরা আমাদের কথা শুনে লাভবান হয়েছেন।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো.

একরাম উদ্দিন বলেন, ‘ফেনীতে এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে সরিষার আবাদ। বাম্পার ফলনও হয়েছে। সরিষা উৎপাদন বাড়ায় ভোজ্যতেলের আমদানি কমিয়ে স্থানীয়ভাবে চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ ষ কর ক ষকর

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের মাতাল বিমানযাত্রী সহযাত্রীর সঙ্গে যে আচরণ করলেন

এয়ার ইন্ডিয়ার এক যাত্রীর বিরুদ্ধে আরেক সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার দিল্লি থেকে ব্যাংককে যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে। এর আগেও ভারতের যাত্রীদের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা এটিই প্রথম নয়। তাঁরা একাধিকবার এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। গতকালের ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়া ও ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো অভিযোগের ঘটনা খতিয়ে দেখবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।

এয়ার ইন্ডিয়ার যে ফ্লাইটে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করার ঘটনা ঘটেছে, সেটার নম্বর এআই২৩৩৬। ভুক্তভোগী যাত্রীর অভিযোগের পর উড়োজাহাজের ক্রুরা ওই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেন।

এক বিবৃতিতে এয়ার ইন্ডিয়া ওই ঘটনাকে ‘উচ্ছৃঙ্খল আচরণ’ বলে মন্তব্য করেছে। এ ঘটনার কথা বেসামরিক বিমান চলাচল অধিদপ্তরকে (ডিজিসিএ) জানিয়েছে তারা এবং অভিযোগ খতিয়ে দেখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

এয়ার ইন্ডিয়া আরও জানিয়েছে, তাদের ক্রুরা যাত্রীদের কাছে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করছেন। পাশাপাশি ভুক্তভোগী যাত্রীকে ব্যাংককে নামার পর স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে অনুরোধ করেছেন। তবে ভুক্তভোগী যাত্রী প্রাথমিকভাবে ব্যাংককে অভিযোগ করবেন না বলে জানিয়েছেন।

ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী কে রামমোহন নাইডু বলেছেন, ‘যদি কোনো অন্যায় করা হয়ে থাকে, আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’ তাঁর মন্ত্রণালয় বিষয়টি তদন্ত করবে এবং ফ্লাইট পরিচালনা কর্তৃপক্ষগুলোর সঙ্গে কথা বলবে।

ঘটনা খতিয়ে দেখতে এয়ার ইন্ডিয়া একটি স্বাধীন কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। কমিটি ঘটনা যাচাই করে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানাবে।

এর আগে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে আর্য ভোহরা নামের এক ভারতীয় শিক্ষার্থী একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করেছিলেন। এই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারলাইনস তাঁকে নিষিদ্ধ করে। আর্য ভোহরা যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।

ওই ঘটনার কয়েক মাস পর ২০২৪ সালের নভেম্বরে একই ধরনের আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল। তখন শংকর মিশ্র নামের এয়ার ইন্ডিয়ার এক যাত্রী মাতাল অবস্থায় এক বয়স্ক নারী সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করে দিয়েছিলেন। এই ঘটনায় বেশ সমালোচনা হয়েছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ