2025-04-01@08:23:04 GMT
إجمالي نتائج البحث: 167
«বইয় র ন ম»:
খেলার দুনিয়ায় ভারত-পাকিস্তানের বিখ্যাত প্রেমের কথা বললে একসময় মহসিন খান-রীনা রায়ের উদাহরণ আসত। সাবেক পাকিস্তানি ওপেনিং ব্যাটসম্যান মহসিন খান অবশ্য ভারতীয় কোনো খেলোয়াড়কে নয়, বিয়ে করেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী রীনা রায়কে। বছর দশেক পর ভেঙে গিয়েছিল তাঁদের সেই সংসার। এর আগে-পরে ভারত-পাকিস্তানের অনেক জুটির প্রেমের গুঞ্জন শোনা গেছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেগুলো ছিল পাকিস্তানি ক্রিকেটার ও বলিউডের নায়িকাদের নিয়ে। ইমরান খান-জিনাত আমান (মুনমুন সেন এবং রেখার নামটাও যোগ করে নিতে পারেন), ওয়াসিম আকরাম-সুস্মিতা সেন, শোয়েব আখতার-সোনালি বেন্দ্রে—সবই শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই রয়ে গেছে। তবে সব ছাপিয়ে এখন পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তানের সবচেয়ে বিখ্যাত জুটি সম্ভবত শোয়েব মালিক-সানিয়া মির্জা। সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক মালিকের সঙ্গে ভারতীয় টেনিসের গ্ল্যামার গার্ল সানিয়ার প্রেম ও বিয়ে নিয়ে হয়েছে তুমুল মাতামাতি। কীভাবে হয়েছিল দুজনের প্রেম এবং তারপর বিয়ে, তা নিয়ে...
সিনেমার গানভক্তদের মতে, নব্বইয়ের দশকের অডিও অ্যালবামের রাজপুত্র ছিলেন প্রিন্স মাহমুদ। তাঁর সুরারোপিত প্রায় প্রতিটি গানেই বুঁদ ছিলেন ভক্ত-শ্রোতারা। কিন্তু ওই সময় সিনেমার গানে পাওয়া যায়নি তাঁকে। প্রস্তাব পেলেও করা হয়ে ওঠেনি। কারণ জানতে চাইলে প্রিন্স মাহমুদ বলেন, ‘অডিওর গান নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। ছবির গানের জন্য বেশি মনোযোগ দিতে হয়। অডিওর ব্যস্ততার কারণে সেই মনোযোগ দিতে পারিনি।’মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দার সংগীতে অভিষেক হয় প্রিন্স মাহমুদের। ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবিতে ‘জেলখানার চিঠি’ গানটিতে সুর করেন। এরপর ২০১৫ সালে অনিমেষ আইচের ‘জিরো ডিগ্রি’তে ‘প্রেম ও ঘৃণা’ গানটিও সুর করেন। মাঝে বিরতি শেষে প্রিন্স আবার সিনেমার গানে ফেরেন ২০২৩ সালে। হিমেল আশরাফ পরিচালিত ‘প্রিয়তমা’ সিনেমার ‘ঈশ্বর’ গানটি মুক্তির পর ব্যাপক সাড়া ফেলে।...
ফড়িং সোনা, ঈদের ছুটি কাটাতে কেউ যাচ্ছো গ্রামে, কেউবা দর্শনীয় কোনো স্থানে। কেউ আবার দেশের বাইরে। এই ঈদের ছুটিকে আরও রাঙিয়ে তুলতে পারো গল্পের বইয়ের সঙ্গে। শৈশব প্রকাশ থেকে প্রকাশিত এমন কিছু মন রাঙানো বইয়ের খোঁজ দিচ্ছেন আশিক মুস্তাফা স্কুলে ছুটির ঘণ্টা পড়েছে সে কবে! তা ঈদে কই যাচ্ছো? নিশ্চয় কেউ যাচ্ছো বাড়ি, কেউ আবার ঠিক করেছো দর্শনীয় স্থানে ঘুরে দেখার। কেউ আবার দেশের বাইরে। বলি, তোমাদের মতো জুটুন মামাও ঘুরতে যায়। সুযোগ পেলেই তার মন যেন পালাই পালাই করে! কিছুদিন আগের কথা। জুটুন মামা গেলো সুন্দরবন। যাওয়ার আগে অরণ্যদের কথা দিয়ে গেলো তাদের জন্য একটি বাঘের বাচ্চা নিয়ে আসবে। সেই বাচ্চার গলায় দড়ি দিয়ে তারা পাড়ায় ঘুরবে! এসব শুনে অরণ্যরা টিফিনের টাকা জমিয়ে জুটুন মামাকে একটা বাঘের টিশার্ট বানিয়ে...
ডারোন আসিমোগলু ও জেমস এ রবিনসন তাঁদের বই হোয়াই নেশনস ফেইল: দ্য অরিজিনস অব পাওয়ার, প্রসপারিটি অ্যান্ড পোভার্টি-এ একটি জাতির ব্যর্থতার কারণগুলো ব্যাখ্যা করেছেন। বইয়ের উপসংহার হচ্ছে, কোনো দেশের অর্থনৈতিক সাফল্য বা ব্যর্থতা ভৌগোলিক অবস্থান, সংস্কৃতি বা প্রাকৃতিক সম্পদের দ্বারা নির্ধারিত হয় না। নির্ধারিত হয় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে।এই বইয়ে দুটি বিপরীতধর্মী প্রতিষ্ঠানের আলোচনা আছে। প্রথমটি হলো অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠান, যা লেখকদের মতে, সমৃদ্ধির মূল চাবিকাঠি। কারণ, এগুলো দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার ভিত্তি তৈরি করে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো নির্ধারিত হয় নিরাপদ সম্পত্তির অধিকার দ্বারা (যেখানে রাষ্ট্র ব্যক্তির এবং ব্যবসার মালিকানা ও বিনিয়োগ সুরক্ষিত রাখে), আইনের শাসনের প্রতি প্রতিশ্রুতি, ন্যায্য ও উন্মুক্ত বাজারব্যবস্থা, রাজনীতিতে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ আর সৃষ্টিশীল ধ্বংস (সৃষ্টিশীল ধ্বংস একটি প্রক্রিয়া, যা নতুন উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে, যদিও এটি...
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সনজীদা খাতুনের মরদেহ ছায়ানট প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে মরদেহ পৌঁছালে শ্রদ্ধা জানান তার সহকর্মী, শিক্ষার্থী ও শিল্পীরা। পরিবার সূত্র জানিয়েছে, ছায়ানটে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে মরদেহ নেওয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এদিন সন্জীদা খাতুনকে শেষবারের মতো দেখতে সকাল থেকেই ছায়ানট ভবনে আসতে শুরু করেন সঙ্গীতপ্রেমীসহ নানা অঙ্গনের মানুষ। এ সময় রবীন্দ্র সঙ্গীত ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’ পরিবেশন করেন শিক্ষার্থীরা। ফুলেল শ্রদ্ধায় ভরে উঠে সন্জীদা খাতুনের মরদেহ রাখার বেদী। প্রসঙ্গত, বাঙালি সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা, ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সভাপতি সন্জীদা খাতুন গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয় অধ্যাপক কাজী মোতাহার হোসেনের মেয়ে সন্জীদা খাতুনের জন্ম ১৯৩৩ সালের ৪...
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সনজীদা খাতুনের মরদেহ ছায়ানট প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে মরদেহ পৌঁছালে শ্রদ্ধা জানান তার সহকর্মী, শিক্ষার্থী ও শিল্পীরা। পরিবার সূত্র জানিয়েছে, ছায়ানটে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে মরদেহ নেওয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এদিন সনজীদা খাতুনকে শেষবারের মতো দেখতে সকাল থেকেই ছায়ানট ভবনে আসতে শুরু করেন সঙ্গীতপ্রেমীসহ নানা অঙ্গনের মানুষ। এ সময় রবীন্দ্র সঙ্গীত ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’ পরিবেশন করেন শিক্ষার্থীরা। ফুলেল শ্রদ্ধায় ভরে উঠে সনজীদা খাতুনের মরদেহ রাখার বেদী। প্রসঙ্গত, বাঙালি সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা, ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সভাপতি সন্জীদা খাতুন গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয় অধ্যাপক কাজী মোতাহার হোসেনের মেয়ে সন্জীদা খাতুনের জন্ম ১৯৩৩...
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সনজীদা খাতুনের মরদেহ ছায়ানট প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে মরদেহ পৌঁছালে শ্রদ্ধা জানান তার সহকর্মী, শিক্ষার্থী ও শিল্পীরা। পরিবার সূত্র জানিয়েছে, ছায়ানটে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে মরদেহ নেওয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এদিন সনজীদা খাতুনকে শেষবারের মতো দেখতে সকাল থেকেই ছায়ানট ভবনে আসতে শুরু করেন সঙ্গীতপ্রেমীসহ নানা অঙ্গনের মানুষ। এ সময় রবীন্দ্র সঙ্গীত ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’ পরিবেশন করেন শিক্ষার্থীরা। ফুলেল শ্রদ্ধায় ভরে উঠে সনজীদা খাতুনের মরদেহ রাখার বেদী। প্রসঙ্গত, বাঙালি সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা, ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সভাপতি সন্জীদা খাতুন গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয় অধ্যাপক কাজী মোতাহার হোসেনের মেয়ে সন্জীদা খাতুনের জন্ম ১৯৩৩...
গ্রন্থাগার থেকে নেওয়া বই সবাই সাধারণত নির্ধারিত তারিখের মধ্যেই জমা দেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কয়েক দিন এদিক–সেদিক হতে পারে বৈকি। তাই বলে ৯৮ বছর! হ্যাঁ, যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের একটি গ্রন্থাগার থেকে নেওয়া বই ফিরেছে পুরো ৯৮ বছর পর। বইটি বার্ট্রান্ড ডব্লিউ সিনক্লেয়ারের লেখা ওয়াইল্ড ওয়েস্ট।সিনসিনাটি অ্যান্ড হ্যামিল্টন কাউন্টি পাবলিক লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি বইটি ফেরত আসার খবর দিয়েছে। তারা বলেছে, ১৯২৬ সালে সর্বশেষ পড়তে নেওয়া বইটি গত বছরের শেষ দিকে তাদের প্রিন্স হিল শাখায় ফিরে এসেছে। এত দিন পর কোথা থেকে বইটি গ্রন্থাগারে ফেরত এল, সে উত্তরও দিয়েছে গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ।গ্রন্থাগারিক ক্রিস্টোফার স্মিথ বলেছেন, একটি পরিবার তাদের একজন বয়স্ক স্বজনের বাড়ির বইয়ের তাকে থাকা ওই বইটি খুঁজে পেয়েছেন। বই পাওয়ার কয়েক দিন আগে ওই স্বজন মারা যান।স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডব্লিউভিএক্সইউ নিউজকে...
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাল্টিপারপাস হলে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো ‘নেক্সট৫০: কালেকটিভ ফিউচারস’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান। এই বইয়ে দেশ ও দেশের বাইরে অবস্থানরত ৮১ জন শিক্ষক ও গবেষক বাংলাদেশের আগামী ৫০ বছরের উন্নয়ন ও উদ্ভাবনের সম্ভাবনাগুলো তুলে ধরেছেন।৯টি মূল বিষয়ে বিভক্ত ৪৯টি অধ্যায়ে বইটিতে নগরায়ণ, অবকাঠামো, জলবায়ু সহনশীলতা, আবাসন, শাসনব্যবস্থা এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মতো বিষয়গুলো নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে বইটিতে।মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার এবং আবুল খায়ের গ্রুপের ব্র্যান্ড মার্কেটিং ডিরেক্টর নওশাদ চৌধুরী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দেশের স্বনামধন্য স্থপতি, নগর-পরিকল্পনাবিদ ও গবেষকেরা।অনুষ্ঠানে বইটির ভূমিকা উপস্থাপন করেন এর প্রধান সম্পাদক এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব আর্কিটেকচার অ্যান্ড ডিজাইনের ডিন অধ্যাপক ফুয়াদ এইচ মল্লিক।বুয়েটের অধ্যাপক মোহাম্মদ জাকিউল ইসলাম বইটির আন্তবিভাগীয় দৃষ্টিভঙ্গি এবং বাংলাদেশের দ্রুত পরিবর্তনশীল নগরকাঠামোর জন্য এর...
অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, সংস্কারের বিষয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোই সিদ্ধান্ত নেবে। তারা এখন কতটা (সংস্কার) চায়, নির্বাচনের পর কতটা চায়, সে সিদ্ধান্ত তারাই নেবে।আজ শনিবার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় এ কথা বলেন উপদেষ্টা। ‘গণ–অভ্যুত্থান–পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ: চ্যালেঞ্জ, জাতীয় স্বার্থ ও ঐক্যের পথরেখা’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও তরুণ সমাজের প্রতিনিধিরা।এরশাদ পতন আন্দোলনে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘আমি নব্বইয়ের একজন সংগঠক হিসেবে এরশাদের বিরুদ্ধে প্রথম দিন থেকে লড়াই করে বিজয় এনেছিলাম। সেই বিজয় ধরে রাখতে পারিনি। আজকের প্রজন্ম যেন সতর্ক থাকে তাদের বিজয় ধরে রাখার জন্য। ৫ আগস্টের ঐক্য ধরে রাখতে হবে, এটা বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা।’‘৩৬...
১৯৭১ সালের ১ মার্চে সংসদ অধিবেশন বাতিল হওয়ার পর শেখ মুজিবুর রহমান সারা দেশে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। অসহযোগ আন্দোলনের প্রভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনের আনুগত্য কমতে থাকে। একই অবস্থা সামরিক বাহিনীতেও লক্ষ করা যায়। অবসরপ্রাপ্ত বাঙালি সৈনিকেরাও শেখ মুজিবের ডাকে সাড়া দেন।তৎকালীন গভর্নরের সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী হাউ পাকিস্তান গট ডিভাইডেড বইয়ে তখনকার পরিস্থিতি সম্পর্কে লিখেছেন, ‘এ সময়ে খুব উল্লেখযোগ্য ও উদ্বেগজনক অবস্থা পরিলক্ষিত হয়, যেখানে সশস্ত্র বাহিনীর পূর্ব পাকিস্তানি সদস্যদের আনুগত্য সন্দেহের চোখে দেখা হতে থাকে। এ সময়ে কর্নেল ওসমানীর নেতৃত্বে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা ঘন ঘন বৈঠকে মিলিত হতে থাকেন। উদ্দেশ্য, সাংবিধানিকভাবে সমস্যার সমাধান না হলে আওয়ামী লীগের পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী গঠনের প্রস্তুতি।’২ মার্চ শেখ মুজিব এক বিবৃতিতে...
ছয়-গম্বুজের মসজিদ। পদ্মফুলের ওপর কলসের নকশায় সাজানো হয়েছে গম্বুজের চূড়া। কমলা রঙে রঙিন গম্বুজের জৌলুশ যেন কিছুটা ম্লান করে দেয় মসজিদটির বাইরের দেয়াল। বিবর্ণ হয়ে যাওয়া দেয়ালটিতে শেওলা জমেছে। যদিও মসজিদের ভেতরে সবকিছুই বেশ পরিপাটি। মসজিদটির ভেতরে-বাইরের নানা কারুকার্য আর স্থাপত্যশৈলী ছড়ায় মুগ্ধতা।চট্টগ্রাম নগরের চকবাজারে অবস্থিত এই মসজিদটি। নাম ‘ওয়ালী বেগ খান জামে মসজিদ’। তবে পরিচিত ‘অলি খাঁ মসজিদ’ নামেও। মসজিদটির বয়স তিন শ বছরের বেশি। চট্টগ্রাম নগরে আঠারো শতকের আগে নির্মিত সাতটি পাকা মসিজদের বিবরণ বিভিন্ন ঐতিহাসিক সূত্রে পাওয়া যায়, যার এর একটি এই মসজিদ।চট্টগ্রামের মুসলিমদের পুরাকীর্তির বিবরণসহ প্রথমবারের মতো বেশ কিছু শিলালিপির পাঠ পাওয়া যায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাবাহিনীর এক সদস্যের লেখা ভ্রমণবৃত্তান্তে। তাঁর নাম—ক্যাপ্টেন পগসন। ১৮৩১ সালে শ্রীরামপুর প্রেস থেকে প্রকাশিত হয় তাঁর ‘ক্যাপ্টেন পগসন্স ন্যারেটিভ ডিউরিং...
মো. নুর আলম চৌধুরীর কাছ থেকে এখন সময় পাওয়া খুব কঠিন। ৭৬ বছর বয়সে দাঁড়িয়েও তাঁকে সামলাতে হয় অনেক কিছু। গত সোমবার দুপুরে রাজধানীর নীলক্ষেতের ২ নম্বর গলিতে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক অপেক্ষার পর তিনি এলেন। কথা বলতে অনাগ্রহী। বললেন, ‘আমি বয়স্ক মানুষ, রোজার সময় কষ্ট হয় বেশি কথা বলতে। অন্যদিন আসবেন?’তবে অন্যদিন যেতে হয়নি। প্রবীণ মানুষটির কাছে পুরোনো বই, ঢাকা শহরের দাঙ্গা, ফুলবাড়িয়া রেলস্টেশনের মতো প্রসঙ্গগুলো তুললে নিজেই শুরু করলেন কথার পিঠে কথা। গত শতকের পঞ্চাশের দশকের শেষে সন্দ্বীপে নদীভাঙনে সব হারানো নুর আলমের জীবনের গল্প শুনলে আশ্চর্যই হতে হয়। হয়তো একেই বলে ‘শূন্য থেকে পূর্ণ হওয়া’।মো. নুর আলম মাত্র ১২ বছর বয়সে ঢাকা শহরে এসে টিকে থাকতে রিকশা চালিয়েছেন। কখনো রাজমিস্ত্রির জোগালি হয়ে আধুলি পেয়েছেন পারিশ্রমিক হিসেবে। নীলক্ষেতের ফুটপাতে...
প্রিন্স মাহমুদ। নব্বইয়ের দশকের সংগীত অনুরাগীদের ভালোবাসার নাম। তাঁর সুরে বুঁদ ভক্ত-শ্রোতারা। নব্বইয়ের দশক কেন, আজকের এই দিন, এই সময় পর্যন্ত তিনি সমান জনপ্রিয়। নগরবাউল জেমসের সঙ্গে একাধিক গান হয়েছে তাঁর। এ জুটির ‘মা’, ‘বাবা’, ‘বাংলাদেশ’ শিরোনামের গানগুলো কালজয়ী তকমা পেয়েছে। শ্রোতারা তাই বারবার এ জুটির গান প্রত্যাশা করেন। অপেক্ষায় থাকছেন কবে তারা আবার একসঙ্গে কাজ করবেন। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে প্রিন্স মাহমুদ জানান, জেমসের সঙ্গে তাঁর গানের পরিকল্পনা চলছে। সে সাক্ষাৎকারের সূত্র ধরেই যোগাযোগ করা হয় বহু কালজয়ী গানের এই সুরস্রষ্টার সঙ্গে। প্রিন্স মাহমুদ সমকালকে জানান, গান নিয়ে তুমুল ব্যস্ত সময় যাচ্ছে তাঁর। জেমসকে নিয়ে নতুন গানের পরিকল্পনা চলছে। তবে সেটি এখনও প্রাথমিক অবস্থায় আছে। বিস্তারিত জানাতে সময় লাগবে। জেমস ও প্রিন্স মাহমুদ দু’জন নিজ নিজ অঙ্গনে ব্যস্ত আছেন। জেমস...
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতাদের ‘বাবা’ সম্বোধন করে তাদের সতর্ক করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তাদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, “তোমরা অনেক বড় বড় দায়িত্ব পালন করেছ, কিন্তু আরো বড় দায়িত্ব পালন বাকি আছে। একাত্তরে আমরা যে সুযোগ নষ্ট করেছি, তোমরা সেই সুযোগটা নষ্ট হতে দিও না। তোমরা আমাদের জুলাইয়ের নেতা ছিলে, আরো অন্তত পাঁচ-দশ বছর আমাদের নেতা থেকে রাষ্ট্রকে একটা কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছে দিও। এটাই আমার প্রত্যাশা।” শনিবার (১৫ মার্চ) বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার গণ-অভ্যুত্থানবিষয়ক ‘জুলাই: মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের উদ্দেশে অনুষ্ঠানে আসিফ নজরুল বলেন, “আমি তোমাদের ওয়ার্ন (সতর্ক) করে দিই, বাবা, অনেক কষ্ট...
অভ্যুত্থানে নানা অংশীজন, নানা মানুষের আত্মত্যাগ রয়েছে। প্রত্যেকের আলাদা গল্প রয়েছে। এমন আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। স্বাধীনতার পরে গত ৫৩ বছরে সে আকাঙ্ক্ষাগুলো পূরণ হয়নি। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সেই গণতান্ত্রিক উত্তরণের সুযোগ যেন নষ্ট না হয়। শনিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার ‘জুলাই: মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা এ সব কথা বলেন। বইটি প্রকাশ করেছে প্রথমা প্রকাশন। প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং যুগ্ম আহ্বায়ক রশিদুল ইসলাম রিফাত বক্তব্য রাখেন। এ সময় উপদেষ্টা ফাওজুল কবির, ঐক্যমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, উপদেষ্টা মাহফুজ...
প্রখ্যাত স্কটিশ ইতিহাসবিদ উইলিয়াম মন্টেগমেরি ওয়াট রচিত মুহাম্মদ অ্যাট মক্কা এবং মুহাম্মদ অ্যাট মদিনা বই দুটি প্রকাশের পর লেখক আবার এই বই দুটি মিলিয়ে সংক্ষিপ্ত আকারে আরেকটি বই রচনা করেন। সেটির শিরোনাম মুহাম্মদ: প্রফেট অ্যান্ড স্টেটসম্যান। এটি ছোট পরিসরে মহানবী (সা.)-এর জীবন ও কাজের একটি ধারাবাহিক ও বিশ্লেষণধর্মী পরিক্রমা।এডিনবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ও ইসলামি অধ্যয়ন বিষয়ের এমিরেটাস প্রফেসর ওয়াট এ বইয়ের দশটি মূল অধ্যায়ে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তুলে ধরেছেন। অধ্যায়গুলো হলো—প্রতিভাবান এতিম, নব্যুয়তের ডাক, বিরোধিতা ও প্রত্যাখ্যান, মদিনায় হিজরত, মক্কাবাসীর উসকানি, মক্কাবাসীর ব্যর্থ প্রত্যাঘাত, মক্কা বিজয়, আরবের শাসক এবং মূল্যায়ন।বইটিতে লেখক মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন ও কর্ম তথা ইসলামের অভ্যুদয়ের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটের আলোকে বিশ্লেষণের চেষ্টা করেছেন। এখানে বিস্তারিত ও খুঁটিনাটি বিবরণ ও বর্ণনা বাদ...
শেক্সপিয়ারের রাজকুমার হ্যামলেট সংশয়বাদী। সেই কারণে সে বলেছে, ‘টু বি অর নট টু বি, দ্যাট ইজ দ্য কোয়েশ্চেন।’ ‘টু বি’ মানে ‘বেঁচে থাকা’ আর ‘নট টু বি’ মানে ‘মৃত্যু’। কোনটা সে বেছে নেবে, সেটিই তার সামনে বিরাট প্রশ্ন।যেহেতু মৃত্যুই শেষ পরিণতি, তাই সংকটময় পরিস্থিতিতে বাস্তবতা মেনে নিয়ে মৃত্যুর কাছে সঁপে দেওয়াই ঠিক হবে; নাকি যেকোনো উপায়ে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই চালিয়ে যাওয়া ঠিক হবে, তা হ্যামলেট ঠিক করে উঠতে পারেনি। তার মনে দ্বিধা থেকে গেছে।ডোনাল্ড ট্রাম্প মাফিয়া সর্দারের মতো করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউসে ডেকে নিয়ে ক্যামেরার সামনে যাচ্ছেতাই অপমান করে তাঁকে প্রকারান্তরে ‘বাড়ি থেকে বের করে’ দিয়েছেন। এরপর জেলেনস্কি সম্ভবত হ্যামলেটের ‘টু বি অর নট টু বি’ দশায় পড়েছেন।আরও পড়ুনআসুন, ইউক্রেন যুদ্ধের মূল (খল) নায়কের সঙ্গে...
আইপিএল শুরুর আগেই বড় ধাক্কা খেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। দলের সেরা অস্ত্র, পেস আক্রমণের ভরসা জাসপ্রিত বুমরাহকে প্রথম কয়েকটি ম্যাচে পাচ্ছে না ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। মার্চের পুরোটা তো বটেই, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেও তার মাঠে নামার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছে ক্রিকেট মহল। ভারতের তারকা পেসার এখনো বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে (এনসিএ) পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন। বিসিসিআই-এর মেডিকেল টিম এখনো তাকে পুরোপুরি ফিট ঘোষণা করেনি। ছাড়পত্র না পাওয়া পর্যন্ত মুম্বই দলে যোগ দেওয়া সম্ভব নয় তার জন্য। ২০২৩ সালে পিঠের অস্ত্রোপচারের পর এটিই তার প্রথম বড় ধাক্কা। সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিডনি টেস্টে বোলিং করতে গিয়েই পুরনো চোটে ভুগতে শুরু করেন তিনি। এরপর থেকে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে তাকে দেখা যায়নি। আরো পড়ুন: প্রিমিয়ার লিগে বোলারদের দিন ‘ব্যাট অথবা বল হাতে,...
প্রতিটি গল্পের একটি গন্তব্য থাকে, যাকে বলা হয় পরিণতি। মহাভারতেরও গন্তব্য ছিল কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে পক্ষ-প্রতিপক্ষ হিসেবে সামনের সারিতে যারা ছিলেন, তাদের ঘিরে এগিয়েছে আখ্যান। এর বাইরে গল্পের প্রয়োজনে সৃষ্টি হয়েছে নানা চরিত্র। অনেক চরিত্র আবার গল্পের প্রয়োজনে হারিয়ে গেছে। তবে কিছু চরিত্র না হারালেও পায়নি বিশেষ গুরুত্ব। তেমনি পাঁচ নারী চরিত্র নিয়ে মাহমুদুর রহমান লিখেছেন ‘পঞ্চকন্যা’। হিড়িম্বা, সত্যবতী, সুভদ্রা, অম্বা ও গান্ধারী– এই বইয়ের প্রধান চরিত্র। প্রশ্ন জাগতে পারে, কেন এই পাঁচ নারীকে আলাদাভাবে উপস্থাপন বা পড়ার প্রয়োজন রয়েছে। উপস্থাপনের প্রয়োজনীয়তা পাঠক হিসেবে আমার বলা সাজে না। সেটি লেখকের বলাই শ্রেয়। লেখক ফ্ল্যাপে কিছুটা তুলে ধরেছেন এভাবে, ‘আধুনিক অগ্রসর যুগেও পুরাণের নারীকে দেখা হয় অবাস্তব চরিত্র হিসেবে। তাদের বাস্তবতা প্রকাশ এবং নারীর প্রত্যয় শক্তি ও মনের দ্বন্দ্ব নিয়েই...
এবার ১৬ মার্চের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সব বই দেওয়ার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান। আজ মঙ্গলবার এনসিটিবি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই আশা প্রকাশ করেন এনসিটিবি চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছিলাম আজ-কালের মধ্যে সব বই দেওয়ার জন্য। এখন আমরা প্রতিযোগিতা করছি ২০২৩ সালের ১৭ মার্চের সঙ্গে (তাঁর তথ্য অনুযায়ী ওই বছর সর্বশেষ বই দেওয়া হয়েছিল ১৭ মার্চ)। এখন ১৬ মার্চের মধ্যে দিতে পারলেও পেছনের দিক থেকে দ্বিতীয় হব।’সংবাদ সম্মেলনে এনসিটিবির সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) অধ্যাপক রিয়াদ চৌধুরী জানান, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে এবার মোট বইয়ের সংখ্যা ৩৯ কোটি ৬০ লাখের বেশি। এর মধ্যে গতকাল পর্যন্ত মুদ্রিত হয়েছে ৩৮ কোটি ৭০ লাখ ৪ হাজারের মতো।...
অষ্টম শ্রেণিতে পডুয়া ছেলের জন্য ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র মডেল বই কিনতে কিশোরগঞ্জের ভৈরব শহরের একটি বইয়ের দোকানে যান মুদিদোকানের কর্মচারী কামাল হোসেন। চাইতেই স্বল্প আয়ের মানুষটিকে ধরিয়ে দেওয়া হলো দুটি বইয়ের একটি প্যাকেট। প্যাকেটে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পাশাপাশি আছে বাংলা দ্বিতীয় পত্র গাইড বই। বই দুটির দাম ১ হাজার ৬০ টাকা।কামাল বলেন, বাংলা দ্বিতীয় পত্র বইয়ের প্রয়োজন নেই বলতেই পুস্তক বিক্রয় কর্মচারী সাফ জানিয়ে দেন, শুধু একটা দেওয়া হবে না। অন্য দোকানে গিয়েও একই কথা শুনতে হয়েছে। শেষে সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে বাধ্য হয়ে চাওয়া মূল্য পরিশোধ করে জোড়া বই কিনতে হলো। কামাল থাকেন হাজী আসমত কলেজ সড়ক এলাকায়।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভৈরবে মাধ্যমিকের সব কটি শ্রেণিতে বাংলা দ্বিতীয় পত্র ছাড়া যেমন ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র কেনা যাচ্ছে না। তেমনি ইংরেজি...
প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের মোট ৩৯ কোটি ৬০ লাখ পাঠ্যবইয়ের মধ্যে ৩৮ কোটি ২৯ লাখ ৬১ হাজার কপি ছাপানো হয়েছে। ছাপানো বই মোট বইয়ের ৯৭ দশমিক ২ শতাংশ। আজ সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, চলতি শিক্ষাবর্ষে ৪ কোটির মতো শিক্ষার্থীর জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের ৩৯ কোটি ৬০ লাখের বেশি বই ছাপানো হচ্ছে। এর মধ্যে মাধ্যমিকে (মাদ্রাসার ইবতেদায়িসহ) মোট বইয়ের সংখ্যা ৩০ কোটির বেশি। আর প্রাথমিকের মোট পাঠ্যবই ৯ কোটির বেশি। শিক্ষাক্রম পরিবর্তন, পাঠ্যবই পরিমার্জনসহ কিছু সমস্যার কারণে শিক্ষা বিভাগ থেকে আগেই বলা হয়েছিল, এবার বই পেতে কিছুটা দেরি হবে। কিন্তু এখন সেই দেরি অনেক বেশি হচ্ছে।সংবাদ ব্রিফিংয়ে উপপ্রেস সচিব আবুল...
এক কক্ষের পাকা একটি ঘর। তিন পাশে আলমারি। তাতে সাজানো সারি সারি বই। গল্প, উপন্যাস, দর্শন, ধর্ম আলাদা করে ভাগ করে রাখা হয়েছে বিষয় অনুযায়ী। রয়েছে কবিতা, কিশোর সাহিত্য, ইতিহাস, খেলাধুলা, বিজ্ঞান, রাজনীতির বইও। সামনে রাখা লম্বা টেবিলে কয়েকটি কাঠের চেয়ার। সেখানে বসে বইয়ের পাতায় মগ্ন কয়েকজন কিশোর ও বৃদ্ধ। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের গণপাঠাগারে গিয়ে চোখে পড়ল এমন দৃশ্য।তবে শুধু মান্দারী নয়, লক্ষ্মীপুর জেলার ৫টি উপজেলার ৩৬টি ইউপি কার্যালয়ে গণগ্রন্থাগার স্থাপন করা হয়েছে। বাকি ২২টি ইউপি কার্যালয়ে গ্রন্থাগার স্থাপনের কাজ প্রক্রিয়াধীন। লক্ষ্মীপুর জেলা ও উপজেলা প্রশাসন উদ্যোগী হয়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন গণগ্রন্থাগারগুলো। এতে যুক্ত হয়েছেন শিক্ষকসহ নানা পেশার মানুষ।বই পাঠে মগ্ন দুই তরুণ। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদে
পবিত্র জোহরের নামাজের পরে সিঁড়ি বেয়ে মসজিদ থেকে নেমে আসছিলেন সহকারী ইমাম মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। তাঁর জীবনের একটি বড় অংশ কাটিয়ে দিয়েছেন পুরান ঢাকার ৩১৯ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক খান মোহাম্মদ মিরধার মসজিদে মুয়াজ্জিন ও ইমাম হিসেবে। বহু গল্প জমে আছে তাঁর ঝুলিতে। মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ গত মঙ্গলবার মসজিদটি ঘুরে দেখাতে দেখাতে তার কিছু শোনালেন একটু একটু করে। একসময় নিচু স্বরে বললেন, এই মসজিদে কিন্তু ‘জিন’ও আছে। লালবাগ-আতিশখানা-আমলীগোলা এলাকায় লোকজনের কাছে যদি ‘জিনের মসজিদ’ যাওয়ার পথ জানতে চান, তাহলে তারা এই মসজিদে আসার পথ দেখিয়ে দেবে।কী ছিল আতিশখানায়খান মোহাম্মদ মিরধার মসজিদটি ১২১ লালবাগ রোডে। তবে ইতিহাসের বই–পুস্তকে এর অবস্থান আতিশখানায় বলে বর্ণনা করা হয়েছে। আতিশখানা রোডটি মসজিদটির পাশেই। আগে মসজিদটি আতিশখানা মহল্লাতেই ছিল, তবে এখন পড়েছে লালবাগ অঞ্চলে। এটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের...
সমালোচনা যাঁরা করেন, তাঁরাই এবার সমালোচনার মধ্যে পড়লেন। পাকিস্তানের বর্তমান ক্রিকেট দলের ভালো–মন্দ নিয়ে বেশ কড়া ভাষায় সমালোচনা করতে দেখা যায় ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিসসহ নব্বইয়ের দশকের খেলোয়াড়দের। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও পাকিস্তানের ব্যর্থতার পর দলের সমালোচনা করেছেন তাঁরা। এবার তাঁদেরই একহাত নিলেন নব্বইয়ের দশকের আরেক ক্রিকেটার রশিদ লতিফ। পাকিস্তানের সাবেক এই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান ওয়াসিম-ওয়াকারের প্রতি নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।জিও নিউজে রশিদ বলেছেন এভাবে, ‘পাকিস্তানকে আরেকটি (১৯৯২–এর পর) বিশ্বকাপ জিততে ১৭ বছর লেগেছে। কারণ, নব্বইয়ের দশকের খেলোয়াড়েরা পাকিস্তান ক্রিকেটের যা–তা অবস্থা করেছে। নব্বইয়ের দশকের খেলোয়াড়দের দল এবং ম্যানেজমেন্ট থেকে দূরে রাখুন, তাহলেই তারা জিততে পারবে। তারা তো অনেক দিন ধরে পাকিস্তান ক্রিকেটে কাজ করছে, তাই আমি মনে করি, এখন তাদের বিশ্রাম নেওয়া উচিত।’রশিদের মধ্যে ওয়াসিম ও ওয়াকারের প্রতি রশিদের ক্ষোভটা একটু বেশিই দেখা...
এ ক ছুটির দিনে অমর একুশে বইমেলা গিয়েছিলাম মুন্সীগঞ্জ থেকে। তার আগেও গিয়েছিলাম। সেটি ছিলো আমার প্রথম বইমেলা। সেই স্মৃতি এখনও মনে আছে। তখন আমি নার্সারিতে পড়ি। সেবার বইমেলায় ঘুরতে ঘুরতে এক বইয়ের দোকানে প্রথম দেখা হয় চিত্রশিল্পী রফিকুন নবী-এর সাথে। তাঁকে আমি দেখেছি টেলিভিশন ও পত্রিকার পাতায়। সেবারই প্রথম চোখের সামনে দেখলাম। যাই হোক। আমি তাঁর কাছে এগিয়ে গেলাম অটোগ্রাফ নেওয়ার জন্য। অটোগ্রাফ চাইতেই, হাসিমুখে তাঁর আঁকা কার্টুন ও অটোগ্রাফ দেন। তাঁর কাছ থেকে তাঁর ছবি আঁকার শুরু দিকের গল্পটা শুনে আমি ছবি আঁকার অনুপ্রেরণা পেয়েছি। এখনও ছবি আঁকার চেষ্টা করি। তারপর আবার বইমেলায় ঘুরে বেড়ালাম। হঠাৎ আরেকটি বইয়ের দোকানে দেখা হলো আরেক এক লেখকের সঙ্গে। ও, বলাই তো হয়নি। আমি মেলায় গিয়েছিলাম সেবার বাবা, মা ও মামার সাথে।...
২৯ বছর পর কোনো বৈশ্বিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে গিয়ে ছয় দিনেই বিদায়—আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাকিস্তানের গল্পটা এমনই। নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ও ভারতের কাছে বাজেভাবে হেরেছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটা বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছে।যেখানে পান থেকে চুন খসলেই ক্রিকেটারদের দিকে সমালোচনার তির ছোড়া হয়, সেখানে ঘরের মাঠে এত বড় টুর্নামেন্টে রিজওয়ান-বাবর-আফ্রিদিদের বিবর্ণ পারফরম্যান্সের পর সাবেকদের ক্ষুব্ধ হওয়াটাই স্বাভাবিক।ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিস, শোয়েব আখতারের মতো কিংবদন্তিরা টেলিভিশন চ্যানেলের আলোচনা অনুষ্ঠানগুলোতে পাকিস্তান দলের সমালোচনা করছেনও। এমনকি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান জেলে থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।কিন্তু পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার ও সাবেক প্রধান কোচ মোহাম্মদ হাফিজ ঢালাওভাবে বাবর-রিজওয়ানদের সমালোচনার পক্ষে নন। হাফিজের মনে হচ্ছে, পাকিস্তানের বর্তমান দল ব্যর্থ হওয়ায় যাঁরা বাবর-রিজওয়ানদের একহাত নিচ্ছেন, তাঁরা দেশের হয়ে কিছুই জেতেননি,...
কাইয়ুম চৌধুরীর ‘কাইয়ুম চৌধুরী’ হয়ে ওঠার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা কার বা কীসের যদি নিজেকে জিজ্ঞেস করি, উত্তর পাই– নিষ্ঠা। তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠাবান ছিলেন তাঁর কাজ ও বিষয়ের প্রতি। এবং নানান বিষয়ে তাঁর দখল ছিল। আঁকার ধরন নানান মাধ্যমে বদলে যায়, যেমন– ক্যানভাসে আঁকা আর পোস্টারে আঁকা। কাইয়ুম চৌধুরী ক্যানভাস ও পোস্টার দুটোতেই সমান আধুনিক ও পৃথক। সমসাময়িক পোস্টার বিষয়ে তাঁর খুব ভালো ধারণা ছিল। আমাদের দেশে কিন্তু এগুলো আগে থাকলেও কাইয়ুম চৌধুরী পোস্টারের ধ্যান-ধারণাই বদলে দিয়ে গেছেন। সহজ ও সুন্দরের সম্মিলন ঘটিয়েছেন। শিল্পকলায় আমাদের বৈঠকগুলোরও প্রাণ ছিলেন তিনি। তাঁকে ছাড়া কোনো অনুষ্ঠান নামানোর কথা চিন্তা করা যেত না। লোগো তাঁকেই করতে হতো। আমরা খুব কাছাকাছি ছিলাম। অনেক স্মৃতি মনে পড়ে। এর ভেতর নিকট অতীতের যে স্মৃতি মনে পড়ে তা...
ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলা পৃথিবীর প্রাচীনতম বইমেলার মর্যাদা লাভ করেছে। শুধু বইমেলা নয়, বইয়ের উৎপত্তির সঙ্গেও জড়িয়ে আছে ফ্রাঙ্কফুর্টের নাম। জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টের অধিবাসী জোহানেস গুটেনবার্গ [১৪৪০-৫০] কালের মধ্যে ছাপাখানা উদ্ভাবন করেন। তখন থেকেই বইয়ের অস্তিত্বের সূচনা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৯ সালে আধুনিক ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলা শুরু হলেও এর গোড়াপত্তন হয়েছিল প্রায় ৫০০ বছর আগে ১৪৬২ সালে। তবে শুধু বইমেলা নয়, ব্যাংক ও বারবনিতার জন্যও ফ্রাঙ্কফুর্ট শহর বিখ্যাত। মহাকবি গ্যোটের জন্ম এই শহরে, তেমনি ধনকুবের রথসচাইল্ড পরিবারের আদি নিবাস এখানে। মেলার জার্মান প্রতিশব্দ হলো মেসে, সারা বছরই কোনো কোনো মেলা চলে, অক্টোবরের গোড়ায় বুক মেসে। এটাই এখন বিশ্বের সর্ববৃহৎ বইমেলা। পাঁচ দিনের এই বইমেলাকে কেন্দ্র করে ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরে প্রায় তিন লাখ অতিরিক্ত লোকের সমাগম ঘটে। বিশ্বনন্দিত এই বইমেলায় আমার অংশগ্রহণের সুযোগ ঘটে ২০২৩ সালের...
১৯৫২, ১৯৬৯, ১৯৭১ ও ১৯৯০–সহ সব আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ২০২৪–এর ইতিহাস বিকৃত করা যাবে না। এই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস মুছে যেতে দেবে না জামায়াত। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে আহত, পঙ্গু ও শহীদ পরিবারের সদস্যসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে আজ সোমবার রাজধানীর লেডিস ক্লাবে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের আমির এসব কথা বলেন। দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা এই মাহফিলের আয়োজন করে। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের ওপর জামায়াতের উদ্যোগে প্রকাশিত ‘শহীদ স্মরণিকা’ বইয়ের কথা উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, ১০ খণ্ডে ২ হাজার ৫০০ পৃষ্ঠার এই বইয়ে শহীদদের পরিচয়, গণ-অভ্যুত্থানে ভূমিকা, শহীদ হওয়ার ঘটনা এবং স্থান সংরক্ষণ করা হয়েছে। এই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস মুছে যেতে দেবে না জামায়াতে ইসলামী। শহীদ স্মরণিকা ঈদের পরপরই...
কালো দেয়াল মানেই একটি সমাজের নীরবতার প্রতিচ্ছবি। বাংলাদেশের তরুণেরা সেই দেয়াল রাঙিয়ে দিয়েছেন। তরুণদের সেই শিল্পগুলো নীরবতা পালনে অস্বীকৃতির সাক্ষ্য। প্রতিটি শিল্পকর্মই স্বাধীনতার সপক্ষে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর। তাই গণতান্ত্রিক উত্তরণে সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা পূরণে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ সোমবার সকালের রাজধানীর গুলশানে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন পার্কে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ইইউর সমতা, প্রস্তুতি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিশনার আদজা লাবিব এ মন্তব্য করেন। ঢাকায় ইইউ দূতাবাস ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।আদজা লাবিব বলেন, ‘শিল্প মানেই স্বাধীনতা। কালো দেয়াল একটি সমাজের নীরবতার প্রতিফলন। সেই দেয়ালকে আপনারা রাঙিয়ে দিয়েছেন। দেয়ালগুলো বলছে: আপনারা নীরবতা পালনে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। প্রতিটি শিল্পকর্মই স্বাধীনতার সপক্ষে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর।’গণতান্ত্রিক উত্তরণে বাংলাদেশের সংস্কারের আকাঙ্ক্ষার প্রতি সমর্থন জানিয়ে বেলজিয়ামের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদজা লাবিব বলেন, সংস্কারের...
মাইকেল জ্যাকসন। ‘কিং অব পপ’খ্যাত আমেরিকান মিউজিক লেজেন্ড। সর্বকালের সেরা এই মিউজিশিয়ানের বিভিন্ন সাক্ষাৎকার থেকে অনুপ্রেরণার কথা তুলে এনেছেন ইমাম হোসেন মানিক বই পড়তে বড্ড ভালোবাসি আমি। কেননা, আমি মনে করি, বইয়ের ভেতর দিয়ে আলাদা একটা জগতের দেখা পাওয়া সম্ভব। তবে স্টেজে আমাকে যা যা করতে দেখেন, তার সবটাই আমার স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া। এর কোনোটাই পূর্বপরিকল্পিত নয়। এ কেবলই আমার অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ। আমার গায়কি পুরোটাই যথাসম্ভব সিম্পল; এ স্রেফ এক ঈশ্বরপ্রদত্ত ব্যাপার। যখন ছোট ছিলাম, একদমই জানতাম না কী করে যাচ্ছি। স্রেফ গান গেয়ে যেতাম। এর সঙ্গে বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতার কোনো রকমই সম্পর্ক নেই। ফলে এর ব্যাখ্যা দাঁড় করানো আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এ স্রেফ আপনা-আপনিই হয়ে যাওয়া! যোগ্যতার চেয়েও বেশি পৃথিবীতে অনেক মানুষই যোগ্যতার চেয়েও বেশি পেয়েছে। প্রার্থনা করেছি, আমার...
ভুলে যাওয়া বা মনে রাখতে না পারার বিড়ম্বনায় হয়তো আপনিও পড়েছেন কখনো না কখনো। তা সে লেখাপড়া বা পেশাগত—যে ক্ষেত্রেই হোক, কিংবা হোক গল্প-উপন্যাসের কাহিনির বেলায়। নানাবিধ কারণে মস্তিষ্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় আজকাল অনেকের মধ্যেই ভুলে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। মনে রাখার সহজ উপায়ও তাই খোঁজেন অনেকে। সহজে মনে রাখার উপায় কী? একটা বইয়ের কথা ধরা যাক। মনোযোগ দিয়ে বারবার পড়লে বইয়ের অধিকাংশ তথ্য ভালোভাবে মনে রাখতে পারবেন আপনি। বইয়ের একটি অংশ আগে পড়া হয়ে গিয়ে থাকলে পরবর্তী অংশ শুরু করার সময় আগের পড়াটুকু একবার নিজে নিজে ঝালিয়ে নিলে তা মনে রাখা সহজ হবে। আবার এমনটাও বলা হয়ে থাকে, একবার কিছু লিখে ফেলা দশবার পড়ার সমান। অর্থাৎ কোনো বিষয় লিখলে মনে রাখা সহজ হয়। কিন্তু এই প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ! ফলে...
আগের পর্বআরও পড়ুনবইয়ের মধ্যে ফোন নম্বর দেওয়ার বিপদ৩ মিনিট আগে
আগের পর্বআরও পড়ুনরিকশা থেকে টান দিয়ে ব্যাগ নিয়ে গেছে২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আমার বই পেশাদার প্রকাশকরা প্রকাশ করেন। এদের সংখ্যা একাধিক। এদের মধ্যে অনেকে সুস্পষ্ট হিসাবের মাধ্যমে রয়ালটির অর্থ বুঝিয়ে দেন; কেউ দেন না। তবে শেষোক্তদের সংখ্যা এখন একজন। তার কাছ থেকে ক্রমাগত সরে আসছি। তাদের হিসেব এবং লেখক সম্মানী দেয়া থেকে মনে হয়, আমাদের দেশে বই পড়ার সংস্কৃতি বিবেচনায় পাঠকসংখ্যা অবশ্যই বাড়ছে। আমার স্বল্পমূল্যের ডেরেক ওয়ালকটের ক্ষুদ্র পরিসরের ‘স্বপ্নগিরি’ নামে একটি নাটকের দ্বিতীয় সংস্করণ ইতোমধ্যে প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। এর প্রধান কারণ অবশ্য এটা হতে পারে, ওই নাটকটি ইতোমধ্যে, আমার জানা মতে, চারটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের উত্তর-ঔপনিবেশিক সাহিত্য শাখায় পাঠ্যতালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ‘আমার মনে হয়’ বাক্যাংশটি এ কারণে জুড়ে দিলাম, ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কিংবা আমার প্রকাশক আমাকে এ কথা জানাননি। আমি বিষয়টি জেনেছি ঘটনাক্রমে। বিষয়টি সুস্পষ্ট করার লক্ষ্যে...
রো কে য়া খা তু ন রু বী আমি ঘাস নিয়েছে শিশির কণা ফুল নিয়েছে জল রোদ দিয়েছে সোনালি ভোর মুক্তো টলোমল। আকাশখানি মায়ের মাথায় আঁচলঘেরা মুখ তাকেই আমি আপন ভাবি তাকেই বলি সুখ। সুখের তো নেই কূলকিনারা অথই জলের ঢেউ সবুজ পাতায় দুপুর ঘুমায় তাকিয়ে দেখে কেউ? আমার দেখা বিকেল শেষে সন্ধ্যা তারার বুটি ঝিঁঝিঁপোকা জোনাক থোকা মিলে মিশে জুটি। কোথায় জোনাক কোথায় ঝিঁঝিঁ খোঁজেই দিশেহারা মন ছুটে কি তেপান্তরে নূপুর বাজায় কারা? কিসের নূপুর স্বপ্নপুকুর দিঘির জলের গান সে জলেতে উঠলো ভেসে আমার ছবিখান। ফা রু ক ন ও য়া জ বইয়ের পাতায় আলো শহরের এই শকটশব্দ এত মেকি হইচই এত চিৎকারে নিরিবিলি বসে পড়তে পারি না বই ভুলভাল এই জীবনের থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে...
এনায়েত হোসেনের ‘পালাবদলের ছড়া’ বইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে ফরিদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রকাশনা উৎসবে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দৈনিক সমকালের প্রকাশক ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। ছড়াকার এনায়েত হোসেন স্মৃতি সংসদের মোহাম্মদ আবু সায়েম খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক এম এ সামাদ, প্রফেসর আলতাফ হোসেন, সাংবাদিক ও লেখক মফিজ ইমাম মিলন, ফারুক ইয়া আযম, অধ্যাপক ম. হালিম, অধ্যাপক আ. আজিজ, এফডিএ নির্বাহী পরিচালক আজহারুল ইসলাম, জেলা কালচারাল অফিসার সাইফুল হাসান মিলন, ছড়াকার এনায়েত হোসেন স্মৃতি সংসদ সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনার রশিদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নাট্য ব্যাক্তিত্ব ম. নিজাম। অনুষ্ঠানে দৈনিক সমকালের প্রকাশক ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ছড়াকার এনায়েত হোসেন ছিলেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের এক...
টেবিলে থরে থরে সাজানো বই। কেউ জমা দিচ্ছেন, কেউ নিচ্ছেন। পড়া শেষে বাসার সেলফে পড়ে থাকা বই দিয়েও নিচ্ছেন আরেকটি পছন্দের বই। সংগ্রহ করা যাচ্ছে প্রিয় লেখকের প্রিয় বইটি। সঙ্গে আছে একাডেমিক ও ম্যাগাজিন সেকশন থেকে অফুরন্ত বই বিনিময়ের সুযোগ। কেবল বই দিয়েই বই বিনিময়, পুরো দিনটিই ছিল বই বিনিময়ের। টাঙ্গাইলে প্রথমবারের মতো ‘বই বিনিময়’ উৎসবের আয়োজন করে ’বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার’ নামের একটি সংগঠন। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে টাঙ্গাইল শহরের প্রাণকেন্দ্র কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে শুরু হয় এ উৎসব। শেষ হবে বিকাল ৫টায়। উৎসব শুরুর পর থেকেই ব্যতিক্রমী এ বই বিনিময়ে বইপ্রেমী তরুণ-তরুণী ও কিশোর-কিশোরীদের ব্যাপক সমাগম লক্ষ্য করা যায়। অনুষ্ঠান উদ্বোধনের শুরুতেই কুরআন তেলাওয়াত এবং গীতা পাঠ ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।...
বাংলা একাডেমি আয়োজিত একুশের বইমেলা বাংলাদেশের শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে প্রতিবছর নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে এমনটিই দেখে আসছি। কোনোবার শুনি মেলায় অতিরিক্ত ভিড়। ধুলাবালুতে নিশ্বাস নেওয়া দায়। ছুটির দিন হলে তো কথাই নেই। মেলায় ঢুকতে শাহবাগ থেকে লাইনে দাঁড়াতে হয়। কোনো কোনোবার শুনি এবারের বেচাবিক্রি ভালো না। লোকজন মেলায় এসে বই কেনে না। খালি ঘোরে আর ছবি তোলে। এটা কি তামাশার জায়গা! বিশেষত পরিচিত প্রকাশক ভাই-বন্ধুদের তরফ থেকে এমনটাই শুনতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। আবার মেলা শেষ হলে প্রতিবছরই প্রায় ব্যতিক্রমহীনভাবে পত্রপত্রিকায় দেখি, বই বিক্রি অন্য সব বছরের রেকর্ড ছাড়াল!একটা বিষয়ে অবশ্য প্রায় প্রতিবছরই মিল দেখি। সেটা বাংলা একাডেমি পুরস্কার সম্পর্কিত। যদিও পুরস্কার মেলার অংশ নয়, তবু পুরস্কারটি মেলার প্রথম দিন দেওয়া হয় বলে এই আলোচনা...
এবার শনিবার ছুটির দিনে শুরু হয়েছিল অমর একুশের বইমেলা। শেষও হচ্ছে আরেক ছুটির দিন আজ শুক্রবারে। বেলা ১১টায় শুরু হবে শিশুপ্রহর দিয়ে, মেলা চলবে রাত নয়টা পর্যন্ত।গতকাল থেকেই মেলায় ছিল বিদায়ের আবহ। প্রকাশকেরা খুশি হতে পারলেন না মেলা নিয়ে। এবার লেখকদেরও উপস্থিতি দেখা গেল না বিশেষ। তবে লোকসমাগম হয়েছিল অনেক। সে তুলনায় বেচাকেনা অল্প। প্রাবন্ধিক আহমাদ মাযহারের সঙ্গে কথা হলো সন্ধ্যায়। তিনি বললেন, মেলার আবার বারোয়ারি চরিত্র ফিরে এসেছে। মানুষ অনেক এসেছে, তবে যাঁরা প্রকৃতই বই পছন্দ করেন, কেনেন—তেমন মানুষের উপস্থিতি খুব কম। যাঁরা নির্দিষ্ট কোনো লেখক বা বিষয় নিয়ে বই করেন, তাঁদের বিক্রি সবচেয়ে কম। যাঁরা বিচিত্র ধরনের বই করেছেন, তুলনামূলকভাবে তাঁদের বিক্রি ভালো।শিশুসাহিত্যিক দন্ত্যস রওশন বললেন, এবার মেলার ব্যবস্থাপনায়, পরিকল্পনার ঘাটতি ছিল। অনেক অপ্রিয় ঘটনা ঘটেছে, তার একটা...
প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি কিংবা পূর্ব বাংলার প্রথম পত্রিকা ‘রঙ্গপুর বার্ত্তাবহ’ সাক্ষ্য দেয়, শিল্প-সাহিত্যের চর্চায় রংপুর কতটা এগিয়ে ছিল। রংপুরের ইতিহাস-ঐতিহ্য, শিক্ষা-সংস্কৃতির অনুসন্ধান করলে পাবলিক লাইব্রেরি ছাড়াও উঠে আসে ব্যক্তিমালিকানাধীন কিছু বইয়ের দোকানের কথা; যেগুলো শুধু বইয়ের দোকান ছিল না, ছিল জ্ঞানচর্চার আড্ডাখানা। অধিকাংশ এখন অধুনালুপ্ত। তবে স্মৃতি আঁকড়ে ধরে আছে ইস্ট বেঙ্গল লাইব্রেরি।কথাগুলো বলছিলেন বৃহত্তর রংপুরের ইতিহাস গ্রন্থের লেখক মোস্তফা তোফায়েল হোসেন। রংপুরের পুরোনো এই বইয়ের দোকানটির যাত্রা শুরু হয় ১৯৪৫ সালে, দেশভাগেরও আগে। প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত ইয়াকুব মিয়া। প্রতিষ্ঠানটি এখন দ্বিতীয় প্রজন্মের হাতে। ইয়াকুব মিয়ার মেজো সন্তান এ কে এম জায়েদুল হক (জাহাঙ্গীর) বাবার ব্যবসা পরিচালনা করছেন।চুয়াত্তরোর্ধ্ব জায়েদুল হক স্মৃতি হাতড়ে বললেন, ১৯৬৩ কি ১৯৬৪ সাল। তখন তাঁর বয়স ৯–১০ বছর। কলকাতা থেকে ট্রেনে করে বই...
প্রতিবছর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা। প্রকাশনার মান যাই হোক, উন্নতি হয়েছে প্রকাশকদের। তাদের গাড়ি-বাড়ি বা বিদেশ সফরে ঘাটতি দেখা যায় না। ছোট প্রকাশকরা বড় হয়ে উঠেছেন। ১০ বছর আগে যারা মেলায় এক ইউনিটের স্টল পেতে অনেক কষ্ট করতেন, এখন তারা প্যাভিলিয়ন নেন। লেখক ও প্রকাশকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বাংলা একাডেমির পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এক দশকে মেলায় অংশ নেওয়া প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১৫ সালে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ছিল ৩৫১টি। এবারের মেলায় তা এসে দাঁড়িয়েছে ৭০৮টিতে, যা এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২৪ সালে ৬৪২, ২০২৩ সালে ৬০১ এবং ২০২২ সালে ৫৩৪টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। প্রকাশকরা নানা সংকটের কথা জানালেও প্রতি মেলায় বই বিক্রির পরিমাণ নেহাত কম নয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী,...
মায়ের ভাষা শুনতে শুনতেই বড় হয় শিশু। প্রথম বুলিও সাধারণত সেই ভাষাতেই ফোটে। বেড়ে ওঠার দিনগুলোতেই মায়ের ভাষা তার বড় আপন মনে হয়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হওয়ারও আগে জীবনের প্রথম পাঠ এই ভাষাতেই হয়। এ তো প্রতিটি শিশুর বেড়ে ওঠার সাদাসিধে গল্প। তবে পৃথিবীর সব শিশু কিন্তু মাতৃভাষায় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ পায় না। অথচ ইউনিসেফ বলছে, শৈশবে শেখার জন্য মাতৃভাষায় লেখা বই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাতৃভাষা, অর্থাৎ নিজের শোনা প্রথম ভাষাটাই শিশুর জন্য সহজ। মনোবিজ্ঞানের মতে, এই ভাষার সঙ্গেই সে নিজের যোগ খুঁজে পায়। এই ভাষার মাধ্যমে পাওয়া তথ্য সহজে বুঝতে পারে শিশু। অনেকটাই উপলব্ধি করতে পারে লেখকের ভাষ্য। স্বাভাবিকভাবেই বই থেকে সে অনেক সহজে জ্ঞান আহরণ করতে পারে। পরিচিত ভাষায় লেখা বইগুলো তার জন্য পড়া সহজ বলে তার বইপড়ার আগ্রহও...
২০২৩, ২০২৪ ও ২০২৫ সালে মৌলিক গ্রন্থ প্রকাশ করেছে এমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবীন লেখকদের সংবর্ধনা দিয়েছে শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির। এসব লেখকদের সম্মাননা ক্রেস্ট ও নগদ টাকা উপহার হিসেবে দিয়েছে সংগঠনটি। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মোজাফফর আহমদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে এ নবীন লেখক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। ঢাবি শাখা শিবিরের সাহিত্য সম্পাদক মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নবীন লেখকরা তাদের বক্তব্যে নিজেদের প্রকাশিত বইয়ের রিভিউ উপস্থাপন ও ছাত্রশিবিরের প্রতি তাদের নানা প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। আরো পড়ুন: আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ঢাবিতে সেমিনার গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ‘জুলাই ও একটি লাল মাশরিক’ বইয়ের লেখক জয়েনউদ্দীন সরকার তন্ময় বলেন, “নবীন লেখকদের নিয়ে ছাত্রশিবিরের এ আয়োজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখালেখির প্রতি উৎসাহিত করবে।” ...
প্রয়াত কিংবদন্তি গীতিকবি গাজী মাজহারুল আনোয়ার রচিত গান-গ্রন্থ ‘অল্প কথার গল্প গান’-এর পঞ্চম খণ্ড প্রকাশিত হলো। এতে রয়েছে ৫০টি গান রচনার পেছনের গল্প ও ২০০ গানের কথামালা। ভাষাচিত্র প্রকাশনীর ১৭ নম্বর প্যাভিলিয়নে বইটি পাওয়া যাচ্ছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকালে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। গাজী মাজহারুল আনোয়ারের সহধর্মিণী জোহরা গাজী, তাদের দুই সন্তান সরফরাজ আনোয়ার উপল ও দিঠি আনোয়ার বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। ২০২১ সালে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ৭৮তম জন্মদিনে ‘অল্প কথার গল্প গান’- বইয়ের প্রথম খণ্ড প্রকাশের পর কলকাতার বইমেলায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড প্রকাশিত হয়। চতুর্থ খণ্ড গত বছর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়। আরো পড়ুন: বইমেলায় ‘ভূতের উপহার’ ‘হায়রে, পাগল ভক্ত!’ তার কন্যা ও সংগীতশিল্পী দিঠি আনোয়ার বলেন, “অল্প কথার গল্প গান’...
“সুচিত্রা সেনের সিনেমা দেখে কাঁদেননি বা কষ্টে চোখ লাল হয়নি— বাঙালি মধ্যবিত্ত পরিবারে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। সিনেমাতে তার উপস্থিতি, সিনেমা শেষে হওয়ার পরও অনেকক্ষণ এক অচেতন রেশ রেখে যায় দেহ ও মনে। ভাবুন— বাবা-মা, ভাই-বোন বা পরিবারের আরো অনেকে বসে একসঙ্গে সিনেমা দেখছেন, সুচিত্রা সেন কি এক অদ্ভুত জাদুবলে আলাদা করে দেয় সবাইকে, সময় থেকে নিয়ে যায় নিজ নিজ বৃত্তে ও স্মৃতিতে। পারস্পরিক সম্পর্ককে অটুট রেখেই কী অবলীলায় ঘুরে বেড়ান সবার মনোজগতে।” ভূমিকার এক অংশে লেখকদ্বয় এভাবেই চিত্রিত করেছেন বাংলা চলচ্চিত্রের মহানায়িকা সুচিত্রা সেনকে। বাঙালির মধ্যবত্তি জীবন ও জীবন সংগ্রামে সুচিত্রা সেন অপরিহার্য। ঘর-সংসার, কর্মস্থল, ব্যক্তি জীবন— সবখানে সংঘাত এড়িয়ে, আপস না করে, কীভাবে নির্মোহ ও সরল জীবনযাপন করা যায়; তা সুচিত্রা সেন নতুন করে শিখিয়েছেন।...
কেউ যদি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, এই বইমেলায় যদি একটি বই কিনতে হয়, তাহলে আপনি কোন বইটি কিনবেন? আমি গত কয়েক বছর ধরেই সাহিত্য সম্পাদনার সূত্রে (যেহেতু ভালো বই বাছাই করতে হয়) এবং মেলার মাঠে মুখোমুখি নামের সাক্ষাৎকার আয়োজনের সূত্রে প্রায় সব শাখার লেখকদের প্রচুর বই পরখ করি। এবার মেলায় আমারও দুটি বই আছে। আছে প্রিয় মানুষের অনেক বই, যেসবের অনেক পাণ্ডুলিপির সঙ্গেই আমার আত্মিক যোগসূত্র রয়েছে। আমি সব ছেড়ে, একটুও না ভেবে একটি বইয়ের কথা বলব। বইটির নাম ‘আধুনিক বাংলা গদ্যভাষার সন্ধানে’। ধ্রুপদি সাহিত্যের পাঠক যারা তাদের একটা বড় গোষ্ঠীর কাছে দীর্ঘদিন ধরে মুখে মুখে ফিরেছে ‘খোয়াজ খিজিরের সিন্দুক’ ও ‘বখতিয়ার খানের সাইকেল’। কথাসাহিত্য পাঠে আগ্রহী কতজনকে যে কত পাঠক এ দুই বই পড়তে পারেন বলে পরামর্শ দিয়েছেন! এ দুই বই...
এটি কবি হাসান রনির কবিতার প্রথম বই। বইয়ের শুরুতেই কবিতাটির নাম ‘ফেরার মরশুম’। অমূল্য এই কবিতাটি বেশ আগে থেকেই আমার প্রিয় এবং আমার ব্যক্তিগত ক্ল্যাসিক কবিতার লিস্টে থাকে এই কবিতা। পরবর্তী অমূল্য কবিতাটি ‘নীলনদের রচয়িতা’য় কত কথা কবির! ‘মাড়াই শেষে খুরের ফাঁক দিয়ে/ধেয়ে আসা ত্রিকোণ আলো/বিনির্মাণ করো আমায় খড়ের মতো/আর ফেলে রাখো গোয়ালঘরের পেছনে/আমার জন্য অপেক্ষায় স্ফীতবক্ষের অবাধ্য পাখিরা।’ এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা হয় বইটি পাঠে। একটিও খারাপ কবিতা নেই, নেই বাহুল্য। মনে হয় স্বকীয়তা নিয়ে পাহাড় বেয়ে উঠছে যেন কবিতাগুলো নিগূঢ় এক লক্ষ্য নিয়ে। ‘বহু পাখি বসে তাদের ডানার সমান জায়গা নিয়ে/ঘুমের ধ্যানে মটরের মতো আলগা করে বুক/এ সমুদ্র অভিজ্ঞতা তবু নীল ভাঙে/ছায়া হয়ে চলে যায় পথ।’ প্রায় প্রতিটি কবিতায় এমন অদ্ভুত সুন্দর হয়ে ওঠা ভিন্ন ভিন্ন মুহূর্ত পাওয়া...
অমর একুশে বইমেলার ৭০ ভাগ বই প্রকাশিত হয় লেখকের অর্থায়নে। বই ছাপার যাবতীয় খরচ বহন করেন লেখক; অথবা তিনি নির্দিষ্ট সংখ্যক বই কিনে নেন। লেখক-প্রকাশকরা বলছেন, এই ব্যবস্থায় দোষের কিছু নেই। সারা পৃথিবীতে নিজের উদ্যোগে বই প্রকাশের (সেলফ পাবলিকেশন) প্রচলন রয়েছে। তবে এ দেশে অপেশাদার প্রকাশক টাকা পেলে যেনতেন বই ছাপেন। এতে তিনি বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হলেও ভালো বইয়ের বদলে প্রকাশ হচ্ছে ‘জঞ্জাল’। আবার বছর বছর বইয়ের বিক্রি বাড়লেও সম্মানী পান মাত্র ১০ শতাংশ লেখক। প্রকাশকদের ভাষ্য, বাকি ৯০ শতাংশ লেখকের বই সেই পরিমাণ বিক্রি হয় না, যাতে তাদের সম্মানী দেওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে প্রায়ই ভুল বোঝাবুঝি হওয়ায় লেখক প্রকাশককে দায়ী করেন। বই বের করার আগে লেখক-প্রকাশকের লিখিত চুক্তি হলে এই সমস্যার সৃষ্টি হয় না। অন্বেষা প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী শাহাদাত হোসেন সমকালকে...
বইমেলার শিশু কর্নারে রক্তিম ফুলে ফুলে ভরে আছে পলাশের শাখা। তার পাশেই খোলা মঞ্চে চর্যাপদের পদগুলো পরিবেশন করছিলেন সাধক শিল্পীরা, ‘কায়া তরুবর পঞ্চবি ডাল...।’ বসন্তের শেষ বিকেলে মেলায় আসা শিশু আর তাদের অভিভাবকেরা আগ্রহ নিয়ে উপভোগ করছিলেন সেই গান। আজ বুধবার মেলায় প্রবেশ করতেই এ দৃশ্য চোখে পড়ল।ভাবনগর সাধুসঙ্গ এখানে প্রতি বুধবার বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চর্যাপদের গানের আসর করে থাকে বলে জানালেন লোক–গবেষক ও ভাবনগর ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাইমন জাকারিয়া। আজ ছিল ৫৩৭তম আসর, ১২ বছর ধরে চলছে এ আয়োজন। শাহ আলম দেওয়ান, সাধিকা সৃজনী তানিয়া, বাউল অন্তরসহ অনেকে শ্রোতাদের গানে গানে মাতিয়ে রেখেছিলেন সন্ধ্যা অবধি।শেষ পর্যায়ে এসে আজ বিক্রিতে কিছুটা গতির সঞ্চার হয়েছে। বেড়েছে লোকসমাগম আর নতুন বইয়ের প্রকাশনাও। মোড়ক উন্মোচন চলছে নতুন বইয়ের। ইতি প্রকাশন তাদের প্যাভিলিয়নের...
আমাদের শিক্ষা পরিকল্পনায় যে নানা মাত্রায় গলদ থেকে যায়, তার প্রমাণ এই শিক্ষাবর্ষের শুরুতে আরেকবার পাওয়া গেল। প্রায় দেড় মাস পার হলেও এখনো শিক্ষার্থীরা সব বই পায়নি। অবস্থা দেখে মনে হয় না এ মাসের মধ্যেও শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই পৌঁছানো সম্ভব হবে। এনসিটিবি কর্তৃপক্ষ এই বাস্তবতা আগে থেকে অনুমান করতে পেরেছে, কিন্তু কোনো ধরনের পরিপূরক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেনি। পাঠ্যপুস্তক ছাড়াও যে পাঠদান এগিয়ে নেওয়া সম্ভব, এটি বুঝি তাদের মাথাতেইও আসেনি।শিক্ষার্থীদের বই পাওয়া নিয়ে গত দুই বছরও সমস্যা ছিল। তবে সে সমস্যা এত প্রকট ছিল না। এর পেছনে অবশ্য কারণও ছিল। পরিবর্তিত শিক্ষাক্রম অনুসারে পাঠ্যবই তখন সম্পূর্ণ নতুন করে তৈরি করা হয়। ফলে কিছু বই নির্ধারিত সময়ে ছাপানো সম্ভব হয়নি। এরপরও জানুয়ারি মাসের ১ তারিখে স্কুলগুলোতে বই উৎসব পালন করা হয়েছে।...
কবি সাজেদুর আবেদীন শান্ত’র তৃতীয় কবিতার বই ‘ঈশ্বর ও হেমলক’ প্রকাশিত হয়েছে। এটি প্রকাশ করছে উন্মেষ প্রকাশন। প্রচ্ছদ করেছেন আর করিম। এ কবিতার বইয়ে প্রকাশ পেয়েছে প্রেম, পরিণতি, বিরহ ও হতাশার নানা রূপ। বইটির মূল্য রাখা হয়েছে ১০০ টাকা। বইটি সম্পর্কে সাজেদুর আবেদীন শান্ত বলেন, ‘‘গত দুটি বইয়ে ভালো সাড়া পেয়েছিলাম। অনেকে বই দুটি পড়ে আলোচনা করেছেন। সেই সাহস নিয়ে তৃতীয় বই করা। আশা করি এটিও পাঠকনন্দিত হবে।’ সাজেদুর আবেদীন শান্ত একাধারে কবি, সম্পাদক ও গণমাধ্যমকর্মী। শৈশবে স্থানীয় একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয় তার প্রথম কবিতা। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় কবিতা, গল্প, ফিচার ও কলাম লেখেন। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘আষাঢ়, তুই এবং মৃত্যু’ (২০২১) ও ‘স্নিগ্ধ ভোর অথবা মৃত্যু’ (২০২২)। এছাড়া তিনি নিয়মিত সম্পাদনা করেন শিল্প-সাহিত্যের সাময়িকী ‘উন্মেষ’।...
কবিতা আমার কাছে এমন কিছু, যা পড়ার পর অনেক দিন রেশ থেকে যায়; ফুরিয়ে যায় না। কবিতার কাছে আমাদের বারবার ফিরে আসতে হয় এবং প্রতিবার পাঠে বদলে যায় অর্থ। এমন কবিতার সন্ধানে আমাদের প্রচুর কবিতা পড়তে হয়। কোনোটা কম ভালো লাগে, কোনোটা বেশি; কোনোটা একেবারে ভালো লাগে না। দু-একটা এমন কবিতা পাওয়া যায়, যা আমি সব সময় বয়ে নিয়ে যাই। এমন কবিতার সন্ধানে আমি এক দিন রাসেল রায়হানের কবিতার কাছে এসেছিলাম। তাঁর কবিতার সঙ্গে আমার পরিচয়টা প্রায় এক দশকের। ‘সুখী ধনুর্বিদ’, ‘বিব্রত ময়ূর’ পেরিয়ে আজ ‘মূকাভিনেতার ডায়েরি’ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে রাসেলের কবিতা। এর মধ্যে আরও নানা ধরনের কাজ করেছেন রাসেল। কবিতার যাত্রার নানা অলিগলি পেরিয়ে খুব কাছ থেকে তাঁর কবিতাকে একটা পরিণতির দিকে যেতে দেখেছি। এরই আরেকটি সংস্করণ ‘মূকাভিনেতার ডায়েরি’। ...
বইয়ের প্রথম লাইন ‘মাকে আমার মনেই পড়ে না।’ এই কথাটা যেকোনো মানুষের মন শূন্য করে দেবে নিঃসন্দেহে। গবেষক গোলাম মুরশিদের মৃত্যুর ঠিক ছয় মাস পর প্রকাশিত আত্মজীবনীমূলক বই ‘আত্মকথা ইতিকথা’র প্রথম লাইন এটি। এবং বইয়েই মাতৃহীন একটি মানুষের অস্থিরতা টের পাওয়া যায়। আত্মজীবনী পুরোটা শেষ করে যেতে পারেননি। যা পাওয়া গেলো তাই নিয়ে এই বই। ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৫’ এ এভাবেই নিজেকে মেলে ধরলেন গোলাম মুরশিদ। পাঁচ বছর হতে মাত্র কয়েক মাস, ঠিক এ সময় বসন্ত রোগে মারা গিয়েছিলেন গোলাম মুরশিদের মা। সেই থেকে তাঁর একাকী জীবন। নানুর স্নেহ, পিতার শাসন, বিয়ের পর স্ত্রী এলিজা মুরশিদের ভালোবাসা আর সারা জীবনের অধ্যাবসয় ‘আত্মকথা ইতিকথায়’ উঠে এসেছে। এতে রয়েছে এগারোটি বিষয়: মায়ের কথা, বাবার কথা, শিক্ষাজীবনের কথা, অশিক্ষার কথা, অসাংবাদিকতার...
কিছুদিন আগেও শোনা যেত, তরুণ প্রজন্ম রাজনীতি বোঝে না। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান সেই ধারণা পাল্টে দিয়েছে। বইমেলায় কোন বই বেশি চলছে? গতকাল রোববার ২৩তম দিনে এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন এই প্রতিবেদক। লেখক, পাঠক ও বিক্রয়কর্মীরা যে উত্তর দিয়েছেন, তাতে এগিয়ে রয়েছে রাজনীতি। কারণ, চলতি বইমেলায় যেসব গল্প, কবিতা, উপন্যাস ও প্রবন্ধের বই ছাপা হয়েছে, এর বড় অংশ রাজনীতিকেন্দ্রিক। শোভা প্রকাশের বিক্রয় প্রতিনিধি মেহেরুন্নেসা জানান, এবার তাদের স্টল থেকে সবচেয়ে বেশি বই বিক্রি হচ্ছে রাজনীতি ও সমকালীন প্রেক্ষাপট নিয়ে লেখা বইগুলো। তিনি বলেন, ‘পাঠকদের মাঝে রাজনৈতিক বিষয়ে আগ্রহ প্রবল। ফলে তারা বইগুলো কিনছেন ও সেগুলো খুব দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে।’ পাঠক সমাবেশের ব্যবস্থাপক সম্রাট খান লিয়ন জানান, চিরায়ত বইয়ের পাশাপাশি উপন্যাস, দর্শন, ধর্ম, ইতিহাসের বই কিনছেন পাঠকরা। বেঙ্গল বুকসের স্টলের হিসাব ব্যবস্থাপক তৌফিক...
অমর একুশে বইমেলায় কোয়ান্টাম বিজ্ঞানের বিশেষ অনূদিত বই ‘থার্টি সেকেন্ড কোয়ান্টাম থিওরি’ নিয়ে এসেছেন বিজ্ঞানপ্রিয় এর প্রতিষ্ঠাতা শাওন মাহমুদ। বইটি মূলত ইংরেজ বিজ্ঞান লেখক ব্রায়ান ক্লেগ সম্পাদিত ‘থার্টি সেকেন্ড কোয়ান্টাম থিওরি’র বাংলায় ভাষান্তর। বইটি একুশে বইমেলায় অন্বেষা প্রকাশনের ৭০৯-৭১২ নম্বর স্টলে পাওয়া যাবে। বইটি সম্পর্কে শাওন বলেন, “বিজ্ঞানের সবচেয়ে থ্রিলিং টপিক কোয়ান্টাম। কোয়ান্টাম থিওরি কিছুটা জটিল। তবে দুর্বোধ্য নয়। রিচার্ড ফাইনম্যান বলেছেন, ‘তুমি যদি মনে করো কোয়ান্টাম বোঝ, তবে তুমি কিছুই বোঝনি।’ কিন্তু ছোট ছোট ঝর্নাধারা মিলে যেমন বড় নদীর সৃষ্টি হয়, তেমনি ছোট ছোট চিন্তার খোরাক পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্বোধ্য বিষয়কেও পানির মতো সহজ করে দেয়। এ বইয়ে সেই কৌশলই খাটানো হয়েছে।” আরো পড়ুন: দিনশেষে বই একটি সৃজনশীল পণ্য: পলাশ মাহবুব ‘গভর্নরের স্মৃতিকথা’ বইয়ের...
গতকাল শনিবার সন্ধ্যার বৃষ্টির মুহূর্তটা বদলে দিল বইমেলা। বই সাজিয়ে রাখা টেবিলগুলো ঢেকে গেল নীল পলিথিনে। প্যাভিলিয়নের সামনে টাঙিয়ে দেওয়া হলো ত্রিপল। মেলায় আসা মানুষেরা দৌড়াতে শুরু করলেন ছাউনির খোঁজে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ফেরার সময় দেখা গেল, সবকিছু আবার সাজিয়ে এদিন আর নতুন করে বিক্রি শুরুর দম ছিল না বিক্রেতাদের।কনফুসিয়াসের কথোপকথন, দং ইউ ছেন ইয়াং ওয়েই মিং স্বর্ণা, অ্যাডর্ন পাবলিকেশন
এই প্রজন্মের লেখক পলাশ মাহবুব। সাবলিল ভাষা আর বক্তব্যের তীব্রতাকে উপজীব্য করে সাহিত্যের প্রায় সব শাখায় লেখেন তিনি। লেখালেখির জন্য অর্জন করেছেন অগ্রণী ব্যাংক-শিশু একাডেমী শিশুসাহিত্য পুরস্কার, পশ্চিমবঙ্গের অন্নদাশঙ্কর রায় সাহিত্য পুরস্কার, মীনা অ্যাওয়ার্ডসহ আরও কিছু পুরস্কার।চলতি বইমেলায় তার একাধিক নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। নতুন বইয়ের প্রেক্ষাপটসহ নানা বিষয়ে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেছেন এই লেখক। সাক্ষাৎকার গ্রহণে স্বরলিপি। রাইজিংবিডি: এবারের বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে ‘প্রেমাণুকাব্য’ এবং ‘পমার বচন-২’। এই দুইটি বইয়ের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি। পলাশ মাহবুব: 'পমার বচন ২' এবং 'প্রেমাণুকাব্য' দুটিই ক্ষুদ্রাকৃতির বই। গত বছর প্রথম ‘পমার বচন’ প্রকাশিত হয়। পমার বচন মূলত বিভিন্ন বিষয়ের ওপর মজার এবং অন্তর্নিহিত অর্থপূর্ণ ছোট ছোট বচন, ভবিষ্যতে যেসবের প্রবাদ হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। প্রকাশিত হওয়ার পর ‘পমার বচন’ পাঠকদের মধ্যে...
খাদের কিনারায় পড়ে যাওয়া অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারের পথ দেখাতে হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারই এই দায়িত্ব নেবে—এমন প্রত্যাশা করেন দেশের অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার ও লেখকেরা। তাঁরা অবশ্য এ–ও বলেন, আগামী ছয় মাসেই সব ঠিক হবে, এমন আশা প্রকাশ করাও ঠিক হবে না। তবে পথ দেখাবেন বর্তমান সরকারের নেতৃত্ব প্রদানকারীরা। বর্তমানে বৈষম্যহীন, সমতা ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার তাগিদ আছে।আজ শনিবার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের গভর্নরের স্মৃতিকথা শীর্ষক বইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। দৈনিক বণিক বার্তা বইটি প্রকাশ করেছে। রাজধানীর আইসিএবি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নতুন বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এর আগে ২০১৯ সালে এ বইয়ের প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয়।অনুষ্ঠানে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে চাই। মানসম্পন্ন জীবনযাত্রা দিতে চাই।’...
মনে প্রেম থাকলে মানুষের বোকা হওয়া ঠেকায় কে! ‘প্রেমিকাদের কিছুটা বোকা হতে হয়’ বলে যে আপ্ত-বাক্য ছুড়ে দিয়েছেন তরুণ কবি শামীম পাটোয়ারী; বিপরীতে প্রেমিকরাও কেন বোকাসোকা হবে না এমন প্রশ্নও তোলা যায়। অবশ্য বোকা না হলেও উদার হতেই হবে এছাড়া যে প্রেমিকদের কোনো গত্যন্তর নেই! উদারই যদি করতে না পারল তবে কীসের প্রেম। একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে শামীম পাটোয়ারীর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘প্রেমিকাদের কিছুটা বোকা হতে হয়’। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ১৬৮-১৬৯ নম্বর স্টলে মিলছে বইটি। বইয়ের নাম শুনলে প্রথমে মনে হতে পারে এটা বুঝি ন্যাকা ন্যাকা প্রেমের কবিতা। আদতে তা নয়, একটুও নয়। বাম রাজনীতির চেতনা যে কবির বুকে স্পন্দন তোলে অহর্নিশ চাইলেও তার পক্ষে অতটা আবেগী হওয়ার সম্ভব নয়। ইতি-নেতি প্রেমের দুটি দিকই তিনি প্রাসঙ্গিক করে তুলেছেন এই কবিতায়।...
শিক্ষাবর্ষের ১ মাস ২১ দিন শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু দেশের সব শিক্ষার্থী সব পাঠ্যবই এখনো হাতে পায়নি। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তথ্য বলছে, প্রায় সাত কোটি বই ছাপা হওয়া বাকি, যার অধিকাংশই মাধ্যমিক পর্যায়ের। শিক্ষাক্রম পরিবর্তন, পাঠ্যবই পরিমার্জনসহ কিছু সমস্যার কারণে এবার শিক্ষা বিভাগ থেকে বলা হয়েছিল, বই পেতে কিছুটা দেরি হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অনেকটা দেরি হয়ে যাচ্ছে। ছাপার যে পরিস্থিতি, তাতে এ মাসেও সব শিক্ষার্থী সব বই পাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। বই দিতে যত দেরি হচ্ছে, পড়াশোনাও তত ব্যাহত হচ্ছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সূত্রমতে, নতুন শিক্ষাবর্ষে চার কোটির মতো শিক্ষার্থীর জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের প্রায় ৪০ কোটি ১৫ লাখ বই ছাপানোর আয়োজন করা হয়েছিল। তবে পরে...
গতকাল একুশে ফেব্রুয়ারির ছুটির দিনের বিকেলে অমর একুশে বইমেলার মাঠে তিলধারণের স্থান ছিল না। তবে অগুনতি মানুষের এই ভিড় আশা জাগাতে পারেনি প্রকাশকদের। বিক্রির ভাটা কাটেনি এই দিনেও। অধিকাংশ মানুষই এসেছিলেন বেড়াতে বা ছবি তুলতে। সকাল থেকে শুরু হলেও একেবারে নির্জন ছিল একুশের সকালের মেলা। অনন্যা প্রকাশের স্বত্বাধিকারী মনিরুল হক যেন তাই ক্ষোভ নিয়েই বললেন, ‘একুশে ফেব্রুয়ারির দিনে এত কম বিক্রি আগে কোনো দিন হয়নি। সবাই আসছে যেন মেলা দেখতে।’ এখন ফেসবুককেন্দ্রিক লেখার জোয়ার চলছে অভিযোগ করে তিনি প্রশ্ন করলেন, মেলার ভেতরে আগে কোনো দিন এমন ছোট ছোট খাবারের দোকান দেখেছেন?একুশে ফেব্রুয়ারি, তার ওপর শুক্রবার। তাই মেলায় ছিল শিশুপ্রহরের আয়োজনও। শিশুদের বই প্রকাশনী ময়ূরপঙ্খির বিক্রয়কর্মী চন্দনা মণ্ডল বললেন, ‘বাচ্চাদের বই করা কঠিন। শিল্পীদের কাজের ওপর নির্ভরশীল। এত যত্নের বই বিক্রি...
কাশ্মীর বলতে দুনিয়া আসলে কাশ্মীর উপত্যকাকেই জানে। অথচ কাশ্মীরের ভৌগোলিক অবস্থান আরো বিস্তৃত। বিভিন্ন সময়ে কাটাছেঁড়ার মাধ্যমে বর্তমান মানচিত্রে এসে উপনীত হয়েছে কাশ্মীর। জম্মু এবং কাশ্মীর নামক দুটি আলাদা দেশীয় রাজ্য মিলে একটা ভূখণ্ডে পরিণত হয়েছিল ১৯ শতকে। হিন্দু অধ্যুষিত জম্মুতে, দেশভাগের পর মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলা কাঠুয়া, রাজৌরি এবং পুঞ্চে গণহত্যা চালিয়ে বদলে দেওয়া হয়েছে জনমিতি। ১৯৪১-এর দিকে ৪১% মুসলিম অধ্যুষিত জম্মুতে এখন মুসলমানদের সংখ্যা নেমে এসেছে ১১%-এ। অথচ সেখানে হিন্দুরা অক্ষত থেকেছে। আর কাশ্মীর উপত্যকায় মুসলিমদের ওপর কোনো জুলুম নেমে এসেছে তা আর নতুন করে বয়ান করবার প্রয়োজন নেই। মনে মনে খালিদ ভাবল, এই পৃথিবীতে শুধু মুসলিমরা ব্যতীত সবাই মানবিক অধিকার পাওয়ার হকদার। কেননা শুধু কাশ্মীর নয়-ফিলিস্তিন, ইরাক, আফগানিস্তানে এখনো দলে দলে মৃত্যুবরণ করছে মুসলমানরা। এটা ফ্ল্যাপের লেখা। লেখক...
মুম রহমান গল্পকার, ঔপন্যাসিক। অনুবাদক হিসেবে তার আলাদা পরিচিতি রয়েছে পাঠক সমাজে। পাশাপাশি তিনি শিল্প সমালোচক, নাট্যকার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। গদ্যকার হিসেবে গণমাধ্যম সম্পাদকদের কাছেও তিনি সমাদৃত। প্রকাশিত গ্রন্থ ৫০-এর অধিক। শিক্ষকতা, বিজ্ঞাপন কর্মকর্তা, সাংবাদিকতা, এনজিও ইত্যাদি নানা পেশা ছেড়ে বর্তমানে পূর্ণকালীন লেখক। একুশে বইমেলাকে কেন্দ্র করে অনুবাদ প্রসঙ্গে সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন অলাত এহ্সান। অলাত এহ্সান: দেশে অনূদিত বইয়ের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনুবাদক হিসেবে আপনি কী বলেন? মুম রহমান: আমার অভিজ্ঞতা আপনাদের মতোই। আমিও লক্ষ্য করেছি, অনুবাদ হওয়া বই সংখ্যায় বাড়ছে এবং সেইসব বইয়ের প্রতি পাঠক, সমালোচক, প্রকাশক এবং ক্রেতা-বিক্রেতার আগ্রহ বাড়ছে। আরো পড়ুন: একুশে ফেব্রুয়ারি বইমেলা শুরু হবে সকাল ৭টায় ‘অনুমতি ছাড়া অনূদিত বই প্রকাশ সম্পূর্ণ অবৈধ’ অলাত এহ্সান: এ প্রসঙ্গে যে...
নবীজি (সা.)–র কোন জীবনীটা উত্তম, এমন প্রশ্ন প্রায়ই শোনা যায়। একেক সময় একেকজনকে একেক বইয়ের কথা বলতে হয়। প্রশ্নকর্তার অবস্থা বুঝে উত্তর দেওয়া হয়। তবে কোন জীবনীটা পড়ব—এই প্রশ্নের আগে নিজেকে প্রশ্ন করা উচিত, আমি নবীজীবনী কেন পড়তে চাই? কীভাবে পড়তে চাই? তাঁর ধারাবাহিক জীবনী জানতে? তিনি কেমন ছিলেন সেটা জানতে? তাঁর মোজেযা বা অলৌকিক ঘটনাবলি জানতে? নাকি আরও গভীর কিছু? নবীজি (সা.)–কে জানার জন্য মোটা দাগে পাঁচ ধরনের বই আছে। ১. ধারাবাহিক জীবনী এ ধরনের জীবনীকে বলে সিরাত। একসময় বলা হতো ‘মাগাজি’ বা ‘সিয়ার’। নবীজি (সা.)–এর জন্মপূর্ব সময়, জন্ম ও বংশ পরিচয়, বেড়ে ওঠা, বিয়ে, নবুয়ত, মক্কাত্যাগ, মদিনা, সন্ধি, যুদ্ধ, মক্কা বিজয়—এই ধারাক্রমে যেসব বই লেখা তাকে ‘সিরাত’ গ্রন্থ বলে। যদি এভাবে জানা আপনার উদ্দেশ্য হয়, তাহলে আপনি পড়তে...
প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘অনার্য পাবলিকশন্স লিমিটেড’ ৩১ টি বই প্রকাশের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে ২০১১ সালে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা সবমিলিয়ে ছয়শো ছাড়িয়ে গিয়েছে। ইতিহাস, দর্শন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে যাত্রা শুরু করে এই প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। এ লক্ষ্য অর্জনে প্রতিষ্ঠানটি কীভাবে কাজ করছে সে বিষয়ে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেছেন অনার্য’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিক রহমান। সাক্ষাৎকার গ্রহণে স্বরলিপি। রাইজিংবিডি: আমরা জানি যে অনার্যের উদ্দেশ্য ইতিহাস, দর্শন, সাহিত্য, সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া। চলতি বইমেলায় অনার্য ইতিহাস, দর্শন, সাহিত্য ক্যাটাগরিতে কতগুলো বই প্রকাশ করেছে? সফিক রহমান: ধন্যবাদ রাইজিং বিডিকে। ২০১১ সালের বইমেলা দিয়ে অনার্যের আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু হলেও আমরা ২০০৮ সাল থেকে স্বল্প পরিসরে প্রকাশনার কাজ শুরু করি। শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ড....
পলাশের ফুলে রং ছড়িয়ে এসেছে একুশে ফেব্রুয়ারি। যদিও এই রং বেদনার-যাতনার! ভাষাশহীদ দিবস আবেগময় স্মৃতি বহন করে। একই সঙ্গে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হওয়ায় বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে থাকে দিনটি। এ উপলক্ষে ভারতীয় গণমাধ্যমে কলম ধরলেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা-নির্মাতা পরমব্রত চ্যাটার্জি। চলুন জেনে নিই, পরমের ভাবনায় বাংলা ভাষাকে— আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বার বার প্রশ্ন ওঠে বাংলা ভাষা সঙ্কটে কি না? আমি বলব, প্রতিটি আঞ্চলিক ভাষাই কিন্তু সঙ্কটে। আসলে প্রযুক্তির অগ্রগতি হচ্ছে। হাতের কাছেই রয়েছে নানা মাধ্যম। এর প্রভাবে একাধিক ভাষা মিলিয়ে মিশিয়ে কথা বলার প্রবণতা বেড়েছে। এর ফলে প্রায় সব ক’টি ভাষাই এখন সঙ্কটে। এর থেকে একটা প্রশ্ন আমার মাথায় বার বার এসেছে— আমরা কি কোনো ভাষা আসলে ঠিক করে শিখছি? মাতৃভাষা নিয়ে একটা দৃঢ় বিশ্বাস...
প্রাক্–প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত নিয়মিতভাবে সাদরি ভাষায় পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ করে আসছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। পাঠানোও হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ সাদরিভাষী ক্ষুদ্র জাতিসত্তা–অধ্যুষিত অন্য জেলাগুলোতে। তবে এসব বই পড়তে পারছে না খোদ সাদরিভাষী শিশুরাও। চাঁপাইনবাবগঞ্জে ওঁরাও, মুন্ডা, রাজোয়ারসহ কয়েকটি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষ এ সাদরি ভাষায় কথা বলে।২০১৭ সালে প্রাক্–প্রাথমিক ও ২০১৮ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সাদরি ভাষায় বই প্রকাশ করা হচ্ছে জানিয়ে এনসিটিবির গবেষণা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এনসিটিবির দায়িত্ব পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন পর্যন্ত। মাতৃভাষায় শিক্ষা বাস্তবায়নের দায়িত্ব প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। মাতৃভাষায় সাদরিভাষী শিশুদের পড়ানো হচ্ছে না, এটা আমাদের জানা নেই।’এ বিষয়ে কথা হয় রাজশাহীর কল্যাণী মিনজি, নওগাঁর বঙ্গপাল সরদার ও সিরাজগঞ্জের যোগেন্দ্রনাথ সরকারের সঙ্গে। তাঁরা সাদরিভাষী শিশুদের পাঠ্যবই উন্নয়ন, অভিযোজন ও ভাষান্তরের সঙ্গে যুক্ত এবং ওঁরাও ক্ষুদ্র...
ক্ষুদ্রঋণ ও ড. মুহাম্মদ ইউনূস যেন সমার্থক শব্দ। একে অপরের সর্বনাম। যিনি ক্ষুদ্রঋণের সম্ভাবনাকে কেবল কেস স্টাডি হিসেবে নেননি, আন্দোলনে পরিণত করেছেন। এ নিয়ে বিশ্বমুক্তির স্বপ্নে হেঁটেছেন পৃথিবীর পথে। বাংলাদেশের চট্টগ্রামের জোবরা গ্রামের কর্মসূচিকে সীমাবদ্ধ রাখেননি নির্দিষ্ট কোনো ভূগোলে, পৌঁছে দিয়েছেন সারা পৃথিবীতে। জেমস জে. নোভাকের বই ‘বাংলাদেশ : জলে যার প্রতিবিম্ব’কে মনে করা হয় এ দেশকে বোঝার জন্য আয়না বিশেষ। তিনি বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতিসহ সবকিছু বুঝতে চেয়েছেন জলের ভাষায়। সত্যি তো, নদীমাতৃক বাংলাদেশ বুঝতে হলে তার জলকে বুঝতে হবে, নদীর ভাষাকে ধরতে হবে। একই কথা বলতে হয় ক্ষুদ্রঋণের ক্ষেত্রেও। স্বাধীন বাংলাদেশের অর্থনীতির গতিপ্রবাহ, দারিদ্র্য মুক্তির সংগ্রাম ও নারীর ক্ষমতায়নকে বুঝতে হলে ক্ষুদ্রঋণ সংস্কৃতিকে অনুধাবন করতে হবে। ক্ষুদ্রঋণকে যিনি নতুন ভাষা দিয়েছেন, আন্দোলন হিসেবে জারি রেখেছেন দেশ-বিদেশে– তাঁর সম্পর্কেও জানতে...
কামরুল হাসান শায়ক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লি.-এর প্রকাশক। পাঠকের প্রত্যাশা পূরণে ফিকশন, নন-ফিকশন, ফ্যান্টাসি, সায়েন্স ফিকশন, হরর, কমিক্স, অটোবায়োগ্রাফি, অনুবাদ ইত্যাদি বই নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি তিনি দেশের প্রকাশনাকে সমষ্টিগতভাবে বিশ্বমানে উন্নীত করে আন্তর্জাতিক প্রকাশনাপ্রবাহে সংযুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করছেন। দেশ এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বইমেলায় বাংলাদেশের সরব উপস্থিতি নিশ্চিত করতে তার রয়েছে প্রশংসনীয় অগ্রণী ভূমিকা। একুশে বইমেলাকে কেন্দ্র করে অনূদিত বইয়ের বহুবিধ বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেছেন অলাত এহ্সানের সঙ্গে। অলাত এহ্সান : বইমেলায় অনুবাদ বইয়ের সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়ছে। পাঠক পরিসরে আলোচনাও শোনা যায় এসব বই নিয়ে। বিক্রিও আশাপ্রদ। প্রকাশক হিসেবে আপনার অভিজ্ঞতা কেমন? কামরুল হাসান শায়ক : বাংলাদেশে অনুবাদকৃত বইয়ের প্রকাশনা বাড়ছে। বিশেষ করে যে বইগুলো বিশ্বব্যাপী পাঠকপ্রিয়তা পায়, নোবেল বা বুকার পুরস্কার পায় এমন বইগুলোই বাংলাদেশের অনুবাদকগণ অনুবাদ এবং...
অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে জোবায়ের মিলনের গল্পগ্রন্থ ‘মাথাহীন মানুষের দেশে’। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ। এটি প্রকাশ করেছে বিদ্যাপ্রকাশ। বইটিতে মোট ১২টি গল্প রয়েছে। এই বইয়ের গল্পগুলোর পটভূমি সম্পর্কে লেখক জানিয়েছেন, জীবন এবং যাপনের বহুতরো যন্ত্রণা, নিঃসঙ্গতার কাঁটাতার, আমাদের মেরুদণ্ডহীনতা, মগজের মৃত্যু, সাম্প্রদায়িক-অসাম্প্রদায়িক-প্রগোতিশীলতার চির দ্বন্দ্ব, শাসকের অন্যায্য কর্মকাণ্ড, শোষকের অট্টহাসি, গর্বিত মানুষের ক্রমবর্ধিষ্ণু অহমিকা, অব্যক্ত দীর্ঘশত্রুতা, বহতায় বাধা, পদের ঔদ্ধত্য অসহনীয় হয়ে উঠলে ঘোর বৃত্তাবর্তে যে গর্তের সৃষ্টি হয়—হয় যে অভিঘাতজনিত অতি ক্রিয়া...তারই আবছায়া। বইয়ের ফ্ল্যাপে সরকার আব্দুল মান্নান লিখেছেন, বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চার যে ইতিহাসের সঙ্গে আমাদের পরিচয় আছে, সেই ইতিহাসে সংঘাতের স্বরূপচারিত্র্য নতুন কোনো বিষয় নয়। বরং এই দ্বন্দ্ব চির পুরাতন এবং চির নতুন। কেউ যদি বলে, এই সব বিষয় নিয়ে তো অনেক গল্প-উপন্যাস-নাটক রচিত...
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন রাজধানীর পুরান ঢাকার বাংলাবাজার বইয়ের দোকানে আগুন লেগে প্রকাশনী প্রতিষ্ঠান গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্সের একটি বিক্রয়কেন্দ্র পুড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ভোরে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রাকিব আল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আজ ভোর ৬টা ৮মিনিটে আগুনের খবর পাই। সদরঘাট ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্সের বাংলাবাজারের বিক্রয়কেন্দ্র পুড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানের জেনারেল ম্যানেজার নাজমুল হাসান। নাজমুল হাসান বলেন, এই একটি দোকানই পুড়েছে। দোকানে বই ছাড়াও দুটি কম্পিউটার, একটি ল্যাপটপ, দুটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ও নগদ এক লাখের বেশি টাকা ছিল। পুড়ে যাওয়া বইয়ের দাম ধরলেও আনুমানিক ৭০-৮০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, ধারণা করছি বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। আমরা...
কবিতা বিচারের নানা তরিকা আছে। পাঠকের রুচি, পঠন-পাঠন, নন্দনতাত্ত্বিক ধারণা ইত্যাদি অনুযায়ী একেক ধরনের কবিতা একেকজনের প্রিয়তা অর্জন করে। আমি কবিতাকে বিবেচনা করি দেশের সাপেক্ষে। এর সঙ্গে দেখতে চাই শিল্পের মিতালি। কারণ, কবিতা শুধু অনুভাবনার উচ্চারণ না, আর্টও বটে। দেশের সাপেক্ষে বলতে এটা বোঝাতে চাই না যে, মিছিলে আর জাতীয়তাবাদী আবেগে কেঁপে কেঁপে উঠতে হবে কবিতার সমস্ত দেহ-মন। কবিতার কাছে দেশের গান হয়ে ওঠার প্রত্যাশাও করি না। আমি দেখতে চাই কবিতাটা বাংলাদেশের নাকি ইরান-তুরান-কলকাতা-বিলাত-নিউইয়র্ক-প্যারিসের। নাকি ‘নো ম্যানস ল্যান্ডের’। বাংলাদেশের ভালো-মন্দ, মাটি-বাতাস-আবহাওয়া, প্রাণ-প্রকৃতি-উচ্চারণভঙ্গির রসায়নে নির্মিত কবিতাই বাংলাদেশের কবিতা। এই কবিতাকে নিয়ে আমি দেশের পক্ষে অনেক দূর পর্যন্ত মোকাবিলা করতে পারব। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে, বাংলাদেশে বাংলাদেশের কবিতা কম রচিত হয়। আলতাফ শাহনেওয়াজ ‘বাংলাদেশের কবি’। তাঁর ‘তবু আমরা জেগে থাকবো’ বাংলাদেশের কবিতার বই।...
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কথিত পীর মো. মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে হওয়া মামলায় আজ বুধবার সকালে তাঁকে নিজ আস্তানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁর শাগরেদ ও জামাতা মো. আবু নাইমকেও গ্রেপ্তার করা হয়। মিজানুর রহমান শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের ধুমঘাট অন্তাখালী গ্রামের প্রয়াত দীনদার গাজীর ছেলে। আবু নাইম শরীয়তপুরের সখীপুর থানার মোল্যাবাজার গ্রামের নুরুল হুদার ছেলে। নিজেকে ‘আল্লাহপাকের কুতুব ও ওলি’ দাবি করে মানুষের ‘অন্তর্চক্ষু খুলে দেওয়া’র নামে অসংখ্য মানুষের থেকে আর্থিক সুবিধা আদায়ের অভিযোগ আছে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে।প্রতারণাসহ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে শ্যামনগরের শংকরকাঠি গ্রামের সিদ্দিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, মিজানের নির্দেশনায় তাঁর জামাতা আবু নাইম ‘শরিয়তের মানদণ্ডে ওলীগণের হালত’ নামীয় একটি...
সাত বছর পর মেলায় এসেছে প্রতিশ্রুত গল্পকার অলাত এহ্সানের দ্বিতীয় গল্প সংকলন। ‘বৃদ্ধাশ্রম হয়ে ওঠা কফি হাউসটি’ বইটি প্রকাশ করছে জ্ঞানকোষ প্রকাশনী। এ ছাড়া ‘দশ কথা: বিশিষ্টজনের মুখোমুখি’ শীর্ষক সাক্ষাৎকার সংকলন প্রকাশ করেছে বেঙ্গলবুকস। বই দুটি মনোযোগী পাঠকের আনন্দ ও চিন্তার খোরাক হবে। অলাত এহ্সানের দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ ‘বৃদ্ধাশ্রম হয়ে ওঠা কফি হাউসটি’। প্রথম বইয়ের চরিত্র যেন সময়ের অভিঘাতে বিবর্তিত হয়ে দ্বিতীয় গ্রন্থে উপস্থিত হয়েছে। যারা স্থান-কালের বাইরে চরিত্রের বদলের ভেতর পাঠকে উপভোগ করেন, এসব গল্পের ধারাবাহিকতা হয়তো তাদের উপন্যাসের স্বাদও পেতে পারেন। আলাদা গল্প, আলাদা চরিত্র, আলাদা প্লট; কিন্তু সময়ের ধারাবাহিক সমীক্ষা যেন! বইটিতে গল্পের সংখ্যা দশ। এর মধ্যে প্রেম, ফ্যান্টাসি, মানুষের দূরত্ব, রাজনৈতিক বাস্তবতা, পরিবেশে-প্রকৃতি, পেশাজীবনের ধকল, ব্যক্তিজীবনের রাজনীতির প্রভাব, সময়ে বদলে সঙ্গে জীবনের উন্নতি বা অনুপোযোগী হয়ে পড়া,...
দেখতে দেখতে ১৮তম দিন পার করে ফেলল বাঙালির প্রাণের মেলাখ্যাত অমর একুশে বইমেলা। ধীরে ধীরে বাড়ছে বইয়ের বিক্রি। অনেকেই এখন আগে সংগ্রহ করা তালিকা দেখে বই কিনতে শুরু করেছেন। আবার অনেকে এখনও বিভিন্ন স্টল থেকে বইয়ের তালিকা নিচ্ছেন। মেলার শেষ দিকে তারা পছন্দের বইগুলো সংগ্রহ করবেন বলে জানিয়েছেন। মেলায় ক্রেতা ও পাঠকের পাশাপাশি দর্শনার্থীর সংখ্যাও কম নয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মেলার কালীমন্দির প্রবেশ গেটে বেশ ভিড় দেখা গেল। ওই প্রবেশ গেটের পাশেই শিশু চত্বর। কর্মদিবসে শিশু চত্বরে ছুটির দিনগুলোর মতো ভিড় তেমন নেই। স্টলগুলোতে বেশ কিছু শিশুকে দেখা গেল বাবা-মায়ের সঙ্গে ঘুরে বই কিনতে। বিভিন্ন কার্টুনের কাটআউটের সঙ্গে ছবি তোলার আবদার তো ছিলই। শিশু চত্বর পার হয়ে সামনে হেঁটে যেতে যেতে চোখে পড়বে অক্ষর, পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্সসহ বিভিন্ন স্টল। বিশেষত পাঞ্জেরীতে...
এখনকার শিশুরা বই থেকে অনেকটাই দূরে সরে যাচ্ছে। তারা ঝুঁকে যাচ্ছে মোবাইল, ট্যাব কিংবা টেলিভিশনের প্রতি। এই আসক্তি তাদের বই পড়ার আনন্দ থেকে বঞ্চিত করছে। অথচ জ্ঞান অর্জন, কল্পনাশক্তি বৃদ্ধি এবং মানসিক বিকাশের জন্য বই পড়ার বিকল্প নেই। তাই ছোটবেলা থেকেই শিশুর মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। পরিবার থেকেই শুরু হোক বইয়ের প্রতি ভালোবাসা শিশুর বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পরিবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। যদি মা-বাবা নিজেরাই বই পড়েন, শিশুও স্বাভাবিকভাবেই বইয়ের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে। শিশুকে গল্প পড়ে শোনানো, বই নিয়ে আলোচনা করা বা রাতে ঘুমানোর আগে গল্প বলা যেতে পারে। এসব ছোট ছোট অভ্যাস তার মনে বইয়ের প্রতি ভালোবাসা জন্মাতে সাহায্য করবে। বই নির্বাচন হোক শিশুর বয়স ও রুচির ভিত্তিতে প্রত্যেক শিশুর রুচি ও...
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার আমশট্ট গ্রামের শহীদ মিনারটির কাঠামো ছাড়া আর কিছুই নেই। দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেই। কঙ্কালসার শহীদ মিনারটি কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। গোবিন্দপুর ইউনিয়নের আমশট্ট গ্রামে নব্বইয়ের দশকে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র নির্মাণকাজ শুরু হয়। ওই সময় গ্রামবাসীর দাবির মুখে নির্মাণকাজের ঠিকাদার আমশট্ট হাটখোলায় একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করে দেন। নব্বইয়ের দশক থেকে এলাকার কয়েক গ্রামের মানুষ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসে ওই শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আসছেন। শহীদ মিনারের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্বন্ধে জানতে পারতেন। দীর্ঘদিন শহীদ মিনারটি কোনো প্রকার সংস্কার না করায় প্লাস্টার উঠে রডগুলো বেরিয়ে গেছে। একটি মিনার সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। মিনারটির কঙ্কাল দাঁড়িয়ে আছে। একটি মিনার সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। আমশট্ট গ্রামের সাহিত্যিক প্রভাষক...
ছবি: নকশা
‘তিন গোয়েন্দা’ থেকে ‘শার্লক হোমস’, রবীন্দ্রনাথ থেকে শরৎচন্দ্র কিংবা হুমায়ূন আহমেদ—একসময় শিশু-কিশোরেরা বুঁদ হয়ে থাকত বইয়ের পাতায়। আরেকটু ছোট বয়সে হাতে থাকত রূপকথা ও ঠাকুরমার ঝুলির গল্প। বিনোদনের অন্যতম মাধ্যমই ছিল বই। স্কুলের বইয়ের ভেতরে লুকিয়ে গল্পের বই পড়া কী যে রোমাঞ্চকর, যে এটা করেছে, শুধু সে–ই জানে। সময় পাল্টেছে। মুঠোফোন, ট্যাবের স্ক্রিনে চোখ খুঁজে ফেরে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের রিলস। শিশুরা আগ্রহী কার্টুন আর গেমসে। তবে শহুরে ব্যস্ত জীবনে একখণ্ড অবকাশ হতে পারে রাজধানীর বুক ক্যাফেগুলো। না কিনেও বই পড়ার ব্যবস্থা থাকায় আগ্রহী হচ্ছেন সব বয়সী বইপড়ুয়ারাই। বিশেষ করে শিশুর বিনোদনের অন্যতম চলতি ধারা হয়ে উঠছে এসব আধুনিক বুক ক্যাফের শিশু কর্নারগুলো। অফিসের পরে বা ছুটির দিনে, সন্তানকে নিয়ে অনেকেই আসছেন এসব জায়গায়। বইয়ের প্রতি ভালোবাসার সঙ্গে সমৃদ্ধ হচ্ছে শিশুর মেধা...
নন্দিত অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেন। বহুমূখী প্রতিভার অধিকারী এ গুনী মানুষটি লেখালেখিও করেন। প্রায় সময়ই তাঁর লেখায় উঠে আসে সবসাময়িক নানা বিষয়। এবার তার লেখায় উঠে এল একুশের বই মেলা। গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি লিখেন, বইমেলা চলছে। মেলায় বই থাকে, ধুলা থাকে, চা নাস্তা, আমোদ আহ্লাদ থাকে; আর থাকে নানারকমের মানুষ। যদি একই স্থানে অন্যকিছুর মেলা বসতো- তফাৎ কি দেখতাম? ধুলা থাকতো, চা নাস্তা, আমোদ আহ্লাদ, মানুষ- থাকতো সবই। থাকতো না শুধু বই। মেলার আয়তন বেড়েছে। তা “নদীর এ কূল ভাঙে ও কূল গড়ে”র মতো। এখন আয়তনই উন্নতির সূচক, স্বান্তনা। মেলার ভাব চক্কর দেখে মনে হয়, লেখক, পাঠক, প্রকাশক- এক ঢিলে এই তিন পাখি মারার অতি চমৎকার বন্দোবস্ত। জানি, একথা অনেকের কাছে আপত্তিকর মনে হবে। হতেই পারে।...
নন্দিত অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেন। বহুমূখী প্রতিভার অধিকারী এ গুনী মানুষটি লেখালেখিও করেন। প্রায় সময়ই তাঁর লেখায় উঠে আসে সবসাময়িক নানা বিষয়। এবার তার লেখায় উঠে এল একুশের বই মেলা। গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি লিখেন, বইমেলা চলছে। মেলায় বই থাকে, ধুলা থাকে, চা নাস্তা, আমোদ আহ্লাদ থাকে; আর থাকে নানারকমের মানুষ। যদি একই স্থানে অন্যকিছুর মেলা বসতো- তফাৎ কি দেখতাম? ধুলা থাকতো, চা নাস্তা, আমোদ আহ্লাদ, মানুষ- থাকতো সবই। থাকতো না শুধু বই। মেলার আয়তন বেড়েছে। তা “নদীর এ কূল ভাঙে ও কূল গড়ে”র মতো। এখন আয়তনই উন্নতির সূচক, স্বান্তনা। মেলার ভাব চক্কর দেখে মনে হয়, লেখক, পাঠক, প্রকাশক- এক ঢিলে এই তিন পাখি মারার অতি চমৎকার বন্দোবস্ত। জানি, একথা অনেকের কাছে আপত্তিকর মনে হবে। হতেই পারে।...
ইফতেখার চৌধুরী পরিচালিত সুপারহিট হিট সিনেমা ‘দেহরক্ষী’ দিয়ে ২০১৩ সালে ঢাকাই চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন অভিনেতা শিমুল খান। এরপর টানা বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করে পরিচিত পান। বিশেষত খল-অভিনেতা হিসেবে অবস্থান তৈরী করেন তিনি। এই অভিনেতই এবারের একুশে মেলায় তার দ্বিতীয় বই প্রকাশ করলেন। বইয়ের নাম "চল্লিশ হাওয়া Forty Winds"। বইটি আবার উৎসর্গ করেছেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীকে। মঙ্গলবার পরীবাগে অবস্থিত সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। নায়িকা নিজ হাতে এই বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসে বুবলী বলেন, শিমুল খান ভাইয়ের দ্বিতীয় বই। এটা আমাকে উৎসর্গ করা হয়েছে। এটা আমার জন্য অবশ্যই সম্মানের। শিমুল খান বলেন, আদর্শ সহকর্মী এবং মানুষ হিসেবে বুবলী অতুলনীয়। তার প্রতিটি পদক্ষেপ এবং আচার ব্যবহারে চলচ্চিত্র শিল্পের প্রোডাকশন বয় থেকে শুরু করে পরিচালক,...
সদ্য বিগত সরকারের আমলে দেশের সামরিক গোয়েন্দাদের আয়নাঘর নামক গোপন বন্দিশালা সম্পর্কে এখন বহুল আলোচনা চলছে। এই সংস্থা আগেও নানাভাবে সাধারণ জনজীবনের ঘটনায় তাদের প্রভাব রেখেছে—এমন অভিযোগ বহুদিনের। তেমন একটি ঘটনার বর্ণনা আমরা পাই ডা. সারওয়ার আলীর ভাষ্যে। ২০০৭ সালে তিনি তখন ন্যাশনাল কাউন্সিলের নির্বাহী হিসেবে বারডেম ও ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের দায়িত্বে। নতুন মেডিকেল অফিসাররা চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। প্রতিষ্ঠান প্রধান ডা. এ কে আজাদ চৌধুরী ছিলেন বিদেশে। দেশে ফেরামাত্র বিমানবন্দর থেকে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সামরিক গোয়েন্দা বাহিনী তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। চাপের মুখে আন্দোলনরতদের দাবিদাওয়া মানতে বাধ্য করা হয়।এমন অনেক অজানা অধ্যায় পাঠকের সামনে উন্মোচন করা হয়েছে সারওয়ার আলীর তিন শতাধিক পৃষ্ঠার আত্মজীবনী ‘পেরিয়ে এলেম অন্তবিহীন পথ’ নামের এক অনবদ্য গ্রন্থে। প্রকাশিত হয়েছে প্রথমা প্রকাশন থেকে।দানিয়ুব নদীর...
বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষক, কথা সাহিত্যিক ও গবেষক সরোজ মেহেদী। সম্প্রতি নাম লিখিয়েছেন রাজনীতিতেও। সময়ের জনপ্রিয় রাজনৈতিক সংগঠন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য তিনি। জুলাই বিপ্লবের প্রেক্ষিতে একটি অন্তর্ভূক্তিমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দেশ পুনর্গঠনের লড়াইয়েও থাকছেন তিনি। সরোজ মেহেদীর প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘মায়াজাল’। প্রকাশিত হয়েছে চলতি বইমেলায়। জীবনের নানা ঘটনা, দুঃখ-গাঁথা। হাসি-কান্না, অনিয়ম-অনাচারের বিভিন্ন গল্পে। কখনো মানবিক বোধে, কখনো ব্যাঙ্গাত্মক উপায়ে গল্পে গল্পে তুলে আনা হয়েছে মানুষের এসব নৈমিত্তিক জীবন। গল্পে যেমন প্রচলিত শৃঙ্খল ভেঙে দ্রোহের ডাক রয়েছে; তেমনি রয়েছে নতুন দিনের আলোর রেখা। গল্পের শব্দ চয়ন আর বাক্য গঠনের সুকৌশল পাঠকের কাছে বইটি সুখপাঠ্য করে তুলেছে। গল্পে ব্যবহৃত শব্দ যেমন সহজবোধ্য বাক্য তেমন মেদহীন। গল্পগুলোতে তুলে আনা হয়েছে আমাদের যাপিত জীবন। প্রেম-ভালোবাসা, স্নেহ-মমতা, অনাচার-অবিচার নানাভাবে উঠে এসেছে বইয়ের গল্পগুলোতে। লেখক নিজে...
মোজাফ্ফর হোসেন কথাসাহিত্য চর্চা করেন। প্রথম উপন্যাস ‘তিমিরযাত্রা’র জন্য তিনি কালি ও কলম সাহিত্য পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়াও ‘অতীত একটা ভিনদেশ’ গল্পগ্রন্থের জন্য পান এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ কথাসাহিত্য পুরস্কার, ‘পরাধীন দেশের স্বাধীন মানুষেরা’ গল্পগ্রন্থের জন্য আবুল হাসান সাহিত্য পুরস্কার, ‘পাঠে বিশ্লেষণে বিশ্বগল্প’ বইয়ের জন্য ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার এবং ‘নো ওম্যান’স ল্যান্ড’ গল্পগ্রন্থের জন্য চ্যানেল আই-আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার। এরই মধ্যে তার গল্প ইংরেজিসহ হিন্দি, গুজরাটি, নেপালি, ইতালি, জার্মানি, আরবি, ফরাসি ও স্প্যানিশ ভাষায় অনূদিত হয়েছে। চলতি বইলেমায় মোজাফ্ফর হোসেনের একাধিক নতুন বই প্রকাশ হয়েছে। নতুন বইয়ের প্রেক্ষাপটসহ নানা বিষয়ে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেছেন এই লেখক। সাক্ষাৎকারটি গ্রহণে স্বরলিপি। রাইজিংবিডি : আমরা জানি যে আপনার সদ্য প্রকাশিত ‘Between Two Lives’- বইতে এগারোটি ছোটগল্পের ইংরেজি অনুবাদ রয়েছে। যে...
বইমেলায় গতকাল বইয়ের চেয়ে বেশি ছিল বইকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া নানা প্রসঙ্গের উত্তাপ। নতুন লেখকদের বই খুঁজছিলেন ঊর্ধ্বতন উন্নয়নকর্মী কল্পনা বসু। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বই খুঁজতে খুঁজতে তিনি বলেন, ‘নতুন লেখকদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া যাঁদের দায়িত্ব, তাঁরা তা করছেন না। তাই ছাপা বইয়ের সঙ্গে কি এখনকার প্রজন্মের একটা দূরত্ব তৈরি হচ্ছে?’ গতকালই তিনি প্রথম এসেছিলেন মেলায়।গতকাল মেলার মাঠ ঘুরে দেখা গেল, সেখানেও প্রভাব পড়েছে গত কয়েক দিনের নানা ঘটনার। বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘লেখক বলছি’ মঞ্চের সামনে কবি সোহেল হাসান গালিবের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে লেখক ও কথাসাহিত্যিকদের একটি অংশ।মেলা ফুরানোর সময় এগিয়ে আসছে। এখন বিক্রি বাড়ছে বলে জানান বিক্রেতারা। তবে বন্ধের দিনের চেয়ে গতকাল বিক্রি কম। ক্রেতা বাড়ছে এটাই আশাজাগানিয়া। বিক্রয়কর্মীরা বলেন, প্রথম দিকের বইমেলায় ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থীর...
বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘পাঠাও’ এ বছর তাদের অগ্রযাত্রার দশম বছরে পদার্পণ করছে। এ উপলক্ষে পাঠাওয়ের সঙ্গে তৈরি হওয়া বিভিন্ন গল্প নিয়ে এবারের অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে ‘অগ্রযাত্রার অগ্রদূত’। বইটি প্রকাশ করেছে ‘স্টুডেন্ট ওয়েজ’।গতকাল রোববার বিকেলে একুশে বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং পাঠাওয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।এ সময় শফিকুল আলম বলেন, ‘চব্বিশের জুলাইয়ে আমাদের যে অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানটি হয়েছে, সেখানে করপোরেট হাউস হিসেবে পাঠাওয়ের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। আমি অগ্রযাত্রার অগ্রদূত বইটি পড়ছিলাম। গল্পগুলো খুবই ভালো। আমি মনে করি, সামনের বছরগুলোতে পাঠাওয়ের সঙ্গে যুক্ত সবার যদি প্রতিদিনের ডায়েরি এন্ট্রি নিতে এনকারেজ করা এবং সংগ্রহ করা হয়, তাহলে মনে হবে, পাঠাওয়ের প্রতিদিনের গল্পগুলোই...
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম পাঠাও। অগ্রযাত্রার ১০ম বছরে পদার্পণ করছে প্ল্যাটফর্মটি। এ উপলক্ষে একুশে বইমেলায় ‘অগ্রযাত্রার অগ্রদূত’ নামে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়েছে। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) একুশে বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং পাঠাও-এর সিইও ফাহিম আহমেদ এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা। ‘অগ্রযাত্রার অগ্রদূত’ বইটি প্রকাশিত হয়েছে স্বনামধন্য প্রকাশনী সংস্থা স্টুডেন্ট ওয়েজে। দশ বছরের পথচলায়, পাঠাও-এর সঙ্গে অনেকের জীবনেই তৈরি হয়েছে দারুণ কিছু গল্প। কখনো ফুডম্যান কিংবা রেস্টুরেন্টকে কেন্দ্র করে, কখনো আবার একজন ব্যবসায়ী এবং একজন ডেলিভারি এজেন্টকে কেন্দ্র করে। এতসব গল্পের ভিড়েও থেকে যায় কিছু এগিয়ে যাওয়ার, ভিন্ন কিছু করার, সবার সামনে একটি উদাহরণ তৈরি করার মতো গল্প। পাঠাও-এর সঙ্গে যারা কাজ করছেন, এই প্ল্যাটফর্ম থেকে তারাও প্রতিনিয়ত তৈরি করছেন দারুণ...
২০২০ সালের শুরুতে এলাকায় ৩০ শতাংশ জমি কিনে স্থানীয় সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ে নিবন্ধন করেন ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম। পাঁচ বছরেও জমির মূল দলিল পাননি তিনি। কিছুদিন আগে জরুরি টাকার প্রয়োজনে জমি বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে চেয়েছিলেন। তবে দলিল না পাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। পরে বাধ্য হয়ে চড়া সুদে একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) থেকে ঋণ নিয়েছেন তিনি।সাইফুল ইসলাম লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার টুমচর গ্রামের বাসিন্দা। শুধু তিনি নন, জমি কিনে নিবন্ধনের পরও মূল দলিল পেতে দেরি হওয়ায় এ ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে লক্ষ্মীপুরের অনেক বাসিন্দাকে। জেলার ছয়টি সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে বালাম বইয়ের তীব্র সংকটের কারণে মূল দলিল পেতে দেরি হচ্ছে। এসব কার্যালয়ে বালাম বইয়ে লেখার অপেক্ষায় পাঁচ বছর ধরে পড়ে আছে প্রায় দুই লাখ দলিল। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চাহিদার তুলনায় বালাম বইয়ের সরবরাহ কম...
অমর একুশে বইমেলায় সিদ্দিকীয়া পাবলিকশন্স প্রকাশ করেছে মুনীরুল ইসলামের কবিতার বই ‘দেয়ালের চোখ’। দেয়ালের চোখ বইয়ের ফ্ল্যাপে কবি ও কথাসাহিত্যিক শাওন আসগর লিখেছেন, ‘‘মুনীরুল ইসলাম বেশ কিছু ধর্মীয় গ্রন্থ এবং শিশু-কিশোর উপযোগী কুরআন, হাদিস ও নবী-রাসুলের গল্পগ্রন্থ লিখেছেন। পাশাপাশি ছড়া লিখেন জানতাম, কিন্তু ‘দেয়ালের চোখ’ কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশের মাধ্যমে তিনি নতুনরূপে আবির্ভূত হলেন। আমি যখন তার ছড়াগ্রন্থ পাঠ করেছি, তখনই এ বোধ জাগ্রত হয়েছে যে, তিনি একজন ভালো লেখক। ছড়া লেখায় তাঁর যে মুনশিয়ানা রয়েছে- যেটা অন্তরের দৃষ্টিসম্পন্ন ভাবনা, এতে তিনি নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেছেন।’’ বইয়ের ফ্ল্যাপে শাওন আসগর আরও লিখেছেন, ‘‘দেয়ালের চোখ’ কাব্যগ্রন্থে যেসব কবিতা রয়েছে, এর মাধ্যমে তাকে একজন অন্যতম কবি হিসেবে গণ্য করা যায়। তার কবিতা ও সাহিত্যচিন্তা শুধু নিজের অন্তর্নিহিত আত্মা থেকেই আসেনি, বরং...
আশরাফ জুয়েল পেশায় চিকিৎসক আর নেশায় লেখক। কবিতা ও গল্প লিখে চলেছেন সমান্তরালে। তার প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘রাষ্ট্রধারণার বিরুদ্ধে মামলা ও বিবিধ গল্প’ জেমকন তরুণ কথাসাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত এবং পাঠক ও সমালোচক মহলে বেশ সমাদৃত৷ এই লেখক পশ্চিমবঙ্গ থেকে অর্জন করেছেন ‘ইতিকথা মৈত্রী সাহিত্য সম্মাননা ২০১৭’। অমর একুশে বইমেলায় আশরাফ জুয়েলের কবিতার বই ‘কবিরা আজীবন বিরোধী দল’ প্রকাশিত হয়েছে। নতুন বইয়ের প্রেক্ষাপটসহ নানা বিষয়ে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেছেন আশরাফ জুয়েল। সাক্ষাৎকার গ্রহণে স্বরলিপি। রাইজিংবিডি: পেশাগত জীবনে আপনি মানুষের মৃত্যু এবং বেঁচে থাকার আকুতি খুব কাছ থেকে দেখেন— এই দেখা আপনার ভাবনায় কতটা প্রভাব ফেলে? আশরাফ জুয়েল: পেশাগত জীবনে মানুষের মৃত্যু এবং বেঁচে থাকার সংগ্রাম প্রত্যক্ষ করা একটি গভীর দার্শনিক ও মানবিক অভিজ্ঞতা তৈরি করে। এটি শুধু চিকিৎসক হিসেবে নয়,...
ইতিহাস অনুধাবনে আঞ্চলিক ইতিহাসের গুরুত্ব অপরিসীম। রাজধানী ঢাকার চাইতেও প্রাচীন নারায়ণগঞ্জ। যে কাজ একদল ঐতিহাসিকের; বড় মাপের প্রকল্প ছাড়া সম্পাদনের কথা ভাবা যায় না, আপন তাগিদে সেই গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন লেখক ও সংস্কৃতিকর্মী রফিউর রাব্বি। তাঁর ‘নারায়ণগঞ্জের সংস্কৃতি ইতিহাস ও ঐতিহ্য’ বইয়ে অকীর্তিত ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য, শিল্প-বাণিজ্য ইত্যাদি ফুটে উঠেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসচর্চায় বিশেষ অবদান রাখবে বইটি।শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ নগরের চাষাঢ়ায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘নারায়ণগঞ্জের সংস্কৃতি ইতিহাস ও ঐতিহ্য’ ও ‘বৃত্তের বাইরে’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও লেখক মফিদুল হক এসব কথা বলেন। বই দুটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট।সংগঠনটির সভাপতি জিয়াউল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাবেক সভাপতি ভবানী শংকর রায়ের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন ইতিহাসবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শওকত আরা হোসেন, লেখক ও...
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সাল। আল মাহমুদ মারা গেলেন। আমি তখন ঢাকায়। চোখ রাখলাম পত্রিকার পাতায়, কে কী লিখলেন এবং কে কী শোকবার্তা দিলেন। না, কেউ তেমন কিছু করলেন না। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি—কারও কোনো বাণী দেখলাম না। তখন ঢাকায় একুশের বইমেলা চলছিল। বইমেলায় গেলাম। সেখানেও আনুষ্ঠানিকভাবে আল মাহমুদের জন্য তেমনভাবে কোনো শোক প্রকাশ চোখে পড়ল না। একটা জায়গায় প্যান্ডেল টানিয়ে সভা হচ্ছে। গিয়ে দেখলাম, একজন রাজনৈতিক নেতার জীবনদর্শন নিয়ে কেউ একটা বই লিখেছেন, তারই মহরত। আল মাহমুদের একটা ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা সংকলন’ কিনে ফিরে এলাম। ভাবলাম, আমি আর কী করতে পারি? রাতে বাড়িতে এসে আনাড়ি হাতে একটা কবিতা লিখলাম। তারপর আল মাহমুদের ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’ সংকলন খুলে বসলাম। একজন কবিকে শ্রদ্ধাতে তাঁর কবিতা পড়া ছাড়া উপায় কী! আল মাহমুদ মনে করতেন, কবিতাঙ্গনে...
মহানবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে কবি সোহেল হাসান গালিবকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহর আদালত রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নাকচ করে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দেন। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) আদালতের অপরাধ ও প্রসিকিউশন বিভাগের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর স্বপন কুমার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সোহেল হাসান গালিবকে আদালতে হাজির করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিবি) কোতয়ালি জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক হুমায়ন কবীর। তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। কবি সোহেল হাসান গালিবের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আদালত রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে সোহেল হাসান গালিবকে কারাগারে পাঠিয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের...
এজাজুল ইসলাম নিজের বইয়ে অটোগ্রাফ দিতে দিতে বললেন ‘আমার খেজুর গুড় আর মধু কোথায় রাখব?’ শ্রাবণ মেঘের দিন–এর সেই ‘ঢুলি’ চরিত্রের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা ডাক্তার এজাজুল ইসলামের জন্য এক পাঠক গতকাল শুক্রবার মেলায় এসব বয়ে এনেছিলেন। হুমায়ূন আহমেদের হাত ধরে উঠে আসা রসিক চরিত্রের গুণী অভিনেতার এবার দুটি বই এসেছে সময় প্রকাশন থেকে। হুমায়ূন স্যারের চোখের জল এবং হুমায়ূন স্যারের শুটিং ও আমি। এজাজুল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার জন্য এক বাচ্চা তার গাছের প্রথম পেয়ারাও নিয়ে এসেছিল। এসব ভালোবাসা মাপা যায় না কিছু দিয়ে।’ ছুটির দিন, পয়লা ফাল্গুন আর ভালোবাসা দিবস মিলিয়ে শুক্রবারের বইমেলার ভিড় খারাপ ছিল না। এমন অসংখ্য টুকরা টুকরা ঘটনা ঘটছিল মেলার বইয়ের দোকানের ভেতরে।তবে ভালোবাসা দিবসের এই ভিড়ের অধিকাংশ মানুষের হাতে বইয়ের ব্যাগ তেমন দেখা গেল...
ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কথা সাহিত্যিক ও সাংবাদিক সাব্বির আহমেদ সেন্টুর উপন্যাস গ্রন্থ ‘‘স্বপ্নভরা দুটি চোখ’’। নারী নেতৃত্ব নিয়ে লেখা বইটি ইতোমধ্যে পাঠক মহলে বেশ সাড়া পেয়েছে। ‘‘রকমারি ডটকম’’ ও ‘‘বই সদাই’’সহ বিভিন্ন অনলাইনেও বইটি ধুম বেচাকেনা চলছে। বইটি প্রকাশিত হয়েছে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরীর ১২০ আউটার সার্কুলার রোডের তুষার ধারা প্রকাশনী থেকে। যার প্রকাশনায় ছিলেন প্রকাশক আমিনুল ইসলাম মামুন। হার্ডকভার বাইন্ডিংয়ের চার ফর্মার এই বইটির দাম রাখা হয়েছে ২২৫টাকা। বইমেলায় ২৫%কম মূল্যে পাওয়া গেলেও অনলাইনে তারচেয়ে আরো ৩% কমে ক্রয় করা যায়। একুশের বইমেলায় বইটি পাওয়া যাবে সোহরাওয়ার্দ্দী উদ্যানের ৫৫৮ ও ৬৬৯নং স্টলে। বইটি নিয়ে কথা হয় এটির প্রকাশক আমিনুল ইসলাম মামুনের সঙ্গে। তিনি জানান,তথ্য প্রযুক্তির যুগে এতো এতো বইয়ের ভিড়ে স্বপ্নভরা দুটি চোখ মেলার পাশাপাশি অনলাইনেও বিক্রি হচ্ছে বেশ। একজন...