বইমেলায় মুনীরুল ইসলামের কবিতার বই ‘দেয়ালের চোখ’
Published: 16th, February 2025 GMT
অমর একুশে বইমেলায় সিদ্দিকীয়া পাবলিকশন্স প্রকাশ করেছে মুনীরুল ইসলামের কবিতার বই ‘দেয়ালের চোখ’।
দেয়ালের চোখ বইয়ের ফ্ল্যাপে কবি ও কথাসাহিত্যিক শাওন আসগর লিখেছেন, ‘‘মুনীরুল ইসলাম বেশ কিছু ধর্মীয় গ্রন্থ এবং শিশু-কিশোর উপযোগী কুরআন, হাদিস ও নবী-রাসুলের গল্পগ্রন্থ লিখেছেন। পাশাপাশি ছড়া লিখেন জানতাম, কিন্তু ‘দেয়ালের চোখ’ কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশের মাধ্যমে তিনি নতুনরূপে আবির্ভূত হলেন। আমি যখন তার ছড়াগ্রন্থ পাঠ করেছি, তখনই এ বোধ জাগ্রত হয়েছে যে, তিনি একজন ভালো লেখক। ছড়া লেখায় তাঁর যে মুনশিয়ানা রয়েছে- যেটা অন্তরের দৃষ্টিসম্পন্ন ভাবনা, এতে তিনি নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেছেন।’’
বইয়ের ফ্ল্যাপে শাওন আসগর আরও লিখেছেন, ‘‘দেয়ালের চোখ’ কাব্যগ্রন্থে যেসব কবিতা রয়েছে, এর মাধ্যমে তাকে একজন অন্যতম কবি হিসেবে গণ্য করা যায়। তার কবিতা ও সাহিত্যচিন্তা শুধু নিজের অন্তর্নিহিত আত্মা থেকেই আসেনি, বরং তাঁর কাব্যচিন্তা সমাজ, রাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক প্রবহমানতাকে ধারণ করেছে। পাঠক যখন তাঁর কবিতাগুলোর শরীরে প্রবেশ করবেন, যখন মনোযোগ দিয়ে কবিতার সুগন্ধি গ্রহণ করবেন, তখন সহজেই বুঝতে পারবেন- প্রতিবাদ, প্রেম-ভালোবাসা, স্বাধীনতা এবং দেশ ও ধর্মের অসঙ্গতি, সকল বিষয়ে তিনি তীক্ষ্ণভাবে নজর দিয়েছেন। কবি মুনীরুল ইসলামের এ কাব্যগ্রন্থের যে অন্যতম বৈশিষ্ট্য লক্ষ করেছি তা হলো, তার স্বতঃস্ফূর্ততা। কবিতার বিষয়বস্তু নির্মাণ করতে গিয়ে তিনি প্রাঞ্জল ভাষায় সরলতার পরিচয় দিয়েছেন। আমি উপলব্ধি করেছি, কবিতাগুলো তার ভেতর থেকে সযতনে উৎসারিত ভাবনা। আমাদের চারপাশে যে অনৈতিকতা, খোলস বদলানো এবং রাজনৈতিক দৈন্য, তিনি এ গ্রন্থ রচনা করে সেসব অতিক্রম করবার চেষ্টা করেছেন। তিনি নিজেকে পড়াশোনায় নিয়োজিত রেখেছেন বলেই তার এ গ্রন্থের শব্দ, বাক্য গঠন, উপমা ও উৎপ্রেক্ষাগুলো আমাকে আকৃষ্ট করেছে। আশা করছি তিনি এভাবেই কবিতা, ছড়া-সহ অন্যান্য সাহিত্যকর্মের সাথে নিজেকে নিরলসভাবে সংযুক্ত রাখবেন এবং বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করবেন। কবির সফলতা কামনা করছি।’’
আরো পড়ুন:
আমার কবিতা চায় মৃত্যুর গায়ে হাত বুলিয়ে দিতে: আশরাফ জুয়েল
বইমেলায় কামরান চৌধুরীর ২য় গল্পগ্রন্থ ‘কমলা রোদ্দুর’
বইমেলায় বইটি পাওয়া যাবে ৩৫৯, ৩৬০, ৩৬১ নম্বর স্টলে। মূল্য ২০০ টাকা। এটির প্রচ্ছদ করেছেন আহমেদ ইউসুফ।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ন র ল ইসল ম বইম ল য়
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নাকচ করল হামাস
ইসরায়েলের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির এ প্রস্তাবের আওতায় হামাসকে অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানানো হয়েছিল। খবর বিবিসির।
যুদ্ধবিরতির আলোচনায় সম্পৃক্ত একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে হামাসের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের কথা জানান। তিনি বলেন, হামাসের মূল চাওয়া হলো চূড়ান্তভাবে যুদ্ধ বন্ধ করা এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা। কিন্তু ওই প্রস্তাবে এ বিষয়ে কোনো প্রতিশ্রুতি ছিল না বরং হামাসের হাতে থাকা জীবিত জিম্মিদের অর্ধেককেই মুক্তি দেওয়ার শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা অব্যাহত থাকার মধ্যেই সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে এমন কথা জানা গেল।
ফিলিস্তিনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, মিসরের মাধ্যমে দেওয়া প্রস্তাবে স্পষ্টত হামাসকে নিরস্ত্র করার আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু এতে ইসরায়েলের পক্ষে যুদ্ধ বন্ধ করা এবং গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। তাই হামাস এ প্রস্তাব পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছে।
যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো আলোচনায় এবারই প্রথম ইসরায়েলের পক্ষ থেকে হামাসকে নিরস্ত্র করার শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এটাকে ফিলিস্তিনি সংগঠনটির জন্য চূড়ান্ত সীমারেখা (রেডলাইন) হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের অভিযোগ, ইসরায়েল সময়ক্ষেপণ করছে। যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করছে। হামাসের হাতে থাকা অবশিষ্ট জিম্মিদের উদ্ধার করার চেষ্টায় এমনটা করা হচ্ছে।
হামাস জানিয়েছে, তাদের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তি দিতে তারা প্রস্তুত। তবে এর বিনিময়ে তারা যুদ্ধের সমাপ্তি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের পুরোপুরি প্রত্যাহার চান।
এর মধ্যে বিবিসি জানতে পেরেছে, মিসরের মাধ্যমে একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব সামনে আনা হয়েছে। সেটা বিবেচনা করছে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো। যদিও ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো অগ্রগতির সম্ভাবনার বিষয়ে কিছুই জানাতে পারেনি।
গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার ও নৃশংস হামলার ১৮ মাস চলছে। জাতিসংঘের সতর্কতা, এই ১৮ মাসের মধ্যে এখন গাজার মানবিক পরিস্থিতি সবচেয়ে বাজে অবস্থায় রয়েছে।
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে সফরে গিয়ে ওয়াশিংটনে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেন। এর কয়েক দিন পরই গত সপ্তাহের শেষের দিকে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে আঞ্চলিক মধ্যস্থতাকারীদের কাছে একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
এরপর বিষয়টি নিয়ে প্রধান আলোচক খলিল আল-হায়ার নেতৃত্বে হামাসের একটি প্রতিনিধিদল মিসরের রাজধানী কায়রোয় দেশটির গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।