জেমসকে নিয়ে নতুন পরিকল্পনার কথা জানালেন প্রিন্স মাহমুদ
Published: 18th, March 2025 GMT
প্রিন্স মাহমুদ। নব্বইয়ের দশকের সংগীত অনুরাগীদের ভালোবাসার নাম। তাঁর সুরে বুঁদ ভক্ত-শ্রোতারা। নব্বইয়ের দশক কেন, আজকের এই দিন, এই সময় পর্যন্ত তিনি সমান জনপ্রিয়। নগরবাউল জেমসের সঙ্গে একাধিক গান হয়েছে তাঁর। এ জুটির ‘মা’, ‘বাবা’, ‘বাংলাদেশ’ শিরোনামের গানগুলো কালজয়ী তকমা পেয়েছে। শ্রোতারা তাই বারবার এ জুটির গান প্রত্যাশা করেন। অপেক্ষায় থাকছেন কবে তারা আবার একসঙ্গে কাজ করবেন।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে প্রিন্স মাহমুদ জানান, জেমসের সঙ্গে তাঁর গানের পরিকল্পনা চলছে। সে সাক্ষাৎকারের সূত্র ধরেই যোগাযোগ করা হয় বহু কালজয়ী গানের এই সুরস্রষ্টার সঙ্গে।
প্রিন্স মাহমুদ সমকালকে জানান, গান নিয়ে তুমুল ব্যস্ত সময় যাচ্ছে তাঁর। জেমসকে নিয়ে নতুন গানের পরিকল্পনা চলছে। তবে সেটি এখনও প্রাথমিক অবস্থায় আছে। বিস্তারিত জানাতে সময় লাগবে। জেমস ও প্রিন্স মাহমুদ দু’জন নিজ নিজ অঙ্গনে ব্যস্ত আছেন। জেমস আছেন দেশ-বিদেশের কনসার্ট নিয়ে। প্রিন্স আছেন নতুন সৃষ্টির ব্যস্ততায়। এই দুই তারকা একসঙ্গে বসলেই নতুন গানের খবর মিলবে। এদিকে প্রিন্স এখন ব্যস্ত আছেন সিনেমার গান নিয়ে।
শাকিব খানের ‘প্রিয়তমা’ সিনেমায় ‘ঈশ্বর’ ও ‘রাজকুমার’, ‘বরবাদ’ সিনেমা এবং ‘মা’ গানের সুর-সংগীত করে সিনেমাপ্রেমীদের পেয়েছেন তুমুল প্রশংসা। তাঁর তিনটি গানই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সেই জনপ্রিয়তার রেশ কাটতে না কাটতেই প্রিন্স মাহমুদ কাজ শুরু করেন সিয়াম আহমেদের ‘জংলি’ প্রজেক্ট। সিনেমাটির চারটি গানেরই সংগীত পরিচালনা করছেন তিনি।
আসন্ন ঈদে সেই ‘জংলি’ সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। এ বিষয়ে প্রিন্স মাহমুদ জানান, একই সিনেমার সব গানের দায়িত্ব এর আগে নেননি তিনি। এটিও একটি ভালো অভিজ্ঞতা। গানগুলো দারুণ হয়েছে। শ্রোতাদের কাছে ভালো লাগবে বলে তাঁর বিশ্বাস।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এই রায় দেন।
মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন), জেল আপিল ও আপিলের ওপর শুনানি নিয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন। আজ রায় ঘোষণা করলেন হাইকোর্ট।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ করে ছাত্রশিবিরের কর্মী সন্দেহে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে আবরারকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছেন।’ অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
ওই মামলায় ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১। রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য বিচারিক আদালতের রায়সহ নথিপত্র ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এসে পৌঁছায়, যেটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
ফৌজদারি কোনো মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে কারও মৃত্যুদণ্ড হলে, তা কার্যকরে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে, যেটি ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত। পাশাপাশি দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করতে পারেন। সাধারণত ডেথ রেফারেন্স ও এসব আপিলের ওপর একসঙ্গে হাইকোর্টে শুনানি হয়ে থাকে।
ওই মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের পর কারাগারে থাকা দণ্ডিত ব্যক্তিরা কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জেল আপিল ও আপিল করেন। পৃথক জেল আপিল গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানির জন্য ২০২২ সালের ২৬ জানুয়ারি হাইকোর্টে ওঠে। সেদিন আদালত তা শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। পাশাপাশি নিয়মিত আপিল করেন কারাগারে থাকা দণ্ডিত আসামিরা। আসামিদের এই ডেথ রেফারেন্স, জেল আপিল ও আপিলের ওপর হাইকোর্টে একসঙ্গে শুনানি হয়।
গত বছরের ২৮ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে শুনানি শুরু করে। এরপর পেপারবুক থেকে উপস্থাপনের মাধ্যমে গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে পুনরায় শুনানি হয়। সেদিন থেকে মধ্যে এক দিন ছাড়া প্রতি কার্যদিবসে শুনানি হয়। সর্বশেষ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুনানি নিয়ে আদালত মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।