এবার ১৬ মার্চের মধ্যে সব পাঠ্যবই দেওয়ার আশা এনসিটিবি চেয়ারম্যানের
Published: 11th, March 2025 GMT
এবার ১৬ মার্চের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সব বই দেওয়ার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান। আজ মঙ্গলবার এনসিটিবি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই আশা প্রকাশ করেন এনসিটিবি চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছিলাম আজ-কালের মধ্যে সব বই দেওয়ার জন্য। এখন আমরা প্রতিযোগিতা করছি ২০২৩ সালের ১৭ মার্চের সঙ্গে (তাঁর তথ্য অনুযায়ী ওই বছর সর্বশেষ বই দেওয়া হয়েছিল ১৭ মার্চ)। এখন ১৬ মার্চের মধ্যে দিতে পারলেও পেছনের দিক থেকে দ্বিতীয় হব।’
সংবাদ সম্মেলনে এনসিটিবির সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) অধ্যাপক রিয়াদ চৌধুরী জানান, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে এবার মোট বইয়ের সংখ্যা ৩৯ কোটি ৬০ লাখের বেশি। এর মধ্যে গতকাল পর্যন্ত মুদ্রিত হয়েছে ৩৮ কোটি ৭০ লাখ ৪ হাজারের মতো। এর মধ্যে প্রাথমিকের ৯ লাখ ১৯ লাখের মতো বইয়ের মধ্যে ছাপা হয়েছে ৯ কোটি ১৮ লাখের বেশি। এর মধ্যে সরবরাহ করা হয়েছে (পিডিআই) ৯ কোটি ১৬ লাখের বেশি। আর মাধ্যমিকে (মাদ্রাসার ইবতেদায়িসহ) প্রায় ৩০ কোটি ৪১ লাখ। গতকাল পর্যন্ত ছাপা হয়েছে ২৯ কোটি ৫১ লাখের বেশি। আর সরবরাহ হয়েছে ২৭ কোটি ২০ লাখের মতো।
আরও পড়ুনবিদায় বেলায় বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য সুখবর জানিয়ে গেলেন উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ০৫ মার্চ ২০২৫আটটির মতো দুর্বল প্রতিষ্ঠান সহযোগিতা করছে না বলে জানান এনসিটিবি চেয়ারম্যান রিয়াজুল হাসান। তিনি বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে বইয়ের সংখ্যা বেশি না।
প্রসঙ্গত, শিক্ষাক্রম পরিবর্তন, পাঠ্যবই পরিমার্জনসহ কিছু সমস্যার কারণে শিক্ষা বিভাগ থেকে আগেই বলা হয়েছিল, এবার বই পেতে কিছুটা দেরি হবে। কিন্তু এখন সেই দেরি অনেক বেশি হচ্ছে।
আরও পড়ুনইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করতে উপদেষ্টা পর্যায়ে অনুমোদন০৫ মার্চ ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এনস ট ব
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় এবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করলো ইসরায়েল
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে অবরুদ্ধ গাজায় এবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল।
রবিবার (৯ মার্চ) ইসরায়েলের জ্বালানিমন্ত্রী এলি কোহেন অবিলম্বে গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার আদেশ দেন। খবর আল জাজিরার।
জ্বালানিমন্ত্রী কোহেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের পোস্টে লিখেছেন, “সব জিম্মিকে বাড়ি ফেরাতে এবং যুদ্ধ শেষে গাজায় যেন হামাস আর না থাকে সেটি নিশ্চিত করতেই আমরা সকল পথ অবলম্বন করব।”
আরো পড়ুন:
হামাসকে ‘লাস্ট ওয়ার্নিং’ দিলেন ট্রাম্প
হামাসের সঙ্গে গোপন বৈঠক ট্রাম্প প্রশাসনের
তিনি আরো বলেন, “গাজা ভূখণ্ডের বিদ্যুৎ সরবরাহ ‘অবিলম্বে বন্ধ করার’ একটি আদেশে সই করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, অনেক আলোচনা হয়েছে। এখন সময় এসেছে পদক্ষেপ নেওয়ার!”
এর আগে প্রথম দফায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হতে না হতেই গাজায় সব ধরনের ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ইসরায়েল প্রশাসন।
ইসরায়েলের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় থেকে সে দেশের বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা ইসরায়েল ইলেকট্রিক করপোরেশনকে চিঠি দিয়ে গাজায় বিদ্যুৎ পাঠানো বন্ধ করার জন্য বলা হয়েছে।
গত ১৫ জানুয়ারি কাতার, আমেরিকা এবং মিসরের উদ্যোগে ইসরায়েল এবং হামাস সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে তা কার্যকর হয়। ইসরায়েল চায় প্রথম দফার এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ২০ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত হোক। অন্যদিকে, হামাস চায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করতে।
গত ছয় সপ্তাহজুড়ে দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা, দরকষাকষি ও বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে এসেছে হামাস। কিন্তু ইসরায়েলের অসহযোগিতামূলক আচরণে তা আলোর মুখ দেখেনি। নেতানিয়াহুর প্রশাসন চাইছে, সাময়িক যুদ্ধ বিরতির মাধ্যমে হামাসের হাতে বন্দি থাকা ইসরায়েলিদের দ্রুত মুক্তি দেওয়া হোক। তা নিয়ে ক্রমশ হামাসের ওপর চাপ বৃদ্ধি করছে তারা।
গাজায় মানবিক সহায়তা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার ইসরায়েলের এসব সিদ্ধান্তকে ‘সস্তা ব্ল্যাকমেইল’ বলে উল্লেখ করেছে হামাস। নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন বলেও হামাস দাবি করেছে।
ঢাকা/ফিরোজ