খেলার দুনিয়ায় ভারত-পাকিস্তানের বিখ্যাত প্রেমের কথা বললে একসময় মহসিন খান-রীনা রায়ের উদাহরণ আসত। সাবেক পাকিস্তানি ওপেনিং ব্যাটসম্যান মহসিন খান অবশ্য ভারতীয় কোনো খেলোয়াড়কে নয়, বিয়ে করেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী রীনা রায়কে। বছর দশেক পর ভেঙে গিয়েছিল তাঁদের সেই সংসার। এর আগে-পরে ভারত-পাকিস্তানের অনেক জুটির প্রেমের গুঞ্জন শোনা গেছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেগুলো ছিল পাকিস্তানি ক্রিকেটার ও বলিউডের নায়িকাদের নিয়ে। ইমরান খান-জিনাত আমান (মুনমুন সেন এবং রেখার নামটাও যোগ করে নিতে পারেন), ওয়াসিম আকরাম-সুস্মিতা সেন, শোয়েব আখতার-সোনালি বেন্দ্রে—সবই শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই রয়ে গেছে। তবে সব ছাপিয়ে এখন পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তানের সবচেয়ে বিখ্যাত জুটি সম্ভবত শোয়েব মালিক-সানিয়া মির্জা। সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক মালিকের সঙ্গে ভারতীয় টেনিসের গ্ল্যামার গার্ল সানিয়ার প্রেম ও বিয়ে নিয়ে হয়েছে তুমুল মাতামাতি। কীভাবে হয়েছিল দুজনের প্রেম এবং তারপর বিয়ে, তা নিয়ে সানিয়া বিস্তারিত লিখেছেন তাঁর আত্মজীবনী ‘এইস এগেইনস্ট অডস্’ বইয়ে। সেই বইয়ের ‘ফাইন্ডিং লাভ’ অধ্যায় থেকে আজ থাকছে দুজনের সেই প্রেমের গল্প। তবে পড়ার সময় এটা মনে রাখতে হবে, বইটা যখন সানিয়া লিখেছেন, তখনো শোয়েবের সঙ্গে তাঁর সুখের সংসার। যে সংসার পরে ভেঙে যাওয়ার খবর এসেছে এ বছর জানুয়ারিতে।প্রথম দেখা

কোনো এক অদ্ভুত কারণে একেবারেই ছোট্টবেলা থেকে আমার বদ্ধমূল ধারণা ছিল যে বয়স ২৩ হওয়ার আগেই আমার বিয়ে হয়ে যাবে। আমি বরাবরই কিছুটা সনাতনী চিন্তাভাবনার, আজও অনেক বিষয়ে তা-ই। ভেবেছিলাম, বিয়ের পর টেনিস খেলা ছেড়ে দেব, আর ২৭-২৮ বছর বয়সের মধ্যে আমার সন্তান হবে। জীবনটা ঠিক এমনই কল্পনা করেছিলাম। এখন আমার প্রায় সব বন্ধুই বিবাহিত এবং সন্তানের মা-বাবা। হয়তো আমার চারপাশে বেড়ে ওঠার সময় সবাই যে ধরনের জীবন দেখেছি, আমিও সেই ছকেই মনের মধ্যে একটা পরিকল্পনা তৈরি করেছিলাম। কিন্তু বড় হতে হতে আমরা বুঝতে পারি, জীবন সব সময় পরিকল্পনা অনুযায়ী চলে না।

শোয়েব-সানিয়ার প্রথম দেখা হয়েছিল দিল্লির এক হোটেলে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে সেনা তত্ত্বাবধানে নদী খনন

যশোরের দুঃখ ভবদহ জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের পথে হাঁটছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে আশপাশের নদী খনন করা হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শনে এ কথা জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
পরিদর্শনে তাঁর সঙ্গে ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এ সময় রিজওয়ানা বলেন, ‘দুর্গত এলাকার মানুষ ও পানি বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানে সবকিছু করা হবে। এবার বর্ষায় জলাবদ্ধতা ঠেকাতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে শিগগির ভবদহ এলাকার নদী খনন করা হবে।’
ভবদহের জলাবদ্ধতা প্রায় চার দশকের। ভুক্তভোগীরা জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানে টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট (টিআরএম) চালু ও আমডাঙ্গা খাল সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছেন। তবে পাউবো পাম্প দিয়ে পানি বের করতে প্রায় ৬৫০ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করলেও দূর হয়নি দুর্দশা।

তিন উপদেষ্টার আসার খবরে গতকালও ভবদহের ২১ ভেন্ট স্লুইসগেটের কাছে জড়ো হয়ে ভুক্তভোগীরা আবারও টিআরএম চালুর দাবি জানান। এক পর্যায়ে কয়েকজন টিআরএমের বিরোধিতা করে স্লোগান দিলে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। স্থানীয়দের দাবি, ঘের মালিকদের ভাড়া করা লোক বিক্ষোভ করেছেন।
ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, পাউবো কর্মকর্তারা ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসন করতে চান না। তারা সমস্যা জিইয়ে রেখে প্রতি বছর প্রকল্পের নামে শত শত কোটি টাকার ব্যবসা করতে চান। টিআরএম ছাড়া জলাবদ্ধতা দূর হবে না জেনেও এমন প্রকল্প মূলত স্থানীয় ঘের মালিকদের সুবিধার জন্য নিচ্ছে পাউবো। তবে এবার আমডাঙ্গা খাল খননের জন্য দরপত্র হয়েছে। এটি টিআরএমের অংশ। তিন উপদেষ্টা আসায় স্থায়ী সমাধান হবে বলে আমরা আশাবাদী।

পরিদর্শন শেষে ভবদহ কলেজ মাঠে সাংবাদিকদের উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, ভবদহ সমস্যা রাতারাতি সমাধান করা যাবে না। তবে স্বল্পকালীন সমাধান হিসেবে আমডাঙ্গা খাল খনন করে পানি বের করা হয়েছে। ফলে অনাবাদি ২০ হাজারের মধ্যে প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে চলা সেচপাম্পের ৪৬ শতাংশ বিদ্যুৎ বিল কমিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ। এলাকার জন্য কৃষি ব্যাংকের ঋণের সুদ মওকুফে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ সময় উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান উপস্থিত অর্ধশতাধিক কৃষক। তারা উপদেষ্টাকে বলেন, পাউবো আপনাকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মূল বিষয় আড়াল করেছে। পানি নেমে যাওয়া জমির মাত্র ২০ শতাংশে ধান আবাদ হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ