ওয়াসিম–ওয়াকার টাকার জন্য সবকিছু করতে পারে: রশিদ লতিফ
Published: 8th, March 2025 GMT
সমালোচনা যাঁরা করেন, তাঁরাই এবার সমালোচনার মধ্যে পড়লেন। পাকিস্তানের বর্তমান ক্রিকেট দলের ভালো–মন্দ নিয়ে বেশ কড়া ভাষায় সমালোচনা করতে দেখা যায় ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিসসহ নব্বইয়ের দশকের খেলোয়াড়দের।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও পাকিস্তানের ব্যর্থতার পর দলের সমালোচনা করেছেন তাঁরা। এবার তাঁদেরই একহাত নিলেন নব্বইয়ের দশকের আরেক ক্রিকেটার রশিদ লতিফ। পাকিস্তানের সাবেক এই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান ওয়াসিম-ওয়াকারের প্রতি নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
জিও নিউজে রশিদ বলেছেন এভাবে, ‘পাকিস্তানকে আরেকটি (১৯৯২–এর পর) বিশ্বকাপ জিততে ১৭ বছর লেগেছে। কারণ, নব্বইয়ের দশকের খেলোয়াড়েরা পাকিস্তান ক্রিকেটের যা–তা অবস্থা করেছে। নব্বইয়ের দশকের খেলোয়াড়দের দল এবং ম্যানেজমেন্ট থেকে দূরে রাখুন, তাহলেই তারা জিততে পারবে। তারা তো অনেক দিন ধরে পাকিস্তান ক্রিকেটে কাজ করছে, তাই আমি মনে করি, এখন তাদের বিশ্রাম নেওয়া উচিত।’
রশিদের মধ্যে ওয়াসিম ও ওয়াকারের প্রতি রশিদের ক্ষোভটা একটু বেশিই দেখা গেছে। দুই কিংবদন্তি পাকিস্তানি পেসার দুবাই থেকে টেলিভিশন শো করছেন বলে রশিদ নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তাঁদের ‘দুবাই বয়েজ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুনভারত–নিউজিল্যান্ড ফাইনালের ফল ঠিক করে দিতে পারে যে ৫ ‘ফ্যাক্টর’১২ ঘণ্টা আগেরশিদের দাবি, টাকা দিলে এই দুই ক্রিকেটার নাকি যেকোনো কিছু করতে পারেন। তিনি বলেছেন, ‘দুবাইয়ের ছেলেরা একেবারে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। এখন তারা একে অন্যের পিঠ চাপড়ে দিচ্ছে আর নিজেরা খুশি থাকছে। অথচ তারা তাদের পুরো ক্যারিয়ারজুড়ে একে অন্যের সঙ্গে লড়াই করেছে, আমাদের আগুনের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। অদ্ভুত মানুষ এরা! তাদের সামনে টাকা ফেলুন, তারা সবকিছু করতে রাজি।’
পাকিস্তানের সাবেক উইকেটকিপার রশিদ লতিফ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জবির লংমার্চে পুলিশের বাধা, স্মারকলিপি দেবে প্রতিনিধিদল
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে ও ফিলিস্তিনের সমর্থনে আয়োজিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ কর্মসূচি পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পরে তাঁতীবাজার মোড় থেকে তারা লংমার্চ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে ক্যাম্পাসে ফিরে আসে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ব্যানারে ক্যাম্পাস থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের দূতাবাসের উদ্দেশ্যে এ পদযাত্রা শুরু করেন তারা।
তবে আজ থেকে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষার কথা উল্লেখ করে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে অনুরোধ করে। পুলিশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এবং বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে বিক্ষোভকারীরা তাঁতীবাজার মোড় থেকে রায়সাহেব বাজার দিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন।
এ সময় ‘ফ্রম দ্যা রিভার টু দ্যা সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘ইসরাইলের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘ইসরাইলি আগ্রাসন, বন্ধ করো করতে হবে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা। এ ছাড়াও তাদের হাতে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানান, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মার্কিন দূতাবাস ও সৌদি আরবের দূতাবাসে স্মারকলিপি প্রদান করবে প্রতিনিধিদল। স্মারকলিপিগুলো বাংলা, ইংরেজি ও আরবি ভাষায় লেখা হয়েছে।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের জবি শাখার সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “আমরা মুসলিম জাতি, খালিদ বিন ওয়ালিদের উত্তরসূরি। কিন্তু আমরা তা ভুলে গেছি। আজ আমরা শুধু ফতোয়াবাজিতে ব্যস্ত। এরই সুযোগে ইহুদি-খ্রিস্টানরা মুসলিম ভাই-বোনদের হত্যা করছে। আমি মুসলিম যুবকদের জাগরণের আহ্বান জানাচ্ছি।”
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন বলেন, “যদি গাজার ফিলিস্তিনদের উপর বর্বরতা বন্ধ না হয়, তাহলে জাতিসংঘের অফিসে পরের সপ্তাহে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। আমরা শিক্ষক সমিতি গাজায় গণহত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”
এর আগে গত সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’র প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সংহতি সমাবেশে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইছ উদ্দীন তিন দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন।
তিন দফার মধ্যে রয়েছে—গাজায় বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবাদ জানানো, মার্কিন দূতাবাসের উদ্দেশে লংমার্চ ও স্মারকলিপি দেওয়া এবং দেশে ইসরায়েলি পণ্য নিষিদ্ধ করা।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী