Prothomalo:
2025-03-26@00:16:31 GMT

৯৮ বছর পর বই ফিরল গ্রন্থাগারে

Published: 25th, March 2025 GMT

গ্রন্থাগার থেকে নেওয়া বই সবাই সাধারণত নির্ধারিত তারিখের মধ্যেই জমা দেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কয়েক দিন এদিক–সেদিক হতে পারে বৈকি। তাই বলে ৯৮ বছর! হ্যাঁ, যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের একটি গ্রন্থাগার থেকে নেওয়া বই ফিরেছে পুরো ৯৮ বছর পর। বইটি বার্ট্রান্ড ডব্লিউ সিনক্লেয়ারের লেখা ওয়াইল্ড ওয়েস্ট।

সিনসিনাটি অ্যান্ড হ্যামিল্টন কাউন্টি পাবলিক লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি বইটি ফেরত আসার খবর দিয়েছে। তারা বলেছে, ১৯২৬ সালে সর্বশেষ পড়তে নেওয়া বইটি গত বছরের শেষ দিকে তাদের প্রিন্স হিল শাখায় ফিরে এসেছে। এত দিন পর কোথা থেকে বইটি গ্রন্থাগারে ফেরত এল, সে উত্তরও দিয়েছে গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ।

গ্রন্থাগারিক ক্রিস্টোফার স্মিথ বলেছেন, একটি পরিবার তাদের একজন বয়স্ক স্বজনের বাড়ির বইয়ের তাকে থাকা ওই বইটি খুঁজে পেয়েছেন। বই পাওয়ার কয়েক দিন আগে ওই স্বজন মারা যান।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডব্লিউভিএক্সইউ নিউজকে স্মিথ আরও বলেন, ‘যেহেতু আমরা এ বিষয়ে কিছু জানি না, তাই ধরে নিয়েছি ওই ব্যক্তিই গ্রন্থাগার থেকে বইটি নিয়েছিলেন।’

এত আগে কে বইটি নিয়েছিলেন, সেটি খুঁজে বের করতে হলে অনেক পুরোনো কাগজপত্র ঘেঁটে দেখতে হবে বলে জানান স্মিথ।

বার্ট্রান্ড ডব্লিউ সিনক্লেয়ারের ‘ওয়াইল্ড ওয়েস্ট’ ফিরে না আসায় কয়েক বছর পর গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ সেটির নতুন কপি কিনে আনে। সেই বইটি এখনো গ্রন্থাগারে আছে এবং লোকজন সেটি পড়তে নেন।

ফিরে পাওয়া বইটি সম্পর্কে স্মিথ আরও বলেন, ‘বইটি খুব ভালো অবস্থায় আছে, বলতে গেলে এটি প্রায় শত বছরের পুরোনো বই.

..সত্যিই এটি অবাক করা ব্যাপার!’

বইটি প্রায় অক্ষত অবস্থায় ফেরত পাওয়ায় স্মিথের উচ্ছ্বাস যেন থামছেই না। তিনি বলেন, ‘এটি যেভাবে আমাদের কাছে ফেরত এসেছে, সেটা ভেবে দেখার মতো। এটি কি আবর্জনায় পরিণত হতে পারত না? অথবা রিসাইকেল হতে কিংবা কাগজের মণ্ড তৈরির জন্য এটিকে গলিয়ে ফেললে কী হতো? বইটি যেমন ছিল, ঠিক তেমন বই আকারে আমাদের কাছে ফেরত এসেছে। এটা সত্যই দারুণ কিছু নয় কি?’

গ্রন্থাগার থেকে বই নেওয়ার পর সেটি নির্দিষ্ট সময়ে ফেরত না দিলে জরিমানা দিতে হয়। তবে এই বইয়ের বেলায় কোনো জরিমানা করা হচ্ছে না বলে জানান স্মিথ। যদি জরিমানা করা হতো, তবে অতীত ব্যবস্থা অনুযায়ী ৯৮ বছর দেরি করার জন্য প্রায় ৭৩০ মার্কিন ডলার জরিমানা দিতে হতো।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

এস আলম দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

এক হাজার ৫৩৯ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর স্ত্রী ফারজানা পারভীনের নামে আলাদা মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গতকাল মঙ্গলবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ দুদকের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান মামলা দুটি করেন। পরে কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে মামলা দুটি করা হয়েছে।’

গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর ২৪ আগস্ট ব্যবসায়ী সাইফুল আলমের অবৈধ সম্পদের অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক।

মামলায় সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, ৭৯৬ কোটি ২৮ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৪ টাকা মূল্যের সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করে ভোগদখল করে আসছেন তিনি। এজাহারে আরও বলা হয়, সাইফুল আলম ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ অনুযায়ী কোনো ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান একজন পাবলিক সার্ভেন্ট। আয়কর নথি অনুযায়ী করবর্ষ ২০১০-১২ এর রিটার্ন দাখিলের আগ পর্যন্ত তাঁর আগের সঞ্চয় ছিল ৯৭ কোটি ৩৯ লাখ ৮৯ হাজার ৭ টাকা।

২০১১-১২ থেকে ২০২৩-২০২৪ করবর্ষ পর্যন্ত অতীত সঞ্চয়সহ সাইফুল ইসলামের গ্রহণযোগ্য আয় ২৫৬ কোটি ৩৫ লাখ ৫৬ হাজার ৯৭৫ টাকা। এ সময় তাঁর মোট ব্যয় ৯৭ কোটি ৩২ লাখ ৭ হাজার ৯৪০ টাকা।

অনুসন্ধানে দুদক দেখতে পেয়েছে, সাইফুল আলম ৯৫৫ কোটি ৩১ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৯ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। ব্যয়সহ তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১ হাজার ৫২ কোটি ৬৪ লাখ ১ হাজার ৩৯৯ টাকা। গ্রহণযোগ্য আয় বাদ দিলে তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ৭৯৬ কোটি ২৮ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৪ টাকা।

অন্যদিকে, সাইফুল আলমের স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগ, তিনি ৭৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ১ হাজার ৪৫৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক ফারজানার স্থাবর-অস্থাবর, ব্যয়সহ মোট সম্পদের পরিমাণ ৭৫৯ কোটি ৮৭ লাখ ৭৭ হাজার ১৩ টাকা। তাঁর অতীত সঞ্চয়সহ গ্রহণযোগ্য আয় ১৬ কোটি ৩০ লাখ ৭৫ হাজার ৫৬৫ টাকা। বাকি ৭৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ১ হাজার ৪৫৩ টাকার সম্পদের বৈধ কোনো উৎস নেই, যা তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এজাহারে আরও বলা হয়, সাইফুল আলম ও তাঁর স্ত্রীর নামে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সম্পদ রয়েছে। সিঙ্গাপুর, সাইপ্রাস, ব্রিটিশ ভার্জিনিয়া আইল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশেও স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। তবে আয়কর নথিতে তা অন্তর্ভুক্ত না থাকায় এ সম্পদকে পাচার বলছে দুদক। বিদেশে সম্পদের বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার ওপর নির্ভর করে মামলার তদন্তে তা যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ