বুক ক্যাফেগুলো কি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে নতুন প্রজন্মের কাছে
Published: 18th, February 2025 GMT
‘তিন গোয়েন্দা’ থেকে ‘শার্লক হোমস’, রবীন্দ্রনাথ থেকে শরৎচন্দ্র কিংবা হুমায়ূন আহমেদ—একসময় শিশু-কিশোরেরা বুঁদ হয়ে থাকত বইয়ের পাতায়। আরেকটু ছোট বয়সে হাতে থাকত রূপকথা ও ঠাকুরমার ঝুলির গল্প। বিনোদনের অন্যতম মাধ্যমই ছিল বই। স্কুলের বইয়ের ভেতরে লুকিয়ে গল্পের বই পড়া কী যে রোমাঞ্চকর, যে এটা করেছে, শুধু সে–ই জানে। সময় পাল্টেছে। মুঠোফোন, ট্যাবের স্ক্রিনে চোখ খুঁজে ফেরে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের রিলস। শিশুরা আগ্রহী কার্টুন আর গেমসে। তবে শহুরে ব্যস্ত জীবনে একখণ্ড অবকাশ হতে পারে রাজধানীর বুক ক্যাফেগুলো। না কিনেও বই পড়ার ব্যবস্থা থাকায় আগ্রহী হচ্ছেন সব বয়সী বইপড়ুয়ারাই। বিশেষ করে শিশুর বিনোদনের অন্যতম চলতি ধারা হয়ে উঠছে এসব আধুনিক বুক ক্যাফের শিশু কর্নারগুলো। অফিসের পরে বা ছুটির দিনে, সন্তানকে নিয়ে অনেকেই আসছেন এসব জায়গায়। বইয়ের প্রতি ভালোবাসার সঙ্গে সমৃদ্ধ হচ্ছে শিশুর মেধা ও মনন। রাজধানীর এ রকম কিছু বুক ক্যাফে নিয়ে নকশার এবারের আয়োজন।
প্রথমা বুক ক্যাফেশিশুদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে প্রথমা বুক ক্যাফের শিশু-কিশোর কর্নার। ঢাকার ইউনাইটেড সিটির শেফস টেবিল খাবারদাবার ও গেমসের জন্যই বেশি পরিচিত। প্রথমার সমৃদ্ধ বইয়ের সংগ্রহ দেখে পাঠকেরা আনন্দিত হন। বুক ক্যাফের শিশু কর্নারে বিকেল হলেই ভিড় বাড়ে। অভিভাবকেরা সানন্দে শিশুদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন বইয়ের। পছন্দের বই পেয়ে শিশুরাও খুব খুশি।
পড়ার ফাঁকে কিছু খেতে চাইলে প্রথমা বুক ক্যাফের চত্বরেই সেরে নেওয়া যাবে হালকা নাশতা। ‘উৎসব ক্যাফে’র খাবারের আয়োজনে চা, কফির সঙ্গে স্বাদ নেওয়া যায় মুখরোচক ফুচকার। পাওয়া যায় শিঙাড়া, পুরি, জিলাপিও।
শহুরে ব্যস্ত জীবনে একখণ্ড অবকাশ হতে পারে রাজধানীর বুক ক্যাফেগুলো.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শৌচাগারের পাইপে নবজাতকের লাশ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের শৌচাগার থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার দুপুরে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জরুরি বিভাগের রোগীদের ব্যবহারের শৌচাগারটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মেরামতের জন্য শনিবার দুপুরে মিস্ত্রি ডাকা হয়। এ সময় হাসপাতালের কর্মীরা পাইপের ভেতর নবজাতকের মরদেহ দেখতে পান। পরে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি নিয়ে যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শারমিন আক্তার তিথী জানান, সকালে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের রোগীদের শৌচাগারটি ব্লক হয়ে যাওয়ার খবর পান। পরে সেটি মেরামত করতে গিয়ে স্টাফরা নবজাতকের মরদেহ পাইপের ভেতরে পান। এটি হাসপাতালের ভেতর থেকে নাকি বহিরাগত কেউ ফেলে গেছে, তা নিশ্চিত হতে পারেননি।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ মফিজুর রহমান বলেন, অজ্ঞাত নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলেই বিস্তারিত বলা যাবে।