Samakal:
2025-03-23@06:27:32 GMT

কঙ্কালসার শহীদ মিনার

Published: 18th, February 2025 GMT

কঙ্কালসার শহীদ মিনার

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার আমশট্ট গ্রামের শহীদ মিনারটির কাঠামো ছাড়া আর কিছুই নেই। দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেই। কঙ্কালসার শহীদ মিনারটি কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। 
গোবিন্দপুর ইউনিয়নের আমশট্ট গ্রামে নব্বইয়ের দশকে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র নির্মাণকাজ শুরু হয়। ওই সময় গ্রামবাসীর দাবির মুখে নির্মাণকাজের ঠিকাদার আমশট্ট হাটখোলায় একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করে দেন। নব্বইয়ের দশক থেকে এলাকার কয়েক গ্রামের মানুষ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসে ওই শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আসছেন। শহীদ মিনারের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্বন্ধে জানতে পারতেন। দীর্ঘদিন শহীদ মিনারটি কোনো প্রকার সংস্কার না করায় প্লাস্টার উঠে রডগুলো বেরিয়ে গেছে। একটি মিনার সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। মিনারটির কঙ্কাল দাঁড়িয়ে আছে। একটি মিনার সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে।
আমশট্ট গ্রামের সাহিত্যিক প্রভাষক মতিয়ার রহমান দেওয়ান পলাশ বলেন, ভাষার মর্যাদা রক্ষায় যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনারের বেহাল আমাদের পীড়া দেয়। শহীদদের মর্যাদা রক্ষায় শহীদ মিনারের দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। 
চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন মল্লিক জানান, গ্রামের প্রথম শহীদ মিনারটি কোনো রকমে দাঁড়িয়ে আছে। ইউনিয়ন পরিষদের রাজস্ব আয় না থাকায় সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। আমশট্ট হাটের আয় থেকে শিগগিরই মিনারটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ইউএনও শাহরুখ খান বলেন, এ উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি। শহীদ মিনারটির বিষয়ে তেমন কিছুই জানি না। খোঁজ নিয়ে দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা নেব।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

‘ডিভোর্সের পর বাচ্চাদের সঙ্গে ওদের বাবার সম্পর্ক নষ্ট করিনি’

পেশায় চিকিৎসক হয়েও বলিউড পা রাখেন অভিনেত্রী অদিতি গোভিত্রিকর। মিসেস ওয়ার্ল্ড বিজয়ী অদিতি বলিউডেও সুনাম কুড়ান। বলিউডে পা রাখারে আগেই অর্থাৎ ১৯৯৮ সালে ডা. মুফাজ্জলকে বিয়ে করেন। এজন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি।

বিয়ের এক বছরই কন্যাসন্তানের মা হন অদিতি। ২০০৭ সালে জন্ম হয় পুত্র জিহানের। ২০০৯ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয় মুফাজ্জল-অদিতির। যদিও বিবাহবিচ্ছেদের কারণ জানাননি কেউই। সংসার ভাঙার পর নিজেকে চিকিৎসা সেবায় ডুবিয়ে দেন অদিতি।

অদিতির কন্যা কিয়ারার বয়স এখন ২৩ বছর। আর আঠারোতে পা রেখেন পুত্র জিয়ান। সমাজের নানা প্রতিকূলতা এক পাশে রেখে দুই সন্তানকে একা মানুষ করেছেন এই অভিনেত্রী। সংগ্রামী জীবন নিয়ে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে কথা বলেছেন অদিতি।

আরো পড়ুন:

রাকেশ পান্ডে মারা গেছেন

মাস পেরিয়ে ভিকির সিনেমার আয় কত?

অল্প বয়সে কন্যা সন্তানের মা হন অদিতি। প্রথম সন্তানের মা হওয়ার অনুভূতি পৃথিবীর সব দুঃখ সারিয়ে তুলেছিল তাকে। এ অভিনেত্রী বলেন, “আমার আজীবনের সুন্দর মুহূর্ত। সময়টা ভুলতে পারব না কখনো। মা হয়ে অন্যরকম ভালোবাসা অনুভব করেছিলাম। পৃথিবীতে সব সম্পর্কের মধ্যে হয়তো কিছু কন্ডিশন থাকে। তবে একজন মা ও সন্তানের বন্ধন সব কিছুর ঊর্ধ্বে। মা হওয়া পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর অনুভূতি।”

অদিতির পুত্র প্রিম্যাচিওর হয়েছিল। তাকে ৩৫ দিন এনআইসিইউতে রাখা হয়েছিল। এ তথ্য উল্লেখ করে অদিতি বলেন, “ওর মাথাটা এত ছোট ছিল যেন এক আঙুলে ধরা যায়। তখন খালি মনে হতো যা হয় হোক, শুধু তুই বেঁচে থাক। অনেক সমস্যা ছিল ওর। এখন যদিও লম্বায় আমাকে ছাপিয়ে গিয়েছে।”

সিঙ্গেল মাদার হিসেবে দুই সন্তানকে বড় করেছেন অদিতি। তবে এই জার্নি মোটেও সহজ ছিল না। তা জানিয়ে অদিতি বলেন, “বিষয়টা খুব একটা সহজ ছিল না। তবে বাচ্চাদের সঙ্গে ওদের বাবার যোগাযোগ ছিল। আমি কখনো সেই সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টাও করিনি। কারণ আমি বিশ্বাস করি, একজন বাচ্চার জীবনে বাবা-মা দু’জনেরই গুরুত্ব সমান। আসলে বাচ্চাদের তো কোনো দোষ ছিল না।”

অদিতির কন্যা অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করছে। পুত্র অভিনেতা হতে চায়; যা নিয়ে জোর প্রস্তুতি চলছে। এসব তথ্য স্মরণ করে অদিতি বলেন, “ওদের সব কিছুতে পাশে আছি। শুধু ভালো মানুষ হোক। আমার প্রাক্তন স্বামী ইসলাম ধর্মাবলম্বী। তবে আমি ছেলেমেয়েদের সবসময় বলেছি তোমাদের ধর্ম হিউম্যানিটি। মানুষের জন্য পারলে কিছু করার চেষ্টা করো। তা হলে জীবন এমনিতেই সুন্দর হবে।”

১৯৭৪ সালের ২১ মে মহারাষ্ট্রের পানভেলে জন্মগ্রহণ করেন অদিতি। সেখানে বাবা-মা, ভাই-বোনের সঙ্গে থাকতেন তিনি। মুম্বাইয়েই স্কুল-কলেজের পাঠ চুকান। ১৯৯৭ সালে এমবিবিএস পাস করেন এই অভিনেত্রী।

কলেজের পড়াশোনা শেষ করার পর মডেলিং জগতে পা রাখেন অদিতি। একের পর এক সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বিজয়ের মুকুট পরতে থাকেন তিনি। ২০০১ সালে বিবাহিত নারীদের নিয়ে একটি সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে জয়ের মুকুট পরেন অদিতি। শুধু তাই নয়, অদিতি প্রথম ভারতীয় বিবাহিত নারী যে, বিশ্বসুন্দরীর খেতাব লাভ করেন।

১৯৯৯ সালে তেলুগু ভাষার ‘থাম্মুড়ু’ সিনেমায় প্রথম অভিনয় করেন অদিতি। এতে পবন কল্যাণের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি। ২০০২ সালে হিন্দি ভাষার সিনেমায় প্রথম অভিনয়ের সুযোগ পান অদিতি। ‘সোচ’ সিনেমায় সঞ্জয় কাপুর, রাভিনা ট্যান্ডন, আরবাজ খান, ড্যানির সঙ্গে অভিনয় করেন তিনি। এ সিনেমায় অভিনয়ের পর ‘১৬ ডিসেম্বর’, ‘বাজ’, ‘ধুন্দ’, ‘ভিক্টোরিয়া নাম্বার ২০৩’, ‘ভেজা ফ্রাই টু’, ‘হাম তুম শাবানা’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেন অদিতি।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ