অনার্য বছরজুড়ে কাজ করে থাকে: সফিক রহমান
Published: 21st, February 2025 GMT
প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘অনার্য পাবলিকশন্স লিমিটেড’ ৩১ টি বই প্রকাশের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে ২০১১ সালে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা সবমিলিয়ে ছয়শো ছাড়িয়ে গিয়েছে। ইতিহাস, দর্শন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে যাত্রা শুরু করে এই প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। এ লক্ষ্য অর্জনে প্রতিষ্ঠানটি কীভাবে কাজ করছে সে বিষয়ে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেছেন অনার্য’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিক রহমান। সাক্ষাৎকার গ্রহণে স্বরলিপি।
রাইজিংবিডি: আমরা জানি যে অনার্যের উদ্দেশ্য ইতিহাস, দর্শন, সাহিত্য, সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া। চলতি বইমেলায় অনার্য ইতিহাস, দর্শন, সাহিত্য ক্যাটাগরিতে কতগুলো বই প্রকাশ করেছে?
সফিক রহমান: ধন্যবাদ রাইজিং বিডিকে। ২০১১ সালের বইমেলা দিয়ে অনার্যের আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু হলেও আমরা ২০০৮ সাল থেকে স্বল্প পরিসরে প্রকাশনার কাজ শুরু করি। শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ড.
আরো পড়ুন:
নতুন ভাষা দ্রুত শেখার উপায়
বইমেলায় মাহমুদুল আলম দিপুর ‘২৯৩ মিলিয়ন ডলার এবং আমি’
রাইজিংবিডি: ‘সেরা লেখকের লেখা নয়, লেখকের সেরা লেখাই নিয়েই অনার্যের পথচলা’ লেখকের সেরা লেখা পাণ্ডুলিপি সংগ্রহে এবং প্রকাশে অনার্য কীভাবে কাজ করে?
সফিক রহমান: দৃশ্যত, অনার্যের স্টিয়ারিং হুইল আমার হাতে থাকলেও অনার্যের পরিকল্পনা এবং কর্মযজ্ঞে আছে আমার শিক্ষাগুরুগণ এবং বন্ধু-সজনরা। ‘সেরা লেখকের লেখা নয়, লেখকের সেরা লেখাই নিয়েই অনার্যের পথচলা’- এই স্লোগানটি আমার বন্ধু লেখক-সাংবাদিক তাপস রায়ের দেয়া। তিনি শুধু আমার বন্ধু নন তিনি অনার্যের একজন পরামর্শক এবং নীতিনির্ধারক। তিনিই আমাকে বলেন, সেরা লেখকের সব লেখা মানসম্পন্ন হবে এমন নাও হতে পারে। আমরা লেখকের সেরা লেখা নিয়ে কাজ করব।
অনার্যের পাণ্ডুলিপি নির্বাচনের জন্য পরামর্শক মন্ডলী এবং পাণ্ডুলিপি সম্পাদনার জন্য সম্পাদনা পরিষদ আছে। তাদের পরামর্শ নিয়ে অনার্য কাজ করে। তাছাড়া আমরা লেখক নির্বাচন করে লেখকের সঙ্গে বইয়ের বিষয় নিয়ে আলোচনা করি এবং সময় নিয়ে পাণ্ডলিপি প্রস্তুত করি।
রাইজিংবিডি: শিশুদের বইও প্রকাশ করছে অনার্য, শিশুসাহিত্যের পাঠকদের কাছে কোন ঘরানার বইয়ের চাহিদা বেশি দেখতে পাচ্ছেন।
সফিক রহমান: অনার্য শুরু থেকেই শিশু-কিশোরদের জন্য অধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে চলছে। শিশুদের কাছে চাঁদ আর চান্দামাছের গুরুত্ব একই রকম। বিষয়টা হলো- শিশুমন আকৃষ্ট করে এমন বই চাই। বইয়ের বিষয় বা ধরণ যেমনই হোক। অনার্য শিশু পাঠকের জন্য শিশুর পছন্দসই লেখা এবং ছবি দিয়ে বই প্রস্তুত করে। তারপরেও কোন ঘরানার বইয়ের চাহিদা বেশি এই প্রশ্নে বলতে হয়- শিশুরা ছবি আঁকার বই পছন্দ করে। ছবি আঁকার বই হলেই হবে না, তা ওই ক্ষুদে পণ্ডিতের মন মতো হতে হবে। শিশুরা ভূতের গল্প পছন্দ করে তবে তা যেমন তেমন ভূত হলে চলবে না; ওই ভূতের গল্প এবং ছবিতে ভয় পাওয়া চাই।
আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য, আমাদের বাংলাদেশ বিষয়ক বইও শিশুর ভালো লাগে; এই বিষয়ক বই কেনার বায়না করে। যেমন- গত বছরের মেলায় দেখেছি ‘সুন্দরবনে টম এন্ড জেরি’ নামে একটা বই বাচ্চারা আগ্রহ নিয়ে কিনছে। বইটি শিশুদের আঁকিয়ে হিসেবে বিখ্যাত মামুন হোসাইনের আঁকা আরেক কিশোর লেখক অনন্ত সাহেদের লেখা। বইটি সু্ন্দরবন নিয়ে চমৎকার বই। গল্পের চরিত্র টম আর জেরি এবং মামুন হোসাইনের আঁকার কল্যাণে আমাদের শিশুরা পছন্দ করেছে বলেই আমার ধারণা। বস্তুত, ভূতপ্রেত, রাক্ষস-খোক্কস, দেও-দানবের গল্পের বই পছন্দ করে শিশুরা। তবে তা অবশ্যই উপস্থাপনা এবং ছবিতে নান্দনিক হতে হয়। আর ছবি আঁকার বইয়ের প্রতি শিশুদের আগ্রহ আছে।
রাইজিংবিডি: শিশুসাহিত্যের পাঠক বাড়ানোর জন্য রাষ্ট্র কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন?
সফিক রহমান: পাঠ্যাভ্যাস নিয়ে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই। পাঠ্যবইয়ের সাথে সৃজনশীল বই আবশ্যিক করতে হবে। দেশে ৬৫ হাজারের অধিক সংখ্যক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাইরেও আছে- রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়, এবতেদায়ি মাদ্রাসা,কিন্ডারগার্টেন। এই প্রতিষ্ঠানগলোতে পাঠ্য বইয়ের বাইরে নয়, পাঠ্যবইয়ের সাথে সৃজনশীল বই পড়াতে হবে। এটা হতে পারে সপ্তাহের যেকোনো একটা দিন ছেড়ে দিতে হবে শিশুদের সৃজনশীলতার উন্মেষ ঘটাতেই। বাংলা ক্লাসে শ্রেণি উপযুক্ত গল্প বা ছড়ার বই নিয়ে শিশুরা এক্টিভিটিস করবে। তা গল্প বলা, আবৃত্তি করা, গল্পের সাথে অভিনয় করা এবং এক সময় নিজের মতো করে নিজের গল্প বলা, নিজের স্কুল, নিজ গ্রাম নিয়ে শিশুরা নিজেদের গল্প বানাবে। তাতে ওরা ভাবতে শিখবে, নিজেকে জানতে শিখবে। ইংরেজি ক্লাসে একই ধরণ। গণিতে হতে পারে গণিত অলিম্পিয়াড ধরনের কিছু। বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় তো বিস্তৃত অধ্যায়। নিজ দেশ কে পাঠ্য বইয়ের বাইরে গিয়ে জানবে গল্পে গল্পে। আসলে এইচর্চাটা সকল বিষয়েই সম্ভব।
রাইজিংবিডি: লেখকের রয়্যালিটি প্রদান অনার্য কীভাবে নিশ্চিত করে?
সফিক রহমান: লেখকগণ সম্মানিত সৃষ্টিশীল মানুষ, তারা গুণিজন। লেখকের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ আর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের অর্থ এবং ব্যবস্থাপনায় একটা বই প্রকাশিত হয়। ফলে প্রতি জন সম্মানিত লেখকের সাথে সম্পর্ক হয় আলাদা আলাদা। ফলে লেখকের রয়্যালিটি প্রদানের বিষয়টা লেখক-প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সম্পর্কের ওপর নির্ভশীল এবং এটা আমরা প্রকাশ করি না।
রাইজিংবিডি: অনার্য কতগুলো বই নিয়ে প্রকাশনা শুরু করেছিলো, এখন পর্যন্ত প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা কত?
সফিক রহমান: বই প্রকাশের পুর্বেই প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়ে যায়। এটা বলতে পারি- ২০১১ সালের বইমেলা সম্পন্ন করে ছিলাম আমরা যতদূর মনে পড়ে ৩১টা বই দিয়ে। আজ পযর্ন্ত অনার্য থেকে প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৬১৯টি।
রাইজিংবিডি: প্রকাশিত বইয়ের প্রচারে অনার্য কীভাবে কাজ করছে, প্রচারে আরও কি কি পদক্ষেপ নিতে চায়?
সফিক রহমান: বইয়ের সংবাদ প্রচারের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। পাঠকের প্রয়োজন এবং রুচি বুঝে বইয়ের খবর পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। এর বাইরে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেওয়া যায়। তবে আমরা নতুন একটা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। শিক্ষা বিষয়ক গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান ‘ফাউন্ডেশন অব এডুকেশনাল ট্রান্সপারেন্সি’র মাধ্যমে দেশব্যাপী তারুণ্যের শিক্ষামেলার উদ্যোগ নিয়েছি। এরই মাঝে আমরা পঞ্চাশোর্ধ্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেলা করেছি। যদিও সেখানে অনার্যের বইয়ের বাইরে আরও ৩২টা প্রতিষ্ঠানের বই প্রদর্শন করা হয়। এই মেলাগুলোতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অবিভাবকগণ থাকেন। পাঠ্যাভ্যাস উন্নয়নে এই মেলা থেকে আমরা ভালো সাড়া পাচ্ছি।
রাইজিংবিডি: অনার্য অনুবাদ গ্রন্থও প্রকাশ করে থাকে। সেক্ষেত্রে অনুবাদ সাহিত্য প্রকাশের সঠিক প্রক্রিয়াটা আসলে কী?
সফিক রহমান: অনুবাদ সাহিত্য প্রকাশের সঠিক প্রক্রিয়া হলো- ক্লাসিক হলে অনুমতি লাগবে না। অন্যথায় মূল লেখক বা লেখকের এজেন্টের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে অনুবাদ করতে হয়। সেক্ষেত্রে লেখক এবং প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বেশ কিছু নিয়ম মেনে চুক্তিবদ্ধ হতে হয়।অনার্যের অনুবাদের বইয়ের সংখ্যা খুব বেশি না। অনুবাদ আমার বিবেচনায় একটা জটিল প্রক্রিয়া। প্রথমত, আমাদের দেশে ইংরেজি থেকে অনুবাদ করা হয়। কারণ অপরাপর ভাষা জানা অনুাদক খুবই কম। ফলে চাইলেই মূলানুগ অনুবাদ প্রায় অসম্ভব। দ্বিতীয়ত, অনুমতি নিতে হয়। অনুমতি নেওয়া জটিল এবং ব্যয়সাপেক্ষ। অনেক পরিশ্রম করেও যে সংখ্যক বিক্রি করা যায়, তার লভ্যাংশ দিয়ে মূল লেখকের রয়্যালিটি ব্যয় মেটানো প্রায় অম্ভব। তৃতীয়ত, ক্লাসিক বা চিরায়ত বই অনুবাদ করতে অনুমতি লাগে না। সেই ক্লাসিকও হয় ইরেজি ভাষার, নয় ইরেজিতে অনূদিত। ক্লাসিক ইরেজি অনুবাদ করা তো সহজসাধ্য নয়।
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন র য র প অন র য ক র বইয় র বইয় র ব ক জ কর র জন য ক র বই আম দ র বইম ল
এছাড়াও পড়ুন:
জুঁই নিবেদিত পপ অফ কালার লিমিটেড আয়োজিত নারী দিবস উদযাপন
নারীর শক্তি, সাফল্য আর সম্ভাবনা প্রকাশে বর্ণিল উৎসবের আয়োজন করেছে নারীকেন্দ্রিক ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম পপ অফ কালার। গত শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর আমারি হোটেলে আয়োজিত হয় ‘জুঁই নিবেদিত পপ অফ কালার নারী দিবস উদযাপন ২০২৫’। দুই শতাধিক নারীর অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এডকম লিমিটেডের চেয়ারপারসন গীতিআরা সাফিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘নারীরা এখন শুধু স্বপ্ন দেখে না, তারা সেই স্বপ্ন পূরণ করেও দেখাচ্ছে।’ এ সময় নারীদের পথচলায় পরিবারের সহযোগিতা নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন তিনি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি বাংলাদেশ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফ বিন তাজ, গ্রামীণ ড্যানোন শক্তি+ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক দীপেশ নাগ, গ্রামীণ ড্যানোন শক্তি+ এর সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং ডিরেক্টর সুরাইয়া সিদ্দিকা, প্রথম আলোর চিফ ডিজিটাল বিজনেস অফিসার জাবেদ সুলতান, ডেইলি স্টারের হেড অব মার্কেটিং তাজদিন হাসানসহ বিভিন্ন খাতের ব্যক্তিত্বরা।
অনুষ্ঠানে নারীদের অনুপ্রেরণামূলক যাত্রাকে সম্মান জানাতে ‘পপ অফ কালার অনন্যা সম্মাননা ২০২৫’ প্রদান করা হয়। ১০টি ভিন্ন বিভাগে সেরা ১০ জন নারীকে এই সম্মাননায় ভূষিত করা হয়, যারা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
সম্মাননা জয়ীদের মধ্যে ছিলেন- অঙ্কিতা ক্যাটাগরিতে ফারহানা শারমিন, অন্বেষা ক্যাটাগরিতে ফারহানা রাহমান, উজ্জ্বলা ক্যাটাগরিতে নিশীতা মিতু, অপর্ণা ক্যাটাগরিতে ওয়ালিনা চৌধুরী, স্বাতী ক্যাটাগরিতে মেনাল চৌধুরী এবং গুল রেহান শান্তা, ত্রিনেত্রা ক্যাটাগরিতে জেনিফার বিনতে হক, পূর্ণভা ক্যাটাগরিতে মৌনতা আলম মৌন, ইন্দ্রজালের আলো ক্যাটাগরিতে শারমিন আক্তার তপতী, সুকৃতি ক্যাটাগরিতে প্রমা আজিজ এবং বহ্নিশিখা ক্যাটাগরিতে সায়েদা সালেহা নূর লিসা।
এছাড়াও একই অনুষ্ঠানে ‘পপ অফ কালার সেরা নারী উদ্যোক্তা ২০২৫’ ক্যাটাগরিতে ১১ জন স্বপ্নবাজ নারীকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়, যারা নিজেদের উদ্যোগকে সাফল্যের শীর্ষে নিয়ে যেতে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন।
সম্মাননা জয়ীদের মধ্যে ছিলেন- দেশীয় পণ্য ও হস্তশিল্প ক্যাটাগরিতে আফসানা রাশিদ, কসমেটিকস ক্যাটাগরিতে ফাতেমা খান সিঁথি, মেকআপ আর্টিস্ট ক্যাটাগরিতে সাদিয়া আফরোজ, রাঁধুনি ক্যাটাগরিতে ওয়াসিকা তাসনিম, পোশাক কাপড় ও ফ্যাশন ক্যাটাগরিতে মাইমুনা বিনতে রেজা, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ক্যাটাগরিতে রাজিয়া হক কনক, হোম ডেকর আর্টস অ্যান্ড ক্রাফট ক্যাটাগরিতে দিলরুবা রূপা, জুয়েলারি এন্ড ব্যাগ ক্যাটাগরিতে তাসনিয়া আরা, কনটেন্ট ক্রিয়েটর ক্যাটাগরিতে জিনিয়া আলম পূর্ণতা এবং ডিজিটাল সার্ভিস ক্যাটাগরিতে সাবিনা ইয়াসমিন।
কেবল সম্মাননা প্রদান নয়, এই আয়োজনকে কার্যকরী করতে নারীদের জন্য চারটি আকর্ষণীয় সেশনের আয়োজন করা হয়। এগুলো হলো- সফল উদ্যোক্তাদের গল্প ও তাঁদের সাফল্যের রহস্য- ‘প্রেরণার পথ-প্রদর্শক’, আধুনিক যুগের ডিজিটাল বিপণনে নারীর ভূমিকা- ‘ডিজিটাল মার্কেটিং ওয়ার্কশপ’, সৌন্দর্যচর্চা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি- ‘স্কিন ও হেয়ার কেয়ার ওয়ার্কশপ’ এবং প্রফেশনাল মেকআপ ট্রেনিং- ‘মেকআপ ওয়ার্কশপ’।
পপ অফ কালার বিশ্বাস করে এই সেশনগুলো আগত নারীদের অনুপ্রেরণা ও দক্ষতা বিকাশে সাহায্য করবে। পাশাপাশি নারীদের আত্মোন্নয়ন ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
নারী দিবসের এই গ্র্যান্ড আয়োজন সম্পর্কে পপ অব কালারের প্রতিষ্ঠাতা টিংকার জান্নাত মিম বলেন, ‘নারীর সাফল্য শুধু তার একার নয়, এটি গোটা সমাজের অগ্রগতির প্রতীক। আমরা এই উদযাপনের মাধ্যমে নারীদের এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দিতে চাই।’
অনুষ্ঠানের স্পন্সর ও পার্টনারদের মধ্যে ছিল- টাইটেল স্পন্সর ‘স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের জুঁই’, কো-স্পন্সর ‘ফার্ম ফ্রেশ ও মুন্নো সিরামিক’, ইন অ্যাসোসিয়েশন উইথ ‘শক্তিপ্লাস ও ডেইলি স্টার’, বেভারেজ পার্টনার ‘মোজো’, লজিস্টিক পার্টনার ‘ই-কুরিয়ার’, ফটোগ্রাফি পার্টনার ‘ড্রিম ওয়েভার’
এছাড়াও, ভেলা এস্থেটিক, সাজগোজ, তাহফিজ্জুল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ড্যাজলিং ড্রেস বাই মাশরুফা, কোকো-সিসিমি, ড্রিম কিউর বাই ডক্টর নাফি, অ্যাটায়ার বাই চাঁদনি, নিউ মিলন ও হাশেম জুয়েলার্স, লা ভিলা ওয়েস্টার্ন হোটেল, সি-পার্ল বিচ রিসোর্ট কক্সবাজার, ইন্তেসারসহ আরও অনেকে এই আয়োজনে সহযোগিতা করেছে।
দিনব্যাপী এই আয়োজন শেষ হয় ইফতার, নৈশভোজ ও ফটোসেশনের মধ্য দিয়ে। নারীর অগ্রযাত্রার এই মহাযজ্ঞ যেন এক নতুন দিনের বার্তা দেয় যে- ‘নারী এখন শুধু পথচলা শিখছে না, সে পথ দেখাচ্ছেও!’