মার্চ তো বটেই, এপ্রিলের শুরুতেও বুমরাহকে পাবে না মুম্বাই
Published: 14th, March 2025 GMT
আইপিএল শুরুর আগেই বড় ধাক্কা খেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। দলের সেরা অস্ত্র, পেস আক্রমণের ভরসা জাসপ্রিত বুমরাহকে প্রথম কয়েকটি ম্যাচে পাচ্ছে না ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। মার্চের পুরোটা তো বটেই, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেও তার মাঠে নামার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছে ক্রিকেট মহল।
ভারতের তারকা পেসার এখনো বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে (এনসিএ) পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন। বিসিসিআই-এর মেডিকেল টিম এখনো তাকে পুরোপুরি ফিট ঘোষণা করেনি। ছাড়পত্র না পাওয়া পর্যন্ত মুম্বই দলে যোগ দেওয়া সম্ভব নয় তার জন্য।
২০২৩ সালে পিঠের অস্ত্রোপচারের পর এটিই তার প্রথম বড় ধাক্কা। সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিডনি টেস্টে বোলিং করতে গিয়েই পুরনো চোটে ভুগতে শুরু করেন তিনি। এরপর থেকে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে তাকে দেখা যায়নি।
আরো পড়ুন:
প্রিমিয়ার লিগে বোলারদের দিন
‘ব্যাট অথবা বল হাতে, সবচেয়ে দরকারি মুহূর্তে মাহমুদউল্লাহ পারফর্ম করেছে’
২৩ মার্চ চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এবারের আইপিএলে যাত্রা শুরু করবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এরপর ২৯ মার্চ গুজরাট টাইটান্স, ৩১ মার্চ কলকাতা নাইট রাইডার্স, ৪ এপ্রিল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস এবং ৭ এপ্রিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মুখোমুখি হবে দলটি। প্রথম পাঁচটি ম্যাচে বুমরাহকে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
মুম্বইয়ের পেস আক্রমণের মূল ভরসাই ছিলেন বুমরাহ। তার অনুপস্থিতিতে আকাশ মাধওয়াল বা নতুন কোনো বোলারকে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হতে পারে। আর মুম্বইয়ের টিম ম্যানেজমেন্টও কোনো ঝুঁকি নিতে চাইছে না। কারণ, বুমরাহর ফিটনেসে একবার সমস্যা হলে সেটি দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে।
নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি পেসার ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সাবেক বোলিং কোচ শেন বন্ড সম্প্রতি সতর্ক করে বলেছেন, ‘‘বুমরাহ যদি আবার পিঠে আঘাত পান, তবে তার ক্যারিয়ারই শেষ হয়ে যেতে পারে।’’
সেক্ষেত্রে বুমরাহ কি আইপিএলের মাঝপথে ফিরতে পারবেন? নাকি আরও দীর্ঘ সময় বাইরে থাকতে হবে? এ প্রশ্নই এখন মুম্বই শিবিরের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার কারণ।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ম বই প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক আর নেই
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতার অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক আর নেই। রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের ছোট ভাই সাইফুল্লাহ সিদ্দিক প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক গত ৬ মার্চ ঢাকা ক্লাবে (রমনায়) অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে কথা বলার মধ্যেই পড়ে যান। এরপর তাঁকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শুরুর পর তাঁকে নিউরো আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। এরপর তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিককে ২০০৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১৭ সালে তিনি উপাচার্যের দায়িত্ব পালন শেষ করে আবারও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ২০২০ সালের জুন মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা থেকে অবসরে যান তিনি।
অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের জানাজার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন ছোট ভাই সাইফুল্লাহ সিদ্দিক। তিনি বলেছেন, পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামীকাল আজিমপুরে বাবা–মায়ের কবরের পাশে অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিককে দাফন করা হবে।