2025-01-31@14:41:37 GMT
إجمالي نتائج البحث: 24
«বইয় র ম ল য»:
নতুন বছরে নতুন বই। বাতাসে নতুন বইয়ের ঘ্রাণ ছড়াবে। সে ঘ্রাণে মাতোয়ারা হবে শিক্ষার্থীরা। সেসব বইয়ের ছাপা-বাঁধাইয়ের কাজেই ব্যস্ত রাজধানীর বাংলাবাজারের প্রেসপাড়া। ছাপাখানাগুলোয় দিন-রাত পুরোদমে চলছে বই ছাপানো-বাঁধানোর কাজ। দম ফেলার ফুরসত নেই মুদ্রণ ও বাঁধাইকর্মীদের। রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাবাজার থেকে ছবিগুলো তুলেছেন লোকনাথ ঘোষ। প্রেস পাড়াগুলোয় খটখট আওয়াজ। বই ছাপানোর ব্যস্ততা চলছে পুরোদমে। রাজধানীর বাংলাবাজারে প্রকাশক থেকে শুরু করে মুদ্রণ, বাঁধাই ও পরিবহনসহ এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত প্রতিটি মানুষ প্রচণ্ড ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। কেউ কেউ নতুন কাজের ফরমাশও নিচ্ছেন। মার্চ মাস পর্যন্ত তাদের এই ব্যস্ততা থাকবে। ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত বই ছাপার কাজ চলছে। এ যেন পাঠকের হাতে বই পৌঁছে দেওয়ার উৎসব। ছাপার যন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসছে সদ্য ছাপা হওয়া...
কবি ও কথাসাহিত্যিক জব্বার আল নাঈম তার কবিতা ও কথাসাহিত্যে যাপিত জীবনের অস্থিরতার করুণতম দিক তুলে ধরেন। মানুষের স্ববিরোধী বিশ্বাসকে তার কবিতায় প্রশ্নের পর প্রশ্ন করা হয়। জব্বার আল নাঈমের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘তাড়া খাওয়া মাছের জীবন’ বইটি ২০১৫ সালে প্রকাশ হয়। দ্বিতীয় বই ‘বিরুদ্ধ প্রচ্ছদের পেখম’ এর জন্য জব্বার আল নাঈম ‘রবীন্দ্র জার্নাল-দাগ সাহিত্য পুরস্কার-২০১৬’ অর্জন করেন। ২০২৫ বইমেলায় তার দুইটি বই প্রকাশ হচ্ছে। কবিতার বই ‘আত্মার আওয়াজ’ এবং কিশোর উপন্যাস ‘বোকা বাঘ’ নিয়ে রাইজিংবিডিকে নানা কথা জানিয়েছেন জব্বার আল নাঈম। সাক্ষাৎকার গ্রহণে স্বরলিপি। আত্মার আওয়াজ কবিতার বই কোন ঘরানার কবিতা দিয়ে সাজানো হয়েছে? আপনার কবিতাভাবনা জানতে চাচ্ছি? জব্বার আল নাঈম: আত্মার আওয়াজ সুফি ঘরানার কবিতা দিয়ে সাজানো পাণ্ডুলিপি। প্রথম পরিকল্পনা ছিল বিপ্লবী ধাচের কবিতাগুলো নিয়ে বই করা। সেটাও করব,...
একুশের বইমেলায় নিয়মিত প্রকাশিত হয় শোবিজ অঙ্গনের তারকাদের বই। এসব বইয়ের প্রতি পাঠকদের থাকে অন্য রকম আগ্রহ। লেখক হিসেবে পাওয়া যায় অভিনয়শিল্পী, গায়ক, গীতিকবি কিংবা কিংবদন্তিতুল্য তারকাকে। ব্যতিক্রম হচ্ছে না এবারও। আসছে একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হবে ফাহমিদা নবীর বই ‘ফাহমিদা নবীর ডায়েরি’। ছোটবেলা থেকেই ডায়েরি লিখতে ভালোবাসেন এ সংগীতশিল্পী। তাঁর জীবনে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনাপ্রবাহ তিনি লিখে রেখেছেন ডায়েরির পাতায়। সেই লেখাগুলোই বই আকারে প্রকাশ করছেন তিনি। শব্দশিল্প প্রকাশনী থেকে বের হচ্ছে বইটি। প্রচ্ছদ করেছেন চারু পিন্টু। বইটি নিয়ে ফেসবুকে এক পোস্টে ফাহমিদা নবী লিখেছেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমার বাবার লেখা, কথার ভঙ্গি, গান গাইবার অনুভব আমাকে অনুপ্রাণিত করত। আম্মাকে দেখতাম বই পড়তে, ডায়েরি লিখতে। খুব ভালো লাগত। আমিও লেখার চেষ্টা করতাম, করছি।’ জীবনের অনেক অভিজ্ঞতাই লেখার মাধ্যমে তুলে ধরেন জানিয়ে...
তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে কাজ করছে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ। এর ধারাবাহিকতায় ২২ জানুয়ারি রাজবাড়ী শেরেবাংলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে উদ্বোধন হয় বই পড়া প্রতিযোগিতা ২০২৫। স্কুল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত কর্মসূচির বিস্তারিত... একটি ভালো বই সব সময়ের উৎকৃষ্ট বন্ধু। জ্ঞান ও চিন্তার দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি সমৃদ্ধ জীবনের জন্য বইয়ের বিকল্প নেই। বই পড়ার অভ্যাস কল্পনাশক্তি বাড়ায়, মানুষকে চৌকস করে তোলে; যা ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। একজন ভালো পাঠক সহজেই লেখক হয়ে উঠতে পারেন। যত বেশি বই পড়া হবে, লেখার দক্ষতা ততই উন্নত হবে। বইয়ের ইতিবাচক প্রভাবে বদলে যেতে পারে জীবন। বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে শিশু ও তরুণদের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে কাজ করছে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ। এরই ধারাবাহিকতায় রাজবাড়ী সুহৃদ সমাবেশ হাতে নিয়েছে বই পড়া প্রতিযোগিতা কর্মসূচি ২০২৫। ...
কথাসাহিত্যিক মনি হায়দারের জন্ম ১৯৬৮ সালের পহেলা মে। তিনি বেড়ে উঠেছেন বৃহত্তর বরিশালের পিরোজপুর জেলার ভানডারিয়া উপজেলার প্রমত্ত কচানদীর পারে, বোথলা গ্রামে। ১৯৮৬ সালে তার প্রথম লেখা প্রকাশ হয় অধুনালুপ্ত ‘দৈনিক বাংলার বাণী’ পত্রিকার শাপলা কুঁড়ি পাতায়। মনি হায়দারের প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ষাটের অধিক। তিনি দীর্ঘদিন কাজ করেছেন বাংলাদেশ বেতারে। এরপর ২০১৫ সাল থকে বাংলা একাডেমিতে পাণ্ডুলিপি সম্পাদক হিসেবে কর্মরত। টিভি অনুষ্ঠান উপস্থাপনায়ও দেখা যায় তাকে। মনি হায়দার দুই-দুইবার অর্জন করেছেন অগ্রণী ব্যাংক শিশু সাহিত্য পুরস্কার। এ ছাড়াও নানা পুরস্কার রয়েছে তার অর্জনের তালিকায়। ২০২৫ বইমেলায় এই কথাসাহিত্যিকের একাধিক বই প্রকাশ হচ্ছে। প্রকাশিতব্য বইয়ের বিষয়বস্তু নিয়ে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেছেন মনি হায়দার। সাক্ষাৎকার গ্রহণে স্বরলিপি। রাইজিংবিডি: ২০২৫ বইমেলায় আপনার একাধিক বই প্রকাশ হচ্ছে। বিষয়বস্তুর দিক দিয়ে প্রত্যেকটা আলাদা। আলাদা...
নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের দুই নেতা নিহত মানিক সাহা ও চয়ন মল্লিকের স্মৃতিস্তম্ভ ও ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়েছে। গতকাল শনিবার ভোরে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের শহীদ মিনারের পাশে এবং ভিক্টোরিয়া কলেজের পূর্ব পাশে স্থাপিত এ দুটি স্থাপনা ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ২৫-৩০ জন শাবল ও হাতুড়ি দিয়ে মানিক সাহার স্মৃতিস্তম্ভ এবং কলেজ সীমানার পাশে চয়ন মল্লিকের ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়। ঘটনা সম্পর্কে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের নৈশপ্রহরী মিরাজুল ইসলাম বলেন, ভোর ৬টার দিকে প্রায় ২০টি মোটরসাইকেলে ৩০ জন আসে। তারা হাতুড়ি দিয়ে মানিক সাহার স্মৃতিস্তম্ভ এবং কলেজ সীমানার পাশে চয়ন মল্লিকের ম্যুরাল ভাঙচুর করে। তাদের মাথায় হেলমেট ছিল। তিনি সামনে এগিয়ে গেলে তারা তাঁকে ভয়ভীতি দেখায়। তখন তিনি চলে আসেন।...
বলিউডের নব্বইয়ের দশকের লাস্যময়ী বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নিকে। সেই নায়িকা এখন সন্ন্যাস নিয়েছেন। শুধু তাই নয় বদলে গেছে তাঁর নামও। এই অভিনেত্রীর নতুন নাম—শ্রী ইয়মাই মমতা নন্দ গিরি। শুনতে অবাক লাগলেও এই ঘটনাটি ঘটেছে বলিউডে অক্ষয় কুমার, আমির খান, সালমান খান, গোবিন্দ, সঞ্জয় দত্তের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করা এই নায়িকার জীবনে। ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার মহাকুম্ভের কিন্নর আখড়ায় সন্ন্যাস নিয়েছেন মমতা। ‘মহামণ্ডলেশ্বর’ রীতির মাধ্যমে সন্ন্যাস গ্রহণ করেছেন তিনি। এ দিন তিনি পিণ্ডদানও করেন। এই রীতির মাধ্যমে নতুন নামকরণও হয়েছে-শ্রী ইয়মাই মমতা নন্দ গিরি। এ দিন তিনি কিন্নর আখড়ার আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর, অর্থাৎ লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠী ও জুনা আখড়ার আচার্য স্বামী জয় অম্বানন্দ গিরির সঙ্গেও দেখা করেন। নায়িকার জীবনে এমন রদবদলের মুহূর্তের বেশ কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে...
বাতিঘর একদিকে প্রকাশনী সংস্থা অন্যদিকে বাংলাদেশের বই রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান। দেশের চট্টগ্রাম, ঢাকা, সিলেট এবং রাজশাহীতে একাধিক শাখা রয়েছে এই প্রকাশনী সংস্থার। প্রতিটি শাখা লেখক-পাঠকদের মিলনমেলা, বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা, পাঠচক্র ও আড্ডার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বাতিঘরের শাখা প্রতিষ্ঠা হয়েছে কলকাতাতেও। বাতিঘরের প্রকাশক দীপঙ্কর দাশ স্বপ্ন দেশের দেশের পাঠক সংখ্যা বাড়াতে কাজ করে যাবেন এবং বাতিঘর একটি মর্যাদা সম্পন্ন প্রকাশনী হিসেবে মান অক্ষুন্ন রাখবে। এই প্রকাশক মনে করেন পাঠক সংখ্যা বাড়ানো না গেলে বই সম্প্রসারণের কোনো উদ্যোগ সফল হবে না। ২০২৫ বইমেলায় সর্বপ্রথম প্যাভেলিয়ন পেয়েছে বাতিঘর। এই প্রকাশনী সংস্থার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে। নতুন লেখকদের বই প্রকাশেও আন্তরিক ভূমিকা রাখতে চান দীপঙ্কর দাশ। বইয়ের প্রচার ও সম্প্রসারণে রয়েছে তার একান্ত ভাবনা। দীপঙ্কর দাশ রাইজিংবিডিকে বলেন ‘‘আমাদের দেশে প্রায় ১৭...
সুহান রিজওয়ানের ‘নয়পৌরে’ তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ। মনে হয়েছে গল্পগুলো এক বসায় পড়ে ওঠার মতো। অবশ্য এক বসায় আমার পড়া হয়নি। মেট্রোরেলে যেতে-আসতে বেশ ক’দিন সময় নিয়ে পড়েছি। আমার ধারণা যাদেরই রিডার্স ব্লক চলছে, এ বই তাদের ব্লক কাটাতে সহায়ক হতে পারে। প্রথম গল্প, ‘ডেড সোলস’ পড়তে গিয়ে সাই-ফাই সিরিজ ‘ব্ল্যাক মিরর’–এর কথা মনে পড়তে পারে। সোশ্যাল মিডিয়ার ভার্চুয়াল জীবন থেকে আয়-উন্নতির প্রলোভন কতটা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে তার টানটান কাহিনি। শুরু থেকেই গল্পের মধ্যে ঢুকে যেতে হয়। সমাপ্তির টুইস্টটা পরিচিত। অনুমেয়ও লাগতে পারে। দ্বিতীয় গল্পটা, ‘জট’ আমার ব্যক্তিগত পছন্দের। অদ্ভুতুড়ে, অতিপ্রাকৃতিক গল্পের মধ্যে যদি একটা লুক্কায়িত বার্তা থাকে, একটা দ্বিতীয় গল্প থাকে, চমৎকার ব্যাপার হয়। এই শহরের ভয়াল, স্থবির জ্যাম গল্পের নায়িকাকে যে পরিণতির মুখে ঠেলে দিয়েছে, আদতে আমরা সবাই...
তরুণ প্রজন্মের পাঠকনন্দিত কবি হাসনাইন হীরা। তার প্রথম কবিতার বই ‘বাঁক বাচনের বৈঠা' ২০২০ সালে প্রকাশ হয়। প্রথম বইয়ের পাণ্ডুলিপির জন্য হাসনাইন হীরা অর্জন করেছেন জেমকন তরুণ কবিতা পুরস্কার-২০২০। ২০২৫ বইমেলায় প্রকাশ হচ্ছে হাসনাইন হীরার দ্বিতীয় কবিতার বই ‘ব্রাত্যভিটার নকশা’। এই বইয়ের পাণ্ডুলিপির জন্য হাসনাইন হীরা অর্জন করেছেন ‘অনুপ্রাণন তরুণ কবিতা পুরস্কার-২০২৪’। কী আছে ব্রাত্যভিটার নকশায়? এই প্রশ্নের জবাবে হাসনাইন হীরা রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘‘আমরা যে ভূখণ্ডে বাস করি, সেখানকার যে মানব ইতিহাস, তার যে সবচেয়ে উঁচু ও উজ্জলতম চূড়াটায় আমাদের ওঠার কথা ছিল, তা আমরা পারি নাই। অর্থাৎ ইতিহাসের পরম্পরায় আমাদের সোসাইটি যে জায়গায় পৌঁছানোর কথা ছিল, সেখানে আমরা পৌঁছাতে পারি নাই। বারবারই আমাদের আত্মপরিচয়ের ওপর আঘাত এসেছে। ফলে নানা সংকট এবং বিদ্রোহের ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে। এখনও সেই...
এ তো জানা কথাই, মুদ্রিত প্রায় সব বইয়ের গায়ে দাম লেখা থাকে। সেই দামের সঙ্গে বইয়ের বিষয়, লেখকের মান সম্পর্কযুক্ত না-ও হতে পারে। বইয়ের ক্রয়-বিক্রয় মূল্য দিয়ে সাহিত্য বিচার করা যায় না। বই নিজে একটা পণ্য এবং প্রকাশনা একটা ব্যবসা। আর সব ব্যবসাতেই খাঁটি-ভেজাল আছে। কাজেই বই প্রকাশনার সঙ্গে ভালো-মন্দ থাকবেই। জগতের এমন কোনো ক্ষেত্র নাই যেখানে ভালো-মন্দের মিশেল থাকবে না। বেশি দাম দিয়ে কিনলেই ভালো জিনিস পাওয়া যাবে সেটাও সঠিক নয়। হালের অনেক লেখক মোটা বই লিখে ত্যানা পেঁচিয়েছেন। জিনিস মোটা হলে ভালো, দামি হলেই ভালো তা কিন্তু নয়। ‘সাইজ ডাজন্ট ম্যাটার’ কথাটি আমরা ছোটবেলা শুনেছি। শিশুসাহিত্যের যাদুকর লেখক উইলিয়াম জি বেনট্রিমের একটা কথা আছে: ‘শারীরিক আকার কখনোই হৃদয়, আত্মা বা মানস গঠনের তীব্রতা বা কোমলতা নির্ণয় করতে...
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ১৬ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করেন ইশতিয়াক আহমেদ। সংসারে রয়েছে তাঁর স্ত্রী ও তিন ছেলেমেয়ে। সামান্য আয়ে নুন আনতে পান্তা ফুরায় দশা। এর মধ্যে কিছুদিন আগে চট্টগ্রাম নগরের একটি বেসরকারি স্কুলে ছোট মেয়েকে ভর্তি করাতে গিয়ে ইশতিয়াকের চোখ কপালে ওঠে। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, ভর্তি বাবদ দিতে হবে ৬ হাজার টাকা, প্রতি মাসে বেতন দেড় হাজার এবং ডায়েরি, খাতা ইত্যাদি বাবদ লাগবে ১ হাজার ৮০০ টাকা। দুই রঙের কাপড়ে সেলাই করতে হবে স্কুল পোশাক; খরচ পড়বে ৪ হাজার। এর সঙ্গে লাগবে জুতা-মোজা। বাইরে থেকে কিনতে হবে ছয়টি বই; দাম পড়বে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা। এসব শুনে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে মেয়েকে ভর্তি না করেই বাসায় ফেরেন এই অভিভাবক। এ অবস্থা শুধু ইশতিয়াক আহমেদের নয়, তাঁর মতো অনেক অভিভাবক নতুন...
অমর একুশে বইমেলা দেশের অন্যতম বৃহৎ সাংস্কৃতিক উৎসব, বাঙালির প্রাণের ঐতিহ্যবাহী মেলা। এটি পাঠক-লেখক এবং প্রকাশকের বৃহত্তম মিলনমেলা। তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশ এবং প্রজন্মের চিন্তা চেতনার প্রেক্ষাপটে অমর একুশে বইমেলার জনপ্রিয়তা এবং আবেদন অক্ষুণ্ন রাখার জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। ১. বইমেলার আয়োজনে পর্যাপ্ত জায়গা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করা। প্রকৃত প্রকাশকদের প্রয়োজনমতো জায়গা বরাদ্দ এবং নান্দনিক প্যাভিলিয়ন বা স্টল নির্মাণ নিশ্চিত করা। প্রতিবছর ন্যূনতম পাঁচজন একেবারে নতুন মেধাবী প্রকাশককে বিনামূল্যে এক ইউনিট স্টল বরাদ্দ দেওয়া। পাইরেট বইয়ের প্রকাশকদের স্টল বাতিল করা। ২. মেলায় যাতায়াত সহজ করতে মাসব্যাপী বিশেষ মেট্রোরেল সুবিধা চালু করা। গুরুত্বপূর্ণ লেখক, গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের বিজ্ঞাপন মেট্রোরেলে প্রচারের ব্যবস্থা করা। অডিও-ভিডিও প্রচারণার ব্যবস্থাও করা যেতে পারে। ৩. বইমেলা কর্তৃপক্ষ পাঠকদের জন্য অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে...
অলাত এহ্সান মূলত গল্পকার। সাহিত্য সমালোচনা ও প্রবন্ধও লেখেন তিনি। অবসরে চর্চা করেন জাপানি ভাষা। ২০২৫ বইমেলায় প্রকাশ হবে অলাত এহসানের ‘বৃদ্ধাশ্রম হয়ে ওঠা কফি হাউসটি’ গল্পগ্রন্থ। তার প্রথম গল্পগন্থ ‘অনভ্যাসের দিনে’ পাঠকনন্দিত হয়েছে। তরুণ প্রজন্মের এই গল্পকারের কাছে রাইজিংবিডি জানতে চেয়েছিলো বই প্রচারণায় একজন তরুণ লেখক কীভাবে কাজ করতে পারেন? অলাত বলেন, ‘‘বিশ্বের বহু প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান আছে, যেখান থেকে (পরিচিত-অপরিচিত) যেকারও বই বের হলে আপনি চোখ বুঝে কিনতে পারেন, লেখার মান নিয়ে ঠকবেন না। এটা ওইসব প্রকাশনীর সম্পাদনা পরিষদ নিশ্চিত করে। আমাদের মনে হয় অমন ব্রান্ড হয়ে ওঠা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান তেমন নেই। আবার লেখকও তার লেখার মানে তেমন ব্যাপারে যত্নশীল নন, সেই যে এক লেখক বলেছিলেন না— অনেক লেখক আছেন যাদের অনেক পড়ার দরকার ছিল, কিন্তু তারা...
বর্তমান বিশ্বে বইয়ের সংখ্যা এতবেশি যে, তা কোনো একটি নির্দিষ্ট কক্ষে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব না। তবে ডিজিটালাইজেশনের ফলে অনেক উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে বইয়ের এ সমস্যার সমাধানের জন্য তৈরি হয়েছে ই-লাইব্রেরি। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) একটি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি আছে। এর পাশাপাশি আছে একটি ই-লাইব্রেরিও। কিন্তু সে সম্পর্কে জানেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ই-লাইব্রেরি সম্পর্কে তারা অবগত না। প্রশাসন এ সম্পর্কে তেমন কোন প্রচারণা করেনি বলেও দাবি করেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাইয়াজ লালন বলেন, “না, এ সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। প্রশাসন থেকেও তো কিছুই জানানো হয়নি।” লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ লিয়ন বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ই-লাইব্রেরি সম্পর্কে আমার কোন ধারণা নেই। তবে আমার...
সেন্টার ফর কমিউনিকেশন অ্যাকশন বাংলাদেশ-সিক্যাব-এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ জেইন আল-মাহমুদ বলেছেন, “বিভিন্ন সংস্থার জরিপে দেখা গেছে, নব্বইয়ের দশকে যেখানে ৮০শতাংশ পোশাক শ্রমিক নারী ছিলেন, এখন তা ৫০-৬০ শতাংশে নেমে এসেছে। বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পের মতো অন্য কোনো খাতে এত বিপুল সংখ্যক নারীদের কাজের সুযোগ নেই। পুরুষেরা চাকরি হারালে বিকল্প কাজ পায়, কিন্তু নারীদের জন্য সেই সুযোগ সীমিত। পোশাক খাতে নারী শ্রমিক কমে গেলে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এটা উদ্বেগজনক।” শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে গাজীপুরের টেকনগপাড়ায় সাগর সৈকত কনভেনশন সেন্টারে সেন্টার ফর কমিউনিকেশন অ্যাকশন বাংলাদেশ (সি-ক্যাব) আয়োজিত এক কর্মশালায় পোশাকশিল্পে নারীর ক্ষমতায়নে গণমাধ্যমের ইতিবাচক ভূমিকা এবং কীভাবে গার্মেন্টস শিল্পের নারী শ্রমিকদের জীবন-ঘনিষ্ঠ কাহিনী গণমাধ্যমে উঠে আসতে পারে, সেই বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এইচ অ্যান্ড এম ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে সি-ক্যাব...
পাঠ্যবই থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত চিত্রকর্ম বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে পাঠ্যপুস্তক ভবনের সামনে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ওই চিত্রকর্ম বাদ দেওয়ার পক্ষে অবস্থান নেওয়া অন্যপক্ষ। এতে অনেকে আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। আহতদের মধ্যে দশজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- শ্রেষ্ঠা রূপাইয়া (২৪), ইসাবা শুহরাত (২৫), রেংইয়ং ম্রো (২৭), ফুটন্ত চাকমা, ধনজেত্রা (২৮), অনন্ত ধামায়, ডিবিসির সাংবাদিক জুয়েল মার্ক (৩৫), শৈলী (২৭), দনওয়াই ম্রো (২৪) ও তনিচিরাং (৩০)। তাদের সবাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আজ বুধবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে রাজধানীর মতিঝিলে মেট্রো স্টেশনের নিচে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে নিতে দেখেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। মতিঝিল পরিদর্শক তদন্ত মোহায়মেনুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদের ধাওয়া খেয়ে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত চিত্রকর্মের পক্ষে বিক্ষোভকারী চলে গেছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। ছাত্ররা...
পাঠ্যবই থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত চিত্রকর্ম বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে পাঠ্যপুস্তক ভবনের সামনে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ওই চিত্রকর্ম বাদ দেওয়ার পক্ষে অবস্থান নেওয়া অন্যপক্ষ। এতে অনেকে আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। আহতদের মধ্যে দশজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- শ্রেষ্ঠা রূপাইয়া (২৪), ইসাবা শুহরাত (২৫), রেংইয়ং ম্রো (২৭), ফুটন্ত চাকমা, ধনজেত্রা (২৮), অনন্ত ধামায়, ডিবিসির সাংবাদিক জুয়েল মার্ক (৩৫), শৈলী (২৭), দনওয়াই ম্রো (২৪) ও তনিচিরাং (৩০)। তাদের সবাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আজ বুধবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে রাজধানীর মতিঝিলে মেট্রো স্টেশনের নিচে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে নিতে দেখেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। মতিঝিল পরিদর্শক তদন্ত মোহায়মেনুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদের ধাওয়া খেয়ে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত চিত্রকর্মের পক্ষে বিক্ষোভকারী চলে গেছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। ছাত্ররা...
‘বাংলাদেশে অপরাধ বিজ্ঞান ও ফৌজদারি বিচার: একটি সূচনা’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করা হয়েছে। সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডির বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ক্রাইম অ্যান্ড জাস্টিস স্টাডিজ (বিআইসিজেএস) কার্যালয়ে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সম্পাদনা প্যানেলের প্রধান সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোকাররম হোসেন, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, অধ্যাপক আফিয়া খানম প্রমুখ। বইটিতে এদেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার কার্যকারিতার বিভিন্ন দিকগুলোর একটি বিস্তৃতি বিশ্লেষণ এবং অপরাধের ক্রমবর্ধমান প্রবণতার অন্তর্নিহিত কার্যকারণগুলো ব্যাখ্যা করা হয়েছে। পাশাপাশি অপরাধ ও অপরাধ প্রবণতার অপরাধবিজ্ঞানভিত্তিক ব্যাখ্যা প্রদান করেছে। এছাড়া বাংলাদেশ সম্পর্কিত অপরাধ, পুলিশিং, সংশোধন ও আদালতের ধারনাগত, তাত্ত্বিক ও গবেষণামূলক দিক নিয়ে বইটিতে আলোকপাত করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির চিরকালের গৌরবের অর্জন। মুখে মুখে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণা চলবে আনন্দ-বেদনায়। চেতনাকে ধারণ করে এগিয়ে চলার সাহস ও প্রেরণা লাভ করবে ভবিষ্যতের বাঙালিরা। সেই সূত্রেই বছরের শুরুর মাসে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে স্মৃতিচারণামূলক বইয়ের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হলো আজ সোমবার। জাপানপ্রবাসী বিশিষ্ট সাংবাদিক মঞ্জুরুল হকের ইংরেজিতে লেখা ‘আ টাইম টু ড্রিম অ্যান্ড আ টাইম অব ডিসপায়ার’ নামের বইটির মোড়ক উন্মোচন হলো বারিধারার গার্ডেন গ্যালারি কসমসে। কসমস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় বইটি প্রকাশ করেছে কসমস বুক। এতে মোট ১৪টি অধ্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাক্রম তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিটি অধ্যায়ের শুরুতে রয়েছে সেই বিষয়ের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে শিল্পী সৌরভ চৌধুরীর শিল্পকর্ম। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মঞ্জুরুল হকের প্রথম বই ‘আ স্টোরি অব মাই টাইম’ কসমস বুকস প্রকাশ করেছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। ‘আ টাইম টু ড্রিম অ্যান্ড আ টাইম অব ডিসপায়ার’ আগের...
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মুহা. হাসানুজ্জামান রিপনের ‘বলা বাহুল্য’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। সোমবার বিকেলে এই গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমার মনে হয় এই বই পড়ে জীবনদর্শন সম্বন্ধে অনেক কিছু শেখা যাবে। বইটির লেখক জীবনধারণের কিছু মৌলিক তত্ত্ব অত্যন্ত সহজ করে আমাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। আইনের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে নতুন সত্তা নিয়ে নিজেকে সবার সামনে তুলে ধরার জন্য লেখককে সাধুবাদ জানান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। প্রধান বিচারপতির কনফারেন্স রুমে আয়োজিত মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে লেখক ও নির্মাতা সাদাত হোসাইন, অন্যপ্রকাশের স্বত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমদ ভূঞা, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী, স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন, রিসার্চ এন্ড রেফারেন্স অফিসার হাসান...
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, বই তাঁর খুব প্রিয়সঙ্গী সব সময়ই, যেকোনো বই। ‘বলা বাহুল্য’ শিরোনামের একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আজ সোমবার বিকেলে প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন। ‘বলা বাহুল্য’ বইয়ের লেখক সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার (জেলা ও দায়রা জজ) হাসানুজ্জামান রিপন, এটি তাঁর লেখা প্রথম গ্রন্থ। প্রধান বিচারপতি গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন। প্রধান বিচারপতির সম্মেলনকক্ষে বেলা তিনটায় গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, গ্রন্থের গুরুদক্ষিণা অধ্যায় পড়ার মধ্য দিয়ে শুভসূচনা হয় বইটি পড়ার। সেখানে একাধারে বিচারক, শিক্ষক, দার্শনিক ও সাহিত্যিক হাসানুজ্জামান রিপনের (লেখক) সঙ্গে তাঁর নতুন করে পরিচয় হলো। এত দিন পরিচিত ছিলেন বিচারক হিসেবে। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বই আমার খুব প্রিয়সঙ্গী সব সময়, যেকোনো বই। যখন...
কোভিড–পরবর্তী সময়ে বিশ্ব অর্থনীতি সংকটের মধ্যে পড়ে। বাংলাদেশেও প্রবলভাবে আছড়ে পড়ে সেই সংকটের ঢেউ। কিন্তু আমাদের দেশ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো এ সংকট কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এর প্রধান কারণ বিগত সরকার যে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জয়গান গাইছিল, তার ভেতর ফাঁকি ছিল। লেখক বিরূপাক্ষ পাল এ বইয়ে দেখিয়েছেন, ঢাকঢোল পিটিয়ে উন্নয়ন–বন্দনার অন্তরালে থেকে কীভাবে একটা ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ও তার মদদপুষ্ট একদল লুটেরা ব্যবসায়ী অর্থনৈতিক খুঁটিগুলো খেয়ে ফেলেছ, দেশকে দাঁড় করিয়েছে কঙ্কাল কাঠামোর ওপর। অর্থ খাতের লুণ্ঠন ও ব্যাংক খাতের দুর্নীতির কবলে পড়ে প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা দেশ। কয়েকটি মাফিয়া পরিবারের হাতে জিম্মি হয়ে পড়ে পুরো ব্যাংক খাত। এতে সহায়তা করে একশ্রেণির পুলিশ, গোয়েন্দা ও আমলারা। এ সুযোগে বাড়তে থাকে ঋণখেলাপি, গোপনে বিদেশে পাচার হতে থাকে বিপুল টাকা। রাজস্ব আয় কমে...
জুলাই অভ্যুত্থানের পর দেশব্যাপী চলছে পলিটিক্যাল ক্যাকোফোনি (রাজনৈতিক কোলাহল), সেই সঙ্গে আছে নানা কনস্টিটিউশনাল কনানড্রামও (সাংবিধানিক ধাঁধা)। তৈরি হয়েছে নানা ধোঁয়াশা। নানা অনিশ্চয়তা এক পাশে রেখে আইন ও সংবিধানের নিবিড় পাঠ নিয়ে দৈনিক পত্রিকায় পাঠকের কাছে হাজিরা দিতেন মিজানুর রহমান খান যদি বেঁচে থাকতেন। এই সময়ে বড্ড প্রয়োজন ছিল তাঁকে। মিজানুর রহমান খান বাংলাদেশের আইন সাংবাদিকতার এক দিকপাল। প্রায় একা হাতে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দৈনিক পত্রিকায় আইন ও সংবিধানের ব্যাখ্যার নতুন বেঞ্চমার্ক। জাহিরিপনা থাকত না বরং একাডেমিক নিয়মের নিগড় পেরিয়ে অন্য মাত্রার বিশ্লেষণ নিয়ে আলোকিত করতেন সব পাঠককে, শ্রেণিনির্বিশেষে।কঠিন কথা কঠিন করে না বলে চিনির প্রলেপ দিয়ে প্রকাশের একটা রীতি রাজনীতি সাহিত্য এবং সাংবাদিকতায় অনুশীলিত হয়। স্বৈরাচার না বলে বলা হয় কর্তৃত্ববাদী কিংবা ঘুষ না বলে স্পিডমানি—এমন আরও অনেক। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একসময়...