2025-04-01@10:04:54 GMT
إجمالي نتائج البحث: 189

«ফসল র ন য য য»:

    পতিত রেজিমে পেঁয়াজের দাম ভয়াবহভাবে বেড়েছিল। রাস্তাঘাটে মানুষ কত টিটকারি, টিকটক, ঠাট্টা করেছে। একদিন গলিতে দেখলাম কিছু উঠতি বয়সের ছেলেরা আঙুরের মতো করে একটা একটা করে পেঁয়াজ ঝুলিয়ে ভিডিও করছে। রাষ্ট্র পেঁয়াজের দাম কমাতে পারেনি। এমনকি পেঁয়াজ চাষ করে দেশবাসীর হাতে তুলে দেয়ার ক্ষমতাও রাষ্ট্রের ছিল না। পেঁয়াজ চাষ বা বাজারে বেচা বিক্রি করা রাষ্ট্রের কাজ না। কিন্তু কৃষকরা যেন সঠিকভাবে পেঁয়াজ চাষ করতে পারে সেই নিরাপত্তা বজায় রাখা রাষ্ট্রের কাজ। দেশবাসী যাতে নির্বিঘ্নে পেঁয়াজ কিনতে পারে, কৃষক যাতে ন্যায্য দামে তা বিক্রি করতে পারে রাষ্ট্রের কাজ এই বাজার ঠিক রাখা। বিগত রেজিমের কর্তৃত্ববাদী বাজারের লাগাম টানতে পারেনি। বাজার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে নাকানিচুবানি চক্করের ভেতর রেখেছিল। বৈশ্বিক নিওলিবারেল ক্ষমতা মূলত এই বাজার ও উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে। সরকার নিওলিবারেল বাহাদুরিকে তোয়াজ করে।...
    জাপানি ‘নিওহো’ জাতের স্ট্রবেরির সঙ্গে আমেরিকান ফেস্টিভ্যাল জাতের স্ট্রবেরির সংকরায়ণের মাধ্যমে বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগী এই জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। জাপানি জাতটি খুবই ছোট কিন্তু সুগন্ধি ও মিষ্টি। আমেরিকান জাতটি আকারে বড় কিন্তু জাপানি জাতের মতো অতটা মিষ্টি নয়।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এম মনজুর হোসেন ১০ বছরের চেষ্টায় এই নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন। চারা উৎপাদন, নির্বাচন, ট্রায়াল চাষ, বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য যাচাই করতে করতে তিনি ২০২৪ সালে এসে সফল হয়েছেন। ২০২৪ সালের গণ–অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে জাতটির নাম রেখেছেন ফ্রিডম-২৪।শীতপ্রধান দেশের আকর্ষণীয় ফল স্ট্রবেরির বাণিজ্যিক চাষ বাংলাদেশে শুরু হয় ২০০৭ সালে। নানা ধরনের প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে এ দেশে স্ট্রবেরি চাষ একটি নির্দিষ্ট জায়গা করে নিয়েছে। চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দক্ষ চাষিরা সফলভাবে স্ট্রবেরি চাষ করছেন, যা উচ্চমূল্যের ফসল হিসেবে লাভজনক কৃষিতে...
    আলু উৎপাদনে বাংলাদেশ ছিল স্বয়ংসম্পূর্ণ। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন ছিল বেশি। চাহিদার বাড়তি আলু রপ্তানি হতো বিশ্বের ১৬টি দেশে। তিন বছর আগে দুই লাখ টন আলু রপ্তানির রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। আলু রপ্তানির এসব গল্প ধীরে ধীরে ইতিহাস হয়ে যায়। কারণ, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চাহিদা মেটাতে প্রথমবারের মতো ৯৮ হাজার ৭৩১ টন আলু আমদানি হয়। শুধু আলু নয়, কাঁচামরিচ, টমেটো, গাজর, পেঁয়াজ, সবজিসহ বেশ কিছু কৃষিপণ্য গত দেড় দশকে ধীরে ধীরে আমদানিনির্ভর হয়ে যায়। কমে রপ্তানি। তবে এবার আলুর এত বাম্পার ফলন হয়েছে যে, হিমাগারে রাখার জায়গা নেই। এতে কৃষক দুর্ভোগে পড়লেও ভোক্তা আছেন স্বস্তিতে। বাজারে আলুর দাম কমার কারণে বাড়ছে রপ্তানি। চলতি অর্থবছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত সাড়ে সাত মাসে ২৪ হাজার টন আলু রপ্তানি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই)।...
    দেশে ক্রমান্বয়ে জনসংখ্যা বাড়ছে, কৃষিজমি কমছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যাপক ফসলহানির বিষয়টি প্রায় নিয়মিত। উপরন্তু কৃষিপণ্যের বিরাট অংশ পচে যায় ও নষ্ট হয়। এছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব তো রয়েছেই। এতে অনেক ফসল আমদানিনির্ভর হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বল্প ও মধ্য মেয়াদে কৃষি খাতে কিছু পদক্ষেপ নিয়ে আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।  সম্প্রতি সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি চাল, গম, ভোজ্যতেল, চিনি, ভুট্টা, ডাল, মসলা, ফলের মতো পণ্য আমদানিতে বিপুল ব্যয় হয়। আমরা কৃষি খাতে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি, যাতে আমদানি ব্যয়ের বড় একটি অংশ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি দেশে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আমরা লাভজনক কৃষির কথা মাথায় রেখে উচ্চমূল্যের ফসল আবাদের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছি।’ চাল উৎপাদন বাড়াতে...
    মেহেরপুরের কাজলা নদীটি নাব্য হারিয়েছে।  পানিপ্রবাহের বদলে নদীর বুকে ঢেউ খেলছে ফসলের। নদী দখল করে ধান চাষ করেছে ভূমিদস্যুরা। এতে ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ। মেহেরপুরবাসীর দাবি, নাব্য হারানোয় দখলদাররা নদীতে ধান চাষ করার সুযোগ পেয়েছে। নদীটি পুনর্খনন করে মৎস্যজীবীদের ইজারা দিলে সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব পেতে পারে। সেই সঙ্গে রক্ষা হবে পরিবেশের ভারসাম্য।  পানি উন্নয়ন বোর্ড মেহেরপুরের তথ্যমতে, জেলায় কাজলা নদীর দৈর্ঘ্য ৫৪ কিলোমিটার। ছোট নদী-খাল পুনর্খনন প্রকল্পের অধীনে ২০১১ সালে কাজলার ১০ কিলোমিটার খনন করা হয়। এই ১০ কিলোমিটারের মধ্যে নদীর তিনটি জায়গায় খনন করা হলেও তা ভূমিদস্যুরা ভরাট করে ধান চাষ করছে। বাকি ৪৪ কিলোমিটার প্রকল্পের দ্বিতীয় মেয়াদে খনন করার কথা থাকলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। এলাকাবাসীর দাবি, নদীর পুরো অংশ খনন না করলে খননের সুফল পাওয়া যাবে না। ...
    ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ফসলি জমিতে রাজহাঁস যাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের ঘুজিয়াখাই গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিক মিয়া সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় বিশ দিন আগে রোশেনা বেগমের কয়েকটি রাজহাঁস ঘুজিয়াখাই গ্রামের জয়দর মিয়ার ফসলি জমিতে ঢুকে পড়ে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জয়দর মিয়া রোশেনা বেগমকে বাড়িতে গিয়ে মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এর দুই দিন পর প্রতিশোধ নিতে রোশেনার লোকজন জয়দর মিয়াকে রাস্তায় একা পেয়ে মারধর করেন বলে আবারও অভিযোগ ওঠে। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং এক পর্যায়ে সংঘর্ষ লেগে যায়। পরবর্তী সময়ে...
    দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাওর এলাকায় প্রতিবছর বিপুল পরিমাণে বোরো ধান উৎপাদিত হলেও উজানের পাহাড়ি ঢল এবং অসময়ের অতিবৃষ্টিতে কৃষক প্রায়ই ফসল হারানোর শঙ্কায় থাকেন। এ সময় সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় হাওরগুলো ১০ থেকে ১৫ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে বৃষ্টিপাতের অতিরিক্ত প্রবণতা হাওরের বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলেছে। পরিবর্তিত আবহাওয়ায় কৃষকের ক্ষয়ক্ষতি বেড়ে গেছে এবং দীর্ঘ সময় পানিতে ডুবে থাকায় পরবর্তী মৌসুমের জন্য জমি প্রস্তুত করাও কঠিন হয়ে পড়ে। ফলস্বরূপ কৃষক ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন এবং খাদ্য সংকটে ভোগেন। এভাবেই হাওরের কৃষিনির্ভর পরিবারগুলো দারিদ্র্যের চক্রে আবদ্ধ থাকে। হাওর অঞ্চলের কৃষকদের সারাবছরের স্বপ্ন ও জীবিকা বোরো ফসলের ওপর নির্ভরশীল। সন্তানের লেখাপড়া ও বিয়ে, স্ত্রীর চিকিৎসা– সবকিছুর ভরসা এই ফসল থেকে পাওয়া আয়। কিন্তু আগাম বন্যায় ফসল তলিয়ে গেলে সব স্বপ্ন...
    হাওর, বিল এবং নদীর পারে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা উঁচু ভূমিকে বলা হয় কান্দা। হাওরের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে কান্দার। সম্প্রতি সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে উদ্বেগজনক হারে কমছে কান্দার অস্তিত্ব। এতে করে হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় গেল দুই দশকে কান্দার বন-বাদালি এবং মাটি কেটে সর্বনাশ করা হয়েছে। ক্ষতির মুখে পড়েছে হাওরের স্থলজ ও জলজ প্রাণী। হাওর বিধ্বংসী ভেকু মেশিনের তাণ্ডবে একের পর এক কান্দা রূপ নিচ্ছে ডোবা-নালায়। হাওরের প্রাণপ্রকৃতি ও পরিবেশ বিপর্যয়ের এই বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড বেড়েই চলছে। অপরিকল্পিতভাবে কান্দা কাটার মাটিতে বাঁধ নির্মাণ করে সাময়িক ফসল রক্ষা হলেও গোটা হাওর অঞ্চলকে বিপন্ন করা হচ্ছে। সরকারের অপরিকল্পিত প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি ব্যক্তি স্বার্থেও তছনছ করা হচ্ছে হাওরের বুক। স্থানীয় কৃষক ও পরিবেশ সচেতন ব্যক্তিরা বলছেন, অবাধে কান্দা কাটার...
    আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের সুরা মুলক, সুরা কলম, সুরা হাক্কাহ, সুরা মাআরিজ, সুরা নুহ, সুরা জিন, সুরা মুজ্জাম্মিল, সুরা মুদ্দাসসির, সুরা কিয়ামাহ, সুরা দাহর ও সুরা মুরসালাত তিলাওয়াত করা হবে। ২৯তম পারা পড়া হবে। এই অংশে আল্লাহর ক্ষমতা, তাঁর অস্তিত্বের প্রমাণ, কিয়ামত, জান্নাত, জাহান্নাম, নবীজি (সা.)-এর গুণাগুণ, অবিশ্বাসীদের ভুল চিন্তা, অকৃতজ্ঞতার পরিণাম, বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের পরিণতি, আগের জাতির কাহিনি, কিয়ামতের দিন আমলনামা প্রদান, মানুষের স্বভাব, নুহ (আ.)-এর গল্প, জিনদের আলোচনা, নবীজীবনী, তাহাজ্জুদের নামাজ, আল্লাহর অনুগ্রহ, নবীজি (সা.)-এর দাওয়াত, উত্তম উপদেশ গ্রহণ, মৃত্যু, জান্নাতের নেয়ামত ও পুনরুত্থান ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা রয়েছে। সুরা মুলকের ফজিলতমক্কায় অবতীর্ণ সুরা মুলকের আয়াত সংখ্যা ৩০। রাসুল (সা.) প্রতি রাতে এ সুরা তিলাওয়াত করতেন।রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কোরআনের মধ্যে ত্রিশ আয়াতবিশিষ্ট একটি সুরা আছে, যেটি কারও পক্ষে সুপারিশ...
    ‘এই জমির জন্য আমার সোয়ামি (স্বামী) মরে গেছে, নিজে পঙ্গু হইছি, আত্তির (হাতি) মুখ থেইকা ফসল বাঁচাইতে গিয়ে পুলা (ছেলে) এখন জেলে।’ এভাবেই নিজের ক্ষেতে বুক চাপড়ে আহাজারি করে কথাগুলো বলেছেন বৃদ্ধা জুলেখা বেগম। নালিতাবাড়ী সীমান্তের পূর্ব সমশ্চুড়া এলাকায় বসবাস করেন জুলেখা বেগম। তাঁর সংসারে তিন ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে। ছেলেমেয়ে সবাই বিবাহিত। স্বামীর রেখে যাওয়া দুই একর আবাদি জমি রয়েছে। বনের জমিতে বাড়ি করে ছেলেদের নিয়ে কোনোমতে বসবাস করছেন। জমির ফসল ও ছেলেদের উপার্জন থেকে কোনোরকম একটি মাটির ঘরে দিনাতিপাত করেন এই বৃদ্ধা। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর জমির পাশে দেওয়া বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে একটি বন্যহাতির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁর বড় ছেলে জিয়াউর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুক্রবার আটক কৃষকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বন্যহাতি হত্যার অভিযোগে...
    কিছুতেই দমানো যাচ্ছে না বুভুক্ষ বালুখেকোদের। সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়ন সংলগ্ন সুরমা নদীতীরে প্রতি রাতেই চলছে অবৈধ বালু উত্তোলনের মহোৎসব। সুরমা নদীর ভাঙনের প্রভাবে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বাড়িঘর, মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ফসলি জমি। গ্রামবাসী ভিটে-মাটিহারা হচ্ছে, তবে এসব দেখার যেন কেউ নেই। প্রতিবাদ করলে উল্টো নির্যাতনের শিকার হতে হয় তাদের। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুরমা নদীর তীরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের জন্য এলাকার একটি চক্র নদীর পারে পাহারা দেয়। অন্যরা ড্রেজার, বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে। বিএনপি-আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মী মিলেমিশেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পদ লুট করছে। সোনাপুর গ্রামের বাসিন্দা সমর উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি মহল এখানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। এরা গ্রামবাসীর কোনো বাধা মানে না। নূরপুর গ্রামের বাসিন্দা আনর আলী...
    প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে রাতের আঁধারে কাটা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি। সেই মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়। মাটি বাহী ভারি ট্রাকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সড়ক, ধুলায় আচ্ছন্ন পরিবেশ। এমন পরিস্থিতি ঢাকার ধামরাই উপজেলায়। ইটভাটার এমন কষাঘাতে একদিকে বিপন্ন পরিবেশ, অন্য দিকে ঝুঁকিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন। এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ চান এলাকাবাসী। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের। উপজেলা প্রশাসন সূত্র বলছে, ধামরাইয়ে অন্তত দেড় শতাধিক ইটভাটা রয়েছে। যার সিংহভাগই অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। এসব ইটভাটার কাঁচামাল কৃষি জমির টপ সয়েল। কৃষকদের বাধ্য করা হচ্ছে মাটি বিক্রিতে। ফসলি জমি রাতারাতি পরিণত হচ্ছে পুকুর বা খালে। কমছে চাষের আবাদি জমি। এজন্য গেল দুই মাসে প্রায় ৩০টির বেশি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ভেঙে দেওয়া হয়েছে চিমনি, করা হয়েছে আর্থিক জরিমানা। সম্প্রতি উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের...
    দেশের বড় শহর ছাড়িয়ে জেলা শহর, এরপর উপজেলা সদর এলাকাগুলোও এখন পুকুরশূন্য হয়ে পড়ছে। জলাশয় সুরক্ষায় দেশে কঠোর আইন আছে। ব্যক্তিগত মালিকানায় থাকা পুকুর ভরাটের ওপরে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে আইনে। দুঃখজনক হচ্ছে কেউ আইন মানছে না। যাদের আইন প্রয়োগ করার কথা, তাদেরও সে ব্যাপারে তেমন তৎপরতা নেই। আছে নানা সংকট ও সীমাবদ্ধতাও। যে কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় গত কয়েক মাসেই ডজনখানেক পুকুর ভরাট হয়ে গেছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।    প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের নিকট দূরত্বেই কয়েক দশকের পুকুর ভরাট হয়ে গেছে সম্প্রতি। এখন সেখানে গেলে পুকুরের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। বিপণিবিতান নির্মাণে পুকুরটি ভরাট করা হয়েছে। এভাবে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণসহ নানা কাজে কয়েক মাসে এই উপজেলায় ১০–১২টি বড় পুকুর ভরাট করা হয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কার্যালয়ের...
    হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে সরকার স্থায়ী বাঁধের ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে বোরো ফসল উৎপাদন তীর্ব সংকটের মুখে পড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয় কৃষকরা। একই কথা বলছেন বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পে সংশ্লিষ্টরা। সুনামগঞ্জের বৃহৎ বোরো ফসলি হাওর মাটিয়ান হাওর উন্নয়ন কমিটির সভাপতি বড়দল গ্রামের সিরাজুল ইসলাম জানান, প্রতিবছর বাঁধ নির্মাণে বাঁধসংলগ্ন গো-চারণভূমি থেকে মাটি নেওয়া হচ্ছে। এতে মাটির সংকট তো হচ্ছেই, গো-চারণভূমির কোনো অস্তিত্ব পর্যন্ত নেই। পাউবো প্রতিবছর একই স্থানে মাটি কাটার ফলে এমন দুরবস্থা হয়েছে। এ সমস্যা থেকে উত্তরণে তিনি জানান, প্রতিবছর পাউবো যদি স্থায়ী বাঁধের চিন্তাভাবনা করে, তাহলে আগামী ৫ বছর লাগাতার কাজ করলে হয়তো সমাধান পাওয়া যাবে। জানা যায়, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ছোট-বড় ২৩টি হাওরে ২০১৭ সাল থেকে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের (পিআইসি) মাধ্যমে হাওরের কান্দা কেটে...
    প্রায় দেড় যুগ বিদেশে কাটিয়ে দেশে ফিরে কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মো. জাহিদুল ইসলাম। মূলত ভেজালমুক্ত ফসলের চিন্তা থেকেই তাঁর উদ্যোগের শুরু, পরে সেটি বাণিজ্যিক রূপ পায়। পদ্মার চরে প্রায় ১০০ বিঘা জমি কিনে চাষাবাদ শুরু করেন জাহিদুল ইসলাম। বর্তমানে এই উদ্যোক্তার কৃষি খামারে ২০ ধরনের ফসল উৎপাদিত হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে শতাধিক পণ্য। জাহিদুল ইসলামের জন্ম রাজবাড়ীর পাংশায়। সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে। স্বপ্ন ছিল সেনাবাহিনীতে যোগ দেবেন। উচ্চমাধ্যমিক শেষে সেই সুযোগও পান। সেটি ১৯৮২ সালে। কিন্তু ভাগ্য সহায় ছিল না, প্রশিক্ষণরত অবস্থায় পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায়। বাদ পড়েন চাকরি থেকে। পরিবারের ইচ্ছায় পরের বছর ভর্তি হন মেডিকেলে। সেখানেও মন টেকেনি। মেডিকেল ছেড়ে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।মা–বাবা চেয়েছিলেন ছেলে পুরোদস্তুর চাকরিজীবী হবেন। কিন্তু জাহিদুলের আগ্রহ ছিল...
    এখন থেকে ছোট অঙ্কের কৃষিঋণ দিতেও গ্রাহকের ঋণের তথ্য যাচাই করে নিতে হবে। আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ তথ্য ব্যুরো (সিআইবি) থেকে তথ্য যাচাইয়ের প্রয়োজন ছিল না। ফলে অনেক ঋণই খেলাপি হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে নতুন সিদ্ধান্তটি নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ।এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে বলা হয়েছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লি ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি এবং প্রজ্ঞাপনে নতুন ঋণ মঞ্জুরি বা বিদ্যমান ঋণ নবায়নের জন্য আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত শস্য ও ফসল ঋণের ক্ষেত্রে সিআইবি রিপোর্ট সংগ্রহের প্রয়োজন হবে না বলে উল্লেখ করা আছে। সিআইবি রিপোর্ট যাচাই ছাড়া ঋণ দেওয়া হলে একজন গ্রাহক বিভিন্ন ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ আড়াই লাখ টাকা পরিমাণের একাধিক শস্য ও ফসল ঋণ গ্রহণ করলেও...
    শস্য ও ফসল ঋণের মঞ্জুরি বা বিদ্যমান ঋণ নবায়নে সিআইবি রিপোর্ট সংগ্রহের বিষয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।  নির্দেশনায়, নতুন কৃষি ঋণ মঞ্জুরি বা বিদ্যমান ঋণ নবায়নের ক্ষেত্রে সিআইবি রিপোর্ট যাচাই করতে বলা হয়েছে। আগে নতুন ঋণ মঞ্জুরি বা বিদ্যমান ঋণ নবায়নের জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত শস্য ও ফসল ঋণের ক্ষেত্রে সিআইবি রিপোর্ট সংগ্রহের প্রয়োজন হতো না। রবিবার (২৩ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। নির্দেশনায় বলা হয়, সিআইবি রিপোর্ট যাচাই ব্যতীত ঋণ প্রদান করা হলে একজন গ্রাহক বিভিন্ন ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিমাণের একাধিক শস্য ও ফসল ঋণ গ্রহণ করলেও তা ঋণ প্রদানকারী ব্যাংকের পক্ষে জানা সম্ভব হচ্ছে না। এ প্রক্রিয়ায় খেলাপি ঋণ...
    শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ধানখেতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একটি হাতির মৃত্যু হয়। এরপর সেখানে চলে আসে একপাল হাতি। তারা মৃত সঙ্গীকে খোঁজে, চিৎকার করতে থাকে। খেত মাড়িয়ে ফসল নষ্ট করে। সড়কে সড়কে ছড়িয়ে পড়ে হাতির পাল। এ ঘটনায় আশপাশের গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ আর বাইরে বের হওয়ার সাহস করতে পারেননি, ঘরবন্দী হয়ে পড়ে।পরিবেশবাদী সংগঠন ‘সেফ দ্য নেচার অব বাংলাদেশ’–এর নালিতাবাড়ী উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাতির স্মৃতিশক্তি খুবই প্রখর। কেউ তাদের ক্ষতি করলে তারা প্রতিশোধ নেয়। এ কারণেই হয়তো হাতির পাল ক্ষুব্ধ হয়ে এমন কর্মকাণ্ড করেছে।’স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার পূর্ব সমশ্চুড়া গ্রামে পাহাড়ের ঢালে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে একটি বন্য হাতি মারা যায়। পরের দিন শুক্রবার বুরুঙ্গা গ্রামে হাতিটিকে মাটিচাপা...
    সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার সাংহাই হাওরের বুক চিরে ফসলি জমি নষ্ট করে সড়ক নির্মাণের ঘটনায় প্রথম আলোতে প্রতিবেদন প্রকাশের পর নির্মাণাধীন সড়কটি পরিদর্শন করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা। তাঁরা স্থানীয় কৃষক ও গ্রামবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করে তাঁদের বক্তব্য শোনেন এবং লিখিত মতামত নেন।মতবিনিময়ে কৃষকেরা সরকারের কাছে জমি ও ফসলের ক্ষতিপূরণ চাওয়ার পাশাপাশি বর্ষাকালে যাতে হাওরের পানিপ্রবাহ ও নৌ-চলাচল স্বাভাবিক থাকে, সেই নিশ্চয়তা চেয়েছেন। এ সময় সচিব জমিতে লাগানো ধানসহ মাটি কেটে সড়কে ফেলার বিষয়টি জেনে তাৎক্ষণিকভাবে ঠিকাদারের প্রতিনিধিকে ডেকে ফসলি জমির মাটি না কাটার নির্দেশ দেন।এর আগে গত মঙ্গলবার প্রথম আলোয় ‘হাওরের বুক চিরে হচ্ছে সড়ক, কৃষক-ফসলি জমির সর্বনাশ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও...
    ‘পানির মতো সহজ’ কথাটি বাংলাদেশে সুপেয় পানির ক্ষেত্রে খাটছে না। দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলসহ অর্ধেক এলাকায় গত কয়েক বছর মিলছে না নিরাপদ পানি। বছর পাঁচেক আগেও যেসব এলাকায় পানি ছিল সহজলভ্য, এখন সেখানেই তীব্র সংকট। শুধু বরেন্দ্র অঞ্চলেরই এক-তৃতীয়াংশের বেশি এলাকায় সুপেয় পানির তীব্র সংকট। বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনার মতো অসংখ্য নদনদীবেষ্টিত এলাকায়ও পানির সংকট তীব্র। রাজবাড়ীর মতো পদ্মা তীরের জেলায় শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে যাচ্ছে পুকুর-খাল; পানি উঠছে না নলকূপে। হাওরেও একই সংকট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষিতে ব্যাপকভাবে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার বেড়েছে। অপরিকল্পিতভাবে উত্তোলনের কারণে ক্রমাগত নামছে স্তর। আবার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বৃষ্টি কমে গেছে। ফলে গ্রামের মানুষকেও এখন তৃষ্ণা মেটাতে টাকা খরচ করতে হচ্ছে। লাগামহীন ভূগর্ভস্থ পানি তোলা বন্ধ না হলে সামনে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দেবে বলে আশঙ্কা পরিবেশবিদদের। এ অবস্থায় আজ...
    শেরপুরের নালিতাবাড়ী গারো পাহাড়ের পূর্ব সমশ্চুড়া এলাকায় ধানক্ষেতের পাশে দেওয়া বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে একটি বন্যহাতির মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে জমির মালিক জিয়াউর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  এর আগে ৩১ অক্টোবর একইভাবে পার্শ্ববর্তী বাতকুচি গ্রামের টিলাপাড়া এলাকায় একটি বন্যহাতি প্রাণ হারায়। মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে মানুষের পাতা ফাঁদে দুটি হাতির মৃত্যু হলো।  বন বিভাগের মধুটিলা ইকোপার্কের রেঞ্জার দেওয়ান আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রাতেই ঘটনাস্থল থেকে জেনারেটরের জিআই তার জব্দ করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, এক সপ্তাহ ধরে ২০-২৫টি বন্যহাতির পাল উপজেলার গারো পাহাড়ের বিভিন্ন টিলা ও জঙ্গলে অবস্থান করছে। দিনে টিলা বা জঙ্গলে অবস্থান করলেও সন্ধ্যার পর তারা দল বেঁধে ধানক্ষেত এবং লোকালয়ে নেমে আসে। পূর্ব সমশ্চুড়া গ্রামে গুচ্ছগ্রাম-সংলগ্ন এলাকায় পাহাড়ের ঢালে ৭০-৮০ একর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে।...
    তাহিরপুরের বিভিন্ন হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের নির্মাণ ও সংস্কারকাজ পরিদর্শন করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া। বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসন ও পাউবো কর্মকর্তাদের নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের ক্লোজার পরিদর্শন করেন তিনি।  বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাহিরপুরের শনি, মাটিয়ান, মহালিয়া, বর্ধিত গুরমা, বর্ধিত মাটিয়ান, আঙ্গারুলি ও হালির হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল, সুনামগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হাসেম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন এবং সংশ্লিষ্ট পিআইসির সভাপতি ও সদস্যরা। ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে গুণগতমান পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, সুনামগঞ্জের হাওরে সবচেয়ে সেরা ক্লোজারের কাজ হয়েছে ছিলানি...
    শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ধানখেতের পাশে লাগানো বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে বন্যহাতির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ওই জমির মালিক জিয়াউর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার পূর্ব সমশ্চুড়া গুচ্ছগ্রাম সংলগ্ন পাহাড়ের ঢালে এ ঘটনা ঘটে। একইভাবে গত ৩১ অক্টোবর পার্শ্ববর্তী বাতকুচি গ্রামের টিলাপাড়া এলাকায় একটি বন্যহাতি প্রাণ হারায়। মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে মানুষের পাতা ফাঁদে দুটি বন্যহাতির মৃত্যু হলো। বনবিভাগের মধুটিলা ইকোপার্কের রেঞ্জার মো. দেওয়ান আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রাতেই ঘটনাস্থল থেকে জেনারেটরের জিআই তার জব্দ করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, এক সপ্তাহ ধরে ২০-২৫টি বন্য হাতির পাল উপজেলার গারো পাহাড়ের বিভিন্ন টিলায় ও জঙ্গলে অবস্থান করছে। দিনের বেলায় টিলা বা জঙ্গলে অবস্থান করলেও সন্ধ্যা নামার পর হাতির পাল দল বেঁধে ধানখেতে, লোকালয়ে নেমে আসে। পূর্ব সমশ্চুড়া গ্রামে গুচ্ছগ্রাম সংলগ্ন...
    শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে জেনারেটরের তারে জড়িয়ে একটি বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাত ১১টার দিকে উপজেলার সীমান্তবর্তী লাল নেংগড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জিয়াউর রহমান জিয়া নামের এক কৃষককে আটক করা হয়েছে। জানা গেছে, ফসল রক্ষায় স্থানীয় কৃষকরা জমির চারপাশে বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে লাইট জ্বালিয়ে রাখেন। এতে আলো দেখে ভয়ে বন্য হাতির দল ধান ক্ষেতে কম প্রবেশ করে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে বন্য হাতির একটি দল স্থানীয় বাসিন্দা জিয়াউর রহমানের বোরো ধান খেতে খাবারের সন্ধানে আসে। একপর্যায়ে বৈদ্যুতিক লাইনের স্পর্শে একটি হাতি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে মধুটিলা রেঞ্জের রেঞ্জার দেওয়ান আলী বলেন, ‘‘জিয়াউর রহমান জিয়া নামের এক কৃষক ফসল রক্ষায় জমির চারপাশে বিদ্যুতের সংযোগ...
    রাজশাহীতে টানা দুই দিন ধরে রোদের দেখা নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল দিনভর ঠান্ডা বাতাস। দুপুরের পর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি থাকলেও তার স্থায়িত্ব কম ছিল। তবে আজ শুক্রবার সকাল ৬টার পর থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। বেশির ভাগ সময় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ঝরছে। তবে মাঝেমধ্যে বৃষ্টির তীব্রতা বাড়ছে। এদিকে বৃষ্টি হওয়ায় দিনের তাপমাত্রাও কমে গেছে। আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪ মিলিমিটারের মতো বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে রাজশাহী আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, আবহাওয়ার এই অবস্থা আরও এক দিন স্থায়ী থাকতে পারে।আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীতে গত বুধবার দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এ হিসাবে এটি মৃদু তাপপ্রবাহের ইঙ্গিত দিচ্ছিল। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানেই গতকাল একেবারে আবহাওয়া বদলে যায়। দিনের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি কমে যায়। গতকাল...
    ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে আন্দোলনরত কৃষকদের অস্থায়ী তাঁবু বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় কয়েক শ কৃষককে গ্রেপ্তার করা হয়। ফসলের ন্যায্যমূল্যের দাবিতে এক বছরের বেশি সময় ধরে এই কৃষকেরা আন্দোলন করে আসছিলেন।পার্শ্ববর্তী হরিয়ানা রাজ্যের সীমানার কাছাকাছি এলাকায় পাঞ্জাবের কৃষকেরা গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে তাঁবু খাঁটিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। রাজধানী নয়াদিল্লি অভিমুখে কৃষকদের মার্চ নিরাপত্তা বাহিনী আটকে দিলে তাঁরা এই কর্মসূচি শুরু করেন। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি), কৃষিঋণ মওকুফ, পেনশনের ব্যবস্থা এবং বিদ্যুতের বিল না বাড়ানোর মতো বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কৃষকদের আন্দোলন চলছে।টেলিভিশনের খবরে দেখা যায়, অবস্থান কর্মসূচির স্থলের তাঁবু ও মঞ্চ গুঁড়িয়ে দিতে বুলডোজার ব্যবহার করছে পুলিশ। এ সময় পুলিশের ঘেরাওয়ের মধ্যে ব্যক্তিগত জিনিসপত্র নিয়ে কৃষকদের বাসের দিকে এগিয়ে যেতে দেখা যায়।স্থানীয় সংবাদমাধ্যম...
    শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ধানখেতে জেনারেটরের তারে জড়িয়ে একটি বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার সীমান্তবর্তী পূর্ব সমশ্চুড়া গ্রামে গুচ্ছগ্রাম–সংলগ্ন পাহা‌ড়ের ঢা‌লে এ ঘটনা ঘটে।ওই ঘটনার পর গতকাল রাতেই বন বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে জেনারেটরের তার জব্দ করেছেন। আজ শুক্রবার সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা ইকোপার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলী।বন বিভাগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহ ধরে ১৮-২০টি বন্য হাতির পাল উপজেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের বিভিন্ন টিলায় ও জঙ্গলে অবস্থান করছে। দিনের বেলায় টিলা বা জঙ্গলে অবস্থান করলেও সন্ধ্যা নামার পর হাতির পাল দল বেঁধে ধানখেতে, লোকালয়ে নেমে আসে। এ জন্য কৃষকেরা ফসল রক্ষায় মশাল জ্বালিয়ে, রাত জে‌গে হাতির পাল প্রতিরোধের চেষ্টা করেন।পূর্ব সমশ্চুড়া গ্রামে গুচ্ছগ্রাম–সংলগ্ন এলাকায় পাহা‌ড়ের ঢা‌লে ৭০-৮০ একর...
    গ্রামের পশ্চিমে বিস্তৃত কাউয়াদিঘি হাওর। সেই হাওরের পাড় ঘেঁষে গড়ে উঠেছে গ্রামটি। বর্ষায় হাওরের পানিতে গ্রামের খাল-নালা, পথঘাট ডুবে যাওয়াই নিয়ম। এখন শুকনো মৌসুম, হাওরে পানি নেই। যত দূর চোখ যায় ধু ধু ফাঁকা দিগন্ত, বোরো ফসলের সবুজ। ফসলের দিকে তাকালে কারও মনে হতে পারে, কেউ হয়তো সবুজ চাদর বিছিয়ে রেখেছে মাঠে। নিভৃত এই গ্রামটির ভেতরে সবার চোখের আড়ালে ব্যক্তিগত উদ্যোগে নির্মাণ করা চুন-সুরকির একটি মসজিদ আছে, যার বয়স ১৫০ বছর পেরিয়ে গেছে।এই মসজিদের অবস্থান মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের রক্তা গ্রামে। মসজিদটিকে স্থানীয় মানুষ চেনে তিন গম্বুজ রক্তা জামে মসজিদ নামে। মসজিদটিতে স্থান সংকুলান না হওয়ায় কয়েক বছর আগে নতুন করে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। কিন্তু পুরোনো মসজিদে হাত দেওয়া হয়নি, পুরোনো মসজিদটিকে অবিকল রেখে দেওয়া হয়েছে।রক্তা গ্রামে একটি পুরোনো...
    শস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত হাওরাঞ্চলগুলো এ দেশের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। সুনামগঞ্জসহ কয়েকটি জেলার হাওরগুলোতে বছরের কয়েক মাস মাত্র চাষাবাস করার সুযোগ থাকে। যথাসময়ে বাঁধ না হলে সেই ফসলও আকস্মিক বৃষ্টিতে তলিয়ে যায়। দুঃখজনক হচ্ছে প্রতিবছর সময়মতো ফসল রক্ষা বাঁধ হয় না। এবারের এমন অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি দুঃখজনক।প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, সুনামগঞ্জে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্য নির্ধারিত সময়সীমা ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি। কাজ শেষ না হওয়ায় পরবর্তী সময়ে আরও ১০ দিন বাড়ানো হয়। বর্তমানে জেলাটির হাওরগুলোতে বাঁধ নির্মাণের সব প্রকল্পের কাজ শেষ বলে ঘোষণা দিয়েছে প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে এসব কাজকে অসম্পূর্ণ উল্লেখ করে এতে অসংগতি, অবহেলা ও অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন ‘হাওর বাঁচাও আন্দোলন’-এর নেতারা। গত বুধবার সুনামগঞ্জ শহরে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসন ও পাউবোর ওই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেন...
    হাওরে এখন বোরো ধানের সমারোহ। শ্রমে-ঘামে ফলানো সোনার ধান বৈশাখে গোলায় তুলবেন কৃষক। লাখো মানুষের জীবন-জীবিকার এই হাওরের বুক চিরে সড়ক নির্মাণের কর্মযজ্ঞ চলছে। সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার সাংহাই হাওরে চার কিলোমিটার লম্বা সড়কের জন্য জমির ক্ষতিপূরণ দূরে থাক, ধান নষ্টের বিষয়েও কৃষকদের কেউ বলার প্রয়োজন মনে করছেন না।কৃষক ও পরিবেশবাদীরা বলছেন, হাওরের মাঝখান দিয়ে এভাবে সড়ক হওয়ায় প্রকৃতি ও পরিবেশের সঙ্গে বিপুল পরিমাণ ফসলি জমির ক্ষতি হচ্ছে। এতে বর্ষায় স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে। উজানে দেখা দেবে জলাবদ্ধতা। হাওরের সর্বনাশা এই কাণ্ড ঘটছে প্রশাসনের চোখের সামনে।উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ প্রকল্পে সাংহাই হাওরে সড়কের কাজ হচ্ছে। সড়ক নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪ কোটি টাকা। অর্থায়ন করছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। ঢাকার জেবি...
    কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছেন না ঢাকার দোহার ও আশপাশের এলাকার ইটভাটার মালিকেরা। ইট প্রস্তুত ও ভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনে কৃষিজমিতে কোনো ইটভাটা স্থাপন করায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পাশাপাশি উল্লেখ রয়েছে, নির্ধারিত সীমারেখার (ফসলি জমি) এক কিলোমিটারের মধ্যেও কোনো ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। তবে দোহার ও আশপাশের এলাকায় গড়ে তোলা ২০টির বেশি ভাটার অবস্থানই কৃষিজমিতে। ভাটামালিকেরা কৃষিজমির মালিকদের প্রলোভনে ফেলে ওপরিভাগের (টপ সয়েল) উর্বরা মাটি পুড়িয়েই তৈরি করছেন ইট। এতে জমির স্থায়ী ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান কৃষি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।  কয়েকদিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার ইউসুফপুর চক, রসুলপুর চক, সাহেবখালী চক, সুতারপাড়া  মিজাননগর, ডাইয়ারকুম-আলআমিন বাজার পদ্মা বাইপাস সড়ক এলাকা, মৌড়া-ধীৎপুর, হাসির মোড়, সাইনপুকুর তদন্তকেন্দ্রের আওতাধীন ও মেঘুলা ভূমি কার্যালয়ের আওতাধীন শিমুলিয়া-জালালপুর আড়িয়ল বিল, জালালপুর-টিকরপুর পদ্মা বাইপাস সড়কের পাশে প্রায় আধা-কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কৃষিজমির মাটি...
    মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে অবৈধভাবে ফসলি জমির মাটি কাটা বন্ধে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ শেষে ফেরার সময় মাটির ঢিল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার বিকেলে উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের রামকৃষ্ণদি গ্রামে অভিযানে গেলে এ ঘটনা ঘটে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌহিদুল ইসলাম বারি। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের রামকৃষ্ণদি ও খিদিরপুর গ্রামে ফসলি জমির মাটি কাটছে একটি চক্র। প্রশাসন কয়েকবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করলেও তা বন্ধ হয়নি। আজ বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি তৌহিদুল ইসলাম বারির নেতৃত্বে একটি দল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। এ সময় মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত দুটি ভেক্যু অচল করে দেওয়া হয়। এতে মাটি কাটা চক্রের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সদস্যদের ওপর মাটির ঢিল নিক্ষেপ করে। পরে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য হন ভ্রাম্যমাণ আদালতের সদস্যরা। এ...
    মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে অবৈধভাবে ফসলি জমির মাটি কাটা বন্ধে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে মাটি কাটা চক্রের সদস্যরা। আজ সোমবার বিকেলে উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের রামকৃষ্ণদি গ্রামে অভিযানে গেলে এ ঘটনা ঘটে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌহিদুল ইসলাম বারি। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের রামকৃষ্ণদি ও খিদিরপুর গ্রামে ফসলি জমির মাটি কাটছে একটি চক্র। প্রশাসন কয়েকবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করলেও তা বন্ধ হয়নি। আজ বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি তৌহিদুল ইসলাম বারির নেতৃত্বে একটি দল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। এ সময় মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত দুটি ভেক্যু অচল করে দেওয়া হয়। এতে মাটি কাটা চক্রের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সদস্যদের ওপর হামলার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। পরে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে...
    খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা এখন তামাকের রাজ্যে পরিণত হচ্ছে। আর্থিকভাবে লাভবান হাওয়ার কারণে এই উপজেলার ফসলি জমি, স্কুল ও কলেজের পাশের জায়গায় তামাকের চাষ করেছেন চাষিরা। এর ফলে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ ও কৃষি ব্যবস্থা।   কৃষি বিভাগের তথ্যমতে এ বছর দীঘিনালায় প্রায় ৪৫০ জন চাষি প্রায় ১২০০ একর জমিতে তামাক চাষ করেছেন। তামাক শুকাতে পুরো উপজেলায় প্রস্তত করা হয়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক চুল্লি। এসব চুল্লিতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয় প্রচুর পরিমাণে কাঠ। এলাকাবাসী জানান, দীঘিনালা উপজেলার কৃষকেরা আগে নিজেদের জমিতে ধানের পাশপাশি প্রচুর পরিমাণে সবজির আবাদ করতেন। তাদের উৎপাদিত সবজি খাগড়াছড়ি শহরসহ বিভিন্ন জেলায় যেত। এখন কৃষকেরা সবজি চাষ না করে ঝুঁকছেন তামাক চাষের দিকে। এতে তারা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হলেও শারীরিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। শুধু তাই নয়,...
    সংসারের খরচ মেটাতে মাঝে মধ্যে অন্যের জমিতে কাজ করতেন উপকূলীয় উপজেলা দাকোপের তিলডাঙ্গা গ্রামের রাধিকা শীল। কিন্তু বছরখানেক আগে তিনি নিজের জমিতে চাষ করার সিদ্ধান্ত নিলেন। বেসরকারি একটি সংস্থা বীজ, সার ও অর্থ সহায়তা দিল। সরকারের কৃষি বিভাগ দিল প্রশিক্ষণ। এখন নিজের পুকুরে মাছ ও ধান চাষ করেন রাধিকা। রাধিকা শীল জানান, আগে বছরের বড় একটি সময় ঋণ করে চলা লাগত। এখন বাড়ির সামনের জমিতে মাছ, ধান ও সবজি চাষ করেন। সমন্বিত খামার থেকে বছরে প্রায় ১ লাখ টাকা আয় হয়। আগের ঋণ পরিশোধের পর এখন কিছু টাকাও জমেছে। নতুন করে এ বছর কুমড়ো ও সবজি চাষের জন্য এক বিঘা জমি ইজারা নিয়েছেন। শুধু রাধিকা শীলই নন, বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় কৃষিশ্রমিক থেকে উদ্যোক্তা হয়ে উঠেছেন উপকূলের নারীরা। তারা এখন নিজেরাই...
    সংসারের খরচ মেটাতে মাঝে মধ্যে অন্যের জমিতে কাজ করতেন উপকূলীয় উপজেলা দাকোপের তিলডাঙ্গা গ্রামের রাধিকা শীল। কিন্তু বছরখানেক আগে তিনি নিজের জমিতে চাষ করার সিদ্ধান্ত নিলেন। বেসরকারি একটি সংস্থা বীজ, সার ও অর্থ সহায়তা দিল। সরকারের কৃষি বিভাগ দিল প্রশিক্ষণ। এখন নিজের পুকুরে মাছ ও ধান চাষ করেন রাধিকা। রাধিকা শীল জানান, আগে বছরের বড় একটি সময় ঋণ করে চলা লাগত। এখন বাড়ির সামনের জমিতে মাছ, ধান ও সবজি চাষ করেন। সমন্বিত খামার থেকে বছরে প্রায় ১ লাখ টাকা আয় হয়। আগের ঋণ পরিশোধের পর এখন কিছু টাকাও জমেছে। নতুন করে এ বছর কুমড়ো ও সবজি চাষের জন্য এক বিঘা জমি ইজারা নিয়েছেন। শুধু রাধিকা শীলই নন, বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় কৃষিশ্রমিক থেকে উদ্যোক্তা হয়ে উঠেছেন উপকূলের নারীরা। তারা এখন নিজেরাই...
    কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে তেল ও ডাল জাত ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক হাজার ২৫০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ২০২৪ - ২৫ অর্থবছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় খরিপ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন মুগ ও তিল ফসলের বীজ ও সার বিতরণের আয়োজন করে উপজেলা কৃষি কার্যালয়। বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ অনু্ষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম। অনু্ষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাইসুল ইসলাম। উপজেলা কৃষি কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, ২০২৪ - ২৫ অর্থবছরে তিল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক হাজার ২০০ জন প্রান্তিক কৃষককে প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। প্রত্যেক কৃষককে এক...
    সুনামগঞ্জে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্য নির্ধারিত সময়সীমা ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি; কিন্তু কাজ শেষ না হওয়ায় সময় আরও ১০ দিন বাড়ানো হয়। বর্তমানে জেলার হাওরগুলোতে বাঁধ নির্মাণের সব প্রকল্পের কাজ শেষ বলে ঘোষণা দিয়েছে প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে এসব কাজকে অসম্পূর্ণ উল্লেখ করে এতে অসংগতি, অবহেলা ও অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন ‘হাওর বাঁচাও আন্দোলন’-এর নেতারা।গত বুধবার দুপুরে শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসন ও পাউবোর ওই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেন কৃষকদের পক্ষে সোচ্চার হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতারা। বিষয়টি তুলে ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাঁরা। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে এ বিষয়ে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন উপজেলায় অসমাপ্ত, অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পের নম্বরসহ সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলার হাওর বাঁচাও আন্দোলন...
    বর্ষা মৌসুমে পানি খালের মাধ্যমে নদীতে গিয়ে পড়বে। দূর হবে এলাকার জলাবদ্ধতা। শুষ্ক মৌসুমে সেই খালে পানি সংরক্ষণ করা হবে। কৃষকেরা পাবেন সেচ সুবিধা। এত সব উপকারিতার কথা তুলে ধরে খাল খনন করেছিল বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)। তিন বছর না যেতেই সেই খালই এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে কৃষকের জন্য। তারা বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতায় ভুগছেন ও শুষ্ক মৌসুমে পানির জন্য হাহাকার করছেন। প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘রাজশাহী জেলার বাঘা, চারঘাট ও পবা উপজেলার জলাবদ্ধতা নিরসন এবং ভূ-উপরিস্থ পানির প্রাপ্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সেচসুবিধা সম্প্রসারণ’। ২৫ কোটি ৬০ লাখ টাকার এই প্রকল্পের আওতায় বাঘার মুর্শিদপুর থেকে নওটিকা পর্যন্ত ৮ দশমিক ২০ কিলোমিটার, চারঘাটের মেরামতপুর কাঁকড়ামারী বিল থেকে পিরোজপুর পদ্মা নদী পর্যন্ত ২ দশমিক ১০ কিলোমিটার ও চারঘাটের ইউসুফপুর পদ্মা নদী থেকে...
    ফসলের জাকাত ‘উশর’ গরিবের পাওনা হক। এটি আদায় করা ফরজ ইবাদত। ‘উশর’ ফসল তোলার সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিক আদায় করতে হয়, বছর অতিক্রান্ত হওয়া শর্ত নয়। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তিনি (আল্লাহ) এমন যে যিনি সৃজন করেছেন বাগান সুউচ্চ (মাচানে লতানো) ও অনুচ্চ (মাচানবিহীন) এবং খেজুরগাছ ও খেত; তার স্বাদ ভিন্ন ভিন্ন আর জলপাই ও ডালিম, সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য। তোমরা খাও তার ফল যখন ফল পরিপক্ব হয়; আর তার হক (উশর) প্রদান করো তা উত্তোলনের দিনে; আর (উশর প্রদান না করে) সীমা লঙ্ঘন করো না, নিশ্চয় আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না।’ (সুরা আনআম, আয়াত: ১৪১)রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক জিনিসের জাকাত আছে, শরীরের জাকাত রোজা।’ (ইবনে মাজাহ: ১৭৪৫) ভূমিতে উৎপাদিত শস্য তথা ফল-ফসলেরও জাকাত রয়েছে। উশর মানে হলো এক-দশমাংশ। প্রাকৃতিক পানি...
    নোয়াখালীর উপকূলীয় উপজেলা সুবর্ণচরে সুপেয় পানি লইয়া যেই হাহাকার দৃশ্যমান, উহা মনুষ্যসৃষ্ট। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সমকালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধান চাষে ভূগর্ভের পানির অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারেই আলোচ্য সংকট তৈয়ার হইয়াছে। একই কারণে গৃহস্থালিতে ব্যবহার্য গভীর নলকূপেও পানি মিলিতেছে না। পুকুর-জলাশয়েও পানির সংকটে অনেককে সুপেয় পানি ক্রয় করিতে হইতেছে। বিশুদ্ধ পানির অভাবে সুবর্ণচরের লক্ষ লক্ষ মানুষের এইরূপ দুর্ভোগ নেহাত দুর্ভাগ্য নহে। সুবর্ণচর রবিশস্যের উপযোগী হইলেও স্থানীয় কৃষকরা যেইভাবে ধান চাষে ঝুঁকিতেছে, উহা উদ্বেগজনক। ইহাতে পানি সমস্যা, তৎসহিত পরিবেশের অন্যান্য সংকট বৃদ্ধিরও আশঙ্কা রহিয়াছে। সমকালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুবর্ণচরে দুই যুগ পূর্বেও যথায় মাত্র ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হইত, এই বৎসর উহা ১৮ হাজার হেক্টরে উপনীত। এই ধান চাষে ব্যবহার হইয়াছে অর্ধকোটি কিউসেক পানি। যাহা উদ্বেগের, তন্মধ্যে ৭০ শতাংশ পানিই ভূগর্ভ হইতে উত্তোলন করিতে হয়।...
    হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের পিটুয়ারকান্দি গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কালনী-কুশিয়ারা নদী। বেশ কিছুদিন ধরে সেখান থেকে বালু তুলছে একটি চক্র।  দিনে বন্ধ থাকলেও রাত ঘনিয়ে এলেই তাদের খননযন্ত্র (ড্রেজার) চালু হয়। অবাধে তাদের বালু তোলার কারণে পিটুয়ারকান্দি গ্রামসহ আশপাশের এলাকা ভাঙনঝুঁকিতে পড়েছে। এলাকাবাসী দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন।  সম্প্রতি ওই এলাকায় গিয়ে জানা গেছে, কালনী-কুশিয়ারা নদীতে বেশ কিছুদিন আগে ড্রেজারটি স্থাপন করেন একই উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও বালু ব্যবসায়ী সোহেল মিয়া। সেখান থেকে বালু তুলে জেলার অন্য জায়গায় বিক্রি করছেন। টাকার বিনিময়ে তাঁর এ কাজে মদদ দিচ্ছে স্থানীয় একটি চক্র। কামরুল মিয়া নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, সোহেল দীর্ঘদিন ধরে কালনী-কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে আসছেন। এ কারণে নদী তীরের অনেক...
    কুষ্টিয়ার কুমারখালীর সদকী ইউনিয়নের জিলাপিতলা-সংলগ্ন গড়াই নদীর চর থেকে মাটি ও বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এ নিয়ে এক বিএনপি নেতা ও ইজারাদার কর্তৃপক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেছে।  ইজারাদারের লোকজনের অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাজাহান আলী মোল্লা ও তাঁর সমর্থকরা ইজারা নেওয়া ঘাট থেকে প্রতিদিন প্রায় দেড় লাখ টাকার মাটি ও বালু কেটে নিচ্ছেন। ছয় দিন ধরে এভাবে মাটি-বালু লুট করছেন তারা।  ইজারাদারের অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করছেন বিএনপি নেতা সাজাহান ও তাঁর সমর্থকরা। তারা বলছেন, গড়াই নদীপারে তাদের ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন ফসলাদি চাষ হতো। ইজারাদার মাসুদ রানা আওয়ামী লীগের সমর্থক। দীর্ঘদিন ধরে চর ইজারা নেওয়ার নাম করে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি থেকে মাটি ও বালু কেটে নিয়েছেন। তবে এখন ক্ষমতা বদল হওয়ায় নিজেদের জমি চাষাবাদের উপযোগী...
    চলতি মৌসুমে টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। এর পরও দুশ্চিন্তায় বৃহত্তর সিলেটের শস্যভান্ডারখ্যাত মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা। স্থানীয় টমেটো চাষিরা বলছেন, ফলন ভালো, বাজারে চাহিদাও আছে। এর পরও টমেটো তুলে আড়তে বিক্রি করে পরিবহন খরচও ওঠাতে পারছেন না তারা। ফলে জমিতেই নষ্ট হচ্ছে  অনেক কৃষকের টমেটো। জানা গেছে, উপজেলার প্রান্তিক কৃষক এবং স্থানীয়দের অনেক দিনের দাবি একটি হিমাগার স্থাপনের। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পর্যায় থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। একটি হিমাগার থাকলে এভাবে নষ্ট হতো না কৃষকের কষ্টের ফসল। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই এই টমেটো বাজারে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হবে। এখন হিমাগারে সংরক্ষণ করা গেলে তখন লাভের মুখ দেখতেন চাষিরা। উপজেলার ভানুগাছ বাজারের আড়তদার শরিফ উদ্দিন জানান, গত এক মাস ধরে আড়তে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে...
    এখন বৃষ্টির আশাজাগানিয়া মেঘের আনাগোনা নেই আকাশে। হাওরের জমিতে বোরো চাষে তাই সেচই ভরসা। এখানেই ঘটেছে বিপত্তি। তীব্র সেচ সংকটের কারণে চলতি মৌসুমে ফসলহানির আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে বোরোর ক্ষেত্রে। কৃষকরা বলছেন, জমি শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। মাঠেই ঝলসে যাচ্ছে কচি ধানের সবুজপাতা। এখন পর্যন্ত বৃষ্টি না হওয়ায় শুকিয়ে আছে সেচের পানির জোগান দেওয়া উৎসগুলো। হাওরের বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে কৃত্রিম সেচ প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। বৃষ্টি বিলম্বিত হলে কপাল পুড়বে কৃষকের। খাদ্য সংকটের আশঙ্কাও বেড়ে যাবে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, দেশি জাতের ধান চাষাবাদে সেচের তেমন প্রয়োজন হয় না। তবে হাইব্রিড প্রজাতির উচ্চফলশীল ধান চাষের ক্ষেত্রে উৎপাদনের সাফল্য নির্ভরই করে পর্যাপ্ত সেচ সুবিধার ওপর। হাইব্রিড ধান চাষের ক্ষেত্রে জমিতে প্রচুর পরিমাণে পানির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হয় বলেই সেচের ব্যাপারে কৃষক সচেতন থাকতে হয়...
    যতদূরে চোখের ব্যাপ্তি, ততদূর সবুজ। অনাবাদি নেই একচিলতে জমিও। একসময় আমন ধান কাটার পরই শুষ্ক মৌসুমে মাঠে মাঠে ধুম পড়ত রবি ফসল চাষে। তরমুজ, ডাল, বাদাম, মরিচ, শীতকালীন সবজি, সরিষা, কালিজিরা, সূর্যমুখীতে হাসত চরের মাটি। তবে কয়েক বছরে বদলে গেছে নোয়াখালীর রবিশস্যের ভান্ডার উপকূলীয় জনপদ সুবর্ণচরের চাষাবাদ। রবিশস্য ছেড়ে বোরো (ইরি) ধান চাষ করছেন কৃষক। শুষ্ক মৌসুমে ধান চাষই এখন সুবর্ণচরের জন্য অভিশাপ! খাল-বিল-ডোবায় ভরপুর মিঠাপানির রাজ্যে এখন পানীয় জলের হাহাকার। ধান চাষে ভূগর্ভের পানি অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে বাড়িঘরের গভীর নলকূপে এখন আর পানি ওঠে না। পুকুর-জলাশয়েও পানি থাকছে না। সুপেয় পানি কিনে খেতে হচ্ছে অনেককে। এতে গৃহস্থালির কাজে দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা। বিশুদ্ধ পানির অভাবে সুবর্ণচরের লাখ লাখ মানুষ দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন।  ধান চাষে ভূগর্ভের পানির ওপর অতিনির্ভরতাকে ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ...
    দেশের মোট শ্রমশক্তির ৪৫ শতাংশ বা ৩ কোটি ২০ লাখ মানুষ কৃষি খাতে নিয়োজিত। জিডিপিতে কৃষির সরাসরি অবদান ১১ শতাংশ হলেও প্রক্রিয়াকরণ, পরিবহন ও বাণিজ্য মিলে কৃষি অর্থনীতির অবদান ২৩ শতাংশ। অথচ নগরকেন্দ্রিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনীতি অবহেলিত। রপ্তানিমুখী শিল্পে যে রকম গুরুত্ব দেওয়া হয়, গ্রামীণ কৃষি ও কৃষিভিত্তিক শিল্পে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এর একটি কারণ হলো, দেশের রাজনীতিতে কৃষকের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই, অংশীদারিত্বও নেই। দেশের রাজনীতি-অর্থনীতিতে কিছু বিশেষ গোষ্ঠীর এমন আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থানের জন্য কৃষি খুব গুরুত্বপূর্ণ হলেও নীতিনির্ধারকদের কাছে কৃষকের স্বার্থ প্রাধান্য পায় না। এমনকি রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেড় দশকের স্বৈরশাসনের অবসানের পরও না। দেশে কত রকমের সংস্কারের কথা হচ্ছে; কাজ করছে কত রকম কমিশন! কিন্তু কৃষি সংস্কারের...
    গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী ১১নং ওয়ার্ড জায়েরটেক এলাকায় কালভার্টের মুখে বাঁধ দিয়ে মাছের খামার করতেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজন। ওই কালভার্ট উন্মুক্ত করে পানি চলাচল ও পুনরায় কৃষিকাজ করার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।  রবিবার (৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই কালভার্টের ওপর দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। তারা দ্রুত চাষাবাদে ফিরতে চায় বলে জানান।  এলাকাবাসী বলেন, বিলের মতো এই এলাকায় এক সময় ধান চাষ করতেন। বর্ষায় পলিমাটি জমা হওয়ায় ধানে প্রচুর ফলন হতো। পরে জমির মালিকদের ভয় ও প্রলোভন দেখিয়ে মাছের খামার করার পরিকল্পনা করে এলাকার কয়েকজন। তারা তুরাগ নদ হতে পানি প্রবাহিত হওয়া কালভার্টটির মুখে বাঁধ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাছের চাষ শুরু করে। জমির মালিকদের টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও তা আর দেয়নি। বর্তমানে মামুন খান নামে...
    লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলাধীন তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের নতুন তেওয়ারীগঞ্জ বাজার টু আধারমানিক সড়কে চলাচলকারী ও ফসলী জমি বিনষ্টকারী ১৩ জন ট্রাক্টর চালক ও মালিকের জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।  শনিবার (৮ মার্চ) রাতে এ তথ্য জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এরআগে বিকেলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জামশেদ আলম রানা এ অভিযান চালান। অভিযানে তেওয়ারীগঞ্জ বাজারের ৯টি ট্রাক্টর চালক ও মালিকের ১০ হাজার করে ৯০ হাজার, ২ জনের ৫ হাজার করে ১০ হাজার এবং ভবানীগঞ্জ চৌরাস্তা এলাকায় এক ট্রাক্টর চালকের ১০ হাজার ও অন্যজনের ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ট্রাক্টর চালক রিয়াদ, সহিদ, ফয়সাল, বিপ্লব, শামীম, মো. রাসেল, মো. সুজন, তারেক, রাকিব হোসেন, সুমন, রাকিব, মো. ইউসুফ ও লাহারকান্দির কুতুবপুর গ্রামের মো. সোহেল।...
    ২০২৪ সালের গণ–অভ্যুত্থানের পর বারবার একটি প্রশ্ন উঠে এসেছে, আন্দোলনে বিপুলসংখ্যক নারীর অংশগ্রহণ সত্ত্বেও সরকার, সংস্কার কমিশন, টাস্কফোর্স, এমনকি পাবলিক আলোচনায় নারীদের অংশগ্রহণ কম কেন? এ প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে অস্বস্তিতে পড়ে অনেক ক্ষেত্রে  প্রতিনিধি হিসেবে এক–দুজন নারীকে অন্তর্ভুক্ত করার ঘটনাও ঘটেছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে নারীরা যোগ্য হলেও কাউকে কাউকে বলতে শোনা গেছে, কোনো ক্ষমতা না দিয়ে টোকেন হিসেবে তাঁদের রাখা হয়েছে।নারীরা যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও নীতিনির্ধারণে বা রাজনীতিতে অংশ নিলেও তাঁদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন অনেক ক্ষেত্রেই অবমাননাকর। তবে আশার বিষয়, এসব সত্ত্বেও আমাদের দেশের নারীদের অনেকেই এ ধরনের কটূক্তি উপেক্ষা করে চলেন এবং নিষ্ঠার সঙ্গে নিজেদের কাজে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নারী ক্ষমতায়নের প্রশ্ন এলে এই যে শহুরে নাগরিক সংস্কৃতিতে নারীর আধিক্যকে নারী ক্ষমতায়ন হিসেবে উদ্‌যাপন করা হয়, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক পরিপ্রেক্ষিতে এই আধিক্যকে কি...
    নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও এলাকায় বোরো ক্ষেতে হানা দিয়েছে বন্যহাতির পাল। গত শুক্রবার রাতে ৩০-৪০টি হাতি নাকুগাঁও এলাকার ফিলামিনা চিসিমের জমিতে তাণ্ডব চালায়। তাঁর সোয়া দুই একর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এলাকাবাসীর প্রতিরোধে পাহাড়ে ফিরে গেছে হাতির পাল। হাতির পালটি নাকুগাঁওয়ের বানেরটিলায় সীমান্তবর্তী ১১১৫ নম্বর পিলারের কাছে অবস্থান করায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন স্থানীয় কৃষক। গ্রামবাসী হাতি তাড়াতে বন বিভাগ ও সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। কিষানি ফিলামিনা চিসিম বলেন, ‘ঋণ কইরা ৪৫ কাডা (কাঠা) জমিতে বোরো ধান লাগাইছি। রাইতে (রাতে) হঠাৎ কইরা হাতির পাল ক্ষেতে নাইম্মা আমার জমির ধান খাইয়া আর পাও (পা) দিয়া ফসল মাডির (মাটির) লগে মিশাইয়া ফালাইছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের ডাক-চিৎকারে গ্রামবাসী হই-হুল্লোড় কইরা ক্ষেত থাইকা হাতি সরাইছে। বাকি ফসল রক্ষায় রাইত জাইগা পাহারা দিতাছি।’ স্থানীয় কয়েকজন কৃষক...
    উত্তরাঞ্চলে এক সময়ের দুই খরস্রোতা নদী সূতিখালী ও করতোয়া। নিয়মিত পণ্য নিয়ে বিভিন্ন ধরনের নৌযান চলাচল করত। মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন হাজারো মানুষ। নদীর পানি সেচের পাশাপাশি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হতো। কিন্তু দখল-দূষণে সংকুচিত হয়ে নাব্য হারিয়েছে নদী দুটি। আগের মতো মাছ মেলে না। পৌরসভার নালার সংযোগ দেওয়ায় পানি কালচে হয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, আবর্জনায় হচ্ছে ভরাট। পানি না থাকায় নদীর বুকে হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ফসলের আবাদ। খনন করে নদী দুটিতে নাব্য ফেরানোর দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। এরই মধ্যে একটি নদী খননের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। একসময় বাজারে সূতিখালী নদীর মাছের ব্যাপক চাহিদা ছিল। দখল-দূষণে নদী সংকুচিত হয়ে শুকিয়ে যাওয়ায় মাছশূন্য হয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে কারেন্ট জালে অবাধে মা মাছ ও পোনা শিকার করায় বংশবিস্তারও ব্যাহত হচ্ছে। বেড়া উপজেলার নাজিম বাজারে...
    চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের লোহাগাড়া চুনতি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে রয়েছে তিনটি ইটভাটা। এবিসি, এসবিএম ও এলবিএম নামের এসব ইটভাটা ফসলি জমি ও বনের জায়গায় গড়ে উঠেছে। চকরিয়া উপজেলাধীন তিনটি ইটভাটার মধ্যে তিন বছর ধরে বন্ধ এলবিএম, এক বছর ধরে উৎপাদন নেই এবিসিতেও। কিন্তু পাহাড়ের মাটি ও বনের কাঠ পুড়িয়ে ‘সগৌরবে সচল’ অবৈধ এসবিএম ইটভাটা। প্রায় এক মাস আগে বন্ধ ইটভাটা দুটো গুঁড়িয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। অথচ অভিযান চালানো হয়নি অনুমোদনহীন সচল ইটভাটা এসবিএমে। বনবিট ও রেঞ্জ কার্যালয়ের নাকের ডগায় আইন অমান্য করে ইটভাটাটি চলছে। প্রতিদিন এই ইটভাটায় পুড়ছে পাহাড় কাটা মাটি ও বনের গাছ।  জানা যায়, ১১ ফেব্রুয়ারি বন্ধ ইটভাটা এবিসি ও এলবিএমে অভিযান পরিচালনা করেন চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. এরফান উদ্দিন। অভিযানে খননযন্ত্র দিয়ে ইটভাটার অফিসকক্ষ ও ভাটার চিমনি...
    ফেনীতে আগস্টের ভয়াবহ বন্যায় অধিকাংশ আমন ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায়। ফসল নষ্ট হওয়ার পর জমি খালি পড়েছিল। এ সময় অন্য কোনো ফসল চাষাবাদ করার মতো সময়ও ছিল না। কৃষি বিভাগ চাষিদের পতিত জমিতে সরিষা চাষ করতে বলে। তারা সার ও বীজ দেয়। অনাবাদি সেই জমিতে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। সরিষা চাষে আমনের ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছেন ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের তেরবাড়িয়া গ্রামের কৃষক জাফর আহমদ। তিনি বলেন, ‘বন্যার পর চাষিরা ছিলেন দিশাহারা। কারণ আমন ফসলের ক্ষেত সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সরিষা চাষে আমনের ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে নিতে পেরেছি আমরা।’ লেমুয়া ইউনিয়নের তেরবাড়িয়া গ্রামের ফজলুল হক জানান, তিনি ৪২ শতক জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। ভালো ফলনের আশা করছেন তিনি। পরিবারের জন্য ভোজ্যতেল, জ্বালানি এবং গবাদি...
    লোহাগাড়া উপজেলার টংকাবতী ও ডলুখালের চরে আগে চাষ হতো সবজির। টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, বাদাম, শিমসহ নানারকম শাক-সবজির চাষ করতেন কৃষকরা। গেল বছরও হয়েছে সবজির চাষ। এ বছর দেখা গেল ভিন্নচিত্র। সবজির চাষ ছেড়ে তামাক চাষ করেছেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিস তামাক চাষের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেনি। তবে স্থানীয় লোকজন ও চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় উপজেলায় ১৭ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে; যা গত বছরের দ্বিগুণ।  জানা যায়, বহুজাতিক তামাক কোম্পানির প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে ফসল চাষ ছেড়ে তামাক চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। বিশেষ করে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি লিমিটেড, জাপান টোব্যাকো কোম্পানি লিমিটেড, আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানি লিমিটেড নিজস্ব প্রতিনিধির মাধ্যমে স্থানীয় কৃষকদের তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ করছে। চরম্বার লক্ষ্মণেরখীল এলাকার তামাক চাষি তপন বড়ুয়া জানান, ফসল আবাদে...
    বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘যাঁরা উপদেষ্টা আছেন, তাঁরা নানা আন্দোলনের ফসল। নারী একটা কঠিন সময় পার করছে, কিন্তু আন্দোলনের ফসল সেই নারীদের মুখ থেকে কোনো কথা শুনতে না পাওয়া আমাদের ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত করেছে। তাঁদের প্রতি ধিক্কার জানাচ্ছি, তাঁরা কেন এই পরিস্থিতিতে নারীসমাজের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন না। আহ্বান জানাই, এখনো সময় আছে নারীসমাজের পাশে দাঁড়ান।’ রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ শনিবার সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে নারীর প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্যের প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে মহিলা পরিষদের সভাপতি এ কথা বলেন।সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ফওজিয়া মোসলেম আরও বলেন, ‘সমসুযোগ তৈরি করে নিতে হবে। এই দুঃসময়কে ভয় পাওয়া যাবে না। এই দুঃসময় ভেদ করে আলো ছিনিয়ে আনতে হবে। বাঙালি কোনো ধর্ষণ, খুন কিংবা নিপীড়নের কাছে মাথানত করবে না।...
    চার সন্তান নিয়ে মুসলেমা বেগমের অভাবের সংসার। রাজমিস্ত্রি শ্রমিক স্বামীর একার আয়ে তিন বেলা সন্তানদের খাবার জোগান দেওয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়েছিল। সেই অবস্থায় কৃষি বিভাগের পরামর্শে কেঁচো সার তৈরির কাজ শুরুর করেন মুসলেমা। এখন স্বামীর আয়ের পাশাপাশি বাড়ির আঙিনায় কেঁচো সার উৎপাদন করে তাঁদের সংসারের অভাব দূর হয়েছে।মুসলেমা বেগম ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের চরপুম্বাইল গ্রামের মো. খোকন মিয়ার স্ত্রী। তিন ছেলে ও এক মেয়ে আছে এই দম্পতির। বড় ছেলে মো. আপন নবম শ্রেণি, মেয়ে ফারাহ জান্নাত পঞ্চম শ্রেণি ও আরাফাত হোসেন দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ছোট ছেলে আশরাফুল ইসলামের বয়স চার বছর। খোকন মিয়ার ২০ শতক জমির ভিটে ছাড়া কোনো ফসলি জমি নেই। অন্যের জমি বর্গা চাষের পাশাপাশি রাজমিস্ত্রি শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন তিনি।মুসলেমার সংসারের অভাবের খবর জানতে পেরে...
    পাহাড়ের নারীরা আজ সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে চলেছেন। তারা যেমন কর্মঠ তেমনি বিভিন্ন পেশা ও কর্মেও যুক্ত। ফসলের জমিতে কাজ করার পাশাপাশি আফিস ও আদালতেও তাদের সরব পদচারণা রয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, হস্ত ও কুটির শিল্পে অবদান রেখে তারা পরিবারের অর্থনৈতিক চাকা সচল রেখেছেন। মল্লিকা চাকমা থাকেন রাঙামাটির সদর উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নের নাড়াইছড়ি গ্রামে। এই গ্রামে নেই গাড়ি চলাচলের কোনো ব্যবস্থা। রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি মূল সড়ক থেকে উঁচু-নিচু পাহাড়ি পথে ঘণ্টাখানেকের পায়ে হাঁটা দূরত্বে তার গ্রাম।  এই গ্রামে জমিতে মল্লিকা চাষ করেছেন বিলাতি ধনেপাতা। এই ধনেপাতা বিক্রি করে সংসারে আর্থিকভাবে কিছুটা ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেন তিনি। হাটের আগের দিন ধনেপাতা তুরংয়ে (বাঁশের ঝুঁড়ি) ভরে রাখেন। হাটের দিন ভোরে পাহাড়ি উঁচু-নিচু পথ পাড়ি দিতে হয় মল্লিকাকে। ধনেপাতা ভর্তি একেকটা তুরংয়ের ওজন ১৫-২০ কেজি পর্যন্ত...
    রাজনৈতিক নেতা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং তাদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা চক্রের হাত ধরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় তাণ্ডব চালাচ্ছে মাটিখেকোরা। এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। এদিকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি বিক্রি করায় ফসলহানির শঙ্কা বাড়ছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগের সংশ্লিষ্টরা। শীতের শুরু থেকে বিভিন্ন হাওর, সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি থেকে শুরু হয়েছে মাটি লুটের উৎসব। এর মাঝে সবচেয়ে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কেটে নেওয়ার প্রবণতা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এক্সক্যাভেটরের মাধ্যমে এসব জমি থেকে কেটে নেওয়া মাটি ইটভাটা ও বসতভিটার জমি ভরাটের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে কৃষিজমি নষ্টসহ জমির ফসল উৎপাদনের উপযোগিতা হারিয়ে যাচ্ছে। এদিকে আর্থিকভাবে সামান্য লাভের আশায় মাটিখেকো চক্রের প্রলোভনে পড়ে ফসলি জমির মাটি বিক্রি করছেন অনেক কৃষক নিজেই। এতে ফসল উৎপাদন ব্যাপকহারে...
    বোরো ধান আবাদের জন্য ট্রাক্টর দিয়ে জমি প্রস্তুত করছেন কৃষকেরা। পোকামাকড় খেতে এসব জমিতে জড়ো হচ্ছে ঝাঁকে ঝাঁকে সাদা বক। ফসলের মাঠে বকের ওড়াউড়ি দেখতে ভালো লাগে। শুধু তা-ই নয়, পোকামাকড় ও কীটপতঙ্গ খেয়ে ফসলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে কৃষকের উপকার করে থাকে ‘কৃষকবন্ধু’ বক।মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এখন এমন দৃশ্যের দেখা মেলে। শর্ষে ঘরে তোলার পর বোরো ধান আবাদের জন্য জমি প্রস্তুত করছেন কৃষকেরা। এসব জমি ঘিরে আনাগোনা বেড়েছে অসংখ্য সাদা বকের। ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষের সময় জমিতে থাকা কীটপতঙ্গ বের হয়ে আসে। এসব কীটপতঙ্গ খেতেই জড়ো হয় ঝাঁকে ঝাঁকে সাদা বক।স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, জমি চাষের সময় প্রতিদিন সকাল হলেই কোথা থেকে যেন ছুটে আসে এসব বক। একসঙ্গে ফসলের মাঠে এত বকের উপস্থিতি বছরের অন্য সময় দেখা যায় না।...
    ফাগুনের দুপুর। সূর্য মাথার ওপরে হালকা তেতে আছে। ঝলমলে আলোয় সীমান্তঘেঁষা গারো পাহাড়ের সবুজ বনভূমি আরও মোহনীয় উঠেছে। পাহাড়ের কোলে একটি ধানখেতে বাঁশ ও ডালপালার বেড়া দিচ্ছিলেন দিনা মারাক (৬৫) নামের এক নারী। তিনি জানান, এ বেড়া বন্য হাতির কবল থেকে শুধু ফসল বাঁচানোর জন্য নয়, এটি তাঁর মেয়ে মেরীর ভবিষ্যৎ রক্ষার চেষ্টা।দিনা মারাক শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী পূর্ব সমশ্চুড়া গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর স্বামী আলবিনুস সাংমা পেশায় দিনমজুর। তাঁদের সংসারে তিন ছেলে, এক মেয়ে আর আছেন অসুস্থ বাবা। দিনার একমাত্র মেয়ে মেরী মারাক (১৫) চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা দেবে। মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য স্বামী-স্ত্রী দুজনই মাঠে-ঘাটে অতিরিক্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। গতকাল বুধবার কাজের ফাঁকে এক দৃষ্টিতে কিছুটা দূরে তাঁকিয়ে কী একটা ভেবে দিনা বললেন, ‘মেয়েডার লেখাপড়া শেষ কইরা বিয়া...
    কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় গোমতী নদীর ভান্তির চরে চোখে পড়ে শুধু সবুজ আর সবুজ। এই সবুজের মধ্যে হাসছে মিষ্টিকুমড়া। হাত দিয়ে পাতা সরাতেই পাতার ফাঁকে লুকিয়ে থাকা মিষ্টিকুমড়া বেরিয়ে আসছে। পুরো চরের প্রায় সব কৃষিজমিতেই এ অবস্থা। এ বছর মিষ্টিকুমড়ার ভালো ফলনে খুশি কৃষক।বুধবার সরেজমিনে ভান্তির চরের পাশাপাশি বালীখাড়া, কাহেতরা ও পূর্ব হুরা চরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসব মিষ্টিকুমড়া জমিতে একসঙ্গে দুই ফসলের একটি। গত নভেম্বরের শুরুতে এসব জমিতে একসঙ্গে আলু ও মিষ্টিকুমড়ার চারা রোপণ করা হয়। এরই মধ্যে ডিসেম্বরের শেষ দিকে এবং জানুয়ারির শুরুতে আলু তুলে নিয়েছেন কৃষকেরা। এখন প্রতিটি জমিতে শুধুই মিষ্টিকুমড়া। এ বছর মিষ্টিকুমড়ার ভালো ফলনের কারণে হাসির ঝিলিক লেগেছে কৃষকের মুখে।জেলা কৃষি বিভাগ ও চরের কৃষকদের ভাষ্য, গত বছরের আগস্টে হওয়া ভয়াবহ বন্যায় গোমতী...
    নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের তিন ফসলি জমির মাটি জোর করে কেটে ইটভাটায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে। এতে জমিগুলো ডোবায় পরিণত হচ্ছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের পেরাব গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে রিপন মিয়া এ চক্রের মূল হোতা। তারা কান্দাপাড়া এলাকায় ফসলি জমির ৩০-৩৫ ফুট গভীর করে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এতে এসব জমিতে ফসল উৎপাদন করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি জমির শ্রেণি পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। অবৈধ মাটি কাটায় স্থানীয় পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত রয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন। মাটি কাটা বন্ধে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি বলে জানান স্থানীয়রা।  এলাকাবাসীর অভিযোগ, জামপুর ইউনিয়নের পেরাব, আমবাগ, কাহেনা, শিংলাবো, কান্দাপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় তিন ফসলি জমির মাটি কাটা হচ্ছে। রিপন মিয়ার...
    চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহ। যেদিকে চোখ যায়, সয়াবিনখেত। মৃদু হাওয়ায় দোল খাচ্ছে এর সবুজ পাতা। কৃষকেরা ব্যস্ত রয়েছেন খেত পরিচর্যায়। সম্প্রতি এই দৃশ্য দেখা গেল লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চর বংশী ইউনিয়নের চর কাছিয়া গ্রামে। ইউনিয়নটির প্রায় ৭০ শতাংশ কৃষক করেছেন সয়াবিনের আবাদ।কেবল এ ইউনিয়ন নয়, লক্ষ্মীপুর জেলার অনেক এলাকায় প্রায় দুই যুগ ধরে করা হচ্ছে সয়াবিনের চাষ। কৃষি কর্মকর্তারা জানান, দেশে মোট উৎপাদিত সয়াবিনের ৮০ শতাংশই মিলছে লক্ষ্মীপুর থেকে। আগে আমন মৌসুম শেষে অনাবাদি পড়ে থাকত ফসলি জমি। এসব জমিতেই সয়াবিনের আবাদ করা হচ্ছে। কৃষকেরা জানান, আগামী মে মাসের দিকে ফলন পাওয়া যাবে।লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবার ৪২ হাজার হেক্টর জমিতে সয়াবিন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে এর চেয়ে আরও ১ হাজার ৬৬০...
    সামান্য নগদ টাকা পাওয়ার আশায় সিন্ডিকেটের কাছে ফসলি জমির মাটি বিক্রি করছেন কৃষকরা। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় চলছে একই কাণ্ড। এ সুযোগে অবৈধভাবে কৃষিজমির মাটি কেটে বিক্রির মহোৎসব চলছে গোটা এলাকাজুড়ে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এক্সক্যাভেটর মেশিন দিয়ে জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। এসব মাটি যাচ্ছে স্থানীয় বিভিন্ন ইটভাটায়। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে জমি ভরাটের কাজেও ব্যবহারের জন্যে এসব মাটি বিক্রি করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। এখানকার অধিকাংশ কৃষিজমিই তিন ফসলি। এখানে বিভিন্ন ধরনের সবজিসহ ধান আবাদ করা হয়। তবে প্রতিবছর এ উপজেলা থেকে বিপুল পরিমাণ মাটি কাটা হচ্ছে। এ কারণে দিন দিন আবাদি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। কৃষকের কাছ থেকে কম টাকায় মাটি কিনে তা ইটভাটাসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করছেন সিন্ডিকেটের সদস্যরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলায় কয়েকটি শক্তিশালী মাটি...
    শরীয়তপুরের পাটনীগাঁও এলাকায় কৃষকের জমি দখলে নিয়ে মাছের ঘের তৈরির অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে। জমি না দেওয়ায় ফসল নষ্টের উদ্দেশ্যে প্রয়োগ করা হয়েছে বিষ। বিষের প্রভাবে জমির ধান গাছ মরে গেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রশাসনের কাছে একাধিকবার জানিয়েও মেলেনি কোনো সুরাহা।  স্থানীয় ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার পাটনীগাঁও এলাকার কৃষকরা ধানসহ নানা রবি ফসল উৎপাদন করে আসছেন। সম্প্রতি সেই এলাকার ১০ একর ফসলি জমি স্থানীয় প্রভাবশালী ও সদর উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রোকন সরদার ও তার লোকজন দলীয় প্রভাব খাটিয়ে দখলে নিয়ে তৈরি করছে ঘের।  সম্প্রতি সেই জমির চারপাশ এক্সাভেটরের সাহায্যে খনন করা শুরু হলে কৃষকরা তাদের জমিতে ঘের করার বাধা দিয়ে প্রতিবাদ জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাতের আঁধারে অন্তত ১০ জন কৃষকের...
    হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জে গত বন্যায় ভেঙে যাওয়া কৈয়ারঢালা স্লুইসগেটের সংযোগ সড়ক ৮ মাসেও মেরামত হয়নি। ফলে বিঘার পর বিঘা জমির বোরো ধান নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।  কৃষকদের দাবি, স্লুইসগেটের ভাঙা অংশটি দ্রুত মেরামত করা না হলে, চৈত্রের মাঝামাঝি সময়ে কুশিয়ারা নদীতে পানি আসলে ডুবে যেতে পারে তিন উপজেলার বোরো ধান। উপজেলাগুলো হলো- আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং ও নবীগঞ্জ। গত বছরের ৪ জুন আজমিরীগঞ্জ-বদলপুর সড়কের কুশিয়ারা তীরবর্তী কৈয়ারঢালা স্লুইসগেটের দুই পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে যায়। সময়ের সাথে সাথে ভাঙনটি আরও বড় আকার ধারণ করে। দীর্ঘ আট মাসেও এটি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এদিকে, হাওড়জুড়ে শেষ হয়েছে বোরো আবাদ। আর মাস দেড়েক পরই ফসল ঘরে তোলার সময়। কিন্তু কৈয়ার ঢালা স্লুইসগেটের সংযোগ সড়কের বাঁধটি এখনও মেরামত না করায় তিন...
    নীতিমালায় বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী কখনোই হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ হয় না। এর দায় যেমন কোনো দিন নিজেদের কাঁধে নেন না সংশ্লিষ্টরা, তেমনি তাদের জবাবদিহির আওতায় আনার মতোও কেউ নেই। এভাবেই কৃষকের ভাগ্য নিয়ে প্রতি বছরই চলে টানাহেঁচড়া। এবারও নির্ধারিত সময়ে শেষ করা যায়নি বাঁধের কাজ। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিগুলোর (পিআইসি) দাবি, ৯২ থেকে ৯৪ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এবারও বাঁধের কাজ নিয়ে অভিযোগ আর আপত্তি রয়েছে স্থানীয়দের। সরেজমিন সুনামগঞ্জের ছাতক, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার হাওর অধ্যুষিত এলাকা ঘুরে এমন তথ্যই জানিয়েছেন সমকাল প্রতিবেদক শাহ মো. আখতারুজ্জামান এবং এনামুল হক। ছাতকের বিভিন্ন ইউনিয়নে মোট ২৮টি পিআইসির মধ্যে অন্তত ১৫টি বাঁধের কাজ টেকসই হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন হাওরপারের কৃষকরা। পিআইসির দায়িত্বশীলরা এমন অভিযোগ অস্বীকার করে...
    মানবসভ্যতার ইতিহাসে আদি যুগ থেকেই পেঁয়াজের ব্যবহার শুরু হয়েছে। পৃথিবীর প্রায় সব জায়গায় রান্নায় পেঁয়াজ ব্যবহার করা হয়। পেঁয়াজ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, রান্নায় যার বিকল্প নেই। খাবার তৈরিতে পেঁয়াজের জুড়ি নেই। পেঁয়াজ সাধারণত সরাসরি খাওয়া হয় না, বরং কুচি বা ফালি করে কাঁচা অবস্থায় সালাদ তৈরি অথবা রান্নায় উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পেঁয়াজ বিভিন্ন রকমের হতে পারে– ঝাঁঝালো, মিষ্টি, তিতা। বিশ্বে পেঁয়াজ উৎপাদনে প্রধান দেশ হচ্ছে চীন ও ভারত। তবে আমাদের দেশেও প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। পেঁয়াজ চাষের ক্ষেত্রে নিম্নে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করা উত্তম। উর্বর বেলে-দোআঁশ মাটি পেঁয়াজ চাষের জন্য অতি উত্তম হয়। গ্রীষ্মে পেঁয়াজ চাষের জন্য উঁচু জমি দরকার, যেখানে বৃষ্টির পানি জমে থাকে না। জমিতে সেচ ও পানির ব্যবস্থা থাকতে হবে।...
    মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের রাজৈর গ্রামের শশা চাষী আলামিন প্রধান। সারা বছর নিজের উৎপাদিত ফসল  আড়তে নিয়ে বিক্রি করেন তিনি। রাজৈর খেয়াঘাটে সেতুর অভাবে তাকে ফসল নিয়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার ঘুরে আড়তে যেতে হয়। এ কারণে ফসলের ফলন ভালো হলেও পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় লাভের পরিমাণ কম পাচ্ছেন তিনি। নদীর ওপর একটি সেতুর অভাবে আলামিনের মতো শতাধিক কৃষক বছরের পর বছর এভাবে লোকসান গুনছেন।  গোপালপুর এলাকায় ধলেশ্বরী নদীরপাড়ে রাজৈর খেয়াঘাটে আক্ষেপের সুরে কৃষক আলামিন প্রধান বলেন, “ডিপ্লোমা শেষ করে বেকার না থেকে কৃষি কাজে যুক্ত হয়েছি। বাপ-দাদারা সবাই কৃষি কাজের সঙ্গে ছিলেন, এখনো আছেন। আধুনিক পদ্ধতি অনুসরণ করে চাষাবাদ করে ফসলের ভালোই ফলন পাচ্ছি। নদীতে সেতু না থাকায় ঘিওর হয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের প্রায় ২০ কিলোমিটার ঘুরে...
    কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে ব্রহ্মপুত্রে অবৈধ ড্রেজার ও ভেকু দিয়ে অবাধে চলছে বালু উত্তোলন। এতে ভাঙনের ঝুঁকিতে নদী তীরের ঘরবাড়ি, কৃষিজমিসহ নানা স্থাপনা। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সরেজমিন দেখা গেছে, কোদালকাটি ইউনিয়নের পাখিউড়া এলাকার ব্রহ্মপুত্র শাখা নদ থেকে ড্রেজার ও ভেকু বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র। এ কারণে হুমকিতে রয়েছে নদীর তীরবর্তী ঘরবাড়ি-ফসলি জমি ও বিভিন্ন স্থাপনা। এসব বালু ট্রাক্টর (কাঁকড়া গাড়ি) দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। এতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট। স্থানীয়দের অভিযোগ, বালু উত্তোলন করা ব্যক্তিরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না কেউ। নদী তীরের বাসিন্দারা জানান, যেভাবে ড্রেজার ও ভেকু দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছেন বালু খেকোরা; এতে বন্যার সময় নদী ভাঙনের মুখে...
    রূপগঞ্জের ভোলাভো ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড গুতুলিয়া এলাকায় পূর্বায়ন সিটি নামের এক আবাসন প্রকল্পের নিয়োজিত লোকজন স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে জমি না কিনেই জোরপূর্বক জমিতে বালু ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে। বালু ভরাটে বাঁধা দেওয়ায় কৃষকদের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছে ওই আবাসন কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে শনিবার (০১ মার্চ) দুপুরে রূপগঞ্জ উপজেলার মঠের ঘাট এলাকায় অবস্থিত রূপগঞ্জ প্রেসক্লাব কার্যালয়ে ভুক্তভোগী কৃষকরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।  সংবাদ সম্মেলনে কৃষক কামরুল হাসান ওরফে রিপন মাস্টারসহ আরো অনেকে অভিযোগ করে বলেন, গুতুলিয়া এলাকার সাবেক মেম্বার জুয়েল, জাকারিয়া ও পলাশসহ কয়েকজন মিলে পূর্বায়ন সিটি নামের এক আবাসন প্রকল্পের নামে কৃষকদের কাছ থেকে জমি ক্রয় না করেই জোরপূর্বক ভাবে প্রভাব খাটিয়ে জমিতে রাতের আধারে বালুভরাট শুরু করে। শুধু তাই নয়, বালুর পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষি...
    নেত্রকোনায় হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ সংস্কারকাজে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে শহরের ছোট বাজার এলাকায় শহীদ মিনার–সংলগ্ন সামনের সড়কে হাওর বাঁচাও আন্দোলন জেলা কমিটির ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, হাওরে ফসল রক্ষার বিভিন্ন বাঁধ সংস্কারকাজে গঠিত পিআইসি (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) গঠনে নানা অনিয়ম হয়েছে। সাধারণ কৃষকদের নিয়ে কমিটি গঠন করার কথা থাকলেও ক্ষমতাসীনেরা লাভবান হওয়ার জন্য কৃষকদের নাম ব্যবহার করে পিআইসি গঠন করে যেনতেনভাবে কাজ করছেন। এ ছাড়া অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প তৈরি করে টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে।আয়োজক সংগঠনটির সভাপতি অহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সুমন আহমেদের সঞ্চালনায় ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন নেত্রকোনা সরকারি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক খন্দকার অলি উল্লাহ, জেলা কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরিকুল আলম,...
    বাংলাদেশের চরাঞ্চলের মাটি সাধারণত বেলে বা বেলে-দোঁয়াশ প্রকৃতির, যা পানির ধারণক্ষমতা ও জৈব পদার্থের পরিমাণ কম। পাশাপাশি, সেচের সমস্যা, আকস্মিক বন্যা, খরা ও আধুনিক প্রযুক্তির অভাবে চরাঞ্চলের কৃষি উৎপাদনশীলতা তুলনামূলক কম। তবে এসব প্রতিকূলতা মোকাবিলায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষিতত্ত্ব বিভাগের একদল গবেষক। গবেষকরা নতুন তিন শস্যবিন্যাস পদ্ধতির মাধ্যমে একই জমিতে বছরজুড়ে তিন ধরনের ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে সাফল্য পেয়েছেন। এতে ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষকদের জন্য লাভজনক কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চর গুজিমারী এলাকায় এ গবেষণা পরিচালিত হচ্ছে।  আরো পড়ুন: কাশিয়ানীতে ৫ মাসে ২৩ ট্রান্সফরমার চুরি, সেচ ব্যাহত   ‘টমেটো এখন পাখিদের খাদ্য’ গবেষণাটি ‘ফসলের উৎপাদনের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পরীক্ষণ এবং...
    পৃথিবীর সর্বাধিক বৃষ্টিপাত হয় ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জিতে। বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ থেকে জায়গাটির দূরত্ব মাত্র ৩৫ কিলোমিটার। ফলে সুনামগঞ্জ জেলায়ও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি। এ কারণে প্রবল বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের জন্য ভাটির জেলা সুনামগঞ্জে দেখা দেয় অকাল বন্যা। আর মার্চের দিকে শুরু হওয়া এই বন্যায় হাওরের বোরো ধান ভাসিয়ে নিয়ে যায়। ফলে ধান রক্ষায় প্রতি বছর সুনামগঞ্জ জেলায় হাওরে নির্মাণ করা হয় ফসলরক্ষা বাঁধ।  এ বছরে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বর বাঁধের নির্মাণ ও সংস্কার কাজে শুরু হয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শতভাগ শেষ করার কথা। কিন্তু এই সময়সীমা শেষ হয়ে গেলেও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় বেশিরভাগ বাঁধের কাজ এখনো শেষ হয়নি। ‘হাওর বাঁচাও আন্দোলন’ এর নেতা ও কৃষকদের অভিযোগ, এখনো পর্যন্ত মাত্র ৪৫ শতাংশ কাজ...
    যশোরের অভয়নগর উপজেলার ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের কৃষক নিখিল বৈরাগীর বিলে জমি আছে আড়াই বিঘা। ওই জমির দুই বিঘা পড়েছে বিল বোকড়ে। ১০ কাঠা জমি পড়েছে বিল কেদারিয়ায়। ১০ বছর ধরে বিল দুটি জলাবদ্ধ। এ সময় বিলের তিন ফসলি ওই জমি থেকে তিনি কোনো ফসল পাননি। গত বছর বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় তিনি সেচযন্ত্র দিয়ে পানি সেচে দুই বিঘা জমিতে বোরোর আবাদ করেছিলেন। এবারও সেচে ওই জমিতে বোরো ধান চাষ করতে পারবেন বলে নিখিলের মনে আশা জেগেছিল। কিন্তু শেষ সময়ে এসে জমি থেকে পানি না নামায় এবার ধানের একটি চারাও লাগাতে পারেননি তিনি। নিখিল বৈরাগী বলেন, ‘জমিতে এখনো বুকসমান পানি। জমিতে বোরো চাষ করতে পারলাম না।’ যশোরের ভবদহ অঞ্চলের বেশির ভাগ বিলে কোথাও কোমরসমান আবার কোথাও বুকসমান পানি। নিখিল বৈরাগীর মতো ভবদহ অঞ্চলের বেশির...
     ফসলের ভরপুর ফলনে আনন্দ আবেশের বদলে কখনও কখনও চাষির মন পোড়ে। এই যেমন এবারও দাম না পাওয়া সবজিচাষির চোখে জল দেখেছে দেশ। বাড়তি সবজি সংরক্ষণের সুযোগ না থাকায় প্রতিবছরই ভরা মৌসুমে কৃষক-হৃদয়ে কষ্ট জমে। দীর্ঘমেয়াদি সবজি সংরক্ষণে সরকারিভাবেও কোনো ব্যবস্থা গড়ে না ওঠায় চাষির আর পথ খোলা থাকে না। উপায় না দেখে পানির দরে সবজি বেচে মাঠ খালি করে কৃষককুল। চাষির বেদনার আকাশের মেঘ কাটতে যাচ্ছে অবশেষে। কৃষকের মুখে হাসি ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। চাষির ঘামে ভেজা খাটুনির সবজি শীতল থাকবে ফারমার্স মিনি কোল্ডস্টোরেজে। ‘কৃষকের শীতল ঘর’ নামে এই হিমাগার দেবে নতুন পথের দিশা। মানিকগঞ্জের সিংগাইরের রাজেন্দ্রপুর গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা এস এম শহীদুল কবির লিপুর ২৫ বিঘা জমির পুরোটাই সমন্বিত খামার। এ মৌসুমে নানা পদের সবজি ফলিয়ে মাঠে মার...
    পুকুরে ছাড়া হয়েছে রুই, পাঙাশ, কাতলসহ নানা জাতের মাছ। পাড়ঘেঁষা জমি কেটে করা হয়েছে লম্বা ঢিবি। সেখানে আবাদ করা হয় টমেটো, লাউ, মরিচসহ মৌসুমি সবজি। একটু ওপরে আম, পেঁপে, কলা, বরইসহ হরেক রকম ফলের গাছ।  সমন্বিত ফসল আবাদের এ চিত্র দেখা গেছে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার হরিহর ও নারিশ্চা বাজারে। এ গ্রামগুলো ছাড়াও কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহায়তায় ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় কৃষি অফিসের সহায়তায় গড়ে উঠেছে শতাধিক প্রজেক্ট। কাজ করছেন ১২৩ কৃষক। ৯ হেক্টেরজুড়ে থাকা ৯৮টি পুকুরে মৎস্য অফিসের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ হচ্ছে। সবজি আবাদ হযেছে ২ হাজার ৮৭৫ হেক্টরে। এসব প্রজেক্টে কাজ করে সংসারে সচ্ছলতা এসেছে শত শত শ্রমিকের পরিবারেও। থেমে নেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে চাষাবাদও।  রাঙ্গুনিয়া চৌমহনী মাছের আড়তের এক মালিক নেজাম উদ্দিন। তিনি জানান,  সমন্বিত...
    মৌসুমে সবজি উৎপাদন করে প্রতি বছরই মূল্য পাচ্ছে না কৃষক। পাশাপাশি সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হচ্ছে। এতে বছরের পর বছর হাড়ভাঙা খাটুনির পরও মলিন থাকছে কৃষকের মুখ। তবে এই দিন বদলের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ফসল রক্ষা ও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে সাভারের রাজালাখ হর্টিকালচার সেন্টারের ‘কৃষকের শীতল ঘর’ নামে হিমাগার তৈরি করা হয়েছে। এতে স্বস্তির নিশ্বাস নিচ্ছেন কৃষক। বুধবার কৃষকের এই মিনি কোল্ডস্টোরেজ কার্যক্রম ও খামারি অ্যাপের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এ সময় তিনি বলেন, কৃষকের মিনি কোল্ডস্টোরেজ ও খামারি অ্যাপ কৃষিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।  কৃষি উপদেষ্টা বলেন, একটা সময় জনসংখ্যার চেয়ে কৃষি জমির পরিমাণ অনেক বেশি ছিল। এখন কৃষি জমি কমেছে, জনসংখ্যা অনেক বেড়েছে। এরপরও কৃষকরা ভালো উৎপাদনের মধ্যদিয়ে আমাদের একটি...
    স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘শিল্পাঞ্চল সাভারে বহুদিন ধরেই গার্মেন্টস সেক্টরের অস্থিরতা নিয়ে আমাদের নানা ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়েছে। এখন কিন্তু পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখানে শিল্প পুলিশ, থানা-পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। কোনো ধরনের ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে, তবে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।’ঢাকার সাভারের রাজালাখ এলাকায় হর্টিকালচার সেন্টারে কৃষকের শীতল ঘর-মিনি কোল্ড স্টোরেজ কার্যক্রম ও ‘খামারি’ অ্যাপসের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ কথা বলেন। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘একটা সময় ছিল যখন জনসংখ্যার চেয়ে কৃষিজমির পরিমাণ বেশি ছিল। কিন্তু এখন কৃষিজমি...
    সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন রবি মৌসুমে চারদিকে নানান ফসলের সৌরভ এবং সৌন্দর্য উপভোগের জন্য মানুষ কৃষি জমিতে ভীড় করে। তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে সরিষা এবং সূর্যমুখী। সূর্যমুখী যেমন সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে পুলকিত করে, ঠিক তেমনি ফুলের বীজ থেকে উৎপাদিত হয় উৎকৃষ্ট মানের তেল। খাবার তেলের চাহিদা মেটাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে এই মৌসুমে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে প্রায় ৩০ বিঘা। চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ৬ টন সূর্যমুখীর বীজ উৎপাদন হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ। সূর্যমুখীর বীজ পশুখাদ্যে ব্যবহৃত হয়, তাছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে সরিষার ঘানিতে সূর্যমুখীর বীজ থেকে তেল উৎপাদন করা যায়। সূর্যমুখীর বীজ চাহিদার তুলনায় বাজারে যোগান অপ্রতুল। আগামীতে সূর্যমুখীর চাষ আরও বাড়বে বলে আশা করছে কৃষক। নবীনগর উপজেলার শিবপুর, লাউরফতেহপুর, শ্রীরামপুর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায়...
    ঘোড়া দিয়ে হালচাষ-কথাটি এতদিন ব্যাঙ্গার্থে ব্যবহার হলেও এখন আর এটি ব্যাঙ্গাত্মক নয়। দিনাজপুরের হিলিতে দেখা মিললো ঘোড়া দিয়ে হালচাষ-এর।  গরুর পরিবর্তে ঘোড়া দিয়ে হালচাষ করছেন জাহের উদ্দিন নামের একজন চাষি। সংসারে অভাব-অনটন দূর করতেই এই কাজ করছেন তিনি। হিলি সীমান্তের মংলা গ্রামের ৬০ বছর বয়সী বাসিন্দা জাহের উদ্দিন। এক সময় অভাবের কারণে বাড়ির একমাত্র উপার্জনের গরুর হালটি বিক্রি করে ফেলেন তিনি। বসে খেলে রাজার ভান্ডারও শেষ হয়ে যায়। কিন্তু যে হালটি তিনি হারিয়ে ফেলেছেন আজ তার দাম প্রায় আড়াই লাখ টাকা। এতো টাকা জোগাড় করার মতো ক্ষমতা নেই এই জাহের উদ্দিনের। পরে নিজস্ব বুদ্ধি খাটিয়ে ১২ হাজার করে ২টি ঘোড়া ২৪ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেন তিনি। ঘোড়াকে হালচাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন। ঘোড়া...
    গাজীপুরের কালীগঞ্জে সূর্যমুখী ফুলের একটি বাগান দেখতে দর্শনার্থীদের গুনতে হচ্ছে ৩০ টাকা। শুরুতে প্রবেশ মূল্য ছিল ২০ টাকা। লোক সমাগম বেশি ও বাগানে ক্ষতির মাত্রা বেড়ে গেলে পরে প্রবেশ মূল্য বাড়ানো হয়।  কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের সাওরাইদ গ্রামে একটি সূর্যমুখী ফুলের বাগানে গেলে দেখা যায়, বাগানের পাশেই বড় করে একটি সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে “অনুমতি ছাড়া প্রবেশ নিষেধ, প্রবেশমূল্য ৩০ টাকা’’।  প্রবেশমুখের অপর একটি সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে ‘‘ফুল ছিঁড়লে জরিমানা ২০০ টাকা, গাছ ভাঙলে জরিমানা ২০০ টাকা’’। সূর্যমুখী বাগানে দর্শনার্থী সাওরাইদ গ্রামে সূর্যমুখী অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে প্রচলিত দ্বি-ফসলী শস্য বিন্যাসকে তিন শস্য বিন্যাসে উন্নয়নের লক্ষে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) রাইস ফার্মিং সিস্টেমস বিভাগ একটি প্রকল্প হাতে নেয়। রবি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ওই গ্রামের কৃষক...
    যশোরের মনিরামপুর উপজেলার হরিনা বিলের বাঁধ ভেঙে হাজার বিঘা বোরো ধানের ক্ষেত প্লাবিত হয়েছে। পানি প্রবেশ করায় ভেসে গেছে মাছের ঘেরও।  গত শনিবার ভোর রাত ৪টার দিকে বাঁধটির ২০-২৫ হাত ভেঙে যায়। এলাকাবাসী মাইকিং করে ও নিজেদের উদ্যোগে দিনভর চেষ্টা করে পানি আটকাতে ব্যর্থ হন। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) তারা পানি আটকানোর চেষ্টা করেন।    আরো পড়ুন: দিতিকন্যার ‘মেয়েদের গল্প’ সিনেমায় থাকছেন না বাঁধন গোপালগঞ্জে মধুমতি রক্ষায় বাধা ৫০ অবৈধ স্থাপনা এদিকে, বাঁধ ভেঙে যাওয়ার খবর পেয়ে রবিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্না ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। ভেঙে যাওয়া বাঁধ সংস্কারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সেখানে উপস্থিত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। এলাকাবাসী জানান, শনিবার ভোর ৪টার দিকে হরিনা বিলের মধ্যে থাকা খালের ২০-২৫ হাত বাঁধ ভেঙে যায়। এরপর থেকেই বিলের...
    শুরুতে দেরি হলেও পরে সঠিক গতিতেই চলেছে তাহিরপুর অঞ্চলের ফসল রক্ষা বাঁধের সংস্কার। এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এসব প্রকল্পের ৮১ ভাগ কাজ। এখনও দ্বিতীয় কিস্তি না পেয়ে হতাশ প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) কৃষকরা। সে কষ্টের খানিকটা ধুয়ে গেছে এক পশলা বৃষ্টিতে। বাঁধের নতুন মাটি ও ঘাসে প্রচুর পানি দিতে হয় কাজ শেষে। এতে প্রচুর টাকা এবং শ্রম ব্যয় করতে হয়। তাই এ সময় বোরো চাষিদের মতো প্রকল্প সংশ্লিষ্টরাও বৃষ্টি চান। শনিবার সদর মসজিদে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজের ঘোষণাও দেওয়া হয়। তার আগেই রোববার দুপুরে বৃষ্টি ঝরিয়ে বাঁধের নতুন মাটি আর ঘাসে পানি ছিটাল প্রকৃতি নিজেই। পিআইসির সদস্যরা জানান, অনেক বছর পর কোনো চাপ ছাড়া কাজ হয়েছে। কমিটিগুলোতে স্থানীয় কৃষকদের সংখ্যাই বেশি। তাই বরাদ্দের টাকাতেই অধিকাংশ বাঁধের কাজ হয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তির...
    বাংলাদেশে সচরাচর যেসব বিন্না ঘাস চোখে পড়ে, সেগুলোর শিকড় ছড়িয়ে যায়, সোজা গভীরে যায় না। অনেকটা বাঁশের আড়ার (ঝাড়) মতো। ঢেউ যখন নদীর পাড়ের তলদেশ থেকে মাটি সরায়, তখন বিন্নার শিকড় তা ঠেকাতে পারে না। কল্পনা করুন, যদি বাঁশের শিকড় সোজা গভীরে যেত, তাহলে নদী তো ছাড়, পাহাড়ি ঢলেও কিছু হতো না। ফলে এগুলো নদীভাঙন ঠেকাতে অক্ষম।অথচ শিলিগুড়িতে তিস্তার ভাঙন ও থাইল্যান্ডে পাহাড়ধস ঠেকিয়ে রাখে একধরনের বিন্না ঘাস। শিলিগুড়ি বা থাইল্যান্ডের এই বিন্না ঘাস সোজা মাটির ২০ ফুট পর্যন্ত গভীরে চলে যায়। বছরখানেকের মধ্যেই থোপ বা ঝাড় তৈরি হয়। অর্থাৎ ইরি ধান লাগানোর মতো করে চরের চারদিকে চারা রোপণ করা গেলে এক বছরেই ঘন বেষ্টনী তৈরি হবে।পাহাড়ের পার্শ্বঢাল রক্ষায় বিন্না ঘাসের জুড়ি নেই। তাই প্রকৃতিতে অনেকটা অনাদরে জন্ম নিলেও এই...
    নদীর মুখের স্লুইসগেট ৪২ বছর ধরে অকেজো। পলি পড়ে শুকিয়ে গেছে কয়েক কিলোমিটার নদী। বোরো মৌসুমে ১৩ গ্রামের ৩০ হাজার কৃষক জমিতে সেচ দিতে পারেন না পানির অভাবে। আবার যখন ফসল ঘরে তুলবেন, তখন বর্ষার আগাম পানিতে তলিয়ে যায় ক্ষেতের ফসল। এটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায়। বাল্লা নদীর ৫ কিলোমিটার অংশ শুকিয়ে যাওয়ায় নদীর মুখের স্লুইসগেট ৪২ বছর ধরে অকেজো। বোরো মৌসুমে কৃষক সময়মতো জমিতে পানি ধরে রাখতে কিংবা বৃষ্টির পানি ছাড়তে পারেন না নদীতে। অগ্রহায়ণ মাস এলে কৃষক চেয়ে থাকেন কখন নদীতে জোয়ার আসবে আর বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে কৃষক দোয়া করেন যেন নদীতে জোয়ার না আসে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ, ফরদাবাদ ও রূপসদী ইউনিয়নের ১৩ গ্রামের কৃষকের সেচ সুবিধার কথা চিন্তা করে সরকার ১৯৮২ সালে ৪৪ লাখ টাকা...
    ‘ফসলি জমিতে পাশাপাশি দুটি ইটভাটা গড়ে উঠেছে। আমগাছে মুকুল এলেও ভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে আম থাকে না। বাধ্য হয়ে গাছ কেটে অন্য ফসল আবাদ করছি। সে গাছের গুঁড়িও তারা কিনে ভাটায় পুড়িয়েছেন। অনেক ফসলও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না।’ কথাগুলো চারঘাটের ঝিকরা এলাকার কৃষক আশরাফুল ইসলামের। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী, আবাসিক এলাকা এবং কৃষিজমিসহ পরিবেশের ক্ষতি হয়– এমন এলাকায় ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। এ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় এভাবে অবৈধভাবে পোড়ানো হচ্ছে ইট। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই বছরের পর বছর ধরে এ কার্যক্রম চালাচ্ছেন প্রভাবশালীরা। কৃষিজমির মাটি কেটে এনে তৈরি হচ্ছে ইট। পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। অগ্রিম টাকা দাদন দিয়ে শিশুশ্রম করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর দায়সারা পদক্ষেপ নিচ্ছে...
    দেশের চাহিদার ৮০ ভাগ ভোজ্যতেল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এতে ব্যয় হয় প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। উচ্চ ফলনশীল সরিষা আবাদ করে ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমানোর সম্ভাবনা জাগিয়েছে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)। পরমাণু শক্তির ব্যবহার করে বিনা উদ্ভাবন করেছে উচ্চ ফলনশীল সরিষার নতুন জাত ‘বিনা সরিষা-১১’।  বিনা গোপালগঞ্জ উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিনা সরিষা-১১ জাতটির পডের (ফল দণ্ড) আকার দেশের অন্যান্য সরিষার জাতের তুলনায় অনেক বড়। স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন এ জাতের সরিষা অধিক ফলন দেয়। মাত্র ৮০ দিনে কৃষক ক্ষেত থেকে ফসল সংগ্রহ করতে পারেন। বিনা’র গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণ প্রকল্পের অর্থায়নে ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কাজীপাড়া গ্রামে বিনা সরিষা-১১-এর সঙ্গে বারি সরিষা-১৪ এবং স্থানীয় একটি জাতের সরিষার...
    নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের বানিয়াবাড়ি গ্রামে কৃষি জমির মাটি কাটা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।   শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) বিকালে কাজহরদী এলাকায় কৃষি জমির সামনে মানববন্ধনে এলাকার সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন শেষে ইউএনওর কাছে তিন ফসলি জমি রক্ষায় স্মারকলিপি দেওয়ার কথা বলেন তারা।   মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কোয়েস্ট গ্রুপ ও এলাকার অসাধু দালালরা মিলে তিন ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করে আসছে।   এতে দিন দিন এ অঞ্চলের কৃষি জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি তারা সাদিপুর ইউনিয়নের পঞ্চমীঘাট মৌজার অসংখ্য কৃষি জমির মাটি কেটে বিক্রি করছে পার্শ্ববর্তী ইটভাটায়। বাঁধা দিলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তারা।   এসময় কৃষি জমি রক্ষায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।   এসময় বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ...
    শরীয়তপুরের জাজিরায় বন্যপ্রাণী থেকে ফসল বাঁচানোর জন্য নিজেদের তৈরি বৈদ্যুতিক ফাঁদেই প্রাণ হারিয়েছেন স্বামী-স্ত্রী। শনিবার সকালে উপজেলার বালিয়াকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- ইদ্রিস খাঁ (৬৫) ও তার স্ত্রী শেফালী বেগম (৬০)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইদ্রিস খাঁ সম্প্রতি তার বাড়ির অদূরে একটি জমিতে ভুট্টা চাষ করছিলেন। জমির ফসল বাঁচাতে তিনি তারের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপন করেন, যাতে বন্যপ্রাণী- বিশেষ করে সজারু যেন শস্য নষ্ট করতে না পারে। শনিবার সকালে জমিতে প্রবেশের আগে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করেই ইদ্রিস খাঁ ও তার স্ত্রী সেখানে যান। অসাবধানতাবশত ইদ্রিস খাঁ প্রথমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে পড়ে যান। স্বামীকে রক্ষা করতে গিয়ে শেফালী বেগমও  বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে যান এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যরা তাদের দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে...
    বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান খাদ্য ও অর্থকরী ফসল মিষ্টি আলু। পুষ্টিগুণে ভরপুর মিষ্টি আলু ভাতের বিকল্প হিসেবে শর্করার চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে প্রায় ২৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে এ আলুর চাষ হয়। মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ ও ‘কে’ এবং বিভিন্ন খনিজ পদার্থ আছে। স্থানীয় জাতের মিষ্টি আলু উৎপাদনে ব্যয় বেশি হওয়া এবং বাজারে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় এ ফসল চাষে কৃষকদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে।  তবে, আশার কথা হলো, মিষ্টি আলুর উৎপাদন বাড়িয়ে কৃষকদের লাভবান করতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা উদ্ভাবন করেছেন ‘বাউ মিষ্টি আলু-৫’। এটি স্থানীয় জাতের তুলনায় অধিক ফলনশীল ও লাভজনক। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম আরিফ হাসান খানের নেতৃত্বে...
    বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, “স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ একুশের চেতনারই ফসল।একুশের মর্মবাণী হচ্ছে মাথা নত না করা। অধিকার ও দেশের মালিকানা নিজেদের রাখা।” শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব বলেন। কাদের গনি চৌধুরী বলেন, “বাকস্বাধীনতা, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার হরণসহ দেশের মানুষকে নানাভাবে অধিকারহীন করে গত ১৭ বছর একুশের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে। এখন দরকার জনগণকে দেশের মালিকানা ফেরত দেওয়া। এজন্য সবার আগে জনগণকে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিতে হবে।” আরো পড়ুন: ভাষা: আত্মপরিচয়ের আঁতুড়ঘর দেশজুড়ে শ্রদ্ধায় ভাষা শহীদদের স্মরণ “জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই শুধু সংস্কারের বৈধ অধিকার রাখেন। জনগণের ভোটাধিকার হরণের অর্থ হলো ফ্যাসিজম...
    ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিসিক শিল্পনগরীর অপরিশোধিত তরল বর্জ্য নালা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে কৃষিজমিতে। এতে শত শত বিঘা জমিতে ফসল আবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না। ছয় বছর ধরে অনাবাদি পড়ে আছে জমিগুলো। বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।  বিসিক শিল্পনগরীর এজিএম রুকন উদ্দিন ভূইয়ার দাবি, আশুগঞ্জ নদীবন্দর-সরাইল-ধরখার-আখাউড়া স্থলবন্দর সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের কারণে এ অবস্থা। প্রকল্পের কাজের বালুতে কারখানার নালা ভরাট হয়ে পানি উপচে পড়ে কৃষিজমিতে পড়ছে। এ বিষয়ে ওই কাজের পিডির সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি সড়কের পশ্চিম পাশ দিয়ে নালা তৈরি করে দেবেন বলেছিলেন। কাজটি হলেই এ সমস্যা আর থাকবে না। এ সময় কারখানায় ইটিপি নেই কেন জানতে চাইলে উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান।   প্রকল্প ব্যবস্থাপক শামীম আহমেদের ভাষ্য, সড়কের কাজ শুরুর আগে থেকেই এ সমস্যা। মূলত শিল্পবর্জ্যের কারণেই নালা ভরাট হয়ে গেছে।...
    “প্রথমে সুতা দিয়ে আবু সাঈদের অবয়ব তৈরি করি। পরে সেই গঠন অনুযায়ী, রোপণ করা হয় দুই জাতের ধানের চারা। আমার সাথে ধান রোপণে সহযোগিতা করেন আরও কয়েকজন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ আবু সাইদকে উৎসর্গ করেই ফসলের মাঠে ফুটিয়ে তুলেছি।” এভাবেই নিজের অনুভূতির কথাগুলো বলেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বেকাসাহারা গ্রামের বাসিন্দা কৃষক মো. এনামুল হক (৪১)। তিনি তার ফসলি মাঠে ধানগাছ দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ আবু সাঈদের প্রতিকৃতি। তিনি কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এনামুল বেকাসাহারা গ্রামের মরহুম আবদুল আউয়ালের ছেলে। মা জোহরা বেগম (৬৫) ও দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে তার সংসার। তার শস্যচিত্র দেখতে অনেকেই ভিড় করছেন, প্রশংসাও করছেন কেউ কেউ। এর আগে এনামুল গত বছর একই জমিতে শস্যচিত্রে ‘জাতীয়...
    সুনামগঞ্জে হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার নাগরিকেরা। তাঁরা বলেন, বাঁধের কাজ নিয়ে শুরু থেকেই নানা অভিযোগ আছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন, প্রকল্প নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে অনিয়মের কারণেই কাজে বিলম্ব ও গাফিলতি হয়। তদারকিতেও রয়েছে দুর্বলতা।আজ বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জে নাগরিকদের সামাজিক সংগঠন ‘জনউদ্যোগ’ আয়োজিত হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে পরিকল্পনা, প্রতিবন্ধকতা ও ধীরগতি নিয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন। পৌর শহরের শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এই সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক রমেন্দ্র কুমার দে।সদস্যসচিব সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ পরিমল কান্তি দে, লেখক ও সমাজকর্মী মুনমুন চৌধুরী, হাওর বাঁচাও আন্দোলন সংগঠনের জেলা কমিটির সভাপতি ইয়াকুব বখত, সাধারণ...
    ছবি: প্রথম আলো
    বাঁধ নির্মাণ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন নেত্রকোনা সদর উপজেলার কালিয়ারা গাবরাগাতি ইউনিয়নের কৃষকরা। ফসলি জমির উর্বর মাটি কাটা বন্ধের দাবিও জানিয়েছেন এলাকাবাসী। অভিযোগ রয়েছে, বাঁধ নির্মাণের নামে ঠিকাদারের লোকজন কৃষকদের প্রলুব্ধ করে ফসলি জমির উর্বর মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এতে জমির টপ সয়েল বিনষ্টের পাশাপাশি পরিবেশেরও  বিপর্যয় ঘটছে। মাটির ন্যায্য মূল্যও পাচ্ছেন না সহজ-সরল কৃষক। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নেত্রকোনার সোমেশ্বরী নদী থেকে ধনারখাল-কুমারপুর-নওয়াপাড়া বালস খালের উৎপত্তি। খালটি সিধলী বাজার থেকে সদর উপজেলার কালিয়ারা গাবরাগাতি ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে ৬ কিলোমিটার গিয়ে কংস নদে মিলিত হয়েছে। আশির দশক পর্যন্ত কৃষিতে অসামান্য অবদান ছিল কুমারপুর-নোয়াপাড়া খালের। কিন্তু নব্বই দশকের শুরু থেকে অপরিণামদর্শী লোকজনের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে খালের ওপর। তাদের দখল-দূষণের শিকার হয়ে আড়াআড়ি বাঁধ নির্মাণ ও মাটি ভরাটের  কারণে বিপন্ন হতে থাকে...