নোয়াখালীতে চব্বিশ ঘণ্টায় ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে জেলা শহরে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি বিভিন্ন উপজেলায় ধানের ফসলী জমিতে পানি জমে গেছে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাত থেকে আজ (রবিবার) সকাল পর্যন্ত একটানা ভারি বৃষ্টিপাত হয়। এতে বোরো ধানের ফসলী জমিতে পানি জমে গেছে। যার কারণে পাকা ধান কাটা, মাড়াই দেওয়া ও ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক।
ভারি বর্ষণে জেলা শহর মাইজদীতে বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা সমস্যা। পৌরসভার ড্রেনগুলোর মুখ এবং খালের মুখে ময়লা আবর্জনা জমে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
জাহাঙ্গীর নামে একজন ব্যবসায়ী বলেন, “প্রতি বছরই বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বৃষ্টির মৌসুম শুরুর আগে কতৃপক্ষ যদি শহরের ড্রেন- নালা পরিষ্কার করে তাহলে জলাবদ্ধতা হয়না। কিন্তু আমরা পৌরসভা কর্তৃপক্ষের নিরবতাই লক্ষ্য করছি।”
জিহাদ নামে আরেকজন ব্যবসায়ী বলেন, “এখন থেকেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও দপ্তরগুলো যৌথ উদ্যোগ না নিলে গতবারের মত বন্যার কবলে পড়বে নোয়াখালী জেলা শহর। আমরা ব্যবসায়ীরা আবারো সংকটে পড়ে যাব।”
সিরাজ মিয়া নামে একজন কৃষক বলেন, “ধান কাটা প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। এমন সময় গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ধান তোলা নিয়ে সংশয়ে আছি। জমিতে পানি জমে গেছে। শ্রমিকও পাচ্ছিনা। ফলে লোকসানে পড়তে হবে।”
মনসুর নামে আরেকজন বলেন, “কাটা শেষে ধান স্তুপ করে রেখেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টিতে সমস্যার মধ্যে পড়লাম। এখন কড়া রোদে শুকাতে হবে। যদি আবার বৃষ্টি হয় তাহলে ধান ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে।”
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.
ঢাকা/সুজন/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ত্রের মহড়া, কালোতালিকা, কাদা-ছোড়াছুড়ি, জনসংযোগের নামে বলিউডে যা হয়
প্রচার-প্রচারণার কাজে তারকারা কোথাও গেলে সেখানে ফটোগ্রাফার পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে খুদে বার্তা পাঠানো হয় বিনোদন বিটের সাংবাদিকদের কাছে। এসব বার্তা পাঠানো হয় ‘এ’ গ্রেডের তারকা থেকে শুরু করে উঠতি ইনফ্লুয়েন্সারদের জন্য। খুদে বার্তায় সময়ও উল্লেখ থাকে। শুধু তা-ই নয়, কোনো অভিনয়শিল্পী কিংবা নির্মাতা যখন বিব্রতকর কোনো পরিস্থিতির মুখোমুখি হন, তাঁদের সেই বিষয়গুলো সামনে না আনার জন্যও বার্তা পাঠানো হয়।
কারা এসব কাজ করেন? একজন নিয়োগ পাওয়া পাবলিক রিলেশন অফিসার বা জনসংযোগ কর্মকর্তা। তারকাদের ফুটফরমাশের দিকে খেয়াল রাখার পাশাপাশি তাঁদের মতিগতি বুঝে বিভিন্ন ইচ্ছা পূরণ করে চলাই জনসংযোগ কর্মকর্তার কাজ হয়ে দাঁড়ায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস যেসব সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেছে, তাঁদের সবাই একবাক্যে স্বীকার করেছেন যে বলিউডে জনসংযোগের বিষয়টি গুটিকয় ব্যক্তির হাতে আবদ্ধ। তাঁরা তারকাদের নেতিবাচক দিকগুলোর পরিবর্তে ইতিবাচক বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরার জন্য চাপ সৃষ্টি করে থাকেন। আবার কোনো তারকার সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় কেউ যেন বিতর্ক উসকে দেওয়ার মতো কোনো প্রশ্ন না করেন, সে বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়। যদি কোনো সাংবাদিক এমনটা করে থাকেন, তাহলে তাঁর জন্য বিপজ্জনক সব পরিস্থিতি অপেক্ষা করে।
একজন চলচ্চিত্র সমালোচক জানান, ভারতের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোর একটিতে প্রচারিত একটি সিরিজের সমালোচনা করেছিলেন তিনি। সমালোচনার শেষের কয়েকটি লাইন প্ল্যাটফর্মটির পছন্দ হয়নি। তাই তা পরিবর্তন করতে বলা হয় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে। কিন্তু তিনি তা করেননি। পরিণতি হিসেবে জনসংযোগের কুৎসিত চেহারার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে।
‘জুয়েল থিফ’ সিনেমার প্রচারে তারকারা। এএফপি