Samakal:
2025-03-26@07:55:43 GMT

নদীর তীর ছাড়ছে না বালুখেকোরা

Published: 25th, March 2025 GMT

নদীর তীর ছাড়ছে না বালুখেকোরা

কিছুতেই দমানো যাচ্ছে না বুভুক্ষ বালুখেকোদের। সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়ন সংলগ্ন সুরমা নদীতীরে প্রতি রাতেই চলছে অবৈধ বালু উত্তোলনের মহোৎসব।
সুরমা নদীর ভাঙনের প্রভাবে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বাড়িঘর, মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ফসলি জমি। গ্রামবাসী ভিটে-মাটিহারা হচ্ছে, তবে এসব দেখার যেন কেউ নেই। প্রতিবাদ করলে উল্টো নির্যাতনের শিকার হতে হয় তাদের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুরমা নদীর তীরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের জন্য এলাকার একটি চক্র নদীর পারে পাহারা দেয়। অন্যরা ড্রেজার, বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে। বিএনপি-আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মী মিলেমিশেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পদ লুট করছে।
সোনাপুর গ্রামের বাসিন্দা সমর উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি মহল এখানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। এরা গ্রামবাসীর কোনো বাধা মানে না। নূরপুর গ্রামের বাসিন্দা আনর আলী বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদীর পার ভেঙে যাচ্ছে। যারা নদীর পারে বসবাস করেন, তাদের জন্য বালু উত্তোলন একটা আতঙ্কের বিষয়। তাদের ফসলি জমিও এখন হুমকির মুখে।
সম্প্রতি স্থানীয় গ্রামবাসীর একটি লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এরই মধ্যে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ছাতক সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন শোয়েব বিন আহমদের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ২৩ জনকে আটক করা হয়। ওই অভিযানে চারটি স্টিলবডি ও পাঁচটি ড্রেজার মেশিন (লিস্টার ড্রেজার), ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ও ৮৫০ ফুট বালু জব্দ করা হয়।
সোনাপুর এলাকায় বালু উত্তোলন চলছে, এমন গোপন সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনী ওই অভিযান পরিচালনা করে। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়েরের পর সোমবার তাদের সুনামগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়। ছাতক সেনা ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা ক্যাপ্টেন শোয়েব বিন আহমদ জানান, অবৈধ বালু উত্তোলনকালে অভিযান চালিয়ে ২৩ জনকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে সোনাপুর গ্রামের বাসিন্দা সবুজ, জানফর ও আব্দুল শহীদ বালু উত্তোলনকারীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেন এবং বালু উত্তোলন করতে উৎসাহ দেন। তারাই এই চক্রের মূলহোতা।
দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা 
(ওসি) জাহিদুল হক বলেন, সেনাবাহিনী আটক ব্যক্তিদের পুলিশের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। ওই মামলায় আটক ২৩ জনসহ আসামি করা হয়েছে আরও 
১১ জনকে। আটক সবাইকে আদালতে সোপর্দ 
করা করা হয়েছে। 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নেহের নিগার তনু বলেন, যেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়েছেন, সেখানে কোনো ইজারা নেই। ইজারাবিহীন নদী থেকে এভাবে বালু উত্তোলন বা সরকারি সম্পদ লুটের খবর পেলে তারাও অভিযান পরিচালনা করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নদ

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের কোথাও শেখ পরিবারের নামফলক থাকতে পারবে না: অলি আহমদ

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, দেশের কোথাও শেখ পরিবারের নামফলক থাকার সুযোগ নেই, কারণ তারা দেশদ্রোহী। আওয়ামী লীগ রাজনীতি করার অধিকারও হারিয়েছে।

অলি আহমদ আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ও শেখ পরিবার যে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ঘটনা বিরল। তারা গণহত্যাকারী দল। দ্রুত তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে।

আজ সোমবার দুপুরে এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকার সুপরামর্শ গ্রহণ করছে না, এমন অভিযোগ করে অলি আহমদ বলেন, ‘অতীতে আমরা ১২৭টি প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা জানি না, প্রধান উপদেষ্টা এগুলো দেখেছিলেন কি না, না দেখলে দেখার অনুরোধ করব। আমাদের পরামর্শ এলডিপি কিংবা কোনো রাজনৈতিক দলের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য নয়; বরং এটা জনগণের ভালোর জন্য।’

অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে এলডিপির শীর্ষ নেতা বলেন, সরকার গঠনের আট মাস পরে এখনো টাকায় মুজিবের ছবি কেন? মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমানের কোনো অবদান নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

দেশে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করে তাঁদের অনৈতিক সুবিধাগুলো অনতিবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানান অলি আহমদ। তাঁরা জনগণের করের টাকায় অবৈধ সুবিধা কেন নেবেন, এমন প্রশ্ন তুলে তিনি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা জনসমক্ষে প্রকাশ করার দাবি জানান।

আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার ‘পালিত খুনি বাহিনীর’ কারণে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে উল্লেখ করে অলি আহমদ বলেন, ‘অভিযুক্ত ডিসি ওসিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাঁদের শাস্তি হচ্ছে না কেন?’ তিনি মনে করেন, গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিতে হবে।

দেশের ইতিহাসে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থান পৃথক অস্তিত্ব বহন করে উল্লেখ করে এলডিপির সভাপতি বলেন, একাত্তর ও চব্বিশ দুটো এক জিনিস এক নয়। অনেকে দুটি প্রেক্ষাপটকে একীভূত করে বিবেচনা করছেন। কিন্তু এটা পাগলামির শামিল। দুই ইতিহাসের কোনোটিকে হেয়প্রতিপন্ন করার সুযোগ নেই।

দেশ গড়তে প্রবীণদের ভূমিকা উল্লেখ করে অলি আহমদ বলেন, নবীনদের মেধা ও যোগ্যতার সঙ্গে প্রবীণদের অভিজ্ঞতাকে মূল্যায়ন করতে হবে। স্বপ্নের দেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই।

সংবাদ সম্মেলনে সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যবহৃত গাড়ির তালিকা তৈরি, বিচার বিভাগের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ, রাস্তার ওপর বসানো হাটবাজার উচ্ছেদ, দুর্নীতি বন্ধে অনলাইনে টেন্ডার আয়োজন, মানুষকে উন্নত সেবা দিতে বিশেষায়িত একাধিক হাসপাতাল স্থাপন এবং দেশের উন্নয়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান অলি আহমদ।

সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেয় এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য নেয়ামূল বশির, আওরঙ্গজেব বেলাল, কে কিউ সাকলায়েন ও অধ্যাপক ওমর ফারুক। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন এলডিপির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মো. মাহবুবুর রহমান ও যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তাজউদ্দীন আহমদের স্বহস্তে লেখা মুক্তিযুদ্ধের অজানা দলিল: আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভার সারসংক্ষেপ
  • ইতিহাসই স্বাধীনতার প্রেরণা
  • 'মঙ্গল শোভাযাত্রা'ই থাকছে, প্রতিপাদ্য ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’
  • নাম মঙ্গল শোভাযাত্রাই থাকছে, প্রতিপাদ্য ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’
  • টাকার বিনিময়েও মিলল না সিট, শিশুর মৃত্যুর খবরে দালালকে পিটুনি
  • দেশের কোথাও শেখ পরিবারের নামফলক থাকতে পারবে না: অলি আহমদ
  • সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০%
  • সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ
  • দাম কমছে ইন্টারনেটের