শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে জেনারেটরের তারে জড়িয়ে একটি বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাত ১১টার দিকে উপজেলার সীমান্তবর্তী লাল নেংগড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জিয়াউর রহমান জিয়া নামের এক কৃষককে আটক করা হয়েছে।

জানা গেছে, ফসল রক্ষায় স্থানীয় কৃষকরা জমির চারপাশে বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে লাইট জ্বালিয়ে রাখেন। এতে আলো দেখে ভয়ে বন্য হাতির দল ধান ক্ষেতে কম প্রবেশ করে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে বন্য হাতির একটি দল স্থানীয় বাসিন্দা জিয়াউর রহমানের বোরো ধান খেতে খাবারের সন্ধানে আসে। একপর্যায়ে বৈদ্যুতিক লাইনের স্পর্শে একটি হাতি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ বিষয়ে মধুটিলা রেঞ্জের রেঞ্জার দেওয়ান আলী বলেন, ‘‘জিয়াউর রহমান জিয়া নামের এক কৃষক ফসল রক্ষায় জমির চারপাশে বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে লাইট জ্বালিয়ে রেখেছিলেন। সেই তারে জড়িয়ে একটি বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে। মৃত হাতিটি একটি মাদী হাতি। ময়নাতদন্ত শেষে হাতিটি মাটিচাপা দেয়া হবে। এছাড়া, এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা হবে।’’

ঢাকা/তারিকুল/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বন য হ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

এসএসসির পরীক্ষা হলে বই ও মোবাইলফোন, ৯ শিক্ষকে অব্যাহতি

বাগেরহাটে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে কক্ষে বই, খাতা ও মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ৯ শিক্ষককে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা চলাকালীন মোরেলগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ১০১, ১১০ ও ২১০ নম্বর কক্ষে টেবিলের উপরে ও নিচে ব্যাগ, বই, খাতা ও মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব মো. শহিদুল ইসলামের সই করা আদেশে ৯ শিক্ষককে ২০২৫ ও ২০২৬ সালের জন্য পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ওই কেন্দ্রটিতে ১১টি বিদ্যালয়ের ৪৭৪ জন ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষা দিচ্ছেন।

অব্যাহতিপ্রাপ্ত ৯ শিক্ষক হলেন- চিপা বারইখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মাসুম বিল্লাহ ও নিমাই চন্দ্র রায়। জিউধরা সেরজন স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহানাজ আক্তার, তাপস কুমার মজুমদার, শহিদুল ইসলাম ও সোহেলী পারভিন। শহীদ শেখ রাসেল মুজিব উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পলি দেবনাথ, নাসির উদ্দিন খান ও অম্বিকাচরণ লাহা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. শফরুল ইসলাম।

এ বিষয়ে কেন্দ্র সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, পাবলিক পরীক্ষা চলাকালীন সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৩টি কক্ষে বই ও মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। ওই কক্ষগুলোতে দায়িত্বে থাকা ৯ শিক্ষককে ২ বছরের জন্য পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।  


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ