এক প্রকৌশলীকে কৃষি উপদেষ্টা, ‘পয়সা খাইবেন, পকেটে ঢুকাইবেন খালি, কাম করবেন না’
Published: 10th, April 2025 GMT
‘ও আপনে খোঁজ রাখেন নাই।....কয় দিন লাগবে? শুনেন, নাইলে আপনেরেই কিন্তু রিপিয়ার কইরা দিমু। বুঝতে পারছেন। আপনেরেই কিন্তু রিপিয়ার কইরা দিমু। পয়সা খাইবেন, পকেটে ঢুকাইবেন খালি, কাম করবেন না।’
একটি রাবার ড্যামের কাজ শেষ করা প্রসঙ্গে ফসলের মাঠ থেকে মুঠোফোনে একজন প্রকৌশলীকে এ কথাগুলো বলেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সুনামগঞ্জে হাওরে বোরো ধান কাটার উদ্বোধন করতে এসেছিলেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা। জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সদর উপজেলার দেখার হাওরের গোবিন্দপুর এলাকায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
উপদেষ্টা প্রতীকী ধান কেটে কর্মসূচির উদ্বোধনের পর কৃষকদের সঙ্গে হাওরের ফসল, ধানের দাম, হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় কয়েকজন কৃষক জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ভাদেরটেক এলাকার গজারিয়া রাবার ড্যামের সমস্যার কথা জানান। এটি এখনো সংস্কার না হওয়ায় তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তখন উপদেষ্টা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলীর খোঁজ করেন। কিন্তু নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন তখন সেখানে ছিলেন না। পরে উপদেষ্টা তাঁকে ফোন করে ওই রাবার ড্যামের বিষয়ে জানতে চান। সে সময় উপদেষ্টাকে এ কথাগুলো বলতে শোনা যায়। এ সময় উপদেষ্টা প্রকৌশলীকে রাবার ড্যামটির কাজ সাত দিনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন।
প্রকৌশলী কেন এখানে আসেননি, সেটিও জানতে চান উপদেষ্টা। একপর্যায়ে তাঁকে সেখানে আসতে বলেন। এর কিছুক্ষণ পরই ওই ফোনালাপের একটি ফুটেজ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
উপদেষ্টা টেলিফোনে প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁর পাশে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা উন নবীসহ প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলার সময় উপদেষ্টা বলেন, যদি ধান কেনায় কোনো সিন্ডিকেট হয়, সেটি তাঁরা ‘সোজা’ করে দেবেন। ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে কোনো ঝামেলা হলে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ‘ঝামেলায়’ পড়বেন। তিনি তখন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদারকে ডেকে বাঁধের বিষয়ে খোঁজ নেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
আনন্দ শোভাযাত্রার মোটিফে অগ্নিকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত চায় ঢাবি ছাত্রদল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা উদ্যাপনের জন্য বানানো দুটি মোটিফ আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে ঢাবি ছাত্রদল। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলটি এ দাবি জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস এবং সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আগুন লাগার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
ঢাবি ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান— এই প্রতিপাদ্যে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সামনে রেখে পয়লা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদ্যাপনের লক্ষ্যে আনন্দ শোভাযাত্রার অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রতিকৃতি তৈরির কাজে যুক্ত আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কিছুদিন ধরে আনন্দমুখর পরিবেশে এ কার্যক্রম চললেও শনিবার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে কিছু দুর্বৃত্ত অনুষদ প্রাঙ্গণে নির্মিতব্য ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি ও শান্তির পায়রার প্রতিকৃতিতে অগ্নিসংযোগ করে তা ভস্ম করে দিয়েছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবহেলা এবং ক্যাম্পাসে ফ্যাসিস্টদের মুক্ত পদচারণার বিষয়ে ঢাবি ছাত্রদল এর আগে যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল, এই ন্যক্কারজনক ঘটনাটি তার সত্যতা প্রমাণ করে প্রতি একটি ভয়াবহ বার্তা দিয়ে গেল।’
ঢাবি ছাত্রদল বলেছে, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ এবং ফ্যাসিবাদী শাসনামলের বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলাকারীরা এখনো আবাসিক হলগুলোতে বহাল তবিয়তে অবস্থান করছে। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিনা বাধায় চলাফেরা করছে। ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করে দেশের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করছে। তাঁদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চরম উদাসীনতা দেখিয়েছে। এই অগ্নিসংযোগের ঘটনার মাধ্যমে সেটিরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলে মনে করছে ঢাবি ছাত্রদল।