2025-02-23@05:26:42 GMT
إجمالي نتائج البحث: 41

«এ জনগ ষ ঠ»:

    ছোট্ট ঘরের কোনায় বসে থাকা মারিয়ার (ছদ্মনাম) চোখে যেন লুকিয়ে থাকা এক সমুদ্রের বেদনা। আট ফুট বাই আট ফুটের সেই ঘরে মারিয়ার মতো আরও অনেকের দিনরাত কাটে। ঘর বলতে যা বোঝায়, তার চেয়ে অনেক বেশি জায়গার অভাব সেখানে। একটি ভাঙা খাট, কয়েকটি পুরোনো হাঁড়ি-পাতিল আর দেয়ালের কোণে জমে থাকা স্যাঁতসেঁতে মাটি– এটিই তাদের জীবনের প্রতিচ্ছবি। মারিয়া আক্ষেপ নিয়ে জানান, একটি রুমে তাদের সবাইকে থাকতে হয়। মেয়েদের জন্য তো কোনো আলাদা জায়গা নেই। তাদের মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অভাবে অনেকে নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়। কেউই এ নিয়ে মাথা ঘামায় না।  অসহনীয় চাপ আর বঞ্চনার গল্প যেন প্রতিটি উর্দুভাষী নারীর জীবনের প্রতিধ্বনি। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ক্যাম্পের জীবন এমনই। চট্টগ্রাম, রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, নীলফামারীর সৈয়দপুর, রংপুর– সবখানেই একই চিত্র। ঘিঞ্জি পরিবেশ,...
    ময়মনসিংহের দূরবর্তী পাহাড়ি অঞ্চল, যেখানে সবুজে মোড়া ভূমি, সেখানেই বাস করেন লিওন রিছিল। গারো জনগোষ্ঠীর সদস্য। তাঁর সম্প্রদায়ের সামগ্রিক চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য– নাগরিক নিবন্ধন সেবা, বিশেষত জন্ম ও মৃত্যু সনদ পাওয়ার লড়াই। লিওনের জন্য এ বিষয়টি অত্যন্ত ব্যক্তিগত। তিনি বলেন, ‘‘আমার নাম ‘লিওন’ থেকে ইংরেজি বানানে হয়ে গেছে ‘লায়ন’।’’ এক রকম ম্লান হাসি দিয়ে জানান, এ সামান্য ভুল অনেকটা প্রতীকী। এটি বাংলাদেশের গারো জনগোষ্ঠীসহ অন্য আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মুখোমুখি হওয়া বড় ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক অবহেলা ও প্রতিবন্ধকতার চিত্র তুলে ধরে। লিওনের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস (সিভিআরভিএস) ব্যবস্থার গুরুতর সমস্যাগুলো তুলে ধরে। গারো জনগোষ্ঠীসহ অন্য নৃগোষ্ঠী সাধারণত প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাস করে, যেখানে নাগরিক সেবা অনেকটা সীমিত। জন্ম, মৃত্যু এবং বিয়ে প্রায়ই সরকারি স্বীকৃতি পায় না। পরিস্থিতি আরও খারাপ...
    মাতৃভাষার চর্চা ও প্রসারে কয়েক দশক ধরে কাজ করছে বাংলা একাডেমি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট। বাংলাসহ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর ভাষা ও সাহিত্যের চর্চা, গবেষণা এবং দেশি-বিদেশি গ্রন্থের অনুবাদ প্রকাশের মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে প্রচারের লক্ষ্যে কাজ করছে প্রতিষ্ঠান দুটি। অথচ মাত্র চারজন নিজস্ব ‘গবেষণা কর্মকর্তা’ আছেন দুই প্রতিষ্ঠানে। বাজেট স্বল্পতাও প্রকট। তাই ভাষা চর্চায় গবেষণা, গ্রন্থ প্রকাশ, সমীক্ষাসহ নানা উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবায়নে পিছিয়ে রয়েছে তারা। বিভিন্ন দিবস পালন, গ্রন্থমেলা, পুরস্কার প্রদানের মধ্যেই তাদের পরিচিতি তৈরি হয়েছে।  ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলা একাডেমি প্রতি বছর বইমেলা আয়োজনের পাশাপাশি ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার’ প্রদান করে থাকে। তবে পুরস্কার ঘোষণা করে বাতিলের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি বিতর্কিত হয়েছে। বইমেলায় স্টল বরাদ্দ এবং পুরস্কারের জন্য ব্যক্তি বাছাইয়েও ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ অনেক।...
    ভাষা হচ্ছে মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ, ভাব তৈরি ও আদান-প্রদানের ব্যবস্থা। এই ভাষার জন্মের পেছনে রয়েছে অপার রহস্য। ভাষা সবসময় চলমান, সজীব ও পরিবর্তনশীল। বলা যেতে পারে সতত বহতা নদীর মতোই প্রবহমান।  পৃথিবীর জীবিত-মৃত সব ভাষার আদি উৎস আফ্রিকা। প্রায় ৩ লাখ বছর আগে মানুষের প্রথম অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায় আফ্রিকা মহাদেশে। তবে ভাষার ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় প্রায় ১ লাখ বছর আগে। ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ বছরের মধ্যে আফ্রিকার এই মানুষ জীবিকা, বেঁচে থাকা বা অন্য বিশেষ কিছু কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম দিকে আফ্রিকার মানুষ যোগাযোগ ও ভাব আদান-প্রদানের জন্য একই ধরনের ভাষা ব্যবহার করত। মানুষ পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়লে এক সময় মূল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কালের বিবর্তনে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে...
    কেউ কথা বলছেন মারমা ভাষায়, কেউ ম্রো ভাষা। পাশেই আবার কারও কণ্ঠে বাংলা বুলি। পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবানের পথেঘাটে এমন দৃশ্য প্রতিদিনের। জেলাটিতে একসঙ্গে বসবাস করেন ১৪টি জাতিগোষ্ঠীর মানুষ, যাঁদের রয়েছে স্বতন্ত্র ভাষাও। দেশের আর কোনো জেলায় এত জাতিগোষ্ঠী ও ভাষাভাষীর মানুষের একত্রে বসবাস নেই। অনেকেই তাই বান্দরবান জেলাকে সম্বোধন করেন জাতি ও ভাষাবৈচিত্র্যের জীবন্ত জাদুঘর হিসেবে।বান্দরবানে বসবাসকারীদের মধ্যে রয়েছে চাকমা, মারমা, ম্রো, ত্রিপুরা, বমসহ ১৩টি পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠী। এর বাইরে রয়েছে বাঙালির বসবাস। তবে পরিচর্যার অভাব এবং ব্যবহার কমে আসায় পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীর কিছু ভাষা হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। ম্রো জনগোষ্ঠীর রেংমিটচ্য গোত্রের রেংমিটচ্য ভাষা জানা মানুষ বেঁচে রয়েছেন মাত্র সাতজন।কেবল জাতিগত ও ভাষাগত বৈচিত্র্য নয়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণেও অনন্য বান্দরবান। এ জেলায় দেশের সর্বোচ্চ পাহাড় তাজিংডং; দেশে উৎপত্তি হয়ে সাগরে পতিত...
    এ দেশের তরুণেরা বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারিতে জীবন দিয়ে মাতৃভাষার দাবি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। কিন্তু তাঁরা যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য দিয়ে আত্মোৎসর্গ করেছিলেন, সেটা কতটা পূরণ হয়েছে? এখনো আমরা সর্বস্তরে আমাদের প্রিয় মাতৃভাষাকে প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি।বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন কেবল ভাষার দাবি প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ছিল না; ছিল একটি জাতিগোষ্ঠীর আত্মপরিচয় প্রতিষ্ঠার মহৎ সংগ্রাম। ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই এ দেশের মানুষ স্বাধিকার আন্দোলন রচনা করে এবং ১৯৭১ সালে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।স্বাধীনতার পর থেকে একুশে ফেব্রুয়ারি জাতীয় শহীদ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ১৯৯৯ সালে ইউনেসকো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এখন বিশ্বের সব দেশে দিবসটি উদ্‌যাপিত হচ্ছে। এই স্বীকৃতি যেমন বাংলাদেশের জন্য গৌরবের, তেমনি বাংলা ভাষার প্রতি আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধের কথাও স্মরণ করিয়ে দেয়।আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি,...
    বছরঘুরে আরও একবার মহান একুশে ফেব্রুয়ারি এসে হাজির। তবে এবারের দিবসটি গত বছরগুলোর তুলনায় মৌলিকভাবে আলাদা। এবার মুক্ত ও স্বাধীন পরিবেশে ফ্যাসিবাদ-উত্তর বাংলাদেশে উদযাপিত হবে এ দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাস এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে; অন্তত ৭০ বছরের মুক্তির সংগ্রামের পরিণতির অপেক্ষায় গোটা জনগোষ্ঠী। এমন এক যুগ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিকতার পাশাপাশি আন্দোলনের ভাব ও ভাষার তাৎপর্য অনুসন্ধান করার জরুরতও অস্বীকার করা যায় না।  প্রতাপশালী ইতিহাসে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনকেন্দ্রিক বয়ানে চাপা পড়ে এর প্রকৃত গুরুত্ব ও অঙ্গীকার। অন্তত দুটি বিষয় ভুলে গেলে চলে না–  প্রথমত, আইন যদি ইনসাফ কায়েমের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে সেই আইন আর আইন থাকে না, ওই আইন খোদ বে-আইনে পরিণত হয়। তখন ওই আইনের বিরোধিতা করাই ন্যায্য। বায়ান্নর ২১ ফেব্রুয়ারিতে ১৪৪ ধারা জারি ছিল, কিন্তু ইনসাফ...
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নে নাগরিক সংগঠনের ভূমিকা ও সক্ষমতা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাবির সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসি এর উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এ সেমিনারটি আয়োজন করা হয়। ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তৈয়েবুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা এবং স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ। গবেষণার ফলাফল ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম। এছাড়া স্বাগত বক্তব্য দেন ক্রিশ্চিয়ান এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর নুজহাত জাবিন। আলোচনায় অংশ নেন স্পেস ফাউন্ডেশন ফর পিস...
    বিশেষ ধরনের গাছ ও বন সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীন বন অধিদপ্তর। এ জন্য জাতীয় ঐতিহ্য, স্মারক বৃক্ষ, পবিত্র বৃক্ষ, প্রাচীন বৃক্ষ ও কুঞ্জবন ঘোষণার আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় তথ্যসহ সম্ভব হলে বৃক্ষ বা কুঞ্জবনের স্পষ্ট ছবিসহ আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে [email protected] ই-মেইল ঠিকানায় আবেদন পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া ডাকযোগে আবেদন পাঠানোর ঠিকানা: প্রধান বন সংরক্ষক, বন অধিদপ্তর, বন ভবন, আগারগাঁও, ঢাকা।আজ বুধবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন অনুযায়ী এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘স্মারক বৃক্ষ’ হলো যেসব বৃক্ষের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও প্রথাগত মূল্য রয়েছে, এরূপ ঐতিহ্যবাহী বৃক্ষ বা পুরোনো দেশীয় উদ্ভিদ বা শতবর্ষী বৃক্ষ। ‘পবিত্র বৃক্ষ’...
    সারাদেশে বিশেষ ধরনের গাছ ও বন সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে, জাতীয় ঐতিহ্য, স্মারক বৃক্ষ, পবিত্র বৃক্ষ, প্রাচীন বৃক্ষ এবং কুঞ্জবন ঘোষণার আবেদন আহ্বান জানানিয়েছে বন অধিদপ্তর। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২-এর ধারা ২৩ (১) অনুযায়ী এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “প্রয়োজনীয় তথ্যসহ সম্ভব হলে বৃক্ষ বা কুঞ্জবনের স্পষ্ট ছবিসহ আবেদন আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে [email protected] ইমেইলে পাঠানোর অনুরোধ করা হচ্ছে।“ ডাকে আবেদন পাঠানোর ঠিকানা: প্রধান বন সংরক্ষক, বন অধিদপ্তর, বন ভবন, আগারগাঁও, ঢাকা-১২০৭ । • ‘স্মারক বৃক্ষ’ হল যে সব গাছের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও প্রথাগত মূল্য রয়েছে এ ধরনের ঐতিহ্যবাহী বৃক্ষ বা পুরাতন বয়স্ক দেশীয় উদ্ভিদ বা শতবর্ষী বৃক্ষকে বলা হচ্ছে...
    দেশে জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এখনো আনুষ্ঠানিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে রয়ে গেছে। এ অবস্থায় আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সমাজের বা রাষ্ট্রের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। কারণ, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি হলো কোনো ব্যক্তি এবং ব্যবসার নির্দিষ্ট পরিচয়, আয়ের স্তর বা ভৌগোলিক অবস্থান নির্বিশেষে একটি কার্যকর, সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী মূল্যে আর্থিক সেবা এবং পরিষেবাগুলোতে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার একটি সুচিন্তিত প্রক্রিয়া।জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে বিগত সরকারের দীর্ঘ শাসনের অবসানের পরপরই দেশের সামগ্রিক খাতে পরিবর্তনের দাবি ওঠে। বিশেষ করে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের ব্যাপক সংস্কার এবং পরিবর্তনের দাবি ছিল সবার ওপরে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নেতৃত্বের পরিবর্তনসহ অর্থ পাচার রোধে বেশ কিছু ত্বরিত পদক্ষেপ হাতে নেয়। এখনো বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশাল পরিবর্তনের আশা করা হচ্ছে, যেখানে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রমের গুরুত্ব বেশ...
    বানজারা সম্প্রদায়ের কন্যা মোনালিসা। পড়ালেখা শেখেননি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করতেন ফুুলের মালা। কিন্তু একটা কুম্ভমেলা জীবন বদলে দিল মোনালিসার। ভারতের উত্তরপ্রদেশের কুম্ভমেলায় ফুলের মালা বিক্রি করা এই তরুণী পরিচিতি লাভ করেন ‘মহাকুম্ভ ভাইরাল গার্ল’ হিসেবে। কোন এক নেটিজেনের ক্যামেরায় নজর কাড়ে মোনালিসার মোহময় বাদামি চোখ। এরপর থেকে গ্ল্যামার দুনিয়া হাতছানি দিয়ে ডাকছে তাকে। সম্প্রতি চলচ্চিত্র পরিচালক সানোজ মিশ্র তাকে ‘দ্য ডায়রি অব মণিপুর’ সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। এখন তার জীবনের সংগ্রাম ও সাফল্য নতুন করে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।  এমনকি বানজারা বা বেদে সম্প্রদায়ের মেয়েটি ভাবতেও পারেনি তার জীবনের গল্প একদিন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে এবং এই যাত্রা শুধু তার নিজের নয়, বরং আধুনিক যুগে উপেক্ষিত ও নিপীড়িতদের জন্য এক শক্তিশালী দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে।   মোনালিসার...
    ভারতের মহাকুম্ভ মেলায় ফুলের মালা বিক্রি করতে থাকা বানজারা সম্প্রদায়ের তরুণী মোনালিসা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে "মহাকুম্ভ ভাইরাল গার্ল" হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। সম্প্রতি চলচ্চিত্র পরিচালক সানোজ মিশ্র তাকে তার আসন্ন সিনেমা "দ্য ডায়রি অব মণিপুর"-এ প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। তার জীবনের সংগ্রাম ও সাফল্য নতুন করে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। বানজারা বা বেদে সম্প্রদায়ের মেয়েটি জানতো না তার জীবনের গল্প একদিন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে এবং এই যাত্রা শুধু তার নিজের নয়, বরং আধুনিক যুগের উপেক্ষিত ও নিপীড়িতদের জন্য এক শক্তিশালী দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। মোনালিসার জন্ম হয়েছিল ভারতের অন্যতম প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বানজারা সম্প্রদায়ের এক পরিত্যক্ত প্রান্তিক গ্রামে। তার পরিবার ছিল বেদে সম্প্রদায়ের, যাদের ইতিহাস অনেকটাই অন্ধকার। সমাজের মূলধারা তাদের সবসময় অস্বীকার করেছে। তারা ইতিহাসের পাতায় কখনো স্বীকৃতি পায়নি, বরং উপেক্ষিত ও নিপীড়িত...
    বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর (ওএইচসিএইচআর) গত ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে একটি স্বাধীন তথ্যানুসন্ধান মিশন পরিচালনা করে। এর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ১২ ফেব্রুয়ারি। বিগত সরকারের আমলে সংঘটিত গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধের বিবরণ তাদের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। ওএইচসিএইচআর মনে করে, বিক্ষোভ ও ভিন্নমত দমনের কৌশল হিসেবে বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আর সেগুলো রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের অবগতিতে, সমন্বয়ে ও নির্দেশনায় পরিচালিত হয়েছে। তারা এ–ও মনে করে, হত্যা, নির্যাতন, কারাবরণ ও অন্যান্য অমানবিক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের যুক্তিসংগত ভিত্তি রয়েছে। তবে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও নির্যাতন (স্বতন্ত্র আন্তর্জাতিক অপরাধ হিসেবে) কোন মাত্রায় সংঘটিত হয়েছে, তা মূল্যায়নের জন্য অতিরিক্ত ফৌজদারি তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে তারা অভিমত দেয়।যথাযথ বিচার নিশ্চিত করতে...
    গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধাভিযানে ১৫ মাসে ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন; লাখ লাখ ফিলিস্তিনি আহত, পঙ্গু ও অক্ষম হয়ে গেছেন; সেখানকার ঘরবাড়ি, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল ও রাস্তাঘাট ধুলায় মিশে গেছে; সেখানকার মাটি ও পানি বিষাক্ত হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে গাজাকে অবাসযোগ্য করে তোলা হয়েছে।এই পুরো কর্মকাণ্ডকে ‘জেনোসাইড’ হিসেবে অভিহিত করা যায় কি না, তা নিয়ে ইতিহাসবিদ ও গবেষকদের মধ্যে এখন তর্ক চলছে। বলা দরকার যে ইংরেজি ‘জেনোসাইড’ শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ ‘গণহত্যা’ প্রচলিত হয়ে গেলেও তাতে জেনোসাইডের ব্যাপ্তি ও তাৎপর্য প্রতিফলিত হয় না। ‘ম্যাস কিলিং’ বা ‘ম্যাস মার্ডার’কেও বাংলায় ‘গণহত্যা’ বলা হয়। অনেকে তাই জেনোসাইডকে বাংলায় ‘পরিকল্পিত গণহত্যা’ বলার পক্ষে। আবার অনেকে ‘জাতিগত নিধন’ বা ‘জাতিগত নির্মূলাভিযান’ বলতে চান, যদিও তা ‘এথনিক ক্লিনজিং’-এর বাংলা প্রতিশব্দ হিসেবে অধিকতর গ্রহণযোগ্য। ‘জেনোসাইড’ শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ...
    জলবায়ু পরিবর্তন এমন এক বিষয়, শুনলেই সাধারণত আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। অসময়ে বন্যা, তীব্র জলোচ্ছ্বাস, খরা, বাসযোগ্যহীন লোকালয় ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় কাবু মানব জাতির চিত্র ফুটে ওঠে। মনে হয়, এক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই মানুষের এই দুর্দশা। বস্তুত এমন চিত্র তুলে ধরা হয়ে থাকে, যেন জলবায়ু পরিবর্তন এক বিরাট দানবীয় বিষয়। পৃথিবীর ‘সাজানো গোছানো পরিবেশ’ তছনছ করে দিচ্ছে। বৈশ্বিক এই ধারণার সঙ্গে বঙ্গীয় ব-দ্বীপে অবস্থিত আমাদের প্রিয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশও এই ধারণায় বিস্ময়করভাবে প্রভাবিত। প্রশ্ন হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে এই ধারণার দার্শনিক রূপরেখা কী? বৈশ্বিক পরিবেশ ব্যবস্থাপনার মূলধারায় ‘জলবায়ু পরিবর্তন’ শব্দটি চার দশক ধরে সাধারণত বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বৈজ্ঞানিক অনুমান ও অনুসন্ধানের ভিত্তিতে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, সংগঠন এটা ব্যবহারে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এর সাধারণ ভাষ্য অনুযায়ী বায়ুমণ্ডলের অবনতির মূল হোতা বায়ুদূষণের কারণে...
    জাতিসংঘের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী আটশ কোটি জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। দেখা গেছে, প্রতি তিনজনের একজন নারী জীবদ্দশায় নির্যাতন, ধর্ষণ ও শারীরিক হেনস্তার শিকার হন। সে হিসাবে সংখ্যাটা দাঁড়ায় একশ কোটির বেশি। এ হিসাব থেকেই আন্দোলনটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওয়ান বিলিয়ন রাইজিং’। বাংলায় যেটি হয়েছে– ‘উদ্যমে, উত্তরণে শতকোটি’। এ বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি ওবিআর দিবস উপলক্ষে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে মানববন্ধন ও ক্রিয়েটিভ পারফরম্যান্স ‘হিম্মতি মাই’ অনুষ্ঠিত হয়। নারী সংস্কারবিষয়ক কমিশনের সদস্য নীরূপা দেওয়ান, নিজেরা করির সমন্বয়কারী এবং সাংগাতের উপদেষ্টা খুশী কবির, নারীপক্ষের সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুন নাহারসহ অনেক নারী অধিকারকর্মী এ আয়োজনে যুক্ত হন। নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা দেশের প্রায় সব সংগঠনই এবারের অনুষ্ঠানে যুক্ত থেকেছে। প্রশ্ন আসতে পারে এত দিন ধরে বিশ্বে যে নারীবাদী আন্দোলন চলছে, এর পরও কেন এ আন্দোলনের প্রয়োজন...
    হাতে-কলমে ঐতিহ্যবাহী মণিপুরি তাঁতশিল্পের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর নারীরা। আত্মকর্মসংস্থানের ক্ষেত্র বাড়ানোর পাশাপাশি আদিবাসী জনগোষ্ঠীগুলোর মাঝে ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও শিল্পের দীক্ষা বিনিময়ের মাধ্যমে সেগুলো সমৃদ্ধ করতেই এমন আয়োজন। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত ডলুবাড়ি এলাকায় ১০ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে মঙ্গলবার। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনের (এসএমই) আয়োজনে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর নারীদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। ডলুবাড়ি গিয়ে দেখা যায়, তাঁতযন্ত্রের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করে তাঁতশিল্প পণ্য তৈরির প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন বেশ কয়েকজন ত্রিপুরা নারী। এদের কয়েকজন বুননের জন্য সুতা বাছাই করছেন, আরেক পক্ষ হাত ও চরকির সাহায্যে রিলে সেই সুতা জড়িয়ে নিচ্ছেন। নারীদের একটি দল তাঁতযন্ত্রে সেই সুতা স্থাপন করা শিখছেন। আর যন্ত্রের সামনে বসা কয়েকজন নারীকে শাড়ি, চাদর, গামছা ও মাফলার...
    সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, “দেশের বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর মৌলিক ও সামাজিক অধিকার নিশ্চিতকরণ, তাদের উন্নয়ন ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করে এ দেশের মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে। তাদের গুণাবলি লালন করে ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে প্রতিটি সম্ভাবনা, প্রতিটি কাজের মধ্যে দিয়ে তাদেরকে জাগ্রত করতে হবে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁও জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে ‘বাংলা ইশারা ভাষা দিবস ২০২৫’ উদযাপন উপলক্ষে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ঢাকা সরকারি বধির স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র শামীম, চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী হিমু আক্তার উপযোগী কর্মমুখী প্রতিষ্ঠানের দাবি জানান এবং তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ও বিশেষ শিক্ষা...
    বাক্ ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের যোগাযোগের একমাত্র ভাষা হলো ইশারা ভাষা। ইংরেজিতে একে বলা হয় ‘সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ’।বাংলাদেশে প্রায় ৩০ লাখ, আর পৃথিবীতে ৭০ মিলিয়ন মানুষ বিভিন্ন মাত্রায় বাক্‌ ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী। অর্থাৎ এই ভাষা যে পৃথিবীর এক বিশাল জনগোষ্ঠীর ভাষা, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। অথচ প্রতিনিয়ত অবহেলা আর বৈষম্যের ভেতর দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে এই ভাষা ও ভাষার মানুষেরা। বাংলাদেশে সবে মাত্র একটা গণ–অভ্যুত্থান সংঘটিত হলো বৈষম্যর বিরুদ্ধে। রাষ্ট্রের সব চালিকা শক্তির সংস্কারে মনোযোগ সবার। সবাই সবার চাওয়া ন্যায্যতার ভিত্তিতে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে চলেছে প্রতিনিয়ত; কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো ৩০ লাখ শ্রবণ ও বাক্‌প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর কথা কারও দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না। কারণ, তাদের ভয়েস নেই। তারা ইশারায় কথা বলে। তাদের কথা আমরা কেউ বুঝি না, বুঝতে চাই না।দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা...
    জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় চলতি সপ্তাহে ‘অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন ২০২৪’ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশনের (এএ) সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়েছে। এ প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে অর্জিত উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির বিবরণ আছে। পাশাপাশি বাংলাদেশে জলবায়ুজনিত দুর্যোগের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি থেকে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষিত রাখতে অর্থায়ন ও কাভারেজ ঘাটতি মোকাবিলার জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন দুর্যোগের প্রভাব কমাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। ২০২৪ সালের প্রধান অর্জনগুলোর মধ্যে আছে: • বাংলাদেশ সরকার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাঠামোর সঙ্গে অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন (এএ) আরো একীভূত করেছে, যার মধ্যে ২০১৯ সালে এটি দুর্যোগবিষয়ক স্থায়ী আদেশে (SOD) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। • ২০২৪ সালে ১৫টি অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন (এএ) কার্যকর করা হয়েছে,...
    হারিয়ে যাওয়া বনভূমি উদ্ধার প্রকৃতি রক্ষায় অত্যন্ত জরুরি উল্লেখ করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘‘আগামী মার্চ থেকে টাঙ্গাইলের শালবন পুনরুদ্ধারে মাঠে নামবে সরকার।’’ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর বন ভবনে ‘সহ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মধুপুর গড়ের শালবন পুনরুদ্ধার’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। দেশের সব বনভূমি রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘‘শালবন উদ্ধার কার্যক্রমে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।’’ বননির্ভর জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন অনুযায়ী একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে উল্লেখ করে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘‘প্রয়োজন হলে কর্মপরিকল্পনা হালনাগাদ করা হবে। মার্চের মধ্যেই গেজেট নোটিফাই কমিটি গঠন করা হবে। ভিলেজ ফরেস্ট রুল তৈরি করা হবে। সেখানে বন নির্ভর জনগোষ্ঠীর অধিকার এবং বন বিভাগের...
    পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, হারিয়ে যাওয়া বনভূমি উদ্ধার প্রকৃতি রক্ষায় অত্যন্ত জরুরি। আগামী মার্চ থেকে টাঙ্গাইলের শালবন পুনরুদ্ধারে সরকার মাঠে নামবে। শালবন উদ্ধার কার্যক্রমে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। দেশের সব বনভূমি রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। মঙ্গলবার রাজধানীর বন ভবনে সহ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মধুপুর গড়ের শালবন পুনরুদ্ধার বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পরিবেশ উপদেষ্টা জানান, বন নির্ভর জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন অনুযায়ী একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে। প্রয়োজন হলে কর্মপরিকল্পনা হালনাগাদ করা হবে। মার্চের মধ্যেই গেজেট নোটিফাই কমিটি গঠন করা হবে। ভিলেজ ফরেস্ট রুল তৈরি করা হবে। সেখানে বন নির্ভর জনগোষ্ঠীর অধিকার এবং বন বিভাগের দায়িত্ব ও কর্তব্য অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বন সংক্রান্ত হয়রানিমূলক মামলাগুলো দ্রুত মীমাংসা করা...
    নিপীড়ন-নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার হইতে বাংলাদেশে আশ্রয় লওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য জরুরি মার্কিন অনুদান বন্ধ-সংক্রান্ত সংবাদে মানবিক বোধসম্পন্ন মানুষমাত্রই উদ্বিগ্ন হইবে। আমাদের জন্য উদ্বেগ, তৎসহিত উৎকণ্ঠাও কম নহে। কারণ বাংলাদেশে বর্তমানে ১২ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আশ্রয়প্রাপ্ত। উহাদের মধ্যে ২০১৭ সালে রাখাইনে গণহত্যা, ধর্ষণ-নিপীড়ন, অগ্নিসংযোগ পরিহারে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী প্রায় ৮ লক্ষ রোহিঙ্গার অধিকাংশই কক্সবাজার জেলার টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে থাকে। ২০১৭ সাল হইতে রোহিঙ্গাদের সহায়তাকল্পে যুক্তরাষ্ট্র ২৫০ কোটি ডলারের অধিক দিয়াছে, তন্মধ্যে বাংলাদেশে আসিয়াছে প্রায় ২১০ কোটি ডলার। এই বিপুল পরিমাণ অর্থের ঘাটতি পূরণ প্রায় অসম্ভব। কারণ, দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে তীব্র সংগ্রামরত বাংলাদেশের যদ্রূপ রোহিঙ্গাদের জন্য সামান্য বাড়তি অর্থ ব্যয়ের সামর্থ্য নাই, তদ্রূপ বিদ্যমান বিশ্ব-বাস্তবতায় ইউরোপ বা অন্য কোনো উন্নত রাষ্ট্রও অগ্রসর হইবে বলিয়া মনে হয় না। এহেন পরিস্থিতিতে পরিবেশ-প্রতিবেশগতভাবে স্পর্শকাতর কক্সবাজার ও...
    মঞ্চে নেওয়ার আগে মেয়েরা অতিথিদের পা ধুয়ে বরণ করে নিলেন। এটা বরেন্দ্র অঞ্চলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর রেওয়াজ। তার আগে রেওয়াজ অনুযায়ী নৃত্য আর গানে গানে অতিথিদের বরণ করে মঞ্চের কাছে আনা হলো। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চৈতন্যপুর গ্রামে সমতল ও পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সম্প্রীতি সমারোহ অনুষ্ঠানের শুরুতে দেখা গেল এ দৃশ্য। নেচে নেচে অতিথিদের মঞ্চের কাছে আনলেন গোগ্রাম বটতলা গ্রামের কাকলি মুণ্ডা, লাবনী মুন্ডা, দীপিকা মুন্ডা, প্রীতি মুন্ডা আর মৌমিতা মুন্ডা। তাদের সঙ্গে মাদল বাজালেন অখিল টপ্পো। করতাল বাজাচ্ছিলেন নীলকান্ত মুরারি। আর একদল নারী ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে দিচ্ছিলেন অতিথিদের গায়ে। ‘তারুণ্যের উৎসব’ শিরোনামে দেশব্যাপী বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনের ধারাবাহিকতায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত এ গ্রামে শনিবার (২৫ জানুয়ারি) এবং রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুই দিনব্যাপী সমতল ও পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সম্প্রীতি সমারোহ অনুষ্ঠানের...
    দুই মাস ধরে অচল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। রাষ্ট্রীয় এ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ কবে হবে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না কেউ। কমিশনে চার শতাধিক অভিযোগ জমা আছে। এর মধ্যে রয়েছে বিচারবহির্ভূত হত্যা, ধর্ষণ, সংখ্যালঘু নির্যাতনসহ নানা ধরনের অভিযোগ। এসব নিষ্পত্তি না করায় অভিযোগকারীদের হতাশা বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে সরকার জনগুরুত্বপূর্ণ  মনে করছে কিনা।  কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ এবং পাঁচ সদস্য গত ৭ নভেম্বর পদত্যাগ করেন। এর পর আর কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, জাতিসংঘের বিধান অনুযায়ী এই কমিশন সব সময় সচল থাকতে হবে। পদ কখনোই শূন্য রাখা যাবে না। অবিলম্বে কমিশনে শূন্য পদে নিয়োগের দাবি জানাচ্ছেন তারা।  গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার...
    বাংলা‌দেশ জাতীয়তাবাদী সাইবার ইউজার দল কেন্দ্রীয় নির্বাহী ক‌মি‌টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপ‌তি ও বিএন‌পি ব‌হি‌ঃর্বিশ্ব ক‌মি‌টির প্রকাশনা সম্পাদক এস.আলম রাজীব ব‌লে‌ছেন, বিএন‌পি জনগ‌নের দল, জনগ‌নের সমর্থন নি‌য়ে কাজ ক‌রে‌ছে। আগামীর রাজনী‌তি হ‌বে জনকল‌্যানমূলক। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারী) বি‌কে‌লে নগরীর ১৮নং ওয়া‌র্ডে অনু‌ষ্ঠিত সন্ত্রাস ও মাদক বি‌রোধী সমাজ এবং ৩১ দফা বাস্তবায়‌নের লক্ষ্যে জনস‌চেতনতায় র‌্যালীর আয়োজন ক‌রে ১৮নং ওয়ার্ড বিএন‌পি এবং অঙ্গ ও সহ‌যোগী সংগঠ‌নের তৃণমূল নেতৃবৃন্দ। সেখা‌নে প্রধান অ‌তি‌থির বক্ত‌ব্যে এ কথা ব‌লেন এস. আলম. রাজীব। জনসচেতনতায় অনু‌ষ্ঠিত এই র‍্যালীটি নারায়ণগঞ্জ মহানগরের ১৮নং ওয়ার্ডের নিতাইগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালী‌তে প্রায় সহস্রাধিক নেতাকর্মীর কন্ঠে সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী স্লোগান এবং ৩১ দফার পক্ষে স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা। বক্ত‌ব্যে এস.আলম রাজীব বিএন‌পির কিছু নামধারী নেতা‌দের কার‌নে বর্তমা‌নে স্বৈরাচা‌রের দোসররা প্রকা‌শ্যে...
    জনগুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমকে প্রাধান্য দিয়ে সংবাদ প্রচারের আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান তথ্য অফিসার মো. নিজামূল কবীর। সোমবার (২০ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আধুনিক জনসংযোগ কৌশল, ধারণা ও বিকাশবিষয়ক প্রশিক্ষণে তিনি এ আহ্বান জানান। আধুনিক জনসংযোগ কৌশলের প্রয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করে নিজামূল কবীর বলেন, “মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তাদের অন্যতম দায়িত্ব হলো উপদেষ্টাদের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমের সংবাদ প্রচার করা। এর পাশাপাশি স্ব-স্ব মন্ত্রণালয়ের জনগুরুত্বপূর্ণ ও উন্নয়ন কার্যক্রম-সংক্রান্ত সংবাদ গণমাধ্যমে প্রচার করা।” আরো পড়ুন: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ওয়ালটনের শুভেচ্ছা দৈনিক সংগ্রামের সুবর্ণজয়ন্তীতে ওয়ালটনের শুভেচ্ছা এ সময় বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রেখে সংবাদ প্রচারের জন্য জনসংযোগ কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান তথ্য অফিসার। গুজবকে তথ্য সন্ত্রাসের সঙ্গে তুলনা করে নিজামূল কবীর বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে গুজব প্রতিরোধ করা একটি...
    বাঁশ-কাঠ ও টিন দিয়ে পাচঁটি মাচাং ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। একটি ছাত্রাবাস, একটি ছাত্রী নিবাস,  একটি অফিস কক্ষ ও অন্যটি রান্নাঘর। এর পাশেই করা হয়েছে পাঠদানের ঘর। ‘ম্রো’ ভাষা পাঠদানের জন্যই এই ঘরগুলো বানানো হয়েছে। ছাত্রাবাসের নাম দেওয়া হয়েছে ‘আরুং আনৈই’। এটি ম্রো ভাষার শব্দ। ‘আরুং’ এর অর্থ হল ঊষা এবং ‘আনৈই’ শব্দের অর্থ আলো। বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ৫ নম্বর টংকাবতী ইউনিয়নের ব্রিকফিল বাজার এলাকায় ৪০ শতক পাহাড়ি জায়গায় এই ছাত্রাবাস নির্মিত হয়েছে। ক্রামা ধর্মের ধর্মীয় গুরু সিংলক ম্রো, ম্রো জনগোষ্ঠীর ব্যাম্বো ব্যাংক (ম্রো জুমচাষী সমবায় সমিতি) ও টংকাবতী এলাকাবাসী এই ছাত্রাবাসটি নির্মাণ করেছেন। আরো পড়ুন: কেমন আছে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা? রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে ক্রামা ধর্মের ধর্মীয় গুরু লেংইয়াং...
    শীতে বান্দরবানের সৌন্দর্য দর্শনার্থীদের মাঝে যতটা আনন্দ বয়ে আনে, ঠিক এর বিপরীতে পাহাড়ে বসবাসরত সুবিধাবঞ্চিত শীতার্তদের জন্য অনেকটা দুর্ভোগ হয়ে নেমে আসে। পাহাড়ি জনপদে শীতের প্রকোপ অনেকটাই বেশি। সুবিধাবঞ্চিত অধিকাংশ জনগোষ্ঠীর জন্য শীত কখনও শহুরে জনজীবনের মতো রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠে না। ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের থাবায় নিদারুণ কষ্ট ও দুঃসহ অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অসহায় সুবিধাবঞ্চিত মানুষেরা। কেউ অট্টালিকায় আরামের ঘুমে বিভোর, কেউ আবার রাস্তার পাশে, রেলস্টেশনে বা বাসস্ট্যান্ডে কোনো রকমে একটা গরম কাপড় নিয়ে রাত পার করছে, কেউ বা আবার গরম পোশাক না পেয়ে সারারাত আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। এটিই বাস্তব চিত্র! এসব দেখে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন ‘মানবিক পাঠশালা ইয়ুথ ফাউন্ডেশন’-এর তরুণ স্বেচ্ছাসেবকরা।  বান্দরবান আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন,...
    বাংলাদেশের ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে আখ্যায়িত; যেখানে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ একটি কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে একত্র হয়েছিল। এর নেতারা এটিকে সামষ্টিক অভিপ্রায় বা ইচ্ছার বিজয় বলে বর্ণনা করেছেন; যা হবস, লক ও রুশোর সামাজিক চুক্তি তত্ত্ব দ্বারা অনুপ্রাণিত একটি ধারণা। ব্যক্তিরা সাধারণ কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য যৌথ চুক্তির ভিত্তিতে সরকার গঠন করে বলে এই দার্শনিকরা কল্পনা করেন। ধারণাটি অনুপ্রেরণামূলক হলেও বহু চিন্তাবিদ এটির কঠোর সমালোচনা করেন। তাদের বক্তব্য, এটি প্রায়ই অসমতা ঢেকে রাখে; ভিন্নমত দমন করে এবং মানব আচরণের জটিলতাকে সরলীকরণ করে।  ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের জন্য এই সমালোচনা বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক। কারণ, এটি একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত গড়ে তোলার কঠিন পথে যাত্রা শুরু করেছে। অনেকে এই গণঅভ্যুত্থানকে জঁ-জাক রুশোর ‘সাধারণ অভিপ্রায়’ ধারণার একটি আদর্শ উদাহরণ বলে মনে করেন, যেখানে...
    বাংলাদেশের কর্মক্ষম জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক শ্রমশক্তির বাইরে রয়ে গেছে। দেশের ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ বর্তমানে শ্রমবাজারে নেই। বিদ্যমান জনশক্তির মধ্যে আবার নারী-পুরুষ বৈষম্য প্রকট। মোট শ্রমশক্তির ৭৮ দশমিক ৫ শতাংশই পুরুষ। বাকি ২১ দশমিক ২৫ শতাংশ নারী।  আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলওর প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আইএলওর সদরদপ্তর থেকে ‘বৈশ্বিক কর্মসংস্থান এবং সামাজিক আভাস: ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।  দেশে ১৫ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সী কর্মী ও বেকার জনগোষ্ঠীর সমষ্টিকে শ্রমশক্তি হিসেবে বিবেচনা করে থাকে বিবিএস। সংস্থার সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশে এ ধরনের জনগোষ্ঠী ৭ কোটি ২২ লাখ ৮০ হাজার। বিবিএসের সর্বশেষ জনশুমারি অনুযায়ী, দেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ৯১১ জন। আইএলওর প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়, বেকারত্বের বেশি ঝুঁকিতে...
    বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৩ সালে ইউএনডিপির সহযোগিতায় এজেন্ট ব্যাংকিং ‘পাইলট’ প্রকল্প হাতে নেয়। আমি তখন ব্যাংক এশিয়ার রিটেইল ও ক্ষুদ্র ব্যবসা বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত। এজেন্ট ব্যাংকিং পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করার সুযোগ আমরা তখন গ্রহণ করি এবং এই ব্যবসার একটি মডেল দাঁড় করাই। এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবসার কার্যকারিতা হচ্ছে, এটি ব্যাংকগুলোকে গ্রামীণ এবং দূরবর্তী গ্রাহকদের কাছে কম খরচে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার সবচেয়ে বড় মাধ্যম এজেন্ট ব্যাংকিং।  অনেক ব্যাংক থাকা সত্ত্বেও খুব কম ব্যাংক গ্রামীণ এলাকায় তাদের শাখা স্থাপন করেছে এবং গ্রামীণ গ্রাহকদের সেবা দিয়েছে। বাণিজ্যিক বিবেচনায় অধিকাংশ বেসরকারি ব্যাংক তাদের শাখা সম্প্রসারণ শুধু শহরেই সীমিত রেখেছে। গ্রামে ব্যাংকের শাখা স্থাপন করে যে পরিচালন ব্যয় বহন করতে হয়, তার তুলনায় আয় অনেক কম। এ কারণে শাখাগুলো...
    সমকাল : ব্র্যাক ব্যাংকের জন্য এজেন্ট ব্যাংকিং চ্যানেল কেন গুরুত্বপূর্ণ? নাজমুর রহিম : দেশের আর্থিক সেবার বাইরে থাকা মানুষ এবং সুবিধাবঞ্চিতদের ব্যাংকিং সেবা প্রদানে এজেন্ট ব্যাংকিং চ্যানেলের গুরুত্ব অনেক। দেশের বিশাল একটি জনগোষ্ঠীর প্রচলিত ব্যাংকিং সেবায় অন্তর্ভুক্ত না থাকলেও তাদের আর্থিক প্রয়োজন কিন্তু উপেক্ষা করা যায় না। এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রাহকদের বেশির ভাগই সিএমএসএমই, রেমিট্যান্সগ্রহীতা, কৃষিঋণ সুবিধাভোগী এবং ব্যাংকিং লেনদেনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এমন রিটেইল কাস্টমার। আনুষ্ঠানিকতা এবং অযাচিত ভয়ের কারণে এ ধরনের গ্রাহকদের মধ্যে ব্রাঞ্চে গিয়ে ব্যাংকিং করতে অপারগতা দেখা যায়। ব্র্যাক ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে এ ধরনের সমস্যা কার্যকরভাবে দূর করে প্রান্তিক অঞ্চলের গ্রাহকদের জন্য ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে সক্ষম। সমকাল : বাংলাদেশে বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আর্থসামাজিক প্রভাব কী? নাজমুর রহিম : বাংলাদেশ ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন...
    জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বলেছে, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আল্টিমেটাম শেষ হওয়ার একদিন আগে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, বৃহস্পতিবার সরকার সব রাজনৈতিক পক্ষের সঙ্গে বসবে। কিন্তু গত পনেরো দিন কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ কেন দেখা গেল না, এ প্রশ্নে সরকার কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। সরকারের মন্থর গতি এবং নির্জীব মনোভাবের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। বুধবার রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ন টাওয়ারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ সব কথা তুলে ধরা হয়। বক্তব্যটি পাঠ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল। তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের বাস্তবতা ও ঐতিহাসিক দাবির মুখে সরকার প্রোক্লেমেশন জারির ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। আজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে সাক্ষাৎ করতে যাবে। সেখানে দেশের অন্যান্য...
    দিন যত গড়াচ্ছে, তত স্পষ্ট হচ্ছে– গাজায় ইসরায়েলি হামলা আর দশটা যুদ্ধ পরিস্থিতির মতো নয়। হলোকাস্টের সামষ্টিক অপরাধবোধ থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পাশ্চাত্যের মানুষ ইসরায়েলের প্রতিটি সংকটে এতদিন জোরালো সমর্থন দিয়ে এসেছে। গাজায় নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের পরিপ্রেক্ষিতে বদলাতে শুরু করেছে পাশ্চাত্যের জনমত। গত ৫ জানুয়ারি আমেরিকান হিস্টোরিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সভায় গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের নিন্দা জানিয়ে প্রস্তাব ৪২৮-৮৮ ভোটে পাস হয়েছে। খোদ নিউইয়র্ক টাইমস ঘটনাকে ইসরায়েলি হামলা ঘিরে চলমান সাংস্কৃতিক লড়াইয়ে নতুন অধ্যায় বলে আখ্যায়িত করেছে। কেননা, এর মধ্য দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মার্কিন ইতিহাসবিদ বিশেষত তরুণ প্রজন্ম ফিলিস্তিন ইস্যুতে পাশ্চাত্যে দীর্ঘকাল প্রচলিত বয়ান প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গাজার শিক্ষা অবকাঠামো, আর্কাইভ ও লাইব্রেরিগুলোর সিংহভাগ ধ্বংস আসলে ‘স্কলাসটিসাইড’ বা পরিকল্পিত জ্ঞানহত্যা। নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারবারা ওয়েনস্টাইন বলেছেন, এই...
    আমার শিক্ষক, শিক্ষাগুরু ও পথপ্রদর্শক অধ্যাপক আনিসুর রহমান ৫ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৭২ সালে আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র তখন বাংলাদেশের প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য প্রফেসর আনিসুর রহমান তাঁর কমিশনের কর্মপরিধি কিছুটা কমিয়ে আমাদের ‘মাইক্রো-ইকোনমিকস’ কোর্সটি পড়ানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন (যদিও ’৭১ সালে আমার এমএ পাস করার কথা, কিন্তু ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান এবং ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের কারণে আমরা প্রায় দেড় বছর সেশন-বিলম্বের শিকার হয়েছিলাম)। ওটা ছিল আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সর্বসেরা অর্জন। সেশন-বিলম্ব না হলে আমি আমার শিক্ষাজীবনের সেরা শিক্ষক অধ্যাপক আনিসুর রহমানের সরাসরি ছাত্র হওয়ার সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত হতাম। কারণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের আগে তিনি পাকিস্তানের ইসলামাবাদে অবস্থিত কায়েদ-ই-আযম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। সেই ১৯৭২ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অধ্যাপক আনিসুর রহমান ছিলেন আমার ‘ফিলসফার-গাইড’ ও সার্বক্ষণিক শিক্ষাগুরু। সারাজীবন...
    নতুন বছরের নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইয়ের শেষে থাকা ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি সরানোর ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন। সেই সঙ্গে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসীদের সঠিক ইতিহাস ও পরিচিতি তুলে ধরার দাবি জানানো হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ বৃহত্তর ঢাকা কমিটি। সোমবার পিসিপির তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অন্বেষ চাকমার সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি নামক সংগঠনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) গত রোববার রাতে অনলাইন ভার্সনের পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাদ দেয়। বাংলাদেশে বসবাসরত অর্ধশতাধিক আদিবাসী জনগোষ্ঠীর আত্মপরিচয়কে নিশ্চিহ্ন করে দিতে বিভিন্ন গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ বির্নিমাণের...
    জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্ব পায়, তা হলো ‘সংবিধান সংস্কার’। সংবিধান সংস্কারবিষয়ক গুণীজনদের বিভিন্ন আলোচনা সভা, সেমিনারে ১৪২ অনুচ্ছেদ, ৭০ অনুচ্ছেদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার মতো মৌলিক বিষয়গুলো স্থান পেলেও সংবিধানের ২৮(২) অনুচ্ছেদ, ৩৩(৪) অনুচ্ছেদের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ ও বৈষম্যমূলক বিষয়গুলো প্রায়ই উপেক্ষিত থেকে যায়।৩৩(৪) অনুচ্ছেদ: মানবাধিকারের প্রশ্নসংবিধানের ৩৩(৪) অনুচ্ছেদ সরাসরি মানবাধিকার ও নাগরিকের মৌলিক অধিকারের সঙ্গে জড়িত। সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অনুচ্ছেদ সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ও অবৈধ। আইনের মূলনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো কিছু সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হলেই তা আইন হয়ে যায় না। উদাহরণস্বরূপ, সংসদ সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে যদি কোনো অনুচ্ছেদ অন্তর্ভুক্ত করে যে ‘বিকেল পাঁচটার সময় রাষ্ট্রের কোনো নাগরিক সুপেয় পানি পান করতে পারবে না’ তাহলেই তা আইন হয়ে...
    অধ্যাপক আনিসুর রহমান, বাংলাদেশ তথা বিশ্বের একজন প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও উন্নয়নবিশেষজ্ঞ এবং একই সঙ্গে একজন রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী ও আরও নানা অভিধায় পরিচিত এক মহান ব্যক্তিত্ব। তবে আমরা এ লেখায় আজ তাঁকে একান্তভাবে স্মরণ করেছি রিসার্চ ইনিশিয়েটিভস, বাংলাদেশের (আরআইবি) একজন স্বপ্নদ্রষ্টা, পথনির্দেশক এবং পরিচালনা পর্ষদের একজন বিশিষ্ট সদস্য হিসেবে তাঁর ভূমিকা নিয়ে। অধ্যাপক আনিসুর রহমান ৫ জানুয়ারি প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর স্মরণে আরআইবি অফিসে চেয়ারম্যান ড. শামসুল বারির পরিচালনায় আরআইবি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আরআইবির প্রতিষ্ঠাকাল থেকে আমৃত্যু অধ্যাপক আনিসুর রহমান যে ভূমিকা পালন করে গেছেন, তার ওপর আলোচনা করা হয়।আরআইবি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০২ সালে সাতজন বোর্ড সদস্য নিয়ে। তার মধ্যে অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অধ্যাপক আনিসুর রহমান। নেদারল্যান্ডস সরকারের দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক সহায়তায় শুরুতে আরআইবির কার্যক্রম ছিল প্রধানত দুই ধরনের। এক....
۱