বাংলাদেশ আজ এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে। ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান একটি অলিগার্কিক শাসনের পতন ঘটিয়েছে। সেই সঙ্গে দেশের গভীর কাঠামোগত সংকটগুলোকেও উন্মোচিত করেছে। ছয়টি বিষয়ে গঠিত সংস্কার কমিশনের সুপারিশে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ইতিমধ্যে মতামত জমা দিয়েছে। রাজনৈতিক সংলাপ বা সংস্কারপ্রক্রিয়ায় বিভিন্ন দল ও অংশীজনদের মধ্যে একমত এবং ভিন্নমত থাকাটাই স্বাভাবিক। এই ভিন্নমতগুলোকে সঠিকভাবে মোকাবিলা করেই একটি সর্বসম্মত ন্যূনতম সংস্কার কর্মসূচি প্রণয়ন করা সম্ভব। 

অলিগার্কিক শাসনব্যবস্থা দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোকে ধ্বংস করেছে। এই সংকট থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হলো জনগণের ম্যান্ডেট। জনগণই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের মূল সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী। তাদের আস্থা ও সমর্থন ছাড়া কোনো সংস্কারই টেকসই হবে না।

জনগণের ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তা শুধু রাজনৈতিক নয়, অর্থনৈতিকভাবেও অপরিহার্য। নির্বাচিত সরকারের পক্ষেই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামাজিক সংহতি এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার অর্জন সম্ভব। একটি বৈধ ও জনসমর্থিত নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো দেশই স্থবিরতা, প্রাতিষ্ঠানিক অবক্ষয় এবং ক্রমবর্ধমান জন-অসন্তোষের ঝুঁকি থেকে মুক্ত হতে পারে না।

জনগণের ম্যান্ডেট নেওয়ার আগে একটি সর্বসম্মত সংস্কার এজেন্ডা প্রণয়নও জরুরি। এর জন্য বিভিন্ন পক্ষের সমঝোতা দরকার। সমঝোতা মানে হলো মতপার্থক্য বা বিরোধ মেটানোর জন্য বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে বোঝাপড়া। এখানেই ‘ছাড়’ ও ‘সমাধান’-এর জন্য মাথা ও মনের সংমিশ্রণ দরকার। রুটিন কাজের বাইরে বর্তমান প্রশাসনের প্রধান কাজ সঠিক সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান। রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেওয়ার জন্য একটি বাধ্যতামূলক অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর। এতে নির্বাচন–পরবর্তী সময়ে সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতা রোধ সম্ভব। 

নির্বাচনের আগে মোটাদাগে ন্যূনতম সংস্কার কর্মসূচির সমঝোতা লাগবে। প্রথমত, ভোটার তালিকার স্বচ্ছতা, বায়োমেট্রিক ভোটার যাচাইকরণ এবং ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিতি দরকার। নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে একটি স্বচ্ছ ও বহুদলীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করা জরুরি।

দ্বিতীয়ত, প্রতিনিধিত্বশীল গণতান্ত্রিক শাসনকাঠামো গড়ে তুলতে নারীর প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোসহ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠন এবং স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করে বিকেন্দ্রীকরণ প্রয়োজন।

তৃতীয়ত, একটি কল্যাণরাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো বেশি দরকার। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণও প্রয়োজন। চতুর্থত, সংস্কারের মাধ্যমে বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পুলিশ প্রশাসনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করে স্বাধীন ও জবাবদিহিমূলক করতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বাড়াতে প্রযুক্তির ব্যবহার অভীষ্ট ফলাফল দিতে পারে। ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তথ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং সাইবার নিরাপত্তা জোরদার করা প্রয়োজন। 

এ ছাড়া রাজনৈতিক দলের জনগণের বাছবিচারে নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে যেসব জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকতে পারে, সেগুলো নিয়ে কিছু আলোকপাত করা যাক।

কল্যাণরাষ্ট্রের গোড়াপত্তন

কল্যাণরাষ্ট্রের গোড়াপত্তনই ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের মর্ম ধারণ করতে পারে। একটি কল্যাণরাষ্ট্র গঠনের জন্য শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নই যথেষ্ট নয়। সর্বজনীন নাগরিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার নাগরিক রাষ্ট্রের মৌলিক শর্ত।

প্রথমত, শিক্ষা হতে হবে সর্বজনীন। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা তথা সব স্তরে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতি সময়ের দাবি। বিশেষ করে মেয়েদের এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষার সুযোগ বাড়াতে হবে। দ্বিতীয়ত, প্রত্যেক নাগরিকের জন্য বিনা মূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা এবং সাশ্রয়ী মূল্যে বিশেষায়িত চিকিৎসা নিশ্চিতি সর্বজনীন স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রথম ধাপ।

তৃতীয়ত, বাসস্থান মৌলিক অধিকার। শহর ও গ্রামীণ এলাকায় সাশ্রয়ী মূল্যে সামাজিক আবাসনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। চতুর্থত, খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষির আধুনিকায়ন এবং খাদ্য বিতরণব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজনীয়। পঞ্চমত, জীবনচক্রভিত্তিক সর্বজনীন সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে তুলতে মাতৃ, শিশু, যুব বেকার এবং বয়স্ক ভাতা চালু করতে হবে। এই সামাজিক নিরাপত্তায় জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার হওয়া জনগোষ্ঠীকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এই ভাতাসমূহ প্রত্যেক নাগরিকের জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে মৌলিক চাহিদা পূরণ নিশ্চিত করে বৈষম্য কমাবে।

উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, শিল্পায়ন ও বৈচিত্র্যকরণ

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করতে হলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, শিল্পায়ন এবং অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকরণ অপরিহার্য। বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত তৈরি পোশাকশিল্পের ওপর নির্ভরশীল। নির্ভরশীলতা কমাতে শিল্প খাতের বহুমুখীকরণ ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি জরুরি। এ ছাড়া কৃষি খাতকে আধুনিকায়ন করে খাদ্য উৎপাদন এবং গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে হবে। শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করতে যথাযথ শ্রম আইন প্রণয়ন এবং তাদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি আশু কর্তব্য।

শিল্পায়নের মাধ্যমেই নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে। যুব বেকারত্ব কমাতে এবং জনমিতিক সুবিধা অর্জনে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ এবং কারিগরি শিক্ষার সুযোগ বাড়ানোর বিকল্প নেই। এতে অভিবাসী আয় বৃদ্ধির নতুন দরজাও খুলে যাবে। সবারই জানা যে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি করতে হলে দেশের ব্যবসায়িক পরিবেশকে সহজ করতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমানো লাগবে এবং বিদেশি বিনিয়োগ বহুগুণে বাড়াতে হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের উন্নয়নে বিশেষ প্রণোদনা এবং ঋণসুবিধা প্রদান করলে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের উত্থান

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়িয়ে শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বঙ্গোপসাগর গড়ে তোলা সম্ভব। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি বিনিময় বাড়লে এই অঞ্চল বৈশ্বিক অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হবে। সমুদ্র অর্থনীতি, নীল অর্থনীতি এবং জ্বালানি সহযোগিতার মাধ্যমে সম্পর্ক জোরদার করা সম্ভব। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যৌথ উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। আঞ্চলিক যোগাযোগ অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিনিয়োগ করলে বাণিজ্য ও পর্যটন বাড়বে।

একই সঙ্গে বাংলাদেশের সনাতন বাণিজ্য-সম্পর্কের দেশ বা জোট তথা চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, কোরিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মধ্যপ্রাচ্যে নতুন রপ্তানির বাজার বাড়াতে হবে। নতুন নতুন মুক্তবাণিজ্য অঞ্চল চুক্তির দরকার। তবে এই বাণিজ্য চুক্তিগুলো করার সময় দেশের স্বার্থ এবং শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা করতে হবে।

জনগণের হাতেই ভবিষ্যৎ

যুগে যুগে বাংলাদেশের জনগণই ভবিষ্যৎ নির্ধারণের দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছে। প্রতিটি গণ–আন্দোলনই ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটিয়েছে। এবারও ব্যতিক্রম হবে না। জনগণের ওপর আস্থাই আমাদের শ্রেষ্ঠ সম্বল। তাদের সিদ্ধান্তে ভুল হয়নি। জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কোন দল বা জোটকে নির্বাচিত করবে। একটি ন্যায্য, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে জনগণের ম্যান্ডেট পথের দিশা। কল্যাণরাষ্ট্রের স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে নাগরিকের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি। আর এই বাংলাদেশ হতে পারে শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের অগ্রণী দেশ।

ড.

রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জনগণ র ম য ন ড ট ন শ চ ত কর র জন ত ক ব যবস থ র জন য কল য ণ ত করত সরক র দরক র

এছাড়াও পড়ুন:

অনির্দিষ্টকালের জন্য সংস্কার চায় না জনগণ: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অতি অল্প সময়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করাই বর্তমান সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ হওয়া উচিত। জনগণ নির্বাচিত সরকার চায়, যেখানে প্রতিনিধিরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। কারণ, সব সংগ্রাম হয়েছে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। তাই, নির্বাচনের কথা বলছে বিএনপি। জনগণ অনির্দিষ্টকালের জন্য সংস্কার চায় না।

আজ শনিবার বিকেলে বাড্ডায় মহানগর বিএনপির এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। রাজধানীর বাড্ডার মাদানি সড়কে বেরাইদা ঈদগাহ মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের উদ্যোগে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঈদ উপহার বিতরণ উপলক্ষ্যে এই অনুষ্ঠান হয়।

ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত শেষ হয়নি। সব ষড়যন্ত্র-চক্রান্তকে ব্যর্থ করে দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবই, করব।

হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকেই দেবো- এই অবস্থার মধ্য দিয়ে আমরা নির্বাচনটা চাই। আমরা এখনো বলছি, আমরা এখনো রাস্তায় নামি নাই। আমরা সাধারণ মানুষের কাছে যাচ্ছি ঈদ, ইফতার সামগ্রী নিয়ে, তাদের সুখ-দুখে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াচ্ছি। কিন্তু আমাদের স্বার্থে যদি, জনগণের স্বার্থে যদি কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি করা হয়; তাহলে বিএনপি আবার মাঠে নামবে। মাঠে নেমে দাবি আদায় করে নিতে জানে বিএনপি। এজন্য আমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

দেশে বিদেশে ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, খুব পরিস্কার কথা। যে যেখানেই থাকেন, সেই ইউনাইটেড স্টেটে থাকেন, ফ্রান্সে থাকেন আর আমেরিকায় থাকেন আর সেখান থেকে মানুষকে উত্তেজিত করবার চেষ্টা করেন, বিভাজন সৃষ্টি করবার চেষ্টা করেন। আমরা মানুষের সঙ্গে আছি, আমরা মানুষের সঙ্গে থেকে রাজনীতি করছি। সুতরাং আমাদেরকে কেউ বিপথে পরিচালিত করতে পারবে না, বাংলাদেশের মানুষকেও কেউ বিপথে পরিচালিত করতে পারবে না।

ভারত-পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য কারোই পক্ষে আমরা নই উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, পরিস্কার কথা। আমরা ভারত, পাকিস্তান, আমেরিকা, ইংল্যান্ডের পক্ষেও নই। আমরা বাংলাদেশের পক্ষে। আমাদের নেতা তারেক রহমান খুব পরিস্কার করে বলেছেন, সবার আগে বাংলাদেশ, আমরা বাংলাদেশি।

মির্জা ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনাবিরোধী দলের নেতাকর্মীদের জেলে নিয়েছিলো। ২০ হাজারের মতো নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। প্রায় ১৭ শ’ নেতাকর্মীকে গুম করছিলো। ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা-গায়েবি মামলা দিয়েছিলো। পৃথিবীর গণতান্ত্রিক ইতিহাসে এই ধরনের নজির খুব কম। সেই একটা অবস্থা আমরা পার হয়ে এসেছি। আল্লাহ তাআলার অলৌকিক শক্তির মাধ্যমে তিনি হঠাৎ করে একদিন হাসিনাকে যেন গুম করে দিলেন। হাসিনা গুম হয়ে গেছে আল্লাহতাআলার নির্দেশে। যে অত্যাচার-নির্যাতন তিনি মানুষের ওপরে করেছেন; সেখান থেকে আপাতত মুক্তি পেয়ে একটা মুক্ত পরিবেশে একটা জায়গায় আমরা এসে দাঁড়িয়েছি।

মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তহিরুল ইসলাম তুহিন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, বিএনপির ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীবিষয়ক সম্পাদক এমএ কাইয়ুম বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম জাহাঙ্গীর, আখতার হোসেন, আলফাজ উদ্দিন, এজিএম শামসুল হক, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফ্যাসিবাদী শাসন আর ফিরিয়ে আনতে পারবে না কেউ: মজিবুর রহমান মঞ্জু
  • অনির্দিষ্টকালের জন্য সংস্কার চায় না জনগণ: মির্জা ফখরুল
  • ‘রাষ্ট্রশক্তি দিয়ে জনগণের শক্তি দমন করা যায় না’
  • ঈদে নিরাপত্তা হুমকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করছে অন্তর্বর্তী সরকার, বললেন রিজভী
  • ইউক্রেনে জাতিসংঘের নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রস্তাব পুতিনের
  • নির্বাচন সুষ্ঠু করেনি বলেই তো আন্দোলন হয়েছে: রিজভী
  • বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের অঙ্গীকার মালদ্বীপের
  • রাজনীতির ‘নতুন বন্দোবস্ত’ দেখতে কেমন?
  • সিদ্ধিরগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মদলের দোয়া ও ইফতার মাহফিল