গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ব্যাংকিং প্রয়োজন মেটাতে পারছি
Published: 16th, January 2025 GMT
সমকাল : ব্র্যাক ব্যাংকের জন্য এজেন্ট ব্যাংকিং চ্যানেল কেন গুরুত্বপূর্ণ?
নাজমুর রহিম : দেশের আর্থিক সেবার বাইরে থাকা মানুষ এবং সুবিধাবঞ্চিতদের ব্যাংকিং সেবা প্রদানে এজেন্ট ব্যাংকিং চ্যানেলের গুরুত্ব অনেক। দেশের বিশাল একটি জনগোষ্ঠীর প্রচলিত ব্যাংকিং সেবায় অন্তর্ভুক্ত না থাকলেও তাদের আর্থিক প্রয়োজন কিন্তু উপেক্ষা করা যায় না। এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রাহকদের বেশির ভাগই সিএমএসএমই, রেমিট্যান্সগ্রহীতা, কৃষিঋণ সুবিধাভোগী এবং ব্যাংকিং লেনদেনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এমন রিটেইল কাস্টমার। আনুষ্ঠানিকতা এবং অযাচিত ভয়ের কারণে এ ধরনের গ্রাহকদের মধ্যে ব্রাঞ্চে গিয়ে ব্যাংকিং করতে অপারগতা দেখা যায়। ব্র্যাক ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে এ ধরনের সমস্যা কার্যকরভাবে দূর করে প্রান্তিক অঞ্চলের গ্রাহকদের জন্য ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে সক্ষম।
সমকাল : বাংলাদেশে বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আর্থসামাজিক প্রভাব কী?
নাজমুর রহিম : বাংলাদেশ ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন (সেপ্টেম্বর ২০২৪) অনুযায়ী, দেশে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে খোলা অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ২ কোটি ৩৪ লাখ, যার ৫০ শতাংশই নারী গ্রাহক। আবার এই চ্যানেলের মোট অ্যাকাউন্টের ২ কোটি ২ হাজার অ্যাকাউন্টই গ্রামীণ এলাকার গ্রাহকদের। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এজেন্ট ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া মোট আমানতের পরিমাণ ৩৯ হাজার ৫২৯ কোটি টাকা। দেশের ২৩টি ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করেছে, যার পরিমাণ ২১ হাজার ৯০ কোটি টাকা। এ ছাড়াও এজেন্টদের মাধ্যমে বিতরণ করা ইনওয়ার্ড রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা। লক্ষণীয়, এই বিষয়গুলো কেবল এজেন্ট ব্যাংকিং চ্যানেলের কারণেই সহজতর হয়েছে।
আর্থিক খাতে এই উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার পরিচায়ক। আর্থিক সেবা নিয়ে এজেন্ট ব্যাংকিং ইতোমধ্যে আর্থিক সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে গেছে, যাদের মধ্যে রয়েছে রেমিট্যান্স সুবিধাভোগী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কৃষক এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গ্রামীণ মানুষ।
সমকাল : ব্র্যাক ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং চ্যানেল অন্যান্য ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং চ্যানেল থেকে কীভাবে ব্যতিক্রম?
নাজমুর রহিম : অন্যান্য ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের চেয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যতিক্রমী হওয়ার প্রধান একটি কারণ হলো, আমাদের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ফোকাস মূলত তিনটি বিষয়ের ওপর। সঠিক এজেন্ট নির্বাচন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, প্রযুক্তির মাধ্যমে সেবার অন্তর্ভুক্তি ও উন্নয়ন এবং নিরাপত্তা ও টেকসইতাকে অগ্রাধিকার। ব্র্যাক ব্যাংক সঠিক এজেন্ট নির্বাচনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। এটিই আমাদের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে সাফল্যের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত। এজেন্ট নির্বাচনের পর আমরা তাদের জন্য প্রশিক্ষণের আয়োজন করে থাকি, যাতে তারা বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ব্র্যাক ব্যাংক কর্তৃক আরোপিত নিয়মকানুন-আইন যথাযথভাবে মেনে চলে। এর ফলে এজেন্টরা শুদ্ধাচার বজায় রেখে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারে। উন্নত প্রযুক্তি-সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং ইকোসিস্টেমে নতুন নতুন সেবা অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে ব্যাংকিং প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও সুবিধাজনক করে যাচ্ছে। এর ফলে এজেন্টরা গ্রাহকদের বিশেষ করে আর্থিক সেবার বাইরে থাকা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বহুমুখী ব্যাংকিং প্রয়োজন পূরণ করতে সক্ষম হচ্ছে, যা দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বিকাশে ব্যাপকভাবে অবদান রাখছে।
গ্রাহক আমানতের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি ব্র্যাক ব্যাংক এজেন্টরা যাতে দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবসা করে যেতে পারে, সে বিষয়ে সহায়তা দিয়ে থাকে। আমাদের এমন অগ্রাধিকারের কারণে এজেন্টরা গ্রাহকদের আরও উন্নত ব্যাংকিং সেবা দিতে এবং গ্রামীণ অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে বেশি অনুপ্রাণিত হয়। এই সামগ্রিক কৌশলই ব্র্যাক ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিংকে অন্যান্য ব্যাংকের চেয়ে ব্যতিক্রমী করে তুলেছে। এভাবে আমাদের এজেন্ট ব্যাংকিং প্রান্তিক অঞ্চলে ব্যাংকিং সেবাকে সহজলভ্য ও উন্নত করার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ভূমিকা রেখে চলেছে।
সমকাল : এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আপনারা আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, আর্থিক সাক্ষরতা এবং নারীর ক্ষমতায়নে কী কী উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন?
নাজমুর রহিম : ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা মানুষদের জন্য ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বিকাশ ঘটাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের মোট আউটলেটের ৮০ শতাংশই গ্রামীণ এলাকায় অবস্থিত। এর ফলে আর্থিক সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত হচ্ছে। শুরু থেকেই এজেন্ট ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক ঋণ বিতরণ এবং ঋণ আদায় করে আসছে। আমাদের বিতরণকৃত মোট ঋণের ৬৫ শতাংশই এই চ্যানেলের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। রেমিট্যান্স সুবিধাভোগীর হাতে রেমিট্যান্সের অর্থ তুলে দেওয়া আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকিং সেবা। এই সুবিধাভোগীদের অধিকাংশই নারী, যারা আগে ফরমাল ব্যাংকিং চ্যানেল এড়িয়ে চলতেন। আর্থিক সাক্ষরতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ব্র্যাক ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং দেশব্যাপী ১৭৫টি ‘উঠান বৈঠক’-এর সফল আয়োজন সম্পন্ন করেছে। দেশে নারীর ক্ষমতায়নে আমাদের ব্যাংকের প্রচেষ্টার স্বীকৃতিস্বরূপ বিখ্যাত ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’ থেকে আমরা অর্জন করেছি বিশেষ অনুদান।
আর্থিক খাতে জেন্ডার-ইনক্লুসিভিটির প্রসারেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নারী গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি আমরা নারী এজেন্ট বাড়াতেও কাজ করছি। আমাদের রয়েছে ৮৭ জন নারী এজেন্ট। এই হার আমরা প্রতিনিয়ত বাড়াচ্ছি। প্রতিটি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটে যেন অন্তত একজন নারীকর্মী থাকেন, সে বিষয়টিও আমরা নিশ্চিত করে যাচ্ছি। এর ফলে প্রান্তিক অঞ্চলের নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে এবং নারী গ্রাহক সংখ্যাও বাড়ছে।
সমকাল : এজেন্ট ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ডিপোজিট ও অ্যাসেট মোবিলাইজেশন, এসএমই ঋণ এবং রেমিট্যান্সে আপনারা কী ধরনের সাফল্য পেয়েছেন?
নাজমুর রহিম : ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংক দেশের ৬৪টি জেলা এবং ৮৯ শতাংশ উপজেলায় ১ হাজার ১০৮টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট চালু করেছে। এই বিশাল নেটওয়ার্কের আওতায় রয়েছে ৩ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি গ্রাহকের ৪ লাখ ৭২ হাজার ৬৯০টি সক্রিয় অ্যাকাউন্ট। আমাদের ডিপোজিট পোর্টফোলিওর পরিমাণ ১ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা এবং এই চ্যানেলের মাধ্যমে বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ১৩ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা এবং আদায়কৃত টাকার পরিমাণ ২০ হাজার ৯২৬ কোটি টাকা। এ ছাড়াও এই চ্যানেলের মাধ্যমে বিতরণকৃত ইনওয়ার্ড রেমিট্যান্সের পরিমাণ ৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা, যা ব্যাংকের ব্রাঞ্চ চ্যানেলের মাধ্যমে বিরতরণকৃত রেমিট্যান্সের চেয়েও বেশি।
সমকাল : এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের উন্নয়নে প্রযুক্তি কীভাবে ভূমিকা রাখছে? এজেন্ট ব্যাংকিং নিয়ে আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
নাজমুর রহিম : প্রযুক্তি হলো এজেন্ট ব্যাংকিং সক্ষমতার একটি প্রধান স্তম্ভ, যা প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে অপরিহার্য। ব্যাংকিংয়ে স্বাচ্ছন্দ্য এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা একটি এজেন্ট ব্যাংকিং সিস্টেম (এবিএস) প্রযুক্তির মাধ্যমে কাজ করি, যা প্রচলিত কোর ব্যাংকিং সিস্টেমের (সিবিএস) চেয়ে সহজ ও নিরাপদ। ব্যাংকিং নিয়ে যেহেতু এজেন্টদের জ্ঞানের পরিধি সীমিত, সে জন্য আমরা লেনদেনে অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ‘বায়োমেট্রিক অথেনটিকেশন’-এর মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা দিই। এ ছাড়াও এজেন্ট আউটলেটে অবৈধ কার্যকলাপ প্রতিরোধে আমরা টিপিন ব্যবহার এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ বজায় রাখি।
এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের লক্ষ্য হলো, গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা। দেশের প্রতিটি এলাকায় গ্রাহকদের জন্য বিস্তৃত ব্যাংকিং সেবা নিয়ে পৌঁছে যাওয়া ব্র্যাক ব্যাংকের লক্ষ্য। পারসোনাল এবং এসএমই ঋণ বিতরণসহ বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক অ্যাকাউন্ট, বিল পেমেন্ট এবং এনজিও, এমএফআই ও ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সঙ্গে পার্টনারশিপে এজেন্ট ব্যাংকিং চ্যানেল বিশেষভাবে কার্যকর। বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘বিনিময়’ প্ল্যাটফর্মের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে এজেন্ট ব্যাংকিং আরও বেশি কার্যকারিতা ও সক্ষমতা অর্জন করবে। এ ক্ষেত্রে এজেন্টের সক্ষমতাও বাড়বে এবং গ্রাহকরাও আরও বেশি ব্যাংকিং সেবা উপভোগ করতে পারবেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এই চ য ন ল র ম ন শ চ ত কর আর থ ক স ব জনগ ষ ঠ র গ র হকদ র র পর ম ণ দ র জন য আউটল ট র আর থ ক জ কর ব তরণ সমক ল ক ষমত
এছাড়াও পড়ুন:
সুইট নেশনের সপ্তম শাখা উদ্বোধন
মিষ্টি জাতীয় খাদ্য পণ্যের অন্যতম জনপ্রিয় ব্র্যান্ড সুইট নেশনের সপ্তম শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। রাজধানীর পুরান ঢাকার ২৮/১ কাঠেরপুল, বানিয়া নগর, সূত্রাপুর এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা করা হয় এই নতুন শাখার। নারায়ণগঞ্জ থেকে পরিচালিত সুস্বাদু মিষ্টির ব্র্যান্ড সুইট নেশনের এই উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে রাজধানী ঢাকায় চারটি এবং নারায়ণগঞ্জে তিনটি শাখাসহ মোট সাতটি শাখায় কার্যক্রম চলবে সুইট নেশনের।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে সুইট নেশনের সপ্তম ব্রাঞ্চের ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন আলিফ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফয়সাল। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আজাদ রিফাত ফাইবার্স প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক মোহাম্মদ তাহজুল ইসলাম রাজিব, সুইট নেশনের প্রধান উদ্যোক্তা ফখরুল ইসলাম রাহাদ, আজাদ রিফাত ফাইবারস প্রাইভেট লিমিটেডের অন্যতম পরিচালক মাহমুদুল ইসলাম রিফাত, নবাব টোবাকোর পরিচালক আরশীফ আলী এবং কণ্ঠশিল্পী পারভেজসহ অনেকেই।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, স্বাস্থ্যসম্মত অর্গানিক পদ্ধতিতে নিজস্ব খামারের গাভীর দুধ দিয়ে মিষ্টি তৈরি করে সুইট নেশন। তারা মিষ্টির স্বাদকে অক্ষুণ্ন রেখে বিশুদ্ধ দই, মিষ্টি নারায়ণগঞ্জ ও রাজধানীর মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে। তারই ধারাবহিকতায় নতুন শাখার যাত্রা বলে জানান ব্রান্ডটির প্রধান উদ্যেক্তা ফকরুল ইসলাম রাহাদ। তিনি বলেন, ‘সুইট নেশনের সুস্বাদু মিষ্টির রয়েছে ৫০টির অধিক আইটেম। এছাড়া বার্থডে কেক,পার্টি কেকসহ রয়েছে স্ন্যাকস টিফিনের ও বিভিন্ন আইটেম।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী সুইট নেশনের পণ্যের মান বজায় রেখে সময়ের সাথে নতুনত্বের আরও পণ্য উৎপাদন করার পরিকল্পনা মাথায় রেখে নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও রাজধানী সহ আশেপাশের জেলাগুলোতে আরো আউটলেট করার পরিকল্পনা রয়েছে।’
২০১৮ সালে সুইট নেশনের যাত্রা শুরু হয় ডেইরি ফার্মের মাধ্যমে। সুইট নেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্রিন বেল ডেইরি রেঞ্চ। ২০২০ সালে কলেজ রোডে সুইট নেশনের প্রথম আউটলেট করা হয়। জনপ্রিয়তা ও ক্রেতাদের চাহিদার বাড়ার সঙ্গে দ্বিতীয়টি নারায়ণগঞ্জের বঙ্গবন্ধুর সড়কের বেনু টাওয়ারের প্রথম ফ্লোরে উদ্বোধন করা হয়। তৃতীয়টি রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুরে আসাদ এভিনিউ, চতুর্থটি করা হয় রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র শনির আখড়ায় এবং পঞ্চম আউটলেট করা হয় নারায়ণগঞ্জের নবাব সলিমুল্লাহ রোডের মিশন পাড়া এলাকায়।