Samakal:
2025-03-16@22:53:57 GMT

ডিজিটাল ঋণে বৈশ্বিক পুরস্কার

Published: 16th, March 2025 GMT

ডিজিটাল ঋণে বৈশ্বিক পুরস্কার

দ্বৈত উদ্যোগে  ‘পে লেটার’ পরিষেবার কারণে বাংলাদেশে ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীর বড় অংশকে তাৎক্ষণিকভাবে কাগজের ব্যবহার ছাড়াই ক্ষুদ্রঋণ ও ডিজিটাল পেমেন্টের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়

ডিজিটাল ঋণ পরিষেবা উদ্ভাবনের স্বীকৃতি হিসেবে জিএসএমএ গ্লোমো সেরা ‘ফিনটেক ইনোভেশন’ পুরস্কার পেয়েছে হুয়াওয়ে ও বিকাশ। বার্সেলোনায় আয়োজিত চলতি বছরের মোবাইল কংগ্রেস (এমডব্লিউসি) আসরে প্রতিষ্ঠান দুটিকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।

গ্লোমো বেস্ট ফিনটেক ইনোভেশন পুরস্কারের মাধ্যমে আর্থিক পরিষেবা খাতের সেসব যুগান্তকারী উদ্যোক্তাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়, যারা জনসাধারণ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সেবার পরিচালনা ও ব্যবহারের প্রক্রিয়াকে রূপান্তরিত করে। বিকাশ ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশে ‘পে লেটার’ পরিষেবায় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। এমন উদ্যোগ ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীকে স্বল্পমেয়াদি ক্ষুদ্রঋণের সুবিধা দিয়ে তাদের প্রতিদিনের খরচের ঘাটতি পূরণে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে।
২০১৮ সালে যাত্রা শুরুর পর বিকাশ বাংলাদেশের ৬১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির কাছে আর্থিক পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছে। তবে এখনও ৩৭ শতাংশ নাগরিক জরুরি প্রয়োজনে উচ্চসুদে ঋণদাতার ওপর নির্ভরশীল। অন্যদিকে, মাত্র ৯ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিকাশ ও হুয়াওয়ে নিজস্ব উদ্যোগে ‘পে লেটার’ পরিষেবা চালু করে। ফলে বাংলাদেশে ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীর বড় অংশকে তাৎক্ষণিকভাবে কাগজের ব্যবহার ছাড়াই ক্ষুদ্রঋণ
ও ডিজিটাল পেমেন্টের সুবিধা দেওয়া সম্ভব হয়। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের নারী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী উদ্যোক্তার জন্য উদ্যোগটি বেশ সহায়ক। মূলধন সংগ্রহ ও দারিদ্র্য হ্রাসে ভূমিকা রাখার সঙ্গে স্থানীয়
ই-কমার্সকে প্রসারিত করছে বলে জানানো হয়।

বিকাশের চিফ প্রোডাক্ট অ্যান্ড টেকনোলজি অফিসার (সিপিটিও) মোহাম্মাদ আজমল হুদা বলেন, হুয়াওয়ের মোবাইল মানি প্ল্যাটফর্মের সুবিধা কাজে লাগিয়ে আমরা ২০টির বেশি জরুরি পেমেন্ট পরিষেবা দ্রুত প্রসারিত করার সঙ্গে ‘পে লেটার’ মাইক্রো ফিন্যান্সিয়াল সেবার উদ্যোগ নিয়েছি, যা লাখ লাখ মানুষের আর্থিক স্বাবলম্বী অর্জনে ভূমিকা রেখেছে এবং বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে ত্বরান্বিত করেছে। হুয়াওয়ে সফটওয়্যার বিজনেস ইউনিটের প্রেসিডেন্ট মরিস মা বলেন, বিকাশের সঙ্গে গ্লোমো
‘বেস্ট ফিনটেক ইনোভেশন’ পুরস্কার অর্জন সত্যিই সম্মানের। পণ্য ও সেবা উদ্ভাবনে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখার মাধ্যমে গ্রাহকের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। গ্রাহক যেন ব্যবসায়িক সাফল্য খুঁজে পান এবং সামাজিক অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখতে পারেন, সে উদ্দেশ্যেই কাজ করছি।
গত এক দশকে হুয়াওয়ে মোবাইল মানি সল্যুশন
৪০টি দেশে ৪৮ কোটির বেশি গ্রাহককে আর্থিক সুবিধা দিয়েছে। বিশেষ করে ক্লাউড-নেটিভ ডিস্ট্রিবিউটেড আর্কিটেকচার, যা প্ল্যাটফর্মের ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ নির্ভরযোগ্যতা ও অন্তহীন সম্প্রসারণ সক্ষমতা নিশ্চিত করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখতে কাজ করে।
উদ্ভাবনী ডেটা ও এআই ইঞ্জিনের সহায়তায় হুয়াওয়ে মোবাইল মানি দ্রুত ও কার্যকরভাবে আর্থিক ঝুঁকি বিশ্লেষণের সঙ্গে আয়ের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে। প্ল্যাটফর্মের উন্মুক্ত অবকাঠামো যেমন নতুন ব্যবসায়িক উদ্ভাবনকে বিকশিত করে, তেমনি ডিজিটাল লাইফস্টাইলকে উৎসাহিত করার সঙ্গে সারাবিশ্বে গ্রাহকের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ ও মানোন্নত আর্থিক পরিষেবা নিশ্চিত করে।
চলতি বছর স্পেনের বার্সেলোনায় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস (এমডব্লিউসি) আয়োজনে হুয়াওয়ে ইভেন্টে ফিরা গ্রান ভিয়া হল ওয়ানে স্ট্যান্ড ওয়ান এইচ ফিফটিতে সর্বাধুনিক পণ্য ও পরিষেবা প্রদর্শন করেছে।
জানা গেছে, ২০২৫ সালে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভজি অ্যাডভান্সড প্রযুক্তির সব ধরনের ব্যবহার বাড়বে। এআই টেলিকম অপারেটরের ব্যবসা, অবকাঠামো, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি নতুনভাবে গড়ে উঠবে। বুদ্ধিবৃত্তিক বিশ্ব গঠনের লক্ষ্যে দ্রুত অগ্রসর হওয়ার জন্য ব্র্যান্ডটি কয়েকটি টেলিকম অপারেটর ও সহযোগীর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবহ র ব যবস য় আর থ ক ক জ কর পর ষ ব

এছাড়াও পড়ুন:

ডিজিটাল ঋণে বৈশ্বিক পুরস্কার

দ্বৈত উদ্যোগে  ‘পে লেটার’ পরিষেবার কারণে বাংলাদেশে ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীর বড় অংশকে তাৎক্ষণিকভাবে কাগজের ব্যবহার ছাড়াই ক্ষুদ্রঋণ ও ডিজিটাল পেমেন্টের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়

ডিজিটাল ঋণ পরিষেবা উদ্ভাবনের স্বীকৃতি হিসেবে জিএসএমএ গ্লোমো সেরা ‘ফিনটেক ইনোভেশন’ পুরস্কার পেয়েছে হুয়াওয়ে ও বিকাশ। বার্সেলোনায় আয়োজিত চলতি বছরের মোবাইল কংগ্রেস (এমডব্লিউসি) আসরে প্রতিষ্ঠান দুটিকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।

গ্লোমো বেস্ট ফিনটেক ইনোভেশন পুরস্কারের মাধ্যমে আর্থিক পরিষেবা খাতের সেসব যুগান্তকারী উদ্যোক্তাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়, যারা জনসাধারণ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সেবার পরিচালনা ও ব্যবহারের প্রক্রিয়াকে রূপান্তরিত করে। বিকাশ ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশে ‘পে লেটার’ পরিষেবায় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। এমন উদ্যোগ ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীকে স্বল্পমেয়াদি ক্ষুদ্রঋণের সুবিধা দিয়ে তাদের প্রতিদিনের খরচের ঘাটতি পূরণে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে।
২০১৮ সালে যাত্রা শুরুর পর বিকাশ বাংলাদেশের ৬১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির কাছে আর্থিক পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছে। তবে এখনও ৩৭ শতাংশ নাগরিক জরুরি প্রয়োজনে উচ্চসুদে ঋণদাতার ওপর নির্ভরশীল। অন্যদিকে, মাত্র ৯ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিকাশ ও হুয়াওয়ে নিজস্ব উদ্যোগে ‘পে লেটার’ পরিষেবা চালু করে। ফলে বাংলাদেশে ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীর বড় অংশকে তাৎক্ষণিকভাবে কাগজের ব্যবহার ছাড়াই ক্ষুদ্রঋণ
ও ডিজিটাল পেমেন্টের সুবিধা দেওয়া সম্ভব হয়। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের নারী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী উদ্যোক্তার জন্য উদ্যোগটি বেশ সহায়ক। মূলধন সংগ্রহ ও দারিদ্র্য হ্রাসে ভূমিকা রাখার সঙ্গে স্থানীয়
ই-কমার্সকে প্রসারিত করছে বলে জানানো হয়।

বিকাশের চিফ প্রোডাক্ট অ্যান্ড টেকনোলজি অফিসার (সিপিটিও) মোহাম্মাদ আজমল হুদা বলেন, হুয়াওয়ের মোবাইল মানি প্ল্যাটফর্মের সুবিধা কাজে লাগিয়ে আমরা ২০টির বেশি জরুরি পেমেন্ট পরিষেবা দ্রুত প্রসারিত করার সঙ্গে ‘পে লেটার’ মাইক্রো ফিন্যান্সিয়াল সেবার উদ্যোগ নিয়েছি, যা লাখ লাখ মানুষের আর্থিক স্বাবলম্বী অর্জনে ভূমিকা রেখেছে এবং বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে ত্বরান্বিত করেছে। হুয়াওয়ে সফটওয়্যার বিজনেস ইউনিটের প্রেসিডেন্ট মরিস মা বলেন, বিকাশের সঙ্গে গ্লোমো
‘বেস্ট ফিনটেক ইনোভেশন’ পুরস্কার অর্জন সত্যিই সম্মানের। পণ্য ও সেবা উদ্ভাবনে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখার মাধ্যমে গ্রাহকের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। গ্রাহক যেন ব্যবসায়িক সাফল্য খুঁজে পান এবং সামাজিক অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখতে পারেন, সে উদ্দেশ্যেই কাজ করছি।
গত এক দশকে হুয়াওয়ে মোবাইল মানি সল্যুশন
৪০টি দেশে ৪৮ কোটির বেশি গ্রাহককে আর্থিক সুবিধা দিয়েছে। বিশেষ করে ক্লাউড-নেটিভ ডিস্ট্রিবিউটেড আর্কিটেকচার, যা প্ল্যাটফর্মের ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ নির্ভরযোগ্যতা ও অন্তহীন সম্প্রসারণ সক্ষমতা নিশ্চিত করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখতে কাজ করে।
উদ্ভাবনী ডেটা ও এআই ইঞ্জিনের সহায়তায় হুয়াওয়ে মোবাইল মানি দ্রুত ও কার্যকরভাবে আর্থিক ঝুঁকি বিশ্লেষণের সঙ্গে আয়ের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে। প্ল্যাটফর্মের উন্মুক্ত অবকাঠামো যেমন নতুন ব্যবসায়িক উদ্ভাবনকে বিকশিত করে, তেমনি ডিজিটাল লাইফস্টাইলকে উৎসাহিত করার সঙ্গে সারাবিশ্বে গ্রাহকের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ ও মানোন্নত আর্থিক পরিষেবা নিশ্চিত করে।
চলতি বছর স্পেনের বার্সেলোনায় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস (এমডব্লিউসি) আয়োজনে হুয়াওয়ে ইভেন্টে ফিরা গ্রান ভিয়া হল ওয়ানে স্ট্যান্ড ওয়ান এইচ ফিফটিতে সর্বাধুনিক পণ্য ও পরিষেবা প্রদর্শন করেছে।
জানা গেছে, ২০২৫ সালে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভজি অ্যাডভান্সড প্রযুক্তির সব ধরনের ব্যবহার বাড়বে। এআই টেলিকম অপারেটরের ব্যবসা, অবকাঠামো, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি নতুনভাবে গড়ে উঠবে। বুদ্ধিবৃত্তিক বিশ্ব গঠনের লক্ষ্যে দ্রুত অগ্রসর হওয়ার জন্য ব্র্যান্ডটি কয়েকটি টেলিকম অপারেটর ও সহযোগীর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ