ইশারা ভাষাকে যেভাবে বাঁচিয়ে রেখেছে বিটিভি
Published: 6th, February 2025 GMT
বাক্ ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের যোগাযোগের একমাত্র ভাষা হলো ইশারা ভাষা। ইংরেজিতে একে বলা হয় ‘সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ’।
বাংলাদেশে প্রায় ৩০ লাখ, আর পৃথিবীতে ৭০ মিলিয়ন মানুষ বিভিন্ন মাত্রায় বাক্ ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী। অর্থাৎ এই ভাষা যে পৃথিবীর এক বিশাল জনগোষ্ঠীর ভাষা, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। অথচ প্রতিনিয়ত অবহেলা আর বৈষম্যের ভেতর দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে এই ভাষা ও ভাষার মানুষেরা। বাংলাদেশে সবে মাত্র একটা গণ–অভ্যুত্থান সংঘটিত হলো বৈষম্যর বিরুদ্ধে। রাষ্ট্রের সব চালিকা শক্তির সংস্কারে মনোযোগ সবার। সবাই সবার চাওয়া ন্যায্যতার ভিত্তিতে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে চলেছে প্রতিনিয়ত; কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো ৩০ লাখ শ্রবণ ও বাক্প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর কথা কারও দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না। কারণ, তাদের ভয়েস নেই। তারা ইশারায় কথা বলে। তাদের কথা আমরা কেউ বুঝি না, বুঝতে চাই না।
দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা কথা বলতে পারেন, তাই তাঁরা কথা বলে তাঁদের অধিকার বা দাবিগুলোর বার্তা পৌঁছে দিতে পারছেন সহজেই। পক্ষান্তরে শ্রবণ ও বাক্প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা ইশারায় সারা দিন বক্তব্য দিলেও কেউ ফিরেও তাকাচ্ছেন না, শুনছেন না কেউ। বুঝতে পারছেন না তাঁদের বুকফাটা আর্তনাদ। ফলে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে তাঁদের অবস্থান অন্য যেকোনো সুবিধাবঞ্চিত মানুষেরও নিচে।
চিকিৎসা, চাকরি, শিক্ষার সুযোগ থেকে বাক্ ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার শুধু ভাষাগত পার্থক্যের কারণে। একুশ শতকে এসেও ভাষাগত পার্থক্যের কারণে যোগাযোগ বিভ্রাট ঘটবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। চীনা, জাপানি, আরবি, উর্দু ও ফারসি ভাষায় যদি কাজ-কর্ম, ব্যবসা-বাণিজ্য চালাতে কোনো অসুবিধা না হয়, তবে ইশারা ভাষায় এত বাধা কেন। কেনই–বা ভাষার কারণে তাঁরা অবহেলিত থাকবেন? বঞ্চিত হবেন চাকরি, স্বাস্থ্যসেবা বা শিক্ষার সুযোগ থেকে?
বাংলাদেশ জাতিসংঘের প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার সনদে (ইউএনসিআরপিডি) স্বাক্ষরকারী দেশ। তাই আমরা আশা রাখি এই ভাষা ও ভাষার মানুষ আজ যে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন, তা একদিন থাকবে না। সে ক্ষেত্রে জনগণকে সেবা প্রদানে নিযুক্ত ব্যক্তিদের সরকারি-বেসরকারিভাবে ইশারা ভাষার প্রশিক্ষণের আয়োজন করা খুবই দরকার। এতে মানুষ ইশারা ভাষা বুঝতে পারবে, ফলে বাক্ ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে। আর তাহলেই কর্মক্ষেত্রে তাঁদের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। তাঁরা নিজের প্রয়োজন অন্যকে বোঝাতে সক্ষম হবে।
সেখানে নিঃশব্দে ’৭১–এর মতো নাটক দেখেছেন ঢাকাবাসী। শ্রবণ ও বাক্প্রতিবন্ধী শিল্পীদের অসাধারণ অভিনয় সবাইকে মুগ্ধ করেছে, পেশাদার শিল্পীদের চেয়ে কোনো অংশে কম মনে হয়নি তাঁদের। তাই শুধু একটি ভাষা শিখলে, শেখালে, ভালোবাসলে বা গুরুত্ব দিলেই ৩০ লাখের এক বিশাল জনগোষ্ঠীর ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটতে পারে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশে সামনের দিনগুলোতে।সমাজসেবা অধিদপ্তর (জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন) হোক বা বাংলা একাডেমি হোক, ইশারা ভাষাকে প্রমিত করতে কাউকে না কাউকে দায়িত্ব নিতে হবে এবং ইশারা ভাষার অভিধান তৈরি করতে হবে। এতে ইশারা ভাষা বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি, এনজিও, আইএনজিওগুলোতে কর্মক্ষেত্রের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকদের ইশারা ভাষার প্রশিক্ষণ দেওয়া গেলে শ্রবণ-বাক্প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত হবে। হাসপাতালে ইশারা ভাষার প্রচলন ঘটলে ভুল চিকিৎসা হওয়ার আশঙ্কা থোকে রক্ষা পাবেন তাঁরা।
বাংলাদেশে প্রতিবছর ৭ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলা ইশারা ভাষা দিবস পালিত হয়। শুধু বছরের এই একটি দিন পালন করে কি আমরা আমাদের দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছি? বাক্ ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা প্রতিবছর এই দিনে তাদের অধিকার বা দাবিদাওয়াগুলো উপস্থাপন করার সুযোগ পান; কিন্তু ইশারা ভাষায় উপস্থাপন হওয়ার ফলে সেটি গুরুত্ব হারাচ্ছে তদন্ত। কারণ, কর্তাব্যক্তিদের কেউই তাঁদের ভাষা বোঝেন না।
ইশারায় তাঁরা যতই বলুক, তাঁদের ভাষাকে প্রমিতকরণের জন্য একটি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দরকার, তাঁদের চাকরির সুযোগ দিতে হবে, তাঁদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতালে দোভাষী প্রয়োজন বা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে দোভাষী দরকার। এই দাবিগুলোর কোনোটিই গুরুত্ব পাচ্ছে না; কারণ, তাঁরা ইশারায় বলছেন। অনেকে আবার মনে করেন, তাঁরা হাত নেড়ে উল্টাপাল্টা বলছেন আর দোভাষীরা সাজিয়ে–গুছিয়ে অনুবাদ করে দিচ্ছেন।
একজন দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে দেখে বোঝা যায় যে তাঁর প্রতিবন্ধকতা আছে। তবে বাক্ ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দেখে বোঝার কোনো উপায় নেয়। তাঁর হাত আছে, পা আছে, চোখ আছে, আছে সুন্দর হাঁটার স্টাইল, দেখতে স্মার্ট—এই বলে বলে তাদের দূরে রাখা হচ্ছে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের থেকে। আবার চাকরি বা পড়ালেখা করতে গেলে সবার আগে তাঁকে বাদ দেওয়া হচ্ছে।
ডেভেলপমেন্ট সেক্টরেও খুব সতর্কতার সঙ্গে এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে এই ভাষার মানুষদের। কারণ, একটাই, তা হলো ভাষা। অন্য সব প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলেও শ্রবণ ও বাক্প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অংশগ্রহণ নেই সবখানে। থাকলেও চুপচাপ বসে থাকছেন এক কোণে। অথবা তাদের কথা অনুবাদ করার মতো কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না সব জায়গায়। শুধু অনুষ্ঠানের সৌন্দর্য রক্ষার জন্য কোথাও কোথাও তাদের শোপিসের মতো বসিয়ে রাখা হচ্ছে।
নিজেদের আগ্রহ বা পরিবারের প্রয়োজনেই যাঁরা এই ভাষা শিখেছেন, অর্থাৎ যাঁরা ইশারা ভাষার দোভাষী, তাঁদেরও কর্মক্ষেত্রে সুযোগ নেই বললেই চলে। তাই নতুন করে ইশারা ভাষার দোভাষী তৈরি হচ্ছে না। হাতেগোনা যে কয়জন দোভাষী আছেন তারাও অন্য পেশা খুঁজে বেড়াচ্ছেন। এটা খুবই দুঃখজনক।
এ তো গেল হতাশার কথা, তবে আশার কথা হলো শ্রবণ ও বাক্প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর তথ্য অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একমাত্র বাংলাদেশ টেলিভিশন ইশারা বা সাংকেতিক ভাষায় সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে এই টেলিভিশনের উপস্থাপকেরা অনুবাদক হিসেবে কাজ করছেন। তাই বলা যায়, ইশারা ভাষাকে জনমনে বাঁচিয়ে রেখেছে বিটিভি। তবে প্রকৃতপক্ষে এই ভাষার ধারক ও বাহক শ্রবণ ও বাক্প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা।
বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস বিশ্বকে সোশ্যাল বিজনেসের আইডিয়া দিয়ে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। ইশারা ভাষা এই সোশ্যাল বিজনেসের বড় একটি অংশ হতে পারে। অন্যের উপকার করার মধ্য দিয়ে অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হতে পারে এই ইশারা ভাষা। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কিছুদিন আগে ঢাকায় ব্রিটিশ কাউন্সিল ও ঢাকা থিয়েটারের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী শিল্প উৎসব ২০২৪।
সেখানে নিঃশব্দে ’৭১–এর মতো নাটক দেখেছেন ঢাকাবাসী। শ্রবণ ও বাক্প্রতিবন্ধী শিল্পীদের অসাধারণ অভিনয় সবাইকে মুগ্ধ করেছে, পেশাদার শিল্পীদের চেয়ে কোনো অংশে কম মনে হয়নি তাঁদের। তাই শুধু একটি ভাষা শিখলে, শেখালে, ভালোবাসলে বা গুরুত্ব দিলেই ৩০ লাখের এক বিশাল জনগোষ্ঠীর ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটতে পারে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশে সামনের দিনগুলোতে।
আহসান হাবিব সংবাদ উপস্থাপক (ইশারা ভাষা), বাংলাদেশ টেলিভিশন
ই–মেইল: [email protected]
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জনগ ষ ঠ র এই ভ ষ ৩০ ল খ সরক র উপস থ
এছাড়াও পড়ুন:
স্মার্টফোন ও কম্পিউটারকে নতুন শুল্ক থেকে অব্যাহতি দিলেন ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন স্মার্টফোন, কম্পিউটার এবং আরো কিছু ইলেকট্রনিক ডিভাইসকে ‘পারস্পরিক’ শুল্ক থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। এর মধ্য চীন থেকে আমদানি করা এসব পণ্যেও নতুন শুল্ক কার্যকর হবে না। চীন থেকে পণ্য আমদানিতে সম্প্রতি ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বেশিরভাগ দেশের ওপর ট্রাম্প যে ন্যূনতম ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন, সেই শুল্ক এবং চীনের ওপর আরোপিত উচ্চ হারের ‘পারস্পরিক’ শুল্কের আওতার বাইরে থাকবে এসব পণ্য।
আরো পড়ুন:
পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের ইতিবাচক আলোচনা
পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের দূতের ৪ ঘণ্টা বৈঠক
এই পদক্ষেপটি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো আশঙ্কা প্রকাশ করছিল যে, পণ্যের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যেতে পারে। কারণ অনেক ডিভাইসই চীনে তৈরি হয়।
চীনের ওপর ট্রাম্পের আরোপ করা শুল্কে এটাই প্রথম বড় ধরনের ছাড়। একজন বাণিজ্য বিশ্লেষক একে 'পরিস্থিতির মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া পরিস্থিতি' বলে উল্লেখ করেছেন।
শনিবার রাতে মিয়ামি সফরের সময় ট্রাম্প বলেন, আগামী সপ্তাহের শুরুতে তিনি ছাড়ের বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানাবেন।
এই ছাড়ের মধ্যে সেমিকন্ডাক্টর, সোলার সেল, মেমোরি কার্ডসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং উপাদানও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ওয়েডবুশ সিকিউরিটিজের প্রযুক্তি গবেষণার বৈশ্বিক প্রধান ড্যান আইভস এক্স পোস্টে বলেছেন, “প্রযুক্তি বিনিয়োগকারীদের জন্য শুল্ক ছাড় হচ্ছে স্বপ্নের মতো। চীনা শুল্কের ক্ষেত্রে স্মার্টফোন, চিপ বাদ দেওয়া একটি গেইম-চেঞ্জার পরিস্থিতি।”
অ্যাপল, এনভিডিয়া, মাইক্রোসফটের মতো বড় প্রযুক্তি কোম্পানি এবং বিশাল প্রযুক্তি খাত এই সপ্তাহান্তে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, চীন থেকে কারখানা যুক্তরাষ্ট্রে সরিয়ে নেওয়ার জন্য কোম্পানিগুলোকে আরো সময় দিতে এই ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনের ওপর নির্ভর করে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি যেমন: সেমিকন্ডাক্টর, চিপ, স্মার্টফোন ও ল্যাপটপ উৎপাদন করতে পারবে না।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্টের নির্দেশে এসব কোম্পানি এখন দ্রুত তাদের উৎপাদন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে।”
যুক্তরাষ্ট্র আইফোনের অন্যতম প্রধান বাজার। কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর অ্যাপলের মোট স্মার্টফোন বিক্রির অর্ধেকের বেশি বিক্রি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রির জন্য অ্যাপলের যেসব আইফোন তৈরি করা হয়, সেগুলোর প্রায় ৮০ শতাংশ প্রস্তুত করা হয় চীনে। বাকি ২০ শতাংশ তৈরি করা হয় ভারতে।
স্যামসাং-এর মতো অ্যাপলও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের উপর নির্ভরতা কমাতে নিজেদের সরবরাহে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করছে। এদিকে চীনের পর ভারত ও ভিয়েতনাম ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক ম্যানুফ্যাকচারিং কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে।
শুল্ক কার্যকর হওয়ার পর অ্যাপল ভারতে তৈরি ডিভাইসের উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।
ঢাকা/ফিরোজ