উদ্ভাবনী ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের জন্য ‘কোরাস রিইনভেনশন অ্যাওয়ার্ডে’ স্বর্ণপদক পেল ব্র্যাক ব্যাংক
Published: 26th, February 2025 GMT
‘কোরাস রিইনভেনশন অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’-এ ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের উদ্ভাবনী সেবার জন্য স্বর্ণপদক পেয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য আর্থিক খাত ও মার্কেটে প্রবেশাধিকার আরও সহজ করার স্বীকৃতিস্বরূপ এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গেটস ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যৌথভাবে পরিবর্তনমূলক উদ্যোগের মাধ্যমে নারীদের জন্য ডিজিটাল আর্থিক অন্তর্ভুক্তির সম্প্রসারণে অসামান্য অবদান রাখায় এই আন্তর্জাতিক সম্মাননা অর্জন করেছে ব্যাংকটি। পুরস্কারটি প্রযুক্তি ও কৌশলগত সহযোগিতার মাধ্যমে আর্থিক ক্ষমতায়ন বৃদ্ধির ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
১৯ ফেব্রুয়ারি থাইল্যান্ডের ব্যাংককে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে ‘ডিস্ট্রিবিউশন’ ক্যাটাগরিতে এই গোল্ড অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব ইমার্জিং করপোরেট ইন্দ্রজিৎ সুর এবং হেড এসএমই বিজনেস সাপোর্ট মহসিনুর রহমান। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই স্বর্ণপদক প্রাপ্তি ব্যাংকিং এক্সেলেন্স এবং উদ্ভাবনে গ্লোবাল লিডার হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংকের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে।
গেটস ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ‘ট্রান্সফরমেটিভ জার্নি টুওয়ার্ডস ফাইন্যান্সিয়াল অ্যান্ড ডিজিটাল ইনক্লুশন ফর দ্য আন্ডারসার্ভড পপুলেশন’ শীর্ষক এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো নারী এবং প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষের ক্ষমতায়ন।
এই উদ্যোগে নারী মালিকানাধীন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসার জন্য আরও ভালো সুযোগ-সুবিধা তৈরি, ডিজিটাল সমাধানের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করা এবং নারী এসএমইদের জন্য উদ্যোক্তা দক্ষতা, আর্থিক সাক্ষরতা ও ডিজিটাল সক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে কাজ করা হয়।
সম্মাননার অংশ হিসেবে খরাপ্রবণ এলাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের নামে একটি বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে টেকসইয়ের প্রতি নিজেদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির বিষয়টি তুলে ধরেছে কোরাস। পরিবেশের প্রতি এটি ব্র্যাক ব্যাংক ও কোরাসের সমমূল্যবোধ ও প্রতিশ্রুতির উদাহরণ।
কোরাস রিইনভেনশন অ্যাওয়ার্ড হলো কোরাস-ইনফোসিস ফিনাকল ব্যাংকিং ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডের অংশ, যা ব্যাংকিং ও আর্থিক সেবার শ্রেষ্ঠত্ব উদ্যাপন করে থাকে। এই সম্মাননা অর্জনের মধ্য দিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক আধুনিক ও দূরদর্শী সলিউশন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিযাত্রায় ব্যাংকটির শীর্ষস্থান বজায় রেখেছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষার মানের ভয়াবহ অবনতি বেড়েছে বাণিজ্য: শিক্ষা উপদেষ্টা
শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটলেও মানের ভয়াবহ অবনতি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্যও দেখা যাচ্ছে। এটি আশঙ্কাজনক। এখন প্রযুক্তির যুগ, সভ্যতার পথ ধরে এগোতে গেলে প্রযুক্তি তো লাগবেই। তবে নৈতিকতা ছাড়া সভ্য হওয়া যাবে না। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে জগদীশ চন্দ্র বসু, তাঁর মতো বিজ্ঞানীর নামে করা ভবন-স্থাপনা ছিল, সেগুলোর নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও কয়েকটি স্থাপনার নামও বদলানো হয়েছে। এটি আমাকে মর্মাহত করেছে। আমি আশা করব, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীরা মিলে এর প্রতিকার করবে।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আর্থিক বিবেচনায় আপনারা পেশা বেছে নেবেন না। বরং যে কাজটি করতে ভালো লাগে, সেরকম পেশা বেছে নেওয়া উচিত। আমরা এমন সমাজে বাঁচতে চাই, যেখানে সৎভাবে বুক উঁচু করে বাঁচা যায়।
গণঅভ্যুত্থানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশের স্বার্থে জীবনবাজি রেখে লড়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেকের ধারণা ছিল প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা শুধু নিজেদের ক্যারিয়ার নিয়েই চিন্তা করে, তাদের মধ্যে সামাজিক দায়বদ্ধতা কাজ করে না। তবে আমরা সাম্প্রতিক যে গণঅভ্যুত্থান দেখেছি, সেখানে ব্র্যাকসহ বেশ কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেভাবে জীবনবাজি রেখে এগিয়ে এসেছিল, তাতে সবার ভুল ভেঙেছে।
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন অস্কারজয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সাংবাদিক শারমিন ওবায়েদ চিনয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন তামারা হাসান আবেদ ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার।
সমাবর্তনে ভেলিডিক্টোরিয়ান বক্তব্য দেন চ্যান্সেলর স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী শিহাব মুহতাসিম ও সমাপনী বক্তব্য দেন সমাবর্তন কমিটির কো-চেয়ার ড. সাদিয়া হামিদ কাজী।
এবারের সমাবর্তনে চার হাজার ৮২৯ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি দেওয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে দু’জনকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক, ২৮ জনকে ভাইস চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।