Samakal:
2025-04-13@05:44:33 GMT

জেলেপল্লির শিশুদের পাশে

Published: 22nd, March 2025 GMT

জেলেপল্লির শিশুদের পাশে

যারা স্বপ্ন দেখেন দুনিয়া জয়ের এবং প্রতিনিয়ত মন থেকে অনুপ্রাণিত হন নতুন কিছু করার; তারা জানেন, থেমে নেই তারুণ্যের জয়গান। ঈদকে সামনে রেখে তরুণরা নানা উদ্যোগ নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তৃণমূল থেকে আপনাদের পাঠানো অসংখ্য উদ্যোগ থেকে তিনটি আলোজ্বলা উদ্যোগ নিয়ে এই আয়োজন...

নদীপারের স্কুলপড়ুয়া সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও তাদের পরিবারের মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার কাটাখাল ও জানখালী এলাকার জেলেপল্লির ১০০ পরিবারের মাঝে ঈদউপহার হিসেবে সেমাই, চিনি, দুধ, নুডলস, ট্যাং, বাদাম, কিশমিশ, মুড়ি, চিড়া বিতরণ করে হাতেখড়ি ফাউন্ডেশন। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক রুবেল মিয়া নাহিদ বলেন, ‘সমাজের অবহেলিত সুবিধাবঞ্চিত এ শিশুদের নিয়ে কাজ করার সুযোগ ও তাদের মুখে ঈদের আনন্দে হাসি দেখতে পাওয়াটা আমার কাছে মানসিক প্রশান্তির।’ দারিদ্র্য এ জনগোষ্ঠীর শিশুরা শিক্ষাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত, যার ফলে সামাজিকভাবে তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। সমাজের অন্যদের সঙ্গে বৈষম্য দূরীকরণে তাদের জন্য কাজ করছে হাতেখড়ি ফাউন্ডেশন। পিছিয়ে পড়া এই জেলে জনগোষ্ঠীকে নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি সমাজ উন্নয়নে কাজ করার স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন সম্মাননা পেয়েছে সংগঠনটি।
২০১৮ সালের ১৭ মার্চ হাতেখড়ি ফাউন্ডেশনের যাত্রা। শুরুর পর থেকে বিভিন্নভাবে জেলে জনগোষ্ঠীর শিশুদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি।  সামাজিক ব্যাধি বাল্যবিয়ে, ইভটিজিং প্রতিরোধেও নিয়মিত কাজ করেন এ সংগঠনের সদস্যরা। সরকারি টোল ফ্রি নম্বর ৯৯৯, ১০৯-এর সুবিধাগুলোর তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় রাস্তার পাশে জেলেদের বাড়ির আঙিনা ও বিভিন্ন স্থানে তারা করে যাচ্ছেন বৃক্ষরোপণ। যাদের নিরলস পরিশ্রমে এগিয়ে যাচ্ছে হাতেখড়ি ফাউন্ডেশন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানের দারফুরে আধা সামরিক বাহিনীর হামলায় অন্তত ১০০ জন নিহত: জাতিসংঘ

সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) দারফুর অঞ্চলের দুর্ভিক্ষকবলিত শরণার্থীশিবিরে টানা দুই দিন হামলা চালিয়েছে। এতে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ২০ জন শিশু ও ৯ জন ত্রাণকর্মী।

জাতিসংঘের সুদানে নিযুক্ত মানবিক সমন্বয়কারী ক্লেমেনটাইন এনকুয়েটা-সালামি জানান, আরএসএফ এবং তাদের মিত্র মিলিশিয়ারা উত্তর দারফুরের প্রাদেশিক রাজধানী এল-ফাশের এবং তার আশপাশের জমজম ও আবু শোরুক শিবিরে হামলা চালায়।

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, শরণার্থীশিবির দুটিতে সাত লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষের বসবাস। ওই অঞ্চলে অতীতের সংঘাতগুলোতে বাস্তুচ্যুত হয়ে তারা সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন।

এনকুয়েতা-সালামি বলেন, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার দুই দিন এই হামলা চলে। জমজম শিবিরে হাতে গোনা কয়েকটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একটিতে কাজ করার সময় ৯ জন ত্রাণকর্মী নিহত হন। তাঁদের মধ্যে রিলিফ ইন্টারন্যাশনাল সংস্থার কর্মীরাও আছেন।

‘যাঁরা এ ধরনের কাজ করছেন, আমি তাঁদের প্রতি জোরালো আহ্বান জানাই—অবিলম্বে এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ করুন’, বলেন এনকুয়েতা-সালামি।

জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা নিহত ত্রাণকর্মীদের নাম উল্লেখ করেননি। তবে সুদানের ডক্টরস ইউনিয়ন এক বিবৃতিতে জানায়, রিলিফ ইন্টারন্যাশনাল সংস্থার ছয় চিকিৎসাকর্মী শুক্রবার জমজমে তাঁদের হাসপাতালে আরএসএফের হামলায় নিহত হন।

সংগঠনটি জানায়, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন চিকিৎসক মাহমুদ বাবাকার ইদরিস এবং সংস্থাটির আঞ্চলিক প্রধান আদম বাবাকার আবদুল্লাহ। সংগঠনটি এই হামলাকে ‘অপরাধমূলক ও বর্বর’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে এবং এর জন্য আরএসএফকে দায়ী করেছে।

রিলিফ ইন্টারন্যাশনাল নিশ্চিত করেছে যে তাদের ৯ জন কর্মী নিহত হয়েছেন। এই হামলা ছিল ‘সার্বিক স্বাস্থ্য অবকাঠামোর ওপর পরিকল্পিত হামলা’। সংস্থাটি জানায়, জমজম শিবিরের মূল বাজার ও শত শত অস্থায়ী ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে।

বৈশ্বিক খাদ্যনিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইপিসি সুদানের যে পাঁচ এলাকায় দুর্ভিক্ষ শনাক্ত করেছে, তার মধ্যে অন্যতম জমজম ও আবু শোক। চলমান যুদ্ধ সুদানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট তৈরি করেছে। সেখানে প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ-অর্থাৎ দেশের অর্ধেক জনগণ-চরম খাদ্যসংকটে রয়েছে।

সেনাবাহিনী গত মাসে জাতীয় রাজধানী খার্তুম পুনর্দখল করার পর সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আরএসএফ এল-ফাশের শহরে হামলা জোরদার করেছে। এটি দারফুরে একমাত্র প্রাদেশিক রাজধানী, যা এখনো আরএসএফের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

এই মাসের শুরুতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে আরএসএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে যে তারা নারী ও কিশোরীদের ওপর ‘ভয়াবহ’ যৌন সহিংসতা ও গণধর্ষণ চালিয়েছে, যা সুদানের গৃহযুদ্ধে তাদের কৌশলের অংশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুদানের দারফুরে আধা সামরিক বাহিনীর হামলায় অন্তত ১০০ জন নিহত: জাতিসংঘ
  • শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও শ্রম আইন সংশোধনের দাবি আইবিসির