2025-04-15@15:34:40 GMT
إجمالي نتائج البحث: 255

«রকম স»:

    মডেল মেঘনা আলমকে আটক এবং তাঁকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একজন মন্তব্য করেছিলেন, এ ঘটনা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য ‘পচা শামুকে পা কাটা’র মতো হতে পারে। ব্যক্তিপর্যায়ের একটি ‘সাধারণ’ বিষয়কে ‘জাতীয় ইস্যু’তে পরিণত করা এবং এর ফলে সরকারের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়া—এমন কিছু বোঝাতেই তিনি হয়তো মন্তব্যটি করেন। বাস্তবে তেমনটাই ঘটেছে আর এর মধ্য দিয়ে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং খোদ সরকারসংশ্লিষ্ট কারও কারও ‘অপরিণামদর্শিতা’ আবারও জনসমক্ষে প্রকাশিত হয়েছে।২.একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মডেল মেঘনা আলমের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের একটি শক্তিশালী দেশের বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। পরে সেই সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি হয়। এর জেরেই মেঘনা আলমকে আটক করা হয়।গত বুধবার রাতে মেঘনা আলমকে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে আটক করতে যায় ডিবি পুলিশ। এ সময় তিনি ফেসবুক...
    নাচে, গানে ও রসনাতৃপ্তির মধ্য দিয়ে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে গতকাল সোমবার বরণ করে নেওয়া হলো বাংলা নববর্ষকে। পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ঝলমল করে উঠেছিল দূতাবাস চত্বর।উৎসব আয়োজনে অভিবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের পাশাপাশি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বিদেশি কূটনীতিক, বিশিষ্ট অতিথি ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের। দূতাবাস প্রাঙ্গণ হয়ে উঠেছিল মিলনক্ষেত্র।রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, লালন, হাসন রাজার গানের সঙ্গে চোখজুড়নো নৃত্য পরিবেশনা ছিল বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ। দূতাবাসের কর্মীদের সঙ্গে নাচে-গানে অংশ নিয়েছিলেন স্থানীয় বাঙালি শিল্পীরা।আয়োজনের আরেক আকর্ষণ ছিল মধ্যাহ্নের ভোজ। অতিথিদের রসনাতৃপ্তির পূর্ণ দায়িত্ব হাসিমুখে গ্রহণ করেছিল দূতাবাস কর্মীদের পরিবার। ১০–১২ রকমের ভর্তার পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী বাঙালি রান্নায় ছিল আন্তরিকতার ছোঁয়া। প্রতিটি পদ ছাড়াও দূতাবাস কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা বাড়ি থেকে তৈরি করে এনেছিলেন ১২ রকমের পিঠা।পরম যত্নে পরিবারের সদস্যরাই পিঠাসহ নানা খাবার পরিবেশন করেছেন অতিথিদের। ব্যাখ্যা করেছেন বঙ্গজীবনের...
    আজ পহেলা বৈশাখ। শুরু হয়েছে বঙ্গাব্দ ১৪৩২। বাংলা সনকে বরণে দেশজুড়ে চলছে নানা আয়োজন। সবার মতো বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছেন ঢালিউড তারকা বিদ্যা সিনহা মিম। অনুরাগীদের জানিয়েছেন শুভেচ্ছা। সেই সঙ্গে বর্ষবরণের পুরনো স্মৃতিতে ভাসলেন এই নায়িকা। স্মৃতিচারণ করেন মিম বলেন, ‘পহেলা বৈশাখ দিনটা আমার কাছে সত্যিই আনন্দের। ছোটবেলা থেকেই দিনটা আমরা উদযাপন করি। এই দিনটার জন্য আলাদা করে আমরা নতুন জামা কিনতাম।’ ছোটবেলায় মিমের পহেলা বৈশাখ মানেই ছিল বৈশাখী মেলা। মফস্বলে বড় হওয়া মিম মেলায় যেতেন, নাগরদোলায় চড়তেন। তখন সময়টা তার কাছে ছিল অন্যরকম আনন্দের। মিমের কথায়, ‘মেলায় বিভিন্ন ধরনের খাবার, মিষ্টি থাকতো। সেগুলো খাওয়ার একটা অন্য রকম মজা ছিল তখন। এগুলো এখন ভীষণ মিস করি।’ এবার পহেলা বৈশাখ পরিবারের সঙ্গেই কাটাচ্ছেন মিম। এ উৎসব উদযাপনে আগের মতো আর বাইরে খুব...
    পহেলা বৈশাখ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। এ দিন বাঙালি জাতিসত্তার মানুষ অতীত ভুলে নতুনের আবাহনে মেতে ওঠে। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পালনের মধ্য দিয়ে বরণ করে নেয় নতুন বছর। ফলে দেশব্যাপী সৃষ্টি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ। সেই উৎসবে একাত্ম হয়েছেন রূপালি ভুবনের তারকারাও। পহেলা বৈশাখ নিয়ে নিজের ভাবনা ও স্মৃতিকথা জানিয়েছেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম। এ অভিনেত্রী বলেন, “পহেলা বৈশাখ আমার কাছে সত্যিই আনন্দের একটা দিন। ছোট থেকেই এই দিনটা আমরা উদযাপন করি। ছোটবেলার নববর্ষ উদযাপন নিয়ে নানা স্মৃতি রয়েছে। এই দিন উপলক্ষে ঈদের মতো আমরা নতুন জামা কিনতাম। আমরা ভোলা এবং কুমিল্লাতে ছিলাম, ওখানে মেলা হতো, সেই মেলায় যেতাম। নববর্ষ বলতে এমনই নানা সুন্দর স্মৃতি রয়েছে।” ছোটবেলার বৈশাখ উদযাপন নিয়ে বিদ্যা সিনহা মিম বলেন, “ছোটবেলার পহেলা বৈশাখ মানেই...
    আমি জন্মের আগে থেকেই ভিতুর ডিম রে বাবা। স্বাধীনতার আমি কী বুঝি? মুক্তিযুদ্ধের সময় সেই যে ভয়ের চোটে আম্মার পেটের মধ্যে ঢুকছিলাম, ’৭২–এর আগে বের হই নাই!সাদাফ হাসছিল। এবার স্বাধীনতা দিবস রোজার মধ্যেই পড়েছে বলে মেলবোর্নের বাংলাদেশ সমিতি একই সঙ্গে ইফতার আর স্বাধীনতা পালন সারছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কীভাবে এবং কতটা গুরুত্বের সঙ্গে ২৬ মার্চ পালন করা উচিত, সেটাও বুঝে উঠতে না পারায় এই পদ্ধতি—সব রকম চেতনা, স্পিরিট এবং স্পিরিচুয়ালিটির সাপ্লাই তো আছেই, সঙ্গে মুচমুচ করা বেগুনি, পেঁয়াজু, ছোলার টানও কম নয়; যার যাতে মজে মন—বিড়াল ভাবলে বিড়াল, রুমাল ভাবলে রুমাল!পাশে বসা জেরিনের বাড়িয়ে ধরা প্লেট থেকে একটা বেগুনি তুলে নিয়ে কামড় বসাতে বসাতে সাদাফ আবার বলে ওঠে, ওরেব্বাস! এই শিল্পকর্ম কে করছে রে? কী সুন্দর কুড়কুড়া হইছে। তেল...
    বাঙালির প্রাণের উৎসব নববর্ষ। সাড়া বছরে চাহিদা না থাকলেও পহেলা বৈশাখে চাহিদা বেড়ে যায় মৃৎশিল্পীদের। বছরের অন্য সময়ে মৃৎশিল্পের কদর না থাকলেও পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে মাটির তৈজসপত্রের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের খেলনা তৈরি করেন মৃৎশিল্পীরা। বৈশাখ রাঙাতে শেষ সময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বছরের অন্য সময়ের তুলনায় মৃৎশিল্পীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাটি নরম করে তৈরি করছেন মাটির বিভিন্ন তৈজসপত্র। কেউ কাদা নরম করছেন, কেউ মাটির তৈজসপত্র তৈরি করছেন। নিপুন হাতে তৈরি করছেন হাড়ি-পাতিল, শিশুদের খেলনা। নববর্ষে বাহারি সব খেলনা তৈরি করছেন। সেই খেলনা মেলায় নিয়ে যাবেন মৃৎশিল্পীরা। মৃৎশিল্পী বিষ্ণু পাল বলেন, “বাপ-দাদার পেশা ছাড়াতেও পারি না। আর ছেড়ে দিলে কী করব? লেখাপড়া করি নাই যে চাকরি করব। মাটির জিনিসের চাহিদা...
    চাকমা বর্ষবরণের বড় উৎসব ‘বিজু’। বিজুর প্রথম দিনের নাম ফুল বিঝু। দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ চৈত্রের শেষ দিনকে বলা হয় মূল বিজু। এদিন থেকে শুরু হয় খাওয়া দাওয়া ও অতিথি আপ্যায়নের মূল পর্ব। এ উৎসবের মূল উপাদান ‘পাঁজন’। পাহাড়ি বর্ষবরণের আবহমানকালের বহু ঐতিহ্যের অপরিহার্য অংশ হিসেবে চাকমা সংস্কৃতিতে টিকে আছে বিজু উৎসবের এই পাঁজন রান্না। আজ রবিবার (১৩ এপ্রিল) রাঙামাটির ঘরে ঘরে চলছে পাঁজন আপ্যায়ন। অন্তত ৩২ রকমের সবজি দিয়ে রান্না হয় ঐতিহ্যবাহী ‘পাঁজন’। আলু, পেঁপে, গাজর, বরবটি, কচু, লাউ, কাঁচকলা, কচি কাঁঠাল, সজনে ডাটা, বন থেকে সংগ্রহ করা নানা প্রকারের সবজি কেটে ধুয়ে নিয়ে শুটকি বা চিংড়ি মাছ দিয়ে ঐতিহ্যবাহী পাঁজন বা তরকারি রান্না করেন চাকমা নারীরা। চাকমাদের বিশ্বাস, এই খাবার খেলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত পাওয়া...
    জনগণ পাঁচ বছরের জন্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারকে চায়—অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টার এমন মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচিত সরকারের বিকল্প তো আপনারা হতে পারেন না। আপনারা অবশ্যই অনির্বাচিত। সেটা প্রতিদিন আপনাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে।’আজ রোববার বিকেলে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে ভাসানী অনুসারী পরিষদের ‘জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলন ২০২৫’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলে সালাহ উদ্দিন আহমদ। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গণতন্ত্রের কথা বলে আপনারা গণতন্ত্রের উল্টো দিকে যাত্রা শুরু করবেন, নির্বাচনের কথা বলে নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করবেন—এটা কি গণতন্ত্রের জন্য শুভ? এটা কি গণ–অভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ছিল? এটা কি গণ–অভ্যুত্থানের জন–আকাঙ্ক্ষা ছিল?’উপদেষ্টাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে প্রধান উপদেষ্টা যখন প্রতিশ্রুত, নির্বাচনের...
    চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। এ বাস্তবতা সবাই জানেন। তবে বয়স বাড়লে চেহারায় কী ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, তা আগেভাগেই দেখে নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। জনপ্রিয় এআই মাধ্যম চ্যাটজিপিটির সাহায্যে এখন আগাম দেখে নেওয়া যাচ্ছে ৪০, ৫০ বা ৬০ বছর বয়সে মুখাবয়বে কী রকম পরিবর্তন ঘটতে পারে।চ্যাটজিপিটির নতুন ছবি তৈরির সুবিধা ব্যবহার করে খুব সহজ কয়েকটি ধাপে ভবিষ্যতের সম্ভাব্য মুখচ্ছবি দেখে নেওয়া সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন একটি পরিষ্কার ছবি ব্যবহার করতে হবে। প্রথমে ব্যবহারকারীকে তাঁর সাম্প্রতিক একটি ছবি চ্যাটজিপিটিতে আপলোড করতে হবে।ছবিটিতে যেন মুখমণ্ডল স্পষ্ট দেখা যায়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। পরিষ্কার ও স্পষ্ট ছবি আপলোড করার পর চ্যাটজিপিটিকে সুনির্দিষ্ট প্রম্পট দিতে হবে। কোন বয়সে নিজের চেহারা দেখতে চান, তা উল্লেখ করতে হবে। ‘ক্যান ইউ...
    ঘুড়ি উৎসব, লাঠিখেলা, সাপখেলা, নাগরদোলা, পুতুলনাচ—এমন নানা আয়োজনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাজানো হচ্ছে চৈত্রসংক্রান্তি ও বাংলা বর্ষবরণ উৎসব। গ্রামীণ ঐহিত্য আর খুলনার আঞ্চলিক বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে আয়োজিত ওই উৎসব হচ্ছে দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর পর। ২০১৯ সালে সর্বশেষ এমন পরিপূর্ণ আয়োজন করতে পেরেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে এবার নিরাপত্তার কারণে ক্যাম্পাসের বাইরে শোভাযাত্রা না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ২০ বছরের বেশি সময় ধরে ভিন্নধর্মী বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী উৎসব উদ্‌যাপন করা হয়ে থাকে। ১৩ এপ্রিল (বাংলা ৩০ চৈত্র) উদ্‌যাপন করা হয় চৈত্রসংক্রান্তি আর পরের দিনে বাংলা বর্ষবরণ। রকমারি গ্রামীণ খেলাধুলা ও উৎসবের মধ্য দিয়ে দিন দুটি উদ্‌যাপন করা হয়। কিন্তু ২০২০ সাল থেকে শুরু হওয়া কোভিড এবং পরে পয়লা বৈশাখের সময় রোজা,...
    পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, সাংলান, সাংক্রাই, সাংগ্রাইং, বিহু, পাতা ও চাংক্রান উৎসবে অতিথি আপ্যায়নে ঐতিহ্যবাহী অনুষঙ্গ পাঁচন। পাহাড়িদের কাছে যা ‘পাজন’ নামে পরিচিত। আজ রোববার চাকমা সম্প্রদায়ের বিজুর দ্বিতীয় দিনে অতিথি আপ্যায়নের মূল পদ এই পাজন।কত ধরনের সবজি থাকে পাজনে? জানতে চাইলে কেউ বলেন, ৩০ রকমের, কেউ ৪০ রকমের। তবে ৩০ রকমের সবজির কম দিলে পাজন রান্নাই জমে না। আর এসব সবজির বেশির ভাগ মানে, ৯০ শতাংশই বন্য পরিবেশে জন্মায়।পাহাড়িরা বিশ্বাস করেন, পাজন খেলে রোগমুক্তি হয়। লেখক ও শিক্ষাবিদেরাও পাজনের ঔষধি গুণের কথা জানালেন। গতকাল শনিবার রাঙামাটি শহর ও বিভিন্ন উপজেলার অর্ধশতাধিকের বেশি বাজারে বিজুর হাট বসেছিল। প্রতিটি হাটে পাজনের জন্য সবজি বিক্রি হয়েছে। নানা ধরনের কন্দ, আলু, ফুল, পাতা, গাছের ডগাসহ বিচিত্র সব সবজি...
    চারুকলায় শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট মোটিফ পুড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, “হাসিনার দোসররা ভোরে চারুকলায় ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব পুড়িয়ে দিয়েছে। এই দুঃসাহস যারা দেখিয়েছে, সফট আওয়ামী লীগ হোক বা আওয়ামী বি টিম হোক; তাদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আসতে হবে, দ্রুত।” শনিবার (১২ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে এই মন্তব্য করেন ফারুকী।  পোস্টে তিনি লিখেছেন, “এই শোভাযাত্রা থামানোর চেষ্টায় আওয়ামী লীগের হয়ে যারা কাজ করছে, আমরা শুধু তাদের আইনের আওতায় আনব তা না, আমরা নিশ্চিত করতে চাই এবারের শোভাযাত্রা যেন আরো বেশি তাৎপর্যপূর্ণ হয়।” আরো পড়ুন: নববর্ষের দিন টিএসসি-শাহবাগ মেট্রো স্টেশন ‘সাময়িক বন্ধ থাকবে’ বর্ষবরণে থাকছে ‘অন্ধকার কাল থেকে উত্তীর্ণ হবার বার্তা’ “রাতের এই ঘটনার পর হাসিনার দোসররা জানিয়ে দিয়ে গেলো, বাংলাদেশের মানুষ এক হয়ে উৎসব করুক তারা এটা...
    ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলি বর্বরতা ও গণহত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির আওতায় সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৩টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। এটি বিকেল ৪টার দিকে দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান একটি ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। আরো পড়ুন: লাল-সবুজের জার্সিতে খেলবেন সামিত, জানিয়ে দিলেন আনুষ্ঠানিক সম্মতি ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল: বেনাপোল বন্দর থেকে ফেরত গেছে ৪ ট্রাক বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা আবদুল মালেক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, হেফাজতে ইসলাম, আহলে হাদীস, হাইয়াতুল উলইয়া, বেফাকুল মাদারিস, দারুন্নাজাত মাদরাসা, খেলাফত মজলিশ, খেলাফত আন্দোলনের নেতারা...
    রংপুরের গ্রামাঞ্চলের মানুষ পহেলা বৈশাখে এখনও পুরনো দিনের রীতি অনুসরণ করে চলেন। দেশের সব জায়গায় আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও পুরনো সেই রেওয়াজ তারা এখনও লালন করেন। বাংলা বছরের শেষ দিনটিকে বলা হয় চৈত্রসংক্রান্তি। শাস্ত্র অনুসারে এই দিনে স্নান, দান, ব্রত, উপবাস প্রভৃতিকে পূণ্যকর্ম বলে মনে করা হয়। গৃহস্থের মঙ্গল কামনায় নেচে নেচে গান: চৈত্রসংক্রান্তিকে ঘিরে সন্ন্যাসীরা বাদ্যের তালে তালে নেচে নেচে দেবদেবীর প্রতিকৃতি (পাট) মাথায় নিয়ে ঘুরে বেড়ান। তাঁরা যে বাড়িতে যান, সেই বাড়ির গৃহিণী পরিষ্কার পিঁড়ি বা জলচৌকি পেতে দেন। এরপর তাঁরা ওই পিঁড়ি বা জলচৌকির ওপর পাট নামান। এই সময় গৃহস্থের মঙ্গল কামনায় নেচে নেচে গান পরিবেশন করেন সন্ন্যাসীরা। গান শেষে সন্ন্যাসীদের চাল, সবজি কিংবা টাকা উপঢৌকন দেন গৃহিণীরা। সংগৃহীত অর্থে, বাংলার সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে চৈত্রসংক্রান্তি উৎসব ও চড়ক মেলার...
    রংপুরের গ্রামাঞ্চলের মানুষ পহেলা বৈশাখে এখনও পুরনো দিনের রীতি অনুসরণ করে চলেন। সর্বত্র আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও সেই রেওয়াজ তারা এখনও লালন করেন। বাংলা বছরের শেষ দিনটিকে বলা হয় চৈত্রসংক্রান্তি। শাস্ত্র অনুসারে এই দিনে স্নান, দান, ব্রত, উপবাস প্রভৃতিকে পূণ্যকর্ম বলে মনে করা হয়। চৈত্রসংক্রান্তিকে ঘিরে সন্ন্যাসীরা বাদ্যের তালে তালে নেচে নেচে দেবদেবীর প্রতিকৃতি (পাট) মাথায় নিয়ে ঘুরে বেড়ান। তাঁরা যে বাড়িতে যান, সেই বাড়ির গৃহিণী পরিষ্কার পিঁড়ি বা জলচৌকি পেতে দেন। এরপর তাঁরা ওই পিঁড়ি বা জলচৌকির ওপর পাট নামান। এই সময় গৃহস্তের মঙ্গল কামনায় নেচে নেচে গান পরিবেশন করেন সন্ন্যাসীরা। গান পরিবেশন শেষে সন্ন্যাসীদের চাল, সবজি কিংবা টাকা উপঢৌকন দেন গৃহিণীরা। সংগৃহিত অর্থে বাংলার সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে চৈত্রসংক্রান্তি উৎসব ও চড়ক মেলার আয়োজন করা হয়।  পুরনো...
    যখন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ‘ঝোড়ো হাওয়া’ বইছে, তখন বিনিয়োগ সম্মেলনটি নতুন করে আশার আলো দেখানোর কথাই বলেছে। চার দিনব্যাপী সম্মেলনের তৃতীয় দিনে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে ব্যবসায়ীরা বিশ্বকে বদলে দেওয়ার প্রক্রিয়ায় নিজেদের যুক্ত করতে পারেন।গত সোমবার স্থানীয় একটি হোটেলে বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন–২০২৫ শুরু হয় ও বৃহস্পতিবার শেষ হয়। এতে স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ৫০টি দেশের ৫৫০ জন বিনিয়োগকারী যোগ দেন বলে আয়োজকেরা জানিয়েছেন। অতীতে বাংলাদেশে এ রকম সম্মেলন হলেও খুব বেশি সুফল পাওয়া যায়নি। এবারের সম্মেলনের ফল ভবিষ্যতেই জানা যাবে।সম্মেলনে চারটি দেশি প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে বিকাশ লিমিটেড, ফেব্রিক লাগবে লিমিটেড, ওয়ালটন ও স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসকে পুরস্কৃত করা হয়। এ ছাড়া কোরীয় বিনিয়োগকারী ইয়াংওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সাংকে দেওয়া হয় সম্মানসূচক নাগরিত্ব, যিনি বাংলাদেশে ৪৫ বছর ধরে ব্যবসা করছেন, তাঁর ৪৮টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে...
    সবে সন্ধ্যা নেমেছে শহরের বুকে। খুলনা নগরের সেন্ট যোসেফ উচ্চবিদ্যালয়ের সামনের ফুটপাতে ছোট একটা দোকানের সামনে বেশ ভিড়। অর্ডার দিয়ে কেউ টুলে বসে আছেন, কেউ আবার প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে দাঁড়িয়ে গল্প করছেন। বিক্রেতা দুজনের চার হাত যেন চলছে সমানতালে। একজন ছোট ছোট ফুচকা বানাচ্ছেন, তো আরেকজন ভেলপুরির প্লেট সাজাচ্ছেন। আবার কখনো একজন পেঁয়াজ–শসা কুচি করে নিচ্ছেন আর আরেকজন বিল রাখা বা টিস্যু এগিয়ে দেওয়ায় ব্যস্ত।নগরের আহসান আহমেদ রোডের সেন্ট যোসেফ উচ্চবিদ্যালয়ের সামনের একটি ছোট ফুচকা ও ভেলপুরির ভ্রাম্যমাণ দোকানের চিত্র এটি। দোকানের নামটাও বেশ অন্য রকম। ‘ধৈর্য-সহ্য ছোট ফুচকা ও ভেলপুরি স্টোর’। দোকানটি চালান গোলাম রসুল নামের একজন। বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা-১০টা পর্যন্ত চলে এই ভ্রাম্যমাণ দোকান। এই দোকানের ছোট ফুচকা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।গোলাম রসুলের বাড়ি বাগেরহাটের মোল্লাহাট...
    মির্জাপুরে বন্দ্য কাওয়ালজানি খাদেম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে মাটি ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাত থেকে মাঠে মাটি ফেলতে শুরু করেছেন লোকমান হোসেন নামে এক ব্যক্তি। এর প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় মাঠে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করা হয়েছে। জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে ১৯০ শতাংশ জমির ওপর গড়ে ওঠে বিদ্যালয়টি। গ্রামের বোরহান উদ্দিন ও আজিজুল হক ১৬২ শতাংশ ও ওয়াজেদ আলী ২৮ শতাংশ জমি দেন। এর মধ্যে বোরহান উদ্দিন ও আজিজুল হক ১০৮ শতাংশ রেজিস্ট্রিমূলে এবং বাকি জমি মৌখিকভাবে দান করেন। এর মধ্যে গ্রামের আছর উদ্দিনের দুই ছেলে রকমান ও লোকমান হোসেনের ৪৩ শতাংশ আবাদি জমিও রয়েছে। রকমানের সাড়ে ২১ শতাংশ জমি বোরহান ও আজিজুল দলিলমূলে মালিক হয়ে বিদ্যালয়কে দান করেন। লোকমান হোসেন তাঁর জমি বিক্রি না করে তাঁর বাড়ির...
    ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দের দিক থেকেই রবীন্দ্রনাথ রচনায় ও ভাষণে মানবজাতির ভবিষ্যৎ সমালোচনায় পূর্বাপেক্ষা হয়ে ওঠেন স্পষ্টবাদী। বিশেষ করে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে তাঁর প্রতিবাদী মনোভাবের চরম প্রকাশ ঘটে ‘ন্যাশনালিজম’ সম্পর্কে আমেরিকা ও জাপানে প্রদত্ত বক্তৃতায় (১৯১৬)। এসব বক্তৃতার প্রধান লক্ষ্য ছিল মানবতাবাদের প্রেক্ষাপটে শোষণধর্মী রাষ্ট্রনীতির নগ্নরূপের উদ্ঘাটন। পূর্বেই রবীন্দ্রচেতনা সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদের ঊর্ধ্বে মানবতাবাদকে আশ্রয় করেছিল, (‘গোরা’ উপন্যাস) তারই ধারা এ-পর্যায়ে উপনীত হচ্ছিল বিশ্বমানববাদে। রাষ্ট্র ও সমাজের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতালব্ধ মননকে তিনি নতুন দৃষ্টিতে বিশ্লেষণ করতে চাইলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার পর্যায়ে তিনি স্বদেশি সমাজের রাজনীতিক সমস্যার চিন্তায় শুধুই দেশজ সংস্কৃতিসত্তার গভীরে মগ্ন বা প্রাতিষ্ঠানিক বিধিনিষেধ ভাঙনে উৎসাহী। ‘মুক্তধারা’ ও ‘রক্তকরবী’তে আমরা বিশ্বসংকট, সংকটের শ্রেণিগত রূপ সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের পরিবর্তিত চৈতন্যকে প্রত্যক্ষ করি। ব্যক্তিবিশ্বের সংকটকে বিধৃত করার পূর্বধরন বদলে গেল, জীবন ও প্রতিষ্ঠানের দ্বন্দ্বকে তিনি...
    বরেণ্য জার্মান সাহিত্যিক গুন্টার গ্রাস একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও ভাস্কর। তাঁর শিল্প ও সাহিত্যকর্মে সাহিত্যের স্বকীয় ধারা বিকশিত। মানবিক শুভবোধ, মুক্তির সংগ্রাম, আগ্রাসী রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বরাবর তাঁর লেখার উপলক্ষ হয়েছে। ১৯৯৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত হন। দ্য টিন ড্রাম, ক্যাট অ্যান্ড মাউজ, পিলিং দ্য ওনিয়ন প্রভৃতি তাঁর বিখ্যাত রচনা। নোবেল বিজয়ের ২ বছর আগে বিখ্যাত সাহিত্যপত্র প্যারিস রিভিউর মুখোমুখি হন গ্রাস। সেই অমূল্য আলাপচারিতার খানিকটা উপস্থাপিত হলো। ভাষান্তর করেছেন হুমায়ূন শফিক  lআপনি যখন কোনো কাজের মধ্যে থাকেন, তখন আপনার প্রতিদিনের রুটিন কেমন হয়? গুন্টার গ্রাস: প্রথম খসড়ার কাজের সময় প্রতিদিন পাঁচ থেকে সাত পাতা লিখি। তৃতীয় খসড়ার সময় প্রতিদিন লিখি মাত্র তিন পাতা। এই সময়ে গতি স্লো হয়ে যায়। lসকালে, বিকেলে না রাতে– কখন লেখেন? ll রাতে...
    তোমার শিশুটি আর গাজার শিশুটির জন্য আলফ্রেড খোকন পাখিদেরও বাসা আছে, অন্তত খাঁচার বাসাটি ফিলিস্তিনে মানুষের কোনো বাসা নেই, খাঁচাটিও নেই মাথার উপর নেই তিলঠাঁই আকাশ! পাখিরা হয়তো উড়ে যেতে পারছে সীমান্ত পেরিয়ে  পায়ে হেঁটে ফিলিস্তিনের মানুষ আর  কতদূর যাবে! আমরা কি এখনো দেখতে থাকব মানুষ হত্যার নামে যুদ্ধের করুণ সার্কাস! আমি জানি না মাহমুদ দারবিশের কবুতরটি আজ আর বেঁচে আছে কিনা এই মুহূর্তে যে কবি কলম খুলছিল মুক্তির কবিতা লিখবে বলে, তার একটি আঙুলও আর অক্ষত আছে কিনা ঘাসকেই ক্ষুধার রুটি ভেবে যে করুণ শিশুটি নাস্তা করছিল আর বনরুটির মত চিবুচ্ছিল রক্তাক্ত ঘাস নিজের আঙুলের রক্তকেই সে জেলি ভেবে খেয়েছিল কিনা জাতিসংঘ তাকে কিভাবে দিয়েছে আশ্বাস আমি জানি না; আজ এই নির্বাক নত সন্ধ্যায় কথা বলো, রুখে দাঁড়াও,  তোমার...
    ‘ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা থেকে যখন বাংলাদেশে আসি, মা তখন ভালোভাবে বিদায় জানাতে পারেননি, সুযোগ ছিল না। শরণার্থীশিবিরের গেটের ভেতর দাঁড়িয়ে ছিলেন। আমার অপেক্ষায় মা এখনো সেখানে দাঁড়িয়ে থাকেন কি না, জানি না। সাড়ে তিন বছর পেরিয়ে গেছে, দেশে ফিরতে পারিনি। কত দিন জানেন! বহুদিন হলো মায়ের মুখ দেখা হয়নি। মা কেবল হৃদয়ে আছে। আর চোখের ভেতর যুদ্ধ-বোমা-শেল-আর্তনাদ ও অগণিত মৃত্যুর দৃশ্য।’উদ্বিগ্নতা ও টলটলে চোখ নিয়ে নিদারুণ কষ্টের এই কথাগুলো বলেছেন মোহাম্মদ জিহাদ আবু সাকের নামের ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার ২২ বছর বয়সী এক তরুণ। বৃত্তি পাওয়া সূত্রে তিনি ঢাকা ডেন্টাল মেডিকেল কলেজে পড়েন। চতুর্থ বর্ষের এই শিক্ষার্থী থাকেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলে।যুদ্ধ, বোমা ও শেলের শব্দের সঙ্গে সাকেরের পরিচয় শৈশব থেকেই। সেই যুদ্ধের ভেতরও মা–বাবার ছায়ার কাছে...
    কয়েক দিন পরই নববর্ষ। নববর্ষ মানেই বৈশাখী মেলা। এই মেলা ঘিরে বাঁশির কদর একটু বেশিই। মেলায় বাঁশির জোগান দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। এমন ব্যস্ততা দেখা গেছে বাঁশির গ্রাম শ্রীমুদ্দিতে।  কুমিল্লার হোমনা উপজেলা সদর থেকে ২ কিলোমিটার দূরে তিতাস নদীর তীরে শ্রীমুদ্দি গ্রাম। এই গ্রামে তৈরি হয় হাতে তৈরি বাহারি রকমের বাঁশের বাঁশি। এখানকার বাঁশি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে যাচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে। গ্রামের প্রায় সবাই বাঁশি তৈরি করে থাকেন। এ কারণে শ্রীমুদ্দি বাঁশির গ্রাম নামে পরিচিত। সরেজমিন শ্রীমদ্দি গ্রাম ঘুরে চোখে পড়েনি বেকার কোনো তরুণ-তরুণী দুঃখময় চেহারা। গ্রামের প্রায় সব বাড়ি দোচালা ঘরের। প্রতিটি বাড়ির আঙিনা ও অলিগলিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন রকমের নকশা করা বাঁশি। নারী-পুরুষ-শিশুসহ সব বয়সের মানুষই বাঁশিশিল্পের বিভিন্ন নকশা তৈরি, ছিদ্র করা, ধোয়া-শুকানো ও রং করার...
    সাধারণভাবে আমরা ধরে নিই, পুরুষের বুক হবে সমতল কিংবা সামান্য উঁচু। কিন্তু কারও স্তন যদি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায় এবং অনেকটা নারীসুলভ হয়ে যায়, তখন তা অত্যন্ত বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় আমরা একে বলি গাইনিকোম্যাস্টিয়া। নবজাতক অবস্থায় বাচ্চা ছেলেদের এ রকম থাকতে পারে। বয়ঃসন্ধিকালে কিশোরদের স্তনে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি দেখা যায়, যেটি সাধারণত দুই-তিন বছরের মধ্যেই কমে যায়। এ ছাড়া প্রৌঢ়ত্বের পরে বয়স্ক পুরুষদের মধ্যেও এ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এই বৃদ্ধিকে কখন সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়? বয়ঃসন্ধিকালে এ বৃদ্ধি হলেও তা আবার স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার কথা। যদি ১৮ বা ২০ বছর বয়সেও তা স্বাভাবিক না হয়, তখন একে সমস্যা হিসেবে ভাবা হয়। যদি পোশাকের বাইরে থেকেও এটি বোঝা যায় এবং তা নিয়ে সেই তরুণ বা যুবক সামাজিকভাবে বিব্রত...
    শারীরিক অসুস্থতাবয়স বাড়লে পাকস্থলী ও অন্ত্রের বিভিন্ন রকম জটিলতা শুরু হয়। অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম ও পেট ফাঁপার মতো সমস্যাগুলো অহরহই হয়। আর পেটের সমস্যা হলে তো একদম খেতেই ইচ্ছা করে না।ডায়াবেটিস, ক্রনিক কিডনির রোগ, লিভারের অসুখ, ক্যানসার, আর্থ্রাইটিস বা যেকোনো ব্যথা ও দীর্ঘমেয়াদি রোগে খাওয়ার রুচি কমে যায়।বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন কমতে থাকে। আবার বয়স বেড়ে গেলে শরীরে মেটাবলিজম কমে যায়, ফলে খাবারের আগ্রহ কমে।বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শরীরে বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধে আর অনেক রকমের ওষুধ খেতে হয়। এর মধ্যে অনেক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ক্ষুধামান্দ্য হতে পারে।বেশির ভাগ মানুষের বয়স হয়ে গেলে দাঁতে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয়। দাঁত পড়ে যাওয়া, মাড়ি ফুলে যাওয়া, দাঁতব্যথা অন্যতম। এমন সমস্যায় খাবার চিবানো ও খেতে অসুবিধা হয়।বয়স হয়ে গেলে খাবারের...
    পহেলা বৈশাখ বাঙালি সংস্কৃতিতে অমলিন এক উৎসবের নাম। নানা উৎসব আয়োজনের পাশাপাশি নববর্ষের প্রথম দিনে নতুন পোশাক পরার রীতি চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। উৎসবের এসব পোশাকে থাকে বাঙালিয়ানার ছাপ। যে কোনো উৎসব-পার্বণে বাঙালি নারীর পছন্দের পোশাক শাড়ি। বৈশাখ হলে তা আরও বেড়ে যায়। প্রতি বৈশাখেই তাই বাহারি শাড়ির পসরা সাজায় ফ্যাশন হাউসগুলো। শাড়ির সুতায় বা জামদানিতে ফুটে ওঠে একটি শাশ্বত রীতি, যা অতীতের গাঁথুনি আর বর্তমানের চেতনা একত্র করে। বাহারি রঙের শাড়ির উজ্জ্বলতা, কোমলতা– সবকিছু যেন নতুন কিছু শুরুর আহ্বান জানায়। অন্যদিকে পহেলা বৈশাখে ছেলেরা নিজেদের সাজায় পাঞ্জাবির সাজে। আজকাল শুধু লাল-সাদা নয়, অন্যান্য উজ্জ্বল রংও প্রাধান্য পায় পাঞ্জাবিতে। বেলবুট, কুর্তা এবং ধুতি-চাদর পরিধানে পহেলা বৈশাখে পুরুষদের চেহারায় ফুটে ওঠে এক চিরন্তন সৌন্দর্য।  যদিও বৈশাখের পোশাকের মধ্যে ঐতিহ্যিক শাড়ি...
    কলেজ ও মাধ্যমিক স্কুল মিলে ২০১৬ সাল থেকে উপজেলা স্তরের অন্তত সাড়ে ৬০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারীকরণ প্রক্রিয়ায় আনা হয়। অনেক প্রতিষ্ঠান ‘কাঠখড় পুড়িয়ে’ দীর্ঘদিনে শিক্ষক-কর্মচারীদের পদায়নসহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হলেও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান নানা কারণ ও অজুহাতে এখনও অনেক পিছে পড়ে রয়েছে।    মন্ত্রণালয়-দপ্তর-বিভাগ; এ টেবিল-ও টেবিল; বড় কর্তা-মাঝারি কর্তা-ছোট কর্তা– সবার মন রক্ষা করা কঠিন হলেও তা করার জন্য সাধ্যানুসারে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ২০১৬ সালে শুরু হওয়া প্রক্রিয়াটি ৮-৯ বছরেও সম্পন্ন করা গেল না! তাহলে কী লাভ হলো এমন সরকারীকরণে? এ দীর্ঘ সময়ে সরকারীকরণের কোনো সুবিধা না পেয়েই অনেকে অবসরে চলে গেছেন। মৃত্যুও হয়েছে অনেকের।  অনেক প্রতিষ্ঠানে এক বা দেড়-দুই বছর আগে অর্ধেক সংখ্যক (প্রতিষ্ঠানভেদে কম-বেশি হতে পারে) শিক্ষক-কর্মচারীর পদায়ন হয়েছে, বাকিগুলো ঝুলন্ত।  না সরকারি-না বেসরকারি অবস্থায় তাদের...
    সুনেরাহ বিনতে কামাল। অভিনেত্রী ও মডেল। ঈদে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত সিনেমা ‘দাগি’। নতুন সিনেমা ও সমসাময়িক অন্যান্য প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন এমদাদুল হক মিলটন। প্রথমবার ঈদে আপনার অভিনীত কোন সিনেমা মুক্তি পেল, কেমন লাগছে? ঈদে সিনেমা মুক্তি পাওয়া অবশ্যই আনন্দের। কারণ ঈদ উৎসবে মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে সিনেমা দেখতে যায়। হলে হলে দর্শকের ঢল নামে। এ রকম একটি উৎসবে নিজের সিনেমা মুক্তি সৌভাগ্যের। দর্শক প্রতিক্রিয়া জানার কী সুযোগ হয়েছে? বেশ ভালো। যারা সিনেমাটি ইতোমধ্যে দেখেছেন, প্রত্যেকের কাছ থেকেই খুব প্রশংসা পাচ্ছি। অনেকেই আমার অভিনীত চরিত্রটি পছন্দ করেছেন। দর্শক দীর্ঘদিন এ রকম একটি সিনেমার অপেক্ষায় ছিলেন। এ সিনেমাটির মাধ্যমে তাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে বলে আমি মনে করি। মহাখালীর একটি প্রেক্ষাগৃহে আমি একা মাস্ক পরে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলাম। সরাসরি...
    সুনেরাহ বিনতে কামাল। অভিনেত্রী ও মডেল। ঈদে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত সিনেমা ‘দাগি’। নতুন সিনেমা ও সমসাময়িক অন্যান্য প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন এমদাদুল হক মিলটন। প্রথমবার ঈদে আপনার অভিনীত কোন সিনেমা মুক্তি পেল, কেমন লাগছে? ঈদে সিনেমা মুক্তি পাওয়া অবশ্যই আনন্দের। কারণ ঈদ উৎসবে মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে সিনেমা দেখতে যায়। হলে হলে দর্শকের ঢল নামে। এ রকম একটি উৎসবে নিজের সিনেমা মুক্তি সৌভাগ্যের। দর্শক প্রতিক্রিয়া জানার কী সুযোগ হয়েছে? বেশ ভালো। যারা সিনেমাটি ইতোমধ্যে দেখেছেন, প্রত্যেকের কাছ থেকেই খুব প্রশংসা পাচ্ছি। অনেকেই আমার অভিনীত চরিত্রটি পছন্দ করেছেন। দর্শক দীর্ঘদিন এ রকম একটি সিনেমার অপেক্ষায় ছিলেন। এ সিনেমাটির মাধ্যমে তাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে বলে আমি মনে করি। মহাখালীর একটি প্রেক্ষাগৃহে আমি একা মাস্ক পরে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলাম। সরাসরি...
    বাংলাদেশের পোশাকে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্ক আরোপ করা উচিত হয়নি বলে মনে করেন নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যান। এ ধরনের সিদ্ধান্তে মার্কিন ক্রেতাদের জীবন বিঘ্নিত হবে। এতে মার্কিন নাগরিকদের জীবন আরও নিরাপদ হবে—সেই সম্ভাবনা নেই, বরং মার্কিনদের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাবে।জাতীয় নিরাপত্তার কথা বলে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। এটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি বন্ধুস্থানীয় ও প্রতিবেশী দেশেও উৎপাদন করা প্রয়োজন, এতে সরবরাহব্যবস্থার ওপর ভরসা করা যায়। এই উভয় বিবেচনায় বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, কানাডা ও মেক্সিকোর মতো দেশের পণ্যে উচ্চ শুল্ক আরোপ করা ঠিক হয়নি বলে মনে করেন পল ক্রুগম্যান।মার্কিন সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন পল ক্রুগম্যান।আলোচনায় মার্কিন বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ রবার্ট লাইথিজারের কথা বলেন পল ক্রুগম্যান। বলেন, তাঁর এই বন্ধু ওয়াশিংটনে বাণিজ্য সংরক্ষণবাদী হিসেবেই পরিচিত। বাণিজ্যের জগতে তিনি...
    তখন সবেমাত্র ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে। শেষ মুহূর্তের সামান্য কেনাকাটার উদ্দেশ্যে ঢাকার মোটামুটি নামকরা এক বিপণিবিতানে গিয়েছিলাম।জমজমাট ঈদের কেনাকাটা চলছে সেখানে। ফ্যাশনজগতের সুপ্রসিদ্ধ কোনো এক ব্র্যান্ডের দোকানে সামান্য কিছু কেনার জন্য পা বাড়াই। হঠাৎ কানে আসে ‘খালি এক শ!, খালি এক শ!’অবাক হয়ে দেখলাম, বিপণিবিতানের হাঁটা পথের ওপর ছোট ছোট কাপড়ের টুকরা নিয়ে বসেছেন কয়েকজন বিক্রেতা। ফুটপাতে হকারদের এ ধরনের বিকিকিনির দৃশ্য খুবই স্বাভাবিক আমাদের কাছে। এমনকি নিউমার্কেট, গাউছিয়া, হকার্স মার্কেটেও এই ধরনের ব্যবসা হরহামেশাই চোখে পড়ে। কিন্তু অভিজাত বিপণিবিতানগুলোতে সাধারণত এই রকম দৃশ্য চোখে পড়ে না। কিছুটা কৌতূহলী হয়ে এগিয়ে গেলাম সামনে।একটুকরা কাপড় হাতে তুলে নিলাম। কাপড়টি দেড় গজের মতো হবে। বিক্রেতাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘পুরো কাপড়টাই কি এক শ টাকা?’ তিনি মুহূর্তের মধ্যে কাপড়ের টুকরাটি আমার হাত থেকে ছোঁ...
    চৌকস হতে কে না চায়! চট করে জেনে নেওয়া যাক পাঁচ জাপানি টেকনিক, যা সহজে নতুন কিছু শিখতে, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে, স্মৃতিশক্তি বাড়াতে, সৃজনশীল কাজে মনোনিবেশ করতে সাহায্য করে। ১. শিরিতরিশিরিতরি হলো ‘ওয়ার্ড অ্যাসোসিয়েশন গেম’। আমরা সবাই কমবেশি খেলাটার সঙ্গে পরিচিত। ধরুন, প্রথমজন বলল, ‘এ ফর অ্যাপল।’ দ্বিতীয়জন বলল, ‘এ ফর অ্যাপল, বি ফর বল।’ তৃতীয়জন বলল, ‘এ ফর অ্যাপল, বি ফর বল, সি ফর ক্যাট।’এভাবে ঘুরে ঘুরে খেলা চলতে থাকে। যে মনে রাখতে পারে না বা ভুল করে, সে বাদ। আর যে ঠিক ঠিক মনে রেখে শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি শব্দ বলতে পারে, সে-ই জয়ী হয়। এটা মস্তিষ্কের জন্য খুব ভালো একটা ব্যায়াম (সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ সিনেমায় একটি দৃশ্য আছে। সেখানে চরিত্ররা বনে বেড়াতে গিয়ে ‘শিরিতরি’...
    শনিবার রংপুরে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের বিচার বিভাগ পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।’ তাঁর এ মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠা হলে সেটি আমাদের জন্য একটি ‘মাইলফলক’ হবে।প্রধান বিচারপতি বলেছেন, ‘পৃথক সচিবালয় বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। প্রস্তাবিত সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় বিচারিক নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ ও অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বিচারকদের বদলি ও পদোন্নতিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।’ পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠিত হলে এ রকম আরও অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন হবে, সেটা অনেকেরই প্রত্যাশা।রুলস অব বিজনেস অনুসারে, বিচার–কর্ম বিভাগসংক্রান্ত কাজগুলো প্রধানত সরকারের আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় সম্পাদন করে থাকে। আর কিছু অংশ করে সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রি, যা কেবল সুপ্রিম কোর্টের দাপ্তরিক কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য প্রতিষ্ঠা করা...
    ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার লতাবুনিয়া গ্রামের চালিতাতলা শাখার খালের ওপর বেইলি সেতুটি সংস্কারের অভাবে যান ও পথচারীদের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বারবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কর্তৃপক্ষের কাছে ধরনা দিয়েও মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে সেতুর পাশ দিয়ে খালে বাঁধ দিয়ে কোনো রকমে বিকল্প চলাচলের ব্যবস্থা করে নিয়েছেন স্থানীয়রা।   ৭০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৫ মিটার প্রস্থের এই বেইলি সেতুটি নির্মিত হয়েছিল ৩৬ বছর আগে। অনেকদিন ধরে এর কোনো সংস্কার হয়নি। সেতুর স্টিলের পাটাতন সরে ফাঁক হয়ে গেছে। নাটবোল্ট খুলে  ভেঙে গেছে রেলিংয়ের বেশির ভাগ। মরিচা পড়ে বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। এসব গর্তে পড়ে যানবাহন নষ্ট হচ্ছে। আহত হয়েছেন যাত্রী ও পথচারী। বর্তমানে সেতু দিয়ে বড় যানবাহন চলতে পারে না। ঝুঁকি নিয়ে এখনও চলছে অটোরিকশাসহ ছোট যান। সেতুটির এমনই বেহাল...
    মিয়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা হাজার হাজার। ধর্ম–বর্ণ–ধনী-গরিবনির্বিশেষে কেউ ছাড় পায়নি। দেশের মধ্যাঞ্চলেই ক্ষয়ক্ষতি বেশি। বিশেষ করে মান্দালয় অঞ্চলে। মান্দালয় ও পাশের অমরাপুরা মিয়ানমারের পুরোনো রাজধানী। ফলে এখানে আছে পুরোনো দিনের অনেক স্থাপনা। আবার ভূমিকম্পের কেন্দ্রও ছিল এই শহরের খুব কাছে। ফলে মান্দালয়ের অবস্থা হয়েছে আণবিক বোমা পড়ার পর হিরোশিমা-নাগাসাকির অবস্থার মতো।মিয়ানমারের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই শহরের মুসলমান পরিবারগুলো ভূমিকম্পে বাড়তি বিধ্বস্ত। ভূমিকম্প আঘাত হানে শুক্রবার জুমার সময়। এই অঞ্চলের প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমান পুরুষদের বড় অংশ এ সময় মসজিদে ছিলেন। জুমা সাধারণত একটা নির্দিষ্ট সময়ে মসজিদেই পড়ার রেওয়াজ। আবার ভূমিকম্পের দিনটি ছিল রোজার মাসের শেষ জুমাবার। ফলে উপস্থিতির সংখ্যা ছিল স্বাভাবিক জুমার চেয়ে বেশি।ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল দুপুরে নামাজের সময়ে। মুসল্লিরা কেউ মসজিদে এ সময় ছিলেন রুকুতে, কেউ সিজদায়, কেউবা মোনাজাতে। কোথাও নামাজ সবে...
    বল হাতে এক উইকেট পাওয়ার পর ব্যাট হাতে ৫৫ বলে অপরাজিত ৬৭ রান। মিরপুরে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে আজ প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে মোহামেডানের জয়ে মেহেদী হাসান মিরাজের অবদানই বেশি, হয়েছেন ম্যাচসেরাও। সংস্করণে ভিন্নতা থাকলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে নিজের ফর্ম নিশ্চিতভাবে বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে জাতীয় দলের এই ক্রিকেটারকে।আজ ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন মিরাজ, স্বাভাবিকভাবে সেখানেও ঘুরেফিরে এসেছে জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রসঙ্গই। অনেক বছর ধরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজকে কিছুটা হালকাভাবে নেওয়া হলেও বাস্তবে আফ্রিকার এই দলটার বিপক্ষে সতর্ক না থাকলে উল্টো বিপদে পড়ারই ভয় থাকে। কারণ, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ে বাংলাদেশের খুব আনন্দিত হওয়ার কিছু না থাকলেও তাদের বিপক্ষে যেকোনো হার সমালোচনার শূলে চড়ায় ক্রিকেটারদের।আন্তর্জাতিক ম্যাচ সব সময়ই কঠিন। বড় দল, ছোট দল এ রকম নয়। এখানে পারফর্ম করলে আন্তর্জাতিকভাবেই সেটার স্বীকৃতি...
    বাংলাদেশের প্রধান ভূরাজনৈতিক সমস্যা অবশ্যই রোহিঙ্গা ইস্যু। এটা ইতিমধ্যে যথেষ্ট পুরোনো হয়েছে। এখন তা জটিল পর্যায়ে।যেকোনো পুরোনো ও জটিল ভূরাজনৈতিক সমস্যায় জনতুষ্টির ছোঁয়া তাকে আরও জটিল করে। এ বিষয়ে সবার সতর্কতা কাম্য।রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য প্রধান মুশকিলের দিক হলো আট বছরে আরাকানের (রাখাইন) পরিস্থিতি আমূল বদলে গেছে। রোহিঙ্গাদের তাড়িয়েছিল বার্মার সশস্ত্র বাহিনী। এখনকার আরাকানের ৮০-৯০ ভাগ অংশে তারা আর নেই। আরও সঠিকভাবে বললে, রোহিঙ্গাপ্রধান অঞ্চল উত্তর আরাকানের শত ভাগই রাখাইন গেরিলা তথা আরাকান আর্মির দখলে।এ রকম অবস্থায় রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর যেকোনো বিশ্বাসযোগ্য ও বাস্তবায়নযোগ্য উদ্যোগে আরাকান আর্মির পূর্ণ সম্মতি ও অংশগ্রহণ লাগবে। এমনকি মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সামরিক জান্তা রোহিঙ্গা প্রশ্নে ইতিবাচক হলেও আরাকান আর্মির সদয় সম্মতি ছাড়া রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো দুরূহ। সেটা বাস্তবসম্মতও হবে না। আবার আরাকান আর্মি ও...
    বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ে মতামত জরিপের প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ কম। বাণিজ্যিক বিষয়ে ‘মার্কেট সার্ভে’ করে কিছু কোম্পানি, যারা মূলত করপোরেটদের তথ্য জোগায়।দেশে এই মুহূর্তে রাজনৈতিক-সামাজিক পরিবেশে বড় ধরনের অদলবদল ঘটছে। সেই পরিবর্তনের ধরন বোঝা যেত পদ্ধতিগত নির্মোহ জরিপ হলে। সেই সংস্কৃতিতে পিছিয়ে আছি আমরা। ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণে যেটা দেখি, চব্বিশের অভ্যুত্থানের পর থেকে রাজনৈতিক ঘরানা হিসেবে বিএনপি ও ‘ছাত্র নেতৃত্বে’র প্রভাব কমছে। বিপরীতে জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক প্রভাব ও জনসমর্থন বাড়ছে।বাংলাদেশের সমাজের এই পরিবর্তন অনুসন্ধানী বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদেরও নজর কাড়ছে। তাঁরা এটাকে ‘কট্টরপন্থা’র উত্থান আকারে হাজির করেছেন। নিউইয়র্ক টাইমস–এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে তারই ছাপ দেখা গেল। বাংলাদেশের চলতি এই মোড়বদল যতটা রাজনৈতিক, তার চেয়ে বেশি সামাজিকও বটে।জরুরি মতাদর্শিক টানাপোড়েনে রাজনীতিঅন্তর্বর্তীকালীন সরকার থেকে শুরু করে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো নিউইয়র্ক টাইমস–এর প্রতিবেদনের তথ্য-উপাত্ত...
    বিগ ব্যাং বিস্ফোরণের পর মহাবিশ্বে প্রথম জ্বলে ওঠা আলোর ছবি তুলেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। বিজ্ঞানীদের দাবি, বিগ ব্যাং বিস্ফোরণের ৩৩ কোটি বছর পর এই আলো নির্গত হয়েছে। সে সময় হাইড্রোজেন গ্যাসের ঘন কুয়াশার কারণে অন্ধকার ভেদ করে আলো ছড়িয়ে পড়া বেশ কঠিন ছিল। তবে জেডস বা জেএডিইএস-জিএস-জেড১৩-এলএ নামের এক ছায়াপথ থেকে সেই পরিস্থিতিতে কোনোভাবে এই আলো ছড়িয়ে পড়েছে। জেডস নামের ছায়াপথটি মহাবিশ্বের সবচেয়ে দূরবর্তী ছায়াপথের মধ্যে একটি। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ ছবি তোলার আগে এই আলো প্রায় ১ হাজার ৩৫০ কোটি আলোকবর্ষ ভ্রমণ করে এসেছে। এই ছায়াপথটি মহাবিশ্বের মতোই বেশ প্রাচীন।জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা যত দূরে তাকাচ্ছেন, ততই মহাকাশের শুরুর দিককার বিভিন্ন তথ্য জানতে পারছেন। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, জেডস ছায়াপথ থেকে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ...
    ২০২৩ সালের জুলাই মাসে গণমাধ্যম সূত্রে জানতে পারি, চারটি নদীর জন্য একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয়েছে। প্রকল্পের নাম ‘জিনাই, ঘাঘট, বংশী ও নাগদা নদীর প্রবাহ পুনরুদ্ধারের জন্য শুষ্ক মৌসুমে নদীর প্রবাহ নিশ্চিতকরণ, নৌপথের উন্নয়ন ও বন্যা ব্যবস্থাপনা নির্মাণ’। প্রকল্পটি ২০২২ সালের জুলাই মাসে একনেকে উত্থাপন করার কথা ছিল। নতুন প্রকল্পে লাগাম টেনে ধরার জন্য সে বছর এই প্রকল্প একনেকে উত্থাপন করা হয়নি। এক বছর পর ২০২৩ সালে ৪ হাজার ১৬৮ কোটি টাকায় এ প্রকল্প অনুমোদন করে সরকার।ঘাঘট নদ যেহেতু আমরা সব সময় দেখি, নদীটি নিয়ে কাজ করি, তাই প্রকল্প সম্পর্কে জানার আগ্রহ হয়। রংপুর জেলা নদী রক্ষা কমিটির সদস্য হিসেবে নদীবিষয়ক একটি সভায় আমি ডিসি তথা জেলা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতির কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাই। রংপুরের তৎকালীন ডিসি জানান,...
    ২০২৩ সালে খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানেন। অবসর নিলেও ভালোবাসার সাঁতারের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রেখেছেন। বর্তমানে বেসরকারি একটি স্কুলে সুইমিং ইনস্ট্রাক্টর ও কোচ হিসেবে আছেন। পুলে একসময় ঝড় তোলা মাহফিজুর রহমান সাগর ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। সাঁতার নিয়ে নিজের পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন সমকালের কাছে। সমকাল : সাঁতারু থেকে এখন ফেডারেশনের কমিটিতে... সাগর : সত্যি কথা বলতে, আমি এখানে থাকার জন্য মরিয়া নই। যদি কাজ করতে পারি থাকব, না করতে পারলে থাকব না। এখন না, ভবিষ্যতে বা যে কোনো সময়। আমি পদ ধরে রাখতে বিশ্বাসী নই। আমি যদি এখানে কাজ না করতে পারি, তাহলে পদত্যাগ কিংবা অন্য যেটা প্রয়োজন সেটা করব। আমি তো দীর্ঘ সময় খেলোয়াড় হিসেবে সাঁতারের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম। এখানে দেখেছি অনেক সমস্যা। আমি চাই, ওই সমস্যাগুলো...
    ধ্রু ব অরণ্য বয়সে ছোট হলে কী হবে, বড় ভাই আরিয়ান তূর্য তার সঙ্গে পেরে ওঠে না। অনেক কিছুই ধ্রুব আগেভাগে বুঝে ফেলে। আরিয়ান তখন গোলকধাঁধায় ঘুরপাক খায়। বই পড়ার কথাই ধরা যাক না কেন! ধ্রুব এলোমেলোভাবে বইয়ের পাঁচ থেকে সাতটা পৃষ্ঠা খুললেই বলতে পারে, ভেতরে ছবি আছে কী নেই। অন্যদিকে এটি বোঝার জন্য আরিয়ানকে একটা একটা করে পুরো বইয়ের পাতা ওল্টাতে হয়। বোকা না আরিয়ানটা! আব্বু ছোট-বড় সবার বই-ই পড়েন। যখন তিনি পড়েন দুই ভাইয়ের চেষ্টা থাকে, বইয়ের ভেতরটা উল্টেপাল্টে দেখা। বইয়ে ছবি থাকলে সেটিই ভালো, না থাকলে পচা। সেদিন আব্বু ভালো একটি বই পড়ছিলেন। বইটার নামটাও ভারী সুন্দর– রাজুর ভূতুড়ে ম্যাজিক। লেখকের নাম মুহসীন মোসাদ্দেক। ধ্রুব যথারীতি বই উল্টেপাল্টে দেখে বললো, ‘আব্বু, এই বইয়ের নাম কী?’ ‘রাজুর ভূতুড়ে...
    বঙ্গের পুরোনো ঐতিহ্য– ‘সাহেব’ জগৎ থেকে কিছু বলা হলে ‘নেটিভ’ জগৎ বাড়তি গুরুত্ব দেবে। ইসলামী কট্টরবাদের উত্থান নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন বাংলায় সেই সূত্রে অতিরিক্ত মনোযোগই পেল। তবে প্রতিবেদনটি ঠিক সাহেবদের তৈরি নয়। এর বিষয়বস্তুর স্থানীয় সমর্থনসূচক বাস্তবতাও খুব বেশি নাকচ করা যাচ্ছে না। যদিও প্রতিবেদনটি অস্বীকারের দুর্বল কিছু চেষ্টাও নজরে পড়ল। বাংলাদেশ যে এবারের পহেলা এপ্রিলে তাকে নিয়ে করা নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন দেখে চমকে উঠল, সেটাও বেশ কপটতায় মোড়ানো বটে। ঢাকায় নিষিদ্ধ ধর্মীয় কট্টরপন্থিদের পোস্টার-ফেস্টুন-প্রচার খুব বিরল নয়। নিয়মিতই চোখে পড়ে। আবার এ রকম সংগঠন কেবল প্রচার আন্দোলনেই থেমে নেই। মাত্র ক’দিন আগেই রীতিমতো সমাবেশ করে তিন-চারজন সুপরিচিত লেখকের ফাঁসি কার্যকরের হুমকি দেওয়া হয়েছে। সরকার কি হুমকিদাতাদের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে? কিংবা লাগাতার মাজার ভাঙা থামানো হয়েছে? মাত্র আট...
    আশাশুনির বিছট এলাকার খোলপেটুয়া নদীর ভেঙে যাওয়া বাঁধে ৪৮ ঘণ্টা পর আজ বুধবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ভাটার সময় ধীরগতিতে শুরু হয়েছে রিং বাঁধ (বিকল্প বাঁধ) দেওয়ার কাজ। কাজ তদরক করছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় আনুলিয়া ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম নদীর পানিতে তলিয়ে ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পাঁচ শতাধিক পরিবার ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। কয়েক শ কাঁচা ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে।আরও পড়ুনহঠাৎ বাঁধ ভেঙে আশাশুনিতে ডুবছে একের পর এক গ্রাম০১ এপ্রিল ২০২৫সাতক্ষীরা থেকে আশাশুনির দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার। সেখান থেকে আরও ২৫ কিলোমিটার গেলে আনুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ। পরিষদের দক্ষিণে আরও তিন কিলোমিটার গেলে বিছট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়–সংলগ্ন খোলপেটুয়া নদীর ভাঙনকবলিত এলাকা। সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙনকবলিত এলাকায় যত...
    ঈদের ছুটির দ্বিতীয় দিন ঢাকার মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের উপস্থিতি উৎসবের আমেজ তৈরি করে। রাজধানী ও আশপাশের জেলার বাসিন্দারা পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরে দেখছে খাঁচাবন্দি ‘চিড়িয়া’, পাখি, জলজ প্রাণী। ঈদে ঢাকার মানুষের বিনোদনের অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে এই চিড়িয়াখানা, যেখানে বিলুপ্তপ্রায় অনেক জীব-জন্তু রাখা আছে। ঈদুল ফিতরের উৎসব ঘিরে টানা ৯ দিনের সরকারি ছুটি। এই ছুটিতে ঈদের দিনের মতো দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) মিরপুর চিড়িয়াখানায় দেখা যায় দর্শনার্থীদের সরব সমাগম। চিড়িয়াখানায় গিয়ে দেখা যায়, কেউ এসেছেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে; কেউ কেউ এসেছেন বন্ধুদের সঙ্গে। ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন প্রজাতির সাপ, জন্তু-জানোয়ার, হরেক রকমের পাখি দেখছেন তারা। খাঁচাবন্দি জন্তু, পাখি, উভচর প্রাণী দেখতে এক খাঁচা থেকে আরেক খাঁচায় ছুটতে দেখা যায় দর্শনার্থীদের।   চিড়িয়াখানার ভেতরে মো. সানাউল হক সানি...
    ঈদের ছুটির দ্বিতীয় দিন ঢাকার মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের উপস্থিতি উৎসবের আমেজ তৈরি করে। রাজধানী ও আশপাশের জেলার বাসিন্দারা পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরে দেখছে খাঁচাবন্দি ‘চিড়িয়া’, পাখি, জলজ প্রাণী। ঈদে ঢাকার মানুষের বিনোদনের অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে এই চিড়িয়াখানা, যেখানে বিলুপ্তপ্রায় অনেক জীব-জন্তু রাখা আছে। ঈদুল ফিতরের উৎসব ঘিরে টানা ৯ দিনের সরকারি ছুটি। এই ছুটিতে ঈদের দিনের মতো দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) মিরপুর চিড়িয়াখানায় দেখা যায় দর্শনার্থীদের সরব সমাগম। চিড়িয়াখানায় গিয়ে দেখা যায়, কেউ এসেছেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে; কেউ কেউ এসেছেন বন্ধুদের সঙ্গে। ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন প্রজাতির সাপ, জন্তু-জানোয়ার, হরেক রকমের পাখি দেখছেন তারা। খাঁচাবন্দি জন্তু, পাখি, উভচর প্রাণী দেখতে এক খাঁচা থেকে আরেক খাঁচায় ছুটতে দেখা যায় দর্শনার্থীদের।   চিড়িয়াখানার ভেতরে মো. সানাউল হক সানি...
    যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প একের পর এক বিভিন্ন দেশের পণ্য আমদানিতে শুল্ক আরোপ করে আসছেন। চীন থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ রাষ্ট্র কানাডা এবং যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের ঐতিহাসিক মিত্র দেশগুলোকেও ছাড়েননি। এ জন্য পাল্টাও খেয়ে চলেছেন। এ রকম পরিস্থিতিতে তিনি আবার নতুন একগুচ্ছ শুল্ক প্রস্তাবের ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন। আগামীকাল বুধবার এই ঘোষণা দেবেন, যা আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন। কিন্তু বুধবার ট্রাম্প কি ঘোষণা করতে পারেন তা নিয়ে যেন জল্পনাকল্পনার শেষ নেই। কারণ, তিনি এরই মধ্যে বলে দিয়েছেন যে ছোট–বড় নির্বিশেষ কোনো দেশকেই ছাড়বেন না। সেটি বুঝা যায়, ট্রাম্পের বক্তব্যে। তিনি এই বুধবারকে ‘লিবারেশন ডে’ বা ‘স্বাধীনতা দিবস’ বলে ঘোষণা দিয়েছেন।এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট আজ মঙ্গলবার জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের কার্যালয় হোয়াইট হাউসের কর্মীরা নতুন করে...
    বাসায় মেহমান এসেছে, কিন্তু হাতে টাকা নেই। সে জন্য টাকা ধার করতে হয়েছে আয়েছ আলীকে। বাজারে গিয়ে দেখেন, গরুর মাংসের কেজি এখন ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা। এর মাঝামাঝি দামেরটা, অর্থাৎ ৮০০ টাকা কেজিতে তিনি আধা কেজি গরুর মাংস কিনেছেন ৪০০ টাকায়। আয়েছ আলী বলেন, ‘টাকার অভাবে ঈদের দিনেও বাসায় গরুর মাংস রান্না হয়নি। কিন্তু মেহমান আসবে। তাই আজ আর না কিনে পারলাম না।’আয়েছ আলী পেশায় বাসাবাড়ির নিরাপত্তারক্ষী। তবে অসুস্থতার কারণে তিন থেকে চার মাস ধরে তিনি বেকার। দেড় বছর ধরে তিনি সাত সদস্যের (পাঁচ মেয়ে ও স্বামী–স্ত্রী) পরিবার নিয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরের বিহারি ক্যাম্পে ভাড়া থাকেন। এর আগে গ্রামে দিনমজুরের কাজ করতেন তিনি। এখন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম হচ্ছেন তাঁর স্ত্রী, যিনি মোহাম্মদপুরেই তিনটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করেন। এ রকম নিম্নবিত্ত অনেক...
    এখনো কৈশোর পার হয়নি মোহাম্মদ তামিমের। তার আগেই শুরু হয়ে গেছে জীবিকার যুদ্ধ। দিনের বেশির ভাগ সময় কেটে যায় কারখানায়। ছোট্ট এই জীবনে খুশি-আনন্দের সময় তেমন আসে না। বছর ঘুরে যখন ঈদ আসে, তখন কিছুটা আনন্দ ধরা দেয় তামিমের কাছে। তবে এবার তার ঈদ অনেক বেশি বর্ণিল ও উৎসবমুখর।শুধু তামিম নয়, তার মতো অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত কয়েক শ শিশুর ঈদের আনন্দ আরও রঙিন করে তুলতে দারুণ এক উদ্যোগ নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য চট্টগ্রাম নগরের দুই নম্বর গেটের বিপ্লব উদ্যানে আয়োজন করা হয়েছে ‘সবাইকে নিয়ে ঈদ আনন্দ’ অনুষ্ঠান, চলবে ঈদের দিন ও পরদিন।দুই দিনের আয়োজনে শিশু-কিশোরদের ঈদের খুশি দ্বিগুণ করতে নানা ধরনের রাইড, অস্থায়ী সুইমিং পুল, নাগরদোলাসহ নানা ধরনের খেলার আয়োজন করেছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।...
    জীবনের পড়ন্তবেলায় এসে ঈদের উৎসবকে যখন রোমন্থন করি, তখন স্মৃতির গভীরে হারিয়ে যাই। ছোটবেলায় ঈদ ছিল এক অন্য রকম আনন্দের উৎসব। নতুন জামা বানাতে দরজির দোকানে মাপ দিতে যাওয়া, তারপর নতুন জামা হাতে পাওয়ার পর সেটি লুকিয়ে রাখা, যেন কেউ আগে দেখে না ফেলে! ঈদের দিন সইদের সঙ্গে গ্রামে ঘুরে বেড়ানো, ভাই–বোনদের সঙ্গে স্টুডিওতে ছবি তুলতে যাওয়া—এসব আনন্দের মুহূর্ত আজও হৃদয়ে জাগরূক। মনে হয়, সময় যেন আটকে গেছে, আমি এখনো সেই শৈশব–কৈশোরের রঙিন দিনগুলোর মধ্যেই আছি। কিন্তু যখন বাস্তবতায় ফিরি, তখন সবকিছু বিমূর্ত হয়ে যায়, ধূসর ও বিবর্ণ মনে হয়। মনের অজান্তেই চোখের কোণে জল এসে জমে।আমাদের ছোটবেলার ঈদ আজকের মতো জৌলুশময় ছিল না। মধ্যবিত্ত যৌথ পরিবারে ছিল আর্থিক টানাপোড়েন, ছিল পরিমিত জীবনের শিক্ষা। দাদা–দাদার ভাইদের বিশাল পরিবারের সদস্যদের জন্য...
    বেলুচিস্তানে জাতিগত অসন্তোষ অনেক দিনের। সেই অসন্তোষ এখন ক্রমে অগ্নিকাণ্ডের আকার নিচ্ছে।মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে ট্রেন ছিনতাইয়ের ঘটনায় পাকিস্তানের এ প্রদেশ বিশ্বজুড়ে বেশ নজর কেড়েছিল। এখন চলছে, বড় আকারে নাগরিক প্রতিবাদ।ছিনতাই হওয়া জাফর এক্সপ্রেস নামের ট্রেন ও তার যাত্রীদের উদ্ধার অভিযানে বিপুল মানুষ মরেছে সেখানে। সরকার বলছে, সংখ্যাটা প্রায় ১০০। বিএলএ (বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি) গেরিলারা বলছে, তারা সরকারি জওয়ানই মেরেছে প্রায় ২০০। ট্রেনে সাড়ে ৪৫০ যাত্রীর অর্ধেক ছিলেন বিভিন্ন রক্ষীদলের সদস্য।বিশ্বজুড়ে জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাকের ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। বেলুচ গেরিলারা সমরবিদ্যায় কীভাবে এত দক্ষ হলো, সে নিয়ে অনুসন্ধানের শেষ নেই। পাকিস্তান সরকারের ইঙ্গিত ভারত ও আফগান সরকারের দিকে।ছিনতাইয়ের ঘটনার পর বেলুচিস্তানজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক দমন-পীড়ন। ছিনতাই অধ্যায় দমনকালে নিহত বেলুচদের জানাজা পড়ায়ও বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাতে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু...
    ধনীদের নানা রকম শখ থাকে। একসময় বাংলাদেশের অভিজাত ধনীরা বিদেশি কুকুর পালতেন এবং বাড়ির সামনে ছোট্ট সাইনবোর্ডে ঝোলানো থাকত, ‘কুকুর হইতে সাবধান’। অভিজাত হওয়ার ক্ষেত্রে এটা ছিল অব্যর্থ লক্ষণ।সময় পাল্টেছে। এখন দেশের ধনীদের শখ বদলেছে। নতুন শখের তালিকায় যুক্ত হয়েছে গাড়ি কেনা, রিসোর্টে ঘুরতে যাওয়া, বাগানবাড়ি করা—এ রকম আরও কত কী! সেই সঙ্গে উন্নত বিশ্বের ধনীদের শখও পাল্টেছে। সেই শখের তালিকায় এখন যুক্ত হয়েছে ব্যক্তিগত বিমান থেকে শুরু করে প্রমোদতরি। মোদ্দাকথা, দৈনন্দিন জীবনের ঝামেলা থেকে রেহাই বা নিষ্কৃতি পেতে ধনীরা প্রায়ই পার্টি করেন। সেই পার্টিতে নতুন অনুষঙ্গ হিসেবে যুক্ত হয়েছে প্রমোদতরি।দেখা যায়, বিশ্বের প্রায় সব অতি ধনীর প্রমোদতরি আছে। দিন কয়েকের খাবারদাবার ও পার্টির নানা অনুষঙ্গ সঙ্গে করে এই অতি ধনীরা সাগরে প্রমোদতরি নিয়ে ভেসে পড়েন।ধনীরা বিলিয়ন বিলিয়ন বা শত...
    ‘আম্মু, আম্মু...’। সাড়ে চার বছরের জুবায়ের আবেগ জড়ানো কণ্ঠে মাকে ডাকছিল। পাশের ঘর থেকে মা আসতেই দৌড়ে কাছে গেল শিশুটি।ছোট্ট হাতে মাকে ধরে শিশুটির মুখের একগাল হাসি যেন থামছেই না। অথচ শুধু জুবায়ের নয়, তার বাকি পাঁচ ভাই-বোন ও বেতনভুক মাকে দেখে বোঝার উপায় নেই তারা কেউই রক্তের সম্পর্কে আবদ্ধ নয়। এক দিন, দুই দিন করে এই মায়ার শিকড় এতটাই শক্ত হয় যে তা আজীবন থেকে যায়।ঈদের প্রস্তুতি কেমন হলো? কীভাবে কাটবে এবারের ঈদ? সেসব জানতে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর শ্যামলীর এসওএস শিশুপল্লিতে যাওয়া। ‘জোনাকী’ নামের বাড়ির মা, অর্থাৎ জুবায়েরের মায়ের নাম নাদিরা খাতুন। তাঁর সঙ্গে যখন কথা হচ্ছিল, তিনি বারবার তার ছয় সন্তানের গুণের কথা বলছিলেন। কোন মেয়ে রান্না ভালো পারে, কোন ছেলে খেলাধুলায় ভালো— এসব বলাতেই যেন তাঁর রাজ্যের...
    পবিত্র ঈদুল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বেড়ার শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে বসেছিল ব্যতিক্রমী এক বাজার। বাজারে প্রায় ৮০০ অসহায় ও দরিদ্র মানুষ মাত্র দুই টাকায় ১০ রকমের পণ্য পেয়েছেন। শিক্ষার্থীদের ব্যতিক্রমী এ বাজারের নাম ‘দুই টাকায় আমেজ’।আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে বেড়া পৌর এলাকার সান্ডিয়ালপাড়া ঈদগাহ মাঠে বাজারের আদলে গড়ে তোলা বিভিন্ন স্টল থেকে দরিদ্রদের মধ্যে বিভিন্ন পদের ঈদ উপহার দেওয়া হয়। প্রতীকী দুই টাকার বিনিময়ে দেওয়া পণ্যের মধ্যে ছিল চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, চিনি, লবণ, সেমাই, সাবানসহ ১০ ধরনের পণ্য।ঈদসামগ্রী বিতরণের এ কর্মসূচির আয়োজন করে ‘শিক্ষার্থী সহযোগিতা সংগঠন’ নামের একটি সংগঠন। তাদের এ আয়োজনে অবশ্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তার পাশাপাশি সংগঠনের সদস্য এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের অর্থায়ন ছিল।বেলা ১১টায় শুরু হওয়া কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার...
    আগামী এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, লন্ডনে ভালো আছেন খালেদা জিয়া। তিনি সেখানেই পরিবারের সঙ্গে ঈদ করছেন।আজ রোববার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ উনি (খালেদা জিয়া) লন্ডনে এখন বেটার আছেন। আজ সেখানে ঈদ উদ্‌যাপিত হচ্ছে। এই ঈদ ফ্যামিলির সঙ্গে আট বছর পরে উনি উদ্‌যাপন করছেন। দিস ইজ আ গুড থিংক ফর আস।’খালেদা জিয়া কবে আসবেন—এ রকম প্রশ্নের জবাব দেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম সম্ভবত যতটুকু শুনেছি আমি, ফাইনাল নিশ্চিত না...এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে তিনি দেশে ফিরবেন।’গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়।আজ সংবাদ সম্মেলেন...
    ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে সিরিজ হেরে যাওয়ায় সরাসরি ওয়ানডে বিশ্বকাপে উন্নীত হয়নি বাংলাদেশ। নিগার সুলতানা জ্যোতিদের কোয়ালিফাইং রাউন্ড খেলে যেতে হবে বিশ্বকাপে। তিনি সতীর্থদের আহ্বান জানালেন, পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ বাছাই টুর্নামেন্টে সেরাটা উজাড় করে খেলতে। জাতীয় দলের উত্থান-পতন, বিসিবির সুযোগ-সুবিধা, ছেলেমেয়ে বৈষম্য নিয়ে মন খুলে বিশ্লেষণ করেছেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। তাঁর কথা শুনেছেন সেকান্দার আলী সমকাল: সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার প্রত্যাশা থাকলেও তা পূরণ হয়নি। কোয়ালিফায়ার খেলে বিশ্বকাপে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু? জ্যোতি: খেলোয়াড়, ম্যানেজমেন্ট, বিসিবি সবারই প্রত্যাশা ছিল সরাসরি বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করা। ওয়েস্ট ইন্ডিজে একটি ম্যাচ জেতার পর আমাদের ভেতরে আত্মবিশ্বাসও এসেছিল। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সেটা করতে পারিনি। আমাদের কারণেই বড় একটি সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে। এখন কোয়ালিফায়ার খেলে বিশ্বকাপে যেতে হবে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের মধ্য দিয়ে আমরা সে প্রস্তুতি নিয়েছি। বিসিবি...
    মৌলভীবাজারের বাজারে নতুন কিছু লেবু আসতে শুরু করেছে। এতে লেবুর দাম কিছুটা কমার দিকে। তবে যে দাম আছে, তা এখনো অনেকের নাগালের বাইরে।বড় আকারের পরিপক্ব, রসালো লেবুর জোগান একেবারেই কম। জোগান না থাকায় পরিপক্ব লেবুর দাম রোজার আগে থেকে যা ছিল, এখনো একই রকম আছে। যে লেবু এখন বাজারের চাহিদা পূরণ করছে, তার অনেকটাই অপরিপক্ব, পুরোপুরি রস হয়নি। বাজারে নতুন লেবু ওঠায় মাঝারি ও ছোট লেবুর হালি (চারটা) আকার অনুযায়ী ১০ থেকে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।এই সময়ে (শুকনো মৌসুমে) মৌলভীবাজারে প্রাকৃতিকভাবেই লেবুর উৎপাদন কম হয়ে থাকে। উপরন্তু এখন পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা নেই। অন্য সময় ফাল্গুন মাসে দু-এক পশলা বৃষ্টি হয়ে যায়। তাতে বাগানের লেবুগাছে ফুল-ফল চলে আসে। পর্যায়ক্রমে বাজারে লেবুর জোগানও বাড়তে থাকে, সংগত কারণেই দাম কমতে থাকে। এবার...
    মোগল বাদশাহদের প্রিয় ‘শির খোরমা’র প্রচলন পুরান ঢাকায় এখনো আছে। ভিন্ন রকমের সে খাবার নিয়ে যদি আগ্রহ না–ও থাকে, তবে ঈদের দিন রসনাবিলাসের বাসনা সবার থাকে। কালিজিরা চালের পোলাও, দেশি মুরগির ঝোল, কয়েক টুকরা বেগুনভাজা আর মিষ্টান্ন হলেও হতো, কিন্তু মানুষের সামর্থ্য, প্রয়োজনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখন তালিকায় যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন খাবার। তবে নাগরিক জটিলতায় মানুষের সময় ও শ্রমের সংকটও বাড়ছে। গরম চুলা থেকে কষানো মাংসের ঘ্রাণ ছুটে আসতেই হবে, সেই মাথা কুটে মরা রসনাবিলাস আর সেঁটে নেই ঈদের আয়োজনে। সেই প্রভাবই দেখা যাচ্ছে এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অনলাইনের বিভিন্ন খাবারের পেজে। তৈরি খাবার বিক্রি করা উদ্যোক্তারা ঈদের জন্য দিচ্ছেন বিভিন্ন রকমের অফার। রয়েছে ঈদ প্যাকেজ, কম্বো প্যাকেজ, স্পেশাল অফার, উপহার বাক্স অথবা বিশেষায়িত (কাস্টমাইজড) অর্ডার।হাতে তৈরি খাবারের...
    দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বার পদ্মা সেতু এলাকায় ঈদে ঘরমুখী মানুষ ও যানবাহনের চাপ দুই দিন ধরে অব্যাহত আছে। আজ শনিবার সকাল থেকে এক্সপ্রেসওয়ে ও সেতু এলাকায় যানবাহনের চাপ ছিল। তবে কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়াই স্বস্তিতে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে যেতে পারছেন এ পথের যাত্রীরা।চালক ও যাত্রীরা বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগে ঈদে বাড়ি ফেরার জন্য রীতিমতো যুদ্ধ করতে হতো তাঁদের। পদ্মা পাড়ি দেওয়ার জন্য শিমুলিয়া ফেরিঘাটে এসে একসময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা, এমনকি এক দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো তাঁদের। সেতু উদ্বোধনের পর থেকে সে ভোগান্তি কমেছে। তবে সেতু চালু হওয়ার পর বিগত কয়েকটা ঈদে সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় জটলা বাঁধার কারণে তাঁদের কিছু সময় অপেক্ষা করতে হয়েছিল। এবার ঈদের ছুটিতে শুক্রবার সকালে কিছুটা ভোগান্তি হলেও এর পর থেকে...
    জায়গাটিতে তখন এত মানুষের বসতি ছিল না। ঝোপ-জঙ্গলে স্থানটি দুর্গম ছিল, অন্য রকম ছিল। বাঘসহ অন্য সব বন্য প্রাণীর বিচরণ ছিল এই স্থানটিতে। এটা অনুমান করা যায় পাঁচ শতাধিক বছর আগের তৈরি মসজিদের দেয়ালের একটি চিহ্ন থেকে। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, ওই চিহ্নটি ‘বাঘের পায়ের থাবার’। সেই দাগ এখনো দেয়ালটিতে সময়ের স্মারক হয়ে আছে। মসজিদটিতে সময়ে সময়ে নানা রকম সংস্কার ও উন্নয়নকাজ হয়েছে। তবে পুরোনো আদল, ‘বাঘের থাবার চিহ্ন’, ফুলের নকশা এখনো বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে।মসজিদটির নাম ‘গয়ঘর ঐতিহাসিক খোজার মসজিদ’। অবস্থান মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নে। প্রাচীন স্থাপত্যকলার এক অনন্য নিদর্শন হয়ে এখনো মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় টিকে আছে। শুধু স্থানীয় মানুষই নয়, আশপাশের এলাকাসহ দূরদূরান্ত থেকে অনেক মানুষ আসেন মসজিদটি দেখতে, নামাজ পড়তে। মসজিদকে কেন্দ্র করে নানা কাহিনিরও কমতি নেই।গত...
    মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস একধরনের দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা, যা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র, অর্থাৎ মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডের ভেতর স্নায়ুরজ্জুকে আক্রমণ করে। এতে ইমিউন সিস্টেম ভুলভাবে স্নায়ুতন্তুগুলোর প্রতিরক্ষামূলক আবরণকে আক্রমণ করে থাকে। মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস তাই একধরনের অটোইমিউন ডিজিজ।এ রোগে আক্রান্ত হলে শরীর দুর্বল, দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা, পেশিতে অসহ্য ব্যথা, মাথাব্যথা-মাইগ্রেন, খাদ্যনালি-মূত্রনালিতে সংক্রমণ, সঙ্গে হাত-পা অসাড় হয়ে যায়। কোনো কিছু চিন্তা করার ক্ষেত্রে অস্পষ্টতা, অবসাদ, বিষণ্নতা, একাকিত্বে ভোগেন রোগী। নারীদের মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি পুরুষের থেকে কয়েক গুণ। ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এ স্নায়ুরোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। পরিবেশ, জিন ও বংশগত কারণে এটি হতে পারে।আরও পড়ুনমস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে এই ব্যায়ামগুলো করতে পারেন২৫ অক্টোবর ২০২২উপসর্গমাল্টিপল স্ক্লেরোসিসে পেশির ওপর চাপ পড়ে। দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পেশির দুর্বলতা এ রোগের প্রধান লক্ষণ। পেশিতে ব্যথা হয়। হাত-পা নাড়ানো যায় না।...
    নতুন পোশাকের ঘ্রাণ অনেকেরই পছন্দ। অবশ্য কারও কারও সেই ঘ্রাণ ভালো না-ও লাগতে পারে। ব্যক্তিগত ভালো লাগা না–লাগার চেয়ে অবশ্য স্বাস্থ্যের দিকটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ভেবে দেখুন, একটা পোশাক আপনার হাতে পৌঁছানোর আগে কত হাতই না ঘুরে আসে! কাপড় তৈরি, রং করা ও সেলাইয়ের নানান ধাপ পেরিয়ে তবেই না তৈরি হয় পোশাক। সেই পোশাক সাজানো হয় ডিসপ্লেতে। ‘ফ্রেশ পিস’ নিলেও যে তা পুরোপুরি ‘ফ্রেশ’, তার নিশ্চয়তা কী? কেউ তো ওই পোশাকটি গায়ে চড়িয়ে ট্রায়ালও দিয়ে থাকতে পারেন। হয়তো মনমতো না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তা কেনেননি এক বা একাধিক ব্যক্তি। কেউ কেউ তো পোশাক কেনার কিছুদিন পরও বদলে নেন।কিন্তু এসব কারণে কি কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি হয়? বছরের পর বছর ধরে অনেকেই নতুন পোশাক না ধুয়ে পরেছেন, তাতে তো কোনো সমস্যা হয়নি কোনো...
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের ২৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা (২০১৭-১৮ সেশন) আজ বুধবার ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার’ বিষয়ে স্পষ্ট বিবৃতি দিয়েছেন। এবারের বৈশাখের আয়োজনের সঙ্গে তাঁদের কোনো প্রকার সম্পৃক্ততা নেই বলে উল্লেখ করেছেন। তবে চারুকলা অনুষদের ডিন বলেছেন, উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে একটি গ্রুপ বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছে। জবাবদিহি নিশ্চিত করতে এ বছর ছাত্র–শিক্ষক সবার সম্মিলনে এই শোভাযাত্রা আয়োজন করা হচ্ছে। ২৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মূলত বৈশাখ প্রতিবছর আনুষ্ঠানিকভাবে নির্দিষ্ট ব্যাচের তত্ত্বাবধায়নে এবং সম্পূর্ণভাবে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের যৌথ প্রয়াসে আয়োজিত হয়ে থাকে। যে আয়োজনের সম্পূর্ণ অর্থ অনুষদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের শিল্পকর্ম বিক্রির মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়। চারুকলার রীতি অনুযায়ী যা এ বছর আমাদের ব্যাচের দায়িত্ব হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এবারের আয়োজন একেবারেই চারুকলা অনুষদের পূর্বাপর রীতির ব্যতিক্রমীভাবে কোনোরকম শিক্ষার্থীদের সম্মতি ও সম্পৃক্ততা ছাড়া শুধু শিক্ষকদের...
    অন্য দেশ, অন্যের দেশ, কিছু বলা আমার ঠিক না হয়তো! কিন্তু আজ (লিখতে লিখতে এত সময় চলে গেল যে আজ এখন গতকাল হয়ে গেছে) ঢাকায় বকেয়াবেতন চাইতে গিয়ে পুলিশের লাঠি খাওয়ার যে দৃশ্য দেখি, তা কোনো একক দেশের কথা বলে না। এই সময়ের কথা বলে, বর্ডার-অতিক্রান্ত এক ভূগোলের কথা বলে, একটা সিস্টেমের কথা বলে। তারপর দেখি খবর, সন্‌জীদা খাতুন চলে গেলেন। সেও আসলে কোনো একক দেশের খবর না। এই খবরকে আমি আমার মনে মনে জানা-চেনা-কাঙ্খিত বঙ্গদেশের খবর বলে বুঝি। আমার কান তখন এই গানই শুনতে চায়, যে গান আমিও গাই, এই ভাবে পারি না যদিও।  আমি সন্‌জীদা খাতুনকে আমাদের এখানে, ছোটোদের পাঠশালা শামিলে একাধিকবার দেখেছি, তাঁর রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রশিক্ষণে যোগ দিয়েছি, অযথা প্রশ্ন করেছি, খানিক ঔদ্ধত্যের সুরে এবং তিনি ধৈর্য্য ধরে উত্তর দিয়েছেন।...
    অন্য দেশ, অন্যের দেশ, কিছু বলা আমার ঠিক না হয়তো। কিন্তু, আজ (লিখতে লিখতে এত সময় চলে গেল যে আজ এখন গতকাল হয়ে গেছে) ঢাকায়  বকেয়া বেতন চাইতে গিয়ে পুলিশের লাঠি খাওয়ার যে দৃশ্য দেখি, তা কোনো একক দেশের কথা বলে না। এই সময়ের কথা বলে, বর্ডার-অতিক্রান্ত এক ভূগোলের কথা বলে, একটা সিস্টেমের কথা বলে। তার পর দেখি খবর, সনজীদা খাতুন চলে গেলেন। সেও আসলে কোনো একক দেশের খবর না। এই খবরকে আমি আমার মনে মনে জানা-চেনা-কাঙ্খিত বঙ্গদেশের খবর বলে বুঝি। আমার কান তখন এই গানই শুনতে চায়, যে গান আমিও গাই, এই ভাবে পারি না যদিও।  আমি সনজীদা খাতুনকে আমাদের এখানে, ছোটোদের পাঠশালা শামিলে একাধিকবার দেখেছি, তাঁর রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রশিক্ষণে যোগ দিয়েছি, অযথা প্রশ্ন করেছি, খানিক ঔদ্ধত্যের সুরে এবং তিনি...
    অন্য দেশ, অন্যের দেশ, কিছু বলা আমার ঠিক না হয়তো। কিন্তু, আজ (লিখতে লিখতে এত সময় চলে গেল যে আজ এখন গতকাল হয়ে গেছে) ঢাকায়  বকেয়া বেতন চাইতে গিয়ে পুলিশের লাঠি খাওয়ার যে দৃশ্য দেখি, তা কোনো একক দেশের কথা বলে না। এই সময়ের কথা বলে, বর্ডার-অতিক্রান্ত এক ভূগোলের কথা বলে, একটা সিস্টেমের কথা বলে। তার পর দেখি খবর, সনজীদা খাতুন চলে গেলেন। সেও আসলে কোনো একক দেশের খবর না। এই খবরকে আমি আমার মনে মনে জানা-চেনা-কাঙ্খিত বঙ্গদেশের খবর বলে বুঝি। আমার কান তখন এই গানই শুনতে চায়, যে গান আমিও গাই, এই ভাবে পারি না যদিও।  আমি সনজীদা খাতুনকে আমাদের এখানে, ছোটোদের পাঠশালা শামিলে একাধিকবার দেখেছি, তাঁর রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রশিক্ষণে যোগ দিয়েছি, অযথা প্রশ্ন করেছি, খানিক ঔদ্ধত্যের সুরে এবং তিনি...
    আখতারুজ্জামান ইলিয়াস খোয়াবনামা লেখার পর ১৯৭১ সালকে ধরে একটা উপন্যাস দাঁড় করানোর প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন। তাঁর এ পরিকল্পনায় বগুড়ার একটা পীরের পরিবার ছিল কেন্দ্রে। পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ‘পীরবাড়ি’ বলে পরিচিত বাড়ির সাতজন ছেলেকে এক রাতে খুন করেছিল। ধর্মের নামে এ রকম অসংখ্য বর্বর হত্যাকাণ্ড করেছে তারা এবং তাদের এদেশীয় সহযোগীরা। ইলিয়াসের পরিকল্পনা ছিল মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে ওই অঞ্চলের পুরো জগৎ, সমাজ, ইতিহাস, চৈতন্য আর পরম্পরাকে আবিষ্কার করা। সেভাবেই তিনি কাজ করছিলেন। এর জন্য পাহাড়ি এলাকাসহ বহু স্থানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ক্যানসারের জন্য ইলিয়াসের পা কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে তখন। মহাশ্বেতা দেবীর কাছে সেই সময়ে তাঁর লেখা এক চিঠিতে তিনি যা লিখেছেন—আমাদেরও যা বলতেন—তা মোটামুটি এ রকম, ‘আমার তো পা নাই। তা-ও দেখি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে কতটা পাহাড়ে উঠতে পারি, কাজ করতে পারি।...
    গুজব সংক্রমণ ব্যাধির মতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আর সেই গুজবের ভিত্তি যদি রাজনীতি হয়, তাহলে তো কথাই নেই। মুহূর্তে জন থেকে জনে, এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশের ভেতরে ও বাইরে একটি মহল গুজব ছড়িয়ে আসছে। যাদের উদ্দেশ্য যেকোনো মূল্যে দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করা।সাম্প্রতিক কালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাতীয় নাগরিক পার্টির একজন নেতার বার্তাকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে। পক্ষে–বিপক্ষে নানা রকম প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এমনকি এই প্রচারণা থেকে রাষ্ট্রীয় বাহিনীও রেহাই পায়নি। রাজনৈতিক দলের নেতা বা সরকারের কোনো পদাধিকারীর আগের কোনো বক্তব্যকে এখনকার বক্তব্য বলে চালানো হচ্ছে। কেউ কেউ গুজবের আগুনে বেগুনপোড়া দিয়ে আত্মসুখও অনুভব করছেন।গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার বিদায় নেওয়ার পর ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার...
    ‘‘গত বছরের তুলনায় এবার কাপড় উৎপাদন যথেষ্ট হয়নি। অনেক গার্মেন্টস বন্ধ ছিল। এখনো কিছু গার্মেন্টসে উৎপাদন বন্ধ। বাহির থেকে কাপড়ের আমদানিও তেমন হয়নি। যার কারণে এবার ছোট, বড় সবার কাপড় বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়েছে। তাই কাপড়ের দাম গত বছরের তুলনায় বেশি। বিশেষ করে বাচ্চাদের কাপড়ের দাম। এ কারণে তেমন লাভ হয় না। বিক্রিও গত বছরের তুলনায় কম।’’ কথাগুলো বলছিলেন গাইবান্ধা শহরের সালিমার সুপার মার্কেটের জিম ফ্যাশনের কর্ণধার শাহালম মিয়া।  বিক্রি কম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তার ভাষ্য, ‘‘এ বছর হটাৎ করে সরকারের পরিবর্তন হয়েছে। আওয়ামী লীগের টাকাওয়ালা নেতা ও ব্যবসায়ীদের অনেকেই গা ঢাকা দিয়ে আছেন। তারা নিজেদেরসহ অন্যদের জন্যও কেনাকাটা করতেন। তাছাড়া সরকার পতনের পর কোনো ব্যবসা-বাণিজ্যই তেমন ভালো নয়। মানুষের হাতে টাকা নেই। তাই, আগে...
    রাজধানীতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। বিপণিবিতান ছাড়াও ফুটপাতের দোকানে মানুষের ভিড় বাড়ছে। ঈদের সপ্তাহ খানেক আগে যে যার মতো পরিবারসহ শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা করছেন। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে ফুটপাতে বসা বিভিন্ন স্থানের হকার মার্কেটে। গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সড়ক আর ফুটপাতে বসেছে চার থেকে পাঁচশত হকারের দোকান। এসব দোকানে নানা রকমের পণ্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে। যে যার পছন্দমতো পণ্য দামাদামি করে কিনে নিচ্ছেন। সোমবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, গুলিস্তানের এই ফুটপাতে নানা রকমের পণ্য কিনছেন ক্রেতারা। শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি, পায়জামা, শিশুদের পোশাক, লুঙ্গি, থ্রি-পিস, শাড়ি, লেহেঙ্গা, ট্রাউজার, জুতা, বেল্ট, ঘড়ি, মানিব্যাগ, চশমা সবকিছুরই দোকান আছে এখানে। মাত্র ১০০ থেকে ৫০০ টাকায় জিন্স-গ্যাবার্ডিন প্যান্ট, বিভিন্ন ধরনের শার্ট পাওয়া যায় দোকানগুলোতে। পাঞ্জাবি মিলছে ২৫০ থেকে ১০০০...
    বকেয়া মজুরি ও ঈদ বোনাসের দাবিতে আন্দোলনরত গার্মেন্টস কর্মচারীর মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। পাশাপাশি এ ঘটনায় ওই ব্যক্তির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছে।আজ সোমবার গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির পক্ষে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এই বিবৃতি দেন।বিবৃতিতে বলা হয়, বকেয়া মজুরির দাবি করতে গিয়ে কর্মচারীর মৃত্যুর দায় কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে এবং যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এ রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি ও হয়রানি ঠেকানোর পাশাপাশি দেশের সব খাতের শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি ও বোনাস পরিশোধ এবং কৃষকের পণ্যের ন্যায্যদাম নিশ্চিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।উল্লেখ্য, রাজধানীর শ্রম ভবনের সামনে বেতন–ভাতার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে অসুস্থ হয়ে রাম প্রসাদ সিং (৪০) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার বিকেলে তাঁর মৃত্যু হয়। রাম প্রসাদ গাজীপুরের স্টাইল ক্রাফট লিমিটেড ও ইয়াং ওয়ান্স (বিডি) লিমিটেডের...
    শিক্ষা যেন অগ্রাধিকারের তালিকা থেকে ছিটকে পড়েছে। ইদানীং এটি আরও বেশি হয়েছে। নানা সংস্কারের জন্য কমিশন হয়েছে। কিন্তু শিক্ষা সংস্কারের জন্য কোনো কমিশনও হলো না। আগে যেমন খণ্ডিতভাবে ও বিচ্ছিন্নভাবে শিক্ষার নানা রকম কাজ হতো, এখনো যেন সেই ধারাই চলছে।শিক্ষা নিয়ে কাজ করা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর মোর্চা গণসাক্ষরতা অভিযানের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বৈষম্যহীন বাংলাদেশের প্রত্যাশায় শিক্ষা বাজেট: আমাদের প্রস্তাবনা’ শীর্ষক প্রাক্‌–বাজেট সংবাদ সম্মেলনে এ কথাগুলো বলেন শিক্ষাবিদ, গবেষক ও শিক্ষা নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরা। আজ সোমবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে গণসাক্ষরতা অভিযানের পক্ষ থেকে আসন্ন মোট বাজেটের অন্তত ১৫ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দেওয়াসহ বেশ কিছু দাবি তুলে ধরা হয়।সংবাদ সম্মেলনের সূচনা বক্তব্যে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, শিক্ষা কী...
    ১৮ মার্চ পৃথিবীতে অবতরণের পরপরই সুনিতা উইলিয়ামস ও ব্যারি উইলমোরকে শারীরিক পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। মহাকাশ থেকে ফিরে আসার পর নভোচারীদের শারীরিক অনেক পরিবর্তন হয় এবং পৃথিবীতে মানিয়ে নিতে লেগে যায় কয়েক দিন থেকে কয়েক মাস, এমনকি বছর পর্যন্ত। নভোচারীরা মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণহীন পরিবেশে থাকার পর পৃথিবীতে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ভেতর আসার পর বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হন। এর মধ্যে হৃৎপিণ্ড, স্নায়ু, দৃষ্টি, রক্তচাপ ও হাড়ের সমস্যা সবচেয়ে বেশি হয়। সবার আগে হয় শারীরিক ভারসাম্য রক্ষার সমস্যা ও বমিভাব। কানের ভেস্টিবুলার সিস্টেমের রিঅ্যাডজাস্টমেন্টের জন্য এমন সমস্যা হয়।হাড় ও পেশির ক্ষয়জনিত ক্ষতি: মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি না থাকার কারণে নভোচারীরা ভেসে ভেসে চলাফেরা করেন। তাই হাড় ও পেশির কাজ একেবারেই কমে যায়। এতে হয় মাসল অ্যাট্রফি বা পেশি শুকিয়ে...
    বৈশাখের উৎসবে রঙ বাংলাদেশ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ এই ধ্বনিতে আসি আসি করছে বাংলা নববর্ষ। প্রতিটি বাঙালির কাছে পয়লা বৈশাখ যেন নিজস্ব সংস্কৃতির আবহে নবনব রূপে নিজেদের নবায়ন করে নেওয়া। পয়লা বৈশাখ এলেই ধর্মবর্ণ ছোটবড় নির্বিশেষে সকলেই যেন নিজেদের গায়ে মেখে নিতে চায় উৎসবের রঙ। পহেলা বৈশাখ এলেই ধর্মবর্ণ ছোটবড় নির্বিশেষে সকলেই যেন নিজেদের গায়ে মেখে নিতে চায় উৎসবের রঙ। আর এই উপলক্ষ্যকে কেন্দ্র করে দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলোতে ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায় অনেক আগে থেকে। সেই ধারাবাহিকতায় পিছিয়ে নেই দেশের অন্যতম ও প্রশংসিত ফ্যাশন হাউস ‘রঙ বাংলাদেশ’ও। দেশের পোশাকে দেশের উৎসব আপ্তবাক্যে বিশ্বাসী এই প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই নববর্ষের পোশাকের শেষ করেছে ব্যাপক প্রস্তুতি। সকল উৎসবে থিমভিত্তিক সামগ্রী তৈরীর ভাবনার পথপ্রদর্শক রঙ বাংলাদেশ-এর কর্ণধার সৌমিক দাস জানান - বাঙালির এই অন্যতম...
    ১. বুকব্যথাসাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, গবেষণায় অংশগ্রহণকারী হার্ট অ্যাটাকের রোগীদের প্রায় ৪০ শতাংশ অনেক আগে থেকে এবং ৬৮ শতাংশের কিছুদিন আগে থেকে হালকা ব্যথা ছিল। সুতরাং বুকব্যথা হালকা করে দেখার সুযোগ নেই। ২. বুকে ভারবোধওই একই গবেষণায় দেখা গেছে, ৪৪ শতাংশ রোগীর বুকে ভারবোধ ছিল। বুকে ভারবোধ রোগীরা বিভিন্নভাবে প্রকাশ করেন, বুকে চাপ বা অস্বস্তি বোধও হতে পারে। অনেকে ভারী কাজ করার পর বা দ্রুত হাঁটার পর বা সিঁড়ি বেয়ে ওঠার পরও বুকে ভারবোধ করতে পারেন। ৩. বুক ধড়ফড়একই গবেষণায় ৪২ শতাংশ রোগী আগে বুক ধড়ফড়ের লক্ষণ ছিল। সুতরাং এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিপদচিহ্ন। এ ক্ষেত্রে রোগী অনুভব করেন, হৃৎপিণ্ড খুব দ্রুত লাফাচ্ছে। অনেকে মাঝেমধ্যে হার্টবিট মিসের কথাও বলেন। ৪. শ্বাসকষ্ট বা হাঁপিয়ে যাওয়াএটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিপদচিহ্ন। অনেকে বলেন, ভারী...
    ধর্ষণ মামলার বিচার দ্রুত করার জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫–এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।অনুমোদন হওয়া খসড়া অনুযায়ী ‘বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অবৈধ যৌন সম্পর্ক’কে ধর্ষণের সংজ্ঞায় রাখা হয়নি। এটি আইনে আলাদা ধারায় চিহ্নিত করা হয়েছে। আর এই অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি হবে সাত বছরের কারাদণ্ড। (প্রথম আলো অনলাইন, ২০ মার্চ ২০২৫)বিদ্যমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বিয়ে ছাড়া ১৬ বছরের বেশি বয়সী নারীর ক্ষেত্রে প্রতারণামূলকভাবে তাঁর সম্মতি আদায় করে যৌন সংগম করাকে ধর্ষণ হিসেবে বলা হয়েছে। এর ফলে বহু মামলায় বিয়ের ‘প্রতিশ্রুতি’ বা ‘প্রলোভনে’ ধর্ষণ, এ রকম অভিযোগের উল্লেখ দেখা যায়।অনুমোদিত খসড়া অনুযায়ী ‘বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে অবৈধ যৌন সম্পর্ক’কে ধর্ষণের সংজ্ঞায় না রাখার...
    সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক রওনক জাহান বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের বয়ান দিচ্ছেন দেশের রাজনীতিবিদরা। তারা বয়ানটা দিচ্ছেন নিজেদের রাজনীতির স্বার্থসিদ্ধির জন্য। এতে করে একেক সরকারের আমলে একেকভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখা হচ্ছে। তাতে ইতিহাসের নায়করাও পাল্টে যাচ্ছেন। শনিবার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও স্বাধীনতা উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত স্মারক বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘আমাদের স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ : রাজনীতি ও গবেষণার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক বক্তব্যে অধ্যাপক রওনক জাহান বলেন, ইতিহাস বদলের ফলে আমাদের প্রজন্ম যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি, তারা হয়তো বিভ্রান্ত হচ্ছি না; যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, যারা বই পড়ছে কিংবা স্কুলের ছাত্রছাত্রী, তারা যদি কয়েক বছর পরপর একেক রকমের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়ে, তাহলে তারা বুঝতেই পারছে না ঘটনাটা কী? এখানে কোনটি সত্য আর কোনটি মিথ্যা, সেটা প্রতিষ্ঠিত করাই বড় সমস্যা...
    সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক রওনক জাহান বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের বয়ান দিচ্ছেন দেশের রাজনীতিবিদরা। তারা বয়ানটা দিচ্ছেন নিজেদের রাজনীতির স্বার্থসিদ্ধির জন্য। এতে করে একেক সরকারের আমলে একেকভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখা হচ্ছে। তাতে ইতিহাসের নায়করাও পাল্টে যাচ্ছেন। শনিবার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও স্বাধীনতা উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত স্মারক বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘আমাদের স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ : রাজনীতি ও গবেষণার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক বক্তব্যে অধ্যাপক রওনক জাহান বলেন, ইতিহাস বদলের ফলে আমাদের প্রজন্ম যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি, তারা হয়তো বিভ্রান্ত হচ্ছি না; যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, যারা বই পড়ছে কিংবা স্কুলের ছাত্রছাত্রী, তারা যদি কয়েক বছর পরপর একেক রকমের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়ে, তাহলে তারা বুঝতেই পারছে না ঘটনাটা কী? এখানে কোনটি সত্য আর কোনটি মিথ্যা, সেটা প্রতিষ্ঠিত করাই বড় সমস্যা...
    সকাল থেকেই দিনটার মেজাজ ছিল অন্য রকম। কখনো কখনো এ রকম হয় বটে, তবে আজকের ব্যাপারটা আলাদা যেন। চৈত্রের গরম হয়ে ওঠা হাওয়ার সঙ্গে একটা চাপা উত্তেজনা আরও তপ্ত করে তুলছিল চারপাশের পরিস্থিতি। সেই উত্তেজনা অজানা আশঙ্কা ও অব্যক্ত ক্রোধের। চারদিকে ভেসে বেড়াচ্ছে নানা গুঞ্জন। কোনটা সত্যি, কোনটা বানানো—বোঝা মুশকিল। ঢাকা থেকে আসা খবরের ডালপালা ছড়ালেও মূল খবর একটাই, অবাঙালি মিলিটারিরা হাজারে হাজারে মানুষ মেরে ফেলেছে, পুলিশ ব্যারাকে আগুন দিয়ে বের হয়ে আসা পুলিশদের গুলি করেছে পাখির মতো, ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের হলগুলোতেও হামলা করেছে মাঝরাতে। রাস্তায় যাকে পেয়েছে তাকেই গুলি করে মেরেছে। অবিশ্বাস্য এ রকম খবরের পর খবর আসছে ঢেউয়ের মতো। খবরগুলো গুজবের মতো মনে হলেও অবিশ্বাস করে না কেউ। একাব্বরের চায়ের দোকানে বসে রেডিওর খবর শোনার চেষ্টা করে ইলিয়াস, খবরটবর নেই...
    আওয়ামী লীগকে ভোটে আনা নিয়ে চলমান সাম্প্রতিক আলোচনা প্রসঙ্গে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘রাজনীতিতে আবার ফেরার জন্য আওয়ামী লীগ নিজে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা কেউ কেউ, যাঁরা খুব গুরুত্বপূর্ণ লোকজন, ঝগড়া করে ফোকাস করে তাদের সবার সামনে নিয়ে আসছি।’সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা নিয়ে আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদুর রহমান মান্না এসব কথা বলেন।মান্না বলেন, ‘(দেশে) গণতান্ত্রিক পথ থাকতে হবে এবং একই সঙ্গে তাদের (আওয়ামী লীগের) বিচার হতে হবে।’আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মান্না বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করছি না। এটা রাজনৈতিক প্রস্তাব। তবে সরকার ও সরকারপ্রধান জনগণকে আহ্বান জানাবেন, সিদ্ধান্ত জনগণই নেবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সাড়ে সাত মাসে সাড়ে সাত সেন্টিমিটারও অগ্রগতি করতে পারেনি।...
    আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিরোধিতা করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ একটা দল। দলের ভেতরে যারা বাস করছে তারা খারাপ হতে পারে। আওয়ামী লীগ একটি গাড়ি- এর ড্রাইভার খারাপ হতে পারে গাড়িটা তো খারাপ নয়। এসব জিনিস বুঝতে হবে। কাজেই জোর করে অনেক কথাই বলা যায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় রংপুর সফরে এসে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। জিএম কাদের বলেন, সবাইকে বুঝতে হবে বিশাল অঙ্কের জনসংখ্যাকে বাইরে রেখে ইচ্ছেমতো যা তা করবো- যেটা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা করেছিল। দেশের অর্ধেক লোককে বাদ দিয়ে নির্বাচন করবেন, কাউকে জোর করে নির্বাচনে আনবেন, কাউকে জোর করে বাদ দেবেন- এ রকম নির্বাচন দেশে গ্রহণযোগ্য হবে না। এ রকম করলে দেশে স্থিতিশীলতা আসবে না। এটা করলে দেশ সামনের দিকে সংঘাতময় দুর্যোগপূর্ণ...
    ফেসবুকে অনেক অপতথ্য দেখি। পোস্টদাতারা অনেকেই আন্ডারগ্রাউন্ড কিংবা ফেক আইডি থেকে গুজব ছড়ায়। তার ওপর আছে আশোভন মন্তব্য, খিস্তিখেউড়, ট্রল। যে যেমন পরিবেশে বড় হয়েছে, শৈশবে বাড়ির লোকেদের যে রকম আচরণ করতে দেখেছে, সেখান থেকেই তারা এসব শিখেছে। এ তো গেল ফেসবুক নিয়ে একটা গড়পড়তা সাধারণ ধারণা। আমি কারও কারও পোস্ট ফলো করি। আবার অনেকেরটা নাম দেখেই বুঝে যাই যে এগুলো আমার হজম হবে না। আমি সেসব উপেক্ষা করি। তার মধ্যেই কিছু কিছু ইতিবাচক ও মনকাড়া লেখা নজর কাড়ে। সম্প্রতি এক ফেসবুক বন্ধুর একটা পোস্টে একটা তিতিরের সঙ্গে মাওলানা রুমির কথোপকথন পড়লাম। পাখিটি রুমিকে তিনটি পরামর্শ দিয়েছিল। শেষ পরামর্শটি ছিল: ‘সবাইকে উপদেশ দিতে যেয়ো না। শুধু তাদের উপদেশ দাও, যারা সেটা শুনবে, মনে রাখবে। মনে রেখো, কিছু কাপড় এত জীর্ণ...
    ইসরায়েল শান্তিচুক্তির পরও গাজায় গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। সাহায্য সংস্থা ও চিকিৎসা সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনমতে, গাজায় প্রতিদিন ১০ জনের বেশি শিশু এক বা একাধিক অঙ্গ হারিয়েছে। গত বছর ডিসেম্বরে জাতিসংঘ বলেছিল, গাজায় ‘বিশ্বে মাথাপিছু হিসেবে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হারানো শিশু’ রয়েছে। এসব শিশুর কারও পা নেই; কারও হাত কিংবা কারও দু’চোখ হারিয়েছে। গাজায় এ ধরনের অঙ্গ খুইয়েছে হাজার হাজার শিশু।  পৃথিবীর হর্তাকর্তা ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো এ ব্যাপারে স্রেফ নিন্দা জানিয়ে চুপ রয়েছে। আমাজনের মতো গভীর জঙ্গলে গিয়েও যে দেশটি মাতব্বরি করে, তারা যুদ্ধে সরাসরি ইন্ধন দিয়েই যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ইসরায়েলে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ সরবরাহের প্রকাশ্য প্রমাণ রয়েছে। তাদের জোগান দেওয়া ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েই হত্যা করা হচ্ছে শিশুদের।  গত সপ্তাহে আলজাজিরায় গাজা নিয়ে হাদিল আওয়াদ একটি নিবন্ধ লিখেছেন, যেখানে শিশুহত্যার নির্মম ও হৃদয়বিদারক...
    রাজধানীর কাফরুলে জাতীয় পার্টির (জাপা) ইফতার অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলার পর দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এক ভিডিও বক্তব্যে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদায় চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা মনে করি, বাংলাদেশ একটা সমূহ বিপদের দিকে, ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি এখান থেকে উদ্ধার করা যায় ততই ভালো। তার প্রধান ও জরুরি কাজ হলো এই সরকার সরে নতুন করে সরকার আসা।’জি এম কাদের বলেন, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এমন একটা পর্যায়ে গেছে, যেটা বর্ণনার অতীত। কারও জানমালের নিশ্চয়তা নেই। মানুষের অসহায়ত্ব দেখে দুঃখ করা ছাড়া কিছু করার নেই। একমাত্র আল্লাহর ওপর ভরসা করে এখানকার মানুষ বেঁচে আছে। তিনি বলেন, সরকারের প্রধান দায়িত্বই ছিল মানুষের নিরাপত্তা বিধান করা। সেখানে তারা ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে, পুলিশকে সম্পূর্ণ অকার্যকর করে ফেলা হয়েছে। পুলিশকে কার্যকর...
    সম্প্রতি সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আইনবহির্ভূত নানামুখী বাধা, হুমকি ও কাজে হস্তক্ষেপে সাংবাদিকতার স্বাধীনতাকে নতুন করে ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে উদ্বেগ জানিয়েছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড চত্বরে শ্যামনগর উপজেলা সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে শুরু হওয়া ঘণ্টাব্যাপী সাংবাদিক সমাবেশে এই মন্তব্য করেন তারা। সমাবেশে বক্তারা তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর একটি গোষ্ঠী আবারও বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের ন্যায় সংবাদ প্রকাশে দমন-নিপীড়নের অপচেষ্টা করছে যা সাংবাদিকতার স্বাধীনতাকে নতুন করে ঝুঁকিতে ফেলেছে।  সাংবাদিক সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিগত আওয়ামী সরকারের শাসনামলে নিপীড়নমূলক আইন ও কর্তৃত্ববাদী আচরণসহ নানা কারণে সাংবাদিকতা বাধাগ্রস্ত ও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষেত্র তৈরির আশা জেগেছিল। কিন্তু আবার সাম্প্রতিক...
    ঈদ মানেই নতুন জামা-কাপড় পরার সঙ্গে সঙ্গে নানা রকম খাবারের ধুম। ঈদের সকালে টেবিলে নানা পদের আয়োজন থাকলেও মিষ্টি জাতীয় খাবার থাকা চাই। ছোট-বড় সবার পছন্দের কয়েক পদের ডেজার্টের রেসিপি দিয়েছেন মিতা আজহার গাজরের জর্দা   উপকরণ: গাজর কুচি ২ কাপ, চিনি ১ কাপ, ঘি ১ কাপ, দারচিনি ২ টুকরা, এলাচ ৪টি, তেজপাতা ১টি, বাদাম কুচি পরিমাণমতো। প্রস্তুত প্রণালি: গাজর কুচি গরম পানিতে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। চুলায় ফ্রাইপ্যান বসিয়ে ঘি দিন। গরম হলে দারচিনি, এলাচ ও তেজপাতা দিয়ে গাজর কুচি দিয়ে নেড়েচেড়ে ভেজে নিন। এবার চিনি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। চিনির পানি শুকিয়ে ঝরঝরে হয়ে গেলে নামিয়ে বাদাম কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার গাজরের জর্দা। বাকলাভা   উপকরণ: লম্বা সেমাই ১ প্যাকেট, কনডেন্সড মিল্ক ১ টিন, ঘি ১...
    বাংলাদেশে বিগত শাসনামলে করিডোর একটি অপছন্দের শব্দ ছিল জনপরিসরে। বলা হতো, ভারতকে করিডোর দিলে বহুভাবে লাভবান হবে দেশ। স্থল করিডোর দিয়ে চলাচলকারী ভারতের গাড়ির চাকায় হাওয়া দিয়ে দেশ অর্থনৈতিকভাবে বেশ এগিয়ে যেতে পারে বলেও স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন অনেকে। কেউ কেউ বলেছেন, করিডোর দেওয়া হলে আন্তঃনদীর পানি পাওয়া যাবে। ‘পানির বিনিময়ে করিডোর’ নামে একটি চোরাগোপ্তা তত্ত্ব দাঁড়িয়ে গিয়েছিল তখন। শেষ পর্যন্ত ভারত জল-স্থল বহুপথে করিডোর পেয়েছিল, কিন্তু পানি পায়নি বাংলাদেশ। জল-স্থল কোনো করিডোর থেকে আর্থিক সুবিধাও উল্লেখ করার মতো ছিল না। করিডোরকে ‘ট্রানজিট’ নাম দিয়ে বিনিময়ে পাঁচ বছর পরপর একটি দলের ক্ষমতায় থাকার নিশ্চয়তা মিলেছিল।  চব্বিশে ক্ষমতার পালাবদল ঘটার পর এবার নতুন করে দক্ষিণ সীমান্তে করিডোরের আলাপ এলো। জাতিসংঘ মহাসচিব সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে এসে নতুন যে বিষয় এখানকার নাগরিক সমাজে ছড়ালেন, তা...
    অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পদত্যাগ দাবি করেছে গণ অধিকার পরিষদ। উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের কড়া সমালোচনা করে দলটির সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেছেন, ‘মাহফুজ আলম বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছেন। এ রকম অনৈক্য সৃষ্টিকারী কী করে সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে বহাল থাকেন? তিনি যদি এত তাত্ত্বিক জ্ঞান ছড়াতে চান, তাহলে পদত্যাগ করে কেন জ্ঞানের ভান্ডার খুলে বসছেন না?’আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রাশেদ খান এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে রাশেদ ছাড়াও গণ অধিকার পরিষদের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক হাসান বক্তব্য দেন।সংবাদ সম্মেলনে রাশেদ খান বলেন, ‘অভ্যুত্থানের কোনো শক্তি বলেনি ছাত্ররা তিনজন উপদেষ্টা হবে। শুরুতে দুজন উপদেষ্টা হলেন। মাহফুজ আলম তাঁদের সহযোগিতায় প্রধান...
    বাংলাদেশের গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাঠাগারগুলোতে বইয়ের অভাব একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। এ সমস্যার সমাধানে প্রান্তিক পাঠাগারের জন্য বইদানের এক মহতী উদ্যোগ হাতে নিয়েছে ‘রকমারি ডটকম’।এ কর্মসূচির মাধ্যমে সারা দেশের ৫ শতাধিক পাঠাগারে ২০ হাজারের বেশি বই পাঠানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ প্রকল্প গ্রাম, চর, পাহাড়ি এলাকা, স্কুল ও মাদ্রাসার পাঠাগারগুলোতে বই পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষার সুযোগ বাড়াবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।রকমারি ডটকমের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘গত ১২ বছরে আমরা ৫ কোটির বেশি বই পাঠকের হাতে পৌঁছে দিয়েছি। এবার আমরা চাই, যাদের কাছে বই নেই, তাদের জন্য কিছু করতে। একটি বই একটি শিশুর ভবিষ্যৎ বদলে দিতে পারে।’বই দান করা যাবে এই ঠিকানায়: রকমারি বুক ডোনেশন। ২/১/ই ইডেন সেন্টার, আরামবাগ, মতিঝিল, ঢাকা।বই পাঠানোর নির্দেশিকা ও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন:
    বাটিকের টাই, জামদানির পকেট স্কয়ার, ঈদের চাঁদের কানের দুল, কাঠের লুডু, নানা নকশার শাড়িসহ কত কী! দেশীয় উদ্যোক্তাদের নিজস্ব নকশার এক বড় আয়োজন হাল ফ্যাশন ঈদ মেলায় পাওয়া যাচ্ছে এসব বৈচিত্র্যময় পণ্য। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার দেখে অফিস শেষ করে মেলায় এসেছেন কুমকুম হাসান। ঈদে উপহার দেওয়ার জন্য তার এক বড়সড় তালিকা আছে। তাই কিছু দেশীয় গয়না কেনাই উদ্দেশ্য। এর বাইরে নিজের জন্যও পছন্দ হলে কিছু নিয়ে নেবেন বলে জানান।দেশীয় উদ্যোক্তাদের নিজস্বতা ও বৈচিত্র৵ময় পণ্যগুলো এক ছাতার নিচে এনে শুরু হয়েছে হাল ফ্যাশন ঈদমেলা। নানা ঢঙের পোশাক, গয়না, ব্যাগসহ হরেক রকমের পণ্য রয়েছে এ মেলায়। গতকাল সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে এ মেলা উদ্বোধন করা হয়।ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ওয়েব পোর্টাল হাল ফ্যাশন প্রথমবারের মতো আয়োজন করেছে ঈদমেলা ২০২৫। দেশীয় পণ্যকে এবারের...
    দেশীয় উদ্যোক্তাদের নিজস্ব স্বকীয়তা ও বৈচিত্র্যময় পণ্যগুলো এক ছাতার নিচে এনে শুরু হয়েছে হালফ্যাশন ঈদ মেলা। নানা নকশার পোশাক, গয়না, ব্যাগসহ হরেক রকম পণ্য রয়েছে এ মেলায়। আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে অবস্থিত মাইডাস সেন্টারে মেলার উদ্বোধন হয়। বাংলাদেশের ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ওয়েব পোর্টাল ‘হাল ফ্যাশন’ প্রথমবারের মতো আয়োজন করছে ঈদমেলা ২০২৫। দেশীয় পণ্যকে এবারের ঈদে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়াই এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। মেলায় বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে উপস্থিত থাকছেন ৫০ জনের বেশি দেশি উদ্যোক্তা।মেলায় বৈচিত্র্যময় পণ্য নিয়ে এসেছেন ৫০ জনের বেশি দেশি উদ্যোক্তা। মাইডাস সেন্টার, ধানমন্ডি, ঢাকা। ১৭ মার্চ
    প্রতিদিনের ইফতারের টেবিলে রকমারি যত পদই থাকুক না কেন, প্রথমেই হাত যায় হিমশীতল শরবতের গ্লাসে। চুমুকেই আসে প্রশান্তি।সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শরবতেও এসেছে বৈচিত্র্য। সাধারণ গুড় বা লেবু, চিনি, পানির শরবতের কদর কমেছে। নতুন প্রজন্মের পছন্দ এখন নানা ধরনের স্মুদি, মকটেল, পেস্তাবাদাম, চিয়া সিড, মোহিত। তাঁদের সঙ্গে পা মিলিয়ে পুরোনো প্রজন্মও এসবের স্বাদ নেন।ঘরে-বাইরে সব জায়গাতেই শরবতের জগৎ এখন বৈচিত্র্যময়। শুধু বৈচিত্র্যময়ই নয়, সৌন্দর্যময়। নানা রঙের শেডে বানানো শরবত, তাতে ফুল, পাতা, লেবুর টুকরা দিয়ে বাহারি সাজ দেখে মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই। শরবতের স্বাদও এখন কেবল মিষ্টি নয়; আছে টক, ঝাল—এমনকি কিছুটা তিতকুটে স্বাদের শরবতও। লেবুর দাম চড়া হওয়ায় বিটরুট আর তেঁতুলের শরবতও জায়গা করে নিয়েছে ইফতারের টেবিলে। বাঙ্গি বা তরমুজও পিছিয়ে নেই।সরেজমিন ঘুরে এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজ দেখে...
    আগের পর্বআরও পড়ুনমাখনের মাথায় ব্যান্ডেজ কেন৬ মিনিট আগে
    চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা, দেশবাসীর প্রার্থনা—সবকিছুকে ব্যর্থ করে দিয়ে মাগুরার আট বছরের কন্যাশিশুটি মৃত্যুর কাছে হেরে গেল। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে বৃহস্পতিবার বেলা একটায় শিশুটির মৃত্যু হয়। জীবন ও জগৎকে দেখার আগেই ছোট্ট নিষ্পাপ শিশুটিকে যে অবর্ণনীয় নির্মমতার মুখোমুখি হতে হয়েছে, সেটা এককথায় নারী ও শিশুর নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দিতে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র যে চূড়ান্ত রকম ব্যর্থ, তারই রূঢ় প্রতিচ্ছবি।শিশুটির মৃত্যুতে খুব স্বাভাবিকভাবেই আমরা শোকাহত ও বিক্ষুব্ধ। কিন্তু এই শোক ও ক্ষোভকে আমরা যদি যৌক্তিক শক্তিতে পরিণত করে নারী ও শিশুর প্রতি, বিদ্বেষমূলক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আচরণ বদলাতে না পারি এবং ভুক্তভোগীদের আইনি সুরক্ষা দিতে না পারি, তাহলে ভবিষ্যতে এমন মর্মান্তিক ট্র্যাজেডি প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না।সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা ও শিথিলতার সুযোগে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতির মতো অপরাধের...
    ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা বাপ্পারাজ। ক্যারিয়ারে অসংখ্য রোমান্টিক সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। তবে দর্শকের কাছে অভিনেতা বাপ্পারাজ মানেই ব্যর্থ প্রেম বা ট্র্যাজেডির গল্প! অর্থাৎ ত্রিভুজ প্রেম বা স্যাক্রিফাইসের গল্প নির্ভর সিনেমাগুলোর কারণে আজও এই নায়ক বেশ জনপ্রিয়! সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সমসাময়িক ব্যস্ততা ও ইন্ডাস্ট্রির নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন এ অভিনেতা। প্রায় সময়ই সামাজিক মাধ্যমে আলোচনায় উঠে আসা প্রসঙ্গেও নিজের মতামত জানান অভিনেতা। তার মতে, তিন নিজের জায়গায় সবসময় নাম্বার ওয়ান। বাপ্পারাজকে নিয়ে প্রায়ই ট্রল হয়, অনেকে বলে ছ্যাঁকা খাওয়া নায়কের শুভেচ্ছাদূত তিনি। এটা নিয়ে কোনো দুঃখবোধ কাজ করে কিনা জানতে চাইলে বাপ্পারাজ বলেন, ‘একদমই না। আমি মনে করি, আমার জায়গায় আমি এক নম্বর। আমার অভিনীত চরিত্র সবার মনে জায়গা করেছে বলেই এমনটা হয়েছে, তাই...
    ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা বাপ্পারাজ। ক্যারিয়ারে অসংখ্য রোমান্টিক সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। তবে দর্শকের কাছে অভিনেতা বাপ্পারাজ মানেই ব্যর্থ প্রেম বা ট্র্যাজেডির গল্প! অর্থাৎ ত্রিভুজ প্রেম বা স্যাক্রিফাইসের গল্প নির্ভর সিনেমাগুলোর কারণে আজও এই নায়ক বেশ জনপ্রিয়! সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সমসাময়িক ব্যস্ততা ও ইন্ডাস্ট্রির নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন এ অভিনেতা। প্রায় সময়ই সামাজিক মাধ্যমে আলোচনায় উঠে আসা প্রসঙ্গেও নিজের মতামত জানান অভিনেতা। তার মতে, তিন নিজের জায়গায় সবসময় নাম্বার ওয়ান। বাপ্পারাজকে নিয়ে প্রায়ই ট্রল হয়, অনেকে বলে ছ্যাঁকা খাওয়া নায়কের শুভেচ্ছাদূত তিনি। এটা নিয়ে কোনো দুঃখবোধ কাজ করে কিনা জানতে চাইলে বাপ্পারাজ বলেন, ‘একদমই না। আমি মনে করি, আমার জায়গায় আমি এক নম্বর। আমার অভিনীত চরিত্র সবার মনে জায়গা করেছে বলেই এমনটা হয়েছে, তাই...
    ওমানে একটি প্রতিষ্ঠানে হিসাবরক্ষক হিসেবে কাজ করতেন। দুই ছেলের জন্মও সেখানে। করোনার কারণে ২০২১ সালে চাকরি হারিয়ে সপরিবার বাংলাদেশে ফিরে আসেন। এখন বাড়ি লাগোয়া প্লটে ফসল ফলিয়ে সুন্দরভাবে অবসরজীবন কাটাচ্ছেন খুলনার গাজী ইনসান উদ্দিন (৬৬)।গাজী ইনসান থাকেন খুলনা নগরের প্রান্তিকা আবাসিক এলাকায়। চার কাঠা করে দুটি প্লটের একটিতে বাড়ি করে থাকেন তিনি। অন্য প্লটটিতে চাষাবাদ করছেন। ছোট ওই জায়গার মধ্যেই তিনি পরিকল্পিতভাবে পেঁয়াজ, রসুন, লাউ, শিম, কুমড়া, কচু, বিট, বেগুন, টমেটো, ঝিঙে, পুঁইশাক, লালশাক, গাজর, ধনেপাতাসহ নানা রকমের সবজি। ইট-পাথরের খটখটে শহরের বুকে তাঁর ওই একখণ্ড সবুজ খেত দৃষ্টি কাড়ে যেকোনো মানুষের।ইনসান উদ্দিন তাঁর খেতের সবজি প্রতিবেশীদেরও দেন। এ ছাড়া কেউ তাঁর খেত দেখতে এলে ধরিয়ে দেন টমেটো, লাউ, বিট। তাঁর প্লটে ছোট ছোট বেড করে লাগানো হয়েছে বিভিন্ন ধরনের...
    গত দেড় দশকে দেশে অর্থনৈতিক বৈষম্য অনেক বেড়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খানার আয় ও ব্যয় জরিপ ২০২২ অনুযায়ী, দেশের সবচেয়ে বেশি ধনী ১০ শতাংশ মানুষের হাতে এখন দেশের মোট আয়ের ৪১ শতাংশ। অন্যদিকে সবচেয়ে গরিব ১০ শতাংশ মানুষের আয় দেশের মোট আয়ের মাত্র ১ দশমিক ৩১ শতাংশ। আয়বৈষম্যের চেয়েও ভয়াবহ সম্পদের বৈষম্য। ধনী ১০ শতাংশের হাতে সম্পদের ৫৮ দশমিক ৫ শতাংশ পুঞ্জীভূত আর নিচের দিকের ৫০ শতাংশের হাতে আছে মাত্র ৪ দশমিক ৮ শতাংশ সম্পদ।এই ব্যাপক অর্থনৈতিক বৈষম্য কমানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হতে পারে সামাজিক নিরাপত্তা খাত। কিন্তু বাংলাদেশের সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ খুবই অপ্রতুল এবং যতটুকু বরাদ্দ হয়, তারও একটা বড় অংশ প্রকৃতপক্ষে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছায় না। মোট বরাদ্দ বেশি দেখানোর কৌশল হিসেবে এ খাতে এমন কিছু...
    পবিত্র রমজানে ইফতারে প্রায় সবাই খেজুর রাখেন। এই এক মাসে খেজুরের চাহিদাও বেড়ে যায়। ফলে বাজারে খেজুরের দাম কত বাড়ল, সবচেয়ে ভালো মানের ও দামের খেজুর কোনটি—এসব নিয়ে রোজাদারদের আগ্রহ থাকে।চট্টগ্রামের পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবচেয়ে দামি চারটি খেজুরের একটি হলো ‘মেডজুল’। এটিকে খেজুরের ‘রানি’ বলেও ডাকেন কেউ কেউ। বাজারে মেডজুলের তিন রকমের দাম পাওয়া গেছে। আকারে বড়, প্রায় দেড় থেকে আড়াই ইঞ্চি লম্বা মেডজুল, যা জাম্বো নামে পরিচিত। এটি বিক্রি হচ্ছে পাইকারিতে প্রতি কেজি ১ হাজার ৪০০ টাকা। আর খুচরা দোকানে পাওয়া যাচ্ছে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায়।মধ্যম মান ও আকারের মেডজুলের দাম পড়ছে পাইকারিতে প্রতি কেজি ১ হাজার ৩০০ টাকা, খুচরায় ১ হাজার ৫০০ টাকায়। এই সারির মেডজুল সাধারণত এক থেকে দেড়...