প্রান্তিক পাঠাগারের জন্য বইদানের উদ্যোগ নিল রকমারি ডটকম
Published: 18th, March 2025 GMT
বাংলাদেশের গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাঠাগারগুলোতে বইয়ের অভাব একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। এ সমস্যার সমাধানে প্রান্তিক পাঠাগারের জন্য বইদানের এক মহতী উদ্যোগ হাতে নিয়েছে ‘রকমারি ডটকম’।
এ কর্মসূচির মাধ্যমে সারা দেশের ৫ শতাধিক পাঠাগারে ২০ হাজারের বেশি বই পাঠানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ প্রকল্প গ্রাম, চর, পাহাড়ি এলাকা, স্কুল ও মাদ্রাসার পাঠাগারগুলোতে বই পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষার সুযোগ বাড়াবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।
রকমারি ডটকমের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘গত ১২ বছরে আমরা ৫ কোটির বেশি বই পাঠকের হাতে পৌঁছে দিয়েছি। এবার আমরা চাই, যাদের কাছে বই নেই, তাদের জন্য কিছু করতে। একটি বই একটি শিশুর ভবিষ্যৎ বদলে দিতে পারে।’
বই দান করা যাবে এই ঠিকানায়: রকমারি বুক ডোনেশন। ২/১/ই ইডেন সেন্টার, আরামবাগ, মতিঝিল, ঢাকা।
বই পাঠানোর নির্দেশিকা ও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন:
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: রকম র
এছাড়াও পড়ুন:
নিষিদ্ধ অনলাইন জুয়া চলছেই, তরুণ–তরুণীরা আসক্ত
বাংলাদেশে ক্যাসিনো সংস্কৃতি ২০১৯ সালে আলোচনায় আসে, যখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাজধানীর বেশ কয়েকটি অবৈধ ক্যাসিনোয় অভিযান চালায়। এরপর থেকেই নিষিদ্ধ অনলাইন ক্যাসিনোর দিকে ঝুঁকেছেন অনেকে। গত কয়েক বছরে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অন্যান্য অনলাইন মাধ্যমগুলোতে ক্যাসিনোর বিজ্ঞাপন বেড়ে যাওয়ায় তরুণদের মধ্যে এটি আরও জনপ্রিয় হয়েছে। তরুণেরা ছাড়াও বিভিন্ন বয়সের মানুষ আসক্ত হচ্ছেন। যদিও বাংলাদেশের আইনে নিষিদ্ধ জুয়াখেলা, কিন্তু ডিজিটাল জুয়া অনেকটা প্রকাশ্যেই চলছে।
হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখবেন একাধিক তরুণ–তরুণী বলছেন, ‘ঘরে বসে পুঁজি ছাড়াই আয় করতে চান? তাহলে এই অ্যাপে গেম খেলুন আর জিতে নেন লাখ লাখ টাকা।’ এমনই একটি অ্যাপ সিকে৪৪৪। এই অ্যাপের ব্যাপকভাবে প্রচারণা করছেন তরুণেরা। যেখানে লোভনীয় অফার ও অ্যাপে খেলার নিয়ম প্রচার করছে। আদতে এটি জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এর প্রচারণা চলছে এবং অনলাইনে জুয়া খেলতে আগ্রহ বাড়াছে।
একজনের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি অনলাইন জুয়া খেলে তিন দিনে আয় করেছেন ২৪ হাজার টাকা। তবে ছয় মাসে হারিয়েছেন তিন লাখ টাকা। এ রকমভাবে অর্থ হারানোর প্রবণতাই বেশি। অনেকে নিঃস্ব হয়ে গেছেন অনলাইন জুয়ার আসরে।
অনলাইন সার্চের বিভিন্ন ধারার বিশ্লেষণকারী সফটওয়্যার এএইচআরইএফএসের তথ্য অনুসারে শুধু বাংলাদেশ থেকেই গত মার্চ মাসে সিকে৪৪৪ শব্দটি দিয়ে সার্চ করা হয়েছে ৯৫ হাজার বার। গুগল ট্রেন্ডসের তথ্য অনুসারে বাংলাদেশের রংপুর, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগে পর্যায়ক্রমে বেশি ব্যাবহার এবং সার্চ করা হচ্ছে। এই কিওয়ার্ড দিয়ে একটি ওয়েবসাইট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত মার্চে মোট ব্যাবহারকারী বেড়েছে ৬ লাখ ১৬ হাজার। ওয়েবসাইটটি যাত্রা শুরু করেছে ১৪ মার্চ আর এক দিনেই ভিজিটর গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৬৯৭ জনে।
ওয়েবসাইট বা ডোমেইনের তথ্য যাচাইবাছাই করার ওয়েবসাই হু ডটইজের তথ্য অনুসারে সিকে৪৪৪ অ্যাপ ডটনেট ডোমেইন কেনা হয়েছে ২০২৫ সালের ১১ ফ্রেব্রুয়ারি, মেয়াদ শেষ হবে ২০২৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি। এটি কেনা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া থেকে এবং পরিচালনা করা হয় বাংলাদেশ থেকে। তেমনই আর একটি অ্যাপ একিউ৯৯৯ একই প্রচারণা চলছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে ওয়েবসাইট বা অ্যাপে সামান্য একটু এদিক–সেদিক করে সেটি চালানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা সচেতন আছি; কিন্তু আমাদের এখানে একটি কৌশলগত সীমাবদ্ধতা আছে। সেটি হচ্ছে, যেহেতু অনলাইন জুয়া বা অনলাইন সাইবার স্পেসে জুয়া, জালিয়াতি, প্রতারণার বিষয়টি নিয়ে অ্যাকশনে যেতে হলে সাইবার আইনে মামলা করতে হবে। পুরোনো ঘৃণিত সাইবার আইনে মামলা করতে হবে। সে জন্য এ কাজ এখন আমরা করছি না। এই মাসের (এপ্রিল ২০২৫) মধ্যেই সাইবার সেফটি অর্ডিন্যান্স পাস হয়ে যাবে। তখন আমরা এসব জুয়ার সাইট বন্ধের উদ্যোগ নেব।’
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব প্রথম আলোকে আরও বলেন, ‘এই সাইটগুলো বন্ধের জন্য একটি বিধিবদ্ধ প্রক্রিয়া আছে, সেটি হচ্ছে আইনের ধারা উল্লেখ করে ওই সাইটগুলোর কর্মকাণ্ডের একটি প্রতিবেদন বিটিআরসিকে পাঠাতে হয়। বিটিআরসি তখন সেটি যাচাই–বাছাই করে তারপর সংশ্লিষ্ট দলকে দিয়ে সাইট বন্ধ করা হয়। সাধারণত আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এই কাজ করে থাকে। তারা বিটিআরসিকে রিকোয়েস্টগুলো পাঠায়। তারপর বিআরটিসি ভেরিফাই করে ব্যবস্থা নেয়। আমরা অপেক্ষা করছি সাইবার সেফটি অর্ডিন্যান্স দ্রুত পাস হয়ে গেলে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার গ্রাম ও শহরের যুবক, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের সব লোভনীয় প্রচারণা কিংবা জুয়া–জালিয়াতির প্রতারণা থেকে রক্ষার জন্য সাইটগুলো সরাসরি বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া যাবে।’
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি যে কিউআর কোড গুগলে সার্চ হয়ে থাকে, সেটি হচ্ছে জেটবাজ ডটকম। এই সাইটে প্রতিমাসে বাংলাদেশ থেকে ৭৬ লাখ বারের মতো সার্চ করা হয়। জেটবাজ জুয়ার সাইট প্রথম স্থানে রয়েছে। এরপর দ্বিতীয় জুয়ার স্থানে অবস্থান করছে জয়া৯ ডটকম, এই সাইট বাংলাদেশ থেকে প্রতি মাসে সার্চ হয় ৫৮ লাখের মতো। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ক্রিকেস ডটটিভি। এই সাইটের নামে ৩৬ লাখ বার সার্চ হয়ে থাকে।
এ ছাড়া বাংলাদেশে অনেক জুয়া সাইটের কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে যে ওয়েবসাইটগুলো বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে বাংলাদেশ থেকে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে এমসিবাংলাদেশ ডটওআরজি, ক্রিকায়া ডটআইও, ক্রিকায়া ডটবেস্ট, দারাজপ্লে ডটভিআইপি, জেরেমিথ ডটকম, ক্রেজিটাইম৮৮ ডটঅ্যাপ, সিএসওয়েলকাম ডটকম, বাংলাবেট ডটনেট, বাবু৮৮বিডিটি ডটকম, ১উইনবাংলাদেশ ডটকম, বাবো৮৮ ডটকম, বিকে৩৩ ডটনেট, এল৪৪৪ ডটওআরজি, স্লটএম৭৭ ডটকম, জয়া৯৯ ডটকম, ৭৭৭জয়া ডটনেট, টিকে৯৯৯ ডটওআরজি, ধোনি৮৮ ডটকম, বাবু৮৮এইচ ডটকম, বিগটাকা ডটকম, বাবু৮৮এফ ডটকম, খেলা৮৮ ডটঅনলাইন, নগদ৮৮ ডটকম, মোস্টপ্লে ডটভিআইপি, ফ্যানসিউইন ডটকম, গ্লোরিক্যাসিনো ডটকম, নগদ৮৮ ডটপ্রো, জেডব্লিউ ডটক্যাসিনো, ক্যাসিনো ডটওআরজি/বিএন–বিডি, উইন–বিডিটি ডটকম/বিএ, বাংলাবেটস ডটকম, জিটাউইন ডটকম ইত্যাদি।
গত ২৭ মার্চ প্রথম আলো অনলাইনে ‘বেআইনি অনলাইন ক্যাসিনোতে তিন মাসে রংপুর শীর্ষে, রাজশাহীর অবস্থান দ্বিতীয়’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। সেখানে গুগলের তথ্য অনুসারে, রংপুর বিভাগে সবচেয়ে বেশি মানুষ এই ক্যাসিনোর একাধিক সাইট গুগলে খুঁজেছেন। সারা দেশের তুলনায় এখানকার সার্চের হার সবচেয়ে বেশি রংপুর বিভাগ থেকে, যার স্কোর ১০০–এর মধ্যে ১০০। রাজশাহী বিভাগ রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে, যার স্কোর ১০০–এর মধ্যে ৪৬। এরপর চট্টগ্রাম (৪১) এবং খুলনা ও বরিশাল (৩৬)।
লালমনিরহাটের দুর্গাপুরের এক তরুণ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই অনলাইন জুয়া একধরনের নেশা। যেখান থেকে বের হওয়া খুব কঠিন। আমি আসক্ত, চাইলেও ছাড়তে পারছি না। জিতি, হারি আবার খেলি। তবে আমার বেলায় জেতার পরিমাণ একটু বেশি, অনেকেই হেরে অনেক কিছু হারিয়েছেন। আমার নেশাটা আসলে ক্রিকেস ডটটিভি এই সাইটের ওপর।’
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার বেশ কিছু তরুণ প্রথম আলোকে বলেন, উল্লাপাড়ায় ঘরে ঘরে দু–একজন অনলাইন জুয়ায় মোটামুটি আসক্ত। এখানে ঝুঁকে পড়েছেন ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী ও বেকার যুবকেরা। জুয়ার টাকা জোগাতে কেউ কেউ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন। এসব জুয়ার টাকা বেশির ভাগ লেনদেন হয়ে থাকে বিকাশ ও নগদে।
এ ব্যাপারে মোবাইল লেনদেন সেবা বিকাশের হেড অব করপোরেট কমিউনিকেশনস অ্যান্ড পিআর শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বলেন, ‘যেসব অ্যাকাউন্টের লেনদেন সন্দেহজনক মনে হয়, আমরা তার প্রতিবেদন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে (বিএফআইইউ) সরবরাহ করি। অনলাইন জুয়া, হুন্ডি, অর্থ পাচার, জঙ্গি অর্থায়ন–সংশ্লিষ্ট সব অবৈধ লেনদেন প্রতিরোধে নিয়মিত তদারকি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিকাশের যথাযথ প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষিত কর্মী বাহিনী নিয়োজিত আছে। পাশাপাশি অবৈধ লেনদেন প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগের অংশ হিসেবে আমরা রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যেকোনো তদন্তে প্রয়োজনীয় সব সহায়তাও দিয়ে থাকি। এমন সন্দেহজনক হিসাবের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিয়মিত ব্যবস্থা নিয়ে থাকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।’
মোবাইল লেনদেনসেবা নগদের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, এ বিষয়ে নগদ সচেষ্ট রয়েছে। যেকোনো নম্বরে অস্বাভাবিক লেনদেনের লক্ষণ দেখা দিলেই সেটি আমরা মনিটরিংয়ের মধ্য নিয়ে আসছি। তা ছাড়া নগদের মাধ্যমে হওয়া প্রতিটি লেনদেন নিরাপদ এবং আইনসম্মত করতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। এ লক্ষ্যে গ্রাহক পরিচয় পুনর্নিশ্চিত করাসহ কিছু যাচাই–বাছাইয়ের কাজ করা হচ্ছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন এসইও–বিশেষজ্ঞ প্রথম আলোকে বলেন, এই অনলাইন ক্যাসিনো নামের ফাঁদ থেকে তরুণ সমাজকে অবমুক্ত করতে না পারলে অদূর ভবিষ্যতে ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়তে হবে; এটি অবশ্যম্ভাবী। কাজেই সমাজের সব স্তরে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। আসক্তি দূর করতে পরিবার ও বন্ধুদের দায়িত্ব নিতে হবে। রাষ্ট্রকে কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করার পাশাপাশি তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে জোর দিতে হবে।
প্রথম আলোর এসইও হেড মাজহারুল হক বলেন, ‘জুয়া কিংবা ক্যাসিনো রিলেটেড সাইটের অনলাইনে সার্চ চাহিদা বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেখা যায়, অ্যাডাল্ট সাইটের চেয়েও বেশি এসব জুয়ার সাইট এগিয়ে রয়েছে। এতে দেশের তরুণ–তরুণীরা অনেক ঝুঁকিতে পড়ছেন। আমরা মাঝেমধে৵ই দেখি অ্যাডাল্ট সাইটগুলো বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে; কিন্তু জুয়ার সাইটগুলোর বন্ধের উদ্যোগ আমাদের চোখে খুব একটা পড়ে না। আমি মনে করি, এ ঝুঁকি এড়ানোর ক্ষেত্রে পারিবারিক ভূমিকা অনেকটাই এগিয়ে আসে। এ ছাড়া সরকারের পক্ষ থেকেও সচেতনতামূলক প্রচারণা চালু করা প্রয়োজন।’
ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মর্কতা (ওসি) আবদুল আলিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনলাইন জুয়া নিয়ে আমরা সব সময় সচেতন। আর এটা নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করছি। পাশাপাশি আমাদের সাইবার টিমগুলোও এই অনলাইন জুয়া, প্রতারণা নিয়ে ভালোভাবেই কাজ করছে। তা ছাড়া আমাদের কাছে জুয়ার প্রচারণা বা অনলাইন প্রতারণার এমন কোনো অভিযোগ এলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।’