ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা বাপ্পারাজ। ক্যারিয়ারে অসংখ্য রোমান্টিক সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। তবে দর্শকের কাছে অভিনেতা বাপ্পারাজ মানেই ব্যর্থ প্রেম বা ট্র্যাজেডির গল্প! অর্থাৎ ত্রিভুজ প্রেম বা স্যাক্রিফাইসের গল্প নির্ভর সিনেমাগুলোর কারণে আজও এই নায়ক বেশ জনপ্রিয়!
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সমসাময়িক ব্যস্ততা ও ইন্ডাস্ট্রির নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন এ অভিনেতা। প্রায় সময়ই সামাজিক মাধ্যমে আলোচনায় উঠে আসা প্রসঙ্গেও নিজের মতামত জানান অভিনেতা। তার মতে, তিন নিজের জায়গায় সবসময় নাম্বার ওয়ান।
বাপ্পারাজকে নিয়ে প্রায়ই ট্রল হয়, অনেকে বলে ছ্যাঁকা খাওয়া নায়কের শুভেচ্ছাদূত তিনি। এটা নিয়ে কোনো দুঃখবোধ কাজ করে কিনা জানতে চাইলে বাপ্পারাজ বলেন, ‘একদমই না। আমি মনে করি, আমার জায়গায় আমি এক নম্বর। আমার অভিনীত চরিত্র সবার মনে জায়গা করেছে বলেই এমনটা হয়েছে, তাই এটাকে ইতিবাচকভাবে দেখি। নিঃসন্দেহে এটা আমার সফলতা। আমাকে যখনই পরিচালকরা গল্প শোনাতেন, চরিত্র নিয়ে কথা বলতেন, তখন আমি বেছেই নিতাম ছ্যাঁকা খাওয়া চরিত্র। আমি নিজেও বুঝতাম, ছ্যাঁকা খাওয়া চরিত্রটাই ক্লিক করবে।’
তিনি বলেন, ‘এখন তো আমার সেই সময় নাই, হিরোইনের পেছনে ছুটে ছুটে গান করব। সত্যি কথা বলতে আমাদের এখানে তো ওই রকম চিত্রনাট্যই হয় না। আমরা যারা, এই যেমন আমিন খান, নাঈম আমাদের মত যারা আছে তাদের নিয়ে গল্প ভাবা হয় না। যা-ও কেউ আমাদের কথা ভাবেন, চিত্রনাট্য করতে গেলে, বলবে, বাবার চরিত্র করো বা করেন। বাবার চরিত্র যে করব, আমাদের তো বাবার মতোও অবস্থা হয় নাই। আমাদের নিয়ে চরিত্র লেখা না হলে কীভাবে কী করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুম্বাইয়ের দিকে তাকালে দেখি, এই বয়সেও অমিতাভ বচ্চনসহ অন্যদের নিয়ে যেভাবে চরিত্র তৈরি হয়, তা সত্যিই অন্য রকম। বয়স্ক যারা, এখনো তাদের পর্দায় যেভাবে উপস্থাপন করে, তা ঠিকঠাকভাবেই করে। আমাদের এখানে গল্প এখনো একই প্যাটার্নের। হয়তো বাবার চরিত্র দরকার হলো, বলল, বাপ্পা ভাই করবেন? আমি বললাম, না, আমি করব না। এরপর দেখা গেল নাঈমের কাছ গেল, সেও করবেন না। এরপর আমিন খানের কাছে গেল, সেও করল না। এরপর এমন একজনকে নিল, যা হয়তো নিতে হবে বলেই নেওয়া। তাই বলব, আমাদের এখানে কাউকে ভেবে চরিত্র তৈরি হচ্ছে না।’
ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান বেহাল দশায় পরিচালক-প্রযোজকদের ভূমিকা ও মুল সমস্যা প্রসঙ্গে এ অভিনেতা বলেন, কিছুদিন আগে ছোট্ট একটা টিজারে দেখা গিয়েছিল বাপ্পারাজকে। অবশেষে অভিনয়ে ফিরছেন তিনি। নিজের আসন্ন এ কাজ প্রসঙ্গে বাপ্পারাজ বলেন, ‘ওটা একটি ওয়েব সিরিজ। মোস্তফা খান শিহান বানাবে। সিরিজের প্রতিটা চরিত্রের ওপর একটা করে টিজার বানিয়েছে। বানানোর পর চুপচাপ ছিল, ভাবছিল পরে প্রকাশ করবে। কিন্তু হেনা-বকুল নিয়ে এত মাতামাতি শুরু হলো, তার মধ্যেই এটি ছেড়ে দিয়েছে। সময় ও সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে। সিরিজটির নাম ‘রক্তঋণ’। কোনো চ্যানেলের সঙ্গে চূড়ান্ত হলে তবেই শূটিং শুরু হবে। এটি আমার অভিনীত প্রথম ওয়েব সিরিজ হতে যাচ্ছে। বিষয়বস্তুর কারণে সিরিজটিতে কাজ করতে রাজি হয়েছি। যেমন এটার মধ্যে হিরোইন নাই। নাচ-গান নাই। চরিত্রনির্ভর। চরিত্রে অভিনয়ের দুর্দান্ত সুযোগ আছে। ধুমধাম ব্যাপারও আছে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
শুবমান গিল ফেব্রুয়ারির সেরা খেলোয়াড়, নারীদের সেরা কিং
মনোনীত তিনজনের মধ্যে তাঁর সঙ্গে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ এবং নিউজিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপস। তবে এই দুজনকে পেছনে ফেলে আইসিসির ফেব্রুয়ারি মাসের সেরা পুরুষ ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন ভারতের তারকা ওপেনার শুবমান গিল।
মাসজুড়ে পাঁচটি ওয়ানডে খেলে গিল ৪০৬ রান করেছেন ৯৪.১৯ স্ট্রাইক রেট ও ১০১.৫০ গড়ে। এর মধ্যে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে জয়ের সিরিজে টানা তিন ইনিংসেই গিলের ব্যাট থেকে এসেছে পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস। নাগপুরে ৮৭ রানের ইনিংস দিয়ে সিরিজ শুরু করা গিল কটকে করেন ৬০ রান। এরপর আহমেদাবাদে ১১২ রান করেন মাত্র ১০২ বলে, ১৪টি চারের সঙ্গে মারেন ৩টি ছক্কাও। ওই ম্যাচে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পাওয়া গিল হয়েছিলেন ম্যান অব দ্য সিরিজও।
আরও পড়ুনঅ্যান্ডি রবার্টসের কাছে আইসিসি মানে ‘ইন্ডিয়ান ক্রিকেট বোর্ড’৩ ঘণ্টা আগে
এরপর সদ্য সমাপ্ত আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও সেই দুর্দান্ত ফর্মটা ধরে রাখেন গিল, দুবাইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে অপরাজিত ১০১ রান করে জেতান ভারতকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে পরের ম্যাচেও করেন ৪৬ রান, জেতে ভারত।
এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো আইসিসির মাসের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেলেন গিল, এর আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারি ও সেপ্টেম্বরে সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন তিনি।