সাধারণভাবে আমরা ধরে নিই, পুরুষের বুক হবে সমতল কিংবা সামান্য উঁচু। কিন্তু কারও স্তন যদি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায় এবং অনেকটা নারীসুলভ হয়ে যায়, তখন তা অত্যন্ত বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় আমরা একে বলি গাইনিকোম্যাস্টিয়া।

নবজাতক অবস্থায় বাচ্চা ছেলেদের এ রকম থাকতে পারে। বয়ঃসন্ধিকালে কিশোরদের স্তনে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি দেখা যায়, যেটি সাধারণত দুই-তিন বছরের মধ্যেই কমে যায়। এ ছাড়া প্রৌঢ়ত্বের পরে বয়স্ক পুরুষদের মধ্যেও এ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

এই বৃদ্ধিকে কখন সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়?

বয়ঃসন্ধিকালে এ বৃদ্ধি হলেও তা আবার স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার কথা। যদি ১৮ বা ২০ বছর বয়সেও তা স্বাভাবিক না হয়, তখন একে সমস্যা হিসেবে ভাবা হয়। যদি পোশাকের বাইরে থেকেও এটি বোঝা যায় এবং তা নিয়ে সেই তরুণ বা যুবক সামাজিকভাবে বিব্রত হন, তখন এটির চিকিৎসা করার প্রয়োজন হয়।

এ সমস্যা কেন হয়?

অনেক সময় হরমোনজনিত কিছু সুনির্দিষ্ট রোগের কারণে এ অসুবিধা হতে পারে। শরীরে কিছু দীর্ঘমেয়াদি অসুখ থাকলে কিংবা অনেক দিন ধরে কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ সেবন করলে এ রকম হতে পারে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা এর সঠিক কোনো কারণ খুঁজে পাই না।

চিকিৎসা কী?

কোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে সেটি বন্ধ করার ব্যাপারে ভাবতে হবে। শরীরের ওজন অতিরিক্ত হলে তা কমাতে হবে। হরমোনজনিত নির্দিষ্ট কারণ থাকলে এন্ডোক্রাইনোলজি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। তবে এসব চিকিৎসায় সমাধান না হলে কিংবা সুনির্দিষ্ট কারণ পাওয়া না গেলে শল্যচিকিৎসাই একমাত্র সমাধান।

স্তনের যে গ্ল্যান্ড বা গ্রন্থির অস্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য এ পরিস্থিতি তৈরি হয়, অপারেশন করে সেই গ্ল্যান্ড অপসারণ করতে হয়। 

লেখক : সহকারী অধ্যাপক (প্লাস্টিক সার্জারি), জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এবং কনসালট্যান্ট, মনোয়ারা হসপিটাল, সিদ্ধেশ্বরী রোড, ঢাকা

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর স থ ত সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

গাইনিকোম্যাস্টিয়া: ছেলেদের বিব্রতকর সমস্যা

সাধারণভাবে আমরা ধরে নিই, পুরুষের বুক হবে সমতল কিংবা সামান্য উঁচু। কিন্তু কারও স্তন যদি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায় এবং অনেকটা নারীসুলভ হয়ে যায়, তখন তা অত্যন্ত বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় আমরা একে বলি গাইনিকোম্যাস্টিয়া।

নবজাতক অবস্থায় বাচ্চা ছেলেদের এ রকম থাকতে পারে। বয়ঃসন্ধিকালে কিশোরদের স্তনে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি দেখা যায়, যেটি সাধারণত দুই-তিন বছরের মধ্যেই কমে যায়। এ ছাড়া প্রৌঢ়ত্বের পরে বয়স্ক পুরুষদের মধ্যেও এ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

এই বৃদ্ধিকে কখন সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়?

বয়ঃসন্ধিকালে এ বৃদ্ধি হলেও তা আবার স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার কথা। যদি ১৮ বা ২০ বছর বয়সেও তা স্বাভাবিক না হয়, তখন একে সমস্যা হিসেবে ভাবা হয়। যদি পোশাকের বাইরে থেকেও এটি বোঝা যায় এবং তা নিয়ে সেই তরুণ বা যুবক সামাজিকভাবে বিব্রত হন, তখন এটির চিকিৎসা করার প্রয়োজন হয়।

এ সমস্যা কেন হয়?

অনেক সময় হরমোনজনিত কিছু সুনির্দিষ্ট রোগের কারণে এ অসুবিধা হতে পারে। শরীরে কিছু দীর্ঘমেয়াদি অসুখ থাকলে কিংবা অনেক দিন ধরে কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ সেবন করলে এ রকম হতে পারে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা এর সঠিক কোনো কারণ খুঁজে পাই না।

চিকিৎসা কী?

কোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে সেটি বন্ধ করার ব্যাপারে ভাবতে হবে। শরীরের ওজন অতিরিক্ত হলে তা কমাতে হবে। হরমোনজনিত নির্দিষ্ট কারণ থাকলে এন্ডোক্রাইনোলজি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। তবে এসব চিকিৎসায় সমাধান না হলে কিংবা সুনির্দিষ্ট কারণ পাওয়া না গেলে শল্যচিকিৎসাই একমাত্র সমাধান।

স্তনের যে গ্ল্যান্ড বা গ্রন্থির অস্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য এ পরিস্থিতি তৈরি হয়, অপারেশন করে সেই গ্ল্যান্ড অপসারণ করতে হয়। 

লেখক : সহকারী অধ্যাপক (প্লাস্টিক সার্জারি), জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এবং কনসালট্যান্ট, মনোয়ারা হসপিটাল, সিদ্ধেশ্বরী রোড, ঢাকা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এই নারাইনের রহস্য ভেদ করবে কে