যতটুকু শুনেছি, এপ্রিলের মাঝামাঝি দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া: মির্জা ফখরুল
Published: 30th, March 2025 GMT
আগামী এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, লন্ডনে ভালো আছেন খালেদা জিয়া। তিনি সেখানেই পরিবারের সঙ্গে ঈদ করছেন।
আজ রোববার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ উনি (খালেদা জিয়া) লন্ডনে এখন বেটার আছেন। আজ সেখানে ঈদ উদ্যাপিত হচ্ছে। এই ঈদ ফ্যামিলির সঙ্গে আট বছর পরে উনি উদ্যাপন করছেন। দিস ইজ আ গুড থিংক ফর আস।’
খালেদা জিয়া কবে আসবেন—এ রকম প্রশ্নের জবাব দেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম সম্ভবত যতটুকু শুনেছি আমি, ফাইনাল নিশ্চিত না.
গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়।
আজ সংবাদ সম্মেলেন খালেদা জিয়ার কারাগারজীবন প্রসঙ্গে কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘ম্যাডামের লিভার সিরোসিস হয়েছে জেলখানার মধ্যে। সেখানে তাঁর কোনো চিকিৎসা হয়নি। আমরা বিশ্বাস করি যে কারগারে তাঁকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে। এটা যদি ম্যাডামকে জিজ্ঞাসা করেন, উনি বলবেন না। কারণ, উনি সেই ধরনের মানুষ নন...একবারের জন্য বলবেন না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডামকে যে ঘরে রাখা হয়েছিল, সেই ঘরটা ছিল স্যাঁতসেঁতে, সমস্ত দেয়ালের আস্তর ভেঙে ভেঙে পড়ছিল এবং ইঁদুর দৌড়াদৌড়ি করত...এ রকম অবস্থা ফেস করেছেন আমাদের ম্যাডাম। এরপরও...আমি বেশি বলতে চাই না যে কাদম্বিনীকে মরিয়া প্রমাণ করতেই হইবে যে সে মরে নাই। এখন নতুন করে পরীক্ষা দিতে হবে।’
২০১৮ সালে বিএনপির চেয়ারপারসন একটি দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। করোনার সময় সরকার তাঁকে বিশেষ বিবেচনায় কারামুক্তি দেয়। কারাবন্দী অবস্থায় চারটি ঈদ কেটেছে কারাগারে ও বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দী ছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আসুন সবাই ড. ইউনূসকে সাহায্য করি: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “আমি প্রফেসর ইউনূসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। আমার বিশ্বাসও আছে, তিনি সফল হবেন। আসুন, আমরা সবাই মিলে তাকে সাহায্য করি। আমরা নিজেরা নিজেদের সাহায্য করি।”
শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর বসুন্ধরায় ‘রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম-এর দূরদৃষ্টিতে ক্ষমতায়ন বাংলাদেশ নেতৃত্ব-ঐক্য এবং প্রবৃদ্ধি’র পথে কূটনীতি-শাসনব্যবস্থা রূপান্তরমূলক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “যেদিন ছাত্রদের ওপর রাস্তায় গুলি শুরু হয়েছে, সেদিন কিন্তু সবাই রাস্তায় নেমে এসেছে। ঠিক না? আজকে সেই একইভাবে আসুন, আমরা সবাই এক হয়ে যাই। সমস্যা আছে, সমস্যার সমাধান হবে। ইতোমধ্যে অনেক দূর এগিয়েছে।”
আরো পড়ুন:
জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার চিন্তা ইসির
ঐক্যের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ তৈরি করতে চাই: ফখরুল
বিএনপি সমাসচিব বলেন, “একটা কথা জোর দিয়ে বলতে চাই, গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই। গণতন্ত্রকে চাপিয়ে দেওয়া যায় না। আপনি আমার ওপর চাপিয়ে দিলেন, তা দেওয়া যাবে না। এটাকে চর্চা করতে হবে। সেই জায়গাগুলোকে ধরে রাখতে হবে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমার চারদিকে তাকিয়ে, বিশেষ করে টেলিভিশনের টক-শো, বিদ্যান মানুষদের কথা, রাজনীতির বক্তৃতা সবকিছু মিলে সবাই কেমন যেন একটু হতাশ হয়ে পড়েছেন। এত যে রক্তপাত হলো, এত মায়ের বুক খালি হলো; তার পরিণতি কী হবে শেষ পর্যন্ত? আমি বিশ্বাস করি এবং দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ভালো হবে এবং খুব ভালো হবে।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “কারণ, আমরা বাংলাদেশের মানুষ চিরকাল ভালোর জন্য লড়াই করেছি, সংগ্রাম করেছি এবং জয়ী হয়েছি। বিশেষ করে আমাদের তরুণেরা, আমাদের ছেলেরা; আজকে বাংলাদেশের যা কিছু ভালো অর্জন, সব তাদের জন্য। সেই ৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ২৪-এর জুলাই-আগস্টের অন্দোলন পর্যন্ত, প্রতিটিতেই সামনে ভ্যানগার্ডের ভূমিকা পালন করেছে আমাদের ছেলেরা। সেখানেই আমাদের শক্তি।”
ঢাকা/এসবি