চৌকস হতে কে না চায়! চট করে জেনে নেওয়া যাক পাঁচ জাপানি টেকনিক, যা সহজে নতুন কিছু শিখতে, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে, স্মৃতিশক্তি বাড়াতে, সৃজনশীল কাজে মনোনিবেশ করতে সাহায্য করে।
১. শিরিতরি
শিরিতরি হলো ‘ওয়ার্ড অ্যাসোসিয়েশন গেম’। আমরা সবাই কমবেশি খেলাটার সঙ্গে পরিচিত। ধরুন, প্রথমজন বলল, ‘এ ফর অ্যাপল।’
দ্বিতীয়জন বলল, ‘এ ফর অ্যাপল, বি ফর বল।’
তৃতীয়জন বলল, ‘এ ফর অ্যাপল, বি ফর বল, সি ফর ক্যাট।’
এভাবে ঘুরে ঘুরে খেলা চলতে থাকে। যে মনে রাখতে পারে না বা ভুল করে, সে বাদ। আর যে ঠিক ঠিক মনে রেখে শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি শব্দ বলতে পারে, সে-ই জয়ী হয়। এটা মস্তিষ্কের জন্য খুব ভালো একটা ব্যায়াম (সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ সিনেমায় একটি দৃশ্য আছে। সেখানে চরিত্ররা বনে বেড়াতে গিয়ে ‘শিরিতরি’ খেলে)।
২.
কানজি ভিজ্যুয়ালাইজেশন
‘কানজি’কে বলা যেতে পারে জাপানি বর্ণের মতো জটিল কিছু চিহ্ন। চিহ্নগুলো মনে রাখা কঠিন বটে। তাই একেকটি চিহ্ন দেখে সেটার সঙ্গে মিলিয়ে কোনো প্রাণী বা কোনো বস্তু অথবা কোনো গল্প কল্পনা করে নিতে বলা হয়। তাতে সেই চিহ্ন মনে রাখা সহজ হয় (মনে করুন, চন্দ্রবিন্দু বর্ণটি মনে রাখছেন চাঁদকে কল্পনা করে, বিষয়টি অনেকটা এ রকম)। অর্থাৎ কোনো চিহ্নের সঙ্গে মিলিয়ে যা কল্পনা করা হয়েছে, সেটি চিহ্নটিকে মনে রাখতে সাহায্য করে।
৩. মোজিতসুকি (মাইন্ড ম্যাপিং)
এর মানে হলো মনের ভেতরে যা কিছু চলছে, সেগুলো লিখে ফেলা বা এঁকে ফেলা। এটি আপনাকে বিষয়টি স্পষ্টভাবে বুঝতে বা সমাধান খুঁজে পেতে অত্যন্ত সহায়ক।
৪. জাজেন ফোকাস (মেডিটেটিভ লার্নিং)
জাপানিদের অনেকেই মেডিটেশন বা ধ্যানকে দৈনন্দিন জীবনে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এর ফলে পরিষ্কারভাবে চিন্তা করা, মনোযোগ ধরে রাখা, সৃজনশীল কাজে মনোবিনেশ করা, ‘রিকানেক্ট’ করা সহজ হয়।
৫. কোজিজি (স্টোরিটেলিং টেকনিক)
‘ইতিহাস’ নাম শুনলেই অনেকের ঘুম পায়। এদিকে জাপানিরা ইতিহাস প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বাঁচিয়ে রাখেন গল্পের ছলে। বাড়ির বয়স্করা ছোটদের পূর্বপুরুষদের গল্প শোনান। তাঁদের ইতিহাস বই, রান্নার বই, নৃতত্ত্ব—এ রকম নানা কিছু গল্পের মতো করে বলা বা লেখা হয়। ইতিহাসের নানা ঘটনা আশ্রয় করে বানিয়ে ফেলা হয় সিনেমাও। ফলে সেগুলো আর বিরক্তিকর লাগে না, বরং ‘ইন্টারেস্টিং’ লাগে। আবার মনে রাখাও সহজ হয়।
সূত্র: মানি কন্ট্রোল
আরও পড়ুনঅফিসে আপনি কতটা গুরুত্বপূর্ণ, বুঝুন ১০ লক্ষণ দেখে০২ ডিসেম্বর ২০২৪উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের সম্মাননা দিল আইএফআইসি ব্যাংক
প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা ‘ইকো সলভ’-এ বিজয়ী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা দিয়েছে আইএফআইসি ব্যাংক। টেকসই উন্নয়ন ও পরিবেশ সুরক্ষায় তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সৃজনশীল চিন্তা ও বিভিন্ন উদ্ভাবনী সমাধান বিষয়ে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
গত শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে আইএফআইসি টাওয়ারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনটি ক্যাটাগরিতে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের স্মারক, সনদ ও সম্মাননা চেক হস্তান্তর করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেন। এ সময় তিনি নিরাপদ ও টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে প্রকৃতির সম্পদের সঠিক ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এই প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা ব্যাংকের একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস হলেও এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সব শিক্ষার্থীকে বিজয়ী হিসেবে অভিহিত করেন। একই সঙ্গে পরিবেশরক্ষা ব্যক্তিগত পর্যায়ে সবার সামাজিক দায়িত্ব বলেও অবহিত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ইকো সলভ প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার বিস্তারিত তুলে ধরেন ব্যাংকের হেড অব সেন্ট্রালাইজড রিটেইল মার্কেটিং ফারিয়া হায়দার।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির পরিচালক কাজী মো. মাহবুব কাশেম ও মো. গোলাম মোস্তফা; প্রতিযোগিতার বিচারক ওয়াটার এইডের রিজিওনাল হেড খাইরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ নাজমুজ্জামান ভূইয়া, ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান এবং নটর ডেম কলেজের সহকারী অধ্যাপক বিপ্লব কুমার দেব প্রমুখ।
প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা ‘ইকো সলভ’-এ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। ‘পরিবেশ আপনার, দায়িত্ব আপনার’ শীর্ষক এই আয়োজনে তিন হাজারের বেশি প্রবন্ধ থেকে ১২ জন শিক্ষার্থীর প্রবন্ধ চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়।