ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার লতাবুনিয়া গ্রামের চালিতাতলা শাখার খালের ওপর বেইলি সেতুটি সংস্কারের অভাবে যান ও পথচারীদের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বারবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কর্তৃপক্ষের কাছে ধরনা দিয়েও মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে সেতুর পাশ দিয়ে খালে বাঁধ দিয়ে কোনো রকমে বিকল্প চলাচলের ব্যবস্থা করে নিয়েছেন স্থানীয়রা।  
৭০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৫ মিটার প্রস্থের এই বেইলি সেতুটি নির্মিত হয়েছিল ৩৬ বছর আগে। অনেকদিন ধরে এর কোনো সংস্কার হয়নি। সেতুর স্টিলের পাটাতন সরে ফাঁক হয়ে গেছে। নাটবোল্ট খুলে  ভেঙে গেছে রেলিংয়ের বেশির ভাগ। মরিচা পড়ে বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। এসব গর্তে পড়ে যানবাহন নষ্ট হচ্ছে। আহত হয়েছেন যাত্রী ও পথচারী। বর্তমানে সেতু দিয়ে বড় যানবাহন চলতে পারে না। ঝুঁকি নিয়ে এখনও চলছে অটোরিকশাসহ ছোট যান। সেতুটির এমনই বেহাল যে, সেগুলোও দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পাচ্ছে না।  
এ পথ দিয়ে চলাচল করেন অটোরিকশাচালক কবির হোসেন হাওলাদার। তিনি বলেন, সেতুটির পাটাতন ক্ষয়ে ধারালো ও পিচ্ছিল হয়ে গেছে। ধারালো অংশে লেগে যানবাহনের চাকা অনেক সময় ফেটে যায়। ভাঙা অংশে চাকা দেবে দুর্ঘটনায় পড়তে হয়। গতি ধীর করে সাবধানে পার হলেও দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পাওয়া যায় না। 
সেতুসংলগ্ন দোকানের মালিক ফারুক হোসেন জানান, সেতু দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই পথচারীরা দুর্ঘটনায় আহত হচ্ছেন। যানবাহনেরও ক্ষতি হচ্ছে। দ্রুত সেতু নির্মাণ করে জনভোগান্তি দূর করার দাবি জানান তিনি। 
শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল জানান, বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার মৌখিক এবং লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু সাড়া মেলেনি। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় সেতুর পাশের খালে বাঁধ দিয়ে পথচারী ও যানবাহন চলাচলের কোনো রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। 
উপজেলা প্রকৌশলী দিপুল কুমার বিশ্বাস জানান, বানাই-কৈখালী-বান্ধাঘাটা-কচুয়া সড়ক ও সেতু নির্মাণ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। কম গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় এটিকে এলজিইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেতুর সয়েল টেস্ট করা হয়েছে। ওই স্থানে গার্ডার সেতু নির্মাণ করা হবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ র ঘটন পথচ র

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল তরুণ আইনজীবীর

প্রায় আট মাস আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মৌলভীবাজার জেলা জজ আদালতের আইনজীবী সুজন মিয়া (৩২)। পরিকল্পনা ছিল, বড় ভাইয়ের বিয়ের পর তিনি ধুমধাম আয়োজন করে স্ত্রীকে ঘরে তুলবেন। তার আগেই দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল তরুণ এই আইনজীবীর। গত রোববার জেলা শহরের পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুজন পৌর শহরের পূর্ব হিলালপুর গ্রামের জহিরুল ইসলামের ছেলে। হত্যার প্রতিবাদ ও জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে গতকাল বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে জেলা আইনজীবী সমিতি। আদালত বর্জন করে সুজনের সহকর্মীরা এসব কর্মসূচি পালন করেন। এ ছাড়া জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে আইনজীবী সমিতি।

জানা গেছে, রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আইনজীবী সুজন ও তাঁর কয়েক বন্ধু পৌর কার্যালয়ের পাশে চটপটির দোকানে ফুচকা খাচ্ছিলেন। এ সময় পাঁচ-ছয় কিশোর হঠাৎ সুজনের ওপর ছুরি নিয়ে হামলা করে। তাঁর বুকে একাধিক ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় তারা। সুজনকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 
সুজনের বড় ভাই সুমন মিয়া বলেন, ‘গত বছরের আগস্টে তাঁর বিয়ে হয়। আমার বিয়ের পর অনুষ্ঠান করে সুজনের স্ত্রীকে ঘরে তোলার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তা আর হলো না। এ ঘটনায় হত্যা মামলা করব।’
মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি গাজী মাহবুবুর রহমান জানান, হত্যাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ