Prothomalo:
2025-03-17@09:17:00 GMT

ইফতারে শরবতের বাহার

Published: 17th, March 2025 GMT

প্রতিদিনের ইফতারের টেবিলে রকমারি যত পদই থাকুক না কেন, প্রথমেই হাত যায় হিমশীতল শরবতের গ্লাসে। চুমুকেই আসে প্রশান্তি।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শরবতেও এসেছে বৈচিত্র্য। সাধারণ গুড় বা লেবু, চিনি, পানির শরবতের কদর কমেছে। নতুন প্রজন্মের পছন্দ এখন নানা ধরনের স্মুদি, মকটেল, পেস্তাবাদাম, চিয়া সিড, মোহিত। তাঁদের সঙ্গে পা মিলিয়ে পুরোনো প্রজন্মও এসবের স্বাদ নেন।

ঘরে-বাইরে সব জায়গাতেই শরবতের জগৎ এখন বৈচিত্র্যময়। শুধু বৈচিত্র্যময়ই নয়, সৌন্দর্যময়। নানা রঙের শেডে বানানো শরবত, তাতে ফুল, পাতা, লেবুর টুকরা দিয়ে বাহারি সাজ দেখে মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই। শরবতের স্বাদও এখন কেবল মিষ্টি নয়; আছে টক, ঝাল—এমনকি কিছুটা তিতকুটে স্বাদের শরবতও। লেবুর দাম চড়া হওয়ায় বিটরুট আর তেঁতুলের শরবতও জায়গা করে নিয়েছে ইফতারের টেবিলে। বাঙ্গি বা তরমুজও পিছিয়ে নেই।

সরেজমিন ঘুরে এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজ দেখে ও কথা বলে জানা গেল হরেক রকমের শরবতের খবর।

বাহারি সব সাজ ও ভিন্ন স্বাদের শরবত বেশি পাওয়া যায় ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশান ও বনানীতে। গুলশান–১ নম্বরে ‘স্মিথস’রেস্তোরাঁয় পাওয়া যায় অরেঞ্জ সানসেট। হালকা কমলা আর লালের মিশেলে বানানো এই শরবতের শেড। অনেকটা গোধূলির রঙে মাখা। শরবত তৈরিতে নিচে দেওয়া হয় লাল সিরাপ। ওপরে মাল্টার রস। টক–মিষ্টি স্বাদের এই অরেঞ্জ সানসেটের দাম ২৫০ টাকা।

গুলশান ১ নম্বরে ‘স্মিথস’ রেস্তোরাঁয় পাওয়া যায় অরেঞ্জ সানসেট.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শরবত র র শরবত

এছাড়াও পড়ুন:

সম্প্রীতির ইফতার

বিকেল বাড়ার সঙ্গে ক্যাম্পাসে বাড়তে থাকে ব্যস্তুতা। কেউ ক্যাফেটেরিয়ায় যাচ্ছে, কেউ যাচ্ছে গেটে। কার আগে কে যাবে চলে সেই প্রতিযোগিতা। ফেরার পথে কারও হাতে থাকছে মুড়ি, কারও হাতে ছোলা, আলুর চপ, পেঁয়াজু। এরপর চলে জায়গা খোঁজার প্রতিযোগিতা। মাঠের কোথায় ঘাস আছে, চত্বরের কোন জায়গাটা পরিষ্কার আছে সে জায়গায় বসে পড়া। সূর্য ডোবার আগ মুহূর্তে চলে মুড়ি, ছোলা, পেঁয়াজু, শরবত তৈরির প্রস্তুতি। এই দৃশ্য পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রব)। রমজানের শুরু থেকে এভাবেই ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ইফতারের আয়োজন চলে। এবারের রমজানে ক্লাস, পরীক্ষা থাকার কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই বাড়ি যেতে পারেননি। ক্যাম্পাসে ক্লাস পরীক্ষা চলবে আঠারো রমজান পর্যন্ত। তাই শিক্ষার্থীদের এবারের সাহ্‌রি ও ইফতার সারতে হচ্ছে ক্যাম্পাসেই। অধিকাংশ শিক্ষার্থী  মেসে এবং হলে সাহ্‌রি করলেও ইফতার করতে আসেন ক্যাম্পাসে। বিকেলে 
বন্ধু, সিনিয়র, জুনিয়রদের সঙ্গে বসে শেষ করেন ইফতারি।  প্রতিদিন ক্লাস, পরীক্ষা শেষ করে বিকেলে ক্যাম্পাসে এক এক করে আসতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, স্বাধীনতা চত্বর, শহীদ মিনার, মুক্তমঞ্চ, এলিভেটেডের ওপরে এবং লেক পাড়ে নিজেদের পছন্দমতো জায়গা খুঁজে নেন। এর পর শুরু হয় ইফতারের আয়োজন।  ইফতারি কেউ ক্যাফেটেরিয়া থেকে কেনেন কেউ আবার ক্যাম্পাস গেট থেকে। এর পাশাপাশি অনেকে মেস থেকে তৈরি করে আনেন, অনেকে আবার অনলাইনে অর্ডার করেন। নানা প্রকারের ইফতারির পসরা নিয়ে শুরু হয় প্রস্তুতি পর্ব। কোন গ্রুপ পেপার আনতে যাচ্ছে, কোন গ্রুপ প্লেট নিয়ে আসছে। কেউ ফল কাটছে, শরবত বানাচ্ছেন, কেউ ছোলা, পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি মাখাচ্ছে, কেউ বিতরণ করছে। এ যেন এক রীতিমতো এক উৎসব। গল্প আর আড্ডায় চলতে থাকে এই উৎসব। এই ইফতারে সিনিয়র, জুনিয়র পার্থক্য থাকে না। পার্থক্য থাকে না কে মুসলমান কে হিন্দু। সৌহার্দ্য আর সম্প্রীতি এক বিরল দৃশ্যের দেখা মেলে প্রতিদিনের ইফতারে।
বন্ধুদের সঙ্গে ইফতারের সময় মনে পড়ে যায় পরিবারের কথা। মায়ের হাতে বানানো সেই ইফতারের স্বাদ যেন অমৃত। তবু জীবনের তাগিদেই পরিবারের বাইরে ইফতার। তবে এই জায়গাটি যেন আরেকটি পরিবার।  পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের মাহি বিন জাকির বলেন, ‘বাসায় থাকলে সাহ্‌রি, ইফতার পরিবারের সঙ্গেই হতো। কিন্তু ক্লাস পরীক্ষার কারণে সেটা সম্ভব হচ্ছে না। ক্যাম্পাসে সবাই মিলে ইফতার করি। এটাও একটা পরিবার।’ পরিসংখ্যান বিভাগের শ্রী তন্ময় কুমার বলেন, ‘ইফতারি 
আমাদের মাঝে একটা সাম্প্রতিক বন্ধন তৈরি করে। ক্যাম্পাসের ইফতারে কেউ ধর্ম, বর্ণ খোঁজে না। রমজানের এই সময়টাতে 
পুরো ক্যাম্পাসে ইফতারের আয়োজন নিয়ে একটা উৎসব 
বিরাজ করে।’v

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সম্প্রীতির ইফতার