2025-04-15@07:01:35 GMT
إجمالي نتائج البحث: 68

«ব স তবত»:

    নামাজ-রোজার মতোই পহেলা বৈশাখ-পাহাড়ি উৎসব আমাদের সংস্কৃতি। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা, বাংলাদেশ সরকার। প্রতি বছর এপ্রিলে সংস্কৃতি আলোচনায় আমরা মেতে উঠি। পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করেই আমাদের এ মেতে ওঠা। কেন এই মেতে ওঠা? মেতে ওঠার ইতিহাসটি নতুন তো নয়ই, উল্টো এই মেতে ওঠার সঙ্গে ১৯৭১-এর  মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পরস্পরের হাত ধরে চলছে, কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা এখনও পূর্ণতা পায়নি বলে প্রতি বছর এই মেতে ওঠা। সাধারণ ধারণায় ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে লাখ লাখ পাকিস্তানি এ দেশে রয়ে গেছে। পরাজিত জনগোষ্ঠীর উপস্থিতি ও তাদের তৎপরতা যে কোনো যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূমিতে একটি বাস্তবতা। মধ্যযুগে বা সামন্তকালে এমন পরাজিতদের সাধারণত হত্যা করা হতো অথবা ভূমি থেকে উচ্ছেদ করা হতো। এ বাস্তবতার মোকাবিলায় আদালত বা...
    অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের এবারের জাতীয় বাজেটটি যাতে ব্যবসা এবং বিনিয়োগের জন্য সহায়ক হয়। করকাঠামোযাতে সেভাবেই সাজানো হয়। সাধারণত, যারা নিয়মিত কর দেন তাদের ওপরই  বারবার করের বোঝা চাপানো হয়। অন্তত আগামী বাজেটে যেন এ প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসে সরকার। যৌক্তিক করহার নির্ধারণ এবং হয়রানিমুক্ত করসেবা নিশ্চিত করা গেলে ব্যবসা–বিনিয়োগের সঙ্গে রাজস্বও বাড়বে। আগামী ২০২৫–২৬ অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে আজ রোববার এক আলোচনা সভায় অর্ন্তবর্তী সরকারের কাছে এসব দাবি তুলে ধরেছেনে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। ছোট–বড় প্রায় সব খাতের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে যৌথভাবে এ আয়োজন করেছে ঢাকা চেম্বার, সমকাল ও চ্যানেল– ২৪ । ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকিন আহমেদ সভা পরিচালনা করেন। ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার...
    অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের এবারের জাতীয় বাজেটটি যাতে ব্যবসা এবং বিনিয়োগের জন্য সহায়ক হয়। করকাঠামোযাতে সেভাবেই সাজানো হয়। সাধারণত, যারা নিয়মিত কর দেন তাদের ওপরই  বারবার করের বোঝা চাপানো হয়। অন্তত আগামী বাজেটে যেন এ প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসে সরকার। যৌক্তিক করহার নির্ধারণ এবং হয়রানিমুক্ত করসেবা নিশ্চিত করা গেলে ব্যবসা–বিনিয়োগের সঙ্গে রাজস্বও বাড়বে। আগামী ২০২৫–২৬ অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে আজ রোববার এক আলোচনা সভায় অর্ন্তবর্তী সরকারের কাছে এসব দাবি তুলে ধরেছেনে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। ছোট–বড় প্রায় সব খাতের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে যৌথভাবে এ আয়োজন করেছে ঢাকা চেম্বার, সমকাল ও চ্যানেল– ২৪ । ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকিন আহমেদ সভা পরিচালনা করেন। ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার...
    যুক্তরাষ্ট্রের কারণে এখন আন্তর্জাতিক রাজনীতির এক আলোচিত শব্দ হয়ে উঠেছে ‘শুল্ক’। হোয়াইট হাউস একের পর এক ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছে। সব আমদানি করা স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক, চীনা পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক আর সারা বিশ্বের বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর পাল্টা শুল্ক বসানোর হুমকি। এই সিদ্ধান্তগুলো আন্তর্জাতিক মহলে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। প্রায় সব দেশই এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে। কেউ কেউ পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে। কিন্তু এ নীতির পেছনে যুক্তরাষ্ট্র আসলে কী চায়, তা নিয়ে সবাই দ্বিধায়। আরও অবাক করার বিষয় হলো, এই কঠিন সিদ্ধান্তগুলোর সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রেরই সবচেয়ে কাছের দুই প্রতিবেশী—কানাডা ও মেক্সিকো। তাদের ওপরও ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছে, তা–ও কোনো ছাড় ব্যতিরেকেই। প্রশ্ন ওঠে, দীর্ঘদিনের প্রতিবেশী সহযোগিতার সম্পর্ক গেল কোথায় এবং রাজনীতিবিদেরা যেভাবে...
    এক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন। তাঁর চাপিয়ে দেওয়া শুল্কনীতি বিশ্ববাজারে তোলপাড় সৃষ্টি করলেও তিনি ছিলেন নির্বিকার। শেয়ারবাজার রক্তাক্ত হলেও বলেছেন, সমস্যা হলে ওষুধ দিতে হয়। সেই ওষুধ দেওয়া হয়েছে। ওষুধ কাজ শুরু করেছে।শুল্ক নিয়ে সমঝোতা করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রেসিডেন্টরা ফোন করেছেন। সেটিও তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেছেন তিনি। বলা বাহুল্য, তিনি সেটাই চাচ্ছিলেন। সেই সঙ্গে বাজারের অমোঘ বাস্তবতার কারণেও তিনি আপাতত ৯০ দিনের জন্য শুল্ক বাস্তবায়ন স্থগিত করলেন বলে নিউইয়র্ক টাইমসের সংবাদে বলা হয়েছে। এ ঘোষণার পর অবশ্য বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরেছে।বিশেষ করে সরকারি বন্ডের সুদের হার হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় আর্থিক ব্যবস্থায় অস্থিরতা শুরু হয়। অনিশ্চয়তার মধ্যে সাধারণত বন্ডের সুদহার বেড়ে যায়। মার্কিন বন্ডের সুদহার গতকাল ৪ দশমিক ৫ শতাংশে উঠে যায়।...
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ফিরে এসে আবারও তাঁর পুরোনো অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছেন—ট্যারিফ বা শুল্কের বেড়া। ২ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে তিনি ‘জাতীয় অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেছেন। নতুন শুল্ক আরোপ করেছেন আন্তর্জাতিক জরুরি অর্থনৈতিক ক্ষমতা আইনের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের সব বাণিজ্য অংশীদারের ওপর।৫ এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়া এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব দেশের ওপর ১০ শতাংশ ‘বেজলাইন’ শুল্ক বসানো হয়েছে। তবে যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য–ঘাটতি বেশি, তাদের ওপর বাড়তি শুল্কও রয়েছে। চীনের জন্য সেটা গিয়ে ঠেকেছে ৩৪ শতাংশে, জাপানের ২৪, দক্ষিণ কোরিয়ার ২৫ আর তাইওয়ানের জন্য ৩২ শতাংশ।ট্রাম্প যেটা ভাবছেন সেটা হলো, এই শুল্ক দিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প ও কর্মসংস্থানের স্বার্থ রক্ষা করবেন, বাণিজ্যে ‘অন্যায্যতা’ দূর করবেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তাঁর এই একতরফা কৌশল হয়তো উল্টো ফল দেবে। বিশেষ...
    প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ভোটাধিকার প্রয়োগের পদ্ধতি নির্ধারণে কারিগরি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কর্মশালা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) এ কর্মশালা শুরু হয়। কর্মশালায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) শিক্ষক এবং সরকারি-বেসরকারি-উন্নয়ন সহযোগীদের মতামত নেওয়া হচ্ছে।প্রবাসীদের জন্য পোস্টাল, অনলাইন ও প্রক্সি ভোটিং—এই তিনটি বিকল্প পদ্ধতি প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করে ইসি। বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা শেষে ইসি একটি পদ্ধতি চালু করার কথা বলছে। অবশ্য এ ক্ষেত্রে ইসি প্রক্সি ভোটিংকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।আজ সকালে এ কর্মশালা উদ্বোধনের সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এই ওয়ার্কশপ থেকে একটি বা কোন কোন দেশে পাইলট প্রোগ্রাম করা যায়, সেই পরামর্শ আপনারা দিন। প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার বিষয়ে...
    ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষার দেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ নামে রাষ্ট্রের সংস্কার অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী দেশের সিংহভাগ মানুষ সংস্কারের পক্ষে। দেশ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে দেশের পুলিশ, প্রশাসন, আইন, বিচার, আর্থিক খাত, নির্বাচন, গণমাধ্যম প্রভৃতি ক্ষেত্র সংস্কারের উদ্দেশ্যে কমিশন গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশির ভাগ কমিশন তাদের প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এগুলোর ওপর ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। সেই কমিশন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে সব রাজনৈতিক দল ও সমাজের নানা পেশার মানুষের মতামত নিয়ে একটি জুলাই-আগস্ট চার্টার্ড তৈরি করা; পরবর্তীকালে রাজনৈতিক সরকার এর পূর্ণ বাস্তবায়ন করবে এবং মেনে চলবে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে রাষ্ট্রের বিভিন্ন অংশীজনের কাছ থেকে কখনও প্রকাশ্যে আবার...
    মার্কিন প্রেসিডেন্টের পাল্টা শুল্ক আরোপের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এখন পর্যন্ত যা হয়েছে, তা মূলত আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ—এটাই বাস্তবতা। গত শনিবার বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা বিডায় দীর্ঘ একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে আমরা সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করেছি, কী করতে হবে বা কী করা দরকার। আমরা আশা করেছিলাম, শনিবার রাতেই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে চিঠি দেওয়া হবে, কিন্তু শেষমেশ তা হয়নি। অনেকেই আবার অনেক রকম কথা বলছেন। এখন পর্যন্ত এই হচ্ছে পরিস্থিতি।এ মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি কাজ হচ্ছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ট্রাম্প প্রশাসনকে চিঠি পাঠানো—যেসব বিষয় আমরা চিহ্নিত করেছি বা বিভিন্ন পক্ষ যেসব কথা বলেছে, তার আলোকে সেই চিঠি পাঠানো দরকার। সবচেয়ে ভালো হতো যদি প্রধান উপদেষ্টা ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্টের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি...
    বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরের সময়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়। ১৯৭২ সালে আওয়ামী লীগের ভেতর থেকে একদল তরুণ রাজনীতিবিদের নেতৃত্বে গঠিত এই দল মূলধারার রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি হতাশ হয়ে বিকল্প রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়তে চেয়েছিল। তারা মনে করত, আওয়ামী লীগ প্রকৃত সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়েছে; বরং তারা সরকার চালানোর পুরোনো পদ্ধতি চালু করেছে।বাংলাদেশ: সামরিক শাসনের কালো অধ্যায়, জাসদের উত্থান ও পতন, রাষ্ট্র বনাম রাজনীতি—এই বইগুলো অনুসারে মহিউদ্দিন আহমদের বক্তব্য হচ্ছে, স্বাধীনতার পরের সময়টি ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের একদিকে সম্ভাবনাময়, অন্যদিকে অত্যন্ত জটিল ও অস্থির একটি অধ্যায়। তিনি দেখিয়েছেন, কীভাবে মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী তরুণ প্রজন্ম সমাজতান্ত্রিক পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে পথে নেমেছিল, কিন্তু তাদের কৌশলগত ভুল এবং বাস্তবতা বিচারের ঘাটতির কারণে সেই স্বপ্ন অনেকাংশেই ভেঙে পড়ে।প্রায় ৫০ বছর পর, বাংলাদেশ আবারও...
    ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ (আমেরিকাকে আবার মহান করো) নীতিগুলো কি উল্টো ফল দেবে? মানে, ট্রাম্প কি আসলে তাঁর নিজের দেশের বদলে এশিয়াকে—বিশেষ করে পূর্ব এশিয়াকে—আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী করে তুলছেন? বর্তমানে যা দেখা যাচ্ছে, তাতে পরিস্থিতি তেমনই দেখাচ্ছে। কারণ, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্ক ও বাণিজ্যনীতি তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোকে দূরে ঠেলতে গিয়ে মিত্রদেরও সরিয়ে দিচ্ছে। আর এই নীতিগুলোর ফলে পূর্ব এশিয়া ও ইউরোপ পরস্পরের কাছাকাছি আসার সুযোগ পাচ্ছে। একটা সম্ভাব্য জোটের কথা এখন অনেকেই বলছেন। এর নাম সিপিটিপিপি। এই কাঠামো গড়ে উঠলে তা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও সক্রিয় মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চলগুলোর একটি হয়ে উঠতে পারে। আর তেমন হলে আমেরিকার একঘরে হয়ে পড়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।ট্রাম্পের শুল্কনীতি যদি চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের চোখে অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক মনে হয়, তাহলে...
    তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, এখনও হাসিনা ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছেন। ভারত খুবই আনফরচুনেটলি হাসিনা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে আশ্রয় দিচ্ছে। আমরা শুনতে পেয়েছি- লাখের কাছাকাছি ‘আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী’ ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মানবাধিকার সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ এর কার্যালয়ে ‘গুম ও খুনের’ শিকার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় ও মিলনমেলায় তিনি এ মন্তব্য করেন। মাহফুজ আলম বলেন, এখানে আওয়ামী লীগ শুধু বাংলাদেশের জনগণের শত্রু। এ ভিন্ন এদের কোনো পরিচয় নেই। এটা কোনো রাজনৈতিক দল না, এটা একটা মাফিয়া গোষ্ঠী ছিল। এর প্রধান ছিলেন শেখ হাসিনা। যিনি বাবা হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার নামে দেশের জনগণের ওপর ভারতের সহযোগিতায় এ অত্যাচার নিপীড়ন চাপিয়ে দিয়েছিলেন। তথ্য উপদেষ্টা বলেন, কোনোদিন আর আওয়ামী লীগকে এ দেশে রাজনৈতিকভাবে দাঁড়াতে...
    ‘দেহায় মুরগি, খাওয়ায় ডাইল’—কথাটি প্রচলিত ছিল আশির দশকের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। তরুণ বয়সে পরিবারের বাইরে আবাসিক হলের জীবনে কিছুটা হাস্যরস ছিল এ ধরনের উচ্চারণে।আজকের বাস্তবতা আরও ভিন্ন, মিথ্যার উর্বর বিশ্বে দেখছি ঘটনা ঘটছে এক, চেষ্টা হচ্ছে আরেক গল্প বলার। বাংলাদেশেও তা-ই।মানুষ ব্যস্ত রোজা আর ঈদ নিয়ে। রটানো হচ্ছে যে উত্তাল পরিস্থিতিতে দেশ। বাস্তবে ক্ষমতায় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আর ভার্চ্যুয়াল ওয়ার্ল্ডে শিগগির ‘প্রত্যাবর্তন’ করছেন পতিত শেখ হাসিনা! এই বুঝি ঘটে যাচ্ছে প্রতিবিপ্লব!মনে হয় কিছু লোক ধরে নিয়েছে, ‘সেই সত্য যা রচিবে তুমি, যা ঘটে তা সব সত্য নয়’। যেন গোয়েবলসের পুনরুত্থান হচ্ছে এখানে–সেখানে মিনিটে মিনিটে। সত্য যেন মিশে আছে মিথ্যায়, হায়!এই তো কয়েক দিন আগেই মাগুরার শিশুটির ধর্ষণ ও মৃত্যু নির্বাক করে দিয়েছিল সারা জাতিকে। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের মধ্য দিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করা...
    মুন্সীগঞ্জে বিসিক কেমিকাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের আগে কাজের পরমর্শক নিয়োগ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পে ভেরিয়েশন প্রস্তাবসহ তিন ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ। এই তিন প্রস্তাবে ব্যয় হবে ২২৯ কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার ৪৩৪ টাকা। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভা সূত্রে জানা গেছে, ‘রিজিলিয়েন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্পের আওতায় কনসালটেন্সি সার্ভিসেস ফর ডিজাইন, সুপারভিশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কাজের পরামর্শক সেবা ক্রয়ের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত ৭টি প্রতিষ্ঠানের কাছে রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজাল ইস্যু করা হলে ৭টি প্রতিষ্ঠানই প্রস্তাব দাখিল...
    শহুরে জীবনের সঙ্গে অভ্যস্ত এই আমরাই মাঝেমধে৵ হাঁপিয়ে উঠি নাগরিক যান্ত্রিকতায়। দূষণ থেকে মুক্ত বাতাসে বুক ভরে শ্বাস নিতে চাইলে আমাদের ছুটে যেতে হয় শহরের বাইরে। আমাদের এই ব্যস্ত ও কোলাহলপূর্ণ নাগরিক জীবনে ঋতু পরিবর্তনের অপরূপ সৌন্দর্য, নির্মল প্রাকৃতিক হাওয়া আর নির্জনতা যেন কল্পকথায় পরিণত হয়েছে। আর এখন তো ঢাকায় বসে ষড়্ঋতু কখন শুরু হচ্ছে, কখন শেষ—বোঝাটাই দুষ্কর হয়ে পড়েছে। আবার আমাদের তুমুল ব্যস্ততার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আধুনিক নানা প্রযুক্তি। জীবন ও যোগাযোগকে সহজ করতে ব্যবহার করা মুঠোফোনের স্ক্রিনে আমরা আটকে থাকছি ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এ সময়ে এসে নিজের ফোন থেকে দূরে থাকার কথা আমরা যেন একমুহূর্তের জন্যও ভাবতে পারি না। হাত থেকে ফোন রাখার কিছুক্ষণ পরেই আমাদের মনে হতে থাকে, যেন খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু আমাদের চোখের আড়ালে চলে যাচ্ছে!...
    বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতির জগতে শ্রদ্ধা ও সমীহের সাথে উচ্চারিত একটি নাম সনজীদা খাতুন। রবীন্দ্রনাথের জন্মের সার্ধশত বছরে শান্তিনিকেতন থেকে সর্বোচ্চ স্বীকৃতির জন্যে বাংলাদেশে তিনিই যোগ্যজন। সাধনা ও সংগ্রামের মিশ্রণে এ এক অনন্য জীবন। প্রায় আশি ছুঁই ছুঁই বয়সেও পথচলার সুদীর্ঘ এই ধারায় কখনও ছেদ পড়েনি, বরং উত্তরোত্তর নতুন নতুন দায় কাঁধে তুলে নিয়েছেন তিনি।সাহিত্য ও সংগীত সনজীদাআপার মূল দুই সঞ্জীবনী, সেই সূত্রে রবীন্দ্রনাথ প্রেরণার প্রধান উৎস, পথ চলার সহায় ও সঙ্গী।রবীন্দ্রনাথ তাঁর বিচিত্র সৃষ্টির পাশাপাশি ভাবনা ও কর্মে বাঙালিকে গ্রাম্যতার গণ্ডি কাটিয়ে নাগরিক বিশ্বপরিসরে উত্তরণের পথ দেখিয়েছেন। কবির মূল এই অভিপ্রায়ের সাথে আমাদের কৃষি-নির্ভর রক্ষণশীল সমাজের পরিচয়সাধন এবং অভীষ্ট লক্ষ্যে তার উত্তরণের পথে অচলায়তন অন্তরে-বাহিরে, এবং তা দুস্তর ও বিস্তর। রবীন্দ্র-ভাবশিষ্যা সনজীদা খাতুন আজীবন সেই বাধাসংকুল দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে চলেছেন।...
    প্রধানত কৃষি-নির্ভর গ্রামীণ জনপদের বিপন্ন জনগোষ্ঠির কল্যাণে সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নে বাংলাদেশের রয়েছে সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও অনুসরণীয় সাফল্য। তবে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে এবং অল্প সময়ের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে হতে যাচ্ছে। এই নতুন আর্থসামাজিক বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তাই সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমকে ঢেলে সাজানো দরকার। সোমবার উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজনে ‌‌‘সামাজিক সুরক্ষায় সংস্কার প্রসঙ্গ’ শিরোনামে প্রাক-বাজেট ওয়েবিনারে এমন অভিমত ব্যক্ত করেন আলোচকরা।  ওয়েবিনারের ধারণাপত্র উপস্থাপনায় উন্নয়ন সমন্বয়ের গবেষণা পরিচালক আব্দুল্লাহ নাদভী বলেন, জাতীয় বাজেটের ১৭ শতাংশের বেশি সামাজিক সুরক্ষায় বরাদ্দ দেয়ার কথা বলা হলেও এই বরাদ্দের এক-তৃতীয়াংশ চলে যাচ্ছে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অবসর ভাতা দেয়ায় এবং সঞ্চয়পত্রের সুদ বাবদ। প্রকৃতপক্ষে দরিদ্র ও বিপন্ন নাগরিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষার বরাদ্দের মাত্র ১৫ শতাংশ বিনিয়োজিত হচ্ছে বলে...
    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে বিএনপির মুখপাত্র সালাহ উদ্দিন আহমদ সংস্কার বাস্তবায়নের পথ হিসেবে গণপরিষদের নির্বাচন ও গণভোটের অনুপযুক্ততার আলাপ তুললেন। যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, গণপরিষদ ব্যবহৃত হয় কেবল নতুন সংবিধান তৈরির সময়। তাই বাংলাদেশের জন্য সেটা অনুপযুক্ত। আর বর্তমান সংবিধানে যেহেতু নির্দিষ্ট করা আছে গণভোট কোন কোন ধারার ক্ষেত্রে হতে পারবে, তাই সংবিধানের অন্যান্য ধারা পরিবর্তনের এখতিয়ার গণভোটের নেই।সংবিধান তৈরির ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, সংবিধানের বড় কোনো পরিবর্তনের জন্য গণপরিষদের নির্বাচন একটি প্রচলিত পদ্ধতি। সাধারণত একটি দেশ যখন কোনো একনায়কমুক্ত হয় অথবা গৃহযুদ্ধের অবসান হয়, তখন সেই নয়া রাজনৈতিক সম্ভাবনাকে জনবান্ধব ও বিধিবদ্ধ করার জন্য গণপরিষদের প্রয়োজন হয়ে পড়ে।সংবিধান সংস্কারে গণপরিষদ ব্যবহারের অনেক উদাহরণ আছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফ্যাসিস্ট মুসোলিনির ছাপ মুছে ফেলতে ১৯৪৬ সালে ইতালির গণপরিষদ নির্বাচিত হয়েছিল, যা ১৮৪৮...
    ৪৬তম বিসিএসের আবশ্যিক বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা ৮ মে থেকে শুরু হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষার সময়সূচি, হলভিত্তিক আসনব্যবস্থা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা যথাসময়ে পিএসসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। আজ সোমবার পিএসসি এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করেছে।গত কয়েকদিন ধরেই ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পরীক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল পিএসসি চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেমের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি এ সময় বলেন, পরীক্ষার্থীদের বিষয়টি যেমন তিনি দেখার চেষ্টা করবেন তেমনি পরীক্ষার্থীদেরও বাস্তবতা দেখতে হবে। কেননা সামনে এসএসসি পরীক্ষা এরপর এইচএসসি পরীক্ষা। বিসিএসের লিখিত পরীক্ষাতে কেন্দ্র পাওয়ার একটি বিষয় আছে। আবার প্রশ্ন ছাপানোর বিষয় আছে। চাইলে প্রশ্ন ছাপিয়েও রাখা যাবে না দীর্ঘদিন। এসব বাস্তবতা রেখে পিএসসিকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এ...
    বাজার থেকে আলু কেনার সময় হালকা সবুজের আভা ছিল কিন্তু রোদ পড়ায় সেগুলো অধিকতর সবুজ হয়ে উঠেছে। দেখতে অদ্ভুত লাগলেও আদতে এই রং বহন করছে বিষাক্ততার ইঙ্গিত। সবুজ আলুর ভেতর থেকে স্মৃতিপটে ভেসে উঠল জ্বরাব্যাধি দুর্ভিক্ষের ইতিহাস– ডালনার আলুগুলো ফেলে দিতে হলো। সবুজ আলু, জখমি আলু, ব্লাইট ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত অসুস্থ আলুতে সোলানিনের পরিমাণ মাত্রাহীনভাবে বেড়ে যায়; যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর ক্ষতিকর হতে পারে। এতে মাথাব্যথা, পেটব্যথা, বমি-ডায়রিয়া থেকে শুরু করে সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম ড্যামেজ হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। মানুষ দুঃখ-কষ্ট ভুলে যেতে চায়, কষ্টকর দিনের কথা মনে রাখতে চায় না; আমরাও ভুলে যাচ্ছি জগৎজোড়া দুর্ভিক্ষজনিত মৃত্যুর করুণ ইতিহাস। যুদ্ধ চলাকালে সাধারণ মানুষ ও সৈনিকদের খাদ্যের যে রেশন দেওয়া হয় তাতে কখনও কখনও পচা আলু থাকে, যা খাওয়া...
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আলোচনায় যে ‘ডিপ স্টেট’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়, তার প্রকৃত অর্থ কী? এটা কি শুধু বৈশ্বিক রাজনৈতিক বিষয়াবলি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে মার্কিনি রাজনৈতিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বলয়ের মধ্যে রাখতে বা তা সম্প্রসারণে ব্যবহার হয়ে থাকে? না, অন্য দেশেও এ ধরনের ‘ডিপ স্টেট’ জাতীয় বিষয়টি আছে?  সাধারণত ‘ডিপ স্টেট’ বলতে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে কিছু সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাকে নিয়ে একটি বিশেষ নেটওয়ার্ককে বোঝানো হয়; যেখানে সরাসরি পার্লামেন্টের বাইরে এবং উচ্চ পর্যায়ের সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে একটি গ্রুপ বা নেটওয়ার্ক বোঝায়; যাদের পরামর্শে সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। এই সিদ্ধান্তের অনেক কিছুই পার্লামেন্টের আলোচনার বাইরে থাকতে পারে, যার ফলে সাধারণ জনগণের পক্ষে তা জানা সবসময় সম্ভব হয় না। অর্থাৎ ওই নেটওয়ার্ক বা গ্রুপটি বৈশ্বিক রাজনীতি ও দেশের স্বার্থে বিভিন্ন...
    বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন নিয়ে প্রথম উপন্যাস জহির রায়হানের অসাধারণ সৃষ্টি ‘আরেক ফাল্গুন’। ১৯৫৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের স্মরণ করার প্রেক্ষাপটে রচিত উপন্যাসের মূল চরিত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা মুনিম। এ ছাড়া সালমা, রেনু, বানু, নীলা, আসাদ, কবি রসুলসহ আরও অনেক চরিত্রে দৃশ্যপট রচিত হয়েছে। তাদের সবাই শিক্ষার্থী। কালজয়ী এ উপন্যাসে উঠে এসেছে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির মর্মান্তিক ঘটনা ও বীরত্বগাথা। জহির রায়হানের লেখনীতে বাস্তবতা, আবেগ এবং সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের নিপুণ সমন্বয় দেখা যায়। তাঁর উপন্যাসের চরিত্রগুলো জীবন্ত এবং গল্পের প্লট পাঠককে আবেগাপ্লুত করে। জহির রায়হানের লেখা শুধু সাহিত্য নয়, এটি ইতিহাসেরও একটি দলিল, যা বাংলাদেশের সংগ্রাম ও সংস্কৃতিকে চিরস্মরণীয় করে রেখেছে। ১৩ মার্চ অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সুহৃদ সমাবেশের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ‘সুহৃদ পাঠচক্র’। এতে...
    গণপরিসর থেকে একসময় হারিয়ে গিয়েছিলেন চীনের অন্যতম শীর্ষ ধনী জ্যাক মা। ২০২০ সালের পর তাঁকে আর খুব একটা জনসমক্ষে দেখা যেত না। চীনের সি চিন পিং সরকারের সমালোচনা পর সরকারের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে তিনি অনেকটা আড়ালে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে গত ফেব্রুয়ারিতে চীনের এক সরকারি অনুষ্ঠানে জ্যাক মাকে দেখা যায় সামনের সারিতে। সেই অনুষ্ঠানে সি চিন পিং শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ–আলোচনা করেন। যদিও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও কথা বলেননি জ্যাক মা। অনুষ্ঠান শেষে তিনি চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে করমর্দন করেন। সেই ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে জ্যাক মার মালিকানাধীন আলিবাবার শেয়ারের দাম ৮ শতাংশ বেড়ে যায়। শুধু তা–ই নয়, চলতি বছর আলিবাবার শেয়ারের দাম ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জ্যাক মার অনুসারী ও বিশ্লেষকেরা এই...
    আলোচনাSuvra Kanti Das
    প্রতিটি গল্পের একটি গন্তব্য থাকে, যাকে বলা হয় পরিণতি। মহাভারতেরও গন্তব্য ছিল কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে পক্ষ-প্রতিপক্ষ হিসেবে সামনের সারিতে যারা ছিলেন, তাদের ঘিরে এগিয়েছে আখ্যান। এর বাইরে গল্পের প্রয়োজনে সৃষ্টি হয়েছে নানা চরিত্র। অনেক চরিত্র আবার গল্পের প্রয়োজনে হারিয়ে গেছে। তবে কিছু চরিত্র না হারালেও পায়নি বিশেষ গুরুত্ব। তেমনি পাঁচ নারী চরিত্র নিয়ে মাহমুদুর রহমান লিখেছেন ‘পঞ্চকন্যা’। হিড়িম্বা, সত্যবতী, সুভদ্রা, অম্বা ও গান্ধারী– এই বইয়ের প্রধান চরিত্র। প্রশ্ন জাগতে পারে, কেন এই পাঁচ নারীকে আলাদাভাবে উপস্থাপন বা পড়ার প্রয়োজন রয়েছে। উপস্থাপনের প্রয়োজনীয়তা পাঠক হিসেবে আমার বলা সাজে না। সেটি লেখকের বলাই শ্রেয়। লেখক ফ্ল্যাপে কিছুটা তুলে ধরেছেন এভাবে, ‘আধুনিক অগ্রসর যুগেও পুরাণের নারীকে দেখা হয় অবাস্তব চরিত্র হিসেবে। তাদের বাস্তবতা প্রকাশ এবং নারীর প্রত্যয় শক্তি ও মনের দ্বন্দ্ব নিয়েই...
    গতকাল বুধবার নতুন নির্বাহী আদেশ সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই আদেশের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে যত ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম পণ্য আসছে, তাতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। একই সঙ্গে ট্রাম্প কানাডার অ্যালুমিনিয়াম ও ধাতব পণ্যে শুল্ক দ্বিগুণ করার আদেশ দিয়েও পরে বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহার করেছেন।এর মধ্য দিয়ে মার্কিন ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনকারীদের সুবিধা দিতে চান ট্রাম্প। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এতে বিপুল পরিমাণ ভোক্তা ও শিল্পপণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে। এতে বাণিজ্যে ভারসাম্যহীনতা কমতে পারে কিন্তু বাস্তবতা হলো, এর মধ্য দিয়ে বৈশ্বিক পরিসরে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে।এ ঘটনার মধ্য দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যেও শুল্ক আরোপ হলো—ট্রাম্প ২.০ জমানায় যা এই প্রথম। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তারাও পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে। একই সঙ্গে কানাডাও গতকাল যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা...
    জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গঠিত হয়েছে। বিতর্ক উঠেছে, এ কি আরেকটি ‘কিংস পার্টি’? কেউ কেউ বলছেন, বাংলাদেশে কিংস পার্টি গঠনের বাস্তবতাই নেই। কিন্তু কিংস পার্টি গঠনের অন্তত তাত্ত্বিক বাস্তবতা এ দেশে রয়েছে। আমরা জানি, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অর্থনীতিতে ক্ষমতার কাঠামো নিয়ন্ত্রণ করে একটি ছোট কিন্তু প্রভাবশালী গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠী কেন্দ্রীভূত শাসন ব্যবস্থার পক্ষে কাজ করে, যা তাদের কাঙ্ক্ষিত স্থিতিশীলতা ও নির্ভরতা প্রদান করে। এই ক্ষুদ্র অভিজাত গোষ্ঠীর প্রভাবের ফলে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো অধিকাংশ সময় কয়েকজনের স্বার্থানুযায়ীই নির্ধারিত হয়। বাংলাদেশের সামরিক ও বেসামরিক আমলাতন্ত্রও দীর্ঘকাল ধরে দেশের শাসনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রেখে আসছে। তারা ক্ষমতার কেন্দ্রীভূতকরণকে কেবল পছন্দ হিসেবে নয়, বরং একটি কৌশলগত প্রয়োজন হিসেবে দেখে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কেন্দ্রীয় স্তরায়িত কাঠামো সরকারি আদেশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দরকারি স্থিতিশীলতা প্রদান করে।...
    পবিত্র রমজান সংযমের মাস, আত্মশুদ্ধির মাস। অথচ বাংলাদেশে এ মাস এলেই বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে যায়। বেগুন, লেবু, ছোলা, চিনি, ভোজ্যতেল—ইত্যাদি পণ্যের মূল্য যেন হঠাৎ আকাশছোঁয়া হয়ে ওঠে। এই লেখক দীর্ঘদিন কর্মসূত্রে জাপানে অবস্থান করেছেন। সেখানকার অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, জাপানে কোনো ধর্মীয় উৎসবের সময়ও বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করে না; বরং দাম থাকে স্বাভাবিক। সেখানে তারা সৎভাবে চলার চেষ্টা করে, আইন মানে, মানুষ ঠকায় না। নৈতিকতা ও সুশৃঙ্খল সমাজব্যবস্থা জাপানের জীবনযাত্রার মূল ভিত্তি।অন্যদিকে বাংলাদেশে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। তাহলে আমাদের দেশে কেন এই মূল্যবৃদ্ধির সমস্যা? এর পেছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে।জাপানের সততা ও আইনের কঠোরতা: জাপানে ব্যবসার নীতিমালা অত্যন্ত স্বচ্ছ, আর আইনের প্রয়োগও কঠোর। কেউ যদি কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বা অযৌক্তিকভাবে পণ্যের দাম বাড়ায়, তাহলে...
    জরিপের তথ্য কতটা সঠিক হয়, তা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ আছে। বাংলাদেশের মতো দেশে নির্বাচনী জরিপের তথ্য নিয়ে বিতর্ক আরও বেশি। তারপরও জরিপের মাধ্যমে একটা ‘ট্রেন্ড’ বোঝা যায়। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে শনিবার প্রকাশিত একটি জরিপের তথ্য ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ‘জনগণের নির্বাচন ভাবনা’ শীর্ষক জরিপটি পরিচালনা করেছে ইনোভেশন; সহযোগিতায় ছিল ব্রেইন ও ভয়েস ফর রিফর্ম। মাঠ গবেষণার নমুনা হিসেবে ৬৪ জেলার ১০ হাজার ৬৯০ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। ১৮ কোটি জনসংখ্যার দেশে নমুনার এই সংখ্যাও প্রশ্নযোগ্য বটে।  জরিপের একটি প্রশ্ন ছিল– এখন নির্বাচন হলে কাকে ভোট দেবেন? এর উত্তরে বিএনপির পক্ষে ভোট দিয়েছে ৪১.৭ শতাংশ মানুষ। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে ৩১.৬ শতাংশ। আওয়ামী লীগ ১৩.৯ শতাংশের সমর্থন পেলেও ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দলকে মাত্র ৫.১ শতাংশ মানুষ ভোট দেওয়ার...
    সরকার পাল্টালে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে পরিবর্তন আসতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী। শনিবার নয়াদিল্লিতে ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভের এক অধিবেশনে চীন ও পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্কের বিষয়ে কথা বলার সময় বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন। খবর এনডিটিভির।  অধিবেশনে সেনাপ্রধান ভবিষ্যতের জন্য সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি, চলমান সংঘর্ষ থেকে শিক্ষণীয় বিষয়, বাংলাদেশ এবং লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) ও লাইন অব কন্ট্রোলের (এলওসি) পরিস্থিতি নিয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।  চীন ও পাকিস্তানের প্রতি পরোক্ষ ইঙ্গিত করে দ্বিবেদী বলেন, তাদের মধ্যে উচ্চ মাত্রার যোগাযোগ রয়েছে, যা মেনে নিতে হবে। এর অর্থ আমার মতে, দুটি ফ্রন্টের হুমকি এখন বাস্তবতা।  পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে বাড়তে থাকা সম্পর্ক নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, যেহেতু সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্র একটি নির্দিষ্ট দেশে; যদি তারা আমাদের...
    ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চীনের উহানে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এরপর ২০২০ সালের শুরুর দিকে বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে এই রোগ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও এই ভাইরাসজনিত রোগকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে। তারপর পেরিয়ে গেছে পাঁচ বছর।২০২০ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মানুষ এই ভাইরাসের প্রকোপে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এরপর পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও বাস্তবতা হলো, করোনাভাইরাসের প্রভাব এখনো বিশ্ব অর্থনীতিতে অনুভূত হচ্ছে।বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তার জেরে দেশে দেশে সরকারি ঋণ রেকর্ড পর্যায়ে উঠে যায়। শ্রমবাজারে ব্যাপক প্রভাব পড়ে, অর্থাৎ অর্থনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপুলসংখ্যক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে। ভোক্তার আচরণও বদলে যায়। এ সবকিছুর জেরে অসমতা বৃদ্ধি পায়; দূর থেকে কাজ করা, ডিজিটাল পদ্ধতিতে অর্থ...
    গত কয়েক দিনে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত ময়দানের চেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে ক্ষমতার কেন্দ্রগুলোতে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কি কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন। ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স তাঁকে আক্রমণ করেন। অনেকের চোখে এটি পরিকল্পিত ও সাজানো বলে মনে হয়েছে।ট্রাম্প যেন ইউক্রেনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ছুতা খুঁজছিলেন। ৪ মার্চ মার্কিন সামরিক সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। ৫ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ও বন্ধ করে দেয়। ফলে ইউক্রেনের সামরিক অভিযান সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।জেলেনস্কি অনমনীয় থাকার চেষ্টা করেছেন। ইউরোপীয় নেতারা দ্রুত এক বৈঠকে মিলিত হয়ে তাঁর প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন। তাঁরা সামরিক ও আর্থিক সহায়তা চালিয়ে যাওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন।সবকিছু দেখে মনে হতে পারে, এসব যেন ট্রাম্পের খামখেয়ালি ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ। তবে বাস্তবতা আরও গভীর। পশ্চিমা দেশগুলোর জনগণকে ভাওতা দেওয়ার...
    ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থান নিঃসন্দেহে একটি নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার জন্ম দিয়েছে, যেমনটা হয়েছিল ১৯৭১ ও ১৯৯০-এ। দেশের রাজনৈতিক পরিসরে যত বড় আন্দোলন সংঘটিত হয়েছে, প্রতিটিই প্রায় অভিন্ন প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। এর সারকথা হচ্ছে, বৃহত্তর রাজনৈতিক ও সামাজিক কাঠামোতে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসা, যা অনেক ক্ষেত্রেই নিষ্পেষণ ও নিপীড়নমূলক, গোষ্ঠীতন্ত্রকে প্রশ্রয় দেয় এবং দুর্নীতিগ্রস্ত। ২০২৪-এর নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতাও এসব পশ্চাৎপদতা ও পুরোনো ধারণা থেকে সমাজ কাঠামোকে বের করে নিয়ে আসার দাবি জানাচ্ছে।   ছাত্রদের নেতৃত্বে ইতোমধ্যে নতুন রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের একটি বড় অংশ প্রত্যাশা করে এই দল এবং গণঅভ্যুত্থানের অগ্রগামী ছাত্রনেতারা তাদের দক্ষতা ও প্রজ্ঞা প্রয়োগের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ সবার সামনে উন্মোচন করবে। তাদের সফলতা বৈষম্যমুক্ত এক বাংলাদেশের সূচনা করবে। আবার তাদের ব্যর্থতা ছাত্র ও যুবদের নিজেদের...
    কী নেশায় পেয়েছে ইউরোপকে, সে কেবল তারাই বলতে পারে। এত দিন বাইডেন প্রশাসনের কথায় উঠেবসে ইউক্রেন তেলজল জুগিয়েছে। এবার ট্রাম্পের চপেটাঘাতে ইউক্রেন ও জেলেনস্কি ক্ষতবিক্ষত হলেও ইউরোপ যেন আগের জায়গা থেকে সরছে না। যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে অপমানিত জেলেনস্কিকে বুকে টেনে নিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। একই সঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে নিতে ইউক্রেনকে ২২৬ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা দিয়েছেন।এই হচ্ছে বাস্তবতা। রাশিয়ার সঙ্গে তিন বছর ধরে অসম যুদ্ধ টেনে নিয়ে যেতে ইউক্রেনের চেয়ে ইউরোপের বড় দেশগুলোর আগ্রহই বেশি। ফলে যুদ্ধটা যে কেবল ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার নয়, বরং ইউরোপ ও সামগ্রিকভাবে পশ্চিমের, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না; সবাই কমবেশি জানেন। কিন্তু ইউরোপকে বুঝতে হবে, রাশিয়ার সঙ্গে তাদের থাকতে হবে। রাশিয়ার জ্বালানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তারাই যে বিপদে পড়েছে, সে কথা বুঝেও...
    কোনো গণ-আন্দোলনই নারীর অংশগ্রহণ ছাড়া পূর্ণতা পায় না। ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যায়, স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান কিংবা ২০১৮ সালের নিরাপদ সড়ক আন্দোলন—প্রতিটি সংগ্রামে নারীদের রয়েছে সাহসিকতা ও নেতৃত্বের ভূমিকা; কিন্তু তাঁদের ভূমিকা প্রধানত সেবাদাত্রী, সম্ভ্রমহারা কিংবা বীরের মা হিসেবে চিত্রিত হয়েছে। ২০২৪-এর আন্দোলনেও নারীদের সাহসিকতা অন্য সবকিছু ছাপিয়ে গিয়েছিল।২০২৪-এর ছাত্র আন্দোলন ছিল দীর্ঘদিনের অন্যায় ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে একটি গণবিস্ফোরণ। যেমন ১৯৫২, ১৯৬৯, ১৯৭১, ১৯৯০-এর মতো সময়গুলোতে জনগণ শিকল ভেঙে অধিকার প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন, তেমনই ২০২৪ সালেও ঘটে নতুন এক জাগরণ। এর সূচনা হয়েছিল ৬ জুন; ওই দিন আমরা কয়েকজন শিক্ষার্থী কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে ‘কোটা পুনর্বহাল চাই না’ ব্যানারে একটি ছোট মিছিল করি। শুরুতে আন্দোলনটি কোটা বাতিলের দাবি নিয়ে শুরু হলেও পরে সংস্কারের দাবিতে রূপ...
    বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অন্যান্য অনেক দেশে নারীদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলেও বাংলাদেশে এখনো নারীরা নানা ধরনের বৈষম্য, সহিংসতা ও শোষণের শিকার হচ্ছেন। বর্তমানে দেশের নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী। এ সময় রুহুল কবির রিজভীর পাশে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ বিএনপির নারী নেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে বিএনপি নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, উন্নয়ন এবং শোষণ ও নির্যাতন থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। বিএনপি বিশ্বাস করে, একটি নারীবান্ধব, নিরাপদ ও স্বাধীন সমাজ গড়ে তোলা প্রয়োজন। সেই সমাজে...
    ভারতের কাশ্মীর ও মণিপুর নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্কের করা মন্তব্য ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছে ভারত। জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি অরিন্দম বাগচি বলেছেন, এই মন্তব্যের সঙ্গে মাঠপর্যায়ের বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক নেই।সোমবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ৫৮তম অধিবেশনে এই মন্তব্য করেন অরিন্দম বাগচি। তিনি বলেন, ‘যেহেতু ভারতের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল, তাই আমি জোর দিয়ে বলতে চাই বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে ভারত একটি সুস্থ, প্রাণবন্ত ও বহুত্ববাদী সমাজ; যা বলা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন এবং এর সঙ্গে মাঠপর্যায়ে বাস্তবতার সম্পর্ক নেই। ভারতের জনগণ আমাদের সম্পর্কে এ ধরনের ভুল উদ্বেগকে বারবার ভুল প্রমাণ করেছে।’জম্মু ও কাশ্মীরের বিষয়ে ফলকার টুর্কের করা মন্তব্য নিয়ে অরিন্দম বাগচি বলেন, তিনি (ফলকার টুর্ক) জম্মু ও কাশ্মীর না বলে ওই অঞ্চলকে ‘ভুলভাবে কাশ্মীর হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।’ এই...
    বাংলাদেশের গণমাধ্যম খাত গত কয়েক দশকে নাটকীয় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত বিটিভি থেকে অনেক বেসরকারি টিভি চ্যানেলের উত্থান এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের প্রসার মিলিয়ে এই খাতকে দুর্গম পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে পরবর্তী ১০ বছরে টিভি চ্যানেলগুলোর দর্শক সংখ্যা কমে গেছে। আমাদের মিডিয়া-অভ্যাস পরিবর্তন ও ডিজিটাল মিডিয়ার ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা এর মূল কারণ। নব্বই দশকের আগ পর্যন্ত বিটিভি, কয়েকটি সংবাদপত্র ও রেডিও ছিল আমাদের গণমাধ্যম। ১৯৯২ সালে প্রথম বিদেশি চ্যানেল হিসেবে সিএনএন দেখা যায় বাংলাদেশে, যা স্যাটেলাইট যুগের সূচনা করে। এর পর ধীরে ধীরে স্থানীয় কেবল টেলিভিশন বিকশিত হয়। ২০০৩-০৪ সালের পর ডিজিটাল বিপ্লব গণমাধ্যমের চেহারা পুরোপুরি বদলে দেয়। প্রযুক্তিগত বিবর্তনের সঙ্গে এই পরিবর্তন অনিবার্য হলেও গণমাধ্যম খাত আয় সংকোচন ও প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জের কারণে ভয়াবহ প্রতিকূলতার সম্মুখীন হচ্ছে। তবে...
    বিনিয়োগসংক্রান্ত নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ। কোম্পানির সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইন্ট্রাকো অটোমোবাইলস লিমিটেড থেকে বিনিয়োগ সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।একইসঙ্গে ইন্ট্রাকো অটোমোবাইলস লিমিটেডে করা সব বিনিয়োগ কোম্পানিটি তাদের ভোলা নন-পাইপ গ্যাস লাইন ইউনিটে (আইআরএসপিএলসি) স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রবিবার (২ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সিএনজি স্টশনের জমির মালিকের সঙ্গে লিজ চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এই বাস্তবতায় কোম্পানি মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে এই সিএনজি স্টেশন আর পরিচালনা করতে চায় না। এই বাস্তবতায় কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ইন্ট্রাকো অটোমোবাইলসের বিনিয়োগ ভোলা নন–পাইপ গ্যাসলাইন ইউনিটে সরিয়ে নেওয়া হবে। আরো পড়ুন: রিং শাইনের সঙ্গে বেপজার ৫...
    বিনিয়োগসংক্রান্ত নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্ট্রাকোর পরিচালনা পর্ষদ। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ইন্ট্রাকো অটোমোবাইলসের একটি সিএনজি স্টেশন থেকে বিনিয়োগ সরিয়ে নেওয়া হবে।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যানুসারে, সিএনজি স্টশনের জমির মালিকের সঙ্গে লিজ চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এই বাস্তবতায় কোম্পানিটি মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে এই সিএনজি স্টেশন আর পরিচালনা করতে চায় না। এই বাস্তবতায় কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ইন্ট্রাকো অটোমোবাইলসের বিনিয়োগ ভোলা নন–পাইপ গ্যাসলাইন ইউনিটে সরিয়ে নেওয়া হবে।বিষয়টি হলো, গত সরকারের সময় ভোলা থেকে সিএনজি আকারে প্রতিদিন পাঁচ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পরিবহনের দায়িত্ব পায় ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন। প্রথম পর্যায়ে দৈনিক ৫ মিলিয়ন গ্যাস সরবরাহ দিয়ে শুরু করে ইন্ট্রাকো ধীরে ধীরে দৈনিক ২৫ মিলিয়ন গ্যাসে উন্নীত করতে চুক্তিবদ্ধ হয়। চুক্তি অনুযায়ী গত অক্টোবরের...
    ‘শ্যামলতার মৃত্যুশিথান’ গল্পের বই। লিখেছেন ইমতিয়ার শামীম। গল্পগুলোর কেন্দ্রে জীবন-বাস্তবতা, সামাজিক অবক্ষয়, লোভের আবর্ত এবং নীরবে হার মেনে নেওয়ার মতো বিষয়। গভীর পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি রয়েছে মাটি-সংশ্লিষ্টতা। আর রয়েছে নিজস্ব ভঙ্গিমা, যা একজন কথাসাহিত্যিকের সবচেয়ে বড় গুণ। এই বইয়ের গল্পগুলোতে ফুটে উঠেছে লেখকের অসাধারণ জীবনবোধ। এসব গল্প কখনও সময়ের বয়ান হয়ে উঠেছে। সামাজিক নানা অসংগতি, অন্তরালের জীবন, বৈপরীত্য, রাজনীতি, অর্থনীতির নানা দিক ফুঠে উঠেছে। বইটিতে সব মিলিয়ে গল্প রয়েছে সাতটি, যেগুলো ভিন্ন ভিন্ন উপজীব্যে বর্ণিত। ‘নির্মাণের প্রাকপর্ব’তে সাদামাটাভাবে জীবনের চিত্র ও অসংগতি উঠে এসেছে। বাবা ও ছেলের সম্পর্ক, জমি-জিরাত, আর্থিক বিষয় নিয়ে পারিবারিক চিত্র এটি। এখানে গল্পের কোনো মিলনাত্মক বা বিয়োগান্ত পরিণতি না থাকলেও ছোট ছোট ঘটনায় জীবন আঁকার চেষ্টা রয়েছে। এক শ্রেণির মানুষ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তৈরি করে খ্যাতিমান হওয়ার চেষ্টায় থাকেন,...
    স্থাপত্য কেবল ভবন নির্মাণের রূপরেখা নয়; বরং ইতিহাস, সংস্কৃতি ও মানুষের আবেগের বহিঃপ্রকাশ। পরিচালক উলফ কেজেল গুরের ‘দ্য ব্রুটালিস্ট’ ঠিক এমনই এক সিনেমা, যেখানে স্থাপত্যের আড়ালে মানব জীবনের উত্থান-পতনের গল্প দেখানো হয়েছে। এ সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্র হলোকাস্ট থেকে বেঁচে ফেরা এক প্রতিভাবান স্থপতি লাসজলো টোথ [অ্যাড্রিয়েন ব্রডি] ও তাঁর স্ত্রী এরজসেবেট [ফেলিসিটি জোন্স]। তাদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে প্রেম, স্বপ্ন এবং এক রহস্যময় শিল্পপতির প্রভাব। তাদের যাত্রা শুরু হয় ইউরোপ থেকে আমেরিকায়।  শুরু হয় নতুন জীবনের স্বপ্ন। কিন্তু সেই স্বপ্ন ধীরে ধীরে এক জটিল বাস্তবতায় রূপ নেয়। সিনেমার গল্পে দেখা যায় লাসজলো একজন হাঙ্গেরীয়-ইহুদি স্থপতি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তাঁর স্ত্রী ও ভাগনির কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। যুদ্ধোত্তর সময়ে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন গ্রহণ করেন এবং তাঁর চাচাতো ভাই আটিলার কাছে আশ্রয়...
    ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় একটি নতুন রাজনৈতিক দলের গড়ে ওঠা নিয়ে সবখানে ব্যাপক আগ্রহ ও কৌতূহল লক্ষ করা যাচ্ছে। দুই প্রধান দলের বাইরে সত্যিকার অর্থে বড় রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশের চেষ্টা এবারই প্রথম—সম্প্রতি এক সেমিনারে প্রখ্যাত চিন্তক রেহমান সোবহান এমন মন্তব্য করেছেন। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনা অত্যন্ত ইতিবাচক। কারণ, দলটির নেতৃত্বে থাকবেন গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়ার মাধ্যমে অর্গানিকভাবে উঠে আসা তরুণ নেতৃত্ব। ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পরিসর উন্মুক্ত হয়েছে। রাজনীতি ও নানা বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা হচ্ছে। এসবই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সৌন্দর্য। নতুন রাজনৈতিক দল ঘিরেও পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনে নানা ধরনের আলোচনা হচ্ছে। এসব আলোচনায় ‘কিংস পার্টি’ কথাটা উঠে এসেছে। বলা হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকারের সহযোগিতায় ছাত্ররা একটি কিংস পার্টি গঠন করতে যাচ্ছে। বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে এমন অভিযোগ করা হচ্ছে। প্রথমেই...
    পৃথিবীর বহু দেশ ভাষিক সাম্রাজ্যের কবলে পড়েছে। এতে জাতীয় আদর্শ পরিপন্থি আদর্শ অনুসরণ করে দেশগুলো নিজেদের ভাষানীতি প্রণয়ন করছে। এই বাস্তবতা থেকে ভাষিক সাম্রাজ্যবাদ ধারণার জন্ম। ভাষিক সাম্রাজ্যবাদ হলো প্রভাবশালী দেশের কোনো ভাষা কোনো অনুবর্তী দেশের জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার প্রয়াসবিশেষ। সাম্রাজ্যবাদী রাজনৈতিক শক্তি কর্তৃক অনুবর্তী দেশের জনগণের চাপিয়ে দেওয়ার এই প্রয়াস রাজনৈতিক সাম্রাজ্যবাদ থেকে উৎসারিত। সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর রাজনৈতিক ক্ষমতা, সামরিক ক্ষমতা বা অর্থনৈতিক ক্ষমতার মাধ্যম ভাষিক সাম্রাজ্যবাদিতা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। ইউরোপীয় দেশগুলোর এশিয়া, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার সাবেক উপনিবেশগুলোয় তাদের ভাষা দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে প্রচলনের যে বাস্তবতা, তা মূলত ভাষিক সাম্রাজ্যবাদের বহিঃপ্রকাশ। সমসাময়িককালে আন্তর্জাতিক অর্থ সংস্থা, জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক ইত্যাদি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ভাষিক সাম্রাজ্যবাদীদের ভাষাগুলোকে বিশ্বায়নের ভাষা হিসেবে প্রচলনে তৎপর। বিশ্বজুড়ে ভাষিক সাম্রাজ্যবাদের বাস্তবতা হলো এই, সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশভুক্ত...
    অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর ব্যাপক সংস্কার ও বড় আকাঙ্ক্ষার চাপ ছিল। দায়িত্ব নেওয়ার পরই সরকারের পক্ষ থেকে অনেক কমিশন ও টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। কমিশন ও টাস্কফোর্সের সুপারিশগুলো এ সরকারের বাস্তবায়ন করার কথা। বাস্তবে তা হচ্ছে না। ফলে সংস্কার নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ব্র্যাক ইনে দু’দিনের সম্মেলনের শেষ দিনে এসব কথা বলেন দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বিশিষ্টজন। ‘অর্থনীতির পুনঃকৌশলকরণে টাস্কফোর্সের সুপারিশ’ শিরোনামে সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও গবেষণা সংস্থা সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান। তিনি বলেন, কমিশন ও টাস্কফোর্সের সুপারিশগুলো এ সরকারের পক্ষেই বাস্তবায়ন করার কথা। দায়িত্ব নেওয়ার সাত মাসের মাথায় এখন সময় এসেছে সরকারকে জিজ্ঞেস করার– সংস্কারের সুপারিশগুলোর কোনটা বাস্তবায়ন হয়েছে। সংস্কারের গণআকাঙ্ক্ষার প্রসঙ্গ টেনে অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু...
    কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কামরুন নাহার শীলার তৃতীয় গল্পগ্রন্থ 'বুমেরাং' প্রকাশিত হয়েছে এবারের অমর একুশে বইমেলায়।  এ গল্পগ্রন্থ সম্পর্কে কামরুন নাহার শীলা বলেন, “ভিন্নধর্মী মোট ১০টি গল্পের সংকলন ‘বুমেরাং’। আমাদের আটপৌরে জীবনকেই নানাভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে গল্পগুলোয়। পাশাপাশি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বাস্তবতা, অভ্যুত্থান পরবর্তী বাস্তবতা প্রকাশের চেষ্টা করা হয়েছে। ক্ষমতাসীনদের দাপট ও ক্ষমতাচ্যুতির ফলে জীর্ণদশার কথা, সম্মানের যোগ্য হয়েও সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অব্যবস্থাপনার কারণে বঞ্চিত মানুষের কথাও বলার চেষ্টা করেছি।” তিনি আরো বলেন, “বইটির বেশিরভাগ গল্পই অলস সময়ে লেখা। বিষয় এবং ভাষা দুইয়ের কোনোটা নিয়েই তেমন ভাবিনি। স্বতঃস্ফূর্তভাবেই গল্পগুলো এসেছে, পাঠক এক বসাতেই একটি গল্প টানা পড়ে যেতে পারবেন। বইটি সিরিয়াস-সাধারণ উভয় পাঠকেরই ভালো লাগবে বলে আমার বিশ্বাস।” আরো পড়ুন: প্রেম...
    মফস্বলের দুটি ছেলেমেয়ের প্রেম-ভালোবাসা ও সম্পর্কের বাস্তবতার গল্পে নির্মিত হয়েছে ভালোবাসা দিবসের বিশেষ নাটক ‘যদি তোমারে না পাই’। অভিনেতা খাইরুল বাশার ও সামিরা খান মাহিকে জুটি করে নির্মাতা সেতু আরিফ বানিয়েছেন এ নাটকটি। চিত্রনাট্যও তাঁরই। নির্মাতা এটিকে ভালোবাসার গল্পের নাটক না বলে রোমান্টিক ফিকশন দাবি করছেন।  গল্পে দেখা যাবে, মাস্টার্স শেষ করা মিরাজ অপেক্ষায় আছে একটা চাকরি হলেই তাসনুভাকে বিয়ে করবে। ৭ বছরের ভালোবাসার সম্পর্ক পরিচর্যার পর তাসনুভার মিরাজকে ছাড়া আর কিছু চাওয়ার নেই। কিন্তু প্রেম-ভালোবাসার বাস্তবতা বেশির ভাগ সময়ে চাওয়ার সঙ্গে মেলে না। মিরাজ ও তাসনুভার ভালোবাসার গল্পে আসে পাওয়া না পাওয়ার লড়াই। অস্থিরতা আর নানা পাগলামিতে মিরাজ ঘুরপাক খায় মফস্বলের দুটি  ছেলে-মেয়ের প্রেম-ভালোবাসা। ভার্সেটাইল মিডিয়ার অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে নাটকটি বৃহস্পতিবার প্রচার হবে। মূলত সম্পর্কের...
    যুক্তরাষ্ট্রে পুরোপুরি ক্লেপটোক্রেসি বা লুটপাটতন্ত্র কায়েম হয়েছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক কাঠামোর ধ্বংস ট্রাম্পের অনেক আগেই শুরু হয়েছিল। এই তন্ত্র কয়েকজনকে অত্যধিক ধনী করে তোলে, যা অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করে। মাফিয়া পুঁজিবাদ সব সময় মাফিয়া রাষ্ট্রের দিকে পরিচালিত করে। দুই ক্ষমতাসীন দল আমাদের প্রথমটা দিয়েছে। এখন আমরা দ্বিতীয়টা পেতে যাচ্ছি। এটি শুধু আমাদের সম্পদ নয়, স্বাধীনতাও কেড়ে নেয়।   ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনের পর ইলন মাস্কের সম্পদ ১৭০ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে তাঁর সম্পদ দাঁড়িয়েছে ৩৯৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। মার্ক জাকারবার্গের বেড়েছে ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বর্তমানে মোট ২৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ পরিমাণ অর্থের সামনে বাইবেলে বর্ণিত মলুচ দেবতাও নতজানু হয়ে পড়বে। দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের একটি পর্যালোচনা অনুসারে, ট্রাম্প প্রশাসনের ধ্বংসাত্মক নীতি অন্তত ১১টি ফেডারেল সংস্থাকে প্রভাবিত করেছে, যার ৩২টিরও...
    তাত্ত্বিক - স‌ন্নিক‌টে অবস্থান; সম্প‌র্কের দৃঢ় ভিত্তি ভদ্রতা আর বিনয়ী; সুসম্প‌র্কের ট‌নিক যোগা‌যোগ আর কেয়ার; সুসম্প‌র্কের আয়ু। আর বাস্তবে যা ঘটে- স‌ন্নিক‌টে অবস্থান; অব‌হেলার পাত্র হওয়া  ভদ্রতা আর বিনয়ী; সুম্প‌র্কের ব‌্যা‌ধি- দুর্বল ভাবা, যোগা‌যোগ আর কেয়ার; সুম্প‌র্কের ক‌্যান্সার- যেন এক মরণব‌্যা‌ধি। ফলাফল- স‌ন্নিক‌টের গুরুত্ব হা‌রি‌য়ে ফেল‌লে বু‌ঝে আসে তার সুফল-কুফল, ভদ্রতা আর বিনয়ী কতটা ছিল দামী; বু‌ঝে তখন, দূরত্ব হয় যখন। যোগা‌যোগ আর কেয়ার কত উপকারী; বিপ‌দে প‌ড়ি‌লে আর পা‌বে না তাহা‌রে, তখন বু‌ঝি‌বে কি ভুল ক‌রে‌ছিল জীব‌নে। করণীয়- অব‌হেলার পাত্র হওয়ার আ‌গে, দূরত্ব তৈ‌রি ক‌রে গুরুত্ব বুঝা‌নো, ভদ্রতা আর বিনয়ী, যোগা‌যোগ আর কেয়ার‌'কে দুর্বল ভাবার আ‌গে যোগ‌্যতার চে‌য়ে বে‌শি গুরুত্ব না দেওয়া। সারকথা- সময় পার হ‌লে, দূরত্ব তৈ‌রি হ‌লে, সব হা‌রি‌য়ে গুরুত্ব বুঝে লাভ নেই।   ...
    রাজনীতিতে ভুল করেননি– এমন কোনো রাজনৈতিক নেতা পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে যাঁর ভুলের পরিমাণ যত কম, তিনি তত বেশি সফল। তাঁকে জনগণ তত বেশি ভালোবেসে মনে রেখেছে। রাজনীতিতে ভুল বলতে এমন সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ বোঝায়, যা অবিবেচনাপ্রসূত; বাস্তবতা থেকে বিচ্যুত। বাংলাদেশের ইতিহাসে বিভিন্ন সময়ে এমন ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, যা সমাজের একাংশ বা পুরো রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে। এসব ভুল সিদ্ধান্ত শুধু রাজনৈতিক অস্থিরতা নয়, বরং দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক স্থিতিশীলতাকেও জটিলতার দিকে ঠেলে দিয়েছে।  স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে আজ পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলো অসংখ্য ভুল করেছে। কিন্তু তারা কখনোই তা স্বীকার করতে চায় না। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দলগুলো তাদের ঐতিহাসিক ভুলে অনড়। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ দাবিদার দলগুলো সরকারে থাকাকালীন দমনপীড়ন, হামলা-মামলা, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের...
    ইতালীয় লেখক ও শিক্ষা দার্শনিক মারিও মনতেসেরির ‘দ্য সিক্রেট অব চাইল্ডহুড’ (১৯৩৬) বইটি শিশুদের মনোজগৎ-বহির্জগতের বিকাশ আর সেখানটায় প্রতিবেশ ও মা-বাবার ভূমিকা ও দায় নিয়ে অসাধারণ বিশ্লেষণ রয়েছে।মারিও মনতেসেরি তাঁর ১৯৪৬ সালের লন্ডন বক্তৃতামালায় শিশুদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাবনা তুলে ধরেছিলেন। তার মধ্যে আমার কাছে বেশি দাগ কাটে এই কথাগুলো: সত্যিকার অর্থে শিশুদের প্রতি আমাদের গভীর সামাজিক দায় রয়েছে, কেননা তারাই আগামী দিনে পরিপূর্ণ মানব হয়ে উঠবে।মনতেসেরির মতো রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ও সুকুমার রায়, সত্যজিৎ রায় ও এস এম সুলতানের কর্মে-দর্শনে শিশুদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন ও সামর্থ্যসম্পন্ন পূর্ণ মানুষ হিসেবে দেখার প্রবল প্রয়াস রয়েছে।নিজস্ব চিন্তা-যুক্তিতে পরিবর্তন ও কল্যাণের জন্য কাজ করার ক্ষমতা শিশুদের মধ্যে আছে। এই ক্ষমতাকে ইংরেজিতে ‘এজেন্সি’ বলা হয়ে থাকে। পরিতাপের বিষয়, শিশুদের সেই ক্ষমতাটা বড়রা করায়ত্ত করে নেন। নানা...
    মুদ্রানীতিতে মোটা দাগে সুদহার ও মুদ্রার বিনিময় হার ব্যবস্থাপনা কীভাবে হবে, তা রয়েছে। বর্তমান বাস্তবতায় সুদহার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত ঠিক আছে। কেননা, সুদহার কমলে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। তবে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির বিষয়টি বর্তমান বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না। ডলারের দর ১২২ টাকা রাখার যে সিদ্ধান্ত, তা সঠিক নয়। ডলারের জোগান কমলে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। আরেকটি বিষয়, আইএমএফ কর্মসূচি থেকে সরে গেলে সবার কাছে নেতিবাচক বার্তায় খরচ বাড়বে ব্যবসায়। বাংলাদেশ ব্যাংক নীতি সুদহার ১০ শতাংশ অপরিবর্তিত রেখেছে। নীতি সুদহার পরিবর্তন করা হয় মূলত মূল্যস্ফীতির ভিত্তিতে। সাম্প্রতিক সময়ে মূল্যস্ফীতিতে একটি মিশ্র চিত্র দেখা যাচ্ছে, যেখানে নীতি সুদহার পরিবর্তনের মতো কোনো সংকেত নেই। নীতি সুদহার কমালে অবশ্য ব্যবসায়ীরা খুশি হতেন। তবে মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হতো। আবার সুদহার কমলেই বিনিয়োগ বাড়বে, এটি...
    টুইটারের (বর্তমানে এক্স) পর এবার ওপেনএআইয়ের ওপর চোখ পড়েছে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তৈরি করে তাক লাগিয়ে দেওয়া ওপেনএআইয়ের দখল নিতে ইলন মাস্ক বড় দর হাঁকিয়েছেন তিনি।সম্প্রতি ওপেনএআই কেনার জন্য দর হাঁকিয়েছেন ইলনের নেতৃত্বাধীন একদল বিনিয়োগকারী। রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, ৯ হাজার ৭৪০ কোটি ডলারের বিনিময়ে ওপেনএআই কিনে নেওয়ার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে প্রস্তাব দিয়েছেন ইলন মাস্কের নেতৃত্বে একদল বিনিয়োগকারী। যদিও মাস্কের নেতৃত্বাধীন বিনিয়োগকারীদের এই প্রস্তাব যে তারা মেনে নিচ্ছে না, ওপেনএআই ঠারেঠোরে তা বুঝিয়ে দিয়েছে। বরং উল্টো কাজ করেছেন ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান। মাস্কের হাতে থাকা টুইটার (বর্তমানে এক্স) কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।ইলন ও অল্টম্যান উভয়েই ওপেনএআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা। পরে কোম্পানি থেকে সরে দাঁড়ান ইলন মাস্ক, কিন্তু অল্টম্যান থেকে যান। তাঁর হাত ধরেই...
    সিনিয়র সিটিজেন হেলথকেয়ার লিমিটেডের ৩৭ শতাংশ শেয়ার কিনবে এডিএন টেলিকম লিমিটেড। এই পরিমাণ শেয়ার কেনার জন্য তারা ৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বিনিয়োগ করবে।এডিএন টেলের পরিচালনা পর্ষদ ৬ ফেব্রুয়ারির সিদ্ধান্ত অনুসারে এই শেয়ার কেনার অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে কোম্পানিটি ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা বাজারে প্রবেশ করল। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।গত এক বছরে এডিএনটেলের শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ১৫১ টাকা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ৭৭ টাকা ৮০ পয়সা। ২০২৪ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ, ২০২৩ সালে ১৫ শতাংশ, ২০২২ সালে ১০ শতাংশ, ২০২১ সালে ১০ শতাংশ ও ২০২০ সালে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি।দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। কিন্তু গড় আয়ু বাড়লেও জীবনমানের বিশেষ উন্নতি হয়নি বলে স্বাস্থ্যসেবা বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন। ফলে বয়স্ক মানুষেরা নানা ধরনের রোগশোকে ভোগেন।...
    আমার সব সময় মনে হয়, সরকারের প্রধান অগ্রাধিকার হওয়া উচিত ব্যবসা-বাণিজ্য। কিন্তু সব সরকারই এই জায়গা থেকে কমবেশি দূরে সরে যায়। কিন্তু মনে রাখা উচিত, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো না হলে অর্থনীতি ভালো হবে না; অর্থনীতি ভালো না হলে কর্মসংস্থান হবে না। সেটা না হলে দেশে স্থিতিশীলতা আসবে না।ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমরা ক্রমেই বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ছি। প্রথমত, বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ কমে যাচ্ছে। ঋণের সুদহার যদি ১৬ শতাংশে উঠে যায়, তাহলে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হবে। দ্বিতীয়ত, ছয় মাস আগের তুলনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে ঠিক, কিন্তু তা এখনো কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে আসেনি। সমস্যা আছে। একদিকে উচ্চ সুদ, অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন অনিশ্চয়তা, এ বাস্তবতায় দেশে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হবে। নতুন করে কেউ বিনিয়োগ করতে চাইবেন না। সেই সঙ্গে যাঁরা বিনিয়োগ করেছেন, তাঁরাও বিনিয়োগ নিয়ে...
    মূর্খতাকে অনেক সময় সহজেই প্রতিভা বলে ভুল হয়। কখনো কখনো সহানুভূতির ছদ্মবেশে লুকিয়ে থাকে অনুভূতিশূন্য নির্বুদ্ধিতা। ডোনাল্ড ট্রাম্প হাজির হয়েছেন গাজাকে পুরোপুরি খালি করে ফেলে ফিলিস্তিনি সাধারণ মানুষকে জোর করে একটি কল্পিত ‘ভালো, সুন্দর, উর্বর ভূমিতে’ পুনর্বাসনের ধারণা নিয়ে। তাঁর এই পরিকল্পনা শুধু বোকা লোকেরাই বিশ্বাস করবে। এটি কোনো বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা নয়। এ হচ্ছে ট্রাম্পের সীমাহীন আত্মম্ভরিতার প্রকাশ।ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পের অসংলগ্ন কথাবার্তাকে যুগান্তকারী চিন্তাভাবনা বলে প্রশংসা করেছেন। তা আদতে কোনো পরিকল্পনাই নয়। এ বরং মদের আসরে বড় গলায় বলা প্রলাপের মতো। অথচ কথাগুলো ভয়ানকভাবে বিপজ্জনক। ট্রাম্পের কথিত সহানুভূতির আড়ালে মৌলবাদী উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে। তাঁর কথার আসল মানে হলো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্নকে একেবারে ধ্বংস করে দেওয়া।এ কারণেই কট্টরপন্থী ইহুদি জাতীয়তাবাদী ও ধর্মীয় উগ্রবাদীরা উল্লাস করছে। এ কারণেই জাতিসংঘের...
    যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ার্স হামলার মধ্য দিয়ে জন্ম নিয়েছিল ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ ন্যারেটিভ। ২০০১ সালের ওই ঘটনার পর বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে চলে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত। এসব সংঘাতের ধারাবাহিকতায় আসে ২০২৪ সাল। বছরটির শুরুতেই একে বলা হচ্ছিল ভোটের বছর। বিশ্বে এক বছরে ৮০টির বেশি দেশে নির্বাচন হয়েছে। পাল্টে যায় অনেক ছক, হিসাবনিকাশ। গত বছর সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের আকস্মিক পতন, রাশিয়ার পক্ষে লড়াই করতে শুরু করে উত্তর কোরীয় সেনারা, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মিসাইল ইউক্রেনে পাঠানো এবং রাশিয়ার ওপর হামলা, ইরানের মিসাইল রাশিয়ায় পাঠানো। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রে সজ্জিত ইসরায়েলের বিমান হামলা লেবানন ও গাজায়, ইয়েমেনের মিসাইল ইসরায়েলের দিকে নিক্ষেপ– এসব সংঘর্ঘ একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, বিশ্বের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কি আরও বেশি দেশ একে অপরের সঙ্গে যুক্ত...
    আরেকবার কী হবে? ফরচুন বরিশালকে ঘিরে এখন এটাই প্রশ্ন। গত আসরে তারা শিরোপা জিতেছিল, এবার সামনে শিরোপা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ জিততে ফাইনালের আগের দিন বরিশাল আজ পুরোদমেই অনুশীলন করেছে মিরপুরে একাডেমি মাঠে।গত বছর অনেক উত্থান–পতনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিল দলটা। এবার শুরু থেকেই ফেবারিট। লিগ পর্বে ১২ ম্যাচের আটটিতে জিতে পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে থেকে কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নেয় তারা। এরপর প্রথম কোয়ালিফায়ারে চিটাগং কিংসকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে বরিশাল। চিটাগং কিংসের বিপক্ষে আজ শিরোপা ধরে রাখার শেষ পরীক্ষা বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের; কিন্তু প্রথম শিরোপা জয়ের যে রোমাঞ্চ, সেটা কি থাকবে এবার শিরোপা জিতলে?এমন এক প্রশ্নের উত্তরে আজ ফাইনাল পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেছেন, ‘ট্রফি এমন একটা জিনিস, আমি নিশ্চিত যাকেই জিজ্ঞেস করেন না কেন, যারা...
    অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হচ্ছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০২১-২২ বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসানের প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস ‘ইতি’। সাগরিকা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত এ উপন্যাসটি রকমারিসহ অন্যান্য অনলাইন বুক শপে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার কৃতি এ লেখক। মেলায় বই প্রকাশের অনুভূতি জানাতে গিয়ে লেখক নাজমুল হাসান বলেন, “নিজের লেখা বই মেলায় প্রকাশিত হওয়া যেকোন লেখকের জন্যই এক বিশেষ আনন্দের অনুভূতি। আমার জন্যও এটি স্বপ্ন পূরণের মুহূর্ত। এতদিনের ভাবনা, লেখা, পরিশ্রম সবকিছু মিলিয়ে অবশেষে যখন বইটি পাঠকদের হাতে পৌঁছাবে, তখন নিজের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। আরো পড়ুন: বইয়ের প্রচার রবীন্দ্রনাথও করেছেন: রফিকুজ্জামান রণি উপন্যাস লিখবার সময় আমি অন্য যেকোন লেখা থেকে বিরত থাকি: পাপড়ি রহমান লেখক হওয়া...
    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রতিবেদনের বাস্তবতার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। এটি শুধুই একটি বলিউডি রোমান্টিক কমেডি। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টস ফেসবুকে তাদের ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে লিখেছে- ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলিউডের রোমান্টিক কমেডির চেয়েও বাস্তবতার সাথে কম মিল রয়েছে।’ প্রেস উইং ফ্যাক্টস আরো বলেছে, ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তথাকথিত ‘হাইব্রিড যুদ্ধ’ কৌশল ব্যবহার করছে, যা দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রক্সি হিসেবে কাজ করা শেখ হাসিনাকে সমর্থন দেওয়া এবং বাংলাদেশের জনগণ ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে অসম্মান করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে। দেশের যে জনগণ ও প্রতিষ্ঠানগুলো গত জুলাই-আগস্টে স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটিয়েছে, তাকে টার্গেট করা হচ্ছে। আরো পড়ুন: গ্রিন ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা...
    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রতিবেদনের বাস্তবতার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই; এটি শুধুই একটি বলিউডি রোমান্টিক কমেডি। শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টস ফেসবুকে তাদের ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে লিখেছে- ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলিউডের রোমান্টিক কমেডির চেয়েও বাস্তবতার সাথে কম মিল রয়েছে।’ প্রেস উইং ফ্যাক্টস আরও বলেছে, ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তথাকথিত ‘হাইব্রিড যুদ্ধ’ কৌশল ব্যবহার করছে, যা দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রক্সি হিসেবে কাজ করা শেখ হাসিনাকে সমর্থন দেওয়া এবং বাংলাদেশের জনগণ ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে অসম্মান করার উদ্দেশে পরিচালিত হচ্ছে। দেশের যে জনগণ ও প্রতিষ্ঠানগুলো গত জুলাই-আগস্টে স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটিয়েছে, তাকে টার্গেট করা হচ্ছে। হাইব্রিড যুদ্ধের অংশ হিসেবে তথ্য পরিচালনা বা ‘অপতথ্য’ ব্যবহার করা হচ্ছে, যাতে...
    কথাশিল্পী কাজী লাবণ্যের বর্ণনায় মাটির কাছে থাকা মানুষের নিবিড় পরিচয় ফুটে ওঠে। তিনি অবহেলিত, প্রতারিত এবং নিগৃহীত মানুষের কথা লিখে চলেন প্রকৃতির চিত্রময় বর্ণনার সঙ্গে সঙ্গে। তার প্রকাশিত গল্প গ্রন্থের সংখ্যা ৬ টি, উপন্যাসের সংখ্যা ২টি। ২০২৫ বইমেলায় কাজী লাবণ্যের একটি গল্পগ্রন্থ এবং একটি উপন্যাস প্রকাশ হচ্ছে। প্রকাশিতব্য বই নিয়ে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার গ্রহণে স্বরলিপি। রাইজিংবিডি: হাজারমুখী রোদসীর প্রেক্ষাপট জানতে চাই।  কাজী লাবণ্য: এই নামে আমার একটি গল্প আছে ২০২৩ সালে প্রকাশিত ‘আয়োলিতার পুরুষ’ গ্রন্থে। বাস্তবে দেখা এক নারীর আবছায়া নিয়ে লেখা ঐ গল্পের গর্ভে উপন্যাসের বীজ লুকায়িত ছিল। পরবর্তীতে এটি উপন্যাস আকারে আনার সিদ্ধান্ত নিই এবং তাতে উৎসাহ দেয় সুহৃদ বন্ধু কথাসাহিত্যিক সাদিয়া সুলতানা। গতবছরের একটা সময়ে দেশ থেকে দূর পরবাসের এক আনন্দধামে ছিলাম।...
    হাসান আজিজুল হক (১৯৩৯-২০২১) ষাটের দশকের বাংলা ছোটগল্পের একজন ব্যতিক্রমী রূপকার। পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমার মঙ্গলকোট থানাধীন যবগ্রামে তাঁর জন্ম। মূলত কথাশিল্পী হলেও বাংলা ছোটগল্পধারায় তিনি দেখিয়েছেন অবিসংবাদী কৃতিত্ব। ১৯৬০ সালে সিকান্দার আবু জাফর সম্পাদিত সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত ‘শকুন’ গল্পের মধ্য দিয়েই তিনি সাহিত্যজগতে স্থায়ী আসন লাভ করেন। তারপর সুদীর্ঘ পঞ্চাশ বছর মূলত ছোটগল্পের মধ্যেই ডুবে থাকেন। ছোটগল্পের ক্ষেত্রে হাসান আজিজুল হক তাঁর বিষয়বৈচিত্র্য ও বিস্তার, পর্যবেক্ষণ ও পরিনির্মাণ, শিল্পবোধ ও আঙ্গিক– এসব নিয়ে যে ফসল ফলিয়েছেন, তার তুল্য মান খুঁজে পাওয়া যায় না। প্রকৃত অর্থে এটিই বাংলা ছোটগল্পের স্পর্ধা ও শক্তি। ‘ছোটগল্প ও তার বিচার’ শীর্ষক প্রবন্ধে সৈয়দ শামসুল হক বাংলা ছোটগল্প সম্পর্কে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের কথাসাহিত্যে, রবীন্দ্রনাথ থেকে এখন পর্যন্ত, সামগ্রিক বিচারে আমার মনে হয়, উপন্যাস...
    শীতে ঢাকায় গ্যাস-সংকট সীমা ছাড়িয়েছে। অনেক এলাকায় ভোর হতে না হতেই গ্যাস চলে যাচ্ছে, আসছে রাতে। ফলে মধ্যরাতে চুলা জ্বলছে, রান্নাবান্নার কাজ সারতে হচ্ছে। মাসের শুরুতে তিন দিন একবারের জন্যও গ্যাস আসেনি।দুই বছর আগে প্রথম আলোয় লিখেছিলাম—‘গ্যাসের চুলা না জ্বালালেও কেন মাস শেষে বিল’। সেই চিত্রের বদল হয়নি। ফলে মাস শেষে গ্যাসের বিল যেমন দিতে হচ্ছে, আবার ইনডাকশন চুলা, রাইস কুকারে রান্নার কারণে বাড়তি বিদ্যুৎ বিল দিতে হচ্ছে কিংবা সিলিন্ডার কেনার কারণে বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে।এই যে বাড়তি খরচের বোঝা, এর কোনো দায় সাধারণ মানুষের নয়। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন হওয়া শেখ হাসিনা সরকারসহ পূর্ববর্তী সরকারগুলোর ভুল জ্বালানি নীতির ফলাফল এটা। আওয়ামী লীগের শাসনামলে অলিগার্কদের শাসনে যে স্বজনতোষী অর্থনীতি গড়ে উঠেছিল, সেখানে লুটপাটের অন্যতম ক্ষেত্র ছিল জ্বালানি...
    বেশি দিন আগের কথা নয়, মার্কিন গাড়ি কোম্পানি জেনারেল মোটরসের (জিএম) জন্য চীনের বাজার ছিল সবচেয়ে লাভজনক। কোম্পানিটি যখন উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের বাজারে রীতিমতো ধুঁকছিল এবং বেইল আউট বা পুনরুদ্ধার কর্মসূচির কথা ভাবছিল, তখন তাদের বাঁচিয়ে দেয় চীনের বাজার। কারণ, তারা চীনে মুনাফা করে যাচ্ছিল।এখনকার বাস্তবতাটা ঠিক তার বিপরীত। জেনারেল মোটরস এখন ঘরের তথা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রেকর্ড পরিমাণ মুনাফা করছে বটে, কিন্তু চীনে ক্ষতির মুখে পড়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে তারা চীনের বাজারে আর কত দিন টিকতে পারবে, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। এর প্রধান কারণ, চীনা কোম্পানিগুলো স্থানীয় ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করে বাজার সয়লাব করে দিয়েছে। যে ধরনের গাড়ি একসময় মার্কিন কোম্পানিগুলো তৈরি করতে চায়নি, সে ধরনের গাড়ি বানিয়েই চীনারা বাজিমাত করেছে। খবর সিএনএনেরবাস্তবতা...
    সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাইয়ে গত বুধবার আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি ও ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এক বৈঠক। এর মধ্য দিয়ে আফগান তালেবান নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোয় নয়াদিল্লির অভিপ্রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশ্লেষকেরা।তালেবানের সঙ্গে গত বছরের পুরোটা সময় ধাপে ধাপে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়েছে ভারত। তবে ওই দুই নেতা ও কর্মকর্তার সাম্প্রতিকতম বৈঠকটিকে এ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সবচেয়ে উঁচু পর্যায়ের প্রথম যোগাযোগ হিসেবে ধরা হচ্ছে।আফগানিস্তানে গত ২০ বছরে সহায়তা ও নির্মাণ খাতে ৩ বিলিয়ন (৩০০ কোটি) ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে ভারত। বৈঠক শেষে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে বিবৃতি দিয়েছে, তাতে আলোচনার যেসব বিষয় উঠে এসেছে, তা হলো আঞ্চলিক উন্নয়ন, বাণিজ্য ও মানবিক সহযোগিতা, উন্নয়ন প্রকল্প শুরু করা নিয়ে মতৈক্য এবং আফগানিস্তানের স্বাস্থ্য ও...
    শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেছেন, নতুন করে ভ্যাট–শুল্ক আরোপ হবে সরকারের নির্দয় সিদ্ধান্ত।আজ রোববার দেওয়া এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানান জাপার চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, দেশের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নেই। সাধারণ মানুষ আয় দিয়ে ব্যয় নির্বাহ করতে হিমশিম খাচ্ছে। ঘরে ঘরে বেকারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। টাকার অভাবে মানুষ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে পারছে না। ভালো নেই দেশের ব্যবসায়ীরাও।জি এম কাদের বলেন, মূল্যস্ফীতির চাপ, ডলারের উচ্চ মূল্য এবং ব্যাংকের অতিমাত্রায় সুদের বেড়াজালে দেশের মানুষের জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়েছে। এমন বাস্তবতায় শতাধিক পণ্য ও সেবায় ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত দেশের মানুষের জীবনকে অসহনীয় করে তুলবে।সরকারের প্রতি পরামর্শ দিয়ে এই রাজনীতিক বলেন, ভ্যাট–শুল্ক না বাড়িয়ে...
۱