তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, এখনও হাসিনা ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছেন। ভারত খুবই আনফরচুনেটলি হাসিনা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে আশ্রয় দিচ্ছে। আমরা শুনতে পেয়েছি- লাখের কাছাকাছি ‘আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী’ ভারতে আশ্রয় নিয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মানবাধিকার সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ এর কার্যালয়ে ‘গুম ও খুনের’ শিকার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় ও মিলনমেলায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

মাহফুজ আলম বলেন, এখানে আওয়ামী লীগ শুধু বাংলাদেশের জনগণের শত্রু। এ ভিন্ন এদের কোনো পরিচয় নেই। এটা কোনো রাজনৈতিক দল না, এটা একটা মাফিয়া গোষ্ঠী ছিল। এর প্রধান ছিলেন শেখ হাসিনা। যিনি বাবা হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার নামে দেশের জনগণের ওপর ভারতের সহযোগিতায় এ অত্যাচার নিপীড়ন চাপিয়ে দিয়েছিলেন।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, কোনোদিন আর আওয়ামী লীগকে এ দেশে রাজনৈতিকভাবে দাঁড়াতে দেব না, এটা আমাদের অঙ্গীকার। আওয়ামী লীগ আমলে ‘গুমের বিভিন্ন তথ্য’ তুলে ধরে এ সরকারের আমলে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। গুম ঘরের মতো পুরো বাংলাদেশেই আয়নাঘর ছিল। আমরা আসলে দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছি। আমরা আসলেই মুক্ত হয়েছি।

‘গুম’ হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা হাজারের উপরে দাবি করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, অধিকাংশ ফ্যামিলি কাউকে খুঁজে পায়নি, গুম কমিশন বলেছে। অনেককে গুম করে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেকে ভারতের কারাগারে ছিলেন। ওরা এখানেই ছিল, এখান থেকে অনেককে ভারতে পাচার করে দেওয়া হয়েছে।

মাহফুজ আলম বলেন, এমন একটা ব্যবস্থা চালু হয়েছিল, যেটা আসলে একটা যুদ্ধাবস্থার মত। এখানে যারাই রাজনৈতিক বিরোধিতা করেছে তাদের সন্ত্রাসী, জঙ্গি, অগ্নি সন্ত্রাসী, আরও অনেক ট্যাগ দিয়ে গুম করা, তাদের স্বজনদের আতঙ্কগ্রস্ত রাখাটাকে স্বাভাবিক করে তোলা হয়েছিল। এটা এমন ছিল যে ওরা যেহেতু সন্ত্রাসী, ওদেরকে মারাই যায়।

তথ্য উপদেষ্টার দাবি, শেখ হাসিনা পুরো দেশের ওপরেই জঙ্গিবাদ চাপিয়ে দিয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা বলছি না যে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ বা মিলিটেন্সি, চরমপন্থার কোনো বাস্তবতা নেই। বাস্তবতা আছে হয়ত। কিছু বাস্তবতা ছিল বিভিন্ন সময়ে ধর্মীয় বা বিভিন্ন উগ্রপন্থা ছিল এবং হয়ত আছেও। এটাকে মোকাবিলার পথ খুবই স্পেসিফিক এবং তার দায়িত্ব স্পেসিফিক লোকদের। কিন্তু হাসিনা এটা দেশের জনগণের ওপরে চাপিয়ে দিয়েছে, দেশের জনগণকেই সন্ত্রাসী জঙ্গি এবং রাষ্ট্রবিরোধী হিসেবে পোট্রেই করা হয়েছিল।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

কখনো বলিনি, আগে নির্বাচন, পরে সংস্কার: মির্জা ফখরুল 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “আমরা কখনো এ কথা বলিনি যে, আগে নির্বাচন, তার পরে সংস্কার। এটা যদি কেউ বলে, তাহলে ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। নির্বাচনের জন্য ন্যূনতম যে সংস্থার দরকার, সেটা করতে হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “যারা সংস্কার করতে এসেছেন, তারা জনগণের বাইরে গিয়ে কিছু করলে বিএনপি তা সমর্থন করবে না। জনগণ যেটা চাইবে, আমরা সেটাকেই সমর্থন করব।”

বুধবার (২ এপ্রিল) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রই শ্রেষ্ঠ ব্যবস্থা সুশাসনের জন্য ও রাষ্ট্র পরিচালনার জন্যে। এটাই একমাত্র ব্যবস্থা, যেখানে মানুষের বক্তব্য বিবেচনায় নেওয়া হয়, নির্বাচিত সরকার দেশ চালায়। এই যে আমরা একটা ভয়ে থাকি যে, রাজনৈতিক দলগুলো স্বৈরাচার হয়ে যায়। স্বৈরাচার হলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা হবে। সুতরাং, এখানে গণতন্ত্রের কোনো দোষ নেই। গণতন্ত্রই শ্রেষ্ঠ ব্যবস্থা, তা না হলে আওয়ামী লীগের মতোই অবস্থা হবে, ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে। বিএনপির সময়ে কখনো ফ্যাসিবাদের উত্থান হয়নি বা কর্তৃত্ববাদের উত্থান হয়নি। 

সংস্কার বিষয়ে বিএনপির অবস্থান নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশজুড়ে একটা প্রচারণা চালানো হচ্ছে যে, বিএনপি আগে নির্বাচন চায়। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমরাই সংস্কারের প্রবক্তা, আমরাই সংস্কার চেয়েছি।

এ সময় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফসহ জেলা, উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

ঢাকা/হিমেল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এ সরকারের আমলে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেনি, সম্ভাবনাও নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেনি, কোনো সম্ভাবনাও নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেনি, কোনো সম্ভাবনা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • সংস্কার-নির্বাচন নিয়ে বিএনপিকে টার্গেট করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে: মির্জা ফখরুল
  • ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত মিয়ানমারকে ৩০ লাখ ডলার অনুদান দেবে এডিবি
  • কখনো বলিনি, আগে নির্বাচন, পরে সংস্কার: মির্জা ফখরুল 
  • বিএনপি কখনো বলেনি আগে নির্বাচন পরে সংস্কার, ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে: মির্জা ফখরুল
  • কোন কোন উপদেষ্টাকে সরাতে বলেছেন মির্জা ফখরুল
  • নির্বাচনের পর সংস্কার: নব্বইয়ের অভ্যুত্থানের ব্যর্থতা কি ভুলে যাব