কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কামরুন নাহার শীলার তৃতীয় গল্পগ্রন্থ 'বুমেরাং' প্রকাশিত হয়েছে এবারের অমর একুশে বইমেলায়। 

এ গল্পগ্রন্থ সম্পর্কে কামরুন নাহার শীলা বলেন, “ভিন্নধর্মী মোট ১০টি গল্পের সংকলন ‘বুমেরাং’। আমাদের আটপৌরে জীবনকেই নানাভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে গল্পগুলোয়। পাশাপাশি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বাস্তবতা, অভ্যুত্থান পরবর্তী বাস্তবতা প্রকাশের চেষ্টা করা হয়েছে। ক্ষমতাসীনদের দাপট ও ক্ষমতাচ্যুতির ফলে জীর্ণদশার কথা, সম্মানের যোগ্য হয়েও সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অব্যবস্থাপনার কারণে বঞ্চিত মানুষের কথাও বলার চেষ্টা করেছি।”

তিনি আরো বলেন, “বইটির বেশিরভাগ গল্পই অলস সময়ে লেখা। বিষয় এবং ভাষা দুইয়ের কোনোটা নিয়েই তেমন ভাবিনি। স্বতঃস্ফূর্তভাবেই গল্পগুলো এসেছে, পাঠক এক বসাতেই একটি গল্প টানা পড়ে যেতে পারবেন। বইটি সিরিয়াস-সাধারণ উভয় পাঠকেরই ভালো লাগবে বলে আমার বিশ্বাস।”

আরো পড়ুন:

প্রেম কিংবা রক্ত-ঝরা কবিতা ‘প্রেমিকাদের কিছুটা বোকা হতে হয়’

‘বইয়ের অনুবাদ স্বত্ব কেনা মোটেও সহজ নয়’

বইটি প্রকাশ করেছে মাওলা ব্রাদার্স। প্রচ্ছদ করেছেন শিল্পী ধ্রুব এষ। বইটি পাওয়া যাবে ঢাকায় অনুষ্ঠিত অমর একুশে গ্রন্থমেলার ৪ নম্বর প্যাভিলিয়নে ও চট্টগ্রামের অমর একুশে গ্রন্থমেলার বাতিঘরের ৬৮ এবং ৬৯ নম্বর স্টলে।

কামরুন নাহার শীলা ২০১৯ সালে প্রকাশিত ‘লালবেজি’ গল্পগ্রন্থের জন্য কথাসাহিত্যে ‘কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার-২০১৯’ পেয়েছিলেন।

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

৬ বছর পর পাবিপ্রবির বর্ষবরণে বাঙালি সংস্কৃতির ছোঁয়া

৬ বছর পর পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) বর্ণিল আয়োজনে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ এর আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে ছিল উৎসবের রঙ, বাঙালি সংস্কৃতির ছোঁয়া।  

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় আয়োজনের অংশ হিসেবে শুরু হয় বর্ণাঢ্য আনন্দ  শোভাযাত্রা।

পাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস.এম আব্দুল-আওয়ালের নেতৃত্বে শোভাযাত্রায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।

আনন্দ শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের মূল ফটক থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় মূল মঞ্চে এসে শেষ হয়। মহিশের গাড়ি, পালকি, মুখোশ, গ্রামীণ খেলনা, রঙিন ব্যানার, পটচিত্র ও বাদ্যযন্ত্রে মুখর ছিল পুরো আয়োজন।

দিনব্যাপী বর্ষবরণের আয়োজনে আরো ছিল স্বাধীনতা চত্ত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বৈশাখী মেলা। এতে উৎসবমুখর পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি বিভাগের শিক্ষার্থী,  শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, পাবিপ্রবি প্রেসক্লাব, ছাত্র ও ছাত্রী হলকে স্বতন্ত্রভাবে বর্ণিল সাজে সজ্জিত দোকানে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার অংশগ্রহন করতে দেখা যায়।

ইইসিই বিভাগের শিক্ষার্থী ইউসুফ খান রাচি বলেন, “এই প্রথমবার আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান দেখতে পারছি। শুনেছি এর আগে ২০১৯ সালে আমাদের ক্যাম্পাসে এরকম উৎসব মুখর পরিবেশে এমন আয়োজন হয়েছিল। নিজেদের হাতে স্টল সাজানো, পিঠা বানানো, বিক্রি করা। সব মিলিয়ে দারুণ অভিজ্ঞতা। বাংলা সংস্কৃতির এমন প্রাণবন্ত আয়োজন আমাদের মন ছুঁয়ে গেছে।”

সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিব বলেন, “সারাদিন ক্যাম্পাসে একটা অন্যরকম অনুভূতি ছিল। সবাই যেন একে অপরের আপন। এই ধরনের আয়োজন আমাদের মধ্যে বন্ধন গড়ে তোলে, সংস্কৃতির সঙ্গে জুড়ে দেয়।”

৬ বছর আগে ২০১৯ সালে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষের উৎযাপন করা হলেও মাঝখানে করোনা, রোমজান থাকার কারনে গত কয়েকবছর এই উৎসব পালন করা সম্ভব হয়নি।

ঢাকা/আতিক/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যাত্রী সংখ্যায় ২০১৯ সালকে ছাড়াল বিমান পরিবহন খাত, করোনার পর এই প্রথম
  • ভুলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত ব্যক্তিকে ফেরত দেবে না এল সালভাদর: প্রেসিডেন্ট নায়েব
  • ৬ বছর পর পাবিপ্রবির বর্ষবরণে বাঙালি সংস্কৃতির ছোঁয়া