ভালোবাসা দিবসের পর তাঁদের প্রেমের গল্প
Published: 18th, February 2025 GMT
মফস্বলের দুটি ছেলেমেয়ের প্রেম-ভালোবাসা ও সম্পর্কের বাস্তবতার গল্পে নির্মিত হয়েছে ভালোবাসা দিবসের বিশেষ নাটক ‘যদি তোমারে না পাই’। অভিনেতা খাইরুল বাশার ও সামিরা খান মাহিকে জুটি করে নির্মাতা সেতু আরিফ বানিয়েছেন এ নাটকটি। চিত্রনাট্যও তাঁরই। নির্মাতা এটিকে ভালোবাসার গল্পের নাটক না বলে রোমান্টিক ফিকশন দাবি করছেন।
গল্পে দেখা যাবে, মাস্টার্স শেষ করা মিরাজ অপেক্ষায় আছে একটা চাকরি হলেই তাসনুভাকে বিয়ে করবে। ৭ বছরের ভালোবাসার সম্পর্ক পরিচর্যার পর তাসনুভার মিরাজকে ছাড়া আর কিছু চাওয়ার নেই। কিন্তু প্রেম-ভালোবাসার বাস্তবতা বেশির ভাগ সময়ে চাওয়ার সঙ্গে মেলে না। মিরাজ ও তাসনুভার ভালোবাসার গল্পে আসে পাওয়া না পাওয়ার লড়াই। অস্থিরতা আর নানা পাগলামিতে মিরাজ ঘুরপাক খায় মফস্বলের দুটি
ছেলে-মেয়ের প্রেম-ভালোবাসা।
ভার্সেটাইল মিডিয়ার অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে নাটকটি বৃহস্পতিবার প্রচার হবে।
মূলত সম্পর্কের বাস্তবতার গল্পই এ ফিকশনের মূল প্লট। সেতু আরিফের ভাষ্য, ‘নির্মাতা হিসেবে আমি একটি সহজ সাবলীল পরিচিত গল্প ডিল করতে চেয়েছি। কিন্তু গল্পের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং চরিত্রের বাস্তবতাই আমার এ ফিকশনের মূল জায়গা। খায়রুল বাশার এবং সামিরা খান মাহি দু’জনই সুন্দর পারফরম্যান্স করেছে। আশা করি, নাটকটি সবার ভালো লাগবে।’
খাইরুল বাশার জানালেন, নাটকটির গল্প দারুণ ছিল। মানিকগঞ্জের যেসব স্থানে শুটিং হয়েছে, সেটাও বেশ নান্দনিক জায়গা। সব মিলিয়ে আমার বিশ্বাস, নাটকটিতে ভালোবাসার অন্যরকম চিত্র দেখতে পাবেন দর্শক। যে চিত্রায়ণ তাদের ভালো লাগবে।
সামিরা খান মাহিও নাটকটি নিয়ে প্রত্যাশার কথা জানালেন। বললেন, গল্পটি দারুণ পছন্দের।
ফিকশনটিতে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন সমু চৌধুরী, মিলি বাশার, শম্পা নিজাম, নিকুল কুমার মণ্ডল, হারুনুর রশীদ, শাফিজ মামুন এবং সিদ্দিক মাস্টার।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের রোগীদের জন্য কুনমিংয়ের ক্যানসার হাসপাতাল
চীনের কুনমিংয়ের তিনটি সর্বাধুনিক হাসপাতালকে বাংলাদেশের রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় এবার বাংলাদেশের রোগীদের চিকিৎসাসেবার জন্য জন্য যুক্ত করা হচ্ছে কুনমিংয়ের একটি ক্যানসার হাসপাতালকে।
বেইজিংয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাজমুল ইসলাম এবং চীনের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপমন্ত্রী সান উইডংয়ের মধ্যে বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশ ও চীন সমন্বিত কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে আগের চেয়ে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। এত করে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকীতে সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনগণের মধ্যে মেলবন্ধনের বিষয়টি দৃশ্যমান হচ্ছে।
তাদের বৈঠকে বিদ্যমান সহযোগিতা জোরদারের পাশাপাশি সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা, একে অন্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা, সমতা ও পারস্পরিক সুবিধা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রতি তাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
রাষ্ট্রদূত চীনা বিনিয়োগকারীদের ও ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের দেওয়া সুযোগগুলো অনন্যভাবে অন্বেষণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানান। তিনি ঢাকায় আগামী ৭-১০ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় আসন্ন বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশ নিতে তাদের উৎসাহিত করেন।
চীনা উপমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, চলতি বছর পর্যটন, শিক্ষা, একাডেমিয়া ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় সরকার খাতে আরও বেশি পরিদর্শন ও প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত।
উভয় পক্ষ বহুপক্ষীয় ফোরামে বিশেষ করে জাতিসংঘের ব্যবস্থায় একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছে, যাতে বহুপক্ষীয়তার সুবিধা সবার দ্বারা বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলো অর্জন করতে পারে।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদ্যাপনের জন্য উভয় দেশ যৌথ কর্মসূচি গ্রহণ করবে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে লোগো প্রকাশ, গত ৫০ বছরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে অবদান রাখা ব্যক্তিত্বদের স্বীকৃতি, চিকিৎসা ও পর্যটন চালু।