2025-02-08@10:27:36 GMT
إجمالي نتائج البحث: 14
«উৎপ দ ত ফসল»:
বোরো মৌসুমের শুরুতেই দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন কৃষক। তাঁরা চাহিদা অনুযায়ী সারা পাচ্ছেন না, যাও পাচ্ছেন, সেটা আবার সরকার-নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রতি কেজি ৩ থেকে ৮ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে।প্রতি কেজি ইউরিয়া ও টিএসপির সরকার-নির্ধারিত মূল্য ২৭ টাকা, ডিএপির মূল্য ২১ টাকা ও এমওপির মূল্য ২০ টাকা হলেও সমকাল-এ প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে কৃষককে প্রতি কেজি ইউরিয়া ২৯-৩৩ টাকা, টিএসপি ৩০-৩৫ টাকা, ডিএপি ২৫-৩৫ টাকা ও এমওপি ২৫-৩০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। (‘ধান আবাদের সুসময়ে চাষির দুঃসময়’, সমকাল, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) বীজ, কীটনাশক, ডিজেলসহ কৃষি উপকরণের উচ্চমূল্যে এমনিতেই কৃষক সংকটে রয়েছেন। সরকার-নির্ধারিত সারের মূল্যও বেশি। কারণ, আগের সরকারের আমলে ২০২২ সালের আগস্টে ইউরিয়ার দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। এরপর ২০২৩ সালে সব ধরনের সারের দাম প্রতি কেজি ৫ টাকা করে বাড়ানো হয়।...
মুন্সীগঞ্জের আড়িয়ল বিলে প্রতি বছরের মতো এবারও মিষ্টিকুমড়ার ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু প্রত্যাশিত দাম না পেয়ে কৃষকের আশাভঙ্গ হয়েছে বলে জানা গেছে। কৃষকের ভাষ্য, গত বছরও প্রতি কেজি কুমড়া বিক্রি করেছেন ৩০ থেকে ৩২ টাকায়। এ বছর ১০ থেকে ১২ টাকায় নেমে এসেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শীত শেষে বসন্তের আগমনের এই সময়ে আড়িয়ল বিলে শাক-সবজির চাষাবাদ এবং কোথাও কোথাও ধান রোপণ করেছেন কৃষক। ধানের জমির আইলে উৎপাদন করা হয়েছে মিষ্টিকুমড়া ও লাউ। ঢাকা জেলার দোহার, নবাবগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদীখান ও শ্রীনগর উপজেলায় আড়িয়ল বিলের অবস্থান। বিলের বেশির ভাগ অংশ পড়েছে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর ও সিরাজদীখানে। আড়িয়ল বিলে ৭ হাজার ৯৭০ হেক্টর আবাদযোগ্য ভূমি রয়েছে। বছরের সব ঋতুতেই এখানে ফসল হয়। শ্রীনগর ও সিরাজদীখানে আড়িয়ল বিল থেকে মিষ্টিকুমড়া সংগ্রহের ধুম...
ভরা মৌসুমে চালের বাজারে আগুন নিয়ে গবেষণার শেষ নেই। বইয়ে পড়া নানা তত্ত্ব আর তথ্যের গুরুগম্ভীর আলোচনা যখন জমে উঠেছে, তখন পাশ থেকে আলী বাকের বললেন, ‘আসলে আমন ফেল—এটাই সত্যি, আমাগেরও কিনি খাওয়া লাগবি।’আমরা বলছিলাম সিন্ডিকেটের কথা তো চাঁদাবাজির কথা, মজুতদার আর মুনাফাখোরদের দৌরাত্ম্যের কথা; আর সরকারের ব্যর্থতার কথা আছেই। সরকারের ব্যর্থতার বয়ান ছাড়া এখন কোনো আলোচনা জমে না।মালয়েশিয়াফেরত আলী বাকের এখন মন–দিল দিয়ে চাষবাস করেন। বিদেশ যাওয়ার আগে তাঁর নাম ছিল বকর আলী। সেখান থেকে ঘোল খেয়ে ফেরত আসার পর এখন আলী বাকের। সে অন্য কাহিনি। মালয়েশিয়ার চক্করে জমিজিরাত হারিয়ে আলী বাকের এখন ‘কন্টাক্ট চাষি’।ভাগ চাষি বা বর্গা চাষি বলে এখন আর কিছু নেই। ‘ফেলো কড়ি মাখো তেল’ নীতিতে বছরের জন্য জমি ভাড়া নিয়ে ফসল ফলাতে হয়। আলী বাকের...
দিন দিন কমে আসছে গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের আওতা। এক সময় ৪ জেলার ১৩টি উপজেলার ১ লাখ ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দেওয়া হলেও এখন তার আওতা অর্ধেকেরও নিচে নেমে এসেছে। গত শতাব্দীর ষাটের দশকে নির্মিত দেশের বৃহত্তম এ সেচ প্রকল্প নিয়ে নানা সমস্যা হচ্ছে। এক বছর ধরে দুটি সেচ পাম্প বিকল, খালগুলো ভরাট ও বেদখল, সংস্কার না হওয়া ও লোকবল সংকটে খুঁড়িয়ে চলছে কার্যক্রম। সম্প্রতি জিকে প্রকল্পের আধুনিকায়নে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হলেও সেটি আলোর মুখে দেখেনি। প্রকল্পটি পাস হয়ে বাস্তবায়ন হলে জিকের সেচ সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার পাশাপাশি ফসল উৎপাদন বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, খরাপ্রবণ এলাকা হওয়ায় কুষ্টিয়া অঞ্চলে ষাটের দশকে ভেড়ামারার মসলেমপুরে পদ্মা নদীতীরবর্তী এলাকায় পাম্প...
গত সরকারের আমলে ক্ষমতাসীন দলের অনুসারীরা প্রকৃতি ও পরিবেশ খুবলে খাওয়ার যে ভয়াবহ চক্র গড়ে তুলেছিল, তা এখনও চলমান। ক্ষমতার পালাবদলে পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। বরং এসব চক্রের চালকের আসনে এসেছে নতুন মুখ। তাদের হাত ধরে হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে চলছে বালু ও মাটিখেকোদের বেপরোয়া কর্মকাণ্ড। জেলাজুড়ে মাটিখেকো চক্রের সদস্যরা অব্যাহত রেখেছে কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি কেটে বিক্রির তৎপরতা। কৃষি বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বারবার নির্দেশনা দেওয়ার পরেও থামছে না এই যজ্ঞ। টপ সয়েল হলো মাটির ওপরের স্তর। মাটির এই স্তরে জৈব পদার্থ এবং অণুজীবের সর্বাধিক ঘনত্ব বিদ্যমান; যেখানে প্রকৃতির অধিকাংশ জৈবিক কার্যকলাপ ঘটে। প্রাকৃতিকভাবে মাটির উপরিভাগের এই স্তরের উর্বরতা ও ফসল উৎপাদনের সক্ষমতা সর্বোচ্চ। তাই কৃষি বা ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি ক্ষয় হলে বা হ্রাস পেলে ফসল...
কেশবপুরের টিটাবাজিতপুরের কৃষক নূর ইসলাম। তিনি প্রায় ৬ ফুট উচ্চতার ৩৭ কেজি ওজনের মানকচু এনেছেন সাগরদাঁড়ীর মধুমেলায়। এর সঙ্গে সেলফি ওঠাতে ব্যস্ত দর্শনার্থীরা। এ ছাড়া বিশাল আকৃতির মেটে আলু, বড় মিষ্টিকুমড়া, হাজারী কলার কাঁদি, বারোমাসি কাঁঠালসহ তিন শতাধিক কৃষিপণ্য মধুমেলায় দর্শনার্থীর নজর কেড়েছে। বিভিন্ন বীজ দিয়ে তৈরি কেশবপুর উপজেলার মানচিত্রসহ ফসল উৎপাদনের দৃশ্য সবাই ঘুরে ঘুরে উপভোগ করছেন। কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সাগরদাঁড়ীতে গত ২৪ জানুয়ারি থেকে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা শুরু হয়েছে। এর একাংশে উপজেলা কৃষি দপ্তর আয়োজন করেছে কৃষি ও প্রযুক্তিমেলা। সরেজমিন দেখা গেছে, মেলায় প্রদর্শনের জন্য সুজাপুর গ্রামের কৃষক দেবু দাস ৭৩ কেজি ওজনের মেটে আলু এনেছেন। সাতবাড়িয়া গ্রামের কৃষক মোরশেদুল ইসলামের ৪৫ ইঞ্চি প্রস্থ ও ২৫ কেজি ওজনের মিষ্টিকুমড়া এবং হাজরাকাটির জাহাঙ্গীর আলম এনেছেন ১০...
বরিশাল বিভাগের নদনদীতে লবণাক্ততার পরিমাণ দ্রুতগতিতে বাড়ছে। মৃত্তিকাসম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের গবেষণার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিভাগের অন্তত ২০টি নদীর পানি প্রায় শতভাগ লবণাক্ত হয়ে পড়েছে। অথচ ১০ বছর আগেও এ সংখ্যা ছিল চারটি। এমন পরিস্থিতিতে লবণাক্ত পানির প্রভাবে এরই মধ্যে বিভাগে ৫২ ভাগ ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে ফসল উৎপাদন। আসছে দিনগুলোয় উৎপাদন আরও কমার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বরিশাল মৃত্তিকাসম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, সেচের জন্য নদীর পানিতে ০ দশমিক ৭ ডিএস পার মিটার এবং মাটিতে ২ ডিএসের নিচে পার মিটার লবণাক্ততা থাকতে হয়। কিন্তু সম্প্রতি চালানো গবেষণায় দক্ষিণাঞ্চলের নদীর পানিতে সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ ডিএস পার মিটার ও মাটিতে সর্বোচ্চ ২৫ ডিএস পার মিটার লবণাক্ততা পাওয়া গেছে। আগে সাগর সংলগ্ন নদীতে...
চাঁদপুরের হাইমচরে জমি প্রস্তুত করেও পানি অভাবে বোরো ধান রোপণ করতে পারছে না কৃষক। এভাবে চলতে থাকলে বীজতলায় ধানের চারা বেশি দিন রাখলে ভালো উৎপাদন না হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে হাইমচরে চরভাঙ্গা, গন্ডামারা, কমলাপুর, ছোট লক্ষীপুরসহ মেঘনা নদীর পূর্ব অঞ্চল সরেজমিন গেলে চাষিরা তাদের এ হতাশার কথা জানান। সেখানে দেখা যায়, চাষিরা জমি প্রস্তুত করেও পানি সংকটে ধান রোপণ করতে পারছে না। দ্রুত পানির প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তারা। আরো পড়ুন: বানভাসি কৃষকদের আশার আলো বিনাধান-২০ ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, শনিবার শেষকৃত্য মনমোহনের হাইমচরে খাল সংস্কার না হওয়ায় বর্ষাকালে পানি নামতে না পারায় ফসলের জমি, বাড়ি-ঘর পানিতে ডুবে যায়। গত বর্ষায়ও এলাকার চাষিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাই পানি উন্নয়ন বোর্ড হাইমচরে...
গৃহবধূ ফাতেমা বেগমের বাড়ির অদূরেই ব্রহ্মপুত্র। বর্ষাকালে পানি চলে আসে একেবারে বাড়ির কাছাকাছি। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে এই নদের পানির দুর্গন্ধে নাক চেপে রাখতে হয়। আফসোসের সুরে বৃহস্পতিবার এই গৃহবধূ বললেন, ‘এখন আর নাক চেপে ধরি না; দুর্গন্ধই স্বাভাবিক মনে হয়।’ ফাতেমা নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বশিরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। এ উপজেলার অধিকাংশ নদনদীর পানি এখন বিভিন্ন শিল্পকারখানার অপরিশোধিত বর্জ্যের কারণে ভয়াবহ মাত্রায় দূষিত হয়ে পড়েছে। বর্ষাকালে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও শুকনো মৌসুমে বেশির ভাগ নদনদীর পানির রং আলকাতরার মতো কালো হয়ে যায়। এ কারণে উপজেলার লাখো মানুষের জীবনের পাশাপাশি কৃষি, জীববৈচিত্র্যে বিপর্যয় ঘটছে। দূষিত পানির কারণে নদনদীতে এখন মাছ নেই। কমে গেছে ফসলের উৎপাদন। পানির গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। তারা নদীতে বর্জ্য নিষ্কাশন বন্ধে দফায় দফায় আন্দোলন-সংগ্রাম করেও কোনো...
ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক কারণে হাওর অঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ। দেশের মোট আয়তনের প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ হাওর অঞ্চল। অঞ্চলটি সাতটি জেলার ৫৩ উপজেলাকে যুক্ত করেছে। হাওর কেবল প্রাকৃতিকভাবে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত এলাকা নয়, বরং খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাণিসম্পদ ও অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। এ ছাড়া দেশের মোট গবাদি পশুর প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ এ অঞ্চলে পালন করা হয়। এখানকার প্রাকৃতিক চারণভূমি (বাথান) ও পানির সহজলভ্যতা গবাদি পশুর প্রজনন বৃদ্ধিতে সহায়ক। গবাদি পশু দুধ, মাংস, চামড়া ও সার উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। দেশের মোট হাঁসের প্রায় ২২ শতাংশ এ অঞ্চল সরবরাহ করে। কৃষিক্ষেত্রেও হাওরের ভূমিকা অনস্বীকার্য। দেশের মোট বোরো ধানের ৬০ শতাংশ হাওর থেকে আসে। পাশাপাশি নদী, খাল, বিল এবং জলাশয় মৎস্য উৎপাদনের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত। কিন্তু কৃষিজমিতে অতিরিক্ত সার ও কীটনাশক প্রয়োগের কারণে মাছ...
নাটোরের লালপুরের চংধুপাইল ইউনিয়নের পুকুন্দা মাঠের কৃষক আবুল মাজন আলী আখ, ধান ও গমের চাষ করতেন। ফসল বিক্রির নিশ্চয়তা ও ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় লাগাতার লোকসান গুনতে হয়েছে তাঁকে। তাই সমকালীন ফসল ছেড়ে গত বছর ৩০ বিঘা জমিতে তামাক আবাদ করেন। লাভ হওয়ায় আবাদি জমির পরিমাণ বাড়িয়েছেন। আবুল মাজন আলী বলেন, তামাক চাষে কোম্পানি থেকে বীজ, সার ও ঋণ দেয়। বাড়ি থেকেই উচ্চ মূল্যে বিক্রি হয়ে যায়। তাই স্বাস্থ্যঝুঁকি জেনেও এ ফসল আবাদ করছেন। আবুল মাজনসহ স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, সমকালীন ফসল আবাদে কোনো সমস্যা হলে কৃষি অফিসের মাঠ কর্মকর্তাদের পাওয়া যায় না। অন্যদিকে উৎপাদনের আগেই তামাক কোম্পানি দর নির্ধারণ, বিক্রির নিশ্চয়তা, চাষের জন্য সুদমুক্ত ঋণ, প্রতিনিধিদের মাধ্যমে নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন ও পরামর্শ দিয়ে থাকে। এ কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি জেনেও তারা তামাক...
ফসলের ভরপুর ফলনে চাষির ঘরে থাকার কথা আনন্দের দোল। সাদাচোখে এটাই সত্য! তবে এখন হিসাব বদলে গেছে। বাম্পার উৎপাদনেও কখনও-সখনও কৃষকের হৃদয় পোড়ে। এই যেমন বগুড়ার শিবগঞ্জের মোকামতলার কৃষক মাসুদুর রহমানের দুই চোখে বেদনার জল। তাঁর দুই একর জমিতে জম্পেশ ফলেছে ফুলকপি। শরীরের লবণপানি ঝরিয়ে উৎপাদিত ফুলকপি স্থানীয় মহাস্থান হাটে তোলার পর দাম শুনে মনে যে চোট পেলেন, তা সারার কোনো দাওয়াই নেই! শুধু ভেজা চোখে বললেন, ‘বাড়িত গরু-ছাগল থাকলে তাদেরই খাওয়াতাম। উৎপাদন খরচ বাদ দিলাম, মাঠ থেকে হাট পর্যন্ত ফুলকপি আনতে কেজিতে যে খরচ হচ্চে, সেই ট্যাকাও পানো না।’ ঠাকুরগাঁওয়ের বর্গাচাষি আসাদুল হক ধারদেনা করে এ বছর ছয় একর জমিতে আগাম আলুর আবাদ করেছিলেন। নিজের পরিশ্রম বাদেও খরচ হয়েছিল ছয় লাখ টাকা। আলু বেচতে গিয়ে রীতিমতো ভ্যাবাচ্যাকা! উৎপাদন খরচের...
বাংলাদেশি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি স্বপ্নধরার উদ্যোগে শুরু হয়েছে প্লট ফার্মিং। এই অভিনব উদ্যোগের ফলে ভূমিহীন কৃষক পাবে চাষ করার জমি। অন্যদিকে শহরের মানুষ পাবে নিজের জমিতে উৎপাদিত ফসল। স্বপ্নধরার এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যবহার করা হবে রিয়েল এস্টেট কোম্পানির ফেলে রাখা জমি। সেই সঙ্গে উপকৃত হবে দেশের ভূমিহীন কৃষক। প্রতি বছরই বাড়ছে বাংলাদেশের জনসংখ্যা। মাথাপিছু জমির পরিমাণ বিশ্বে সর্বনিম্ন মাত্র শূন্য দশমিক ২৫ একর। ছোট্ট এই দেশে বাড়তি মানুষের জন্য তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন বাড়ি। ফলে কমে আসছে আবাদি জমির পরিমাণ। একই কারণে কমে আসছে ফসলের উৎপাদন। আর তাই কৃষকের জীবিকাও আজ হুমকির মুখে। অন্য কাজের খোঁজে কৃষক চলে আসছে শহরে। ফলে আবারও বাড়ছে শহরের জনসংখ্যা। আর তাই অনাবাদী জমির পরিমাণ কমিয়ে আনা এখন সবচেয়ে জরুরি। এই কাজটাই করার উদ্যোগ নিয়েছে...
ঈশ্বরদীর মানিকনগর গ্রামের কৃষক মনিরুল ইসলাম সরদার। শুক্রবার বিকেলে ক্ষেতের ফুলকপি কেটে ফেলছিলেন তিনি। এ সবজির আবাদ করেছিলেন দুই বিঘা জমিতে। ফলনও ভালো হয়েছিল। উৎপাদিত সবজি বিক্রির পর পাকা ঘর করার ইচ্ছা ইচ্ছা ছিল তাঁর। তবে দাম অস্বাভাবিক কমে যাওয়ায় বাজারে নেওয়ার খরচও উঠছে না। রাগে-ক্ষোভে ক্ষেতের ফুলকপি গাছসহ কেটে গরুকে খাওয়াচ্ছেন তিনি। এ কৃষকের ভাষ্য, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের হাজার হাজার কৃষকের একই অবস্থা। পাবনার ঈশ্বরদী শীতকালীন সবজি উৎপাদনের জন্য বেশ পরিচিত। উপজেলায় অন্তত ২১ হাজার কৃষক সবজি উৎপাদনে যুক্ত। এর মধ্যে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষক ১৫ জন। উৎপাদিত সবজি যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে। তবে চলতি মৌসুমে ভালো ফলন হলেও কৃষক রয়েছেন বিপদে, দাম পাচ্ছেন না। ফলে মনিরুলের মতো অনেকে ক্ষেতেই মিশিয়ে দিচ্ছেন বা গবাদি পশুকে খাওয়াচ্ছেন। ক্রেতা কম থাকায় জমিতে...