কেশবপুরের টিটাবাজিতপুরের কৃষক নূর ইসলাম। তিনি প্রায় ৬ ফুট উচ্চতার ৩৭ কেজি ওজনের মানকচু এনেছেন সাগরদাঁড়ীর মধুমেলায়। এর সঙ্গে সেলফি ওঠাতে ব্যস্ত দর্শনার্থীরা। এ ছাড়া বিশাল আকৃতির মেটে আলু, বড় মিষ্টিকুমড়া, হাজারী কলার কাঁদি, বারোমাসি কাঁঠালসহ তিন শতাধিক কৃষিপণ্য মধুমেলায় দর্শনার্থীর নজর কেড়েছে।
বিভিন্ন বীজ দিয়ে তৈরি কেশবপুর উপজেলার মানচিত্রসহ ফসল উৎপাদনের দৃশ্য সবাই ঘুরে ঘুরে উপভোগ করছেন। কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সাগরদাঁড়ীতে গত ২৪ জানুয়ারি থেকে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা শুরু হয়েছে। এর একাংশে উপজেলা কৃষি দপ্তর আয়োজন করেছে কৃষি ও প্রযুক্তিমেলা। 
সরেজমিন দেখা গেছে, মেলায় প্রদর্শনের জন্য সুজাপুর গ্রামের কৃষক দেবু দাস ৭৩ কেজি ওজনের মেটে আলু এনেছেন। সাতবাড়িয়া গ্রামের কৃষক মোরশেদুল ইসলামের ৪৫ ইঞ্চি প্রস্থ ও ২৫ কেজি ওজনের মিষ্টিকুমড়া এবং হাজরাকাটির জাহাঙ্গীর আলম এনেছেন ১০ কেজি ওজনের স্কোয়াশ। আলতাপোল গ্রামের মতিয়ার রহমানের গ্রীষ্মকালীন পাঁচটি পেঁয়াজের ওজন এক কেজি।
মেলায় বস্তায় আদা চাষ, ভার্মি কম্পোস্ট, ট্রাইকো কম্পোস্টসহ বিভিন্ন কৃষিপ্রযুক্তি প্রদর্শন করা হচ্ছে। কলাগাছি গ্রামের ইসরাফিল হোসেন বলেন, এবার মধুমেলায় ব্যতিক্রম আয়োজন কৃষিমেলা। বিভিন্ন কৃষিপণ্য দেখে ভালো লেগেছে। বলা যেতে পারে, মেলার ভেতর আরেক মেলা।
বাবা-মায়ের সঙ্গে যশোর থেকে প্রথমবারের মতো মধুমেলা দেখতে এসেছিল শিক্ষার্থী আবির বিন হেলাল। সে জানায়, ২৫ কেজি ওজনের মিষ্টিকুমড়া ও ছয় ফুট উচ্চতার ৩৭ কেজি ওজনের মানকচু দেখে ভালো লেগেছে। এ ছাড়া অন্য কৃষিপণ্যও পছন্দ হয়েছে।
উপজেলার মূলগ্রামের মাসুম বিল্লাহর ভাষ্য, বীজ দিয়ে তৈরি মানচিত্রসহ ফসল উৎপাদনের দৃশ্য দেখে ভালো লেগেছে। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ১৯৯৪ সাল থেকে মধুমেলার ভেতরে কৃষিমেলার আয়োজন করা হয়। এ মেলায় দর্শনার্থীর ব্যাপক ভিড় হচ্ছে। কৃষকদের উৎপাদিত অসংখ্য কৃষিপণ্য ও প্রযুক্তি আনা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ওজন র ম উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

অনশন প্রত্যাহার করলেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা  

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার। 

এই সিদ্ধান্তের পর বুধবার দিবাগত রাত ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. তানজীম উদ্দিন খান শিক্ষার্থীদের জুস খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করান। পরে শিক্ষার্থীরা অনশনস্থল থেকে নিজ নিজ হলে ফিরে যান।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ জানান, কুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে। অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে। 

শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্যের অপসারণের এক দফা দাবিতে গত ১৫ এপ্রিল থেকে তারা ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করেন। এরপর গত সোমবার থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ